![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
পূর্ণিমা আর অমাবস্যা অথবা যদি বলি অমাবস্যা আর পূর্ণিমা; এর কোনটাই আজ আর আমার দৃষ্টিতে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনা। প্রতিটা রাত আমার দৃষ্টিতে একই রকম। নির্ঘুম প্রতিটা রাতই আমার জীবনে বয়ে আনে একাকীত্বের কষ্ট। জীবনের চাওয়া পাওয়ার হিসাব কখনো মেলাইনি, মেলাবনা। তবে জীবনে পেয়েছি প্রায় সবই তবু কিছু অতৃপ্তি রয়েই গেছে। জীবনের সব পাওয়ার মাঝেই কোন এক না পাওয়ার বেদনা লুকিয়ে থাকে। হয়ত এরই নাম জীবন। কতক্ষন এখানে বসে আছি খেয়াল নেই তবে মনে হচ্ছে যেন অনন্তকাল ধরে এখানেই এভাবে বসে আছি। এটা একটা কবস্থান। পৃথিবীর মানুষগুলো বড় বোকা ! তারা রাতে কবরস্থান আসতে ভয় পায়। কিন্তু আমি জানিনা কেন এই ভয়। আমিত আমার ভবিষ্যৎ ঠিকানাতেই আছি। হয়ত এই মুহূর্তেই কবর হবে আমার অন্তিম ঠিকানা। এইত জীবনের স্বাভাবিক অমোঘ নিয়তি। আমি প্রায় রাতেই এখানে আসি কিন্তু কেন আসি তা জানিনা !
চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বথের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা – একা;
শোনা গেলো লাশ কাঁটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে – ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’ল তার সাধ।
বধু শুয়ে ছিলো পাশে – শিশুটিও ছিলো;
প্রেম ছিলো, আশা ছিলো জোসনায়, তবু সে দেখিল
কোন ভূত ? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার ?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল – লাশকাঁটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।
জীবনানন্দ দাশ, আজ হতে প্রায় ৬৩ বছর পূর্বে লিখে যাওয়া আপনার এই কবিতা বাস্তব হয়ে নেমে এলো হাতিমের জীবনে ৬৩ বছর পর। বুধবার গভীর রাতে কটিয়াদি উপজেলার বীর নোয়াকান্দি গ্রামে দীর্ঘ দিন ঘুমাতে না পারার যন্ত্রণায় ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র হাতিম পরিবারের সদস্যগণের অগোচরে ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সত্যিইত হে কবি;
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার ?
আমিও তোমার মতো বুড়ো হবো – বুড়ি চাঁদটারে আমি
ক’রে দেবো কালীদহে বেনোজলে পার;
আমরা দ’জনে মিলে শূন্য ক’রে চ’লে যাবো জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
আধুনিক মনো বিজ্ঞানীদের অনেকে বলছেন,- জীবন যত জটিল হচ্ছে ততই বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। এ হচ্ছে প্রতিনিয়ত নির্মম বাস্তবতার একটি পরিনাম। এ এক ধরনের মনো বিকলন। সেচ্ছা মৃত্যু একজন মানুষের মৃত্যু চিন্তা থেকেও উৎসারিত হতে পারে ক্রমাগত সে পরিনত হতে পারে আত্মহত্যা প্রবণ প্রাণীতে। আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার চেষ্টা দুইয়ের পেছনে কাজ করে একই প্রবনতা।
ডঃ এন্টোনি আর মে’র মতে,- মানুষের এ প্রবনতা চরম রূপ নেয় যখন স্থুল বস্তুজগৎ তার মানসিক যন্ত্রণা লাঘব করতে অসমর্থ হয়। কিন্তু মানুষ যখন মরণকে বরন করার সময় মৃত্যু যন্ত্রণা অনুভব করে তখন তার আবার বাঁচতে ইচ্ছা করে।
বিষপান করে অনেক কে দেখা যায় সে চিৎকার করে বলছে আমাকে বাঁচাও। এমনও নজির আছে বিষপানের পর সে নিজেই ছুটে গেছে ডাক্তারের কাছে। মানুষ মরে বাঁচতে চায় আবার মৃত্যুর মুখে গিয়ে জীবনকে আঁকড়ে ধরতে চায়। দুইয়ের মাঝে প্রবল জীবন বাদিতার লক্ষন স্পষ্ট।
ডঃ মে’র ভাষায়,- মৃত্যু সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসার জন্য শেষ চিৎকার। স্বেচ্ছা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একজন যেন জাগান দিয়ে যায় পৃথিবী আমাকে চায় না। আমি অবাঞ্চিত আগন্তুক এখানে।
তবু পৃথিবীর সকল ধর্মমতে,- জীবনের ভাল মন্দ ঈশ্বরের দান। যেহেতু ঈশ্বরের দান অতএব তাঁকে উপেক্ষা করা যাবেনা। মৃত্যু আসবে তার নিজের নিয়মে। মানুষ শুধু বাচার চেষ্টা করবে মরার নয়।
তবু বাস্তবতা মানুষকে এ অতল স্পর্ধায় অবিচল থাকতে দেয়না সবসময় সবার বেলায়। আত্মহত্যা কোনভাবে ব্যাক্তির স্বাধীনতায় পর্যবসিত হতে পারেনা।
এডউইন শনিডম্যান মনে করেন,- মানুষ যখন নিজেই নিজের শত্রু হয়ে উঠে যখন নিজেকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে শনাক্ত করে সব চিন্তা চেতনা যখন জড় হয় এক সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মাঝে এবং যখন তার সমস্যার ভাল মন্দ বা মাঝামাঝি কোন সমাধান না পাওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয় শারীরিক ও মানসিক চরম যন্ত্রণা উপশমের জন্য নিরুপায় তখনই মানুষ আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে উঠে। তাই বলে আত্মহত্যাকে প্রশ্রয় দেয়া চলবে না।
তাইত আইনের বন্তব্য,- মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। জীবন মানুষের নিজস্ব সম্পদ। সে সম্পদকে ধ্বংস করার অধিকার আইন মানুষকে দেয়নি। আত্মহত্যা আইনত অপরাধ এক অমোঘ পাপ।
তবুত পৃথিবীর শোণিত সৌরভে চির ইতিহাস হয়েই রয়ে যায় এক বিপন্ন বিস্ময়। একদা কিছু নাগা পরিবার জুম চাষের জন্য জাটিঙ্গা আসে। এটি ভারতের আসামের একটি গ্রাম। একদিন তারা বুনো প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন জ্বালালে দেখতে পায় আগুন লক্ষ্য করে ঝাঁক বেঁধে নেমে আসছে একই জাতের পাখি। তখন ওরা ভেবেছিল এটা শয়তানের কাজ। পর পর কয়েক রাত এ ঘটনার পুনরাবৃতি হোলে নাগারা সেখান থেকে চলে যায়। আসামের জাটিঙ্গা গ্রামে প্রতি বছর আগস্ট থেকে অক্টেবর এর মাঝে ঘনঘোর অন্ধকারের রাতে মেঘাচ্ছন্ন আকাস ঝির ঝির বৃষ্টি এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় যখন বাতাস বয়ে চলে দক্ষিন পশ্চিম থেকে উত্তর পূর্ব দিকে তাপমাত্রা বিশ ডিগ্রী থেকে পঁচিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস আদ্রতার পরিমান আসি থেকে নব্বই শতাংশ তখনই পাখিদের স্বেচ্ছামৃত্যু ঘটে। যদি কোন খোলা জায়গায় আগুন জলতে থাকে তাহলে সেখানে ঝাঁপিয়ে পরে ঝাঁকে ঝাঁকে। বিষয়টি যেন জাটিঙ্গার ঘন বন এবং পাহাড়ি ঝরনার মতই রহস্যাবৃত। এর কারন হতে পারে বিশেষ পরিবেশের যা সহজে অনুভব করা যায় না। বিজ্ঞানীদের মতে,- বর্ষাকালে বৃষ্টির ফলে মাটির নীচে পানি জমে বলে চৌম্বক শক্তি জনিত হেরফেরের জন্য পাখির মাঝে অজ্ঞাত স্বেচ্ছামৃত্যুর স্পৃহা জন্মে। আত্মহত্যার প্রবনতা আছে সাগরের এক বিশেষ প্রজাতির তিমির মাঝেও। এর নেপথ্যে হয়ত প্রাকৃতিক কারন আছে।
তবুত চলে যেতেছি আমরা এই মরন প্রভাতে,
তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে কোন এক মরন প্রভাতে,
মানুষের শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
তবুত চলে যেতেছি বেঁচে থাকার শেষ আর্তি আত্মহত্যাতে,
তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
১৬ ই চৈত্র, ১৪০৭
উৎসর্গঃ
ব্লগার আমিনুর রহমান
ব্লগার আশিক মাসুম
ব্লগার একজন আরমান
ব্লগার মনিরা সুলতানা
ব্লগার ফারজানা শিরিন
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পড়েছি পোস্টটি চমৎকার লেগেছে বললেও ভুল হবে আমার মনে দাগ কেটেছে।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
তবুত চলে যেতেছি আমরা এই মরন প্রভাতে,
তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে কোন এক মরন প্রভাতে,
মানুষের শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
তবুত চলে যেতেছি বেঁচে থাকার শেষ আর্তি আত্মহত্যাতে,
তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
ভালোলাগা।
++++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক আগের একটি লেখা শুধু শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
আশিক মাসুম বলেছেন: ভাই প্রশংসা কারার জন্য শব্দ খুজে পাচ্ছিনা। আপনার মতো একজন মানুষের সাথে আমি পরিচিত ভাবলে কেম্ন যেনো বিশ্বাস হতে চায় না। প্রতিনিয়ত অসাধারন পোস্ট আর কন ব্লগার করতে পারে বা পেরেছে বলে আমার জানা নেই।
যোগ যোগ যেগে থাকুন গুরু।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রশংসা তাঁদের জন্য যারা আমাকে এভাবে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলেছে।
আমি নিশ্চয় ঘুমাতে যাব আমার মৃত্যুর পরে কবরে।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
এম হুসাইন বলেছেন: +++++++++++++++
পড়ে গেলাম একটানে......... বরাবরের মতই চমৎকৃত হলাম...
ভালো থাকুন ভাই, নিরন্তর।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছু লেখা হলে জমিয়ে রাখার পক্ষপাতী নই তাই হয়ত পোষ্ট দিয়ে ফেলি আর আপনাদের বিরক্তের কারন হয়ে দাড়াই। ক্ষমা চাই এমন বিরক্তির জন্য।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫১
না পারভীন বলেছেন: আত্নহত্যা করা যে পাপ , এ বিষয়ে কুরান, হাদিসে কি কি আছে ?
কান্ডারী আপনার জ্ঞান সীমাহীন তাই প্রশ্নটি করলাম , জানার আগ্রহ থেকে ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আত্মহত্যা সে জন্য হারাম কারণ দেহের মালিক আল্লাহ আমরা শুধু মাত্র ব্যাবহার কারী এটার ক্ষতি করার অধীকার আমাদের নেই ।
সূরা বনী ইসরাইলের ৩৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে
وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَمَنْ قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا فَلَا يُسْرِفْ فِي الْقَتْلِ إِنَّهُ كَانَ مَنْصُورًا (33)
“আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করে দিয়েছেন, সত্য ব্যতিরেকে তাকে হত্যা কর না। আর যে ব্যক্তি মজলুম অবস্থায় নিহত হয়েছে তার অভিভাবককে আমি কিসাস দাবি করার অধিকার দান করেছি। কাজেই হত্যার ব্যাপারে তার সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়, তাকে সাহায্য করা হবে।” (১৭:৩৩)
বলা হয়েছেঃ আল্লাহ পাক সকল প্রাণকেই সম্মানজনক মনে করে। কারো অধিকার নেই কোনোভাবেই অন্য কাউকে হত্যা করে। তবে আল্লাহ যদি কাউকে সেই অধিকার দিয়ে থাকেন। আর সেই অধিকার বলতে শুধুমাত্র কেসাস (হত্যার বদলে হত্যা) কেই বোঝানো হচ্ছে। এখানে বলা হচ্ছে যে হত্যাকারীকে হত্যার পরিবর্তে হত্যা করা যেতে পারে তবে তাও আল্লাহর আদেশের ভিত্তিতে অর্থাৎ শারীরিকভাবে কষ্ট দিয়ে, নির্মম অত্যাচার চালিয়ে, পুড়িয়ে কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো পন্থায় হত্যা করাটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে। একইভাবে হত্যাকারী এবং নিহতের পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাধানো কিংবা তাদের কওম বা কবিলার মাঝে ঝগড়া বাধিয়ে দেওয়া-সবই হত্যার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হিসেবে পরিগণিত। অতীতে এ ধরনের বাড়াবাড়ি ছিল এমনকি এমনও দেখা গেছে কোনো এক কবিলার এক ব্যক্তিকে মারার ঘটনায় দুই কবিলার মাঝে বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ এবং রক্তপাতের ঘটনা লেগেই ছিল।
অবশ্য কেসাস হচ্ছে পৃথিবীর বুকে হত্যাকারীর জন্যে সবচেয়ে কম শাস্তি। পরকালে তার জন্যে অপেক্ষা করছে দোযখে পোড়ার শাস্তি। মজার ব্যাপার হলো- এ আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ পাক বলছেনঃ নিহত ব্যক্তির পরিবার আল্লাহ সহায়তা পায় কেননা তিনি তাদেরকে এই অধিকার দিচ্ছেন যে, হত্যাকারীকে চাইলে কেসাসও করতে পারে কিংবা চাইলে রক্তমূল্যও আদায় করতে পারে। সুতরাং দুই পরিবারের মাঝে যুদ্ধ কিংবা সংঘাত বাড়ানোর যেমন প্রয়োজন পড়ে না তেমনি প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ গ্রহণেরও প্রয়োজন পড়ে না।
এ আয়াত থেকে আমাদের জন্যে শিক্ষণীয় হলোঃ
এক. মুসলমান হোক কিংবা কাফের প্রতিটি মানুষই বেঁচে থাকার অধিকার রাখেন। কাউকে হত্যা করার অধিকার কারুরই নেই যদি না আল্লাহ অনুমোদন না করেন।
দুই. অপরকে হত্যা করা যেমন হারাম তেমনি নিজেকে হত্যা করা অর্থাৎ আত্মহত্যা করাটাও হারাম। কেননা আল্লাহ কাউকেই আত্মহত্যা করার অধিকার দেননি।
তিন. মজলুমের প্রতি সমাজের উচিত সহায়তা করা কেননা আল্লাহ তেমনটিই চেয়েছেন।
আল্লাহতে বিশ্বাস যে কয়টি স্তম্ভে ধারিত দেখা যায় তার মধ্যে আশা অন্যতম। আল্লাহ উপর আশা রাখা, ভরসা করা, তার উপর চরম মুহূর্তেও আস্তায় ঠিকে থাকা হচ্ছে ঈমান। আগুনে ঢুকে (মুসা [আ.]) ঈমানদার, পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েও (পিতা-পুত্র, ইব্রাহীম-ইসমাঈল [আ].) ঈমানদার। এভাবে, বড় বড় নবীদের এবং অনেক ঈমানদের জীবন কাহিনী ঈমানের দিগন্ত বুঝার প্রেক্ষিত বহণ করে। সব সময় এবং বিশেষ করে চরম মুহুর্ত্তে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে মু’মীনরা দোয়া করে যায়।
আল্লাহ মানুষকে বিশ্বাসের দিকে আহবানের সাথে সাথে তার সৃষ্টির মূলকথা বলেছেন -আদম সৃষ্টির কাহিনী বলেছেন। আদম সৃষ্টির কাহিনীকে এমনভাবে ব্যাখ্যা-বর্ণনায় এনেছেন যাতে তার বিশ্বাস ও ধর্ম-জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, বায়োলজি বা অন্য কোনো বিজ্ঞান শিখানোর আকারে নয়। এই কাহিনী-বর্ণনাতে এসেছে আদমের ‘জ্ঞান’ ও তাঁর বিপুল জ্ঞান-সত্ত্বেও তাঁর দুর্বলতা (‘আমি ইতিপূর্বে আদমকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। অতঃপর সে ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে দৃঢ়তা পাইনি।’ ২০:১১৫), তাঁর স্মৃতি বিস্মৃতি। তাঁকে যা না-করা উচিৎ ছিল তিনি তা করে ফেলার কাহিনী। তাঁর প্রকৃতির দুর্বলতা ও সবলতার কাহিনী। তাঁকে যখন বলা হল, 'তোমাকে যা না-করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তুমি তা করে ফেলেছো।' তখন তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। তাঁর মনের শান্তি চলে যায়, তিনি অশান্ত, বিচলিত হয়ে ওঠেন, মনের জ্বালায় বিদগ্ধ হতে থাকেন। তাঁর ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া বাস্তবায়িত হয়ে পড়ে। কিন্তু এখন তিনি কী করবেন, তার যে দুর্বল তা সেই দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহ তাঁকে প্রথম জ্ঞানের পর এবারে দ্বিতীয় জ্ঞান দেন। তাঁর অশান্তি লাঘবের জন্য আল্লাহ তাঁকে প্রত্যাবর্তনের (তওবার) পথ নির্দেশ করেন। এখানে ভুলের প্রতিক্রিয়ায় পড়ে থাকলে হবে না, ভুল হয়েছে হোক, ভুলটাও প্রকৃতিজাত। আমি মানা করেছিলাম, তুমি ভুল করেছো, এখন আমার দিকে প্রত্যাবর্তন কর, আবার ভুল হোক, আমার ফিরে এসো, আবার ভুল হোক আবার ফিরে এসো, তারপর আবার –কিন্তু কখনো নিরাশ হয়ো না (কোরান)।. নিরাশ তো কেবল শয়তানই হয়। শয়তান শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে যে চরমভাবে নিরাশ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র পথভ্রষ্টরাই আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হতে পারে। (১৫:৫৬) আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’ (১২:৮৭)
আদম থেকে এবং আদমের কাহিনী থেকে আমাদের বিশ্বাসের শুরু। এই কাহিনীতে আমাদের ধর্মের সার-নির্যাস রয়েছে। দর্শনে আমরা আজ পর্যন্ত যত বিদ্যা অর্জন করি তা যেভাবে প্রাচীন গ্রিক-দর্শনের, বিশেষ করে প্ল্যাটো/এরিস্টেটলিয়ান দর্শনের, অসংখ্য ফুট-নোট হিসেবে বিবেচনা করতে পারি, তেমনি সকল নবীর কাহিনী ও শিক্ষা আদমের কাহিনীর ফুট-নোটস হিসেবে দেখা যেতে পারে, যদিও অনেক পার্থক্যের স্থান রয়েছে।
বিশ্বাসের সাথে আমরা নিজেদের সত্তার যে পরিচিতি ঘটাই তা সর্বদাই ‘জীবন’ দান করে, সর্বদাই আলো দিয়ে যায়, সর্বদাই ‘নিরাশা’ থেকে মুক্তির পথ দেখায়, প্রত্যহ প্রকৃতি-তাড়িত ভুল থেকে শুদ্ধের ধারণায় নিয়ে আসে। নামাজে যাওয়া বা নামাজ পড়তে যাওয়াতে প্রত্যাবর্তন (তওবা) বুঝায়; এখানে এই অর্থ নিহিত: আদম তুমি ফিরে এসেছো, আবার এসো। তোমার প্রকৃতিতে ভাল-মন্দের রূপরেখা টানা হয়েছে, তুমি ভুলের ঊর্ধ্বে থাকতে পারবে না, তোমার আদর্শ ও বিশ্বাসের স্থানে তুমি সর্বদা ‘পাথরের-মত’ শক্ত হয়ে থাকতে পারবে না, তোমার মস্তিষ্ক-যন্ত্র পাথরের মত (অপরিবর্তীত) নয়। তুমি দুর্বল, তোমার চৈতন্য (সজ্ঞা) দিনে দুপুরে ভিন্ন ভিন্ন মানসিক স্থানে বিচরণ করে, তুমি ভুল করবে কিন্তু শয়তানের মত জেদি হয়ে ওঠবে না। আর প্রত্যেক প্রত্যাবর্তনে (নামাজে, রোজায়, হজ্জে যাকাতে, জিকির আযকারে) বিনয়ী হবে, কেবল আমারই দিকে নিরঙ্কুশভাবে নিবেদিত হবে। অর্থাৎ বেইমানি থাকবে না: আমি ব্যাঙ্কের টাকাটা এখন মেরে নেব এবং পরে হজ্জ করে রেহাই পেয়ে যাব, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এমন কাজ প্রত্যাবর্তন নয়, এটা শয়তানি। আদমের ঘটনা এমন ছিল না।
আদমের বিবরণে মানবিক যে বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া যায় সেখানে তাঁর ভুল, তাঁর সংশোধন, তাঁর বিনয়, তাঁর বিশ্বাস ও আনুগত্য রয়েছে –এগুলো ধর্মের যে এহসাস প্রতিষ্ঠা করে সেটাই হচ্ছে আমাদের ধর্ম। আল্লাহ রাসূল (সা.) বলেন, দ্বীন হচ্ছে ‘নাসিহাহ’, অর্থাৎ ধর্ম হচ্ছে বিশুদ্ধ ইচ্ছা, বিনয়, সততা। এই দ্বীনেই ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা, তার নিরাশার মুক্তি, খোদা-নির্ভরশীলতা ও তার আশাবাদ নিহিত। কেবল সেই সমাজই শান্তির সমাজ হতে পারে যে সমাজের ব্যক্তিগুলোর মন সুস্থ, যারা বাবা আদম ও মা হাওয়ার বিনয় ও প্রত্যয়ে নিজেদের জীবন গড়েন -যারা শয়তানের উদ্ধত পথে নয়। মানব জাতির মুক্তি তাই বিশ্বাসে।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
আমিভূত বলেছেন: পুরো লেখাটাই অনন্য ! শেষ কয়েকটি চরনে ভালো লাগা ,আর নাপারভিন আপুর মন্তব্যের বিপরীতে দেয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক কিছুই জানা হল । যারা আত্মহত্যা করতে চায় আর অন্যকেও হত্যা করতে চায় তারা যদি এই পোস্ট পড়তো !
শুভ কামনা ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একটা সময় ছিল যখন জীবনে বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা আমার ছিলনা আজো হয়ত নেই কিন্তু সেই সময়গুলোতে আত্মহত্যা করতে খুব ইচ্ছে করত আজ আর তেমন ইচ্ছা জাগেনা। তবে আত্মহত্যা করতে খুব সাহসিকতার প্রয়োজন যার কিছুই আমার ভেতর নেই।
শুভ কামনা জানবেন নিরন্তর।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে কোন এক মরন প্রভাতে,
মানুষের শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে
দুনিয়াতে যা করে বেরাচ্ছি স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়।
রাতে মোবাইলে পরেছি। মন্তব্য দিতে পারিনি।
উদাস হয়ে গিয়েছিলাম।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুনিয়াতে যা করে বেরাচ্ছি স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়।
তারপরেও করে বেড়াচ্ছি তারপরেও ছুটে বেড়াচ্ছি কোন বিমূর্ত প্রেমের সন্ধানে।
আমি নিজেও কিছুটা উদাস
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
এম হুসাইন বলেছেন: ছিঃ ছিঃ, কি যে বলেন ভাই, আপনারা আছেন বলেই তো সামুতে এখনো আছি......
আজকের দিনে এই বলে ভাললাগে যে- অন্তত একটা ভালো পোস্ট তো পড়লাম, অমুল্য ভালোবাসা মিশ্রিত কয়েক্তি কথা পড়লাম, এটা যে আমাদের অনেক বড় পাওয়া......
আর এই খুব কম জনেরই আছে......
আমরা এমন সব লেখা প্রতিদিন পেতে চাই।
আপনি আবার এমন করে বললে আর আপনার ব্লগেই আসব না......
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আসলে ব্লগে আসা বা না আসা কোন সমস্যা নয়। হৃদয়ের যে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কি করে ভুলে যাব আমরা বলেন। আমি সামুর কাছে এবং জানা আপুর কাছে কৃতজ্ঞ কারন ফ্রিতে কিছু সাহিত্য চর্চার আমাদের মত কিছু কুখ্যাত মানুষগুলোকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এই সামুর কল্যানে দেখুন আপনি বা আমি কেউ কারো পরিচিত নই তবু কেমন আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয়ে গেছে এমনটা আর কোথাও কি এভাবে সম্ভম আমিত দেখিনা। এই সামুর কল্যানে আমাদের বাংলাদেশীরা পৃথিবীর যে যেখানেই আছে সকল অপরিচিত মানুষ গুলোর সাথে যে আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সেটার একমাত্র সওয়াব পাবার পাত্রি আমাদের প্রিয় জানা আপু।
ভাই এখন আপনাদের ছেড়ে এক মুহূর্ত থাকতে পারিনা। আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে বোলে যে আমি যেন এই ব্লগের সাথে বিয়ে করে নেই। সত্যি তাই আপনাদের ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হবে হয়ত মরলে ছেড়ে যেতে পারব। অনেকে ব্যাঙ্গ করে এত বেশী পোস্ট দেই বোলে কিন্তু ভাই সত্যি লেখা লিখি করি নিজের আত্ম তৃপ্তির জন্য আর কিছু লিখে ফেললে সেটা আর জমিয়ে রাখতে মন চায়না তাই পোস্ট দিয়ে ফেলি। কেউ পড়ুক বা না পড়ুক নিজের ভাল লাগেই বোলে লিখি আর আমি জানি অন্তত একজন হলেও পড়বে আর আমার কথাগুলো যদি বুঝতে পারে তবে মরার আগে কিছু ঋণ শোধ করে যেতে পারব।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আমি দুঃখিত।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কেনরে ভাই ?
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নিজেকে পুরোপুরি ব্যর্থ বলে শনাক্ত করে.....।।
আপনার লেখা নিয়ে বলার দুঃসাহস আজকাল দেখাই না...।।
এমন একটা সময় এ আপনি পোস্ট উৎসর্গ তালিকায় আমার নাম রেখেছেন ,যখন সত্যি ই খুব বেশি প্রয়োজন ছিল ।।
আপনি আপনার লেখার সার্থকতা কোথায় খুজে পান জানি না......।।
আপনার একজন পাঠক হিসেবে আমি আজ সার্থক ...।
শুভকামনা ......।।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা সবাই খুব ব্যর্থ !!!
আমার মতন চুনোপুঁটির কাছে এর চেয়ে বড় সন্মান আর কিবা হতে পারে।
প্রয়োজন ছিল আমি সেটা অনুভব করতে পেরেছি বোলেই উৎসর্গ করেছি।
এইযে আমার মতন একজন চুনোপুঁটির লেখা আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে কষ্ট করে পড়ছেন আবার মন্তব্য করছেন এখানেই হৃদয়ের টান অনুভব করি এখানেই লেখা লিখি করার সার্থকতা না হলে হয়ত লেখালিখি ছেড়ে দিতাম কবেই।
আমি তার চেয়ে বেশী সার্থক আপনার ভক্ত হতে পেরে।
জীবন থেমে যেতে পারে যে কোন সময় তাই চলতে থাকুন আপন ভুবনে হয়ত আর নাও ফিরে পেতে পারেন যা পেয়েও মিস করছেন ।
আমি মৃত্যুকে ভালবাসতে শুরু করেছি দেখা যাক !!!
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
জানিনা কেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ব্যাখ্যা খুঁজে বের করুন নাহলে আমার ঘুম হারাম হবে যদিও ইদানীং খুব ঘুমাই কম।
১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
একজন আরমান বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।
অন্তত আমার কাছে সমসাময়িক মনে হচ্ছে !
তবু বাস্তবতা মানুষকে এ অতল স্পর্ধায় অবিচল থাকতে দেয়না সবসময় সবার বেলায়। আত্মহত্যা কোনভাবে ব্যাক্তির স্বাধীনতায় পর্যবসিত হতে পারেনা।
মনে থাকবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জীবন বোধ খুব খারাপ একটা বিষয় এটা নিয়ে যত ঘাটাঘাটি ততই মানুষ সেচ্ছা মৃত্যুর দিকে ঝুকে পরে। হতাশা মানুষকে গ্রাস করে ফেলে।
মনে রাখতে হবে নতুবা কখন দেখবে কেউ পাশে নেই তোমার তুমি পৃথিবীতে বড় একা।
১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
s r jony বলেছেন: ভাই উৎসর্গ করিগণ কি আত্মহত্যার তাড়নায় ভুগছেন??? না হলে কেন তাদের উৎসর্গ করলেন বুঝলাম না।্ , , , , , , , , , ,
জাস্ট ফান করলাম।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কবি এখানেই নীরব ভাই কিছু জিনিষ বুঝে নিতে হয় তাই
নীরবে নিভৃতে
১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০১
বাংলার হাসান বলেছেন: ++++++++++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান ভাই।
১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
এম হুসাইন বলেছেন: ভাই, আপনার কথা গুলো আমার হৃদয়ে এসে লাগলো......
একই কথা আমারও, আমাদের হৃদয়ের এই বন্ধন ছিন্ন হবার নয়, বিশেষ করে আপনার মতো কিছু মানুষের সাতে...... কোন দিন না......
আর লেখার কথা বলছেন? আগেই আমি বলেছি- এই গুন সবার মাঝে নেই...
আমারা আপনার কাছে ঋণী এই সব কিছু আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্যে... যা আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, অথবা ময়লা জমে যায় .........
আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই ভাই।
আল্লাহ্ পাক আপনাকে অনেক অনেক সুখী রাখুন ফ্যামিলি ভাবি আর বাচ্চা দের সাতে এই দোয়া করি।
ভালো থাকুন ভাই আর আপনার এই হাত আমরা কোন দিন থেমে যেতে দেখতে চাই না... প্লিজ!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খাইছেরে ভাই চোখে কি যেন একটা পড়ল আর হাত থেমে গেলে ভাত খাব কি দিয়ে
ঠিক একই কথা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ভাই
১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
না পারভীন বলেছেন: আল্লাহতে বিশ্বাস যে কয়টি স্তম্ভে ধারিত দেখা যায় তার মধ্যে আশা অন্যতম।
ধন্যবাদ , কান্ডারী কথাটা এত সুন্দর করে বলার জন্য । আর এত সুন্দর করে প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার জন্য ।
সুইসাইড নিয়ে এত কাব্যিক লেখাটা লেখা আপনার দ্বারাই লেখা সম্ভব ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এবার কিন্তু আমি খুবই লজ্জিত বোধ করছি। :!> :#>
১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
রাইসুল সাগর বলেছেন: অসাধারন লিখা বরাবরের মত। ভাই শুভকামনা নিয়েন এই ভাইটার তরফ থেকে। আপনার লিখার প্রসংশার করার মত কোন শব্দ আমার কাছে নেই। +++++ এর বন্যা বইয়ে দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকুন বসময়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার ?
আমিও তোমার মতো বুড়ো হবো – বুড়ি চাঁদটারে আমি
ক’রে দেবো কালীদহে বেনোজলে পার;
আমরা দ’জনে মিলে শূন্য ক’রে চ’লে যাবো জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
আর আমার এই ভাইটার জন্য দোয়া করি সুস্থতা কামনা করি।
১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
মাক্স বলেছেন: পাঠমুগ্ধ!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কাল রাতে – ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’ল তার সাধ।
ভাইয়া কেমন আছেন ?
১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
লাবনী আক্তার বলেছেন: এক কথায় অসাধারন!! এতো সুন্দর করে লিখেছেন!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আত্মহত্যা করতে চাইনা। কিন্তু জীবন বোধ আমাকে আজ মৃত্যু নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে।
২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
পুরো লেখা এবং ৫নং কমেন্টের উত্তরে +++++++++++++
মৃত্যুসংক্রান্ত আমার লেখা কিছু লাইন শেয়ার করে গেলামঃ
'পৃথিবীর ওপারে কোন আধাঁর নেই। ফোঁড়া ফাটার ভয়ে আঁতকে উঠার
কারন নেই, এককথায় সে বিরামহীন থমকানো সময়। রাতের কথা, রাতের
সূচে নকশীকাঁথা হয়ে মাটির গভীরে শুধু ঢাকা দেওয়া কফিনে নখের
আঁচড় ফেলে অপেক্ষায় থাকা, বোকা মানুষেরা মরে যায় সময়ের আগে ও
পরে আক্ষেপের স্বাদ বসে ঝিমায় অপরান্হে একা গোরস্থানের বেঞ্চে বসে।'
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি পাঠে মুগ্ধ হলাম। ++++++++++++++++++++++
২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
যুবায়ের বলেছেন: s r jony বলেছেন: ভাই উৎসর্গ করিগণ কি আত্মহত্যার তাড়নায় ভুগছেন??? না হলে কেন তাদের উৎসর্গ করলেন বুঝলাম না
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
২২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
রাইসুল সাগর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই দোয়া করার জন্য। জানি ভাই কখনো ভুলে এই ভাইটার কথা।@ কান্ডারী
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরে ভাইত ভাই আবার কি
২৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আইনের বন্তব্য,- মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। জীবন মানুষের নিজস্ব সম্পদ। সে সম্পদকে ধ্বংস করার অধিকার আইন মানুষকে দেয়নি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ঘুড্ডির পাইলট ভাই। আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকুন
২৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
ফারজানা শিরিন বলেছেন: আমার মৃত্যুর পর আমাকে তোমরা খুজনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর
সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার ।
আমি লুকিয়ে রব লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার,
শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে;
রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায় আমি হতে রব কাতর ।
শ্রদ্ধার অঞ্জলি !!!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অঞ্জলি মোর চিত্তে রহিবে ভালোবাসার স্মৃতি হয়ে
২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ফারজানা শিরিন বলেছেন: s r jony বলেছেন: ভাই উৎসর্গ করিগণ কি আত্মহত্যার তাড়নায় ভুগছেন??? না হলে কেন তাদের উৎসর্গ করলেন বুঝলাম না।্ , , , , , , , , , ,
লেখক বলেছেন:
কবি এখানেই নীরব ভাই কিছু জিনিষ বুঝে নিতে হয় তাই
নীরবে নিভৃতে
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বলব না কিছু কথা বুঝে নিতে হয়।
২৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শ্রাবণ জল বলেছেন: ভাল লাগল।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা
২৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
তারছেড়া লিমন বলেছেন: শোনা গেলো লাশ কাঁটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে – ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’ল তার সাধ।
অসাধারন লেখা ভাই.....................
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইহা কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা কবিতা থেকে নেয়া।
২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১১
তারছেড়া লিমন বলেছেন: আমি জানি .........অসাধারন বলেছি আপনার লেখাকে.........++++++++++++++++++++++++++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও কেমন বোকা দেখছেন ভাই আমারে একটু বকা দিয়ে দিয়েন ।
২৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮
লাবনী আক্তার বলেছেন: প্রতিটা মানুষের মৃত্যু নিয়ে ভাবা উচিত তবে হ্যাঁ আত্মহত্যা নিয়ে নয়। মৃত্যু ভয় থাকলে আমরা পাপ কাজ কম করব।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত আপু
৩০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
চমৎকার।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মুবিন ভাই
৩১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২২
এহসান সাবির বলেছেন: আপনি জানেনই তো লগইন হলেই আমি ঢু মারি আপনার ব্লগে.. দেরি হলেও একের পর এক সব লেখাই পড়ি..। চমৎকার লেখা। +++
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আপনার সাথে একদিন দেখা করার খুব ইচ্ছে আছে যদি আপনি আমার সেই মন কামনা পূর্ণ করেন খুসি হব।
৩২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
বোকামন বলেছেন:
চমৎকার ব্যাখ্যা ....
জীবন নিয়ে আপনার ভাবনা প্রতি আমার শ্রদ্ধা ।
আস সালামু আলাইকুম
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওয়ালাইকুম সালাম
আমি জীবন নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি কারন সম্বল এই জীবন টাইত আছে।
৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫১
এহসান সাবির বলেছেন: ইনশাল্লাহ দেখা হবে ভাই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইনশাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২১
স্বপনবাজ বলেছেন: তবুত চলে যেতেছি বেঁচে থাকার শেষ আর্তি আত্মহত্যাতে,
তবুত চলে যেতেই হয় মানুষকে শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
ভালো লাগলো !
মৃত্যু নিয়ে মাত্রই একটা পোষ্ট দিলাম !