নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবিত লাশ

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩









সফির আজ অনেক দিন পর সকালে ঘুম হতে উঠেই মনটা খুসিতে ভরে রয়েছে। ভোর বেলাই মা আদর করে কপালে চুমু দিয়ে ঘুম হতে ডেকে তুলেছেন আর কথা দিয়েছেন আজ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবেন। বাড়ি ফিরে আসার সময় সফির জন্য খেলনা কিনে আনবেন। আজ সফির জন্মদিন। সফিকে পায়েস রান্না করে দিয়ে তার মা যূথী চলে গেলেন কাজ করতে। যূথী সাভারে রানা প্লাজায় গার্মেন্টসে সেলাইয়ের কাজ করেন। স্বামী একসময় রিক্সা চালাত। বছর দুই হল যৌতুকের তাড়নায় দ্বিতীয় বিবাহ করে চলে গেছে অন্যত্র। যূথী আর তার ছেলের কোন খোঁজ রাখার প্রয়োজন অনুভব করেনি সে। এই নিয়ে যূথীর মনে কোন ক্ষোভ নেই। মাঝে মাঝে শুধু তার পাঁচ বছরের ছেলেটির যখন বাবা কোথায় জানতে চেয়ে চোখের সীমানায় অঝরে অশ্রু নেমে আসে তখন যূথী শুধু তাকে গালে চড় দিয়ে মিছে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। আজ তার ব্যাতিক্রম ঘটাতে সফি আনন্দে মাকে বিদায় জানাল। মায়ের কপালেও চুমু দিতে ভুল হলনা আজ তার। মা চলে যাওয়ার পর খেলনার নেশা তাকে তার বাবার অভাব বোধ ভুলিয়ে রাখল। খুব প্রশান্তি নিয়ে আবারো ঘুমিয়ে পরল সে।



ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সফি স্বপ্নে দেখল তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তার কণ্ঠ চেপে ধরা হয়েছে। কোন রকম সাহায্য সে চাইতে পারছিল না। শুধু গোঙ্গাছিল !!! ঘুম ভেঙ্গে যায় বস্তিতে রাহেলা খালার আর্তনাদে। সফি টের পায় সে জীবিত আছে। তাহলে কি সে এতক্ষন জীবিত লাশ হিসেবে ছিল।

তার কানে শুধু ভেসে আসছে রাহেলা খালা বিলাপ করছেন রানা প্লাজায় যখন উদ্ধার কাজ চলছে তখন অদূরে দাড়িয়ে থাকা মানুষেরা বলছিলেন জীবিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সফির মনে অজানা এক শঙ্কা এসে বাসা বাধে। মুহূর্তেই তার মনের সকল আনন্দ সকল খুসি বিষাদে ভরে উঠে যেমনটা বিষাদময় হয়ে উঠেছিল বাবা চলে যাওয়ার পর। তার মাও সেখানে কাজ করেন। মুহূর্তের মধ্যে সফির দুই চোখে অশ্রু নেমে আসে। সে দৌড়ে রাহেলা খালার কাছে এসে তার মায়ের খোঁজ জানতে চায়। রাহেলা খালা তার আপন কেউ নন । বস্তিতে থাকেন ছোট একটা টং দোকান চালান। তার মা যখন কাজে চলে যান তখন এই খালাই তাকে দেখা শোনা করেন। খালা তাকে ভরসা দেয়ার চেষ্টা করেন যে তার মা ফিরে আসবেন। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। এখনো সফির মায়ের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। সফি তার খালার হাত ধরে মায়ের ছবি বুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ধ্বংস স্তূপের উপর। কখন তার মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হবে। অনেক মানুষ জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার হচ্ছে কারো আবার হাত-পা অথবা কারো চোখ কেটে গেছে, কারো আবার ভেঙ্গে গেছে মেরুদণ্ড। তারা কেউ যূথী নন। তারা সবাই হলেন যেন এক একটি জীবিত লাশ। আর মৃতদের ভিড়ে সফির কান্নার নোনা অশ্রু শুধুই যেন মিছে প্রলোভন।



সফির এখন খেলনা চাইনা। চাই তার মায়ের আঁচলের সেই আদর মাখা পরশ। চাই বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকু। নাকি তাকেও এখন হতে বেঁচে থাকতে হবে জীবিত লাশ হয়ে আমরা যারা মৃত হয়ে ঘুমিয়ে থাকতে পছন্দ করি জীবনের বেঁচে থাকার মোহে ক্লান্তি নিয়ে। জীবনের গ্লানিটুকু কি আমরা মুছে দিতে পারিনা সফির মত জীবিত লাশদের জীবন থেকে।



টেলিভিশনে যখন কোন লাইভ খেলা সম্প্রচার হয় তখন অনেক চ্যানেলেই দেখা যায় যে উপরের এক কোনায় স্কোর দেখাতে থাকে। সাভার রানা প্লাজা ধ্বংসের পর দেখলাম ঠিক তেমনি দেখাচ্ছিল কতজন জীবিত আর কতজন মৃত লাশ উদ্ধার হচ্ছিল। কিন্তু আমি তখন শুধুই ভাবলাম এত কোন স্কোর নয় এ যেন এক একজন মৃত লাশের সংখ্যা বাড়ছে আর এক একটি সফির জীবনের অনিশ্চয়তার সংখ্যাই শুধু বাড়ছে। এইত কিছুদিন আগে আমার ছেলেটির জন্মদিন চলে গেল। আমি ওকে একটি খেলনা কিনে দিয়েছিলাম। আজ যখন লেখাটি লিখছি তখন হঠাৎ করেই মেঝেতে পরে থাকতে দেখলাম খেলনাটি। হাতে তুলে নিয়ে ভাবলাম আহারে কত সুখেইনা আছে আমার ছেলেটি। হয়ত কখনো সে জানবেনা তার বয়সী ছেলেটিও হয়ত এমন একটি খেলনার জন্য কি অদ্ভুত এক আশায় স্বপ্ন দেখে কাঁদছে। হয়ত যেদিন আমিও জীবিত লাশ হয়ে যাব সেদিন আমার ছেলেটিও খেলনা হাতে নিয়ে আমার প্রতিক্ষায় দুচোখে অশ্রু নিয়ে দরজায় অধীর প্রতিক্ষায় দাড়িয়ে থাকবে।



হাসপাতালের করিডোরে বসে কাঁদছে সাজু। হাতে একটি প্লাস্টিকের খেলনা মাছ। লাল, নীল, হলুদ বাহারি রঙের খেলনা মাছটির দিকে তাকিয়ে সাজু ভাবছে জীবনটা কেন এমন রঙিন হলনা। যদি তার এই সাদা কাল জীবনটা রঙিন মাছটির মতই হত তবে কতইনা ভাল হত। বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। মায়ের কথা মনে আছে কিন্তু বাবার কথা তার আজ আর মনে পরেনা। দুটি বোন রিমি আর নিপার কাছেই তার বেড়ে ওঠা। দুই বোনের একমাত্র আদরের ছোট ভাইটিকে আজ আর আদর করে ভাত মুখে তুলে খাইয়ে দেয়ার কেউ রইল না। কখনো সাজুকে ভাত খাওয়ার জন্য ভিন্ন করে থালা নিতে হয়নি। দুই বোনের হাতে ভাত খেয়েই তার এত দিন জীবনের এতগুলো বছর পার হয়েছে। তাই অভ্যাসটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে। আর তাইত গত সাত দিন ধরে প্রায় না খেয়েই তার জীবনটাও যেন হয়ে গেছে একটি জীবিত লাশের মতই। এক বোন নিপা চলে গেছে না ফেরার দেশে চির বিদায় নিয়ে যাওয়ার আগে আদরের ছোট ভাইটিকে কপালে চুমু দিয়ে যেতে পারেনি। আর এক বোন রিমি মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে চির দিনের জন্য বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন এভাবেই হয়ত বাকিটা জীবন কেটে যাবে রিমির জীবিত লাশ হয়ে।



কিছুক্ষন বসে থেকে জীবনের অনেক হিসেব মেলাতে না পেরে অগ্যতা গায়ের জামা দিয়ে অশ্রু ভেজা দুই চোখ মুছে নিল সাজু পাছে বোনের কাছে ধরা খেয়ে যেন বোনকে মানসিক ভাবে দুর্বল না করে দেয়। না হলে যে তার কারনে তার এই একমাত্র বোনটিও চলে যাবে না ফেরার দেশে। না সেটা সাজু বেঁচে থাকতে হতে পারেনা। এক বোনকে সে ধরে রাখতে পারেনি কিন্তু তার এই বোনটিকে সে কিছুতেই হারাতে দিতে চায় না। তবু মনে সান্তনা নিল সে যে মৃত লাশ নয় জীবিত লাশ হয়েই বেঁচে থাকুক তার এই বোনটি। যে সাজু এতদিন বোনের হাতে ভাত খেয়ে বড় হয়েছে আজ তাকেই নিজে না খেলেও বোনের মুখে ভাত তুলে দিতে গিয়ে কখন যে চোখের কোনে অশ্রু নেমে এসেছে সাজু টের পায়নি। রিমি হাত দিয়ে ছোট ভাইটির চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলল। সে কান্না আমার মতন একজন অধম মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব হলেও মেনে নেয়া সম্ভব নয় সাজুর মত এক ছোট শিশুর পক্ষে যে কিনা নিজেও হয়ে গেছে এক জীবিত লাশ।







সাভারে ধসে পড়া ভবনে ধ্বংসস্তুপে এভাবেই ঝুলে আছে শত শত হাত পা মাথার খুলি। লাশগুলো পচে গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মিশে গেছে আবর্জনার মাঝে। লাশ গুম কেন করতে হবে? ধ্বংস্তুপের সাথে মিশিয়ে দিলেই তো হলো।

মিশেও গেছে অনেকের লাশ। কি চমৎকার তাই না!!!!

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

একজন আরমান বলেছেন:

যারা মারা গিয়েছে এরা জীবিত লাশ নয়, জীবিত লাশ হচ্ছি আমরা। যাদেরকে রাজনৈতিক নেতারা লাশ আর জীবিতদের এক মনে করেন ! যাদের মরা-বাঁচার একই মানে তাদের কাছে ! তাই আমরা সবাই জীবিত লাশ !

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

একদম ঠিক বলেছ। আমরা সবাই তাই জীবিত লাশ।

২| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

s r jony বলেছেন: সে কান্না আমার মতন একজন অধম মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব হলেও মেনে নেয়া সম্ভব নয় সাজুর মত এক ছোট শিশুর পক্ষে যে কিনা নিজেও হয়ে গেছে এক জীবিত লাশ।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমরা আর কত জীবিত লাশ হয়ে থাকব ?

৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: সত্যি অনেক কষ্ট লাগে এই মানুষগুলোর জন্য।

একটা কথাই বলব ভাগ্যের একি নির্মম পরিহাস!

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই ভাগ্যের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। কারন আমরাই বারবার আমাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক বেছে নেই যারা আমাদের মানুষ মনে করে না।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: |-) |-) |-) |-) :( :( :( :( :( :( :|| :|| :||
অনেক কষ্টভরা লেখা।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
B:-) B:-) B:-) B:-) B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ :-& :-& :-&

মজার লেখা লিখতে পারিনা

৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ট্রাজিক পোস্ট ।ভাল লাগলো। হৃদয় ছোয়ে গেল।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুব কাছ থেকে কষ্টটাকে উপলব্ধি করে আমি প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছি।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
একজন আরমান বলেছেন:

যারা মারা গিয়েছে এরা জীবিত লাশ নয়, জীবিত লাশ হচ্ছি আমরা। যাদেরকে রাজনৈতিক নেতারা লাশ আর জীবিতদের এক মনে করেন ! যাদের মরা-বাঁচার একই মানে তাদের কাছে ! তাই আমরা সবাই জীবিত লাশ !

কথাটার সাথে আমিও একমত ।।







০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও একমত। আরমান সত্যটাকে সুন্দর করে বলেছে।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

পেন্সিল চোর বলেছেন: এই ঘটনাটা নিয়ে পোস্ট করবেন এইটা জানতো পেন্সিল চোর।
সাভারে ধসে পড়া ভবনে ধ্বংসস্তুপে এভাবেই ঝুলে আছে শত শত হাত পা মাথার খুলি। লাশগুলো পচে গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মিশে গেছে আবর্জনার মাঝে। লাশ গুম কেন করতে হবে? ধ্বংস্তুপের সাথে মিশিয়ে দিলেই তো হলো।
মিশেও গেছে অনেকের লাশ। কি চমৎকার তাই না!!!!

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরও অনেক আগেই পোস্ট টি দেয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময় এবং সুযোগ দুটি অনুকূলে না থাকায় বিলম্ব হল।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: লেখাটায় হৃদয় ছুঁয়ে গেল কান্ডারী ভাই। :( :( :( :( :( :( :(

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সামু বন্ধ ছিল না হলে আরও আগে পোস্টটি দিতে পারলে নিজের কাছে ভাল লাগত।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

এরিস বলেছেন: সাভারে ধসে পড়া ভবনে ধ্বংসস্তুপে এভাবেই ঝুলে আছে শত শত হাত পা মাথার খুলি। লাশগুলো পচে গলে ছিন্নভিন্ন হয়ে মিশে গেছে আবর্জনার মাঝে। লাশ গুম কেন করতে হবে? ধ্বংস্তুপের সাথে মিশিয়ে দিলেই তো হলো।
মিশেও গেছে অনেকের লাশ। কি চমৎকার তাই না!!!! হুম। এভাবে আবহমানকাল ধরে অসংখ্য রানা প্লাজার লোভের হ্যাঙ্গারে ঝুলতে থাকবে আমাদের রিজিক। আমাদের চোখ দুটো দায়িত্বশীলতার সাথে দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাবে, আমরা দায়িত্তে অটল... !!

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি আমার সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতী নিয়েছি

১০| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: যারা এখানে এসেছিলো নিজের শ্রম আর ঘাম দিয়ে পরিবারের মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে, তারা আজ চলে গেছে না ফেরার দেশে । যে মানুষগুলো বেঁচে আছে তারা জীবিত লাশ বৈ কিছু নয় ।


আর যেন কাউকে এরকম জীবিত লাশ হয়ে বেঁচে থাকতে না হয়, আর যেন কোন অবুঝ শিশু মুনাফালোভী পাষন্ডদের লোভের শিকার না হতে হয় । পারব কি আমরা ? পারবে কি বাংলাদেশ ?? উত্তর নেই জানা ।

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি খুব সহজেই উত্তর দিতে পারি সবার আগে নিজেদের বি এন পি অথবা আওয়ামীলীগ এই পরিচয় থেকে বের হয়ে এবং শুধু মাত্র পেটের জন্য রাজনীতি বন্ধ করে বাংলাদেশী বোলে পরিচয় দিতে অভ্যাস করতে হবে।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
না ভাই বলে কোন লাভ নেই। আমি ভাই জীবিত লাশ।

০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও এক জীবিত লাশ

১২| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: একজন আরমান বলেছেন:

যারা মারা গিয়েছে এরা জীবিত লাশ নয়, জীবিত লাশ হচ্ছি আমরা। যাদেরকে রাজনৈতিক নেতারা লাশ আর জীবিতদের এক মনে করেন ! যাদের মরা-বাঁচার একই মানে তাদের কাছে ! তাই আমরা সবাই জীবিত লাশ !

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চাই ভবন নির্মানে কঠোর নীতিমালা এবং তার বাস্তবিক প্রয়োগ।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৭

ফারজানা শিরিন বলেছেন: গতকাল রানা প্লাজার সামনে দিয়ে বাসায় এসে চুপ মেরে বসে ছিলাম । নিজেরে এইভেবে সান্তনা দেই আমিও মরে যাব । কিন্তু খত বিক্ষত লাশ দেখলে সান্তনা আর ধোপে টিকে না !

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখন আর সান্তনা নেয়ার বা দেয়ার সময় নেই চাই ভবন নির্মানে কঠোর নীতিমালা এবং তার বাস্তবিক প্রয়োগ।

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: একজন আরমান বলেছেন:

যারা মারা গিয়েছে এরা জীবিত লাশ নয়, জীবিত লাশ হচ্ছি আমরা। যাদেরকে রাজনৈতিক নেতারা লাশ আর জীবিতদের এক মনে করেন ! যাদের মরা-বাঁচার একই মানে তাদের কাছে ! তাই আমরা সবাই জীবিত লাশ !------এটা পড়ে আর অন্যকোন মন্তব্য করতে ইচ্ছে হলোনা।

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসুন সবাই এইসব ভাগ্যহীনদের ভাগ্য হয়ে পাশে দাড়াই।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২২

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: টেলিভিশনে যখন কোন লাইভ খেলা সম্প্রচার হয় তখন অনেক চ্যানেলেই দেখা যায় যে উপরের এক কোনায় স্কোর দেখাতে থাকে। সাভার রানা প্লাজা ধ্বংসের পর দেখলাম ঠিক তেমনি দেখাচ্ছিল কতজন জীবিত আর কতজন মৃত লাশ উদ্ধার হচ্ছিল। কিন্তু আমি তখন শুধুই ভাবলাম এত কোন স্কোর নয় এ যেন এক একজন মৃত লাশের সংখ্যা বাড়ছে আর এক একটি সফির জীবনের অনিশ্চয়তার সংখ্যাই শুধু বাড়ছে।

:(:( :(:(
আমাদের দেশে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা কিংবা ঝুলে থাকা এখন একটা স্বাভাবিক দৃশ্যে পরিনত হয়েছে যেন!!! ভাবতে অবাক লাগে তাইনা??!!

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কেউ মরে ভবন ধ্বসে আর কেউ মরে গুলি খেয়ে নির্বিচারে। এইত আমাদের জীবিত লাশের জীবন।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: লাশ শুধুই লাশ। আমরা কি জীবিত?

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদেরকে এখন এমন ভাবে জীবিত রাখা হয়েছে যেন আমরা মৃত।

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৫

একজন নিশাচর বলেছেন: সাজু-সফিদের চোখের পানিতেও যদি আমাদের ভেঙ্গে যাওয়া নৈতিকতার ভীত একটু ভীজে শক্ত হয় তবেই আসবে সুদিন। সিউলের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধ্বসে ৫০২ জন মারা যাবার পরে টনক নড়েছিল কতৃপক্ষের। ভবন নির্মানে এনেছিল কঠোর নীতিমালা।
লাশের সংখ্যা কত পেরুলে আমাদের দেশেও আসবে সেই কঠোর নীতিমালা যেখানে অন্তত একজন শ্রমিক নির্ভয়ে কাজ করতে পারবে? যেখানে সাজু সফিদের অপেক্ষা সন্ধার মধ্যেই শেষ হবে?

সেই সুদিনের অপেক্ষায় আছি।

+++

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও তোমার মতই স্বপ্ন দেখছি।

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: এত কষ্ট নিয়েও আমরা বেঁচে থাকি, অপেক্ষায় থাকি আরেকটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আর কোন দুর্ঘটনা চাই না। চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি ।

১৯| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: ভাল লাগে না কোন মিডিয়া সারাক্ষন আতংকে থাকি আবার কি শুনব। এই ধরনের লেখা চাই না ভাই তোমার স্বাভাবিক লেখা দিয়ে আমাদের আবার জীবিত কর।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইরে আমিত নিজেই স্বাভাবিক হতে পারছিনা তাই অন্য কিছু মাথায় আসছেনা

২০| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

এম হুসাইন বলেছেন: ভাই, অনেক দিন পর আজ লগ ইন করতে পারলাম...... তাই দেরিতে দেখলাম পোস্ট......

আমরা এক এক করে, এক এক বার লাশ হই... যেন বেঁচে থাকি লাশ হবার অপেক্ষায়......

আপনার লেখায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন ভাই।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি আমার লেখার স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি

২১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

এহসান সাবির বলেছেন: আপনাকে লাল সালাম জানাতে চেয়েছিলাম সাভার রানা প্লাজা নিয়ে কিন্তু...।
View this link

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সাবির ভাই আপনার পোস্টে দেখে আসুন কেমন মন্তব্য করেছি

২২| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
শের শায়রী ভায়ের সাথে সহমত।

প্রতিটা মানুষ মানসিক রুগি হয়ে যাচ্ছি।

কেমন আছেন? অনেকদিন পর।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমার সেই স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি। আপনি কেমন আছেন ?

২৩| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: জীবিত লাশ উদ্ধার করা-অনুভুতিহীন।।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমার অনুভুতি স্তব্ধ হয়ে গেছে

২৪| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হতাশা দূর হয়ে যাক।

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমরা হতাশা গ্রস্ত নই

২৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমাদের প্রত্যেকের জীবিত লাশে পরিনত হওয়ার জন্য হাজারো উপকরন তৈরি করাই আছে! লঞ্চ ডুবি, সড়ক আর রেললাইনে এক্সিডেন্ট আগুন, বিল্ডিং ধ্বস নামক কিছু উপকরন দেখেছি আমরা। আরও কত যে দেখার বাকি আছে কে জানে!

১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদি এখনো আমরা সচেতন না হই এবং আমাদের নৈতিক অবক্ষয় হতে বের হয়ে আসতে না পারি তবে আরও অনেক জীবিত লাশ দেখতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.