নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেতস্মিনী

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২২









তোমার কল্পনায় তব হোক আমার আলোকিত ভোর যাপন,

যাপিত জীবনের নেশায় আমি শূন্য হতে শূন্য হতেছি ;

আমাকে তুমি এবার একটু আকাশ পরিমান শান্তি ফিরিয়ে দাও,

ও আমার প্রেতস্মিনী !!!



সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। যূথীর অপেক্ষায় বাস স্ট্যান্ডে বসে থেকে একটার পর একটা সিগারেট টেনে যাচ্ছে অভি। বাস চলে আসার কথা আরও ঘণ্টা কয়েক আগেই কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে এলো এখনো বাস আসার কোন চিহ্ন নেই। মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছেনা যূথীকে। সময়টা ভীষণ অস্থির কাটছে অভির। কোন এক অজানা শঙ্কা মনের ভেতর উঁকি দিচ্ছে; পথে আবার এক্সিডেন্ট হলোনাত! এছাড়া এত দেরী হবারতো কথা নয়। সময় যত পেরুচ্ছে দুশ্চিন্তার মাত্রা ততই বেড়ে যাচ্ছে অভির। এই মুহূর্তে সিগারেট নয় আরও ভারী কিছু দরকার তার। একটি কুকুর কোথা হতে যেন পায়ের কাছে এসে ঘোরাঘুরি করছে হঠাত করেই। কালো রঙের কুকুর হলেও এই অন্ধকারে বেশ চকচক করছে কুকুরটির পশমগুলো। যতই কুকুরটিকে এড়িয়ে যেতে চাইছে ততই পায়ের কাছে এসে ঘোরাঘুরি করছে কুকুরটি। অগ্যতা অস্থির হয়ে সামনের দিকে হাটতে শুরু করল অভি।



ভেবেছিল পেছনে পেছনে আসবে কুকুরটি কিন্তু একবার পেছনে ফিরে তাকাতেই কুকুরের আর কোন চিহ্নই সে দেখতে পেলনা। সেখানটিতে একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে দেখতে পেল সে। এই অন্ধকারেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মেয়েটি খুব সুন্দর করে সেজেছে তার পরনের গায়ের কালো শাড়িটির সাথে মিল করে। মফস্বলের সন্ধ্যা মানেই যেন অনেক রাত। এখানে রাত হয়না রাত নেমে আসে। সন্ধ্যার কিছু পরেই লোকজন ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পরে। বাজারে দু একটি টং দোকান খোলা থাকে তাও আবার কুপির আলো জ্বালিয়ে রেখে। এমন পরিবেশে অভি নতুন। সপ্তাহ খানেক হল এখানে সে এসেছে। এখানে একটি রাজবাড়ি আছে তার উপর কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা করার জন্য। এই মফস্বলে এই অন্ধকারে এভাবে শহুরে সাঁজে একটি মেয়েকে এভাবে হঠাত পথে দাড়িয়ে থাকতে দেখে অভি কিছুটা বিস্মিত হল। কিন্তু কাছে যেয়ে মনের কৌতূহল দূর করার সাহস তার হল না।



কেউ কবিতা আবৃত্তি করছে অভির কানে এলো। মেয়েলি কণ্ঠের আবৃত্তি যেন মুহূর্তেই তাকে মোহিত করে তুলল মনে হল যেন হৃদয়ের গহীন হতে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে কবিতার প্রতিটি লাইন থেকে।



আমার আঙিনায় তোমার পায়ের আওয়াজ শুনি

তোমার অবাধ্য পুরুষালী সুগন্ধ ফিসফিস করে ওঠে

জোনাকিরা ঠিক তখনি চমকে তাকায়

চাঁদ লুকোয় লজ্জায়

আমি কান পাতি সেই জোছনায়

তুমি আসবে আমি জানি তাই তোমার

নিঃশ্বাসের শব্দটা খুব চেনা মনে হয়

ঠিক যেন আমার শ্বাস

যে শ্বাস তুমি নিয়েছিলে।

কতো কাল পরে এলে জানো তুমি ?

লক্ষ্য কোটি বছর আমি শ্বাস নেই না

কি করে যে বেঁচে আছি !

আমি খুব একটা ভাবতে পারি না

সুগন্ধের পথ ধরে একবার যদি ফিরে আসো

আমি শ্বাস নেবো তোমার সেই সুগন্ধে

আমি স্বপ্ন দেখবো ওই চোখে

আমি হেঁটে যাবো ওই পায়ের ছাপে

এসো । ভালোবাসায় এসো , মায়ায় এসো

এসো সব ভুলে , এসো সব সুধ্রে

তুমি এলেই পৃথিবী হাসবে

জলচোখে হেসে উঠবো আমিও ।

আমাকে মুক্তি দাও এবার তবে প্রিয়

এসো তুমি আমার মনের আঙিনায়

ক্লান্ত শয্যায় । এসো ! এসো !! এসো !!




অভিও সেই আহবানে মেয়েটিকে অনুসরন করে পথ চলতে লাগল। বারবার তার কানে ধ্বনিত হতে লাগল কবিতাটি। পথ চলতে গিয়ে কয়েকদিনের চেনা পথও এই মুহূর্তে অচেনা লাগছে তার কাছে। রাজবাড়ির প্রধান গেটে দুজন দারোয়ান দাড়িয়ে ছিল বর্শা হাতে মেয়েটিকে দেখেই মাথা নত করে গেট খুলে দেয়া হল। অভিও পেছন পেছন হেটে চলছে। একটি জলসা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে মেয়েটি ঘুরে দাঁড়াল। আমি তোমার সেই ভালোবাসার আফ্রিন আমাকে চিনতে পেরেছ রাজকুমার হিরণ ? অভি নিজেকে কিছুটা অপ্রস্তুত ভঙ্গতেই সামলে নিল। ঘরটির দেয়ালে কিছু পর পর মেঝে হতে ছাদ পর্যন্ত আয়না লাগান রয়েছে তার পাশেই ছোট ছোট টেবিলে সাজান রয়েছে মোমবাতি। কয়েকটি ঝার বাতি ঝুলছে যেন আর একটু হলেই মাথায় এসে স্পর্শ করবে সেগুলো। নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে মেয়েটি অশ্রু ভেজা চোখে অভির দিকে তাকিয়ে জানতে চাইল এতটা দূরত্ব কেন আজ তবে দুজনার মাঝে এত কাল পরে প্রিয়? কাছে এসো আমাকে তোমার বাহুর বন্ধনে আবদ্ধ করে নাও। আমাকে জড়িয়ে ধরে কথা দাও আর হারিয়ে যাবেনা কখনো। না হারাবনা কখনো আর কথা দিলাম। অভি মেয়েটির হাতে হাত রেখে মেঝেতে পাতা একটি মখমলে ঢাকা বিছানায় বসল। পিতলের একটি গ্লাস তুলে দিল মেয়েটি তার হাতে। মদ জাতীয় কিছু হবে তবে চুমুক দিয়েই ভুল ভাঙল তার। মদ নয় আঙ্গুরের জুস জাতীয় কিছু কিন্তু অমৃত স্বাদ সেই পানীয়র। মেয়েটি উঠে দাঁড়াল। কোমরে শাড়ির আঁচল গুঁজে নিয়ে শুরু হল তার নাচ। তবলা আর সেতার বাজছে সেই সাথে বাজছে বাঁশি আর হারমোনিয়াম। নুপুরের ছন্দে পুরো জলসা ঘর মেতে উঠেছে।



তুমি বীণা নাহি লাগে মোর জিয়া

ও মোর প্রিয় মধুবীনা নাহি লাগে মোর হিয়া

কি যতনের এই দেহ মোর

তোমারই প্রেমের কারনে

আজ নাচছে দেখ তোমার প্রিয়া

তোমাকে দেখাব বোলে আমি

সেজেছি আজ এই ফাগুনের আগুনে

ও মোর প্রিয় মধুবীনা নাহি লাগে মোর হিয়া

তুমি বীণা নাহি লাগে মোর জিয়া

আজ নাচছে দেখ তোমারই কারনে তোমার প্রিয়া




প্রেমের নেশায় অভির চোখে ফুটে উঠল যূথীর মুখশ্রী যেন আফ্রিন নয় এখানে নাচছে তার ভালোবাসার একমাত্র অহংকার যূথী। স্বর্গের সকল সুখ যেন আজ এই জলসা ঘরে এসে তার জীবনকে করে তুলেছে প্রাণময়। যৌবনের সকল পাওয়া আজ রাতেই এখানেই পেতে চাইল তার তৃষ্ণার্ত মন। তারপর কি হল সেটা আর তার মনে নেই। সকাল বেলা অভি নিজেকে একটি মন্দিরে দেবীর পায়ের কাছে শোয়া অবস্থায় ফিরে পেল। দেবীর চোখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট অশ্রু দেখতে পেল সে। যেখানে অবাক হওয়াটাই ছিল তার পক্ষে স্বাভাবিক বরং বুকের ভেতর চাপা কষ্ট অনুভূত হল তার যেন রক্ত ক্ষরণ চলছে যা সে ও কেবল দেবীই টের পাবে এছাড়া পৃথিবীর আর কোন মানুষ এমনকি প্রকৃতিও সেই যন্ত্রণা অনুভব করতে পারবেনা।



রাতের বেলা খুব সম্ভবত বৃষ্টি হয়েছিল। রাস্তাগুলো কাঁদায় পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে। অভি অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে সেই পথেই পায়ে হেটে তার বাংলোতে ফিরে এলো। যূথীর কথা সে বেমালুম ভুলেই গিয়েছিল কিন্তু টেবিলে রাখা পত্রিকার পাতায় চোখ পরতেই চমকে উঠল শিরোনাম পড়ে। যে বাসটিতে করে যূথী আসছিল সেই বাসটিই গতকাল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাঁদে পরে যাত্রীদের প্রানহানী ঘটিয়েছে। পত্রিকায় যে ছবি ছাপা হয়েছে সেখানে যূথীকে চিনতে পেরে চিৎকার করে কেঁদে উঠল অভি।



ঢাকায় ফেরার কিছুদিন পর অভিকে একটি মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করান হল। চিকিৎসা চলল প্রায় একবছর। এরই মাঝে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠল সে। তার এক প্রফেসরের কাছে সেই রাতের বিস্তারিত ঘটনা সে বর্ণনা করল। প্রফেসর জহরলাল বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা বীদ। সেই সাথে আধ্মাতিক বিষয়ে রয়েছে তার অগাধ জ্ঞান। অভির কাছে সব শুনে আর এক মুহূর্ত দেরী করতে চাইলেন না তিনি। একটি কালো রঙের জীপ গাড়িতে করে তারা রওনা হলেন সেই রাজবাড়ির পথে।



অভি যখন মেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল তখন তার সেবায় যে নার্সটি নিবেদিত ছিলেন তার চেহারা কেবলই মনে পরছে তার। যেন অবিকল সেই রাতের মেয়েটি আফ্রিন। গাড়িতে বসে থেকে হঠাত কেন এমনটা মনে হল তার সেই হিসেব কিছুতেই মেলাতে পারছেনা সে। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সুস্থ হয়ে ওঠার কিছু দিন আগেও তার এমন কিছুই মনে হয়নি। অথচ তখন সে প্রায় সব স্মৃতি ফিরে পেয়েছে। সবকিছু আবার স্বাভাবিক ভাবেই অনুভব করতে পারছিল। কিন্তু কখনো একবার তার মনে হয়নি যে নার্সটির সাথে আফ্রিনের মিল রয়েছে। তাহলে এখন কেন এসব হঠাৎ করেই মনে আসছে তার ? প্রফেসর জহরলাল এর সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করবে কিনা ভাবল কিছুক্ষন কিন্তু আবার কি মনে করে যেন চুপ করে বসে রইল গাড়িতে। গাড়ির সিডি প্লেয়ারে একটি গান বাজছে।



তুমি বীণা নাহি লাগে মোর জিয়া

ও মোর প্রিয় মধুবীনা নাহি লাগে মোর হিয়া

কি যতনের এই দেহ মোর

তোমারই প্রেমের কারনে

আজ নাচছে দেখ তোমার প্রিয়া

তোমাকে দেখাব বোলে আমি

সেজেছি আজ এই ফাগুনের আগুনে

ও মোর প্রিয় মধুবীনা নাহি লাগে মোর হিয়া

তুমি বীণা নাহি লাগে মোর জিয়া

আজ নাচছে দেখ তোমারই কারনে তোমার প্রিয়া



অভি চিৎকার করে বোলে উঠল স্যার এই গান আপনি কোথায় পেলেন ? প্রফেসর হাসছেন অভির এমন ছেলে মানুষী দেখে। তিনি তার দিকে একটি সিগারেট এগিয়ে দিয়ে বললেন নাও সিগারেট ধরাও আর শান্ত হয়ে বস। এভাবে ছটফট করার কিছু নেই। তুমি ঘামছ। জানালার গ্লাস উঠিয়ে দাও আমি ড্রাইভারকে বলছি এসি ছেরে দেয়ার জন্য। পকেট থেকে রুমাল বের করে তার দিকে এগিয়ে দিয়ে তিনি বললেন নাও ঘাম মুছে নাও। তুমি ভীষণ ঘেমে গেছো।



তাদের পৌছাতে অনেক রাত হয়ে গেলো। তাই পরদিন সকালে রাজবাড়ি যাবে বোলে সিধ্যান্ত নিয়ে সেই বাংলোতে উঠল তারা। প্রফেসর জানালেন যে রহস্যের বিস্তারিত যতদিন উদ্ধার না করবেন ততদিন এখানেই থাকবেন তারা।



বাবুর্চি টেবিলে খাবার পরিবেষণ করছে আর কাঁদছে। প্রফেসর জিজ্ঞাস করলেন কি ব্যাপার তুমি কাঁদছ কেন ?

কি আর কমু স্যার আমার একমাত্র মাইয়াটা আইজ দুইদিন হইল মইরা গেছে। কিন্তু এলাকায় কারু কুন হেই বিষয়ে মাথা ব্যথা নাইকা।

কেন কিভাবে মারা গেল তোমার মেয়ে ?

স্যার আমার মাইয়াটা আছিল ভীষণ ধার্মিক গোছের মাইয়া। রোজ পূজা দিত সকালে দেবী মায়ের চরণে। হেই দিন সকালেও গেছিল পূজা দিতে। কিন্তু আর ফেরে নাই। হেসে তারে পাওয়া গেল রাজবাড়ির জলসা ঘরে মরা অবস্থায়। মুখ দিয়া ফেনা বাইর হইতাছিল। এলাকার সবাই কইল মাইয়া নাকি পূজা দিয়া রাজবাড়িতে ঢুকছিল ঘুইরা দেখতে। অপয়া জায়গা কারু যাওয়া আসা নাই ওইখানে। সাপ থাকতে পারে সাপে বিষ দিছে হের কারনে মাইয়ার মরার পর মুখে ফেনা ছিল। কিন্তু স্যার আমি জানি আমার মাইয়া সাপের বিষে মরে নাই। ওরে মাতবরের পোলায় মারছে। গত কয়েক মাস ধইরাই আমার মাইয়ার পিছনে লাগছিল মাতবরের পোলায়। কিন্তু আমার মাইয়া রাজী হয়নাই উল্টা একদিন গালে চর দিছিল ওই পোলার গালে।

তুমি এলাকায় সবাইকে বলনাই এ ঘটনা ?

হুম কইছিলাম কিন্তু হগলতে আমারে মাইয়ার মরার শোকে পাগল কইয়া সান্তনা দিল।

কিন্তু তুমি কি করে নিশ্চিত করে বলছ যে ওই ছেলেই তোমার মেয়েকে মেরেছে ? তুমি কি তোমার মেয়ের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছিলে?

যে না স্যার।

তাহলে কিভাবে বলছ ? কোথাও সাপের কামড় দেয়ার চিহ্ন খুঁজে পেয়েছিলে ?

যে না স্যার ?

অদ্ভুত ব্যাপার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওনি, সাপের কামরের চিহ্ন পাওনি । তাহলে তোমার মেয়ে মারা গেল কিভাবে ? নিশ্চয় তাহলে অন্য কোন ব্যাপার কিছু একটা ঘটেছিল !

স্যার আমি নিশ্চিত আমার মাইয়ারে সাপ না হইলেও বিষ খাওয়াইয়া মারা হইছে নাইলে মরার সময় ওর মুখে ফেনা ছিল কেন আপনেরাই কন স্যার ?

হুম সেটাও একটা ব্যাপার !



এবার অভি বাবুর্চিকে চলে যেতে বোলে প্রফেসরের দিকে তাকাল। টেবিল থেকে উঠে হাত ধুয়ে একটি সিগারেট ধরাল। খুব গম্ভীর মুখে সে বলল স্যার খুব অবাক হলাম আমি যখন মন্দিরে নিজেকে দেবীর পায়ের কাছে পরে থাকতে পেলাম সকালে তখন ঠিক দেবীর মুখ থেকে আমি এমন ফেনা বের হতে দেখেছিলাম আর চোখ হতে পানি বের হতে দেখেছিলাম। মনে হয়েছিল দেবী যেন কাঁদছিল। এবার প্রফেসর থালাতেই হাত ধুয়ে উঠে একটি সিগারেট ধরালেন। তাকে মোটেও চিন্তিত মনে হলনা। তিনি শুধু বললেন চল শুয়ে পরা যাক। সকালে উঠে ওই মন্দির আর রাজবাড়িতে যেতে হবে।



বিছানায় ঘুমিয়ে আছে দুজন। নুপুরের শব্দে অভির ঘুম ভেঙ্গে গেল। তার কানে এলো সেই কবিতাটি। ঠিক যেন সেভাবেই তাকে আফ্রিন ডাকছে এসো ! এসো !! এসো !!! সেই মায়াকান্না জড়ানো সেই সে আহবান। অভি বিছানা ছেরে ঘর হতে বাইরে বেরিয়ে এলো। দূরে মেয়েটিকে হেটে যেতে দেখল সে। আজো তার পরনে রয়েছে কালো শাড়ি ঠিক সেই রাতের মতই সেজেছে সে। তবে সেই রাতের মত আজ আর জলসা ঘর নয় দেবীর মন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে উঠে গিয়ে দেবীর সামনে দাড়িয়ে থেমে গেল মেয়েটি। পেছন ফিরে অভিকে উঠে আসার আহবান জানাল হাত বারিয়ে। অভিও মন্ত্র মুগ্ধের মত এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল আফ্রিনের পাশে।



রাজকুমার তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে যে আজকের রাতের মত এমনই কোন এক ভরা পূর্ণিমার রাতে এই মন্দিরে আমাকে নিয়ে এসে দেবী মাকে সাক্ষী রেখে আগুনের চারদিকে সাতপাক দিয়ে আমার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিবে। এই দেখ আমি তোমার জন্য আজ আগুনের আয়োজন করেছি। তবে আমাকে আজ রাতে তোমার চরণে স্থান করে দাও। আমি এই একটি রাতের জন্য তোমারই প্রতীক্ষায় কাটিয়ে দিয়েছি অনন্ত কাল। দোহাই তোমার আজ আর আমাকে ফেলে সেদিনের মত তুমি চলে যেও না। জানো যেদিন তুমি তোমার বাবার কথা মতন আমাকে ছেরে চলে গিয়েছিলে সেই রাতে আমি এখানে এই দেবীর চরণে বসে থেকে সারারাত ধরে শুধু কেঁদেছিলাম। আজ তবে প্রিয় আমাকে তুমি মুক্তি দাও। আমি মুক্তি পেতে চাই তোমার চরণে মাথা রেখে।



সকাল বেলা অভিকে বিছানায় না দেখে প্রফেসর বিচলিত হয়ে উঠলেন। তিনি ছুটে চললেন মন্দিরের দিকে। দেবীর পায়ের কাছে পরে থাকতে দেখলেন অভিকে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে অভির। হাতের শিরা পরীক্ষা করলেন তিনি। না অভি আর বেঁচে নেই। পৃথিবীর সব প্রেমের মায়াজাল ছিন্ন করে দিয়ে অভি চলে গেছে চিরতরে তার অসীম প্রেমের পৃথিবীতে যেখানে প্রেমের মায়াজালে জড়িয়ে কেউ আর ফিরতে পারেনা। অভিও ফিরবেনা আর কখনো কোন দিন সেই প্রেমের বন্ধন হতে ছুটি নিয়ে। দেবীর চোখে আজ অশ্রু নেই, মুখেও যেন তৃপ্তির হাসি দেখতে পেলেন প্রফেসর জহরলাল। অভিকে সেখানেরই এক শ্মশানে পড়ানো হল। ফেরার পথে বাবুর্চির কাছে তার মেয়ের একটি ছবি চাইলেন। ছবিটি দেখে মনে হল রাজবাড়ির অন্দর মহলের দেয়ালে জীর্ণশীর্ণ হয়ে ঝুলে থাকা একটি ছবির সাথে মেয়েটির মিল রয়েছে। যতটুকু ইতিহাস আবিষ্কার করতে পেরেছেন তিনি যে এই রাজবাড়ির পুত্রবধূর ছবি ঝুলে রয়েছে দেয়ালটিতে। আর আফ্রিন ছিল সেই সময়ের একজন বিখ্যাত নর্তকী। প্রফেসর তার কালো জীপ গাড়িতে করে ফিরছেন। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট পুরো অর্ধেক পরিমান ছাই এসে রয়েছে কিন্তু তিনি টানছেন না। ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে তিনি চোখ বন্ধ করে খুব মন দিয়ে সিডি প্লেয়ারে বাজা একটি কবিতা শুনছেন। যদিও এসি ছারাই রয়েছে তবুও তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম এসে জমা হচ্ছে।



আমার আঙিনায় তোমার পায়ের আওয়াজ শুনি

তোমার অবাধ্য পুরুষালী সুগন্ধ ফিসফিস করে ওঠে

জোনাকিরা ঠিক তখনি চমকে তাকায়

চাঁদ লুকোয় লজ্জায়

আমি কান পাতি সেই জোছনায়

তুমি আসবে আমি জানি তাই তোমার

নিঃশ্বাসের শব্দটা খুব চেনা মনে হয়

ঠিক যেন আমার শ্বাস

যে শ্বাস তুমি নিয়েছিলে।

কতো কাল পরে এলে জানো তুমি ?

লক্ষ্য কোটি বছর আমি শ্বাস নেই না

কি করে যে বেঁচে আছি !

আমি খুব একটা ভাবতে পারি না

সুগন্ধের পথ ধরে একবার যদি ফিরে আসো

আমি শ্বাস নেবো তোমার সেই সুগন্ধে

আমি স্বপ্ন দেখবো ওই চোখে

আমি হেঁটে যাবো ওই পায়ের ছাপে

এসো । ভালোবাসায় এসো , মায়ায় এসো

এসো সব ভুলে , এসো সব সুধ্রে

তুমি এলেই পৃথিবী হাসবে

জলচোখে হেসে উঠবো আমিও ।

আমাকে মুক্তি দাও এবার তবে প্রিয়

এসো তুমি আমার মনের আঙিনায়

ক্লান্ত শয্যায় । এসো ! এসো !! এসো !!








গল্পে ব্যবহৃত কবিতাটি এখান হতে নেয়া হয়েছে আংশিক পরিবর্তন করে



উৎসর্গঃ হ্যাঁ প্রেতস্মিনী তোমাকেই !!!

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

আশিক মাসুম বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা।


সাত সকালে ভুত প্রেত!!! আপনার লিখার ভিন্ন স্বাদ পাই, অব্যাহত থাকুক চিরকাল।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রাতের বেলা দিতে চেয়েছিলাম পরে ভাবলাম থাক ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

ভাল থেক ভাই।

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: কখন আপনার মত সুন্দর করে লিখতে পারব ?? :( ২য় ভাললাগা ।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এটা আপনার উঁচু মনের পরিচয় যে আপনি এতটা বিনয়ী। ভাল থাকুন । আনন্দে কাটুক জীবনের পথ চলা।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভালো হইছে যে সক্কাল সক্কাল গল্পটা দিছেন!
রাত্রে দিলে বেশী ভয় পাইতাম!!!!!!
গল্প সুন্দর হইছে!!!!!!!!!!! :)
প্লাস!!!!

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

যেন কেউ ভয় না পায় তাই সকাল বেলাই দিলাম।


প্রশংসায় মুগ্ধতা।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো । :) :)

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রিয় কমেন্টার।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: চসৎকার লাগল। বর্ণনা ভাষা সব মিলিয়ে অপুর্ব!

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মন্তব্য টনিকের মত কাজ করল ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১২

এরিস বলেছেন: ভয় পাইনি, অভির জন্যে কষ্ট পেয়েছি। আচ্ছা, নার্সের চেহারা আফরিন এর মতো লাগছিলো কেন? বুঝতে পারিনি এখানটায়। আপনার গল্পের প্লট সবসময়ই ভিন্ন। এতো জটিল করে ভাবেন কিভাবে?
কতো কাল পরে এলে জানো তুমি ?
লক্ষ্য কোটি বছর আমি শ্বাস নেই না
কি করে যে বেঁচে আছি !

অনেক অনেক ভালোলাগা।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এটা আত্মা আর প্রেতাত্মার মাঝে নির্মল প্রেমের একটি গল্প। ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য লিখিনি।

নার্সের ভেতর প্রেতাত্মা ভর করেছিলো তাই। কিছু স্থানে খুব ছোট করে লিখে গেছি না হলে ব্লগে বড় গল্প পড়তে একটু বিরক্ত লাগতে পারে।

ফ্যান্টাসিতে বেঁচে থাকার যে সুখ তাতে বাস্তবের কষ্ট নেই তাই একটু ভিন্ন ভাবেই ভাবতে হয়।

এত্তগুলা শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মাইনাচ! মাইনাচ! বাইরে কবিতা দেখাইয়া ভিত্রে গল্প! আমি কবিতা পড়ার জন্য ঢুকছিলাম! :(

প্রেতস্মিনী আমার সাথে প্রতারনা করসে! |-)

প্রতিবাদস্বরূপ আমি গল্প ব্য়কট করিয়া শুধু কবিতা অংশটাই পাঠ করিলাম! :)

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কৃতজ্ঞতা জানবেন যদি প্রতিবাদ স্বরূপ গল্পের শেষে দেয়া লিঙ্কে যেয়ে মুল কবিতাটি পাঠ করেন তবেই।

কথা দিচ্ছি এরপর শুধু আপনাকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লিখব।

প্রেতস্মিনীকে আপনার তরফ থেকে আমিও মাইনাস দিলাম।

৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

সালমাহ্যাপী বলেছেন: আরিব্বাবাহ।

অনেক সুন্দর করে লিখেছেন তো। বেশ গোছালো বলেই অনেক বেশি ভালো লেগেছে গল্পটা :)

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আরিব্বাবাহ। এতটুকুই যথেষ্ট মনের মাঝে অনুভূতিগুলো ভালোলাগাতে। এমন মন্তব্য সত্যি লেখায় প্রেরনা জাগায়।

৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

সিয়ন খান বলেছেন: আমি দেয়ার আগেই পরেছি। :P :P
অসাধারণ

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এইটা কেমনে সম্ভব হইল সিয়ন ভাই। এইটা ঠিক না। আপানারে আমার বাসায় আর নিমুনা ;) :P

১০| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পুরো গল্পটাই পরলাম , এক কথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া , গল্পের প্রতিটা লাইনে রোমাঞ্চ লুকিয়ে আছে ।


প্রফেসর এর পরের কাহিনী নিয়ে আরেকটি প্রেতস্মিনী পর্ব হইলেও হইতারে ;)

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রেতস্মিনী - ২ এর জন্য আইডিয়া খোঁজ দ্যা সার্চ চলছে। এবারের নায়ক 8-| পোস্ট দিলেই দেখতে পারবেন তাকে। :)

১১| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতাংশ গুলো সুন্দর !

ভুল্ভুলাইয়া ছবির কথা মনে পড়ে গেলো জলসাঘরের অংশে এসে। গল্পের রহস্যাংশ গুলো আমার ঠিক অতটা রহস্যময় লাগেনি । সম্ভবত এরকম ধরণের ছবি দেখেছি বলে !

শুভেচ্ছা কাণ্ডারি ভাই ।

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কিছু দিন আগে সাটুরিয়া রাজবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে গল্পের বর্ণনার মতই একটি জলসাঘর দেখে আসি। আমি যখন ওই জলসাঘরের মাঝে গিয়ে দাঁড়ালাম ঠিক তখনই এই গল্পটি লেখার প্লট মাথায় এসেছিলো। তারপর এই গল্পের সৃষ্টি। এখানে একটি কবিতা যেখান থেকে নেয়া হয়েছে সেই পোস্টের লিঙ্ক গল্পের শেষে দেয়া হয়েছে।

তবে ভুল্ভুলাইয়া ছবিটি আমার দেখা হয় নাই। গল্পটি সম্পূর্ণই জলসাঘরে দাড়িয়ে থেকে পরিকল্পনা করেছিলাম। ছবিটি দেখে নিতে হবে খুব শীঘ্রই।

আপনার জন্য অন্যরকম কৃতজ্ঞতা রইল।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাবছি সিনেমায় নাইম্যা যামু কিনা, এইরকম গল্পের প্লট পাইলে..



বলার মাঝে কোন বাড়াবাড়ি বা আদিক্যেতা নাই, দারুন চমৎকার গল্প । ভালোলাগা++

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই সব দোষ আপনার। এই আপনি আমার গল্প লেখার নেশা বাড়াইয়া দিছেন। কি এক নির্বাচন করতাছেন এখন খালি গল্প লিখতে মন চায়। :P

ভাই ওই সিনেমার নায়ক আপনি হইলেও হইতারেন আমি কিন্তু প্রফেসর চরিত্রে অভিনয় করুম। B-)

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

ভিয়েনাস বলেছেন: রাজবাড়ি রহস্যকাহিনী ভালো লাগলো। কবিতা গুলোও চমৎকার।
একটানে পড়ে ফেললাম।

ভালো লাগা থাকলো।

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ঘুরে আসতে পারেন সাটুরিয়া রাজবাড়ি থেকে যেখানে থেকে আমার এই গল্পের সূচনা। চমৎকার ভৌতিক একটি স্থান।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কোনও জমিদার বাড়ি দেখা হয় নাই , আফসুস ! এটা বোধ হয় অনেকেরই হয় যারা গল্প লেখেন। কোথাও গেলে ভাল করে আশেপাশে দেখা , কেমন করে সেখানের মানুষ কথা বলছে কিংবা একা ঘরে বসে থাকলেও কেমন অনুভব হচ্ছে -- কারণ মনে মনে আর মাথায় গল্পের প্লট খোঁজা খুঁজি চলে !

ওহ সাম্নের মাসেই তো জুন মাসের গল্পের নির্বাচন হবে ! তাড়াতাড়ি একটা গল্প লিখে ফেলতে হবে দেখি !

গল্প লেখালেখি চলুক কাণ্ডারি ভাই । শুভেচ্ছা :)

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুরোধ থাকবে সাটুরিয়া রাজবাড়ি কখনও সময় হলে ঘুরে আসবেন। ওখানে গেলেই আমার এই গল্পের সার্থকতা খুঁজে পাবেন। আমি এখনো ঘোরের মাঝেই আছি। ভাবছি ঠিক একই স্থান নিয়ে আরও একটি গল্পের অবতারনা করে ফেলি। মনে মনে এখন হতেই গল্প কিছুটা সাজিয়ে ফেলছি। আশা করি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করতে পারব ইনশাল্লাহ। অগ্রিম নিমন্ত্রণ রইল। আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে প্রেরণা যোগায়।

আমার প্রতিটি গল্পই একান্তই আমার ব্যাক্তিগত ভাবনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমার ক্ষেত্রে অনেকটাই আপনার কথার সাথে মিলে যায় যেখানটাতে আমি সবসময় নিজেকে কল্পনা করি।

হুম মামুন ভাই ভালই কাজ করেছেন। একদম গল্প লেখার নেশা বাড়িয়ে দিয়েছেন। মামুন ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ এভাবে গল্প লেখার সুযোগ করে দিয়ে।

আপনার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হুম ! ঘামতেছি , একটা সিগারেট দেন তো গুরু !
প্রথম পেরাটা পরে মনে হলো আমার কোন গল্পই লিখছেন ! পরে পড়ি আর ঘামি ! চমৎকার গুরু !

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তুমি কি একজন স্বপ্নবাজ অভির আত্মা নাকি এখানে মন্তব্য করলা কেমনে :-& আবার সিগারেট চাও দেখি ওরে আমারে কেউ ধর একজন আরমান গেল কই। ;)

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমি কিন্তু একজন আরমানের আত্বারে ভুই পাই বলে দিলাম ! হেয় যাতে এনে না আসে ! তবে জমিদার বাড়ি সংক্রান্ত ধকল টা এখনো কাটে নাই ! এখনো কানে সেই আবৃত্তির সুর বাজে ! সিগারেটের চেয়ে ভারী কিছুই লাগবে মনে হচ্ছে !

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

একজন আরমানের আত্মা আমার কাছে বন্দী থাকবে তোমার ভয়ের কিছু নেই তবে তোমারে বন্দী করি কি দিয়ে সেটাই ভয়ের।

সাথে একটু চা আর সিঙ্গারা হলে মন্দ হয় না কি বল B-)

১৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আগে কানের সীমানা থেকে কবিতা সরান ! পেইনে মাথা বেদনা শুরু হয়ে গেছে ! এত প্রেম আমার সহ্য হয়না , একটু ঘুমাতে চাই গুরু !

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হায় প্রেম স্বর্গ হতে এসে এবার নরকে চলে যাও
আমাদের অভির চোখে ঘুম দিয়ে যাও !!!

১৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: থ্যাঙ্কস।।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ কেনরে ভাই ?

১৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

রাইসুল সাগর বলেছেন: ভাইরে এতো প্রেম কইথেকে পান...। ভালা লাগা অনেক অনেক। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রেম পাইনা বোলেই প্রেম খুঁজিরে ভাই। ভালোবাসা জানবেন।

২০| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

অদৃশ্য বলেছেন:




কান্ডারী ভাই

গল্পটা খুব ভালোলাগলো আমার সাথে কবিতাংশগুলোও চমৎকার...



শুভকামনা...

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্প ভাল লেগেছে জেনে দারুন অনুভূতি হচ্ছে কিন্তু কবিতার জন্য আমি নই লিঙ্কে যেয়ে ধন্যবাদ দিলেই খুসি হব।

কৃতজ্ঞতা নিরন্তর

২১| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

বোকামন বলেছেন:





প্রিয় ভাই,

আপনার গল্পগুলোর যে দিকটা খুব বেশী ভালো লাগে তা হল- ফ্রেসনেস/স্বচ্ছতা/ঝরঝরে। আপনার গল্প পাঠে বেগ পেতে হয় না। প্লট বুঝে নিতে পূর্বের প্লটে ফেরতও যেতে হয়না.... এক কথায় যা দাড়ায় প্রাঞ্জলতা :-)

পুরনো জমিদার বাড়ির কথা মনে পড়লো। ভৌতিক গল্প আপনার ফ্যান্টাসির একটি অংশ ! তাই না .....

যাইহোক গল্পটি একজন ভালোমানুষের লেখা; এই মনে করে পড়ে যেতে ভালোই লাগে।

দোয়া করি -আপনি সবসময় ভালো থাকুন ..............

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভৌতিক ব্যাপারটাই কাল্পনিক একটি ব্যাপার আর যাই কিছু কাল্পনিক তাইত ফ্যান্টাসি। আমি ফ্যান্টাসি পছন্দ করি কারন বাস্তবতা দেখে দেখে আমি খুব ক্লান্ত। বেঁচে থেকে মরতে আর চাইনা।

তবে আমি হয়ত ভাল মানুষ এখনো হতে পারি নাই। তবে চেষ্টা করি ভাল থাকার ন্যায়ের সাথে থাকার সবসময় ।

ফ্রেসনেস/স্বচ্ছতা/ঝরঝরে ভাই এত প্রশংসা এই অধমের সহ্য হবেনা। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।

২২| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম!

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনেক বেশী ভাল লাগা রেখে দিলাম সিন্দুকে।

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
অসাধারন একটা গল্প। সাথে কবিতা।
খুব খুব ভাল লাগলো কবিতাটা।

আমি কান পাতি সেই জোছনায়
তুমি আসবে আমি জানি তাই তোমার
নিঃশ্বাসের শব্দটা খুব চেনা মনে হয়
ঠিক যেন আমার শ্বাস
যে শ্বাস তুমি নিয়েছিলে।
এত সুন্দর করে লিখেন কি করে তাই ভাবছি...............
সত্যি অপূর্ব। অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম কবি।।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আহ আমিত কবিতা লিখিনি আমি শুধু গল্পটাই লিখেছি আর যিনি এই কবিতার আসল মালিক তার লিঙ্ক দিয়েছি কি সর্বনাশ এখন না আবার আমার নামে মামলা হয়ে যায়।


আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাইসুল নয়ন বলেছেন: কতো কাল পরে এলে জানো তুমি ?
লক্ষ্য কোটি বছর আমি শ্বাস নেই না
কি করে যে বেঁচে আছি !

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোমারও কি আমার মত অবস্থা নাকি ?

২৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: :) :) এই গল্পে কোন কমেন্ট দিমু না ভাইয়া :) :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কমেন্ট কেন দিবেন না আমি সেইটা জানি B-)

২৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

একজনা বলেছেন: বাহ! গল্প আর কবিতা একসাথে। কবিতাটা চমৎকার হয়েছে। গল্পও পড়লাম, যদিও অনেক বড় :P তয় ভাল্লাগছে :) প্রেতাত্মার ভালোবাসা। ইদানীং কি পেত্নীর দেখা পাচ্ছেন নাকি খুব? :প

আপনার লেখা ফিচার মিস করি। খালি কবিতা আর গল্প নিয়ে থাকলেই হবে? অন্যদিকেও নজর দেন একটু ;)

ভালো থাকবেন।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এত এত দিকেই নজর দিয়ে আমার আজ বেহাল অবস্থা। তবে আমি মূলত ফিচার লিখি এটা সত্য তবে ইদানীং খুব সাহিত্যিক হতে মন চাইছে বিশেষ করে মামুন ভাইয়ের গল্প সংকলনে আমার লেখা দুটো গল্প স্থান পাওয়ার পর থেকে মাটিতে আর পাই পরছেনা। মনে হচ্ছে সাহিত্য চর্চাই ভাল।

পেত্নীর দেখা পেলেই আপনাকে জানাব।

ভালো থাকবেন গীতিকবিতার প্রতিটি সুরের মূর্ছনায় আনন্দ নিয়ে এই কামনা রইল।

২৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৫

কয়েস সামী বলেছেন: ভুত!গল্প ভাল্লাগছে

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিন্তু ভয়ের করতে পারিনাই আফসোস।

২৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ গল্প।

ফ্যান্টাসি-গল্প-কাব্য সব মিলিয়ে অনেক ভালো।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কৃতজ্ঞতা প্রোফেসর শঙ্কু । শুভকামনা জানবেন।

২৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: একদমই অন্যরকম... ভালো লাগল তাই :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অন্যরকম কিছু একটা রইল আপনার প্রতি। যেন সেটা নিয়ে জীবনের চলার পথ হয়ে উঠে সজীব ও সবুজ পাতার মত।

৩০| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
সকালে পড়তে হপে মনে হচ্ছে। :-&

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কেন কেন প্রেমের গল্প রাতেই পড়া ভাল।

৩১| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: ভাল লাগল :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ থাকল :)

৩২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: golpota porte parcina akhn. Khub ghum peyece. Training a asci. Akhane net slow. Miss karci sobar lekha . :(

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আহারে অসুবিধা নাই আমি অপার হয়ে বসে আছি অপেক্ষায়

৩৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ওরে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ কবিতা ভালু হইছে । গল্প ও । :#>

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভুতের গল্পে লজ্জার ইমো কেন ঠিক বুঝলাম না।

নিজের কবিতাকে নিজেই ভাল বলা এটা খুব ভাল গুন।

৩৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫১

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব্বি দারুন!! পুরাই ভিন্ন স্বাদ!! +++++

মানে আপনার মতোই! কিসু বলার নাই.....:):)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার মতই B:-) B:-) B:-) প্লাস দিলেন এর পরেও কিছু বলার নেই।


থাক থাক আর বলতে হবেনা আমি বুঝে নিলাম। :)

৩৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শিরোনাম আর পোস্টার দেখে ভাবছিলাম খুবই ভয়ংকর টাইপ গপ হবে :)

সব কিছু মিলিয়ে গপ ভালা লাগছে

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্পটা বেশী রোম্যান্টিক কিসিমের হয়ে গেল ভয়ের হল না। যাই হোক নিজের তৃপ্তি মিটে নাই তাই আর একটি ভুতের গল্প লিখতে হবে দেখি এবার ভয়ের হয় কিনা। :(

৩৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কান্ডারী ভাই, কয়েকটা যায়গা অস্পষ্ট থেকে গেছে। নার্সের ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়নি। যূথীর ব্যাপারটাও ক্লিয়ার হয়নি। শেষে বাবুর্চির মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টিও অস্পষ্ট থেকে গেছে। অবশ্য দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিতে কষ্ট হয়নি আমার। তবে আমি বলব, এই যায়গাগুলোর বর্ণনা আরও একটু ডিটেইলস হলে ভাল লাগবে। গল্প আরও বড় হোকনা, সমস্যা কি? আপনার লেখা পড়তে ভালই লাগে।

অনেক দিন পর হরর পড়লাম। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই লেখাগুলো শুধুই লেখার ভিত্তি গড়ে তোলার অপ্রয়াস। এভাবেই ভুল ত্রুটি কাটিয়ে উঠে একদিন ভাল কিছু লিখতে পারব এটাই আমার প্রচেষ্টা। তবে এক্সপেরিমেন্টাল লিখতে যেয়ে যত বেশী সমস্যা হচ্ছে তত বেশী লেখার প্রতি নিজেকে ভাল ভাবেই গড়ে তুলতে পারছি।

এখন সবচেয়ে বেশী আমার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আপনাদের এত সুন্দর সুন্দর সমালোচনা।

যূথী একটি বাস এক্সিডেন্ট এর কারনে মারা গেছে যেটা গল্পে বলা হয়েছে। নার্সের ব্যাপারটা ইচ্ছে করেই গল্পের ভেতর একটা চাহিদা রেখে দেয়ার জন্য করা হয়েছে যেন পরে একটি সিরিজ করা যায়। ছোট গল্পে কিছু চাহিদা থেকে যাওয়া ভাল না হলে উপন্যাস লিখতে হবে। বাবুর্চির মেয়েটির যে কারনে মরতে হল সেটির ব্যাখ্যা গল্পের শেষে দেয়া হয়েছে তাই কোথাও অপূর্ণতা থাকার কথা না। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার পাঠককেই মেলাতে হয় এধরনের গল্পে আমি অন্তত এমনটাই দেখেছি এইধরনের ছোট গল্পের ক্ষেত্রে।

অনেকেই আমাকে প্রশ্ন আর বিদ্রূপ করে আমি খুব বড় পোস্ট দেই বোলে। অনেকের সেই পাণ্ডিত্যের কারনে ছোট করে লেখার চেষ্টায় নেমেছি। যাই হোক পাঠক যেভাবে পড়তে পছন্দ করে সেভাবেই লিখতে হবে। আপনি বড় পছন্দ করেন জেনে খুসি হলাম। অনেকেই এই বড় লেখার প্রতি ত্যাক্ত তাই তাদের দিকটা একটু ভেবেছিলাম।

ভাইয়া হরর লেখার চেষ্টা অবশ্য এটা ছিল না। চেয়েছিলাম প্রেমের গল্প লিখতেই। শুভকামনা জানবেন।

৩৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: সব কিছু আগে থেকে জেনে ফেলেন কেন ভাইয়া?? :|| :|| আপনি তো রহস্যময়ীর সব রহস্য জেনে যাচ্ছেন।আপনেরে মাইনাস ভাইয়া X(( X((

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

রহস্যময়ী নিজে রহস্য করতে না জানলে সেখানে আমার কিভাবে দোষ হল :||

মাইনাস আমার জন্যই কাম্য। !:#P

৩৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ব্যাক্ষা আপনি দিয়েছেন, তা তো পড়েছিই। আমি বলতে চেয়েছি বর্ণনা কম হওয়াতে কয়েকটা যায়গা অস্পষ্ট মনে হয়েছে, ডিটেইলস হলে ভাল লাগবে। অবশ্য আমার বুঝতে কষ্ট হয়নি। রোম্যান্টিক লিখতে চেয়েছিলেন সেটা বুঝেছি তবে গল্পে হরর আবহটাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে মনে হয়েছে।

বড় পোস্ট দিলে যারা বিদ্রুপ করে তাদেরকে ভাল পাঠক বলা যাবেনা। ভাল পোস্ট সেটা যত বড়ই হোক- পড়তে ভাল লাগবেই। আপনি লিখে যান, আমাকে পাঠক হিসেবে পাবেন সব সময়।

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে পূর্ণ সহমত জানিয়ে কোথাও দ্বিমত করিনি। শুধু আমার অবস্থান জানালাম।

আমি আমার পোস্টে ঠিক এই ধরনের মন্তব্যের জন্যই অপেক্ষায় থাকি। এতে নিজের অক্ষমতা গুলো পরিষ্কার হয়। আপনাকে প্রিয় তালিকায় রেখেছি বহু আগেই। আজ মন্তব্যের প্রিয় তালিকায় আপনাকে পেয়ে খুসি হলাম।

আপনার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা রইল।

৩৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভাইয়া গল্প কিন্তু প্রিয়তে.......... :P :P

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পরের গল্পের জন্য নিমন্ত্রন রইল। আর সেই সাথে কৃতজ্ঞতা থাকল।

৪০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দি সুফি বলেছেন: বুকমার্কড্‌, পরে সময় করে পড়ব। :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ সুফি ভাই, অপেক্ষায় রইলাম।

৪১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালো গুণের কারণে লজ্জার ইমু ! !:#P !:#P !:#P

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কবিতাটি সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে তাই অনুমতি না নিয়েই গল্পে দিয়ে দিয়েছি। এর জন্য আমি মোটেও লজ্জিত নই :P :P :P

৪২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: নার্স আর আফরিনের চেহারা মিল হইলো কেমনে ?

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আত্মা ভর করছিল। সবই কি ভাইঙ্গা কইতে হইব ? ইহা ভুতের গল্প।

৪৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:১০

একজন আরমান বলেছেন:
আমি জানতাম আপনি এই গল্প লিখবেন।
আমারও ইচ্ছে ছিল এই প্লটে লিখার। গল্প আমিও অবশ্য লিখেছি কিন্তু এই প্লটে আর লিখা হয় নি। আমার ভাবনার চেয়ে আপনার ভাবনা বহুগুন আগানো। আমি যেভাবে ভেবেছিলাম সেখানে বাবুর্চি আর নার্স এর চরিত্র ছিল না। বাকি সব ঠিক ই ছিল।
আপনি আসলে আপনিই। আপনার তুলনা নেই।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি আসলেই আমি তবে তোমার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম কারন তুমিও কিন্তু তুমিই।

৪৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার। ভালোলাগা +++

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ সাবির ভাই। যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম।

৪৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব্যসাচী ...
আমি খুশি তুই ফেবু ছারছস ...

১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম দোয়া করিস। ভাল আছিস নিশ্চয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.