নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন পীড়ন অথবা যৌন বিকৃতি একটি সামাজিক অবক্ষয় এবং পরিত্রানের উপসর্গ সমূহ

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৯









যূথী গ্রামের মেয়ে বয়স ৩০ বছর। খুবই করুন অবস্থা তার। কারন মাত্র ৭ মাস আগে তার স্বামী মারা গেছে। দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তার। এর মধ্যে সে জানতে পারল যে সরকার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তাই সে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেম্বারের কাছে গেল।



যূথীঃ মেম্বার সাহেব, আমাকে একটা বিধবা ভাতার কার্ড দিয়েন ?



মেম্বারঃ আসলে এটাতো তোমার চেয়ে আরো যারা বয়স্ক তারা পাবে। তারপরও তুমি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে দেখো, সে যদি কিছু করতে পারে।



যূথীঃ চাচা, আমারে বিধবা ভাতার একটা কার্ড দিয়েন।



চেয়ারম্যান : এটাতো বয়স্কদের দেয়। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আমার বাড়িতে ছোট-খাট কিছু কাজ কইরা দিও, আমি ব্যবস্থা কইরা দিমুনে।



যূথী চেয়ারম্যানের বাড়িতে যখন কাজ করতে থাকল তখন চেয়ারম্যান নানা অজুহাতে তার সাথে অশালীন আচরণ করতে থাকে। একটা পর্যায়ে অসহ্য হয়ে পরে যূথী। কিছুদিন পর যূথীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। যূথী আইনের আশ্রয় নিতে চায়। কিন্তু চেয়ারম্যান উল্টো গ্রামে তার বিরুদ্ধে চরিত্রহীনা কলঙ্ক দিয়ে গ্রামের মোল্লা দিয়ে শালিস বসায়। শালিসে যূথীকে ১০০ দোররা মারার ফতোয়া দেয়া হয়। যূথীর ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সামনেই দোররা মেরে হত্যা করা হয়। এমন বর্বরতা দেখেও গ্রামবাসী চুপ করে থাকে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়ে ভীত হয়ে। ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশে নাকি আইন নামক কিছু রয়েছে যার চোখ কালো রঙের কাপড় দিয়ে শুধুই বাঁধাই থাকে।



২০০৯ সালে মিরপুর বড়বাগ এলাকায় ৭ বছরের শিশু ময়নাকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত নিশ্চিত হলেও ২ বছরেও চার্জশিট হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, প্রত্যক্ষ সাক্ষী না থাকাটাই প্রধান সমস্যা। ঘটনার তিন মাসের মাথায় অভিযুক্তরা বেরিয়ে আসে জামিনে। পরে অভিযুক্তরা থানার পরামর্শে ময়নার বাবা মাকে বিষয়টি আদালতের বাইরে নিত্তি করতে চাপ দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, প্রমাণিত হয়নি জানিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হয়। অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে।







যৌনবিকৃতি বলতে এমনসব যৌন কর্মকাণ্ডের প্রতি আকর্ষণ অথবা এ সকল কর্মকাণ্ডের সংঘটন বোঝায় যেগুলো স্বাভাবিক নয়। কোন্‌ কোন্‌ যৌনক্রিয়া স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক তা নির্ধারিত হয় তিনটি পর্যায়ে। এগুলো হলো;



(ক) ধর্ম

(খ) স্থানীয় আইন এবং

(গ) সামাজিক রুচি।



ধর্ম ব্যতীত বাকী দুটি নিয়ামক যেহেতু চলমান বা পরিবর্তশীল, তাই যৌনবিকৃতির সঙ্গার্থও পরম বা চূড়ান্ত নয়। যেমন, এক সময় সমকাম সকল দেশের আইনে অবৈধ ছিল ; কিন্তু ১৯৮০ সাল থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশে সমকাম একটি আইনসিদ্ধ যৌনক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।



যৌন অপরাধ-১



যৌন অপরাধ হলো মানসিক কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যার একটি । এটি মূলত মানসিক আবেগের কারণে সংঘটিত হতে পারে। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ নানা যৌন অপরাধ সংঘটিত করতে পারে। যৌন সংসর্গ স্থাপনের অবৈধ চেষ্টার জন্যও যৌন নানা অপরাধ ঘটে থাকে।



যৌন অপরাধের প্রকারঃ




ক. পতিতাবৃত্তির জন্য অপরাধ

খ. জোরপুর্বক ধর্ষণ

গ. অন্যান্য যৌন অপরাধ



যৌন অপরাধ-২



সম্পর্কের মধ্যেও অপরাধঃ



দেখা যায় যে, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ও যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়। যেমন প্রেমিক প্রেমজনিত ধর্ষণ করে থাকে এবং বন্ধু বান্ধবের দ্বারা প্রেমিকা ধর্ষিত হয়।



অপরাধের স্থানঃ



বিভিন্ন যৌন অপরাধ বিভিন্ন স্থানে শতকরা হারে ঘটে থাকে। স্থানগুলো বিভিন্ন হতে পারে। যেমন বাসা, বাড়ির বাইরে, গাড়ির ভেতরে, মঞ্চে, পাবলিক টয়লেটে, স্কুলে, অন্যান্য যে কোনো স্থানে।



পতিতাবৃত্তিঃ



নানা কারণ এর পেছনে থাকতে পারে তবে প্রধান যে কারণটি বিবেচ্য হয় তা হলো অর্থ উপার্জন। পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন আছে এবং সমাজবাদীদের মতে এটি একটি জঘন্য পেশা । অনেক দেশেই অবশ্য পতিতালয়কে স্বীকৃতি দেয়া হয় তাও আইনের মাধ্যমে । অবশ্য আমাদের মতো ইসলামিক দেশগুলোতে পতিতাবৃত্তি কড়াকড়িবাবে নিষিদ্ধ।



সমকাম ঘটিত অপরাধঃ



সমকামিতাও এক ধরনের অনৈতিক যৌনকর্ম । অনেকে মনে করেন এটি জঘন্য এবং ঘৃন্যতম যৌন অপরাধ। তবে সমকামিতায় যারা লিপ্ত তারাও এটিকে স্বাধীন এবং তাদের মনের ইচ্ছার প্রতিফলন মনে করে। অনেক ক্ষেত্রেই জনগনের আড্ডাস্থান বা কোনো অনুষ্ঠান থেকে সমকামিদের গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়ে থাকে। অনেক সময় সমকামিতা ধর্ষণের মতো অবস্থার সৃষ্টি করে। যেমন কোনো নাবালক বা ছোট বালক বৃদ্ধ পুরুষের সমকামিতার শিকার হয়। অনেক সময় সমকামিতায় লিপ্ত হয়ে অনেকে ডাক্তারি, চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতে পারে।



ধর্ষণ-১



জোরপূর্বক যৌনমিল কোনো নারীর মতের বিরুদ্ধে হলেই তাকে ধর্ষণ বলা হয়। সাধারণত মামলায় এটিকে চোরপূর্বক ধর্ষণ ইল্লেখ করা হয়। গত বিশ বছর ধরে শুধু আমেরিকাতেই ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। কোনো সময় দেখা যায় যে, ধর্ষণকারী ধর্ষীতার কোনো না কোনোভাবে পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ দিনের বেলায় ধর্ষীতার বাড়িতেই হয়ে থাকে। অনেক সময় ঝোপের আড়ালে ক্ষেতে বন্ধুর বাড়িতে কিংবা অজানা কোনো স্থানে হতে পারে। তবে বর্তমানে আইন ধর্ষণের ব্যাপারে খুবই কঠিন। ধর্ষণকারী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। আমাদের দেশে ধর্ষণের শতকরা হার উদ্বেগজনক। প্রতিদিনই কিছু না কিছু ধর্ষণের ঘটনা আমাদেরকে আশ্চর্য করে দেয়।



ধর্ষণ-২



জোরপূর্বক যৌনমিলন কোনো নারীর মতের বিরুদ্ধে হলেই তাকে ধর্ষণ বলা হয়। সাধারণত মামলায় তখন এটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ উল্লেখ করা হয়।



অনেক সময় পুলিশের কাছে ধর্ষনের প্রকৃত রিপোর্ট দেয়া হয় না । নানা কারণেই এটি হয়ে থাকে।



ক. ব্যক্তিগত ব্যাপার বিধায়

খ. কে জরিত তা না জানা থাকলে

গ. পুনর্বার ধর্ষণের ভয়ে

ঘ. সাক্ষী বা আলামত না থাকার জন্য

ঙ. পুলিশকে ডেকে ঝামেলা না বাড়ানোর জণ্য।



ধর্ষক এবং ধর্ষিতার বয়সঃ



ধর্ষিতাদের শতকরা ২৮ জন ১৮ বছরের নিচে এবং ৩৩ শতাংশ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী এবং ধর্ষণকারীদের বয়স ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ বছর এবং মাত্র ২৪ শতাংশের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৪ বছর হয়ে থাকে।



শিশুদের সাথে অপরাধঃ



বিভিন্ন যৌন অপরাধীদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে সে, শিশুরা যৌন অপরাধের শিকার হয় খুব কম ক্ষেত্রেই । নানা সময়ে নানা বয়সী শিশু ধর্ষণ বা এরকম নানা যৌন অপরাধের শিকার হয়ে থাকে। মনোবিজ্ঞানীরা মত দেন যে শিশুরা একবার যৌন যে কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হলে তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে যায় এবং তারা উন্মাসিক উদাসীন হয়ে যেতে পারে। মনের কারিশমা আর শারীরিক পাশবিকতাকে নির্লিপ্ত করার উপায় হিসেবে শিশুদের সাথে অনেক যৌন সংসর্গ স্থাপন করে এতে করে শিশুর মানসিক বিকাশ রহিত হয়। দেখা যায় যে, শিশু অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা নানা সময়েই ছাড়া পেয়ে যায়। কেননা চূড়ান্ত কোনো প্রমান শিশুটির পক্ষে থাকে না । আমেরিকাতে শিশুর সাথে যৌন অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত শাস্তির ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও ইদানীংকাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ব্যাপকভাবে পরিচালিত হচ্ছে এর ফলে নৈতিক অবক্ষয়ের কিছুটা উন্নতি আশা করা যেতে পারে।



শিশুদের সাথে যৌন অপরাধ ( যাদের বয়স ১৫ এর নিচে)



১. যৌনমিলনের জন্য আহবান করা কোনো ভয় বা জোর না

২. সমকামী আচরণ ছোট বালকদের সাথে

৩. আপন বা সৎ কন্যার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন

৪. জোর বা ভীতি দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন



আপন কন্যা বা পুত্রের সাথে যৌন সম্পর্কঃ



ক. বাবা-মেয়ে

খ. সৎ-বাবা-মেয়ে

গ. দাদা-নাতনী

ঘ. মা- ছেলে

ঙ. মা- মেয়ে



অন্যান্য যৌন অপরাধঃ



অন্যান্য যৌন অপরাধের মধ্যে পাবলিক নুইসেন্স ক্ষুন্ন হয় এমন অপরাধ বিদ্যমান। এসব অপরাধীদের জোরপূর্বক কোনো চাওয়ার থাকে না । কিন্ত তারা যৌন সমর্থক চায়। অধিকাংশ সময়ই এক্সিবিশন যা দেখানোর প্রক্রিয়া হলো সবচেয়ে মুখ্য। সাধারণত টেলিফোনে আড়ি পাতা, কাউকে সঙ্গনরত অবস্থায় দেখা বা কাপড় পাল্টানোর অবস্থায় দেখা যা স্বাভাবিকভাবেই অন্যজনের ব্যক্তিগত ব্যাপারে সমস্যার সৃষ্টি করে । কেননা এই সব অপরাধীরা অন্যদের যৌননিপীড়নের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যম খুজে নেয়। বিভিন্ন আচার আচরণের মধ্যে যৌন অপরাধ ব্যাপৃত হতে পারে। যেমন ন্যাকরোফিলিয়া বা মৃত মানুষের সাথে যৌনসম্পর্ক, বেন্টিয়ালিটি-জীবজন্তুর সাথে যৌন সম্পর্ক এবং অনেক সময় পিতা বা মাতা তার নিজ পুত্র বা কন্যাদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। অনেক সময় আবার পারিবারিক এই যৌন সম্পর্কের ফলাফল হিসেবে পরবর্তী জীবনে ছেলে বা মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয় না ।



যৌন অপরাধঃ



তিন ধরনের যৌন অপরাধের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, এদের মধ্যে দেখানো ক্রিয়ার হার সবচেয়ে বেশি।



ক. দেখানো ক্রিয়া

খ. নগ্ন দৃশ্য দেখা

গ. নগ্ন কতাবার্তা শোনা



প্রদর্শনগত অপরাধঃ



১. বয়প্রাপ্ত নারীকে যৌন লিঙ্গ প্রদর্শন

২. ছোট মেয়েদেরকে যৌন লিঙ্গ প্রদর্শন

৩. জনসমক্ষে হস্তমৈথুন

৪. নগ্নতার প্রচার



হস্তমৈথুনঃ



হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক যৌনকর্ম অথবা যৌনবিকৃতি কিনা এই বিষয়ে দীর্ঘকাল থেকে বিতর্ক আছে। বিভিন্ন ধর্মে হস্তমৈথুন একটি নিষিদ্ধ যৌনকর্ম, কিন্তু অনেক বৈজ্ঞানিক এটিকে মানুষের স্বভাবী যৌনক্রিয়া হিসেবে গণ্য করেছেন। মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর হস্তমৈথুন কুফল কি, তা নিয়েও বিতর্ক চলমান। বিবাহিত ব্যক্তিরা কেন হস্তমৈথুন করে সে প্রশ্নটি নিয়েও গবেষণা চলছে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, হস্তমৈথুন অনেকের জন্য একটি অনিবার্য অভ্যাসে (obsessive compulsive behavior) পরিণত হয়। তবে হস্তমৈথুনকে অনেক বিজ্ঞানীরা এটাকে সাস্থের জন্য ভাল বলে দাবি করেছেন।



হার, বয়স, ও লিঙ্গঃ



হস্তমৈথুনের হার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। কারো যৌন ইচ্ছা বা হরমোনের মাত্রা তা যৌন উত্তেজনা, যৌন অভ্যাস, স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে। ই. হাইবি এবং জে. বেকার পরীক্ষা করে দেখেছেন যে কোনো স্থানের সংস্কৃতিও হস্তমৈথুনের হারকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও হস্তমৈথুনের সাথে কিছু চিকিৎসীয় কারণও জড়িত।



মানুষের মধ্যে হস্তমৈথুনের হার নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের জরিপ ও গবেষণা হয়েছে। আলফ্রেড কিনসের ১৯৫০-এর দশকের এক গবেষণায় বলা যায়, মার্কিন নাগরিকদের মাঝে ৯২% পুরুষ ও ৬২% নারী তাঁদের জীবনকালে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন। ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করার একটি জরিপেও কাছাকাছি ফলাফল পাওয়া যায়। জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাঁদের জীবনের যে-কোনো সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন। সাক্ষাৎকারের চার সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন এমন পুরুষের হার ৭১% ও নারী ৩৭%। অপর দিকে ৫৩% পুরুষ ও ১৮% নারী জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই সাক্ষাৎকারের ১ সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন।



২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধি কালীন ছেলে-মেয়েদের কমপক্ষে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়। অর্গাজম বা রাগমোচনকে শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে শিশু গর্ভবতীর ও যৌন সংক্রামক রোগের হারের প্রাপ্ত উপাত্ত লক্ষ্য করে, তা কমিয়ে আনতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, এবং এটিকে একটি ভালো অভ্যাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।



ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে হস্তমৈথুনঃ




বিশ্বজুড়ে প্রাকঐতিহাসিক যুগের বহু শিলাচিত্রে পুরুষের হস্তমৈথুন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করার হয়, অপ্রাকৃতিক যৌন আচরণের সাথে মানুষের পরিচয় প্রাচীন যুগ থেকেই। মাল্টা দ্বীপের এক মন্দির সংলগ্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত, খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় চতুর্থ শতকে নির্মিত একটি মাটির ভাস্কর্যে একজন নারীর হস্তমৈথুরত সময়ের চিত্রও পাওয়া গেছে। তদুপরি, প্রাচীন যুগে মূলত পুরুষের হস্তমৈথুনের প্রমাণই বেশি পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা হয় সে সময় এটিই বেশি প্রচলিত ছিলো।



প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন সুমেরীয়দের যৌনতার বিষয়ে শিথিল ধ্যানধারণা পোষণ করতো, এবং হস্তমৈথুন সেখানে সক্ষমতা তৈরির একটি উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এটি একাকী বা সঙ্গীর সাথে উভয়ভাবেই সম্পন্ন হতো।



প্রাচীন মিশরে পুরুষের হস্তমৈথুন আরো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতো। যখন কোনো দেবতার দ্বারা হস্তমৈথুন সংঘটিত হতো, তখন তা অনেক বেশি সৃষ্টিশীল ও জাদুকরী কাজ হিসেবে বিবেচিত হতো। বিশ্বাস করা হতো মিশরীয় দেবতা আতুম হস্তমৈথুনের মাধ্যমে হওয়া বীর্যপাতের দ্বারা এই বিশ্বজগত সৃস্টি করেছেন, এবং সেই সাথে নীল নদের পানি প্রবাহও তার বীর্যপাতের হার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এর সূত্র ধরেই মিশরীয় ফারাওদেরও আনুষ্ঠানিকভাবে নীল নদে হস্তমৈথুন করতে হতো।



হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায়ঃ



১। যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।



২। কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।



৩। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না। যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।



৪। বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন।



৫। সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।



৬। নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন।



৭। স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন।

নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুন। বাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করার। আপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেন। কিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন।



৮। অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন।



৯। ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।



১০। ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।



১১। অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।



শিশুকে তার মতো করে বেড়ে উঠতে দেয়া উচিত। শিশুর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিলে শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিপূর্ণরূপে বেড়ে উঠবে। তবে শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অধিক গুরুত্ব বহন করে। আমাদের শিশুদের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। অনেক পরিবারে বাবা মা দু'জনই চাকরি করেন। ফলে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় সমস্যা হতে পারে। তবে যে কোনো পরিবারের ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি সমস্যায় পড়ে।





রাজধানীর বাড্ডায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে পালাক্রমে দুই বখাটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল-কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোলার দৌলতখানে চাচাতো ভাইয়ের ছোড়া এসিডে ঝলসে গেছে এক কলেজ ছাত্রীর মুখমন্ডল। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২টি শিশু। নারীদের তুলনায় কোমলমতি শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। ধর্ষকরা শুধু ধর্ষণ করেই থেমে থাকছে না, ঘটনা ধামাচাপা দিতে নৃশংসভাবে হত্যা করছে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় সখীপুর থানার মালতকান্দি গ্রামে ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সখীপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা শিশুটির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মোহাম্মদপুরে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাড়ে তিন বছরের এক শিশু। ধর্ষণের অভিযোগে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ঐ শিশুদের পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া। যশোরে ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। যশোর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, যশোর উপশহরে সারথী টেক্সটাইল মিল এলাকায় শিশু কন্যাকে নিয়ে এক মা বসবাস করেন। তিনি মেসে রান্নার কাজ করেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটির মা রান্না করতে গেলে একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে ফিরোজ ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ক্রমশ ধর্ষককে আটক করেছে। একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ'র ভোলাহাটে ১০ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভোলাহাট ইউনিয়নের চর ধরমপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে রবিউল শিশুটিকে ধর্ষণ করে পাশের একটি ক্লাব ঘরের পেছনে নিয়ে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর বাবা বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের বেশির ভাগই আইনী সহায়তা পাচ্ছে না। এসব শিশু দরিদ্র পরিবারে হওয়ার কারণেই তারা আইনী সুরক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। যৌন হয়রানি ও শিশু পাচারের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা এবং পদক্ষেপ নেয়া হলেও শিশুদের যৌন হয়রানির বিষয়টি উপেক্ষিতই রয়ে যাচ্ছে। বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যাযুক্ত কন্যা শিশুদের শতকরা প্রায় ৪০ ভাগই যৌন নির্যাতনের শিকার। যে কোনো ধরনের যৌন নিপীড়নের ফলে শিশুদের বড় ধরনের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব অনাকাঙিক্ষত ঘটনার দায় শিশুকে সারা জীবন বহন করতে হয়। শিশু যৌন নির্যাতন একটি বড় ধরনের সামাজিক অবক্ষয়। কোমলমতি শিশুদের ওপর এ ধরনের জঘন্য অত্যাচার-নির্যাতন রাষ্ট্রের পক্ষেই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।



দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পর পর ২ বছর ৯৬ শতাংশ মামলাই বিভিন্ন কারণে খারিজ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময়মতো অভিযোগপত্র চার্জশিট না হওয়াই প্রধান কারণ। প্রতিদিন যে কারণে মামলা হচ্ছে একই হারে অভিযোগপত্র দাখিল হচ্ছে না। আছে দুর্বল প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এফআইআর, তদন্তে অবহেলা, ক্ষেত্র বিশেষে সাজানো মামলা। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, জামিন অযোগ্য অপরাধ হলেও তদন্তে বিলম্বে হওয়ায় আসামীরা জামিন পাচ্ছে। বাদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করছে। সমাজে শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে। এছাড়াও শিল্প এলাকায়, যেখানে মা-বাবা দুজনেই কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেখানেই শিশু যৌন নির্যাতনের হার বেশি। এছাড়াও একান্নবর্তী পরিবারের তুলনায় একক পরিবারে বেশি ঘটে থাকে যৌন নির্যাতন। শিশু যৌন নির্যাতনের হার এখন হর হামেশাই ঘটছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোপন থাকে বলে এখনও এ বিষয়টি নিয়ে কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।



যৌন অবক্ষয় রোধে করনিয়ঃ




আইনের শাস্তির বিধানগুলো সাধারণ মানুষকে জানানো সম্ভব হলে শিশু নির্যাতনের হার কমবে। বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় এবং বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাগুলো ঘটছে। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিরপেক্ষ তদন্তের অভাব এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতায় এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্যে দায়ী। তাছাড়া শিশু ধর্ষণের মেডিকেল পরীক্ষাগুলো সময় মতো না পেলে আলামত নষ্ট হয়ে যায়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্রে আসামীর শাস্তির বিষয়ের সংজ্ঞাকে সুস্পষ্টভাবে এবং বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা না থাকায় ধর্ষক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছাড়া পেয়ে যায়। এছাড়া ধর্ষণ যে একটি জঘন্য অপরাধ সেটিকে আমলে নেয়া হচ্ছে না। প্রতিনিয়তই এ ধরনের অপরাধ যারা ঘটাচ্ছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে আইনের কার্যকারিতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মেয়ে শিশুদের জীবনযাপন এবং চলাফেরার দিকে অভিভাবকদের একটু বেশি নজর দেয়া উচিত। তবে তারা যেন নিগৃহীত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।



শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধে সমাজে সচেতনতা আনতে হবে। মেয়েদের স্কুল-কলেজের সামনে বা রাস্তায় যৌন উক্ত্যক্তকারীরা না দাঁড়াতে বা আড্ডা না দিতে পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে হবে। শিশু যৌন নির্যাতন যে একটি ঘৃণ্য অপরাধ সে ব্যাপারে মসজিদের ইমাম এবং সমাজপতিদের সভা সমাবেশ করতে হবে। এ ব্যাপারে যারা অপরাধী তাদের কঠোর সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।



যে ধরণের আচরণগুলোকে যৌন পীড়ন বলা যায়ঃ



• যৌন কামনা বা ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য বলপ্রয়োগ।

• যৌন কামনা চরিতার্থে কোন অঙ্গ স্পর্শ।

• উদ্দেশ্যমূলক বা ইচ্ছাকৃতভাবে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন।

• কোন বস্ত্ত দ্বারা যৌন অঙ্গ স্পর্শ।

• যৌন উদ্দেশ্য প্রণোদিত স্পর্শ।





যেসব বয়সী মেয়েরা যৌন পীড়নের শিকার হয়ঃ



• কিশোরী

• কম বয়স্ক এবং নতুন চাকুরিতে যোগদান করা নারী

• কারো করুণা বা সহায়তায় চাকুরি পাওয়া অসহায় নারী।

• স্টেনো/টাইপিস্ট, ব্যক্তিগত সেক্রেটারি, টেলিফোন অপারেটর, রিসেপশনিস্ট, নার্স, মডেল।

• গার্মেন্টস কর্মী, গৃহপরিচারিকা।

• বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা/তালাকপ্রাপ্ত নারী/একা নারী বা মা।

• সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ইত্যাদি।



যেসব কারনে মানুষ এরকম আচরণ করে, তাদের বিবেক বলে কিছু নেইঃ



• সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়।

• সামাজিক অস্থিরতা।

• নারীকে ভোগ ও পণ্যসামগ্রী হিসেবে উপস্থাপন ও ব্যবহার।

• যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নিরবতা।

• অপরাধীদের শাস্তি না দেয়া।



এর বিরুদ্ধে আমাদের দেশে যেসব আইন প্রচলিত আছেঃ



আইনের দৃষ্টিতে যৌন পীড়ন একটি ভয়াবহ অপরাধ। বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে যৌন পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিকারের বিধান রয়েছে।







যৌন পীড়ন রোধে আমাদের কিছু করণীয়ঃ



• সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ

• নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

• কর্মস্থলে নারীদের জন্য সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করা

• শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা ও শাস্তি বিধি প্রণয়ন

• প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলো অন্তর্ভূক্ত করা

• কিশোর-তরুণদের ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ/কাউন্সেলিং প্রদান

• বিদ্যমান আইন, চুক্তি ও সনদের যথাযথ বাস্তবায়ন

• যৌন হয়রানির বিষয়টি গোপন না রেখে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো

• যৌন হয়রানি মামলাগুলোর দ্রুত বিচার ও যথাযথ নিষ্পত্তি

• বারসিক গণমাধ্যমে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রদর্শন।



যৌন পীড়নঃ



নারী নির্যাতনের একটি ধরণ হলো যৌন পীড়ন। যদি কোন ব্যক্তি তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য তার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্ত্ত দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন স্থান স্পর্শ করেন বা শ্লীলতাহানী করেন তাহলে তার এই কাজ হবে যৌন পীড়ন।



যৌন পীড়নের ফলাফলঃ



• মানসিক ভারসাম্যহীনতা।

• আত্মহত্যা।

• বিষন্নতা।

• আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার অভাব।

• হীনমন্যতা।

• নিজেকে অশুচি মনে করা।

• লেখাপড়ায় অনীহা।

• সন্দেহ প্রবণতা।

• যৌনবিকৃতি।

• সুস্থ যৌন জীবনে অনিচ্ছা।





আইনে যৌন পীড়নের ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান আছেঃ



যৌন পীড়নের/ নারীর প্রতি অশালীন আচরণের ক্ষেত্রে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ৩৫৪ এবং ধারা ৫০৯ এ শাস্তির কথা বলা আছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬, ধারা-৭৬ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা-১০ এ যৌন পীড়নের শাস্তি সর্ম্পকে বলা আছে।



যৌন পীড়নের শিকার হলে যেখানে আইনি সহায়তা পাওয়া যেতে পারেঃ



জেলা জজ আদালতের আইন সহায়তা কেন্দ্র, বিভিন্ন মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী সংগঠন, জেলা আইনজীবী সমিতি এ ব্যাপারে আইনী সহায়তা প্রদান করে থাকে।







দণ্ডবিধিঃ



নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ধারা-১০ অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্ত্ত দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানী করেন তাহলে তার এ কাজ হবে যৌন পীড়ন।

দন্ডবিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী নারীর শালীনতার জন্য অমর্যাদাকর যে কোন মন্তব্য, শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি বা কোন বস্তু প্রদর্শন দন্ডনীয় অপরাধ।



দন্ডবিধি, ১৮৬০



ধারা-৩৫৪



কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে তাহাকে আক্রমণ ও তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগঃ

যে ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে বা সে তদ্দারা তাহার শালীনতা নষ্ট করিতে পারে জানিয়া তাহাকে আক্রমণ করে বা তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সেই ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ দুই বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।

(দন্ডবিধির ধারা-৩৫৪ অনুযায়ী, কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ বা তার প্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করলে একজন ব্যক্তির দু’বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ড হতে পারে।)



ধারা-৫০৯



কোনো নারীর শালীনতার অমর্যাদার অভিপ্রায়ে কোনো মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা কোনো কাজঃ

যে ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতার অমর্যাদা করিবার অভিপ্রায়ে এই উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য করে, কোনো শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করে বা কোনো বস্ত্ত প্রদর্শন করে যে উক্ত নারী অনুরূপ মন্তব্য বা শব্দ শুনিতে পায় বা অনুরূপ অঙ্গভঙ্গি বা বস্ত্ত দেখিতে পায়, কিংবা উক্ত নারীর নির্জনবাসে অনাধিকার প্রবেশ করে, সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।

(দন্ডবিধির ধারা-৫০৯ অনুযায়ী, কোনো নারীর শালীনতার অমর্যাদার উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা কোনো কাজ করলে একজন ব্যক্তির বিনাশ্রম কারাদন্ড-যার মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত বা উভয়বিধ দন্ড হতে পারে।)



ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬



ধারা -৭৬



মহিলাদিগকে উত্যক্ত করিবার শাস্তিঃ



যদি কেহ কোনো রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা সেখান হইতে দৃষ্টিগোচরে স্বেচ্ছায় এবং অশালীনভাবে নিজ দেহ এমনভাবে প্রদর্শন করে যাহা কোনো গৃহ বা দালালের ভিতর হইতে হউক বা না হউক, কোনো মহিলা দেখিতে পায়, অথবা স্বেচ্ছায় কোনো রাস্তা বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে কোনো মহিলাকে পীড়ন করে বা তাহার পথ রোধ করে অথবা রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অশালীন ভাষা ব্যবহার করিয়া অশ্লীল আওয়াজ, অঙ্গভঙ্গি বা মন্তব্য করিয়া কোনো মহিলাকে অপমান বা বিরক্ত করে, তবে সেই ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাদন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

(ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬, ধারা-৭৬ অনুযায়ী, মহিলাদের উত্যক্ত করার শাস্তি হলো এক বছর মেয়াদী কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাদন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হবে।)



নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)



ধারা-১০



যৌন পীড়ন, ইত্যাদির দন্ডঃ



যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্ত্ত দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানী করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অনূন্য ৩ বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

(নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ ধারা-১০ অনুযায়ী, যৌন পীড়ন ইত্যাদির দন্ড হলো: অপরাধীর অনধিক দশ বছর কিন্তু অন্যূন তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং তিনি এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন।)







এক্ষেত্রে যেখানে গেলে আইনগত সহায়তা পাওয়া যাবেঃ



১। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যালয় সুফিয়া কামাল ভবন, ১০/বি/১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০, ফোন -৭১৬৯৭০১,

ফ্যাক্স ৮৮-০২-৯৫৬৩৫২৯, ই-মেইল[email protected]

ওয়েব- http://www.mahilaparishad.org

আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ৭/১৭, ব্লক-বি,লালমাটিয়া, ঢাকা

ফোন- ৮৮০-২-৮১২৬১৩৪, ৮১২৬১৩৭, ৮১২৬০৪৭

ফ্যাক্স ৮৮-০২-৮১২৬০৪৫,

ওয়েব- http://www.askbd.org/web

ই-মেইল[email protected]



২। মহিলা আইনজীবী সমিতি, ৪৮/৩, মনিকো মিনা টাওয়ার,

পশ্চিম আঁগারগাঁও, ঢাকা, ফোন-৯১৪৩২৯৩

ওয়েব- http://www.bnwla.org.bd

ব্লাস্ট, ১/১ পায়নিয়ার রোড/ ওয়াইএমসিএ,কাকরাইল, ঢাকা, ফোন-৮১৭১৮৫, ৯৩৪৯১২৬



এছাড়া নিচের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছেও সহায়তা চাওয়া যেতে পারেঃ




• ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/মহিলা ও পুরুষ সদস্য

• পৌরসভার চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার

• নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

• উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

• উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

• জেলা প্রশাসক

• আইন সহায়তা কেন্দ্র, জেলা জজ আদালত

• জেলা জজের নেতৃত্বে আর্থিকভাবে অসহায়দের সেবাদান কর্তৃপক্ষ

• নিকটস্থ এনজিও/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে কাজ করছেন

• মানবাধিকার সংগঠনসমূহ

• মহিলা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মহিলা অধিদপ্তরের আইন সহায়তা সেল।





কিছু টিপসঃ




১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্‌ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন। হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।

২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।

৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।

৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।

৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।

৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।

৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।

৮. ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।

৯. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।

১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।

১১. ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।

১২. যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।

১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।

১৪. যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।

১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।

১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন। সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।

১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

১৮. যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।

১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।

২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।

২২. বাড়িতে বা রুমে কখনো একা থাকবেন না।

২৩. কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।

২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।

২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।

২৬. গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।

২৭. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন।







(এই পোস্টের সকল তথ্য ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত হয়েছে)



মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +৩৬/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৪

নাছির84 বলেছেন: অনেক খেটেছেন।শ্রম সার্থক। অনেক কিছু জানলাম। প্রিয়তে...+

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

যৌন অবক্ষয় কে না বলুন এবং এর জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলুন। এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র ।

২| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২৯

অচেতন বাঙাল বলেছেন: যুগ যুগ ধরে লুছুনরা আছে ও থাকবে, এ নিয়ে এত চিন্তা করার কি আছে।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সচেতন বাঙাল হিসেবে চিন্তা না করে উপায় কি বলুন ?

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন,
এই পয়েন্ট করা হলে তো সেটা টিজিং এর পর্যায়ে চলে যাবে।

গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।
আমার মনে হয় ওটাকে ধর্ষণ বলা যাবে না বলা যাবে মিচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং। কারণ সেখানে ছেলে এবং মেয়ে দুজনেরই মত থাকবে।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখানে তুড়ি বাজান মানে হল তুড়ি দিয়ে বাজে চিন্তাগুলো উড়িয়ে দেয়া। আরমান বুঝতে হবে।

আরে এই পোস্ট দেখি তোমার বুঝের উপর দিয়ে চলে গেছে। বউ ছাড়া গারলফ্রেন্ডের সাথে শুয়ে শুয়ে প্রেমালাপ করা কি সামাজিক অবক্ষয়ের মাঝে পরে না এখানে আবার সমঝোতা কি ? এটা কি কোন ভাল বিষয় হল ?

৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আগে কন এই পোস্ট রেডি করতে আপনার কতদিন লাগছে?

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই পোস্ট রেডি করছি প্রায় এক মাসের কিছু সময় ধরে। এবার বলেন ভাই বাকি কথা । :)

৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, পোষ্টটা ভালো। তবে কিছু ব্যাপারে নিজস্ব মতামত বা পর্যবেক্ষন আপনাকে জানাতে চাই।

১। আপনার পোষ্টের টপিক যৌন পীড়ন অথবা যৌন বিকৃতি একটি সামাজিক অবক্ষয় এবং পরিত্রানের উপসর্গ সমূহ
শুরুটা ভালো হয়েছে। কিন্তু মাঝপথে এসে আমার মনে হয়েছে, আপনি অপ্রয়োজনীয় ভাবে একটি যৌন বিকৃতির ক্ষেত্রে বেশি জোর দিয়েছেন বা ডিটেইলে গিয়েছেন। সেটা না হলে হয়ত আরো ভালো লাগত।
একটা যৌন বিকৃতির ইতিহাস খুব জানার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই এই অংশটুকু আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।

আমি মনে করি, শুধু মাত্র মাস্টারবেশনই একমাত্র বিকৃত যৌনাচারন নয়। আপনি নিজেই আরো বেশ কিছু বিকৃতির কথা উল্লেখ্য করেছেন। আর মাস্টারবেশন থেকে মুক্তি পাবার জন্য যে পদক্ষেপের কথা বলেছেন তা আমি মনে করি, কমবেশি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই মাস্টারবেশনকে বিশেষ ভাবে ক্যাটাগরাইজ না করে সার্বিক ভাবে যৌন অবক্ষয় বা যৌন বিকৃতির মধ্যেই রাখা উচিত এবং যৌন অবক্ষয় রোধে যে সকল করনিয় আছে তার সাথে যুক্ত করে দেয়াই উত্তম।

২। আপনার এই পোষ্টের শিরোনামে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক দের জন্য এই ধরনের একটি ট্যাগ থাকা প্রয়োজন ছিল। যদিও প্রায় সবাই এখানে প্রাপ্ত বয়স্ক। তারপরও যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আমাদের সামাজিক প্রেক্ষিতে এই ধরনের একটি সর্তকবার্তা অবশ্যই দরকার আছে।

অনেক পরিশ্রম করেছেন। শুভেচ্ছা রইল।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জাদিদ ভাই খুব ভাল আপনার পর্যবেক্ষণ কিন্তু যখন শিশুদের বইতে যৌন শিক্ষা বিষয়ক অধ্যায় থাকে তখন কিন্তু আমাদের বিজ্ঞ শিক্ষকরা কোন প্রকার ১৮ + ট্যাগ ব্যবহার করেনা।

আর যে বিষয়টি একটু বেশী করে হাইলাইট করেছি এটি অন্যতম একটি বিকৃত অভিরুচি বা অবক্ষয়। যা অনেকে ১৮ বছরের বহু আগে থেকেই করে থাকে। সম্প্রতি ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের মাঝে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তাই আমি কোন প্রকার বয়সের হিসেবে পোস্টে ট্যাগ ব্যবহার করিনি। কারন এই একটি সমস্যা এখন প্রায় সব বয়সের মানুষের মাঝে পারাবারিক ভাবে অশান্তির সৃষ্টি করছে। আর যে কারনে এই একটি বিষয়ে কিছুটা বেশী বর্ণনা দিয়েছি। তাই এই পোস্ট মোটেও প্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্ক দের জন্য শুধু নয় বরং সকল বয়সের জন্যই প্রস্তুত করেছি। পোস্টে কোন অশ্লীলতা নেই যে আমাকে ট্যাগ দিতে হবে। এটা শিক্ষা মূলক পোস্ট।

বাঁচতে হলে জানতে হবে। নতুবা অবক্ষয় কমবে কিভাবে। এই এক হস্তমৈথুন থেকেই বড় বড় অপকর্মের উৎপত্তি হয়। যেভাবে সিগারেট থেকে অন্য নেশার হার বাড়ে ঠিক সেইভাবে। তাই এই একটি বিষয়ে একটু বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হয়েছে।

আশা করি আপনি পোস্টের তাৎপর্য বুঝতে পেরেছেন।

আমার জানা মতে এমন অনেক পরিবার আছে যারা এসব নিয়ে নিদারুন যন্ত্রণায় দিন যাপন করছেন। তাদের স্মরনেই এই পোস্টের প্রয়োজন আছে।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখক বলেছেন:
খুব ভাল আপনার পর্যবেক্ষণ কিন্তু যখন শিশুদের বইতে যৌন শিক্ষা বিষয়ক অধ্যায় থাকে তখন কিন্তু আমাদের বিজ্ঞ শিক্ষকরা কোন প্রকার ১৮ + ট্যাগ ব্যবহার করেনা। [/sb

হাহাহ! কেমনে ব্যবহার করবে বলেন ১৮ এর নিচে তো সবাই শিশু। তাই সেখানে ১৮+ ব্যবহার করা হয় না। =p~ :P

পোষ্টের তাৎপর্য বুজেছি। তবে ইতিহাসের তাৎপর্য বুঝি নাই।

ঠিক আছে আগামীতে আমি ধর্ষন বিরোধী পোষ্ট দিব। তখন আপনি আমাকে একটু কষ্ট করে ধর্ষন এর ইতিহাস এবং যুগে যুগে বা বিভিন্ন কালচারে তার কেমন প্রভাব ছিল তা একটু আমারে দিয়েন ;) :)

বুঝতেই পারছেন, বাঁচতে হলে জানতে তো হবেই :) :)

২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

জী ভাই তাই আমিও সব বয়সের কথা ভেবেই কোন ট্যাগ দেই নাই। নতুবা আমিও ট্যাগের বা বয়সের পরিসীমা বুঝি।

এখানে হস্তমৈথুনের ইতিহাস ঠিক নয় কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এর বেশী কিছু এই ইতিহাস অংশের আর কোন তাৎপর্য নেই। আমি আবার একটু ইতিহাস বেশী পছন্দ করি কিনা তাই।

এই পোস্ট শুধু মাত্র কিন্তু ধর্ষণ বিষয়ক নয়। কয়কেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। যেটা বেশী হয়ে থাকে সাধারনত।

অবশ্যই আপনার যখন যে ইতিহাস লাগবে আমি সাধ্যমত নেট আর বইপুস্তক ঘেঁটে দেয়ার চেষ্টা করব। কারন আমি ইতিহাস নিয়ে একটু বেশী দুর্বল।

অবশ্যই বাঁচতে হলে জানতে হবে। এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

একজন আরমান বলেছেন:
আমি ধর্ষণ মিন করে বলেছিলাম।

আর আপনি যখন অবক্ষয় নিয়ে লিখেছেন তখন আপনার এর সাথে ধর্মকে যুক্ত করা উচিৎ ছিল। কারণ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে তো অবক্ষয় ই থাকবে না !

২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এখানে কোন ধর্মের কথা উল্ল্যেখ করব বল। আমাদের ইসলাম ধর্ম ছাড়া আর কোন ধর্মে কি নারী পুরুষের মাঝে পর্দা প্রথা চালু রয়েছে। যখন যৌন অবক্ষয় হয় তখন সব ধর্মের নারী পুরুষের মাঝেই হয়। তখন আমাকে আবার ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখতে হবে আর আমি সাম্প্রদায়ীক পোস্ট দিয়েছি বলে অনেকেই আমাকে তিরস্কার করবে। তাই ধর্মকে এখানে টেনে আনিনি। ধর্ম খুব সহজ আবার খুব সেনসিটিভ একটি ইস্যু যে কারনে ধর্মকে এনে কোন বিতর্কে জড়াতে চাইনি।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ রিফাত ভাই।

যৌন অবক্ষয় কে না বলুন এবং এর জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলুন। এই হোক আমাদের মূলমন্ত্র ।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯

দি সুফি বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন এই পোষ্টটির জন্য। আপনার কষ্ট সার্থক হোক এটাই কাম্য।
যৌন বিকৃতি বা পীড়ন এবং সামাজিক অবক্ষয় বন্ধ করতে ধর্মীয় অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই। বড়ই আফসোসের বিষয় আজকালের বাচ্চাদেরকে সেই ছোট বেলা থেকেই গান-বাজনা-নাচ শিখানো হয়, কিন্তু ইসলামী অনুশাসন শেখানো হয় না, শেখান হয় না কুরআন বা নামায পড়া! অথচ আমাদের ছোট বেলায় পিটিয়ে ঘুম থেকে উঠাতো ফজরের নামায পরার জন্য, জোহরের নামায না পরা পর্যন্ত ভাত খাওয়া নিষেধ! আর এখন হিন্দী নাচ-গান ছাড়া বাচ্চাদের খাওয়ানো যায় না!
ধর্মের পাশাপাশি এসকল অপরাধীদের শাস্তি দেয়াটাও জরুরী। অপরাধের যখন শাস্তি হয় না, তখন অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
আশা করছি আমাদের দেশ পরিচালকগণের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করে শাস্তির ব্যাবস্থা করবে।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহমত আপনার সাথে। আমি পোস্টে ধর্মের বিষয়টি অনাহূত বিতর্ক হতে বাঁচতে ইচ্ছে করেই আনিনি। সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠুক আমাদের মানবিক গুনাবলী।

১০| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কান্ডারী তথ্যবহুল পোস্ট । অনেক পরিশ্রম করেছেন। দারুন পোস্টে ভাল লাগা ্

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বড় ভাই সালাম রইল। সুন্দর ও সুস্থ হয়ে উঠুক আমাদের মানবিক গুনাবলী এর বেশী কিছু চাইবার নেই।

১১| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ তথ্যসমৃদ্ধ দরকারী পোষ্ট।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া বাঁচতে হলে জানা ছাড়া উপায় নেই।

১২| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: কঠিন পোস্ট ! অনেক কিছু জানলাম।

অনেক কষ্ট করেছেন এ পোস্ট দেখতে।

নিজের খারাপ স্বভাব দমনের চেয়ে শক্ত জিহাদ মনে হয় আর নাই। অন্যকে সহজেই অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু নিজের শুদ্ধি আগে করা উচিত, বা অন্তত চেষ্টা করা উচিত।

জিহাদ বলতে বাকি বিশ্ব তো বটেই , এমন কি মুসলমানেরা ও আত্মিক জিহাদের অস্তিত্ব এখন অনেকটাই ভুলে গেছে। আত্মিক জিহাদ এর চেয়ে বড় আর কিছু নাই।

আমার কাছে মনে হয়, সুস্থ বিনোদন আর প্রচুর কাজ, ভলান্টিয়ারের, জ্ঞান চর্চার সুযোগ এরকম যৌন নীপিড়ন অনেক কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে অবদামিত বিকৃত আকাংক্ষা প্রকাশ হওয়ার সুযোগ কম থাকে।

পুরাপুরি অপ্রাসঙ্গিক কিনা জানি না, দেখুন আমাদের নতুন হওয়া স্কুল, কলেজ , এমন কি অনেক ভার্সিটি, মেডিকেল, এ সুস্থ বিনোদন, লাইব্রেরি, সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ, অনেক কম। শহর গুলার কথা চিন্তা করেন, একটা শহরের জন্য খুব ই গুরুত্বপূর্ণ হলো লেইক, পার্ক, খোলা জায়গা, যেখানে মানুষ থাকবে, চলাচল করবে, শ্বাস নিবে।

এসব না থাকলে, আমার মনে হয় মানুষ হয়ে যায় পশু, ছাত্ররা পুঁথিগত বিদ্যা মুখস্থ করে ফেলে ঠিক ই , কিন্তু একজন মানুষ হতে পারে না।

অনেক কিছু অপ্রাসঙ্গিক ভাবে বলে ফেললাম। পোস্টটা অনেক কষ্ট করে লিখছেন। অনেক কষ্ট করে লেখার জন্য এবং তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট লেখার জন্য পোস্টে প্লাস। :)

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত। চাই নিজের আত্ম শুদ্ধি।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: হুম অনেক বড় পোষ্ট পড়লাম ভালো লাগলো । খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন । ++++ দেওয়া যায় :-*

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ বস। প্লাস বুঝে পেলাম।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

ভিটামিন সি বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব আর নেই। এই তো সমাজের কাজে লেগে যাচ্ছে। যে কারনে আপনে কান্ডারী, সেই কাজটা না হয় নাই হলো, সমাজের কাজের জন্য তো কান্ডারী রুপে নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছেন। পোষ্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হায় হায় ভিটামিন সি ভাই। আমি তাহলে কোথায় ? আমাকে আমার মতই থাকতে দিন। আমি চিরকাল অথর্ব ছিলাম, আছি। সমাজের কোন হিতকর কাজে লাগতে পারিনা বলেই আমি অথর্ব। আমি যে কোন কারনে কাণ্ডারী সেটা যেহেতু আমাকে দিয়ে হয়না তাইতো আমি অথর্ব। :)

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: বর্তমান সময়ে দেশ ধর্ষন আর যৌনবিকৃতির ভয়াবহ কবলে ।



অবশ্য পাঠ্য পোস্ট । সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সহমত ভাইয়া।

সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

লজিক মানুষ বলেছেন: যখন একজন ছেলের থেকে তার মেয়ে বন্ধুর আগ্রহ বেশি থাকে তখন তাকে প্রতিরোধরের উপাই কি?

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। ধন্যবাদ মুল্যবান একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের আইনে যৌননির্যাতনের শাস্তির বিধান এবং বিচার প্রক্রিয়াটি মোটেও সন্তোষজনক এবং সুবিধার না!
এই আইনের সংস্কার জরুরী।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও আপু আপনার সাথে পুরোপুরিভাবে সহমত। এই আইনের সংস্কার জরুরী এবং তার চেয়ে বেশী জরুরী আইনের সঠিক প্রয়োগ।

১৮| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

প্রিয়ভাষিণী বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট! পুরোটা পড়তে সময় লাগবে।
শোকেশে নিলাম, সময় নিয়ে পড়বো।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুভকামনা রইল প্রিয়ভাষিণী। যদি পোস্ট এতটুকু সার্থক হয় তবেই আমার পরিশ্রম কাজে দিল ভেবে নেব।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে ব্যক্তি যৌন নিপীড়ন করে সে অবশ্য আইনের দণ্ড বিধির কথা মনে হয় মাথায় খেয়াল রেখে করে না । শহর বা গ্রাম যাই ই বলি না কেন -- শুধু অশিক্ষিতরাই নয় লেখাপড়া জানা মানুষও একক বা দলগতভাবে ধর্ষণের মত ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয় / থাকে।

এসিড ছুঁড়ে মারার জন্য যে মৃত্যু দণ্ডের মত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে , ধর্ষণের জন্যও অনুরুপ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা দরকার।

শাস্তি প্রদান , সামাজিক লোক লজ্জার ভয় , জেল জরিমানা, সালিশ ইত্যাদির ভয়ে অনেকে বিরত থাকলেও সুযোগ মত পরিবেশ পেলেও তাদের লকলকে লোভের জিহ্বা বের হয় । তাই আইন কার্যকরী করার পাশাপাশি নিজের রিপুকে দমন করা উচিত সবার আগে।

ধর্ষণ , যৌন নিপীড়ন আর যৌন বিকৃতির সাথে হস্ত মৈথুনের ব্যাপারটা এক দাগে যায় না মনে হচ্ছে। পাবলিক প্লেসে বা কোন কিশোরী বা যুবতীকে দেখিয়ে হস্ত মৈথুন করা হচ্ছে যৌনতার নিপীড়ন। যৌন বিকৃতির সংজ্ঞাটা একটু অন্য রকম। অস্বাভাবিক যৌনতা কে পছন্দ করে সেটার প্রয়োগ কে বিকৃতি বলা যেতে পারে ( উদাহরণ দিতে ইচ্ছে করছে না ) তবে হস্ত মৈথুন কে চিকিৎসক রা যেভাবে দেখেন সেটা এবং কোন ব্যক্তি যেভাবে সেটার প্রয়োগ ঘটান , বারবার প্রয়োগ ঘটান সেটা আলাদা ব্যাপার। এই প্রসঙ্গ টা এই পোস্টে একটু ব্যাপক জায়গা নিয়েছে মনে হয় ।

আইনি সহায়তা পাবার যে ঠিকানা সেটা সত্যিই উপকার হবে সবার জন্য ।

অনেক সময় নিয়ে , এক মাস পরিশ্রম করে তথ্য গুছিয়ে যে পোষ্ট আপনি দিয়েছেন সবার সচেতনতা বা পরামর্শের জন্য নেট থেকে তথ্য নিয়ে সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারী ভাই।

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আইনের দণ্ডবিধী মাথায় রেখে করেনা এই কারনে যে এই দেশে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। যদি প্রকাশ্যে এমন অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হত তবে সবসময় তাদের মাথায় শাস্তির চিন্তা থাকত, আর তারা এসব কাজ থেকে দূরে থাকত বলেই আমি মনে করি।

হস্ত মৈথুন অবশ্যই যৌন বিকৃতির একটি অংশ যা ইসলাম কখনোই সমর্থন করেনা। এটা যারা করে তারা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়াকে ত্যাগ করেই করে। আমার এই পোস্ট শুধুমাত্র ধর্ষণ কেন্দ্রিক নয় যা পোস্টের শিরোনামেই দেয়া আছে নাহলে শিরোনাম অন্যরকম হত। এই স্থান টুকু এই কারনেই ব্যপক জায়গা নিয়েছে যে এটি প্রাথমিক যৌন বিকৃতির একটি অংশ। যার দ্বারা আমাদের কোমলমতি শিশুরা ছোট বেলা থেকেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হস্তমৈথুন শব্দটি শুনেই যদি আপনার এমন মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে থাকে তবে আমি বলব এটাকে প্রশ্রয় না দিয়ে এর বিরুদ্ধে নিজে সোচ্চার হন, পারবারিক এবং সামাজিক ভাবে সোচ্চার হন। যে কোন নেশার পেছনে যেমন সিগারেটকে দ্বায়ী করা হয় বলা হয় সিগারেট ক্ষতিকর তেমনি এই হস্তমৈথুন ক্ষতিকর অবক্ষয়ের উৎস হিসেবে।

এই পোস্টে শিশু নির্যাতন আরও বেশী জায়গা নিয়েছে সেটাও খেয়াল করবেন।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

২০| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

আল ইফরান বলেছেন: @রেজোওয়ানা আপু, আমাদের দেশের সাবস্ট্যানশিয়াল আইনের কোনো দুর্বলতা নেই।
তবে ওপেন ট্রায়ালের পরিবর্তে,যৌননির্যাতনের মামলাগুলো হওয়া উচিত ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে।
এটা একটা বড় সমস্যা।

@কান্ডারী অথর্ব ভাই, আইন দিয়ে নয়, এই ধরনের অপরাধগুলোকে প্রতিরোধ করতে চাইলে ধর্মীয় ও নৈতিক অনুশাসনের দিকে জোর দিতে হবে বলে আমি মনে করি।

চমৎকার লিখেছেন, পোস্টে প্লাস :)

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের দেশের সংবিধান যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী ইসলামিক বা ধর্মীয় অনুশাসনে চলেনা তাই ধর্ষণ আইনের আওতায় আসা উচিত বলেই আমি মনে করি।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২১| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট , , হয়তো ছুটির দিনের সেরা এটাই ++++++

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আইনের সংস্কার জরুরী এবং তার চেয়ে বেশী জরুরী আইনের সঠিক প্রয়োগ।

২২| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হস্তমৈথুন শব্দটি শুনেই যদি আপনার এমন মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে থাকে তবে আমি বলব এটাকে প্রশ্রয় না দিয়ে এর বিরুদ্ধে নিজে সোচ্চার হন, পারবারিক এবং সামাজিক ভাবে সোচ্চার হন।



---- আপনার প্রতি মন্তব্যের এই উত্তর টা আমাকে ভাবালো। শুধুমাত্র এই শব্দের কারণেই কেন মন্তব্য করতে আসব ! এখানে অনেক অনেক বিষয়, শাখা - উপশাখা এসেছে । একটা মন্তব্যে তো পুরো পোস্টের উপর আলোকপাত করা সম্ভব না ।

এটা একটা পিনড পোষ্ট হবার মত উপযুক্ত পোষ্ট। ঘুরে ফিরে এখানে অনেকেই আসবেন , আলোচনা করবেন। অনেক যুক্তিই আসবে !

আমার মন্তব্য বা আমার দেখা দৃষ্টি ভঙ্গী আপনার সাথে হয়ত সব সময় মিলবে না , এটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। তবে আপনার বিরক্তির কারণ ঘটানো আমার উদ্দেশ্য নয়।

ভালো থাকবেন।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপু আমি আমার পোস্টে আপনাকেই একজন ভাল সমালোচক হিসেবে গ্রহন করেছি। এবং চিরদিন তাই চাইও। তাই বিরক্তির প্রশ্নই আসেনা। এটা বলে আমাকে আরও মন খারাপ করিয়ে দিলেন।

আমি শুধু মাত্র আমার পোস্টের পক্ষে বলতে চেয়েছি। যদিও এখন আমি অনুতপ্ত যে আমার বলার ভঙ্গিটি হয়ত ভুল হয়ে গেছে তবে সেটা অবশ্যই বিরক্তি থেকে নয়। আমি ক্ষমা চাইছি আমার অনিচ্ছাকৃত বাক্যালাপের কারনে।

আপু এই পোস্ট কেন দিলাম তার পেছনের একটি গল্প বলি। যদিও চেয়েছিলাম গল্পটি উহ্য রাখতে কিন্তু এখন আর না বলে পারছিনা।

আমাদের এলাকার তের বছরের একটি ছেলে তার ইস্কুলের কিছু বন্ধুদের পাল্লায় পরে বাড়িতে নিয়মিত হস্তমৈথুন করে। যা ওই ছেলে আর তার পরিবারের উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিস্তারিত বর্ণনা এখানে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা ( বিষয়গুলো খুব সেনসিটিভ )। ইস্কুলেও এই নিয়ে ছেলেটির বাবা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেন। কিন্তু ছেলেটি এখন ইস্কুলে এবং বাসায় এই নিয়ে চরম হীন মন্যত্যায় দিন যাপন করছে। যেটা ছেলেটির মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

শুধু মাত্র এই ভাব ধারা থেকেই এই পোস্ট দিয়েছি সাথে এও চেয়েছিলাম সামগ্রিক ভাবে বিষয় গুলো তুলে ধরতে। তবে ইচ্ছে করেই হস্তমৈথুন এর উপর ক্ষোভ থেকেই যেহেতু এই পোস্টের সুচনা তাই একেই একটু বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়ে গেছে।

আসা করব এবার আমাকে আর ভুল বুঝবেন না।

২৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

স্বপনবাজ বলেছেন: দুর্দান্ত পোষ্ট ! তবে পুরোটা পড়তে পারিনি ! প্রিয়তে রাখলাম , পরীক্ষা শেষ হলে পড়বো !

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পরীক্ষা মোটেও খারাপ দেয়া চলবে না। পরীক্ষা শেষে দেখা হবে।

২৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্বপনবাজ বলেছেন: দুর্দান্ত পোষ্ট ! তবে পুরোটা পড়তে পারিনি ! প্রিয়তে রাখলাম , পরীক্ষা শেষ হলে পড়বো ! তখন মতামত , আরো ভালো লাগা কিংবা খারাপ লাগা শেয়ার করে যাবো গুরু ! শুভকামনা !

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুভকামনা অভি ভাইয়া।

২৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

জাতির চাচা বলেছেন: স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাতো টিচারদের কাছে নিরাপদ নয় ।।এটি আসা উচিৎ ছিলো।যদি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে লিখে থাকেন তবে ঠিক আছে তবে বাংলাদেশে শুধু মাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার করনে কেউ রেপ এর রিস্কে আঁচে এটা মেনে নেয়া যায় না।তবে সর্বোপরি লেখাটি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাইয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরার জন্য। আসলে সামগ্রিক ভাবে চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছু ভুল ভ্রান্তি পোস্টে রয়েগেছে। আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী।

২৬| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

মাক্স বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। ১৭তম ভালোলাগা!

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

২৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পোস্টের নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছিল পোস্টটা প্রাপ্ত বয়স্ক দের জন্য। কিন্তু তারপরও বলব, পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে একটা ১৮+ ট্যাগ লাগালে ভাল হত। যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ সম্পর্কে সুন্দর কিছু বক্তব্য উঠে এসেছে। সাথে এসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান আর আইনগত সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করায় পোস্টটা দরকারি পোস্টে পরিনত হয়েছে। পোস্টটা স্টিকি হওয়ার যোগ্য।

আর একটা কথা, হস্তমৈথুনের বিষয়টা একটা আলাদা পোস্ট হিসেবে দিলে ভাল হত বলে মনে হয়েছে।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

একটি ছোট ঘটনা বলেই ফেলি কেন এই পোস্টের অবতারনা ?


আমাদের এলাকার তের বছরের একটি ছেলে তার ইস্কুলের কিছু বন্ধুদের পাল্লায় পরে বাড়িতে নিয়মিত হস্তমৈথুন করে। যা ওই ছেলে আর তার পরিবারের উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিস্তারিত বর্ণনা এখানে দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা ( বিষয়গুলো খুব সেনসিটিভ )। ইস্কুলেও এই নিয়ে ছেলেটির বাবা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেন। কিন্তু ছেলেটি এখন ইস্কুলে এবং বাসায় এই নিয়ে চরম হীন মন্যত্যায় দিন যাপন করছে। যেটা ছেলেটির মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

সেই চিন্তা ধারা থেকেই এই পোস্ট দেয়া। তাই ১৮ + ট্যাগ দেয়া হয় নাই, যেহেতু বিষয়টি এখন তের বছরের একটি শিশুর উপরেও প্রভাব ফেলেছে।

আর সেই কারনেই হয়ত হস্তমৈথুন বিষয়টি একটু বিস্তারিত ভাবে দিয়ে ফেলেছি। তবে ক্ষমা করবেন। হ্যাঁ অবশ্যই আলাদা ভাবে একটি পোস্ট দেয়া যেত কিন্তু সেটা না করে ভেবেছিলাম একটু সামগ্রিক ভাবেই পোস্ট দেই।

২৮| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। মাস খানেক সময় নিয়ে পরিশ্রম করে পোস্ট তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধর্ষন প্রতিরোধে দরকার সামাজিক আন্দোলন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ।

সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

২৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মৃন্ময় বলেছেন: ভাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম সময় করে পড়তে হবে।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

৩০| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

বাঙলি বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। পুরোটা পড়া হলো না, পরে পড়ব তাই প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধর্ষন প্রতিরোধে দরকার সামাজিক আন্দোলন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ।

সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

৩১| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গুড পোস্ট ।

তবে আমাদের মনে হয় এবার ভার্চুয়াল লাইফ থেকে বেরিয়ে বাস্তবে গিয়ে ধর্ষণ বিরোধী এসব প্রচারনা চালানো উচিত ।

গ্রামে এবং চর এলাকায় ধর্ষণটা বেশী হয় । এই এলাকার মানুষ আবার একটু বেশী ই ধর্ম ভীরু হয় । তাই ধর্মের সাথে ধর্ষণের সংঘর্ষটা কিংবা ধর্ষণ সম্বন্ধে ধর্মগ্রন্থগুলোতে কি লিখা আছে সেটা যদি গ্রামে গিয়ে মানুষকে বুঝানো যায়,প্রচারনা চালানো যায় তাহলে ধর্ষণটা অনেক পরিমানে কমানো যাবে ।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সুন্দর এবং বাস্তব সম্মত প্রস্তাবনা। সহমত রইল।

৩২| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৮

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাল হুইছে। ধর্ষন প্রতিরোধে দরকার সামাজিক আন্দোলন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ।

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধর্ষন প্রতিরোধে দরকার সামাজিক আন্দোলন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ।

৩৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২২ তম ভালোলাগা ভ্রাতা +++

অনেক খেটেছেন :)

ভালো থাকবেন :)

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সমাজে সুচিন্তা আর সুরুচি'র বিকাশ ঘটুক ।

৩৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিশাল পোস্ট। অর্ধেক পড়লাম।বাকিটাপরে পড়ব,

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

৩৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

মুশাসি বলেছেন: শুধু একটা শব্দ- অসাধারন

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ দেব না শুধু কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আসলেই সুন্দর এক্টা পোষ্ট

চমৎকার

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আন্তরিক ভালোবাসা জানবেন ভাইয়া।

৩৭| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:


দুর্দান্ত কান্ডারী পোষ্ট ও প্রিয়তে।

২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাইয়া যেভাবে পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে মনের মত করে গুছিয়ে পোস্ট দিতে পারিনাই।। তবু প্রিয়তে নিয়েছেন সেটা আমার পরম সৌভাগ্য।

৩৮| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

আরজু পনি বলেছেন:

খুবই সমৃদ্ধ একটা পোস্ট।
লেখার ধারাবাহিকতার এক পর্যায়ে এসে মনে হয়েছে একটা অধ্যায় অন্যগুলোর তুলনায় যথেষ্টই বিস্তারিত। সেক্ষেত্রে তা নিয়ে আলাদা পোস্ট হতে পারতো।



মন্তব্য লিখতে লিখতেই ইলেকট্রিসিটি চলে গিয়েছিল। তাই আবার লিখতে হলো।
প্রিয়তে নিলাম।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপু ধন্যবাদ আপনার চমৎকার পর্যবেক্ষণ দৃষ্টির জন্য এখন আমার কাছেও তাই মনে হচ্ছে কেন যে ওই অংশটুকু পোস্টে এভাবে বিস্তারিত দিয়ে ফেললাম নতুবা আরও একটি পোস্ট দেয়া যেত।

৩৯| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

সোর্বিয়ের বলেছেন: আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার, খুব বেশি।

শুভ্চ্ছো, সুন্দর পোস্টের জন্য।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুস্থ মানসিকতার জন্য চাই সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার শিক্ষা ও পরিবেশ।

৪০| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: এ রকম পোষ্ট আরো বেশী বেশী আসা দরকার।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান ভাই এমন পোস্ট আগেও এসেছে, এখনো আসছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে।

৪১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

~মাইনাচ~ বলেছেন: আপনার মেধার পরিচয় এই পোষ্ট

সময়পোযোগী জোড়ালো পোষ্টে মাইনাচ B-)

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হইব না মাইনাচ ভাই আপনার নাম মাইনাচ দেইখা খালি এইভাবে মাইনাচ দিবেন :(


তাইলে দুইবার মাইনাচ দিয়েন, মাইনাচে মাইনাচে প্লাচ পাইয়া যামু।

৪২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: স্টিকি পোস্ট করা উচিত...

কালজয়ী কবিতা , উপন্যাস এগুলি পড়ার উপরও জোর দেওয়া উচিত।পিউর কনসেপ্ট - গড়ে তুলতে হবে।ধর্মীয় বাধন শক্ত করতে হবে... অবশ্য আপনি পোস্টে সবই বলে দিয়েছেন... সময়োপযোগী পোস্ট।

এ ধরনের পোস্ট আরও চাই।

২৫ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ করিম ভাই। আপনার সাথে সহমত। আশা রাখি এমন ধরনের পোস্ট আরও দিতে পারব আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা পেলে।

৪৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দারুন পোস্ট।

২৫ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অসংখ্য ধন্যবাদ মাহতাব ভাই সাথে থাকার জন্য।

৪৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট।
প্রিয়তে++++

২৮ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: টিপস গুলা বেশি ভালা লাগছে

কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।


বেস্ট ওয়ান

++++

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভ্রাতা। আমাদের এই ক্ষয়ে যাওয়া সমাজটা সুন্দর হয়ে উঠুক।

৪৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৫০

রবিন মিলফোর্ড বলেছেন:

দারুন সচেতনামূলক পোস্ট ।

++++

২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই বিষয়ে সচেতনতা খুব বেশী জরুরী। ধন্যবাদ ভাই।

৪৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

চাঁদ ~ মামা বলেছেন: আচাম পুষ্ট মামা , অচাম


প্রিয়তে ++++++++++++

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

থেঙ্কু চাঁদ মামা কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৫

টেস্টিং সল্ট বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন। হোমোসেক্সুয়ালিটি আর পেডোফিলিয়া এক নয়। এছাড়া বাকি পোস্ট এর জন্য অশেষ সাধুবাদ জানাই। পোস্টটি শারীরিক শিক্ষা বই তে সংযুক্ত করার মতন একটা পোস্ট।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান সাজেশনের জন্য।

৪৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: অসম্ভব ধন্যবাদ। এত কষ্ট করে পোস্ট দেওয়ার জন্য। ইশস মানুষ কি খাটা খাটনি করে পোস্ট দেয়। আর মডু মিয়া নিজের দুই লাইনের পোস্ট নির্বাচিত পাতায় দেয়।

৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইটা আবার কি কইলেন রে ভাই B:-) B:-) B:-)

৫০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৭

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আপনি নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের উপর বেশি আলোকপাত করছেন তবে আমার মনে হয় ঠিকই আছে ! কারন এই জিনিসে বেশিরভাগই অভস্থ !

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম ভাইয়া এটাই যত নষ্টের মূল যত সূত্রপাত। ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

৫১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪

বহুব্রীহি বলেছেন: "বিভিন্ন যৌন অপরাধীদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে সে, শিশুরা যৌন অপরাধের শিকার হয় খুব কম ক্ষেত্রেই"

ভাই এই তথ্যটি কথা হতে পেলেন বলবেন কি?

# আপনাআর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু নিঃসন্দেহে আপনি এর স্বপক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারবেন যে দেশে শিশু ধর্ষনের হার উল্ল্যেখযোগ্য নয়। আপনি দয়া করে আমার লেখা অন্ধকারের গান সিরিজটা [ প্রথম পর্ব , দ্বিতীয় পর্ব] পরুন। বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন ও যৌন অপরাধের হার নিয়ে পূর্নাঙ্গ গবেষনা সমীক্ষা হয় নি। ইউনিসেফের একটা গবেষনা পত্র পাবেন। ওটা পড়লে বুঝবেন পরিস্থিতি আসলেই কত ভয়াবহ। আপনার লেখার শেষাংশে শিশু নির্যাতনের কথা এসেছে কিন্তু আমার কাছে প্রথম অংশের সাথে বিরোধ পূর্ন মনে হওয়ায় উল্লেখ করে দিলাম। দ্বিতীয় আরেকটা ব্যাপার হল ছেলে শিশুরাও যে প্রায় সমান হারেই ধর্ষিত হচ্ছে সেটা আপনি উল্ল্যেখ করেন নাই। নারী নির্যাতনের উপাত্তগুলোর লিংক বা উতস উল্ল্যেখ করলে ভালো হত।

# পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত তবে একসাথে অনেক তথ্য দেয়ায় বিসদৃশ আর খাপছাড়া-অগোছালো একটা টোন আছে লেখায়।

# আর সমকাম কোন অপরাধ নয় যদি সেটা পূর্ন বয়স্ক ব্যক্তির মাঝে স্বেচ্ছায় ঘটে থাকে। কারো সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কারণে আপনি ডিস্ক্রিমিনেট করতে পারেন না। সেটা আপনার ধর্ম বিশ্বাসর যতই বিপরীত হোক। একমাত্র উপর ওলাই তাদের বিচার করার অধিকার রাখেন। সমকামীরা , বিষমকামীদের মতন সমাজের সকল সুবিধার সমান দাবীদার।

# মাস্টারবেশন কোন খারাপ কিছু নয়। যদি এটা স্বতঃস্ফূর্ত হয় তবে। অধিক কোন কিছুই ভালো নয় এ কারণেই এটারো সুদূর প্রসারি মানসিক প্রভাব রয়েছে। অধিক মাস্টারবেশোনের ফলে আপনার লিবিডো হ্রাস পাবে। আপনি যৌন অক্ষম হয়ে পড়বেন। যে কোন পূর্ন বয়স্ক মানুষের জন্য স্বাভাবিক যৌনতাই কাম্য। কিন্তু কোন ভাবেই মাস্টারবেশকে যৌন অপরাধ বলা যায় না। আপনি কোন একাডেমিক পেপার দেখাতে পারবেন যে এটা ক্রিমিনাল এক্ট (আশা করি ক্রিমিনাল এক্ট এর সংজ্ঞা কি সেটা জানা আছে) এটা আসলে একটা নোইতিক অপরাধ। মিথ্যা বলা যেরকম।

# আলফ্রেড কিনসে একজন ভয়াবহ রকমের হারমি রিসার্চার। সে কোন ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ট্যাবু যৌনতা নিয়ে অনেক রিসার্চা করেছে এবং মন গড়া তথ্য দিয়েছে। আপনার লেখায় তার উদ্ধৃতি দেয়াটা ভালো চোখে দেখলাম না। আপনি রাগ ইমনের এই পোস্টটা পড়েন।

বিতর্কিত সাইন্স রিসার্চ ও সেক্স নিয়ে গবেষণা - আলফ্রেড কিনসে


# বাংলাদেশে আঈন আছে প্র্যোগ নাই। আদালতে ধর্ষিতাকে দ্বিতীয় বার রেপ করা হয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে এই ধর্ষকরা ছড়িয়ে আছে। আমার খুব হতাস লাগে যখন ধর্ষকের ধর্ম কিংবা জাতিগত প্রিচয় তার কু কর্মের চেয়ে বড় হয়ে যায়। ধর্ষন বৃধি পাওয়ার একটা অন্যতম কারণ পর্ন এদিকশান। অবিলম্বে সরকারের উচিত হিন্দী চ্যানেল আর পর্ন সাইট গুলো ব্লক করে দেয়া। দ্বিতীয়ত আইনের শাসন আর ধর্ষিতার প্রতি সমাজ যে আচরণ করে সেটার পরিবর্তন খুব খুব জরুরী।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সমকামিতা ও মাস্টারবেশন এর প্রতি আপনার সমর্থন দেখে আমি আর আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর দেয়ার রুচি বোধ করছিনা।

সব কিছু বিচার করার অধিকার যখন ঈশ্বরই রাখেন তখন আর দেশে আইন আদালত থাকার দরকার কি? আপনার সন্তান যখন সমকামিতায় কিংবা মাস্টারবেশন এ লিপ্ত হবে তখন আপনি তাকে যদি প্রতিরোধ না করেন সেই কামনাই করব।

তথ্যগত সীমাবদ্ধতা থাকবেই, এই জন্যই একই বিষয়ের উপর অনেকেই লিখছে। কোথাও পূর্ণ তথ্য কোথাও অপূর্ণ তথ্য এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার মন্তব্যের টোন একটু কর্কশ লেগেছে। ধন্যবাদ এই নিয়ে আর ভবিষ্যৎ বিতর্ক না করলেই খুশি হব।

শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

৫২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।


ঘরে বাইরে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী । ঘরে বাইরে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

৫৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২

জাতির শ্বশুর বলেছেন: সময়পযোগি পোস্ট ........

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ জাতির শ্বশুর ।

৫৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

বহুব্রীহি বলেছেন: আমি কিন্তু আপনাকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করি নাই। আমার সন্তানের কথা টেনে এনে আপনিই কাদা ছুড়লেন। কমিউনিটি ব্লগে যেহেতু পোস্ট দিয়েছেন সেহেতু আপনার লেখার সমালোচন করার অধিকার আমি রাখি, ঠিক সেরকম আপনিও আপনার পোস্টে মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করতে পারেন। ভালো না লাগলে ব্লকও করতে পারেন।

তা ভাইজান কি আমাকে সমকামী বানায় দিলেন নাকি? আপনার মন্তব্য আর লেখা দেখে আমার মনে হচ্ছে আপনি হোমোসেক্স্যুয়ালিটি আর পেডোফেলিয়াকে এক করে দেখছেন।

ডিফারেন্স অফ অপিনিয়ন থাকপবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় আপনি গায়ের জোরে নিজের কথাকে সঠিক বলে চাপিয়ে দেবেন। দুটা পূর্ন বয়স্ক মানুষ নিজেদের মধ্যে কি করল তা ঠিক করার আমি আপনি কে! তারা সমকাম করলে আমাদের কি উচিত তাদের আগুনে পুরিয়ে মেরে ফেলা? কেবল মাত্র সেক্সুয়াল চয়েসের কারণে আইন দ্বারা তাদের প্রসিকিউট করা সঠি? যদি আপনার উত্তর হ্যা হয় তাহলে আমার আর বলার কিছু নাই। যেহেতু এই পোস্ট সমকামিতা বিষয়ক নয় তাই আমি আর তর্কে যাবো না। দয়া করে নিজের কথার বিপরীতে পবিত্র গ্রন্থ থেকে টুকবেন না। জার্নাল সুত্র দিন না হলে বলুন ঐটি আপনার ব্যক্তিগত অভিমত। আর আপনার ব্যক্তিগত অভিমত দ্বারা ল এন্ড অর্ডার প্রভাবিত হবে না।

ভালো থাকুন।
এটিই আপনার ব্লগে আমার শেষ মন্তব্য।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ।

৫৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২

েবনিটগ বলেছেন: +

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ

৫৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

আরািফন বলেছেন:

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৫

রাজীব বলেছেন: মাস্টারবেসন এর অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য ২৭টি টিপস দিয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে প্রয়োজনীয়টিই দেননি।

সেটি হলো।

যত তারাতারি সম্ভব বিয়ে করা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুন্দর প্রস্তাবের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.