![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
রাতের বেলা লিয়াকত সাহেবের ঘুম পায়না। তিনি বাড়ির ভেতর হাটা চলা করেই রাত কাটিয়ে দেন। মাঝে মাঝে রাস্তায় নেমেও হাটেন তবে সেটা খুব কমই করে থাকেন। কুকুর ভীষণ ভয় পান তিনি। আর রাতের বেলা কুকুরগুলো যেভাবে রাস্তা দখল করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়ায় সেখানে লিয়াকত সাহেবের মত রীতিমত একজন কুকুর ভীতু লোকের পক্ষে রাতের রাস্তায় হাটা চলা করা একটি ভয়ংকর ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। বয়স বাষট্টি বছর। কিছু দিন হল চাকরী হতে অবসর নিয়েছেন। এখন এই অলস সময়গুলোতে সময় কাটানো ভীষণ কষ্টকর একটি ব্যাপার তার কাছে। জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে মাত্র এই অল্প কিছু দিনের মধ্যেই। সারারাত না ঘুমিয়ে সারাদিন পরে পরে ঘুমানো একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এই ব্যাপারে তার দর্শনটি চমৎকার। সারারাত নাঘুমানো তার শুধু মাত্র সারাদিনের অবসর সময়গুলো নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়ার জন্যই। এতে করে তার অলস সময়গুলো সুন্দর কেটে যায়। অফিসের প্রতি মায়া ভুলে থাকতে পারেন। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছরের চাকরী জীবনের মায়া কি আর এত সহজেই ভোলা সম্ভব।
লিয়াকত সাহেবের স্ত্রী মারা গেছেন তা আজ প্রায় আট বছর হলো। হৃদপিণ্ডের ধমনীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে একসময় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একটি সরকারী অফিসের সাধারন কেরানী হিসেবে আর কতইবা বেতন পেতেন যা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারতেন। যেখানে সামান্য সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হতো সেখানে স্ত্রীর চিকিৎসা করানো তার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা। অবশ্য এ নিয়ে তার স্ত্রীর মনে কোন প্রকার ক্ষোভ ছিলোনা। শুধু মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিলেন তাদের একমাত্র মেয়েটিকে একটি ভাল ছেলে দেখে যেন তিনি বিয়ে দেন। কিন্তু লিয়াকত সাহেব সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন নাই। মা মারা যাওয়ার পর থেকে মেয়েটি একটু বড় বেশী অভিমানী হয়ে উঠেছে। কোন কিছুকেই সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনা। এইতো কিছুদিন আগেও একটি বিয়ের প্রস্তাব এনেছিলো পাশের বাড়ির খোকন সাহেব তার ছেলের জন্য। লিয়াকত সাহেব ছেলেটিকে তেমন পছন্দ করতেন না। এলাকার মাস্তান হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে ছেলেটির। শুধু মাত্র এলাকায় থাকেন তাই ভদ্রতার খাতিরে ছেলেটির কাছে মেয়েটিকে দেখাবেন বলে রাজী হলেন। চন্দ্রাকে সেদিন সন্ধ্যায় দেখতে এসেছিলো ছেলে পক্ষ। কিন্তু সে মেহমানদের চায়ে মরিচ দিয়ে একটি অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করল যেন ছেলে পক্ষ সেখান থেকে ভেগে যায়। আর হলও তাই। বিয়ে ভেঙ্গে গেলো। কিন্তু এক ধরনের চাপা ক্ষোভ রয়ে গেলো ছেলেটির ভেতর। এর শোধ একদিন সুযোগ বুঝে সে নিবেই এই আসায় অপেক্ষা করতে থাকল।
তবে মেয়ের বিয়ে নিয়ে লিয়াকত সাহেব মোটেও বিচলিত নন। বরং তিনি বিষয়টিকে বেশ উপভোগ করছেন। রাত জেগে জেগে তার মাথায় অদ্ভুত এক খেয়াল চেপে বসেছে। তিনি ঈশ্বরকে দেখতে চান। কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব হবে তাই নিয়েই তিনি ব্যাস্ত থাকেন সবসময়। ধর্মীয় আর বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু বই কিনে এনেছেন। ছোট খাটো একটা গবেষণার কেন্দ্রে পরিনত করে ফেলেছেন তার শোবার ঘরটিকে। কিন্তু চন্দ্রার এসব কিছু নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। সেও কিছুটা গবেষণা কেন্দ্রিক হয়ে পরেছে তবে তার গবেষণার বিষয় হল শয়তান নিয়ে। তার খুব ইচ্ছে জীবনে একবার হলেও শয়তানের মুখোমুখি বসে প্রেম নিবেদন করা। তার শোবার ঘরের দেয়ালে আগে যেখানে বাবা-মার একটি যৌথ ছবি ঝুলানো ছিলো সেখানে এখন শোভা পাচ্ছে বাফোমেটের ছবি। ঘর ভর্তি মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকে সিগারেটের ফিল্টার আর ছাই। ইদানীং ধূমপান করতে বেশ ভালই লাগে তার। মাঝে মাঝে ঘরের বাতি নিভিয়ে দিয়ে রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে মোমবাতির সামনে বসে থেকে ধ্যান করে। চন্দ্রা মনে করে এভাবেই হয়ত সে একদিন শয়তানের দেখা পাবে।
হঠাত করে লিয়াকত সাহেবের মাথায় ভূত চাপল তিনি কিছুদিন দূরে কোথাও হতে ঘুরে আসবেন। অতপর এক সকালে অজানার পথে যাত্রা শুরু করলেন। তিনি পৌঁছালেন পাহাড়ি একটি এলাকায়। একটি কুঁড়ে ঘর ভাড়া নিয়ে নিলেন কিছুদিনের জন্য। এখানে হোটেল বলতে ছোট ছোট কুঁড়ে ঘরকেই বোঝায়। প্রতিদিন তাকে একটি পাহাড়ি মেয়ে এসে খাবার দিয়ে যায়। মেয়েটির নাম সুনেতা। চারিদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়। পুরো পাহাড়ি এলাকা জুড়ে অনেক রকম গাছপালা আর দুই পাশের পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলে গেছে সরু একটি নদী। নদীর গভীরতা খুব কম। নীচে পাথর জমে জমে এই অবস্থা হয়েছে। পানি এতই স্বচ্ছ যে পাথরগুলো স্পষ্ট দেখা যায়। পানির শীতলতা লিয়াকত সাহেবকে ভীষণ মুগ্ধ করেছে। তিনি এই জায়গাটিকে তার মেয়ে চন্দ্রার সাথে তুলনা করে ফেললেন। চন্দ্রার রূপেও যেন এমন এক পাহাড়ি মায়া বিদ্যমান। জায়গাটা অপরিচিত বলে তিনি সুনেতাকে তার গাইড হিসেবে পেতে চাইলেন। সুনেতাও খুসি মনে রাজী হয়ে গেলো। এমনই একদিন ঘুরতে ঘুরতে তারা এমন এক গভীর জঙ্গলে যেয়ে পৌঁছালো যে রাত হয়ে এলো। রাতের এই অন্ধকারে এতটা দূরের পথে ফিরে না গিয়ে অগ্যতা সেখানেই রাত কাটানোর জন্য মন স্থির করল তারা।
এমনিতেই পাহাড়ি এলাকা তার উপর আবার জঙ্গল। বড় বড় মশার কামড়ে অস্থির হয়ে গেলেন লিয়াকত সাহেব। কিন্তু সুনেতার কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তার এভাবে এমন অনেক রাত কাটিয়ে অভ্যাস আছে। রাতের শেষ ভাগে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু হল। লিয়াকত সাহেবের শরীরে ভীষণ জ্বর জ্বর অনুভূত হল। জ্বর চলেও এলো। জ্বরের তীব্রতা বেড়েই চলল। মনে হল এই বুঝি তার শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। এবার বুঝি আর রক্ষা নেই। সুনেতা এই ঘুট ঘুটে অন্ধকার রাতেও অনেক দূর হতে সাথে করে নিয়ে আসা পানির বোতলে করে পানি এনে মাথায় পানি পট্টি দিতে লাগল। এভাবে কখন যে ভোর হয়ে এলো সুনেতা টের পায়নি। ভোরের দিকে লিয়াকত সাহেবের জ্বর কমে এলো। সুনেতার কাঁধে ভর দিয়ে তিনি ফিরলেন। পাহাড়ি উঁচু নিচু এমন ভয়কর পথ যেখানে সামান্য অসাবধানতায় কয়েকশ ফুট উপর থেকে পরে গিয়ে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই সেই পথ শুধুমাত্র সুনেতার কাঁধে ভর দিয়ে চলতে চলতে তিনি ভাবলেন এইতো তার ঈশ্বর। এই ঈশ্বরের সাথে যদি জীবনের শেষ কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেয়া যেত তবে মরে গিয়ে দোযখ পেলেও তার আর কোন আফসোস থাকবেনা।
ওদিকে একা একা চন্দ্রার দিনগুলো বেশ কেটে যাচ্ছে। যেন বহুদিন ধরেই এমন একটি ঘরের সন্ধান সে করছিলো। এক রাতের বেলা প্রতিদিনের মত ঘরের বাতি নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে ধ্যানে বসল সে। কিছুক্ষন এভাবে ধ্যানে থাকার পর পেছন থেকে দুটি হাত এসে তাকে স্পর্শ করল। চোখ বন্ধ করে রেখেই চন্দ্রা ভাবল আজ তার সাধনা পূর্ণ হয়েছে। শয়তান এসেছে তার ডাকে সাড়া দিয়ে। সেই অচেনা দুটি হাতের কাছে চোখ বন্ধ রেখেই নিজেকে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দিল চন্দ্রা। এভাবেই রাত কেটে গেলো তাদের। খুব ভোর বেলা লিয়াকত সাহেব ফিরলেন সাথে সুনেতা নিয়ে। তিনি সুনেতাকে বিয়ে করেছেন। এই নিয়ে বেশ উৎফুল্ল মেজাজেই তিনি কলিং বেল চাপলেন। তার বিশ্বাস তার মেয়ে এই বিয়েকে খুব সহজ ভাবেই মেনে নেবে। কিছুক্ষন কলিং বেল চাপার পর ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো। তিনি ভাবলেন না মেয়েটি এত বড় হয়েগেছে তবু মাথায় এখনো কোন বোধ জ্ঞান হলনা। তিনি মেয়েকে আজ কঠিন ভাবে বকাঝকা করবেন এই বিষয়ে তাই চিৎকার করতে করতে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করলেন। ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত সম্পূর্ণ নগ্ন নিথর দেহ পরে আছে চন্দ্রার। পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন। লিয়াকত সাহেব মেয়ের এমন পরিনতি দেখে শুধু একবার অস্পষ্ট কণ্ঠে বলে উঠলেন শয়তান।
-------------------------------------------------------------------
আজ বহুদিন পর আমার একটি পুরানো ডায়েরি নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। সে সময়ের আমার লেখা এই গল্পটি পড়ে ভীষণ নষ্টালজিক হয়ে পরলাম। গল্পটি কোন ভাবনা থেকে লিখেছিলাম মনে করতে পারছিনা তবে ঠিক এই প্লটেই নতুন করে একটি গল্প লেখার ইচ্ছে হলো। যদি লেখা শেষ করতে পারি তবে ব্লগে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে রইল। তাই এখন এই পুরানো গল্পটি ব্লগে প্রকাশ করার লোভ কিছুতেই সংবরণ করতে পারলাম না।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওই সময় থিকা নষ্ট হওয়া শুরু হইছিলো আমার। স্কুল পালায়া সিনেমা দেখছি কত। সেই সব দিনের কথা মনে পরলে চোখে পানি চলে আসে।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
আর আমারে ওই সময় বাচ্চা কই পাইলা। যে পোলা ওই সময় স্কুল পালাইয়া সিনেমা হলে গিয়া সিনেমা দেখত সেকি বাচ্চা নাকি।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: আকর্ষণ ধরে রেখেছেন শেষ পর্যন্ত। ভালো লেগেছে।
আচ্ছা চন্দ্রার যখন শয়তান এত পছন্দ তাহলে মাস্তানটাকেই বিয়ে করত। শুধু শুধু মরে গেলো।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সব দোষ ছোট বেলার আমার। কেন যে চন্দ্রার একটি ভাল ব্যবস্থা করতে পারলাম না।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৯
এহসান সাবির বলেছেন: চটপট পড়ে ফেলেছি। বেশ....!
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছোট বেলার ছোট গল্প চটপট শেষ করে ফেলছেন ধইন্যা নেন।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ঘুম থেকে ঊঠে পড়ব!! -
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঘুম থেকে জেগে উঠার কত দেরী বটবৃক্ষ ?
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০৬
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভাল্লাগছে দাদা
প্লাস লন
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা প্লাস ছোট বেলায় পৌঁছে গেলো।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১৯
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: শয়তান শিরোনাম দেখে ভয়ে পড়িনাই।একটু আমাদের মত ভীতু দের জন্য ফেরেশ্তা টাইপ পোষ্ট দিয়েন,প্লিজ।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফেরেশতা টাইপ পোস্ট আবার কি জিনিসরে ভাই।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২০
মোঃ নেসার আহমেদ লিমন বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাইধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৩
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: গল্পটি পড়তে পড়তে কেন জানি মনে হলো এটি একটা আনাড়ি হাতে লেখা যা কান্ডারী অথর্ব এর বর্তমান পোস্ট এর সাথে যায়না ,
তবে যখন জানতে পারলাম এটি ক্লাস নাইনে পড়া কান্ডারী অথর্ব এর লেখা তখন অনেক অবাক হলাম
সত্যি আপনাকে নিয়ে গর্ব হয় ।
পরের গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম...।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি এখনও কিন্তু আনাড়ি হাতেই লেখা লিখি রিঙ্কূ ভাই।
আর আমি গর্ব করি আপনাদের নিয়ে।
৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৪
বাংলার হাসান বলেছেন: বরাবরের মতই চৎকার লাগল। ++++++রইল।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ পৌঁছে গেলো ছোট বেলায়।
১০| ৩০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০০
দি সুফি বলেছেন: পরে পড়ব। বুকমার্ক করে রাখলাম।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া ধন্যবাদ।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২৯
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: দুরন্ত-পথিক বলেছেন: শয়তান শিরোনাম দেখে ভয়ে পড়িনাই।একটু আমাদের মত ভীতু দের জন্য ফেরেশ্তা টাইপ পোষ্ট দিয়েন,প্লিজ।
সেইসাথে ইউসুফ আলী রিংকূ ভাইয়ের সাথে সহমত।
কিছু বিষয় ছারা প্লটটি ভালো লেগেছে। +++++
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি এত্তগুলা দুষ্ট
১২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩০
আর.হক বলেছেন: রাতে পড়ি নাই সকালে লিয়াকত সাহেব যখন আসলেন তখন আমিও গল্প পড়ে শেষ করলাম।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লিয়াকত সাহেব কি আপনার পাশের বাসায় থাকেন নাকি
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
মামুন রশিদ বলেছেন: বলেন কি !! ক্লাস নাইনে থাকতেই এই গল্প লিখছেন !!
রিয়েলি জিনিয়াস, রিয়েলি গ্রেট কান্ডারী ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটেও গল্পের আবেদন একটুও ফুরোয় নি । শয়তানের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজে ।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই তখন প্রচুর বই পড়তাম। বই গুলো এই সর্বনাশের জন্য দায়ী।
হুম সেটাই শয়তান বেচে থাকবে যুগ যুগ ধরেই।
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো।
+++++++++
৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ বর্ষণ ভাই।
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
~মাইনাচ~ বলেছেন: মন্দ হয়নি ছোটবেলার গল্প
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মাইনাচ দিলেন না ?
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২০
মাক্স বলেছেন: রাতেই পড়সিলাম, জানান দেয়া হয় নাই!
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জানলাম ও ভালবাসা জানালাম।
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
নেক্সাস বলেছেন: গল্পটা যতটা আনাড়ী বলা হচ্ছে আমার কাছে কিন্তু ততটা মনে হয়নি। বেশ ভাল লেগেছে। গল্পের প্লট সুন্দর। বর্ননায় আরেকটু অলংকার থাকলে আরো উৎরে যেত। গল্পের সমাপ্তি আরো একটু গভীর হওয়া দরকার ...যাতে শেষ হয়েও হইলোনা শেষ... ভাবনা এসে দাঁড়ায়।
কিন্তু এক ধরনের চাপা ক্ষোভ রয়ে গেলো ছেলেটির ভেতর। এর শোধ একদিন সুযোগ বুঝে সে নিবেই এই আসায় অপেক্ষা করতে থাকল। এই ঘোষনাটা না হলে আরো ভাল হত। এটা পাঠকের ভাবনার জন্য রেখে দিলে পারতেন।
শুভ কামনা
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই গল্পের একটি আধুনিক ভার্সন অতি শীঘ্রই আসছে। অপেক্ষা করুন। এটা ছোট বেলায় লেখা এখন লিখে দেখব কেমন হয় তবে একই গল্প নয় কিন্তু প্লট একই থাকবে।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
লাবনী আক্তার বলেছেন: পিচ্চি কালের গল্প ভালই লাগল।
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ক্লাস নাইনের লেখা।
গল্পে ১০ম ভাললাগা।
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপ্নে দেহি জন্ম থেকে জ্বলছেন গুরু!!
অভি সত্যি একখান কথা কইছে। আমিও একমত টার সাথে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেবা পড়তাম তখন খুব ওইগুলা মাথায় চেপে বসত।
২০| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ক্লাস নাইনে থাকতে এই গল্প লিখেছেন! বলতেই হবে আপনার বয়সের তুলনায় লেখার হাত অনেক পরিপক্ক ছিল! চন্দ্রার শয়তানের উপাসনার কিছু বর্ণনা দিলে আরও ভাল হত।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইটার একটা আধুনিক ভার্সন লেখার চেষ্টা করছি তার জন্য কিছু খাটা খাটনি করতে হচ্ছে কিছু বিষয় নিয়ে। লেখা শেষ হলেই পোস্ট দিব। গল্প নিয়ে একটা ছোট ধরনের এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে। নিমন্ত্রণ রইল।
২১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভ্রাতা +++++++++ সামুতে তো এখন হরর গল্প আসেই না ! আমিও আর আগের মত হরর লিখি না
ভালো থাকবেন সবসময়
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জলদি একটা হরর গল্প উপহার দেন। নাইলে খবর আছে।
২২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ভালো লিখসিলেন। ভাষা, প্লট, কোনটাই আনাড়ী মনে হয় নাই। তবে একটু বেশি পেকে গেছিলেন মনে হচ্ছে (আমার মত) হাহাহা!
শুভকামনা।
৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই ক্লাস এইটে থাকতে প্রথম আমার বউরে প্রেমের প্রস্তাব দিছিলাম। তাইলেই বুঝেন অকাল পক্ক কাকে বলে !!!
যাক ভাইয়া একটু দোয়া করবেন একটা ছোট এক্সপেরিমেন্ট করছি এই গল্পটির উপর নতুন করে আধুনিকতার ছোঁয়ায় একটি গল্প লিখতে যেন সফল হই। আপনার সমালোচনা প্রয়োজন।
২৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওই বয়সে ভালোই লিখছেন । ছিমছাম ভাবে যা বুঝাতে চাইছেন তাই যেন লেখায় তুলে ধরছেন।
ধন্যবাদ
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বুঝতে পারছি ফাঁকিবাজি মন্তব্য করলেন। যাক ধন্যবাদ।
২৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
তুন্না বলেছেন: ভালো লাগলো। +++++++++++++++ রেখে গেলাম।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা জানবেন নিরন্তর।
২৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৪
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
হ-র-র
পড়লাম। আরো লিখলে আরো ভালো হবে।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম সেই ছোট ছেলেটি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।
২৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৭
সায়েম মুন বলেছেন: ক্লাস নাইনের নয় মনে হলো আরও উচ্চতর কোন ক্লাসে থাকতে লিখেছিলাম। বয়সের তুলনায় যথেষ্ঠ পরিপক্ক লেখা। ভাললাগা রইলো।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বয়সের তুলনায় তখন পড়তামও পরিপক্ক বই যেগুলো প্রচণ্ড এফেক্ট করেছিলো।
২৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
ইমেইল পাইছিলেন?
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চেক করা হয় নাই।
২৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পাক না রে!!!!!! পুরাই পাকনা!!!!!!!!!!!!!
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরে আপনার ভাই বলে কথা।
২৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ক্লাশ নাইনে থাকতে লিখা?
আমি তো এই বুইড়া বয়সে ও পারুম না এর কাছাকাছি এক গল্প লিখতে
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি যে কবিতা লিখেন আমিত হাজার চেষ্টা করলেও তার ধারে কাছে যেতে পারবনা।
৩০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: লেখাটা বেশ ভাল হইছিল তো। আপনি দেখি ছোটবেলা থেকেই ভাল লিখেন ।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার ডায়েরি লেখার অভ্যাস আছে। ওখানে যখন যা মাথায় আসে লিখে রাখি। এই গল্পটি তেমনি লিখে রাখা।
৩১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফাঁকিবাজি মন্তব্যও আমি পারতোপক্ষে করি না। আপনি এই গল্প যখন আবার লিখবেন তখন নিশ্চয়ই আবার কমেন্ট করবো। আপনার ঐ বয়সের মানসিক যা পরিপক্কতা সেটাই এখানে তুলে আনছেন । আর সেই সময়ের লেখা নিয়ে মনে হয় না আলোচনা, সমালোচনার কিছু আছে। প্রশংসা যা করার করেছি যে ঐ বয়সে ভালোই লিখেছেন।
ভালো থাকবেন।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তবে সমালোচনার অপেক্ষায় রইলাম নেক্সট পোস্টের জন্য।
৩২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশী সমালোচনায় কারো কারো জন্য মনের কষ্টের কারণ হয়। তাই ভাবছি একটু কম কম বলব সবাইকেই। আর আমি নিজেও সব ব্যাপারে বুঝি না বলে আন্দাজে সব পোস্টে কমেন্ট করা ঠিক না তাই কমেন্ট করা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছি , দেখেন না ?
এনি ওয়ে ভালো থাইকেন ভাই ।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কে যেন বলেছিলেন নিন্দুকেরে বাসি আমি সবচেয়ে ভালো কিন্তু আমি বলি যে নিন্দুক কারো ভালো চেয়ে সমালোচনা করে তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখা যায় কিন্তু অনেকেই আবার মনের হিংসা থেকে করে থাকে সেটা কাম্য নয়।
৩৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
মুশাসি বলেছেন: শুভ বিকেল কান্ডারী ভাই
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ রাত্রি ভাইয়া।
৩৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২
~মাইনাচ~ বলেছেন: হ
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হ
৩৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: বরাবরের মতই
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বরাবরের মতই পেলাম বুঝে।
৩৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪০
একজন আরমান বলেছেন:
আপনি তো সেই ছোট থেকেই মেধাবি।
হিংসে হয় আপনাকে দেখে।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থেঙ্কু সেই মেধাবীর পক্ষ থেকে।
৩৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
এরিস বলেছেন: ক্লাস নাইনে থাকতেই এই অবস্থা!! মুল বিষয়টি অসাধারণ হলেও, বর্ণনাটি একদম সরল ছিল। এতোটা সোজা করে লিখতে দেখিনি আগে, ভাবছিলাম। পরে তো কাহিনী বুঝা গেলো, এটা একটা পিচকুর লেখা।
কিন্তু একটা ক্লাস নাইনের বাচ্চা লেখক গল্পে "বাফোমেট" শব্দটি ব্যবহার করেছে, এবং একজন অনার্স পড়ুয়া পাঠক সেটার অর্থ বুঝতে পারেনি। আফসোস।
এখনকার লেখা হলে শয়তানকে জিতিয়ে দেয়ার ব্যাপারে যুক্তি চাইতাম।
অদ্ভুত খেয়ালে লেখা। সুন্দর। প্লাস দিয়ে গেলাম।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইটার বড় কালের ভার্সনের জন্য অপেক্ষা করেন। দেখা যাক ঘটনা এবার কি দাড়ায়।
৩৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২
আশিক মাসুম বলেছেন: কি বলবো ??!!
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থাক আমিই বলি ভালোবাসি।
৩৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
উঠতি বুদ্ধিজীবী বলেছেন: অসাধারন বললেও অনেক কম বলা হবে। ++++++
লেখার জন্যে এত্তগুলা ++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া প্লাস দিয়ে আবার হাসলেনও
৪০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম !!
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মুন আপনাকে অনেক অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপ্নে দেহি জন্ম থেকে জ্বলছেন গুরু, আই মিন বাচ্চা কয়াল থেকে লেখক !! গল্প ভালো হইছে , ক্লাস নাইনের বাচ্চা ছেলে ভালো লিখছে !