![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
মাঝে মাঝে ফজরের আযান চলাকালীন সময় রাস্তায় কুকুরগুলোর চিৎকার চ্যাঁচামেচি বেড়ে যায়। কিন্তু এর কোন সুনির্দিষ্ট কারণ আমার জানা নেই। মাথায় এলো সোলেমান চাচার নাম। একমাত্র তার কাছেই এ ধরনের রহস্যের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সোলেমান চাচা আমাদের এলাকার টং দোকানদার। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জিই তার একমাত্র পরিধানের বস্ত্র। তবে মাথায় একটি সাদা রঙের টুপি পরে থাকেন সবসময়। গোঁফ কামিয়ে মুখে লম্বা দাড়ি রাখেন। কিন্তু কখনও নামায পড়তে দেখা যায়না। সারাদিন দোকানদারী করেই হয়ত আর নামাযের সময় পান না তবে ধর্ম নিয়ে অনেক জ্ঞান রাখেন। দোকানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রেখেছেন যেখানে লাল রং দিয়ে লেখা রয়েছে সোলেমান চা স্টল। চা, সিগারেট, কলা আর নানান রকমের বণ রুটি বেঁচেই তিনি সারাদিন একা মানুষ হিমশিম খান।
চাচার দোকানে বিরাট হট্টগোল বেঁধেছে। সিফাত ভাইয়ের সাথে চাচার তুমুল বাকবিতন্ডতা হচ্ছে। সিফাত ভাই আমাদের এলাকার সবচেয়ে স্মার্ট একজন মানুষ। চাচা চা বানিয়ে ফেনা সহ চা দেয়াতেই এই ঝগড়ার উৎপত্তি। চামচ দিয়ে ফেনা না সরিয়ে চা পরিবেশন করা অভদ্রতা আর সিফাত ভাইয়ের মত একজন স্মার্ট মানুষের পক্ষে এতটুকু অভদ্রতা মেনে নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি সোলেমান চাচা কে এই বিষয়ের উপর এক বিশাল লেকচার দেয়াতেই চাচাও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে তার মুখের উপরেই বলে দেন যে তার মতন এমন ভদ্র কাস্টমার তার দরকার নাই। দাড়িয়ে দাড়িয়ে কিছুক্ষন বেশ উপভোগ করলাম দুইজনের ঝগড়া। তবে আরও মজা পেলাম যারাই ভিড় করে ঝগড়া দেখছে তারা সবাই আমার মতই উপভোগ করছে এই ঝগড়া। ঝগড়ার মাঝ খানেই আমি চাচাকে বললাম চা আমাকে ফেনা যুক্ত এক কাপ চা দিনতো। ব্যাস সিফাত ভাইয়ের চেহারা তখন দেখার মত হল। আমার দিকে রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে তিনি হুড়মুড় করে ঝগড়া থামিয়ে হেটে চলে গেলেন।
সোলেমান চাচার মুখে তখন যে হাসি দেখলাম কয়েক কোটি টাকা খরচ করলেও এমন হাসি কেনা সম্ভব হবে না এই পৃথিবীতে। চাচা নিজ থেকেই আমার দিকে একটি সিগারেট এগিয়ে দিয়ে বললেন আর কইয়না বুঝলা, আরে এতই যদি তোমাগের প্রেস্টিজ তাইলে ফাইভ স্টারে গিয়াই চা খাইলে পার; এই সোলেমান মূর্খের দোকানে কি ? আমি সিগারেট ধরিয়ে তার কথার সাথে মাথা নাড়ালাম। এই মুহূর্তে চাচার কাছে যাই জানতে চাইব একদম পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা সহ জানতে পারব কারণ আমার কথাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। সোলেমান চাচার মতে ফজরের আযানের সময় শয়তান তার অস্তিত্বের ধ্বংসের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে কুকুরের পেটে ঢুকে গিয়ে সুরসুরি দেয়। এতে করে কুকুরগুলো চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করে দেয়। আযানের পবিত্রতা নষ্ট করার কৌশল হিসেবে শয়তান এই কাজ করিয়ে থাকে। ব্যাখ্যাটা আমার কাছে দুর্বল বলে মনে হয়নি।
উঠে আসার সময় পকেট থেকে টাকা বের করছি বিল দেব বলে কিন্তু চাচা বলল যাও তোমার আজকে বিল দেয়া লাগবে না এইটা আমি এমনি তোমারে খাওয়াইলাম। চাচা কাল মিশর যাচ্ছি অফিসিয়াল ট্যুরে দোয়া করবেন।
কিন্তু ওইখানেতো বিরাট গণ্ডগোল চলতাছে। এই বিপদের মইধ্যে তোমার অফিস ওইখানে কেমনে যাইতে দিতাছে !
চাচা চাকরী জিনিসটাই এমন। বিপদ আপদ মেনে চলেনা। সবসময় তার নিজের স্বার্থ ভাবে। গোলামের জীবন নিয়ে ভাবার অবকাশ রাখেনা।
চাচা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিলেন। আর এক প্যাকেট সিগারেট দিয়ে বললেন এই নাও এইটা তুমি ওই দেশে গিয়া খাইয়ো। আমি সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে চলে আসার সময় বললাম শুনেন চাচা এখন থেকে সিফাত ভাই এলে, তার চায়ে দরকার পরলে একটু শ্যাম্পু মিশিয়ে আরও বেশি করে ফেনা তৈরি করে দিয়েন। এই কথা শোনার পর চাচা আরেকটি সিগারেট আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে নিজেই লাইটার দিয়ে আমার সিগারেট ধরিয়ে দিলেন। আমি সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বাসায় চলে এলাম।
আমার স্বপ্নের দেশ মিশর। অফিসিয়াল ট্যুরে মিশর এসেছি হোরাসের চোখের উপর একটি রিসার্চ করতে। এই রিসার্চের উপর আমার ক্যারিয়ারের পুরোটাই নির্ভর করছে। অনেক কষ্টে এই রিসার্চটি করার জন্য বসের কাছ থেকে কাজটি বাগিয়ে নিয়ে মিশর এসেছি। এর জন্য আমাকে বসের বাসার বাজার পর্যন্ত করে দিতে হয়েছে। রিসার্চের কিছু থিউরিগত কাজ করেছি কিন্তু কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারছিনা।
ওয়ান হু ডাজ !! অল সিয়িং আই!!!
যেনস প্যারাডক্স অনুযায়ী হোরাসের চোখ
১/২ + ১/৪ + ১/৮ + ১/১৬ + ১/৬৪ = ৬৩/৬৪ = ০,৯৮৪৩৭৫ ≈≈ ১
প্রতীকে ১/২ + ১/৪ + ১/৮ + ১/১৬ + ১/৬৪
সিক্সথ সেন্স !!! চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক, মন!
তাই আরও তথ্য প্রমানের জন্য এসেছি দেবী আইসিসের মন্দিরে। দেবী আইসিসের মন্দিরে ঘুরে ঘুরে দেখছি আর বার বার আবেগে আপ্লুত হয়ে পরছি। ফিরে আসব ঠিক এমন সময় দেবী আইসিস আমাকে পেছন থেকে ডেকে উঠল। প্রথমটায় ধাক্কা খেলেও সামলে উঠে ঘুরে দাঁড়ালাম। দেবীর চোখ বেয়ে রক্ত ঝরছে। আর অস্পষ্ট কণ্ঠে একবার উচ্চারন করল শুধু ওসাইরিস। তারপর আবার চারদিকে সেই আগের মতই নীরবতা। কিন্তু ধীরে ধীরে পুরো মন্দির আইসিসের চোখ হতে ঝরে পরা রক্তে ভেসে যেতে লাগল। আমি আর সেখানে এক মুহূর্ত দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। মন্দির থেকে বেরিয়ে এলাম। এই ঘটনার পর আর এক মুহূর্ত মিশর থাকার কথা ভাবতে পারছিনা তাই অফিসিয়াল কাজ অর্ধ সমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে যাওয়ার সিধ্যান্ত নিয়ে ফেললাম।
দেশে ফিরে আসারপর অনেক দিন কেটে গেছে। কিন্তু আমার মাথা থেকে কিছুতেই সেই দৃশ্য দূর হচ্ছেনা। আজ সকালে পত্রিকার প্রথম পাতায় দেখলাম বড় করে হেডিং দিয়ে ছাপা হয়েছে, মিশরে চলমান দাঙ্গায় দেবী আইসিসের মূর্তি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সংবাদটি পড়ে বুকের ভেতর এক অজানা শঙ্কা হল। আমি আর নিজেকে সংযত রাখতে পারলাম না কিছুতেই। স্থির করলাম আজই মিশর যাবার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে হবে। মিশর যাবার প্রস্তুতির সবকিছু ঠিকঠাক হতে আরও সপ্তাহ ক্ষানেক সময় লেগে যাবে। কিন্তু এই সময়গুলো কিছুতেই কাটতে চাইবেনা। সারাক্ষন এক অস্থিরতা কাজ করবে। তাই এই সময়টাতে দূরে কোথাও হতে ঘুরে এলে মন্দ হতনা। স্থির করলাম টেকনাফ থেকে ঘুরে এলে হয়ত সময়গুলো কিছুটা হলেও বীণা অস্থিরতায় কেটে যাবে। তাই টেকনাফের পথে বেরিয়ে পরলাম। একপাশে উঁচু পাহাড় আর সরু পথের একপাশ দিয়ে বয়ে চলে গেছে নাফ নদী। এমন মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে অবশেষে টেকনাফ শহরে এসে পৌঁছেছি। এর আগেও বেশ কয়েকবার টেকনাফ এসেছি কিন্তু এবারের আসাটা আমাকে জীবনের এমন এক পর্যায়ে এনে দাড় করিয়ে দিল যেখান থেকে ফিরে আসার কোন পথ আমার জানা নেই।
পর্যটন মোটেলের রুম নাম্বার ১৩। হঠাৎ সেল ফোনে একটি অজানা নাম্বার থেকে কল এলো। হ্যালো আমি যূথী বলছি। তোমার সাথে একটু দেখা করতে চাই এক্ষুনি। আমি কি আসব তোমার রুমে ?
আমি কিছু বলার আগেই লাইনটি কেটে গেলো। এখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া ভীষণ কষ্ট সাধ্য। তবু যে কল এসেছে সেটাই ভাগ্যের ব্যাপার। ফোন রেখে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরলাম। যূথী নামের কাউকে কি আমি চিনি ? আর আমি যে এখানে এসেছি কাউকে কিছুইতো জানাইনি তাহলে আমি যে এখানে আছি এই মেয়েটি জানল কিভাবে ? আর আমার সাথে এখানে এভাবে দেখা করতে চাচ্ছে ? কোন প্রকার হিসাব মেলাতে পারছিনা। ভাবতে ভাবতে বিছানার পাশে সাইড টেবিলের উপরে রাখা বার্মিজ রামের বোতলটির দিকে চোখ পড়ল। বোতলটি অর্ধেক খালি কেউ হয়ত খেয়ে রেখে গেছে। যতদূর মনে পরছে এটি আমি এখানে খেয়ে রাখিনি। এমনকি বোতলটি আমি আনায়নি। তাহলে কেমন করে এলো এটি এখানে ? নাহ সবকিছু এলোমেলো লাগছে ! তবু হাতের কাছে এমন একটি অমৃত সুধা পেয়ে অবজ্ঞা করলে অন্তর আত্মা কষ্ট পাবে। তাই বাকিটা শেষ করে একটি সিগারেট ধরালাম। সাধারনত সিগারেট টানলে বুকের ভেতর সুখ অনুভূত হয় কিন্তু প্রথমবারের মত সিগারেট টেনে কোন তৃপ্তি পেলামনা। তবু নির্বিকার টেনে যাচ্ছি। মনের ভেতর যূথী নামের মেয়েটির আসার প্রতীক্ষা কাজ করছে।
দরজায় কাড়া নাড়ার শব্দ হল। উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই মেয়েটি আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুমের ভেতর ঢুকেই বিছানায় বসে পড়ল। মেয়েটি এমন ভাবে বিছানায় বসল যে পরনের নীল শাড়ির আঁচলটি বিছানায় ছড়িয়ে পরল। আঁচলে একটি পেখম তোলা ময়ূরের ছবি আঁকা রয়েছে। সেই পেখমে আঁকা নীলাভ চোখে আমি মিশরের চলমান দাঙ্গার রূপরেখা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আর মুগ্ধ চোখে ময়ূরের ছবিটি দেখছি মনে হল যেন ঠিক এমনটি করেই মেয়েটি তার পেখমের সবটুকু সৌন্দর্য মেলে ধরে বিছানায় বসেছে। এখনই হয়ত প্রকৃতি তার সুরের মূর্ছনায় আমাকে নাচাবে।
আমার মুগ্ধতাকে গ্রাস করে নিয়ে মেয়েটি বলল, তুমি যে এখানে এসেছো আমাকে জানালে না কেন ? কি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ? তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমাকে চেনইনা !
সত্যি আমি আপনাকে চিনতে পারছিনা ! কে আপনি বলুনতো ?
বুঝেছি একটু বেশি খেয়ে ফেলেছ তাই তোমার নেশাটা আজ একটু বেশিই চড়েছে, এই কারণে প্রলাপ বকছো ! যাও হাত মুখ ধুয়ে এসে ফ্রেস হয়ে নাও। দেখবে ধীরে ধীরে সব মনে পরে যাচ্ছে। যাও লক্ষ্মী সোনা আর ওভাবে বোকা ছেলের মত দাড়িয়ে থেকোনাতো। তোমাকে এমন ভাবে মানায় না। ফ্রেস হয়ে এসো, আজ সারাদিন এই রুমের ভেতর তোমাকে বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে বসে থাকব। সেই কতদিন পর তোমাকে আজ কাছে পেয়েছি ! অপেক্ষায় থাকার কষ্ট তুমি কি করে বুঝবে ? কত কাল এভাবে কাটিয়ে দিয়েছি শুধু তোমার একটু স্পর্শ ফিরে পাবো বলে। তোমার একটু স্পর্শ আমাকে আবার প্রাণের স্পন্দনে জীবিত করে তুলবে। সেসব বোধ যদি তোমার থাকত তবে তুমি কিছুতেই এভাবে এতকাল ধরে আমাকে অপেক্ষায় রাখতে পারতেনা। আমার কাছ থেকে এত দূরে থাকতে পারতেনা। অবশ্য আমারই ভুল ছিলো সেদিন তোমাকে এভাবে হারিয়ে যেতে দিয়ে আমার চোখের সীমানা থেকে।
চোখ শব্দটি কানে বাজতেই হঠাৎ কেমন যেন আমার চারদিকটা অন্ধকার হয়ে আসল। চোখের সামনে দেবী আইসিসের মন্দিরের সেই দৃশ্য দেখতে পেলাম। যূথী আমাকে দেখে হাসছে। উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমার চোখে তখনও আইসিসের সেই রক্ত ঝরা চোখের দৃশ্য ভাসছে। কেউ যেন কান্না জড়ান কণ্ঠে আমার কানের কাছে এসে শুধু একবার ডাকল ওসাইরিস ! আমি যূথীকে আরও শক্ত করে আমার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলাম।
যূথীর সাথে সেটাই ছিলো আমার শেষ দেখা। টেকনাফ থেকে বিদায় নিয়ে মিশর এসেছি। মন্দিরের ভেতর দেবী আইসিসের মূর্তি ভাঙা অবস্থায় পরে রয়েছে। বুঝলাম কেউ সাহস করে এখানে আর হাত দেয়নি। তবে কোথাও রক্তের চিহ্ন পেলামনা। তাহলে হয়ত সেটি আমার নিতান্তই কল্পনা ছিলো অথবা কেউ রক্ত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে রেখে গেছে ! আমি ভাঙা টুকরো গুলো স্পর্শ করছি আর অবচেতন মনে কাঁদছি। আমার চোখ থেকে অশ্রু নয় রক্ত ঝরে এলো। আমি ভীষণ ভয় পেলাম। দৌড়ে বেরিয়ে এলাম মন্দির থেকে। বালু ভূমির উপর দিয়ে এভাবে কতক্ষন পালিয়ে বেড়াচ্ছি মনে নেই। মাথার উপর সূর্যের আগুন পোড়া রোদ। ভীষণ তৃষ্ণা পেয়েছে, কিন্তু কোথাও পানি পেলামনা। চৈতন্য হারিয়ে বালুর উপর শুয়ে পরলাম। যখন জ্ঞান ফিরে এলো নিজেকে আবিষ্কার করলাম একটি প্রাসাদের ভেতর মেঝেতে শুয়ে আছি। পাশেই একটি পিতলের জগ রাখা আছে। পানি ভেবে একটু পান করেই বুঝলাম এটি পানি নয় ঠিক যেন সেই বার্মিজ রাম। প্রাসাদের চারদিকের দেয়ালে আঁকা রয়েছে হোরাসের প্রতিচ্ছবি আর দেবী আইসিসের কোলে শিশু হোরাসের স্তন্য পানের দৃশ্য। আমি মুগ্ধ চোখে দেখছি সেই মমতাময়ী মায়ের নিঃসঙ্গতা যেন দেবতাদের হিংস্রতার কবল থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় আকুলতা নিয়ে তাকিয়ে আছে। প্রতীক্ষায় আছে তার ওসাইরিসের।
পেছন থেকে একটি হাত আমার কাঁধে স্পর্শ করল। আমি ফিরে তাকিয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারলাম না। যূথী আমাকে অভয় দিয়ে বলল ভয় পেয়না। ভাল করে তাকিয়ে দেখ আমি তোমার সেই যূথী। তুমি যখন মরুভূমিতে অজ্ঞান হয়ে পরেছিলে, আমিই তখন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
কিন্তু তুমি এখানে কবে এলে ?
আমিতো এখানেই থাকি। এটাইতো আমার বাড়িঘর, ঠিকানা সবকিছু।
কিন্তু সেদিন যে তোমার সাথে টেকনাফে দেখা হল !
হ্যাঁ আমিই ছিলাম সেদিন তোমার সাথে। কেন আমি কি ওখানে যেতে পারিনা ?
না তা কেন পারবেনা ? অবশ্যই পার যেতে। আবার চলেও আসতে পার। কিন্তু আমাকে কিছুই যে বললেনা। আগে বললে দুজনেতো একসাথেই এখানে আসতে পারতাম।
হুম তা হয়ত পারতাম ! কিন্তু তোমাকে তাহলে এভাবে যে পাওয়া হতোনা আমার।
আমাকে এভাবে পেয়ে তুমি কি সুখ পেলে ?
অনেক অনেক অনেক বেশি সুখি হয়েছি ! তোমাকে বোঝাতে পারবনা আমি। শুধু জেনে রেখো, অনেক কাল পর, অনেক সাধনায় তোমাকে পেয়েছি। আর হারাতে দেবোনা তোমাকে আমার কাছ থেকে। আমার চোখের সীমানা থেকে তুমি আর কখনো কিছুতেই হারিয়ে যেতে পারবেনা। আমার বিশ্বাস ছিলো আমাদের একমাত্র সন্তান হোরাসের চোখ কখনও মিথ্যে হতে পারেনা। তুমি তাকিয়ে দেখো তোমার ছেলে হোরাসের চোখের দিকে। আজ ওর চোখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এই প্রাসাদের দেয়ালে আঁকা ওর চোখের সমস্ত হিসাব মিলে গেছে।
যূথী কাঁদছে। সেই কান্নার শব্দ প্রাসাদের দেয়ালে দেয়ালে ঘুরে ফিরে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসছে আমার কানে। সেই কান্নার সাথে অশ্রু নয় রক্ত ঝরে এলো চোখ থেকে যূথীর। আমি উঠে গিয়ে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে নিলাম যূথীকে।
ফজরের সময় হয়ে এসেছে। বাড়ির পাশেই মসজিদ হতে আযান দেয়া হচ্ছে। রাস্তায় কুকুরগুলোর নিয়মমাফিক চিৎকার চ্যাঁচামেচি বেড়ে গেছে। ঘুম ভেঙে গেলো আমার। এতক্ষন তবে স্বপ্ন দেখছিলাম ! পাশেই গভীর ঘুমে শুয়ে আছে আমার স্ত্রী আর দুই ছেলে। ওরা এসব স্বপ্নের কিছুই জানেনা আর জানবেওনা কখনও। আমি রেশমির নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি কতটা নিশ্চিন্ত নিরাপদ অভয়আশ্রমে তার নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। পৃথিবীর কোন ব্যাঞ্জনা তাকে বিচলিত করবেনা। আমি রেশমির ঘুমন্ত চোখে একরাশ আদর মাখা চুমু খেয়ে বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। একটি সিগারেট মুখে নিয়ে দেয়াসলাইয়ের কাঁঠি জ্বালিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ প্রচন্ড বাতাস এসে কাঁঠির আগুন নিভিয়ে দিলো। আরেকটি কাঁঠি জ্বালাব কিন্তু সেই সৌভাগ্য হল না এই ভোরে। বাক্সে আর কোন কাঁঠি অবশিষ্ট নেই সিগারেট জ্বালানোর জন্য। সোলেমান চাচার দোকান সকাল আটটার আগে খুলবে না। কাজেই সকাল হবার প্রতীক্ষা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। কাল দুপুরেই আমার ফ্লাইট। অফিসিয়াল ট্যুরে মিশর যাচ্ছি। আমার স্ত্রী আর আর বড় ছেলে বেশ বড় একটি লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে যেন আমি ওদের জন্য মিশর থেকে সেগুলো কিনে আনি। অনলাইনে বসেছি পত্রিকা পড়ব বলে। আজ সারাদিন পত্রিকা পড়া হয়নি নানা রকম কাজের ভিড়ে ব্যাস্ত থাকার কারণে। অনলাইন পত্রিকার হেডিং এ দৃষ্টি আঁটকে গেলো। আমি শুধু নির্বাক হয়ে পড়লাম, লেখা রয়েছে ব্রেকিং নিউসঃ মিশরে চলমান দাঙ্গায় দেবী আইসিসের মূর্তি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ টুনা আপনিও ভাল থাকুন দোয়া রইল। প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞ।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ওফফ! আজকে প্রিয় ব্লগার রা একজনের পর এক জন দুর্দান্ত পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে!
চমৎকার হইছে গুরু।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অভি তোমার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। হুম আমিও সকাল থেকে তাই দেখছি সব পছন্দের ব্লগাররা চমৎকার সব পোস্ট উপহার দিচ্ছেন।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আরজু পনি বলেছেন:
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন খারাপ কেন আপু ?
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: অসাধারন!!! অসাধারন!!!
ভালো লাগা রইল!
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা নিরন্তর মেহেদী ভাই।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুন বলেছেন: সত্যিকি আইসিসের মুর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে কান্ডারী ?? আমি আজ কদিন ধরেই একথা ভাবছি। কত সমৃদ্ধশালী মিশরের ইতিহাস, কত প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, কত শত ঐতিহ্যে ভরা পৃথিবীর অন্যতম এক যাদুঘর । সত্যি আমরা এখন কোথায় চলেছি ? বাগদাদের যাদুঘর লুট হওয়াতেও কত হাজার হাজার বছরের পুরোনো মেসোপোটেমিয়ান সভ্যতার নিদর্শন কোথায় ধ্বংস হয়ে গেল।
রূপক আকারে গল্পটা অনেক ভালোলাগলো কান্ডারী। মন খারাপ করা ভালোলাগা আরকি
+
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু আমি ঠিক এই আশঙ্কা থেকেই গল্পটি লিখেছি। আমরা এভাবেই বিভিন্ন সময় নানা রকম দাঙ্গা আর যুদ্ধের কারণে আমাদের ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলো হারিয়ে যেতে দেখেছি। না এখনও আইসিসের মূর্তি বহাল তবিয়তেই আছে তবে সেটা ভাঙতে হয়ত সত্যি বেশি বাকি নেই কারণ এমন ইতিহাসই বার বার আমরা দেখে এসেছি। এসবের কি কোন শেষ নেই ?
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: অসাধারণ । ++++++ বেশি অর্ধেক পড়ার পরও বাস্তব বলে মনে হয়েছিল ।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া এভাবে অনুপ্রেরনা পেলে লেখার আনন্দ বেড়ে যায় শতগুণ। কৃতজ্ঞতা জানবেন। চেষ্টা করেছি বাস্তবতার খুব কাছে যেতে হয়ত কল্পনার সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ব্রেকিং নিউসঃ মিশরে চলমান দাঙ্গায় দেবী আইসিসের মূর্তি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ইজ ইট ??
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখনও হয়নি তবে এমন হলেও স্বাভাবিক ভাবেই তা মেনে নিতে হবে। কারণ ইতিহাস তাই বলে যে এই ধরনের দাঙ্গাগুলোতে এমনই হয়ে থাকে। তবে যেন এমনটা না হয় সেই প্রত্যাশাই রইল।
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: গল্পে +++
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্লাসের জন্য চির কৃতজ্ঞ রইলাম।
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ সুন্দর লেখা
থাকবে নয়নে আঁকা
শুভকামনা
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রিয় বন্ধু
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ সুন্দর লেখা
থাকবে নয়নে আঁকা
শুভকামনা
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পাঠে কৃতজ্ঞতা রইল।
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যেনস প্যারাডক্স অনুযায়ী হোরাসের চোখ
১/২ + ১/৪ + ১/৮ + ১/১৬ + ১/৬৪ = ৬৩/৬৪ = ০,৯৮৪৩৭৫ ≈≈ ১
এটা দেখে ভাবছিলাম হয়তো সায়েন্স ফিকশন।
গল্প খুব জমজমাট। স্বপ্নের ভিতর মিশর ঘুরে এলাম। হোরাস ও তার দেবীমাতার সাক্ষাৎ পেলাম।
গল্পের আকর্ষণ মোড়ে মোড়ে ছিল। চমৎকৃত হলাম যখন যূথী নিজেকে হোরাসের মা আর কথককে বাবা হিসাবে নির্দেশ করছিল। কিন্তু লাস্ট লাইনটা হলো দুর্দান্ত।
অসাধারণ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার এই মন্তব্যটি আমার সামনের পথ চলায় ভীষণ প্রেরণার সঞ্চালক হয়ে থাকবে প্রিয় ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ।
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার কাহিনী। এক্সেপশনাল। লেখার স্টাইলও চমৎকার। সব মিলিয়ে সার্থক।
শুভকামনা লেখক।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফ্যান্টাসী থেকে বের হয়ে আসতে পারছিনা কিছুতেই। যাই লিখতে চেষ্টা করি ফ্যান্টাসী চলে আসে।
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাস্তব ভেবে এগিয়েছিলাম অনেক দূর। শেষে এসে ভুল ভাঙল। এটা আপনার লেখার কৃতিত্ব।
দারুণ লেগেছে কাণ্ডারি। প্লাসের অপশন পেলেই প্লাস প্রদৃত হবে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুরুতে বাস্তবেই থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু বদ অভ্যাস বসত সেই ফ্যান্তাসীতে অনিচ্ছা কৃতভাবে চলে গেছি।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
১৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
আফসিন তৃষা বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। শেষের দিকটা বেশ ঘোরলাগা হয়ে গিয়েছিল। ঐতিহাসিক সব নিদর্শনের প্রতি আপনার অনুভূতিটাও ভালো লাগার মতন। শুধু চা দোকানের ঘটনাগুলো একটু কাঁচা মনে হয়েছে। শুভকামনা প্রিয় লেখক
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। লেখালেখি খুব কষ্টকর একটি বিষয়। তবে পরিপক্বতা আনার চেষ্টায় আছি। আসলে গড গিফটেড বলে একটি ব্যাপার আছে বানিয়ে বানিয়ে আর কতই বা সুন্দর লেখা যায় বলুন।
১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই সব মিথ নিয়ে তেমন পড়াশুনা নেই আমার। কিছুদিন আগে প্রিয় ব্লগার মহাপাধ্যায় একটা সংকলন করেছিল , ওটা প্রিয়তে রেখেছি পড়বো বলে। ভয়াবহ ধরণের অলসতায় দিন কাটছে। পড়ার ধৈর্য শেষ, শুধু তাই নয় লেখার ধৈর্য ও নাই। আর ইদানীং খুব ঘন ঘন এই ভালো না লাগার রোগ কাজ করছে যাতে আমি সত্যিই ভীত।
ফজরের আযানের সময় কুকুরের ডাক শুনি নাই। তবে রোজ রাত সাড়ে ১২ টার পর আমার বাসার সামনে ৭/৮ টা কুকুর এতো ডাকাডাকি করে, ঘুম যা আসে তাও চলে যায় ই চিৎকারে !
সোলেমান চাচাকে শ্যাম্পু মিশিয়ে চা বানানোর বুদ্ধিটা বেশ মজার ! ওই অংশটুকু উপভোগ করছি।
আর আমিই মনে হয় অনেক অজ্ঞ ব্যক্তি দুনিয়া সম্পর্কে যে কিনা পত্রিকা বা টিভির খবর দেখে না। আফসোস ।
লেখার মাঝে টুকটাক টাইপো আছে যা লেখার সৌন্দর্য বলেই মনে করি
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যাক অনুমতি পাওয়া গেলো তাহলে। এখন হতে বেশি বেশি টাইপো রাখা যাবে লেখায়।
১৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ বড় ভাই।
১৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৬
গরম কফি বলেছেন:
ওহ....দূর্দান্ত ......মুগ্ধতার সর্বত্তম শব্দটি বলতে চাচ্ছি, কি করব বলুন ...ভাষজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও ভাই এমন মন্ত্যবের প্রতি উত্তরে ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা তবে কৃতজ্ঞতা রইল।
১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হোরাসের চোখের প্রেমে পড়ে মিশর পর্যন্ত ঘুরে এলেন । দারুণ ফ্যান্টাসী গল্প লিখলেন কান্ডারী ভাই । খুব ভাল লেগেছে ।
হোরাসের চোখের মাপ ভালো বুঝতে হলে এটা দেখুন,
আই-অব-হোরাস অর্ণামেন্ট, যুঁথী কে এটা গিফট করতে পারেন,
এটাও মন্দ না
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই এগুলো আপনার জন্য দেখেনতো পছন্দ হয় কিনা
১৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
বাংলার হাসান বলেছেন: পুরাই ধাঁধায় পড়ে গেছিলাম, এটা কি গল্প না বাস্তব। অসাধারন প্লাস না দিলে অন্যায় হবে। ++++++++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না ভাই আপনি কি অন্যায় করতে পারেন আর যদি করেও থাকেন প্রিয় ভাইয়েরা কিছু করলে সেটা অন্যায় থাকেনা।
২০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন !!!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মনে হচ্ছে তাহলে গল্প ভালই হয়েছে লিটন ভাই।
২১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
গোর্কি বলেছেন:
-সত্য ঘটনা বা কাল্পনিক যাই হোক, লেখা পড়ে ভীষণ তৃপ্তি পেলাম।
-সাবলীল ঝরঝরে ভাষায় উপস্থাপন দারুণ লেগেছে।
-পোস্টে অগনিত তারা।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন গোর্কি
২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আজকের নির্বাচিত পোস্টগুলা আসলেই চ্রম সবগুলা।
যথারীতি +++++++++++++ আপনার লেখায়।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যথারীতি পাঠে যথারীতি কৃতজ্ঞতা বর্ষণ। ভালো থাকুন।
২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ব্বাহ !
চমৎকার লাগলো ||
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুশি হলাম ভীষণ মুন। ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অসাধারণ রে চাচ্চু ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এতগুলো প্লাসের যোগ্য আমি নই ভাতিজী।
২৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০
যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন....
প্রথমে সায়েন্স ফিকশন ভেবেছিলাম
শেষটুকু পড়ে বুঝতে পারলাম ।
শুভ কামনা রইলো ভাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যুবায়ের ভাই আপনার মন্তব্য সবসময় আমার জন্য দোয়া হিসেবেই কাজ করে। কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।
২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: অফিসিয়াল ট্যুরে মিশর এসেছি হোরাসের চোখের উপর একটি রিসার্চ করতে।
এই লাইনটিতে এসে বুজতে পেরেছিলাম গল্প বা সপ্ন হবে, আপনার প্রফেশন জানি বলে। সে যাই হোক অসাধারণের উপরে কিছু একটা হয়েছে বস।
++++++++++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দালাল ভাইরে প্রথমেই আমাকে ক্ষমা করবেন অনেক দিন ভীষণ ব্যাস্ত থাকার কারণে যোগাযোগ করা হয়নি।
আপনার জন্য শুভকামনা সবসময় করি।
২৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ভাই, এটা আমার পড়া আপনার সেরা গল্প! একই সাথে ফ্যান্টাসি আর বাস্তব উঠে এসেছে দারুন ভাবে। আই এম সো মাচ ইমপ্রেসড!! আপনার লেখা পড়ে আমার প্রায়শই মনে হয়- এটা এমন হলে আরও ভাল লাগত, ওটা অইভাবে লিখলে বেটার হত- কিন্তু এই লেখাটা মনে হয়েছে একদম পারফেক্ট! চালিয়ে যান কাণ্ডারি, এমন লেখাই বেশি বেশি চাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমার নিজের পছন্দের একটি লেখা পড়ে দেখার অনুরোধ রইল। আপনার মূল্যবান মন্তব্য কামনা করছি।
ডুরানড লাইন
২৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: মিসর-আইসিস- যুথী রাম... চমৎকার লাগল।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। শুভকামনা নিরন্তর।
২৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৪
ভিয়েনাস বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম.....শুধু বলবো, অসাধারন হয়েছে ব্রো
আপনার লেখা অন্যতম একটি গল্প।
প্লাস প্লাস প্লাস।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নয়ন তারে দেখিতে পায়না তবু সে রয়েছে নয়নে নয়নে !!! এই যেমন আপনি রয়েছেন আমার নয়নে নয়নে।
৩০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৬
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: সপ্নে মিশরের গল্প পড়ে খুব ভাল লাগলো । ++++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই।
৩১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: দারুন একটা গল্প। প্রথম মনে হলো ছোট গল্প, পরে সাই-ফাই, তারপর ত ফ্যান্টাসির পাশ দিয়ে ঘুরে এলেন। শেষে দেখি ছোট গল্প। শেষে বিশাল একটা ধাক্কা খাইলাম। বেশ লিখেছেন। আপনাকে অনুসরন শুরু করলাম।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাকে অনুসরণ করাতে লজ্জাই পাচ্ছি ভীষণ। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
৩২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২১
ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: সুন্দর+
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ইচ্ছের ঘুড়ি। ভালো থাকুন জীবনের প্রতিটি চলার পথে।
৩৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৯
কয়েস সামী বলেছেন: মন্তব্য করে গেলাম। সময় করে পড়ে নেবো।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল অনেক অনেক অনেক।
৩৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ লাবনী আক্তার। ভাল থাকবেন।
৩৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: গল্পটা খুব উপভোগ করলাম! এক কথায় অসাম!
আপনার আশংকা যেন সত্যি না হয় সে কামনায় করি।
ভাল লাগা জানবেন।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকুন সবসময়।
৩৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা আমার মোটামুটি ভালো লেগেছে। ব্যতিক্রমী প্লট নিয়ে ভিন্নধারার লেখার চেষ্টা অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য। গল্পের শুরুটা খারাপ নয়, তবে চাচার দোকানে যে স্টোরি লাইন ফুটিয়ে তুলেছেন, তাতে মনে হয়েছে সেখানে বর্ননার ক্ষেত্রে কিছুটা আবেগের বাহুল্য করা হয়েছে। যা একজন পাঠক হিসেবে আমার ভালো লাগে নি।
হোটেল রুমের যে দৃশ্য পটের বর্ননা দিলেন রহস্যময়ী সেই তরুনী, ফোন, তরুনীর আগমন সেটা ভালোই হয়েছে। তবে কান্ডারী ভাই, আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে বাক্য গঠনগুলো যদি আরো খানিকটা ভালো করা যায় তাহলে আরো চমৎকার হত।
কিছু টাইপো আছে যা প্রায় নিয়মিত হচ্ছে সেগুলো সুধরে নেয়া দরকার। আপনি যে লেভেলের লেখা লিখছেন, তাতে এই ধরনের ছোট খাট ত্রুটিগুলো সারিয়ে ফেলা খুবই দরকার। আসলে উচ্চারনগত সমস্যা থাকলে অনেক সময় এই সমস্যা হয়। যেমন দেখুন সেন্টু গ্যাঞ্জি > স্যান্ডো গেঞ্জি । এই ধরনের বেশ কিছু আছে, সময় করে পরে দেখবেন। তাহলেই চলবে।
আমি মূলত পাঠক হিসেবে আমার দৃষ্টিভংগি তুলে ধরলাম। আমি মনে করি ছোট খাট বিষয়গুলো যদি ঠিক করা যায় তাহলে আগামীতে আপনি দূর্দান্ত সব গল্প লিখতে পারবেন। আমরা তো কেউ প্রফেশনাল নই। এক একজন এক এক মতামত দিবেন, তার নিজস্ব দৃষ্টি ভংগির উপর ভিত্তি করে। আমি ঠিক সেটাই করলাম। যদিও অনেক সমালোচনা করেছি, আমার মনে হয় এটাকে সমালোচনা হিসেবে না দেখে বরং প্রস্তাব হিসেবে দেখুন।
ধন্যবাদ। শুভ সকাল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মোটামুটি লেগেছে জেনে আমি খুব খুশি হলাম। আমার কিন্তু নিজের লেখা নিজেরই পছন্দ হয়নি।
দেখুন আমি প্রফেশনাল লেখক না। লিখি নিজের ভাবনাগুলো নিয়ে এখানে তাই একজন আবেগী মানুষ হিসেবে আবেগের বাহুল্য থাকাটাই স্বাভাবিক।
হ্যাঁ টাইপো যদি বলেন তাহলে বলব প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যা আপনি দেখেছেন সেগুলো আমাকে এখানে বিস্তারিত বলে গেলেই আরও বেশি উপকৃত হব।
ভাই দুর্দান্ত গল্প লেখার ইচ্ছে কখনই ছিলো না কারণ আমি গল্পাকার নই। আমার লেখায় যা প্লাস পাই সেটা আমার মত শুধু মাত্র নিজের ভাবনা নিয়ে লেখা মানুষের জন্য অনেক অনেক অনেক বেশি পাওয়া। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার কাছে প্রত্যাশা করা ঠিক হবেনা।
আমি সাহিত্যিক নই কিন্তু একজন ভাল পাঠক তবে মাঝে মাঝে নিজের ভাবনাগুলো লিখে রাখি। এইতো এর বেশি কিছুই নয়।
আপনার মন্তব্য আমার জন্য সবসময় দোয়ার সমতুল্য। তাই আমি এটাকে প্রস্তাব হিসেবে না দেখে সমালোচনা হিসেবেই নিচ্ছি।
৩৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওহ! উল্লেখ্য প্রচ্ছদ এবং শিরোনাম ভালো লেগেছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অখাদ্যগুলোতে একটু চটকদার শিরোনাম ও প্রচ্ছদ ব্যবহার না করলে কি চলে বলুন দেখি
৩৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: জানো কান্ডারী আমি আসোয়ান ড্যামের পাশে Philae তে আইসিসের মন্দির দেখে এসেছি। কতদিন ভেবেছি এটা নিয়ে কিছু লিখবো । ছবিও তুলেছি কিছু। কিন্ত সময় হয়না বা মুড থাকে না। এসব নিয়ে লিখতে গেলে সময় নিয়ে লিখতে হয়। তোমার অসাধারন গল্পটি আমাকে তাৎক্ষনিক ভাবে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। আমার চোখে দেখা পুরো মিশর তাদের যাদুঘর যা প্সৃথিবীর সবচেয়ে সম্বৃদ্ধশালী তা কি সত্যি ধ্বংশ হয়ে যাবে কিছু উন্মাদ লোকের কারনে।
তোমার গল্পটা আবার পড়লাম।ভালোলাগলো। পৌরানিক কাহিনী আমার অসম্ভব প্রিয়। পড়িনা হেন কোন জিনিস নেই। এমনকি মুড়ির ঠোঙ্গাটা পর্যন্ত শুধু বিজ্ঞানের কিছু কঠিন বিষয় ছাড়া।
ভালো থেকো সপরিবারে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু আপনার সাথে আমার দারুণ মিলে গেলো। পৌরানিক কাহিনী আমার অসম্ভব প্রিয়। পড়িনা হেন কোন জিনিস নেই। এমনকি মুড়ির ঠোঙ্গাটা পর্যন্ত। আর তাইতো আমার ম্যাক্সিমাম লেখায় বার বার ঘুরে ফিরে চলে যাই সেসব কাহিনীতে। তবে আফসোস কখনও মিশর যাওয়া হয়নি। তবে জীবনে খুব সখ আছে অন্তত একবার হলেও মিশর থেকে ঘুরে আসব আর ততদিন দুষ্ট লোকের হাতে এইসব সম্বৃদ্ধশালী পুরাণ ধ্বংস না হয়ে গেলেই হয়।
আপনার আসোয়ান ড্যামের পাশে Philae তে আইসিসের মন্দির এর ছবি সহ সুন্দর একটি ভ্রমণ কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম। শত কষ্ট হলেও লিখুন অন্তত আমার জন্য।
৩৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: খুব চমৎকারভাবে চিন্তাটাকে অনেকদুর টেনে নিয়ে গেছেন।
ভালোলাগা জানবেন।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ও সুলেখক আপনাকে। আপনার ভাললাগায় ভীষণ খুশি হলাম।
৪০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
নেক্সাস বলেছেন: খুব চমৎকার গল্প বস।
ভাল লাগা অফুরান
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কেমন আছেন ভাই ?
৪১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মিশর নিয়ে সবচেয়ে বেশি পড়েছি হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের বইতে। আর বিভিন্ন মিথতো আছেই। আপনার লেখাটা ভাল লাগল। পুরো জিনিসটা বাস্তব হলে বেশি ভাল লাগতো বোধহয়, একটা ফ্যান্টাসি গল্প হয়ে যেতো।
রাত-বিরাতে হঠাৎ কুকুর ডাকা নিয়ে একটা গবেষণা করেছিলাম একবার। কুকুরেরা আসলে রাতের প্রতি প্রহরে একবার করে ডাকে। যেমন বারটায়, তিনটায়...। ভোরেও ডাকতে শুনেছি। হয়তো জানান দেয় যে ভোর হল।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার কাছে একসময় হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের সবগুলো বই ছিলো। দুর্দান্ত সব লেখা। আমার প্রিয় একজন লেখক। মন্টেজুমার মেয়ে, শী, এলান কোয়ার্টার ম্যান দুর্দান্ত সব কাহিনী।
হুম হতে পারে তবে রাতে কুকুর ডাকার পেছনে প্রকৃতিগত কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। হয়ত তারা অশরীরী কিছু অনুভব করতে পারে কিন্তু ভোরের জন্য রয়েছে মোরগ।
৪২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: ওহ....দূর্দান্ত ..
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অন্নেক ভালো লেগেছে ভাই।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন নিরন্তর।
৪৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার গল্পগুলো দারুন হচ্ছে নিয়মিত।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভাল আছেন নিশ্চয়।
৪৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: চুপ থাক গাধা ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:-& :-& :-& :-& :-& :-& :-& :-& :-& :-&
৪৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩১
একজন আরমান বলেছেন:
গল্প আর কমেন্ট পইড়া মাথা ঘুরাইতেছে।
গল্পটা আমার মতো পাঠকের কাছে ভালোই লেগেছে। ভালো লেগেছে ক্লাইম্যাক্সগুলো।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্প পড়ে মাথা ঘুরাতেই পারে কিন্তু কমেন্ট পড়ে কেন মাথা ঘুরাচ্ছে ঠিক বুঝলাম না
৪৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
একজন আরমান বলেছেন:
মাল্টি টাইপের কমেন্ট তো তাই।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সবাই কি কপি পেস্ট মন্তব্য করবে নাকি
৪৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
ফালতু বালক বলেছেন: অসাধারণ হইছে , কান্ডারী ভাই।
++++++++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফালতু বালক এর প্লাস পেয়ে অনেক ভাল লাগল।
৪৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার চাচার কাছে ফেনাযুক্ত চা চাওয়ার ব্যাপারটা অসাধারণ হয়েছে। তুমুল হাস্যরসের খোরাক। বড়ই সৌন্দর্য! বড়ই সৌন্দর্য!
প্রসংগটা মনে পড়ছে আর হাসি পাচ্ছে। আপনি কি ব্যক্তিজীবনে অনেক রসিক?
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রসিক কিনা জানিনা তবে কিছুটা রসবোধ অবশ্যই রয়েছে।
৫০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
সাহিদা আশরাফি বলেছেন: ''সোলেমান চাচার মুখে তখন যে হাসি দেখলাম কয়েক কোটি টাকা খরচ করলেও
এমন হাসি কেনা সম্ভব হবে না এই পৃথিবীতে।''
এটা আপনাকে দিয়েই সম্ভব।
গল্পটা অনেক ভাল লেগেছে অনেক।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু আপনার মন্তব্যে নতুন কিছু নিয়ে লেখার প্রেরণা পেলাম।
৫১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: আরে আমি তো সব আসল ভাবতেছিলাম....!!!! যথারিতী চমৎকার।
ভালো লাগা।
+++++++++
আপনার আশংকা যেন সত্যি না হয় সে কামনায় করি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই সত্যি হলে হয়ত কষ্ট অনেক বেশি পেতাম তবে যেন সত্যি না হয় সে জন্য দোয়া করি।
৫২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯
আমিভূত বলেছেন: শুরুটা যেভাবে ভালো লেগেছিল মাঝে এসে আমি খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম , স্বপ্ন দেখে মেনে নিলাম কিন্তু স্বপ্ন না হলে গল্পের ধারাবাহিকতায় বাধা পেত মনে হচ্ছে
শেষে এসে স্বপ্ন এবং অপ্রত্যাশিত স্বপ্নের বাস্তবতা গল্পকে অন্যরকম আমেজ দিয়েছে । ঈদ এর ছুটিতে মিশরে ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ
শুভ কামনা ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম স্বপ্নগুলো এমনই হয়। একটু খেই হারিয়ে ফেলার মত তারপর ঘুম থেকে উঠে কিছু স্বপ্ন ভুলেও যাই। তারপর সেগুলোকে গোছানো একটু কষ্ট সাধ্য। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৫৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
সোমহেপি বলেছেন: অনেক গোছানো লেখা।কল্পনায় ভর করে কত কিছু সমন্বয় করে লিখেছেন ।অনেক ভাললাগা।
আপনাকে আমি আরেকটা নামের সাথে গুলিয়ে ফেলি।সেটা হল অপর্ণা মন্ময়।দু'জনকে মাছে মাছে আলাদা করতে পারিনা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপর্ণা মন্ময় আপুর সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলার ব্যাপারটা নিয়ে একটি দারুণ গল্প হতে পারে। ধন্যবাদ একটি চমৎকার আইডিয়া দেয়ার জন্য।
৫৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর সুলিখিত গল্প, একরাশ ভালো লাগা রইল।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ তনিমা শুভেচ্ছা রইল অনেক অনেক।
৫৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল লাগলো খুব।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি আমার লেখা একটি গল্পে মন্তব্য করেছিলেনঃ
সবাই ভাল বলছে। আর আমি বলি এত দৌড় পারানো ঠিক না। পাঠকেরে একটু থামতে দিবেন না। পড়তে পড়তে জিরাইতে দিবেন না, এইটা কেমন কথা। গল্প পড়া শুরু করলাম মানে- গেট সেট গো!
কী বিপদের কথা! শেষ সীমা না আসা পর্যন্ত থামা থামি নাই- এতই গতিশীল। এতে পাঠক কিছু বুঝনের আগেই গল্প ফুরাইয়া যায়। আমি তো একটু একটু কইরা গল্প পড়তে চাই। একটু পড়মু। একটু ভাবমু। আরেকটু এদিক ওদিক তাকাবু। তার মানে আয়েস কইরা গল্প পড়তে চাই।
মন্তব্যটি আমার লেখায় আজো টনিকের মত কাজ করে। গল্প লিখলেই আপনার কথাগুলো খুব মনে পরে। জানিনা কতটা সার্থক হতে পেরেছি। তবে দোয়া করবেন।
৫৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো হইসে গল্প। ২৫তম প্লাস।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু লিখতে পারি।
৫৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১১
অদৃশ্য বলেছেন:
কান্ডারী ভাই
খুব খুব ভালো লেগেছে লিখাটি আমার... লিখাটির শুরু থেকে শেষ, দারুন...
শুরুটা অনেক মজার ছিলো... তারপর আপনার রহস্যের জালে আটকে গেলাম... অতঃপর তা থেকে বেড়িয়ে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলাম...
অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে লিখাটি... তৃপ্তি পেয়েছি পাঠে
শুভকামনা...
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এমন মন্তব্য সত্যি আমাকে লেখার প্রতি যত্নবান হতে সাহায্য করবে। ভালো থাকুন সবসময়।
৫৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর গল্প।
+++++
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুশি হলাম শোভন
৫৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: সত্যি সত্যি একটা ভাব ছিল লেখার মধ্যে...
আধো স্বপ্ন , আধো জাগরণ...
কাফকার স্টাইলের সাথে মিল আছে, এরকম গল্প অনেক দিন চোখে পড়ে না। আসলেই ভাল লেগেছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনুপ্রানিত হলাম।
৬০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
শূন্য পথিক বলেছেন: আপনার লিখা এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। অনেক কিছুই মিস করেছি এত দিন। ভালো লাগা জানবেন।।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় শূন্য পথিক। সবচেয়ে ভালো লাগছে আপনি অনেক দিনপর ব্লগে ফিরেছেন। শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
টুনা বলেছেন: Valo laga janea gelam. Valo thakben nirontor. Shear korar jonno dhonnobad.