![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
একটা মানুষ মারা গেছে। বাড়ির উঠোনে কফিন রাখা হয়েছে কিন্তু দাফন নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। এই নিয়ে পুরো বাড়িতে কোন শোকের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। সবাই ব্যাস্ত হয়ে রয়েছে ফজল সাহেব মৃত্যুর আগে একটি সিন্দুক রেখে গেছেন তাই নিয়ে। ফজল সাহেব একবার নাকি স্বপ্নে পেয়েছিলেন এই সিন্দুকটি। স্বপ্নে মানুষ অনেক কিছুই পেতে পারে। তাই এমন বিশ্বাস থেকেই সিন্দুক পাওয়ার উৎস নিয়ে কেউ কখনও কোন রহস্য করেনি কিন্তু সমস্যা ছিলো সিন্দুকটি ফজল সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় কখনও নিজেও খুলে দেখেন নি। কারণ স্বপ্নে তাকে নিষেধ করে দেয়া হয়েছিলো সিন্দুকটি খোলার জন্য। তাই সবার মাঝে তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকার পরেও কেউ সিন্দুকটি খোলা নিয়ে এতকাল আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে ফজল সাহেবের মৃত্যুর পর সেই নিষেধ মেনে চলার আর কোন বাঁধা থাকল না কিন্তু সিন্দুকটি খোলার চাবি পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই কিভাবে এটি খোলা যাবে আর এর ভেতর কি আছে তাই নিয়ে সবার মধ্যে চলছে তুমুল উত্তেজনা। নানা জনের নানা মত। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল যে সিন্দুকটি ভেঙে ফেলা হবে। এমন সময় বাড়ির উঠোনে একজন মহিলা এলেন। মহিলা বললে বেশি বলা হয়ে যাবে। অল্প বয়সী এক মেয়ে। দেখতে ভীষণ ফর্সা যেন ঠিক এক টুকরো সাদা মেঘ এই মাত্র উঠোনে নেমে এসেছে। মেয়েটি সবাইকে সতর্ক করে দিল যে যদি কেউ এই সিন্দুকটি খোলার চেষ্টা করে তবে তার জীবনে নেমে আসবে অভিশাপ। এই বলে মুহূর্তেই মেয়েটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
তবু কেউ অবাক হলনা। মেয়েটির কথা না মেনে অবশেষে সিন্দুকটি ভেঙে ফেলা হল। কিন্তু খালি সিন্দুকটি সবাইকে হতাশ করে দিল। অবশেষে এক বুক হতাশা নিয়ে ফজল সাহেবের দাফনের কাজ শেষ করা হল। অনেকে আবার তার কবরে মাটি ফেলতে ফেলতে মনে মনে দু চারটি গালিও দিয়ে ফেলল এর মধ্যে ফজল সাহেবের লাশটিকে। কিন্তু পরদিন সকালে সেই বাড়ির কেউ আর ঘুম থেকে উঠতে পারলনা। চিরদিনের জন্য ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলো। ফজল সাহেবের একটি মেয়ে আছে ছয় বছর বয়স। নাম অহনা। শুধু সেই বেঁচে রইল।
***
বরফ কল থেকে চলচিত্র নায়িকা মালতী দেবীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। সেই এক সপ্তাহ শেষ হয়েছে প্রায় তিন মাস হতে চলল এখনো কোন সুরাহা হয়নি হত্যাকান্ডের। এবার তদন্তের গুরুভার পরেছে গোয়েন্দা বিভাগের উপর। শফিক স্যার গোয়েন্দা প্রধান। বেশ আবেগী একজন মানুষ। এমন মানুষ কিভাবে গোয়েন্দা প্রধান হয়েছেন সেটা আমার মত সামান্য একজন ড্রাইভারের পক্ষে বোধগম্য নয়। যাই হোক এখন চব্বিশ ঘন্টা স্যারের সাথেই থাকতে হচ্ছে। রাত নেই, দিন নেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে চলছি স্যারকে নিয়ে। স্যারকে নিয়ে গাড়ি চালানর সবচেয়ে কষ্টকর দিকটি হচ্ছে সিগারেট খেতে না পারা। স্যার আবার ধূমপান একদমই পছন্দ করেন না। তাও আবার সামান্য ড্রাইভার হয়ে কি করে এমন একজন বড় স্যারের সামনে সিগারেট খাই ! তাই স্যারের সাথে থাকতে থাকতে এই কয়দিনে প্রায় সিগারেট খাওয়া একরকম ছেড়ে দেয়াই হয়েছে।
***
আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে কিন্তু সে অনেক টাকার ব্যাপার। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করা আমার মত গরীবের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না। তাই আমি আমার বাবাকে চিরদিনের জন্য হারাচ্ছি এই অমোঘ সত্য মেনে নিয়ে বাবার সাথে শেষ কয়েকটা দিন হাসপাতালেই কাটাচ্ছি। এক রাতের ঘটনা। রাত তখন প্রায় তিনটা বাজে। প্রচণ্ড চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে। হাসপাতাল হতে বের হলাম। রাস্তার ওপারে একটি টং দোকান খোলা ছিলো। একটি ছয় বছরের মেয়ে দোকানে বসে ছিলো।
কি ব্যাপার তুমি এত রাতে দোকানে কি করছ?
দেহেন না দোকানদারী করতাছি !
কিন্তু তুমি কেন ? আর কেউ নেই ?
জে না। এইটা আমার মামার দোকান। হেয় সারাদিন চালায় আর আমি রাতে চালাই।
তোমার নাম কি ? তোমার বাবা-মা কোথায় ?
জে আমার নাম অহনা। উনারা মইরা গেছে। আমি মামার কাছে থাকি। মামাতো আর আমারে বইসা বইসা খাওয়াইবনা। হের লাইগা মামার দোকানে কাম করি। ওত কথার কাম নাই চা খাইবেন?
আচ্ছা দাও। তুমি রং চা বানাতে পার?
জে পারি। আপনে বহেন আমি বানায়া দিতাছি।
অহনা তোমার নামটা খুব সুন্দর। আচ্ছা অহনা আমাকে একটি সিগারেট দাও।
লন।
আমি দোকানের সামনে রাখা টুলের উপর বসে চা আর সিগারেট খাচ্ছি। মেয়েটির জন্য প্রচন্ড মায়া হচ্ছিল। এই এতিম মেয়েটির জন্য কিছু করতে পারলে ভাল হত। কিন্তু যে আমার নিজের চলারই সামর্থ নেই সে আবার আরেকজনের জন্য কি করবে? কিছু করতে পারলেতো নিজেরই এতদিনে একটি গতি করে ফেলা যেতো। যাই হোক আপাতত বাবার জন্য যদি কিডনি ম্যানেজ করা যায় সেটাই ভাগ্যের ব্যাপার হবে। ভাবতে ভাবতে হাসপাতালের ভেতর ফিরে এসেছি। সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় আমার পাশ দিয়ে বস্তা নিয়ে একটি লোককে নেমে যেতে দেখে কিছুটা সন্দেহ হলো।
ভাই কি নিয়ে যাচ্ছেন?
ময়লা।
এত রাতে কেন ভাই?
ওই মিয়া নিজের কাম করেন গিয়া। ময়লা রাতে ফেলাই আর দিনে তাতে আপনার কি?
না কিছুই না। এমনি জানতে চাইলাম।
শোরগোল শুনে মর্গের রক্ষী এগিয়ে এলো। আরে ভাই আপনি উনারে বিরক্ত করতাছেন কেন ? দেহেন না ময়লা নিয়া যাইতাছে। আপনের বাবার কাছে গিয়া উনার সেবা করেন গিয়া। এদিক ওদিক নজর দেয়া আপনের কাম না। এইডা আমার কাম। আমি দেখতাছি কোথায় কি হয়।
চলে যাচ্ছিলাম এমন সময় পেছন থেকে রক্ষী আমাকে ডাকল। এইযে ভাই শুনেন। আপনার না আপনার বাবার জন্য কিডনি লাগব পাইছেন কিডনি?
না এখনো পাইনি। অনেক টাকার দরকার। কিন্তু এত টাকা আমার কাছে যে নেই!
রক্ষী এদিক ওদিক তাকিয়ে আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল আইচ্ছা আমি আপনারে কিডনি জোগাড় কইরা দিতে পারি। কিন্তু আমার একটা কাম কইরা দিতে হইব।
আমি যেন তখন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়ে বলে ফেললাম ভাই আপনি টাকা ছাড়া যেই কাজ বলবেন আমি করে দিব। পারবেন আমাকে দুটি কিডনি জোগাড় করে দিতে ?
আইচ্ছা যান তাইলে অহন। কিডনি ব্যবস্থা করতে পারলে আপনারে কমুনে। তহন কিন্তু আমার কামডা কইরা দিতে হইব।
বলেছিতো ভাই দিব। আপনি আমার জন্য এত বড় একটি উপকার করে দিবেন আর আমি আপনার সামান্য কাজ করে দিতে পারব না!
আইচ্ছা শুনেন তাইলে কাইল আমি আপনারে দুইটা কিডনি জোগাড় কইরা দিমু। আপনি আমারে একটা মাইয়া আইনা দিবেন।
মানে কি মেয়ে ?
হ মাইয়া। ঐযে রাস্তার ওইপারের দোকানে পিচ্চি মাইয়াটা আমারে আইনা দিবেন। আমারে চেনে আমি কইলে আইব না কিন্তু আপনেরে না করব না। যদি আমার এই কামটা কইরা দেন আপনারে আমি কিডনি জোগাড় কইরা দিমু।
আপনি ওই মেয়েটিকে নিয়ে কি করবেন ?
হেইডা আপনের জানার বিষয় না। আমি ওই মাইয়া নিয়া কি করি না করি হেইডা আমার বিষয়।
সেই মুহূর্তে আমার কাছে আমার বাবাকে বাঁচিয়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ানোর কারণে ভাল মন্দ বিচার করার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাই মর্গের রক্ষীর প্রস্তাবে রাজী হয়ে যাই।
কথা অনুযায়ী আমি তাকে মেয়েটিকে এনে দিলাম রাতের অন্ধকারে। আর সেও তার কথা অনুযায়ী আমাকে দুটি কিডনির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো।
কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসের কারণে কিডনি দুটি আমার বাবার জন্য প্রযোজ্য হয়নি। তার কিছুদিন পরেই বাবা মারা গেলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর সেই রক্ষীর কাছে অহনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। রক্ষী আমাকে তাচ্ছিলের সাথে বলল জান মিয়া আপনি একখান কুফা। কিডনি পাইয়াও নিজের বাপরে বাচাইতে পারলেন না আবার আইছেন কোনহানকার কোন অহনা না গহনার খোঁজ লইতে। যান মিয়া ভাগেন। আমার কিডনি দুইটা ফেরত দিলেন না আবার আইছেন মুখ দেহাইতে। কিডনি দুইটা ফেরত পাইলেতো অন্য কাউরে দেওন যাইতো। মিয়া আপনের লজ্জা করেনা এহনো খাড়ায় আছেন ?
আমি সেখান থেকে চলে এলাম। তারপর আর কোন খোঁজ জানা হয়নি অহনার !
***
স্যার গাড়ি স্টার্ট দেবো ? এখন কোথায় যাবেন ?
হুম তুমি চল আজগর স্যারের বাড়িতে।
স্যার, আজগর স্যার উনাকে ঠিক চিনতে পারছিনা !
আরে বলকি? তুমি কি এই দেশেই থাক ? আজগর স্যার হলেন আমাদের মন্ত্রী। আর তুমি তাকেই চেন না ?
সরি স্যার ভুল হয়ে গেছে। স্যার উনার বাসা কোথায়? মানে স্যার কোথায় যাবো ?
হুম ! তুমি সোজা উত্তরা চল।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে উত্তরার পথে গাড়ি চালাচ্ছি। স্যারের হাতে মালতী দেবীর ফাইল। স্যার এখন গভীর মনোযোগ দিয়ে মালতী দেবীর জীবন বৃত্তান্ত পড়ছেন। এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোন খেয়াল স্যারের নেই। আজ প্রায় এক মাস হল স্যারের সাথে আছি। স্যারের কাজের ধরণ অনেকটাই এইকদিনেই বোঝা হয়ে গেছে। মন্ত্রী সাহেবের বাড়িতে চলে এসেছি। স্যার ভেতরে চলে গেলেন। ফিরে আসার সময় স্যারকে এগিয়ে দিতে দরজায় মন্ত্রী সাহেব এসেছিলেন। দূর হতে দেখে খুব চেনা চেনা লাগল লোকটিকে। এর আগেও দেখেছি কোথায় যেন ! হ্যাঁ মনে পরেছে আরে এইতো সেই মর্গের রক্ষী। গাড়িতে উঠার পর স্যারকে পুরো কাহিনী শুনালাম।
গ্রেট পেয়ে গেছি !
কি স্যার ?
ওহ তুমি জান না তুমি আমার কত বড় উপকার করলে ?
বহু দিন যাবত হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশের কিডনি চুরির রহস্য নিয়ে কাজ করছি। এখন আমার জন্য এই চক্রের গডফাদারকে ধরা সহজ হয়ে গেলো। তুমি কি ঠিক চিনেছো?
জী স্যার ওই চেহারা আমি কখনও ভুলতে পারবনা।
কিন্তু স্যার এই হারামীটা হাসপাতালের মর্গের সামান্য রক্ষী থেকে দেশের মন্ত্রী হল কি করে ?
কিডনি স্মাগ্লিং করে বড়লোক হয়েছে। তারপর টাকা ঢেলেছে মন্ত্রী হবার জন্য। খুবই সহজ হিসাব। এমনইতো হয়ে আসছে। যত চোর বাটপার গুলো আজ দেশের মন্ত্রী হয়ে বসেছে। এ কারনেই দেশের আজ এই বেহাল দশা। এদের দিয়ে আর যাই হোক দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। এরা এতদিন যে দেশকেই স্মাগ্লিং করে বেঁচে দেয়নি সেটাই ভাগ্য আমাদের।
ঠিক বলেছেন স্যার।
আচ্ছা শোন আমাদের কাল একবার সাটুরিয়া যেতে হবে। ওখানে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিছু জেলে একটি সিন্দুক পেয়েছে। সিন্দুকের ভেতর একটি বাচ্চা মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে।
বলেন কি স্যার ?
হুম !!!
পরদিন খুব ভোরে সাটুরিয়ার পথে রওনা হলাম স্যারকে নিয়ে।
নীল আকাশ ধীরে ধীরে কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। হয়ত কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে। আমার জন্য ভালই হল। বৃষ্টিতে লাশের একটি ভাল ব্যাবস্থা করা যাবে। পথে কোন নদী পেলে ফেলে দেয়া যাবে। বৃষ্টিতে নিশ্চয় রাস্তায় তেমন লোকজন থাকবেনা। সুযোগ বুঝে লাশ নদীতে ফেলে দিলেই হবে। একটু একটু কপালে ঘাম জমছে। নাহ আমাকে ঘাবড়ালে চলবে না। খুব সহজেই কাজটি করা যাবে। স্যার এই মুহূর্তে গভীর মনোযোগ দিয়ে আবারও মালতী দেবীর ফাইল নিয়ে বসেছেন। সিট কাভারের ভেতর লুকিয়ে রাখা পিস্তলটি বের করে ঠিক কপালের মাঝখানে একটি গুলি করলাম। মুহূর্তেই মাথার পেছন থেকে কিছু রক্ত গাড়ির পেছনের গ্লাসে ছিটকে পরল। মুষল ধারে বৃষ্টি নেমেছে এরই মাঝে। আমি গাড়ি চালাচ্ছি সামনে কোন নদী পেলেই লাশটি ফেলে দিতে হবে। বহুদিনপর স্যারের সামনে সিগারেট ধরালাম। তৃপ্তিটাই অন্যরকম লাগছে। পেছনে শুয়ে গোয়েন্দা প্রধান শফিক চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে দেখছে আমার আয়েশ করে সিগারেট টানা। তার বোবা কণ্ঠ আমাকে কিছুই বলতে পারছেনা। বেশ মায়াই হচ্ছে তার এমন অসহায়ত্ব দেখে।
অবশেষে লাশ নদীতে ফেলে আমি সিন্দুকটি একঝলক দেখার জন্য সাটুরিয়া পৌঁছালাম। মাঠের মাঝখানে সিন্দুকটি রাখা হয়েছে। তার ভেতর একটি বাচ্চার লাশ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন চ্যানেল থেকে রিপোর্টাররা এসেছে পুরো ঘটনাটিকে সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য। আমি ভিড় ঠেলে সিন্দুকের কাছে যেতেই অহনাকে দেখতে পেলাম। সিন্দুকের ভেতর পরে থাকা মেয়েটিই যে সেই অহনা যাকে আমি তুলে দিয়েছিলাম মর্গের রক্ষীর হাতে। অহনার কিডনি দুটি কেটে নেয়া হয়েছে। বীভৎস দৃশ্যটি আর একটুও আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। সেখান থেকে চলে আসছি যখন আমার মোবাইলে ফোন এলো। স্ক্রীনে আজগর ভাই কলিং লেখা দেখে ফোন রিসিভ করতেই ওপার থেকে উৎসুক কণ্ঠে,
কি ফিনিশ ?
আজগর ভাই ফিনিশ তবে আমি আপনার কাছেই আসছি। পুরনো কিছু হিসাব আপনার কাছ থেকে আজ বুঝে নিতে হবে।
কিসের হিসাবের কথা বলছো ?
টেলিভিশনে দেখুন একটি সিন্দুকের খবর সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। কথা পুরো শেষ না করেই আমি লাইনটি কেটে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলাম। আমার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে গাড়ি ছুটে চলেছে। পেছনে খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে আশেপাশের সব ঘর-বাড়ি আর গাছ-পালা। বৃষ্টির পানিগুলো অবিরত পরিষ্কার করে চলেছে উইপার দুটি যেন এই মেঘলা আঁধারেও স্বচ্ছ থাকে জানালার গ্লাস।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সিন্দুকটি হল রহস্যের মুল কেন্দ্র। কাজেই লৌকিকতার বাইরে এসে সিন্দুকের উপর ভরসা রেখেই গল্পটি নিয়ে ভাবতে হবে। এখানে এক অদৃশ্য শক্তির বলে অহনার খুনিকে গল্পের নায়কের কাছে ধরিয়ে দেবার জন্য অহনার মৃত দেহকে সিন্দুকের উসিলায় ছাব্বিশ বছর পর দেখান হয়েছে।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমারো কিছু জায়গায় খটকা লাগসে, তবে ওভারঅল ভালৈ লাগসে পড়ে ||
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পটিতে অলৌকিকতার প্রভাব রয়েছে। বাস্তবতার আলোকে বিচার করলে খটকা লাগাটাই স্বাভাবিক।
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: হ্যা সেই মরগের রক্ষী মন্ত্রী হয়ে গেল আর অহনা র লাশ ততদিন পরে পাওয়া গেল।।।।।।।পুরো গল্পটিতে সময়ের এক টু হরফের রয়ে গেসে।তবে গল্প টা চমতকার ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের দেশে কিছু মন্ত্রী এভাবেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এটাই নির্মম বাস্তবতা। আমিত শুধুমাত্র রুপক আকারে প্রকাশ করেছি মাত্র। আর অহনার লাশটিকে সিন্দুকের ক্ষমতা বলে যদি ততদিনপর পাওয়ান না যেত তবে মানুষের পাপ যে কখনওই চাপা থাকেনা, প্রকৃতি তার বিচার করবেই সেটাকে রূপক আকারে প্রকাশ করতে পারতাম না। গল্পটিকে সুপার ন্যাচারাল দৃষ্টি কিংবা প্যারানরমাল দৃষ্টি থেকে বিচার করলে হয়ত সময়ের হেরফেরটা বোঝা সহজ হয়ে যাবে।
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: হ্যা সেই মরগের রক্ষী মন্ত্রী হয়ে গেল আর অহনা র লাশ ততদিন পরে পাওয়া গেল।।।।।।।পুরো গল্পটিতে সময়ের এক টু হরফের রয়ে গেসে।তবে গল্প টা চমতকার ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: এইডা কিছু হইল, শফিক স্যারেরে মারা কি দরকার ছিল? শফিক স্যার তো কিছুই করে নি!!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শফিক স্যারকে মারার জন্যই গল্পের নায়ক ড্রাইভারের চাকরিটা করেছে। নতুবা তদন্তের পর গল্পের ভিলেনের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসত। আর গল্পের শিরোনামটাই কিন্তু দিয়েছি ডেথ এরর অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ মৃত্যু।
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
একজন আরমান বলেছেন:
মুগ্ধ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্য।
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
জুন বলেছেন: কান্ডারী প্লটটা খুবই ভালো তবে আরেকটু গুছিয়ে লিখলে পড়তে আরাম লাগতো । কিছু মনে করোনা কিন্ত সত্যি বলছি অদাধারন প্লট। কিন্ত সিন্দুকটাতো কবরে ছিল ওটা কি সাত বছরেও পচে যায় নি ? একটু খটকা লাগছে।
প্লাস দিতে অনেক্ষন চেষ্টা করলাম হচ্ছে না। আবার এসে চেষ্টা করবো কেমন।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সিন্দুক আর টাইম স্লট নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়াতে গল্পটি আংশিক ভাবে এডিট করে দিয়েছি। আশা করি এবার কিছুটা পড়তে আরাম লাগবে আর কিছুটা হলেও গ্রহন যোগ্য হবে।
আপনার কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে প্রেরনা দেয়ার জন্য।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
রাখালছেলে বলেছেন: শেষটা ছাড়া পুরো গল্পটা এক কথায় একটা পরিপূর্ন ছোট গল্প । ছোট গল্পের কোন শেষ থাকে আবার এইভাবে বলা যায়, শেষ হইয়াও শেষ হইল না ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর ভাবে একটা ফিনিসিং দেয়া যেতো কিন্তু ইচ্ছে করেই কিছুটা অসমাপ্তি রেখে দেয়া। যেন ভাবনা গুলো আরও বিস্তারিত হতে পারে। যেমন আমি শেষে লিখেছি,
আমার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে গাড়ি ছুটে চলেছে। পেছনে খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে আশেপাশের সব ঘর-বাড়ি আর গাছ-পালা। বৃষ্টির পানিগুলো অবিরত পরিষ্কার করে চলেছে উইপার দুটি যেন এই মেঘলা আঁধারেও স্বচ্ছ থাকে জানালার গ্লাস।
এখানে কিছুটা ভিন্নভাবে চেস্টা করেছি গল্পের নায়কের পাপের অনুশোচনা আর তার প্রায়শ্চিত্ত করার চেস্টার একটা রূপক ছবি আঁকতে।
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ডার্ক স্টোরি, কিছুটা ফ্যান্টাসি ধাঁচের । ফ্যান্টাসি আপনার হাতে আসে ভাল । টাইম স্লট কিছুটা পরিমার্জন করলে গল্পটা আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে ।
মর্গের দ্বাররক্ষীর মন্ত্রী হয়ে যাওয়া আমাদের সমাজের করুণ স্যাটেয়ার এবং একই সাথে বাস্তব ।
ডিটেইলিংয়ে কিছু লিমিটেশন আছে, আরও বিস্তারিত হলে ভাল লাগত । থিম আর প্লট অসাধারণ । এই থিম মাথায় রেখে বড় কিছু লেখার প্ল্যান করতে পারেন ।
গল্পে প্লাস ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই আমার গল্পগুলোতে বাস্তবতা কিংবা যুক্তি খোঁজা উচিত হবেনা। কারণ আমি মূলত ফ্যান্টাসি নির্ভর গল্পই লিখে থাকি আর ফ্যান্টাসি এমন একটি জিনিস যেখানে লেখক সকল বিজ্ঞান আর যুক্তি তর্কের বাইরে যেয়ে তার অবাস্তব ভাবনাগুলোর ভিজুয়ালাইজেশন করতে পারে। তবে এই ফ্যান্টাসির মাঝেও চেস্টা করি সমাজ আর জীবনের চিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে। তবে লেখালিখির সীমাবদ্ধতা আছে যেটা হয়ত একদিন লাইন মত চলে আসবে। আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে সেই চেষ্টায় প্রেরনা যোগায় । আপনার কাছে আরও বিস্তারিত সমালোচনা আশা করি। কারণ আমি বিশ্বাস করি প্লাস নয় একমাত্র কঠিন সমালোচনাই আমার লেখালিখির গুণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গল্পের টাইম স্লট পরিমার্জিত করে দিয়েছি। এখন একটু পড়ে দেখুন ঠিক আছে কিনা ?
হুম খুব বেশি বড় করিনি ইচ্ছে করেই কারণ অনেক সময় বড় গল্প পড়ার ধৈর্য অনেকেরই থাকেনা তখন আবার এনার্জি ড্রিংক খাওয়াতে হয় আমাকেই।
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
গোর্কি বলেছেন:
-গল্প, কবিতা এবং বিজ্ঞানের মধ্যে এখানেই পার্থক্য।
-গল্পকার, কবি তাদের কল্পনার জগতে অবাধ বিচরণ করতে পারেন।
-কিন্তু একজন বিজ্ঞানী তা পারেন না। তাকে প্রমাণ নির্ভরশীল হতে বাধ্য। -ভালো লেগেছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি নিজেও একজন বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। জড়িত রয়েছি বিজ্ঞান বিষয়ক কাজে। কিন্তু সেই বিজ্ঞান আর যুক্তি তর্কের বিরুদ্ধে যেয়ে কিছুটা চিন্তাশক্তিকে ঝালিয়ে নেয়ার চেস্টা থেকেই মূলত একেবারেই ফ্যান্টাসী নির্ভর গল্প লেখা। বাস্তবতা যা আমরা প্রতি নিয়ত দেখতে পাই সেটাকে গল্পে তুলে এনে বিনোদন পাওয়ার চেয়ে ফ্যান্টাসী নির্ভর গল্পে আর ভাবনায় বিনোদন উপভোগ বেশি করে থাকি বলেই আমার গল্পেও সেটা বেশি চলে আসে।
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
কয়েস সামী বলেছেন: আরেকটু কাজ করতে হবে। অসাধারন হয়েছে যদিও।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম কিছুটা অসমাপ্ততা থেকে যেতে পারে। সেটাকে উৎরে ওঠার চেস্টা অবশ্যই থাকবে পরবর্তীতে ।
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে আসবো !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ তোকে অনেক।
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
শফিক সাহেবকে মেরে ফেলাটা আমার কাছে অসামঞ্জস্য লেগেছে। যদিও আপনার দিক থেকে ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি এটার জন্য বিশ্বাস যোগ্য কোন পয়েন্ট গল্পে পেলাম না।
গল্পের বেশিরভাগ অংশ ভাল লেগেছে। খুব সাহসী একটি লেখা। শফিক সাহেবকে হত্যার একটা লজিকেল ভিউ আনতে পারলে অসাধারণ লাগতো।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শফিক সাহেবকে মেরে ফেলাই গল্পের মূল উপজীব্য বিষয়। কারণ গল্পের নায়ককে মন্ত্রী আজগর শুধু মাত্র এই কারনেই নিয়োগ করেছেন। নাহলে তার কিডনি স্মাগ্লীং সহ আরও নানাবীধ অপরাধ প্রকাশ পেয়ে যেতো। যেটা মন্ত্রী সাহেব কোন ভাবেই চাইবেনা যেখানে শফিক সাহেবের মত একজন চতুর গোয়েন্দা প্রধান খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন কেসটা নিয়ে। অতএব তার মৃত্যুই যথার্থ নতুবা গল্পের শিরোনাম ডেথ এরর কেন হবে ?
গল্পের থীম তোর বোধ হয় বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। পুরো গল্পে অপমৃত্যুই প্রাধান্য পেয়েছে। মানুষ মানুষকে স্বাভাবিক মৃত্যুর বদলে শুধু মাত্র যে নিতান্তই স্বার্থের জন্য হত্যা করে এটাই গল্পের থীম। অন্ধকার জগতের আলোকে লেখা একটি গল্প সাথে আমার স্বভাবসুলভ ফ্যান্টাসীর মিশ্রণ রয়েছে। সবশেষে দেখিয়েছি যে গল্পের নায়ক অপরাধ কর্মে জড়িত থাকার পরে শেষে এসে তার বোধদয় হয় কিন্তু তারপরেও মন্ত্রীকে মেরে শোধ নেয়ার জন্য সে গাড়িতে করে রওনা হয়।
এই কথাগুলো গল্পে লিখে দেয়া যেতো কিন্তু ইচ্ছে করেই দেই নি। সবটাই নির্ভর করবে গল্প পড়ে পাঠকের ভাবনার উপর গল্প বোঝার উপর।
১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
ঢাকাবাসী বলেছেন: সব মিলিয়ে গল্পটা ভাল লেগেছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।
১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: ভাল লাগলো
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ইমন। আপনার ভাল লেগেছ জেনে খুশি হলাম।
১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আর একটু বিস্তারিত হলে ভাল হত! তবে প্লটটা অসাধারণ।
ভাল লাগা জানবেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পটিকে টেনে বড় করা যেত যাই হোক কিছুটা অপূর্ণতা জীবনেরই অংশ।
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: লেখার বিষয় আর লেখার ধরণ এবং এতো অল্প কথায় এতো বড় একটি কাহিনী বলে ফেলার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। দারুণ হয়েছে, এক কথায়।+
দ্বিতীয়বার চোখ বুলালে হয়তো ছোটখাটো ত্রুটিগুলো আপনিই ঠিক করে নেবেন।
সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য মইনুল ভাই।
১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৪
টুম্পা মনি বলেছেন: কি অদ্ভুত! পৃথিবীর সব থেকে আজব মানুষ হয়ত এই সব মর্গের ডোম। লেখাটা মনে দাগ কাটল। কৃতিত্ব অবশ্যই লেখকের।
শুভকামনা কান্ডারী।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পৃথিবীটা সত্যি এক অদ্ভুত জায়গা।
১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম শফিক স্যারই প্রকৃত ভিলেন। কমেন্টে ডেথ এররের ব্যাখ্যা না দিলে আমি ওভাবেই ভাবতাম। এখনও এ কাজটা করা যায়, শফিক স্যারের ক্যারেক্টারে কিছু বর্ণনা উহ্য রেখে দিয়ে।
সময়ের ব্যাপারটা আমি ধরতে পারি নি।
মর্গের রক্ষীর মন্ত্রী হওয়াটা অবাস্তব লেগেছে। তবে আমি ভেবেছিলাম মন্ত্রী মহোদয় বোধ হয় ছদ্মবেশে রক্ষীর রূপ ধরে এ কাজটা করেন।
যত চোর বাটপার গুলো আজ দেশের মন্ত্রী হয়ে বসেছে। এ কারনেই দেশের আজ এই বেহাল দশা। এদের দিয়ে আর যাই হোক দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। এরা এতদিন যে দেশকেই স্মাগ্লিং করে বেঁচে দেয়নি সেটাই ভাগ্য আমাদের।
সব মিলিয়ে গল্প কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা রইল। আসলে সমাজের কিছু বাস্তবতাকে তুলে ধরার চেষ্টা থেকেই এই গল্পটি লেখা।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্প।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় প্রোফেসর শঙ্কু
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি... ভালো
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুমন কর ভাই।
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৭
এহসান সাবির বলেছেন: সব মিলিয়ে খারাপ হয়নি। শুভেচ্ছা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুব বেশি ভালও যে হয়নি সেটা মন্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে।
২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুঃখিত প্রিয় ব্লগার। গল্পটি আসলেই দারুণ হয়েছে।
আমি একটি ব্যক্তির নাম মনে না রখতে পারায় গল্পের শেষে এসে ভুল বুঝেছি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্প বুঝে পড়লে এমন হতনা। ভালো থেকো।
২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
রোমেন রুমি বলেছেন: ফ্যান্টাসি দোষের কিছুই নয় । এটাও শিল্প । তবে শিল্প হিসেবে পাঠকের সামনে নিয়ে আসাটাই লেখকের দক্ষতা । এত দীর্ঘ লেখা আমার দ্বারা সম্ভব না । আমার ধর্য নেই বললেই চলে । এটা পড়তে পরতেই আমার অবস্থা কাহিল আবার লেখা !!
গল্পে ভাল লাগা রইল কান্ডারী ভাই ।
শুভ রাত্রি ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয় রুমি ভাই।
২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
রোমেন রুমি বলেছেন: ফ্যান্টাসি দোষের কিছুই নয় । এটাও শিল্প । তবে শিল্প হিসেবে পাঠকের সামনে নিয়ে আসাটাই লেখকের দক্ষতা । এত দীর্ঘ লেখা আমার দ্বারা সম্ভব না । আমার ধর্য নেই বললেই চলে । এটা পড়তে পরতেই আমার অবস্থা কাহিল আবার লেখা !!
গল্পে ভাল লাগা রইল কান্ডারী ভাই ।
শুভ রাত্রি ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার এই গল্পটি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রথমত গল্প পড়ে মজা পেয়েছি ! গল্পের অসামঞ্জস্যের যে কথা গুলো বাকী সবাই বলছেন সেগুলো আমার কাছে মনে হয়েছে কিছু কঠিন মুভি থাকেনা যা দেখার পর মনে হয় এটা কেন করলো সেটা কেন করলো ,একটু ভেবে আরেকবার দেখলে সেটকা পরিস্কার হয় , অনেকটা সেই রকম ! গডফাদার ই ড্রাইভার নিয়োগ দিয়েছে সময় মত মেরে ফেলার জন্য যা দর্শক কিংবা পাঠক ও বুঝতে পারবেনা , কাহিনীর ইউটার্ন !! এই জায়গাটা ভালো লেগেছে ! আর শুরুর দিকে সিন্ধুকের ব্যাপারটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নি , সিন্ধুক সম্পর্কিত রহস্য এনে আপনি হয়তো কিছুটা ফ্যান্টাসি ভাব আনতে চেয়েছেন যেটা আড়ালে পরে গেছে গল্পের বাস্তব সত্য গুলোর কষাঘাতে ! মন্ত্রীর গার্ড হয়ে কিডনী স্মাগলিং , কিংবা বাচ্চা একটা মেয়েকে বিবেক বিসর্জন দিয়ে তুলে দিয়ে আসার ব্যাপারগুলো আমাদের সামাজিক আর ব্যাক্তিগত হীনমন্যতাকে প্রকাশ করে , যেখানে সিন্ধুক সংক্রান্ত ফ্যান্টাসি আমার কাছে গুরত্বহীন মনে হয়েছে , বরং ওই হীনমন্যতা গুলোই গল্পের মূলভাবে রূপ নিয়েছে ! আর শেষে হয়ত গল্পের "আমি " চরিত্র নায়ক হয়ে উঠবে , অহনা খুনের প্রতিশোধ নিয়ে ! এখানে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে , এই জন্য "আমি " কখনোই নায়ক হতে পারবেনা , অন্তত আমার কাছ না ! চরিত্র টি রয়ে গেছে ধোয়াশায় আচ্ছন্ন এক কাপুরুষ !
শুভকামনা প্রিয় কান্ডারী অথর্ব !
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সিন্দুক পর্বে যদি লক্ষ্য কর দেখবে সেখানেও হীনমন্যতাই প্রকাশ করেছি। একটি মানুষ মারা গেছে কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ বিচলিত নয় বরং সিন্দুকের ভেতর কি আছে সেটা নিয়েই সকলের উৎসাহ।
একমাত্র মনে হয় তুমি গল্পের একটি সুন্দর ব্যাখ্যা দিলে।
২৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: এইডা কিছু হইল, শফিক স্যারেরে মারা কি দরকার ছিল? শফিক স্যার তো কিছুই করে নি!!
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সমাজের ভাল মানুষগুলোকেই অকারণে প্রাণ দিতে হয়।
২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
মেহেরুন বলেছেন: ৭ম ভালোলাগা রইলো। গল্প ভালো লাগলো।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মেহেরুন আপু। ভালো থাকুন সবসময়।
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
এহসান সাবির বলেছেন: না ভাই, ভালোই হইছে, আমি আসলে সময় টা গুলিয়ে ফেলেছিলাম,
''লেখক বলেছেন:
সিন্দুকটি হল রহস্যের মুল কেন্দ্র। কাজেই লৌকিকতার বাইরে এসে সিন্দুকের উপর ভরসা রেখেই গল্পটি নিয়ে ভাবতে হবে। এখানে এক অদৃশ্য শক্তির বলে অহনার খুনিকে গল্পের নায়কের কাছে ধরিয়ে দেবার জন্য অহনার মৃত দেহকে সিন্দুকের উসিলায় ছাব্বিশ বছর পর দেখান হয়েছে।''
এটা পড়ে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সময় নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কারণে কিছুটা এডিট করেছি সময়ের অংশটুকু।
৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
অদৃশ্য বলেছেন:
কান্ডারী ভাই
গল্পটা দারুনভাবেই শুরু করলেন... শেষ পর্যন্তই মনে হলো ভাবনাটা দারুন...
কিছু জায়গায় কিছু কিছু খটকা তৈরী হলো... যেহেতু খুব অল্পের মধ্যেই অনেক কিছু বুঝাতে চেয়েছেন তাই হয়তো এমনটা হতে পারে...
যা হোক ভালো লেগেছে লিখাটি...
শুভকামনা...
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই ধরনের লেখা লিখে অভ্যস্ত নই। কিছুটা রিস্ক নিয়েছি। আবার গল্পটা খুব সংক্ষিপ্ত আকারেই লিখতে চেয়েছি আমার আগের অভিজ্ঞতা থেকে বড় গল্প লিখলে লোকে পড়তে চায়না তাই কিছু খটকা থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই মন্তব্যে ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ ও ক্ষমা করবেন খটকার জন্য।
৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
এরিস বলেছেন: সুন্দর লেখা কাণ্ডারী ভাই। অন্য সবার মত আমারও সময় নিয়ে একটু খটকা লাগছিল। দ্বিতীয়বার পড়ার সময় মনে হয়েছে প্রতীকী ভেবে পড়লেই বরং গল্পের মজা বহুগুণে বেড়ে যাবে। যেহেতু পুরো গল্পে তিনটা ভিন্ন ভিন্ন গল্পকে যুক্ত করা হয়েছে, টাইমিং এর ব্যাপারটা এখানে গৌণ, গল্প যোগ করে সামঞ্জস্য রেখে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়াটা একটা ভীষণ রকমের জটিলতার কাজ। আর শুরুটাও ছিল সপ্নে পাওয়া সিন্দুক নিয়ে ফজল সাহেবের বিশ্বাস নিয়ে। হুট করে ভীষণ ফর্সা অল্পবয়সী একটা মেয়ের আবির্ভাব, সাবধান করা, আবার মিলিয়ে যাওয়াটা দেখেই বাকিটুকু বিশ্বাস করতে হবে।
ড্রাইভার যে গুপ্তঘাতক সেটা জানতে পেরে একটা ধাক্কা খেয়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত সে মর্গের রক্ষী, মানে আজকের মন্ত্রীকে শেষ করতে পারবে কি না জানা হল না। তাই শেষ পর্যন্ত তার পাপ অমোচিত-ই থেকে গেল। গল্পের প্রায় সবগুলো অপমৃত্যুর কথা ভাবছিলাম। গল্পকথক প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজেই খুন হবে না তো!! নাকি এই মন্ত্রী আবার তাকে বাবার জন্যে কিডনি ম্যানেজ করে দেয়ার মত কোন আকাশচুম্বী লোভ দেখিয়ে নিজের হাতের মুঠোতেই রাখবে!! অসব অশুভ ক্ষমতা নিয়েই তো এরা গল্পকথকের মত মানুষদের জিম্মি করে রাখে। কারণ, পাপ পুণ্যের চেয়ে কিছু মানুষের কাছে চাহিদার মুল্য আগে।
সুন্দর গল্প। সমাজের অন্ধকার দিক, অযোগ্যতায় থেকেও অসৎ পথে সমাজের মাথায় পৌঁছানো, স্বার্থের জন্যে সততার জলাঞ্জলি, হত্যা, বিশ্বাসের মৃত্যু, অনুশোচনা, সব মিলিয়ে জটিল একটা ভাবনা।
ভাল লাগা রেখে গেলাম প্রিয় কাণ্ডারী ভাই।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি কথা বলতে কি এই ধরনের গল্প নিয়ে বড় উপন্যাস লেখা ভাল। আমি শুধু ব্লগের জন্য চেষ্টা করেছি অনেকটা অনুগল্প আকারে লিখতে। তাই এখানে অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আপনি যেভাবে গল্পের পুরো ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেন আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। গল্প যেমনি হোক গল্পের মেসেজটি যে দিতে পেরেছি এবং সেটা সবার কাছে পৌঁছল তাতেই আমি খুশি।
ভালো থাকবেন এরিস।
৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
পেন্সিল চোর বলেছেন: ৯ম ভালো লাগা পেন্সিল চোরের
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর প্রিয় পেন্সিল চোরকে পেয়ে মনটাই খুশিতে ভরে গেলো।
৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
সায়েম মুন বলেছেন: প্লট এবং লেখা দুটোই ভাল লেগেছে। শেষ পর্যন্ত খুব দ্রুতই পড়ে গেছি। একদম ঝরঝরে লেখা। আরও লিখুন গল্প। শুভকামনা রইলো।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে নতুন কিছু লেখার প্রেরণা দেয়। ভাল থাকবেন সায়েম ভাই। কৃতজ্ঞতা রইল ।
৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: রহস্যময় বিষয় নিয়ে ভাবনা। অভিনব।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। অনেক ভাবনা আছে তবে লেখার সীমাবদ্ধতার কারণে সম্ভব হয়না।
৩৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ জমজমাট ক্রাইম থ্রিলার। তবে জাম্পগুলো একটু বেশি হয়ে গেছে কিছু জায়গায়। আরেকটু ডিটেইল হলে ভালো হতো।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ হাসান ভাই চেষ্টা করব আপনার পরামর্শ অনুযায়ী ভুল ত্রুটি গুলো সামনে কাটিয়ে উঠার ।
৩৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
গোঁফওয়ালা বলেছেন: গল্প বলার ধরন টা বেশ ভালো লেগেছে। বড় পেঁচালো বিষয়গুলোকে একটা ফ্রেমে আনা গিয়েছে। ভালো লাগলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় গোঁফওয়ালা আপনার প্রেরণা মূলক মন্তব্যের জন্য।
৩৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কাল পড়লাম।
ভাবলাম একটু পরে মন্তব্য দেই।
এরপর থেকে অনুসরণ লিস্টে ঢুকতেই পারছি না।
এই হলো সামু।
ভালো লেগেছিলো।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমারও একই অবস্থা ভাই। অনুসারিত ব্লগ পড়তে পারছিনা। লাইক দিতে পারছিনা। তবে এসব সমস্যা খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।
৩৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেরী হলো পড়তে আপনার গল্পটা।
পড়তে শুরু করে ভেবেছিলাম আবার কোনও মিথলজিক্যাল কাহিনিতে ঢুকলাম কিনাকারণ এক মেয়ে এসে আবার বাতাসে মিলিয়ে যায় ! মৃত বাড়িতে লক্ষ্যনীয় অনেক কিছুই আছে যা মৃত ব্যক্তিকেও ছাপিয়ে যায়। আমার বাবা যেদিন মারা গেলো সেদিন আমার এক শাশুড়ি স্থানীয় একজন বারবার বলতাছিল -- রাইতে কি খাইবা তোমরা , না খাইয়া সারা রাইত পার করবা, খিদা লাগবো না ? আমার ভয়াবহ মেজাজ খারাপ হইছিল কারণ ঐ মহিলা সব কিছুতে খাবারের প্রসঙ্গ টেনে আনে !
ড্রাইভারের কথা গুলো দ্বিতীয় অংশে এসে পড়তে ভালো লাগতাছিল।
কিন্তু মর্গের রক্ষীর কিডনি পাচার, তার মন্ত্রী হওয়া ইত্যাদি কিছু বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা এলে বোধ হয় মনে হতো না যে ঘটনা খুব দ্রুত ঘটছে। মানে কাহিনীর চিত্রায়নে কিছু দুর্বলতা পাইছি।
যেহেতু যুক্তি তর্ক দিয়ে কিছুই বিচার করা যাবে না সেহেতু গল্পে প্লাস দিলাম। গল্পে সিন্দুকে অহনার লাশ পুরাই সিনেমাটিক, অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার আজকাল ঘটে কম বলেই এমন লাগলো।
ছোট ছোট বাচ্চাদের কিডনি বিক্রি করে তাদের পঙ্গু জীবনের দিকে ঠেলে দেয়াটা বেদনাদায়ক।
ভালো থাকবেন কাণ্ডারী ভাই।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু কেমন আছেন ?
আসলে আমি ফ্যান্টাসী লিখতে লিখতে বড় বেশি অভ্যস্ত হয়ে পরেছি। তাই বাস্তবতা নির্ভর গল্প লিখতে ভুলে গেছি। তবে এই গল্পটিতে চেষ্টা করেছি অনুগল্প হিসেবে সমাজের মৃত্যু বিষয়ক এবং আরও কিছু অন্ধকারের চিত্র অল্প অল্প করে তুলে ধরতে। আরও একটু বিস্তারিত চিত্রায়ন হয়ত করা যেতো তাহলে পরিপূর্ণতা পেতো তবে অনুগল্পে এত কিছু এনেছি বলেই গল্পের স্বাভাবিক প্রাঞ্জলতা হারিয়েছে। হয়ত কোন একদিন এই গল্পটি পুনরায় একটি পুরনাঙ্গ উপন্যাসে রূপ নিলেও নিতে পারে। আমার অনেক গল্পই আছে যেগুলো সময় পেলে বিশদ আকারে লেখার ইচ্ছে রয়েছে। এখন শুধু খসড়া ভাবে লিখে রাখছি। আর আপনাদের সমালোচনা আমাকে ভুল ত্রুটি গুলো ঠিক করে নিতে সাহায্য করছে।
৩৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো আছি , আলহামদুলিল্লাহ।
আপ্নারাও ভালো থাকবেন।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব
৪০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
অবচেতনমন বলেছেন: অসাধারন,মুগ্ধ+++++++++++++++++++++++++
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেকগুলো প্লাস খুশি হলাম।
৪১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
ইমরান খান উরফ রেহান বলেছেন: ১০০০ টা লাইক
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এত লাইক ধন্যবাদ অনেক অনেক অনেক আপনাকে।
৪২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
শিপন মোল্লা বলেছেন: যত চোর বাটপার গুলো আজ দেশের মন্ত্রী হয়ে বসেছে। এ কারনেই দেশের আজ এই বেহাল দশা। এদের দিয়ে আর যাই হোক দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। এরা এতদিন যে দেশকেই স্মাগ্লিং করে বেঁচে দেয়নি সেটাই ভাগ্য আমাদের।
চমৎকার । আজকাল ব্লগ ছেরে দিয়ে এই সব অসাধারন লিখা গুলির সাথে আমি পরিচিত না। ধন্যবাদ ভাই।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে পেলাম। আশা করি নিয়মিত হবেন। নিশ্চয় ভাল আছেন।
৪৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দেশের হোমরা-চোমড়ারাই যত আকাম আর কু-কাজের মূলে। পত্রিকায় একবার পড়েছিলাম বাচ্চা চুরি করে অন্ধ-খঞ্জ বানিয়ে ভিক্ষা করানোর দল পোষে আমাদের কোনো এক মন্ত্রী।
ফ্যান্টাসি হলেও বাস্তবতাকে অবলম্বন করেই গল্পটা লতিয়ে উঠেছে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্বপ্ন দেখি দুচোখে সুন্দর একটি বাংলাদেশের যেখানে থাকবেনা এমন কুৎসিত চেহারা আর হায়না রুপী মানুষের পাশবিক কর্মকাণ্ড ।
৪৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আফসোস হচ্ছে কেন এত দেরি করে গল্পটা পড়লাম। বুদ হয়ে ছিলাম গল্পে, একবিন্দুও থামিনি পড়ার সময়। কখন যে শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না, এখানেই আসলে লেখকের কৃতিত্ব।
কিছু খটকা ছিল, কমেন্টগুলো পড়ে ক্লিয়ার হয়ে গেছে। আর একটা ট্যাকনিক্যাল ভুল আছে, একটু ব্যাখ্যা করি। আমি যেহেতু ডাক্তার না তাই ভুল হলে আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আমাদের কিডনি দুইটা হলেও একটিভ থাকে শুধু মাত্র একটা, যদি কোন কারনে একটা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অপরটা অটোমেটেকিলি কাজ শুরু করে। দুইটা কিডনি সাধারনত একসাথে একটিভ থাকে না। তাই কেউ যদি বলে যে তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তার মানে ধরে নিতে হবে তার দুটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। কারন একটা কিডনি নষ্ট হয়ে থাকলে সেটার ইফেক্ট বুঝা যাবে না যতক্ষণ না অপরটাও নষ্ট হয়ে যায়। তাই কারও জীবন বাচানোর জন্য একটা কিডনিই লাগে, সেই কারনে রুগীর জন্য একটা কিডনির খোজ করা হয় সবসময়। এখানে গল্পের মুল চরিত্রের বাবার জন্য দুইটা কিডনি লাগবে ব্যাপারটা ভুল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অসংখ্য। কিডনি নিয়ে এত কিছু জানা ছিলোনা।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি খুশির সীমা নেই।
৪৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখটা দেরিতে নজরে আসায় নিজেরে নিজেই মাইনাস ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লিটন ভাই সবই বুঝলাম কিন্তু হাসির ইমো নিয়ে ভাবনায় পরে গেলাম।
৪৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার গল্পটি দেরিতে পড়ার জন্য আফসোস।
আমার মনে হয়েছে গল্পটা আরও একটু বড় হতে
পারতো। তবে থিম এবং বর্ণনার বোঝাপড়া নিয়ে
কোনো ভাবনার অবকাশ নেই।
শুভকামনা কান্ডারী ভাই।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আপনার এমন মন্তব্য সত্যি আমাকে লেখালিখির জন্য দারুন প্রেরনা যোগায়।
ভালো থাকুন দোয়া করি।
৪৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২
মাগুর বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটানে পড়ে ফেললাম। এক কথায় চমৎকার। গল্পের কমপ্লেক্স দিক গুলো অন্যদের কমেন্টে আপনার রিপ্লাই এর কারনে পরিষ্কার করে দিয়েছেন
শুভ কামনা হে প্রিয় ব্লগার
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যে আপনিও একজন অত্যন্ত প্রিয় ব্লগার মাগুর ভাই। শুভকামনা নিরন্তর।
৪৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
রাজনীতিকদের দূর্নীতি আর সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ, এতিম বাচ্চার অসহায়ত্ব সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে ।
অহনার জন্যে মায়া লেগেছে !
নতুন পোস্টটাতে পরে মন্তব্য করবো ...এটাতে মন্তব্য করা হয় নি, আগে দেখে রাখলৈও । লগআউটের ঝামেলা এখনও মিটছে না
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু দেরীতে উত্তর দেয়াতে ক্ষমা করবেন। আমিত এতদিন ব্লগেই ঢুকতে পারছিলাম না।
দেখা হবে পুনরায় ব্লগের বিচরনে। কৃতজ্ঞতা জানবেন অনেক অনেক।
৪৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১
তাসজিদ বলেছেন: চমৎকার লেখনি। কিন্তু স্টেপ গুল বুঝতে পারছি না।
যদিও এ রহস্যময়তা এ গল্প কে অনন্যতা দান করেছে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্টেপ গুলো বোঝার জন্য মন্তব্যগুলো একটু কষ্ট করে পড়ুন হয়ত সহজ হবে।
কৃতজ্ঞতা চিরদিনের প্রিয় তাসজিদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই ভাল।
কিন্তু টাইমিংয়ে খটকা লাগল!!!!
+++