নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার সাইড এফেক্ট

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯









ভালোবাসা নিয়ে ব্যাপক জ্ঞানগর্ভ গবেষণা এই পোস্টের প্রতিপাদ্য কোন বিষয় নয়। এই গল্পে স্বভাবসুলভ ভাবেই কিছু কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। তবে এই গল্পটির মাধ্যমে আমি সাময়িক ভাবে গল্প লেখার প্রতি অবসর গ্রহন করছি। এই জন্য আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেই খুশি হব। তবে এই গল্পে জাতীয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের চরিত্র আনা হলেও তাদের প্রতি সীমাহীন শ্রদ্ধা রেখে কাউকে কটাক্ষ করা হয়নি। গল্পের কাহিনী ও চরিত্র বিন্যাস নিতান্তই কাল্পনিক। বিজ্ঞ জনেরা বলে থাকেন অভাব যখন দরজায় এসে দাড়ায় ভালোবাসা নাকি তখন জানালা দিয়ে পালায়। কিন্তু সেই ভালোবাসা যখন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে এসে গলা চেপে ধরে তখন কি হয় ? আমি বলি তখনই মানুষ গান গায় আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙ্গাল। শরতচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস দেবদাস আমরা প্রায় সকলেই কম বেশি পড়েছি। আর যারা পড়তে পারিনি তারাও এপার বাংলা আর ওপার বাংলার নাটক ও সিনেমার কল্যানে দেবদাস সম্পর্কে এখন সবাই জানি। এমনকি হিন্দিতেও দেবদাস নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। শুনেছি তামিল থেকে শুরু করে সেই হলিউডেও পর্যন্ত নাকি এই দেবদাস নিয়ে সিনেমা তৈরির কথা ভাবছে। শরতচন্দ্রকে এই জন্য হ্যাটস অফ যে তিনি প্রেমের এক বিস্ময়কর কাহিনী দিয়ে গেছেন পুরো পৃথিবীকে। যেন দেবদাস কোন উপন্যাস নয় একটি বাস্তব চরিত্র যাকে আমাদের পৃথিবীতে চোখের সামনে রোজই দেখতে পাই। তবে আমার এই গল্পের সাথে দেবদাস কাহিনীর কোন রকম মিল নেই। এমনকি দেবদাস চরিত্রটির সাথেও এই গল্পের নায়কের কোন রকম মিল নেই। লিখে পাতা ভরার দরকার তাই এই প্রসঙ্গটি নিছকই তুলে ধরা। শেক্সপিয়র তার বিখ্যাত রোমিও-জুলিয়েট উপন্যাসটিতে লিখে গেছেন,



O, she doth teach the torches to burn bright.

It seems she hangs upon the cheek of night

Like a rich jewel in an Ethiop's ear.

(1.5.43-45), Romeo



Give me my Romeo, and, when he shall die,

Take him and cut him out in little stars,

And he will make the face of heaven so fine

That all the world will be in love with night,

And pay no worship to the garish sun.

(3.2.21-5), Juliet



How fares my Juliet? that I ask again;

For nothing can be ill, if she be well.

(5.1.15-16), Romeo




ভালোবাসা নিয়ে এমন হৃদয়কে ভেদ করে যাওয়া লেখা বানী খুব কমই বিশ্ব সাহিত্যে পাওয়া যাবে হয়ত। যাই হোক অনেক সূচনা লেখা হলো এবার মূল কাহিনীতে যাওয়া যাক।



আমাদের মহল্লায় একবার দিজেন্দ্রনাথ শর্মা সাহেব এসেছিলেন। দেবদাসের সাথে তিনি নাকি বিলেতে পড়াশোনা করেছিলেন। একই রুমেও তারা থাকতেন। আমাদের মহল্লায় প্রেমের কাঙ্গালেরা মিলে একটি সংগঠন করেছে, “প্রেমের চিরস্থায়ী কাঙ্গাল সংঘ” নামে। সেই সংঘের পরিচালক আকাশ আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু মানুষ। তারাই নিমন্ত্রন করে এনেছিলো দিজেন্দ্রনাথ শর্মা সাহেবকে দেবদাসের মৃত্যু বার্ষিকীতে কিছু স্মৃতিচারণ মূলক মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য। রীতিমত একেবারে তাকে ঘোড়ার গাড়িতে করে এনে হাজির করা হলো। উৎসুক জনতার ভিড় তাকে ঘিরে। যতটুকু বুঝলাম উৎসুক জনতার চোখ সাহেবকে যতনা দেখছে তার চেয়ে বেশি আমোদিত হচ্ছিলো এমন এলাহি কান্ডকারখানা দেখেই। একেবারে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে তাকে বরণ করা হয়েছিলো। আমার কাছ থেকে মোটা অংকের ডোনেশন খসিয়ে নিয়েছিলো বদ ছেলেগুলো। সেই দুঃখ আমি আজো ভুলতে পারিনি। যাই হোক আমাকে সেই আলোচনা সভার সভাপতি করা হয়েছিলো। আমিও খুব ভাব নিয়ে সভায় থেকে আমার স্বরচিত একটি প্রেমের বিষাদমাখা কবিতা আবৃত্তি করে এসেছিলাম।



ফেরার পথে দিজেন্দ্রনাথ শর্মা সাহেবকে শোভনের অনুরোধে ওদের বাড়িতে আনতে বাধ্য হয়েছিলাম। শোভন আবার দেবদাসের ভীষণ ফ্যান কিনা তাই। ঘরে মোরগ-পোলাওর আয়োজন করে রেখেছিলো শোভন। আমি অবশ্য তাতে তেমন কিছুই মনে করিনি কারন আমরা বাংলাদেশিরা আর যাই হোক প্রচন্ড অতিথি পরায়ণ। দিজেন্দ্রনাথ শর্মা লোকটা দেখতে ইংরেজ সাহেবদের মতোই, একেবারে সাহেবিয়ানা ভাব পুরো চেহারায়। হালকা পাতলা গঠনের মুক্তমনা প্রগতিশীল একজন খাঁটি মানুষ। এমন একজন মানুষের সাক্ষাৎ পাওয়াও নাকি পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। হ্যাঁ, সৌভাগ্যতো বটেই। তিনি যে একজন মুক্তমনা প্রগতিশীল মানুষ এটা আমি পেয়েছি তার ভিজিটিং কার্ডের লেখা থেকে। সেখানে তিনি লিখিয়ে রেখেছেন মুক্তমনা প্রগতিশীল ড. দিজেন্দ্রনাথ শর্মা ( পি এইচ ডি, লন্ডন )। তিনি নাকি চিরকুমার। বিবাহ নামক সামাজিক বন্ধনে বিশ্বাস করেন না। আর এই কারনেই দুইজন নারীর সাথে একই ঘরে সংসার করেও তিনি আজো অবিবাহিত একজন চিরকুমার মানুষ। আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থা যাকে লিভ-টু-গেদার নামে আখ্যায়িত করে থাকে। যাওয়ার আগে দেখলাম তিনি শোভনকে কি সব প্রেম বিষয়ক জ্ঞান দান করছেন ! সেসব জ্ঞান যদিও আমি মনে করি শর্মা সাহেবের চেয়ে আমাদের শোভনের অনেক বেশি। চাইলে শোভনও তাকে আরও বেশি জ্ঞান দান করতে পারত কিন্তু নিতান্তই ভদ্রতার খাতিরে শোভন শুধু হেসে মাথা নাড়িয়ে গেছে। এই জন্য আমি পরে শোভনকে পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলেছিলাম গুরু আমাকে কিছু জ্ঞান দেন না প্রেম বিষয়ক। আমিও প্রেম করতে চাই। প্রেমের মহাসাগরে এমন ডুব দিতে চাই যেন অভিজ্ঞ ডুবুরিরাও আমাকে খোঁজ করে আবিষ্কার করতে না পারে। শোভনের ঠোঁটে সেদিন যে হাসি দেখেছিলাম তার অর্থ বুঝেছি অনেক পরে।



বেঁচে থাকার অপর নাম হল ঘুম। সময় পেলেই ঘুমাই। তেমনি এক রাতে ঘুমের মাঝে কবি নজরুল আমার স্বপ্নে এলেন। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেন। তিনি আমাকে বললেন, "এখন আমি কান্ডারীকে হুশিয়ার হতে বলি না, কারন আমি জেনে গেছি সে এখন অথর্ব, সামুতে আর ফেসবুকে তার আইডিটা আমি দেখেছি"



ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি উনার হাতে প্রাণ মেঙ্গোবার। উনি মাঝে মাঝেই খুব তৃপ্তি নিয়েই তাতে একটু জিহ্বা লাগাচ্ছেন। দূরে একটি মেয়ে দাড়িয়ে ছিলো, বেদুঈন মোনালিসা। তবে এই মোনালিসা ভিঞ্চি সাহেবের আঁকা রহস্যময়ি সেই মোনালিসা কিনা বলা যাচ্ছেনা। তবে চেহারায় অনেকটা মিশরীয় ফারাওদের ছাপ রয়েছে মেয়েটির। চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ। মোনালিসা, মেয়েটা উকি ঝুকি দিচ্ছে দূর হতেই, আর কবির চেহারায় অসস্তির ছাপ, মনে হচ্ছে যেন তিনি বলতে চাচ্ছেন, “কান্ডারী তুই এখন যা আমি ব্যাস্ত আছি”



কবির মোবাইল ফোনটি বেজে উঠল। স্যামসাং এস ফাইভ। বাহ ! কবি, রবী ঠাকুর দেখলে হয়ত এতক্ষনে হিংসায় জ্বলে যেতেন আপনার আজকের এমন ঠাট বাট দেখলে। হয়ত তিনি আপনাকে মোবাইলে ভিডিও চ্যাটে এসে বলেই ফেলতেন কাজী তোর মোবাইলটি আমাকে একদিনের জন্য ধার দিস। তোর বউদিকে একটু ইমপ্রেস করব। যাই হোক, কবি ফোন রিসিভ করলেন।



কে যেন তাকে ফোন দিলো , আর তিনি ধমক দিলেন, “ অই ব্যাটা ! দুখু মিয়া বলে আর ডাকবি না, আমার বর্তমান স্ট্যাটাস কি আর সেই রকম আছেরে ? এখন দুখু মিয়াঁ ট্যাগ পেয়েছে আমাদের কান্ডারী অথর্ব। এখন হতে সেই হল প্রকৃত দুখু মিয়াঁ।



অনেক কষ্টে হাসি চেপে রেখে আমি কবির কাছে পরামর্শ চাইলাম, প্রিয় কবি, আমি এমন একটি মেয়ের প্রেমে পরতে চাই যে হবে একজন জলদেবী। যে কিনা রুপেগুনে হবে ক্লিওপেট্রার মতো অনিন্দ সুন্দরী। যে কিনা তার ভেজা শরীর নিয়ে আমার সাথে ডেটিং এ আসবে; বোটানিক্যাল গার্ডেনে। বালু আর লবণের সাথে সূর্যের আলো লুকোচুরি খেলবে তার পুরোটা শরীর জুড়ে।



কবি ধমকে উঠলেন,"যাহ ব্যাটা ইতর ! সারাজীবন মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে ফিরেছিস, এখন আমার কাছে আসছিস প্রেম শিখতে ?

আরে প্রেম কাকে বলে, সেটা শিখেনে কবি জীবনানন্দের কাছ থেকে"



পরে আমারা দুজনে মিলে চা খেলাম, সাথে পাউরুটি ভিজিয়ে খেলাম। তিনি দুটা কাপ নিয়ে চা খেতে বসেছেন। একটা কাপের চা ডাইরেক্ট খাচ্ছেন, আরেকটা কাপে পাউরুটি ভিজিয়ে খাচ্ছেন। পাউরুটি খেতে খেতে দীর্ঘশ্বাস ছেরে বললেন, "আহারে পাউরুটি তুই এখন ভরসা ! টোস্ট তো খেতে পারি না, দাত নেই"



“কান্ডারী সিগারেট আছে ?” কবি জানতে চাইলেন। আমি আমার পকেটে রাখা প্যাকেটটি কবির সামনে এগিয়ে দিলাম। কবি বললেন, “যা সিগারেটের প্যাকেটটি নিয়ে ওই যে মেয়েটি দাড়িয়ে আছে ওকে দিয়ে আয়” আমি অবাক হয়ে কবিকে প্রশ্ন করার আগেই কবি আমাকে ধমকে বললেন, “কিরে গাধা হা করে দেখছিস কি ? যা প্যাকেটটি দিয়ে আয়। রবী দা সিগারেট নেয়ার জন্য ওকে পাঠিয়েছেন। সময় মত না পেলে তিনি আবার দীর্ঘ একটি কবিতা রচনা করে আমাকে ফেসবুকে ইনবক্স করবেন। আর আমার ইনবক্স সেই লোড নিতে পারবেনা”



মোনালিসার হাতে সিগারেটের প্যাকেট তুলে দিতেই মেয়েটি এক রহস্যময় হাসি দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো। ফিরে এসে দেখি কবি নেই। তিনি চলে গেছেন।



কান্ডারী ভাই, ও কান্ডারী ভাই, উঠেন আর কত ঘুমাবেন ? আমি চোখ খুলে দেখি পাশে দাড়িয়ে আছে শোভন। তাহলে এতক্ষন আমি স্বপ্ন দেখছিলাম !

-কি হল ভাই যাবেন না ?

-কোথায় ?

-ভুলে গেছেন আজ না আমাকে নিয়ে আপনার মোনালিসাদের বাসায় যাওয়ার কথা !

-নাহ ভুলি নি।

-তুই একটু বস। আমি তৈরি হয়ে নিচ্ছি। ততক্ষন এই নে সিগারেট টান বসে বসে।

-কান্ডারী ভাই রাতে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখলাম। কবি জীবনানন্দ দাশ এসেছিলেন আমার স্বপ্নে।

-কি বলিস ! আমিও এক স্বপ্ন দেখলাম তবে স্বপ্নে কবি নজরুল, রবী ঠাকুর ছিলেন।

-তাই নাকি ?

-হুম তা তুই কি স্বপ্ন দেখলি ?

-স্বপ্নে দেখি কবি আমাকে বলছনে মোনালিসার সাথে আমার বিয়েটা হচ্ছেনা।

-ধুর ! তুই এইসব স্বপ্ন নিয়ে মন খারাপ করিস ? স্বপ্নত স্বপ্নই, সেগুলো আবার সত্যি হয় নাকি কখনও ?

-কি জানি কান্ডারী ভাই ! আমার স্বপ্ন দেখার পর হতে ভীষণ খারাপ লাগছে মোনালিসার জন্য। অশুভ কিছু একটা হবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে।

-হুম ! বুঝতে পেরেছি। চল আজকে মোনালিসাদের বাসায় গিয়ে তোর সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি করে আসব।

-তাই ভালো হবে ভাই।



মোনালিসাদের বাড়ির ভেতর অনেক ভিড়। গুমোট একটা পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো বাড়ি জুড়ে। আমরা ভিড় ঠেলে ভেতরে গেলাম। সবাই গম্ভীর মুখ করে দাড়িয়ে আছে। মোনালিসার বাবা মেঝেতে বসে কাঁদছেন। ভোরের দিকে মেয়েটি একটি চিঠি লিখে রেখে দিয়ে বাড়ি হতে পালিয়ে গেছে। মোনালিসার বাবাকে কি আর সান্তনা দেব শোভনের দিকে তাকিয়ে ভীষণ কষ্ট হল। শোভনের চোখে অশ্রু দেখে আমিও কেঁদে ফেললাম।



একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে কতটা ভালোবাসলে এভাবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে মোনালিসা তার উৎকৃষ্ট উদাহরন। মেয়েটি যে ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে ছেলেটি শোভনের বন্ধু। শোভনের ইচ্ছে তাকে একবার পেলে গুলি করে হত্যা করার। অনেক বোঝালাম শোভনকে কিন্তু কোন কাজ হলনা। দেখতে দেখতে শোভন কেমন যেন হতাশা গ্রস্ত হয়ে পরেছে। মহল্লার সবাই তাকে দেবদাস বলতে শুরু করেছে। আকাশ তার সংঘের স্থায়ী সভাপতি হিসেবে শোভনকে নিয়োগ দিয়েছে। এরই মাঝে একদিন কবি নজরুল আবারও আমার স্বপ্নে দেখা দিলেন। তিনি আমাকে বললেন মোনালিসা ভীষণ কষ্টে জীবন যাপন করছে। আমি যেন তাকে গিয়ে একবার দেখে আসি। কিন্তু আমি কোথায় খুঁজব মোনালিসাকে ? কবি বললেন কবি জীবনানন্দের কবিতার পথ ধরে খুঁজতে। যেন আমি হাজার বছর ধরে পথ হেটে চলে অবশেষে খুঁজে পেলাম মোনালিসাকে সাদা রঙের শাড়িতে।



বাড়ির সামনে পুকুর ঘাটে বসে হাড়ি-পাতিল মাজছে। চেহারায় সেই আগের লাবন্য নেই। বোঝা গেলো শ্বশুর বাড়ির অযত্ন আর নিপীড়ন তার জীবন বিষিয়ে তুলেছে। শুধু মাত্র লোকলজ্জার ভয় আর সমাজের শৃঙ্খল তাকে বাধ্য করছে এই নিপীড়ন ভোগ করে যেতে। প্রতি নিয়ত স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের যৌতুকের জন্য অত্যাচার তিলে তিলে তাকে শেষ করে দিচ্ছে। তবু নিজ বাড়িতে বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার মুখ তার নেই।



যে ছেলেটির হাত ধরে মোনালিসা ভালোবাসার পথে পা বাড়িয়েছিলো আসলে সে মানুষ নয়। তাকে মানুষরুপী পিশাচ বলা যেতে পারে। সামান্য কিছু টাকার জন্য একজন মানুষ, যাকে সে ভালোবেসে বিয়ে করেছে, সেই তার বিবাহিত স্ত্রীকে নাহলে কিভাবে অত্যাচার করে কিছুতেই তার হিসাব মেলাতে পারিনা। আমি মোনালিসাকে দিয়ে আইনী ভাবে ডিভোর্সের ব্যাবস্থা করে তাকে নিয়ে অবশেষে শোভনের কাছে এলাম।



যে শোভন একসময় মোনালিসাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিলো। ভালোবাসার জন্য প্রয়োজনে প্রাণ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকত সেই শোভন তার একসময়ের প্রাণ প্রিয়া মোনালিসাকে অবজ্ঞা ভরে ফিরিয়ে দিল। যদিও প্রেমের চিরস্থায়ী কাঙ্গাল সংঘের সাথে নিজেকে জড়িত রেখে সেই দেবদাস হয়েই প্রেমের জন্য মেয়েদের দরজায় ভিক্ষা করে করে ফিরছে তবু মোনালিসা নামক বর্তমান এই সমাজের উচ্ছিষ্টটাকে গ্রহন করতে তার রুচিতে বাঁধল। অথচ একসময় এই মেয়েটির সাথে এক মুহূর্ত দেখা না হলে পাগলের মত হতে দেখেছি শোভনকে।



এখন আমি কোথায় যাব মোনালিসাকে নিয়ে। একমাত্র মেয়ের সাথে বিচ্ছেদের শোক মোনালিসার বাবাকে নিয়ে গেছে মৃত্যুর দেশে। আর তার মা, তিনিও চলে গেছেন মেয়েটির জন্মের সাথে সাথেই। মাথায় কিছুই কাজ করছেনা। শোভনের বাড়ি থেকে বের হয়ে রিক্সা নিলাম একটি।

-এই রিক্সা যাবে ?

-কোথায় যাইবেন স্যার ?

-চল যেতে থাকি ! যেখান পর্যন্ত গিয়ে তুমি রিক্সা চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পরবে সেখানেই আমাদের দুজনকে নামিয়ে দিও।



রিক্সা ধীরে ধীরে আমাদেরকে নিয়ে চলছে অজানা গন্তব্যের পথে। আমার হাতে সিগারেট পুড়ছে। মোনালিসা তার মায়াবী কণ্ঠে গাইছে,



আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি

আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই......








মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ মজার হৈসে ;)


একটু খটকা লাগল, গল্পের কোন চরিত্র কি অদল-বদল হৈসে ?

হয়ে থাকলে কেন কিভাবে তা বিষদ জানতে চাই :P
(একটা ডুয়েল আশা করেছিলাম, মিস হয়ে গেলু!)

প্রথম ভাললাগা +++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হুম ! মামুন ভাই চরিত্রের কিছুটা অদল বদল হয়েছে। সেটা চরিত্রের অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বদল করে দিয়েছি।

ডুয়েল হলে আবার দন্দ সমাসের প্রয়োজন হতে পারে ভেবে কিছুটা অথর্ব থাকার চেষ্টা করেছি মাত্র। হাজার হোক ভালোবাসা মানুষকে খুব সহজে ধরা দেয়না। আর যে কিনা চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখতেই হয়।

কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিজ্ঞ জনেরা বলে থাকেন অভাব যখন দরজায় এসে দাড়ায় ভালোবাসা নাকি তখন জানালা দিয়ে পালায়।

তাই অভাব যখন আসবে তখন সব জানাল বন্ধ করে দিতে হয়।
ভালোবাসা পালাবে কোথায়?

সত্যিকারের শোভন মোনালিসার কাছেই আসুক।

নিয়াজের গানটা দারুন লাগে। লিখা ভালো লেগেছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দরজা জানালা বন্ধ রাখলে অনেক সময় দম বন্ধ হয়ে নির্মল বাতাসের অভাবে প্রাণহানী হতে পারে। এই ভেবেই দরজা জানালা বন্ধ রাখা।

গানটি আমার ভীষণ প্রিয় একটি গান। তবে আমি শুনেছি সুবীর নন্দীর কণ্ঠে।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আমি জানতাম এমনটিই হবে। আমার মুখটা আজকের পর বন্ধই পাবেন। আমি আজকে বলার পরই কিছুক্ষন বলতে চেয়েছিলাম আমার কথায় আবার অন্যকিছু ভেবে নিয়েন না। কিন্তু কাজের মাঝে ভুলে গিয়েছিলাম।

গল্পে +++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনি যা ভাবছেন আসলে সত্যি সেই কারণে নয়। যদি আপনার মুখ বন্ধ রাখেন তবে আমার মাথার উপর থেকে মনে হবে আশীর্বাদ উঠে গেলো চিরদিনের জন্য।

আমি ইদানিং গল্প লিখে ঠিক তৃপ্তি পাচ্ছিনা। মনে হচ্ছে গল্প লেখা আমার সাধ্যের কাজ নয়। গল্প লিখতে ভীষণ আলসেমি লাগছে। গল্প লিখতে লিখতে বেশ ক্লান্ত হয়ে পরেছি। তবে এর চেয়ে কবিতা লেখা কিছুটা হলেও কম পরিশ্রমের। তাই ভাবছি কিছুদিন গল্প লেখা বাদ দিয়ে কবিতা আর ফিচার লেখায় আত্মনিয়োগ করব। কবিতা আর ফিচার লেখায় মনযোগী হব বেশি। সব কিছু আসলে একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে আমাকে অতি মানবীয় কিছু একটা হতে হবে। যেটা সম্ভব নয় আমার দ্বারা।

এরপরেও যদি আপনি আপনার মুখ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তবে আমার বুকের মাঝে যে কষ্ট হবে সেটার ভাঁড় আমার মত মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব হবেনা কখনও। আপনার কথাগুলো সবসময় আমার জন্য দোয়া হিসেবে কাজ করে কিন্তু সেই কথাই যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে দোয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমতুল্য হবে সেটা।

প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি ভুল বলেছি, এটা সুবীর নন্দীরই গান।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হুম ! আমিও কিছুটা কনফিউশনে পরে গিয়েছিলাম।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

নষ্ট কাক বলেছেন: 'সাদা শাড়ি পড়ে মোনালিসা হাঁড়ি পাতিল মাজছে '। ঐ সময় মোনালিসার মুখের এক্সপ্রেশনটা কেমন ছিল সেইটা ভাবতেই গিয়েই তো হাসতে হাসতে শেষ । :D :D

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভিঞ্চি সাহেব যদি বেঁচে থাকতেন তিনি ভালো একটি এক্সপ্রেশন হয়ত আঁকতে পারতেন এমন একটি দৃশ্যের । ;) ;) ;)

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: মোনালিসাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি শোভনকে দোষ দিব না। কারণ শোভনের জন্য মোনালিসার মনে যদি তিলমাত্র ভালবাসাও থাকতো তাহলে সে আরেক জনের হাত ধরে পালিয়ে যেতে পারতো না। এখন সে উচ্ছিষ্ট হয়ে ফিরে এসেছে। শোভনের কি দায় পড়েছে তাকে গ্রহণ করার।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্পটিতে আমি ভালোবাসার এই চিরন্তন বিষয়গুলোকেই বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। প্রেম ভালোবাসা আসলে কি সেটা আমারও আজও বোঝা হয়নি। আমি নিজেও ভালোবাসা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত সমাজের হাজার রকম প্রেম প্রীতি দেখতে দেখতে। তেমনই কিছু ভাবনা নিয়ে ভাবার চেষ্টা করে দেখার প্রয়াস আমার এই গল্পটি।

শোভনের দিক থেকে শোভন শতভাগ ঠিক আবার মোনালিসার জন্য একটা আশ্রয় পাওয়া ভীষণ জরুরী সেটাও সত্য। তাইত অবশেষে অজানার পথে পাড়ি দেয়া।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাল নিকেল নাগাদ আপনার ব্লগ বাড়িতে এসে এই পোষ্ট টা পরার ইচ্ছে আছে !
সকালে বিশেষ কাজে যাচ্ছি , দোয়া রাখবেন গুরু !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোর জন্য স্থায়ী ভাবে আমার মনের ভেতর একটি ঘর আছে যেখানে দোয়া সবসময় বরাদ্দ থাকে।

ভালো থাকিস। কাজে সফলতা আসুক সেই সাথে প্রেমেও সফলতা আসুক।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নিকেল == বিকেল !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বুঝে নিয়েছি।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ঘুম চোখে উঁকি দিলাম, সকালে পড়তে হবে :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সকালের অপেক্ষায় থাকা।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

এহসান সাবির বলেছেন: ''প্রতি নিয়ত স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের যৌতুকের জন্য অত্যাচার তিলে তিলে তাকে শেষ করে দিচ্ছে। তবু নিজ বাড়িতে বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার মুখ তার নেই।'' হায় মোনালিসা....!! এটাও ঠিক শোভনের জন্য মোনালিসার মনে ভালবাসা ছিল না।

'শোভনের দিক থেকে শোভন শতভাগ ঠিক আবার মোনালিসার জন্য একটা আশ্রয় পাওয়া ভীষণ জরুরী সেটাও সত্য।'
সহমত।
গল্প ভালো লেগেছে।


১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভালোবাসা নিয়ে তথ্য বহুল পোস্ট দেয়া যেত কিংবা কোন ফিচার অথবা কবিতা কিন্তু এর স্বরূপ বোঝা বড় দ্বায় তাই গল্পে কিছুটা বুঝতে চেষ্টা করা। ধন্যবাদ সাবির ভাই।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
গল্পের শোভন এর পরিস্থিতে স্নিগ্ধ শোভন পড়লে কি যে হত B:-) B:-) B:-)



গল্পটা জটিল হয়েছে কাণ্ডারী ভাই।
ইহা আপনার শেষ গল্প ?? এর মানে কি? X(( X((






চতুর্থ ভাললাগা রেখে গেলাম।

+++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শেষ গল্প কোথায় বলেছি ? বলেছি সাময়িক বিরতি। যখন নতুন করে গল্প লেখার আগ্রহ জাগবে তখন আবার লিখব।

হুম তোমার অবস্থা যেন গল্পের নায়কের মত না হয় সেই কামনা করি।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১০

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: পুরাই রক্স ;) :P



যদিও শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম এইটা বাংলার অহংকার মজনু ভচের পরবর্তী উপন্যাস..... তাই কিছুটা হতাশ হলাম |-) :-< /:)



গল্প ভালো হইছে :)
















B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনি যে মজনু ভচের ব্লগে আসেন নাই সেটা বোঝা উচিত ছিলো। আপনার প্রত্যাশা পূরণ আমার ব্লগে না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

ছবিগুলো সুন্দর থেঙ্কু হেক্টর ভাই।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প লিখতে গেলে আলসেমি আসে, প্লট সাজানোর ভাবনায় মাথার উপর চাপও পড়ে । সব কিছু অতিক্রম করেই লেখক গল্প লিখে । আপনিও এভাবেই লিখবেন । ঘোষনা দিয়ে গল্প লেখা বন্ধ করার মত হতাশা প্রকাশের কিছু হয়নি কান্ডারী । গল্পের জন্য সারা মাসে এক বা দুইটা দিন বরাদ্দ রাখেন । একটা গল্প লেখা শেষ হলে আপনি যেমন তৃপ্তি পাবেন, আমরা পাঠকরাও তেমনি আনন্দ পাই ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মামুন ভাই আমিত গল্প লেখা বন্ধ করছিনা। সাময়িক বিরতি নিচ্ছি শুধু মাত্র। গল্প লিখতে সত্যি ইদানিং খুব আলসেমি লাগছে। উদ্যম ফিরে পেলেই আবার গল্প লিখব। নতুন কোন ভাবনা নিয়ে হাজির হব।

আপাতত কিছুদিন কবিতা নিয়ে তৃপ্ত হতে চাচ্ছি। কবি হওয়ার চেষ্টা করা এই আরকি। আশা করি সামনের দিনগুলোতে কিছুদিন আমার কবিতা আপনাদের খুব বিরক্ত করবে।

তবে আফসোস কিছুদিন আপনার গল্প সংকলনে নিজেকে খুঁজে পাবনা।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হা হা.........শিরোনাম দেখে ভাবলাম আপনিও বোধহয় লুতুপুতু গল্প লেখা শুরু করছেন...........


গল্প ভালো লাগলো!!!


++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি মানুষটা কিন্তু লুতুপুত ধরনের নইরে ভাই। অনেক বুড়ো একটি মানুষ। তবে লুতুপুতু লিখতে পারলে মন্দ হতনা।

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

আর.হক বলেছেন: ঘুম থেকে উইট্ঠা দেখি সামুতে ভালবাসার সাইড ইফেক্ট চলছে। ঝাপাইয়া পরলাম

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাইয়া সেটা আমার সৌভাগ্য যে আপনি আমার ব্লগে ঝাপ দিয়েছেন।

ঝাপ দিয়ে কি পেলেন সেটা কিন্তু জানা হলনা।

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

একজন আরমান বলেছেন:
শোভন এর জন্য সমবেদনা। :(

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সমবেদনা সকল প্রেমের কাঙ্গালদের জন্য।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

জুবায়ের দিদার বলেছেন: আর.হক বলেছেন: ঘুম থেকে উইট্ঠা দেখি সামুতে ভালবাসার সাইড ইফেক্ট চলছে। ঝাপাইয়া পরল্‌, পোস্টে++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ঝাপিয়ে পড়ার মত প্রত্যাশা পূরণ হলেই খুশি।

প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

জুন বলেছেন: দারুন মজা লাগলো কান্ডারী হাসতে হাসতে শেষ । শোভন কে দেয়া দ্বিজেনদ্রনাথ শর্মার কিছু জ্ঞ্যানের ভাগ পেয়েছিলেন কি ?

অট: ইরফান আহমেদ বর্ষনের মন্তব্যের জবাবে জানতে পারলাম আপনি এক বুড়া ব্লগার । আর আমি কিনা না জেনে আপনাকে অবলীলায় তুমি করে বলে গিয়েছি । আন্তরিক দুক্ষ প্রকাশ করলাম :(

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হ্যাঁ আপু যে জ্ঞান পেয়েছি তাতে করে আমার আগামী সাতজন্ম শুধু প্রেমের সাগরে হাবুডুবূ খেলেও ভেসে থাকবে মরবেনা।

আপু আমি নিজে বুড়ো হলেও বয়সে কিন্তু আমি আপনার অনেক ছোট। তাই আমাকে তুমি করে বললেই আপন আপন মনে হবে।

২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

জুন বলেছেন: শেষের দুটো লাইন দিয়ে কি বলতে চাইলেন কান্ডারী :|
আপনি বুড়ো আর আমি তার চেয়েও বুড়ো অর্থাৎ আমি এখন কবরে এক পা দিয়ে আছি, ঘাটের মড়া :( :((

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হায় হায় আপু আমি ওভাবে মিনিং করে কিছু বলিনাই। আমার বয়স যদি হয় ধরেন বারো তবে আপনি হলেন সুয়িট সিক্সটিন। কিন্তু সেই আমার চেয়ে বড়ই হলেন। আমি বারো বছর বয়সে বুড়ো আপনি ষোল বছরের ইয়ং। তাই আমাকে তুমি করে বলাটাই আমার জন্য মঙ্গলজনক।

২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

ডি মুন বলেছেন: বাহ , বেশ ভাল লাগলো আবার কেমন এলোমেলোও লাগলো ;)

শুভকামনা :) :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সব মিলিয়ে আমি নিজে লেখার সময় বেশ উপভোগ করেছি।

ধন্যবাদ ডি মুন।

২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সুমন কর বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে। আর আপনি অবশ্যই গল্প লিখবেন। না হলে আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প পাবো না। যদিও বলেছেন, সাময়িক। তবে সেটা যেন, খুব অল্প সময় হয়।

++++++++++++++++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন সুমন ভাই। শুভ রাত্রি।

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প লেখা থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়াটা খারাপ না। কিন্তু কাণ্ডারি, বিরতি যেন 'সাময়িক'-ই থাকে। গল্পে যা পাই, তা কবিতা-ফিচারে কি পাওয়া যায়? আশা করি ক'দিন পর ফ্রেশ মাইন্ডে একটা ঝরঝরে গল্প লিখে ফেলবেন।

আর সাইড ইফেক্টময় প্রেমের গল্প কোথাও হাসাল, কোথাও বিষণ্ণতা দিয়ে গেল।

শুভকামনা, কাণ্ডারি।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



যখন স্কুলে পড়ি তখন কলতান নামে আমাদের একটি বার্ষিক ম্যাগাজিন বের হত স্কুল থেকে। সেখানে ছাত্রদের লেখা কবিতা, গল্প, কৌতুক , ধাধা , ছবি প্রকাশিত হত। অনেকেই লেখা দিত সেই ম্যাগাজিনের জন্য কিন্তু তার মধ্য থেকে বাছাই করে সেরা লেখাগুলো ছাপা হত। আমি তখন খুব সম্ভবত ক্লাস সিক্সে পড়ি। ভাবলাম একটি কবিতা লিখে দিলে কেমন হয়?
অনেক ভেবে ভেবে একটি কবিতা লিখেছিলাম। কবিতাটি ম্যাগাজিনে ছাপা হয় নি। বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম। বাসায় এসে সারাদিন খুব কেঁদেছিলাম ।

এরপর মনের ভেতর একরকম জেদ কাজ করতে থাকে। নিজে নিজেই লিখতে থাকি একের পর এক কবিতা। এর পরের বছর সেই ম্যাগাজিনের জন্য একটি ভুতের গল্প লিখে জমা দেই। গল্পটি ছাপা হয়। আমাকে আমার ক্লাস টিচার বলেছিলেন লেখায় কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু চর্চা করলে অনেক দূর যেতে পারব। সেই থেকে নিয়মিত আমার গল্প স্কুলের ম্যাগাজিনে ছাপা হত। সেই থেকে আমার লেখালিখির আসলে পথ চলা।

এরপর প্রথম আবার বাবার অফিসের থেকে প্রকাশিত ২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিনে আমার একটি কবিতা ছাপা হয়েছিলো। কবিতাটি বাংলাদেশ নিয়ে লেখা। হয়ত সেটা আমার বাবার কারনেই ছাপা হয়েছিলো।

তারপর একটি জাতীয় দৈনিকে কিছু ফিচার আর কবিতা দিয়েছিলাম তারা ছাপিয়েছিলো। তখন অবশ্য আমি কলেজের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিলাম।

যাই হোক আমার লেখালিখিতে কখনও সাহিত্য ছিলোনা। চেষ্টা করেছি নিজের ভাবনাগুলোকেই তুলে ধরতে। সাহিত্য জ্ঞান আমার নেই বললেই চলে। যতটা লিখি সম্পূর্ণ নিজের মনের তাগিদে। কখনও লেখায় যত্নশীল হতে পারিনি।

তবে এই শেষ কালে এসে মনে হল লেখালিখিতে যত্নশীল হওয়া উচিত। মানুষের পছন্দ অপছন্দ বলে কিছু কথা আছে। আমি কিছু লিখলাম এবং সেটা যদি মানুষের পাঠের জন্যই নিজের ডায়রিতে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রকাশ করি তবে অবশ্যই পাঠকের রুচির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নতুবা সেগুলো প্রকাশ করার কোন অধিকার আমার নেই।

নিজের লেখার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। দেখা যাক যত্নশীল হয়ে গল্পে ফিরে আসতে পারি কিনা। চেষ্টা করছি। যদি একান্তই না পারি তবে নিজের স্বভাব সুলভ লেখা নিয়েই আবারও হাজির হব গল্পে।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

তাসজিদ বলেছেন: অপূর্ব। আসলে এ ধরণের লেখা শুধু পড়ার জন্য নয়, শেখার জন্যও

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কিছু দিতে পেরেছি জেনে তৃপ্ত হলাম।

২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: উপরের জ্ঞানী জ্ঞানী কথা আর বাংলা ইংরেজির মিশ্রণ পড়ে ভাবছিলাম পোস্ট আমার জন্য না (জাস্ট ফান)

খুব মজা পেলাম। ভাল লিখেছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটা সার্থক হয়েছি। তবে আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরনা পেলাম।

২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সাময়িক বিরতি ভালু। পুরা না দিলেই হয় । আমি তো লেখায় পুরা বিরতি দিতে চাই । পারি না । X((

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

লেখালিখি হল নিজের আত্মার সমতুল্য। কাজেই যিনি বা যারাই লেখেন তাদের আসলে লেখালিখিটা কখনও ছাড়া হয়ে উঠে না। হয়ত সাময়িক বিরতির প্রয়োজন হতে পারে।

২৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

গোর্কি বলেছেন:
-বিশুদ্ধ ভালবাসার জন্যই যদি ভালবাসা হয়, সে ক্ষেত্রে তার বাতায়ন দিয়ে ফুরুৎ হবার কোনো সুযোগ নেই।
-সুখ দুঃখ, হাসি কান্না এবং সব মিলিয়ে গল্প পাঠ ভাল লেগেছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভালোবাসা বুঝি সীমাহীন কোন অশ্রু কণিকা
ভালোবাসা বুঝি ঠোঁটের কোনে ফুটে ওঠা লাজুক হাসি
তবু বোঝা হলনা ভালোবাসা আসলে কি ?

ধন্যবাদ প্রিয় গোর্কি। শুভকামনা নিরন্তর।

২৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

টুম্পা মনি বলেছেন: গল্প পড়লাম, সাথে মন্তব্যগুলোও। এখন নিশ্চয়ই আপনার সব লেখা কলতানে ছাপা হবে। সুখে থাকুন লেখক। তবে সাময়িক বিরতির কথা শুনে দুঃখ পেলুম। খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে চাই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এখন কি আর কলতানে ছাপার সেই দিন আছে। আমিত স্কুলের গন্ডী পেরিয়ে সামুতে এসে লেখালিখি করছি।

তবে দোয়া করবেন যেন খুব শীঘ্রই নতুন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
মাঝে মাঝে বিরতি নেয়াটা ভাল, চিন্তাগুলো গুছিয়ে আনার সুযোগ পাওয়া যায়।

গল্পে ভাল লাগা রইল কান্ডারি ভাই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে মনকে যদি বসে আনতে পারি তবে হয়ত নতুন কোন গল্প লেখায় প্রাণ ফিরে পাব।

ভাই তবে আপনাদের গল্পগুলো পড়ে সময়গুলো চমৎকার কাটবে জানি।

শুভকামনা রইল।

৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপে যে স্বপ্ন দেখছেন সেটা তো খুব উঁচুমানের স্বপ্ন ভাই, স্বপ্নে , রবি দা নজরুল !!!! রবিদা'র সাথে বসে চা তাও পাঊরুটি দিয়া... আহা ! :)

বাট শোভন তো শেষের দিকে আপনারে ফাসাইয়া দিল মনে হয় :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সত্যিত স্বপ্নে রবী অথবা নজরুল কিংবা জীবনানন্দের মত কবিদের সাক্ষাত পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।

তবে একবার যদি শোভন কে হাতের কাছে পাই ওরে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। :P

৩১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: গল্প লেখা থেকে অবসর নিচ্ছেন কেন? লেখকদের কি অবসর নিতে আছে?


গল্পে ভালো লাগা রইল। আর গল্প যখন পড়ছিলাম কেন জানি আমি শুধু শোভন পড়িনি সাথে স্নিগ্ধ লাগিয়ে পড়েছি । =p~ =p~ =p~ :P :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মাঝে মাঝে পাঠকদের রুচির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়। তবে আমি হয়ত লেখক নই লেখক হলে অবসর নিতাম না।

স্নিগ্ধ লাগিয়ে পড়েই কিন্তু আবার স্নিগদ্ধতা খুজবেন না শোভনের মাঝে।

:P :P :P

৩২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

ভিয়েনাস বলেছেন: গল্পে রসবোধ প্রবল আবার কষ্টের ছড়াছড়ি। আসলে ভালোবাসা জিনিসটা কি এখনও বোঝা গেল না /:)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সেটা বুঝতে গিয়েইত এমন একটি গল্পের অবতারনা।

কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভিয়েনাস।

৩৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। খুব ভাল লাগল। অনেক গুছানো সুন্দর একটা গল্প।
সত্যি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম...।।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার মুগদ্ধতায় নিজের ভেতর একধরনের সাহস অনুভব করছি।

আপনার মুগদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

৩৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: আরও গল্প লেখেন এটাই আশা করি। :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সাময়িক বিরতি ইনশাল্লাহ আবার গল্প নিয়ে ফেরা হবে হয়ত।

৩৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভালবাসা নিয়ে বিশাল গবেষণামূলক পোস্ট। ব্যাপক মজা পেলাম :D :D

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হা হা হা

গবেষণা তেমন করতে পারলাম আর কোথায় ?

ভালোথাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৩৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার রম্য। বেশ রসাত্মক, হাসলাম বেশ কিছু জায়গায়।
লিভটুগেদার কারেও চিরকুমার! হা হা হা । শোভনরা এমনি হয়, দুধের মাছি, এসব ক্ষেত্রে নায়ককেই আগায় আসতে হয় বীরদর্পে ;)

বিরতি নেন, সমস্যা নাই; কিছুদিন পর আবার গল্প নিয়ে ফিরে আসবেন, এটাই চাই।

শুভকামনা রইল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মন্তব্য পড়ে মনভরে গেলো। ইনশাল্লাহ সাময়িক বিরতির পর ফিরে আসব।

৩৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: আমি নিজেই কাঁদতে শিখেছি, সে কান্না চেপে রাখাও শিখেছি।
তোমার কোনো ভয় নেই, তুমি এই চোখের জল দেখবে না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই রিক্সা দাড়াও। আমি আমার গন্তব্যে এসে গেছি ।

৩৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কি হল ???????????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.