নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়োনিক

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯









Please Sir accept the request from Wave 100 gm of 2^33 Bit Video Massage to your Cornea.



Thanks already decoded here.



বেণু তার আজকের সারাদিনের দৃষ্টিতে ধারনকৃত কিছু দৃশ্য আমার কর্নিয়াতে পাঠিয়েছে। বেণুর কর্নিয়া সারাদিন যেসব দৃশ্য দেখেছে সেখান থেকে কিছু দৃশ্য; মস্তিষ্কে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রাম, এডিট করে বাইনারী ডিজিটে এনকোড করে ওয়েভে সিগন্যাল পাঠিয়েছে। আমার কর্নিয়া সেই বাইনারী আকারে পাঠানো ভিডিও ম্যাসেজটি ডিকোড করে দেখছে। আমি যে গ্রহে আছি সেখানকার ওয়েভ, হান্ড্রেড জি এম হিসেবে সনাক্ত করা হয়ে থাকে।



বেণু ভীষণ কষ্টে জীবন যাপন করছে। ওর কেনা পানিও শেষ হয়ে এসেছে। খুব দ্রুত টাকা পাঠাতে হবে ওর ডেবিট কার্ডে। পানি কিনতে হবে। এখন আর ওর ট্রাকের পেছনে লাইন ধরে দাড়িয়ে পানি কেনার মত শক্তি নেই। প্ল্যানেট গ্রাফাইটের সিটিজেনশীপ পেলেই ওদের এখানে আনার দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির ছাদের উপর আমার একমাত্র ছেলেটি খুব শখ করে ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছে। দেশে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস হয়ে যাবার পর এখন এটি একটি শখে পরিনত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ নিতান্তই শখ থেকে বাড়ির ছাদে ম্যানগ্রোভ চাষ করে। আমার ছেলেও ওদের স্কুলের বন্ধুদের কাছ থেকে শুনে ওর মায়ের কাছে বায়না ধরে ম্যানগ্রোভ কিনিয়েছে। বেণু একহাজার টাকা দিয়ে খুব সস্তায় একটি ম্যানগ্রোভ কিনে দিয়েছে ছেলেকে। রাস্তায় নাকি এক ফেরিওয়ালা বিক্রি করছিলো। সাথে আবার এক কেজি লবণও ফ্রিতে পেয়ে বেণু দারুণ খুশি হয়েছে। আমার ছেলেটিও বেশ আমার মতই একরোখা হয়েছে। একবার যেটা মাথায় আসবে সেটা না হওয়া পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্যও স্থির থাকবেনা। এখন ম্যানগ্রোভ নিয়ে তার সারাদিনের ব্যস্ততা। বেণুরও আসলে কিছু করার থাকেনা। আমার অভাব বুঝতে নাদেয়ার জন্যই এক বাক্যে ছেলের সকল বায়না মেনে নিতে হয় বেণুকে। তার উপর ওকে একাই সংসার সামলাতে হয়। বেণুকে আজ অনেক দিন পর দেখলাম। চেহারায় বয়সের ছাপ পরেছে। সারাদিন শুধু পানির জন্য ট্রাকের পেছনে লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে যে পরিমান কষ্ট ওকে করতে হয়, সত্যি অমানবিক পরিশ্রমের একটি কাজ।



আমি তখন দেশে থাকি। কত কষ্ট করেই না প্রতিদিন অফিসে যেতে হতো। অফিস থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় বারোটা বেজে যেতো। তারপর আবার ভোর রাতে বাস কাউন্টারে যেয়ে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট কাটতে হতো। এত লম্বা লাইন হতো যে বাসের ছাদে স্ট্যান্ডিং টিকেট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো। রাস্তায় সারি বদ্ধ হয়ে বাসগুলো দাড়িয়ে থাকত। তারপর একবাসের ছাদ হতে অন্যবাসের ছাদের উপর দিয়ে হেটেই অফিসে যেতে হতো । রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া সম্ভব ছিলোনা। সেখানে ফুটপাথ দখল করে রাখতো পানি আর বিদ্যুৎ ফেরিওয়ালারা। লিটার প্রতি পানির মূল্য ছিলো একহাজার টাকা আর এক ইউনিট বিদ্যুৎ এর মূল্য ছিলো পাঁচশ টাকা। অথচ আমি প্ল্যানেট গ্রাফাইটে আসার এতদিন পরেও দেশের অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন দুঃসহ হয়ে উঠেছে জীবন ধারন করা।



এইতো আজ হতে বছর পাঁচ আগের কাহিনী। আমি তখন দেশেই ছোট একটা ব্যাবসা করতাম। আমাদের দেশ তখন আমদানীতে স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি দেশ। সামান্য শৌচ কর্মের পানিও আমাদের আমদানী করতে হত। আমি সেই সময় পানি আমদানী করার একটি লাইসেন্স কিনেছিলাম খুব সস্তায় মাত্র চার কোটি টাকা দিয়ে। তখন আমি পানি বিক্রি করতাম লিটার প্রতি একহাজার টাকা করে। পানির তখন দুটি ভাগ ছিলো। খাবার পানির মূল্য নিত্য ব্যবহার্য পানির চেয়ে কিছুটা দামী ছিলো। লিটার প্রতি পাঁচশ টাকা ভেরী করত। কিন্তু এখন আর সেই ব্যাবস্থা টুকুও নেই। খাবার পানি আলাদা করে বিক্রি করা হয়না। যাই হোক মঞ্জু নামে আমার অফিসে এক পিয়ন ছিলো। প্রকৃত আদর্শ বান বলতে যা বোঝায় তার সবগুনই তার মধ্যে বিদ্যমান ছিলো। আমি রোজই বাসায় ফেরার আগে কিছু পানি নিয়ে যেতাম স্টক হতে কিন্তু আমাকে বাঁধা দিত মঞ্জু। বলত স্যার আপনার নিজের কোম্পানি হলেও দেশের মানুষের জন্য একটু হলেও বিবেক বোধ আপনার থাকা উচিত। আপনি নাহয় ফ্রি পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু একটি বার ভেবে দেখুন যারা রাতদিন এক করে কত শ্রম আর টাকার বিনিময়ে সামান্য কিছু পানি পেয়ে কত কষ্টেই না জীবন ধারন করছে। একদিন এমন কষ্ট আপনার পরিবারেরও হতে পারে। আমি তখন মঞ্জুকে ধমক দিয়ে বলতাম এত নীতি কথা আমার সাথে বলিস না। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। জানিস না। আমার আমাদানী কৃত পানি আমি নিবোনাত কে নেবে ? নিজে পানির ব্যাবসা করে যদি এতটুকু সুযোগ না নেই তাহলে কিভাবে হবে ? কিন্তু মঞ্জুর সেই অভিশাপ আমার জীবনে খুব ভালো ভাবেই লেগেছিলো। আমি ক্রমাগত ব্যাবসায় লস করতে থাকি। আমার পাশাপাশি আরও অনেকেই ততদিনে পানি আমদানী শুরু করে দিয়েছিলো। আমার চেয়ে অনেক কম মূল্যেই তারা পানি দিত। এরপর এমন অবস্থা হল যে ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে প্রায় দেউলিয়া হবার উপক্রম হতে হলো। এমন সময় প্ল্যানেট গ্রাফাইটে একটি চাকরীর বিজ্ঞাপন দেখে এপ্লাই করি। চাকরীটা আমার হয়েও যায় আইটির কাজ জানি বলে। ব্যাস তারপর থেকে এখানেই পরে আছি। হয়ত আর কিছুদিন গেলে এখানকার সিটিজেনশীপ পেয়ে যাবো। তারপর বেণু আর সিফাতকে এখানে এনে নিজের কাছে রাখতে পারবো। আমাদের আর কোন কষ্টই তখন থাকবেনা।



পৃথিবী বসবাসের জন্য এতটাই ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে পরেছে যে মানুষ এখন সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ গুলোতেও বসবাস করা শুরু করে দিয়েছে। তেমনই এক গ্রহ এই প্ল্যানেট গ্রাফাইট। চারিদিকে লাল রঙের সমতল ভূমি। কোথাও কোথাও কৃত্রিম উপায়ে গাছ লাগানো হয়েছে। চাষাবাদ ও গবাদী পশু পালনের জন্য কসমিক রে ব্যবহার করে প্রানী আর উদ্ভিদের DNA ও RNA স্ট্রাকচার সহ ক্রোমোজোমের বিভাজনে ফাংশন গত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের আধিক্যের কারনে কৃত্রিম ভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বড় আকারের দীঘি সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। এই দীঘি হতে পুরো গ্রহের পানির চাহিদা মেটানো হয়।



আমার কোম্পানি হতে আমার দেখাশোনা করার জন্য একটি বায়োনিক জাইনয়েডকে নিয়োগ করা হয়েছে। নাম মেলিসা। দেখলে মনেই হবেনা যে মেয়েটি মানুষ নয় একটি রোবট। রোবট বলে যে তাকে অবজ্ঞা করব তেমন সাহস আমার নেই বরং অনেক ক্ষেত্রে আমার চেয়ে অধিক পরিমান তীক্ষ্ণ জ্ঞান সম্পন্ন একটি জাইনয়েড এই মেলিসা। মেলিসার সাথে আমার একাকীত্বের এই প্ল্যানেট গ্রাফাইটের জীবন বেশ সুন্দর কেটে যায়। মাঝে মাঝে আমার লেখা কবিতাগুলো ওকে পড়ে শুনাই। খুব আবেগ নিয়ে আমার সেই কবিতা আবৃত্তি শুনে যায় মেলিসা। মাঝে মাঝে কাজে এতই মগ্ন হয়ে থাকতে হয় যে খাবারের কথা ভুলে যাই। কিন্তু মেলিসা আমার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। অদ্ভুত এক মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে মেলিসা আমাকে। মেলিসার কথা বেণুকে জানানো হয়নি। জানলে হয়ত আমাকে ভুল বুঝতে পারে। ভাবছি একদিন বলেই দিবো মেলিসার কথা। হয়ত মেলিসা যে একটি রোবট এটা জানলে আমাকে অন্তত পক্ষে ভুল বুঝবেনা।



মেলিসাকে বেশ উদাস লাগছে। কর্নিয়ার ভিজুয়ালাইজেশন সিক্স ডি এক্টিভ করলাম। সেন্সর সিগন্যাল দিচ্ছে গ্রাফাইট সেক্টর নাইনে একটি মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেলিসার বাবাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। মেলিসার বাবা সেই মন্দিরের প্রধান গার্ড হিসেবে কাজ করেন। মন্দিরের মূর্তিটিও চুরি করে নিয়েছে। নাহ ইদানীং ইনকাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেশ বেড়ে গেছে। ওদের উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন। ইনকা হলো এখানকার সবচেয়ে নীচু শ্রেণীর জাতি। পুঁজিবাদী গ্রাফাইট ওদেরকে দরিদ্র করে রেখেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে তাইত ওরা বেছে নিয়েছে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। কিন্তু গ্রাফাইটের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে হলেও ওদেরকে দমন করতে হবে। আমি মেলিসার সেন্সরে ডাটা পাঠিয়ে দিলাম যেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে। ওর বাবাকে আমি উদ্ধার করব। মেলিসার সেন্সর নীরব। বুঝলাম এখন আর কোন ডাটাই ও পাঠাবেনা যতক্ষণ ওর বাবাকে ছাড়িয়ে আনার কোন ব্যাবস্থা না করা হয়।



Hexa forces please get all the site location that I am sending to you. Its emergency please tries to find out Inka criminal alive.



ম্যাসেজটি পাঠিয়ে সাথে সম্ভাব্য কিছু আইডেন্টিটি ম্যাপ পাঠালাম হেক্সা ফোরসের ওয়েবে। এই সাইট লোকেশন গুলো এমন যে, কেউ লুকিয়ে থাকলে খুব দ্রুত ভিডিও ডাটা নিয়ে কাজ করতে পারে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ইনকাদের একটি দল গ্রেপ্তার হলো হেক্সা ফোরসের কাছে। বিষয়টি এত দ্রুত ঘটে যাবে ইনাকারাও কল্পনা করতে পারেনি। ওদের কর্নিয়ার সেন্সর এতটা তীক্ষ্ণ নয়। দারিদ্রতার কারনে খুব নিম্ন মানের সেন্সর ব্যবহার করেই ওদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে হেক্সা। কসমিক রে দিয়ে তৈরি আইসিসের মূর্তিটি এত সুন্দর দেখতে যে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়া অসম্ভব। সূর্য থেকে বিকিরিত কসমিক রেগুলোকে ফিলামেন্টে ধারন করে কাজটি করা হয়েছে। এরজন্য প্রতি সেঞ্চুরিতে 100 EeV প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে শক্তি সম্পন্ন এবং কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বিকিরিত কসমিক রে ফ্লাক্স ঘনত্ব ~ 0.25 eV/cm3 সম্পন্ন শক্তি দিয়ে ফিলামেন্টে ধারন করে অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। হেক্সার কল্যানে অখ্যত অবস্থায় মূর্তিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। হঠাত মেলিসার ঠোঁটের সেন্সর থেকে ডাটা এলো আমার ব্রেনের সাথে যুক্ত করে রাখা মাইক্রো র‍্যামে। সেই ডাটা সিগন্যাল আমার ঠোঁটে বুঝে নিলাম। সেই সিগন্যাল স্পর্শ করল মানুষের প্রতি এক জাইনয়েডের ভালোবাসার অনুভূতি। বিট বাই বিট এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। র‍্যামের একটি সেক্টরে স্থায়ী কিছু মেমোরি দখল করে নেবে সেই অনুভূতি। হয়ত আমারও র‍্যাম সাময়িক ভাবে সেই সিগন্যাল গ্রহন করাতেই ব্যাস্ত হয়ে পরবে। সেখানে নতুন কোন কবিতা লেখার ইচ্ছে জাগবে।



মেলিসা আমাকে ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে দুর্বল করে তুলেছে। আমার মনে হলো আমার ডায়মেন্সনের টাইম স্লট যেন হঠাৎ করেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বুঝতে পারছি এটা মেলিসারই কাজ। আমার কর্নিয়া থেকে খুব কৌশলে পাসওয়ার্ড চুরি করে টাইম স্লট দশ বছর পেছনে নিয়ে গেছে। আমার ঘরের স্পেস উল্টে গেছে। ডানের সব কিছু বামে আর বামের সবকিছু ডানে চলে এসেছে। কোন কিছুই জায়গা মত পাচ্ছিনা। ডান হাতের টাইম স্লট চেক করে দেখি আমার হাতে এখন সময় রয়েছে পঁয়তাল্লিশ বছর। অথচ গতকালকেও যেটা ছিলো পঁয়ত্রিশ বছর। অর্থাৎ এই মুহূর্তে আমার বয়স পঁচিশ বছর। এই বয়সে আমাকে বেণু দেখতে পেলে ভীষণ কষ্ট পাবে। তাই কর্নিয়ায় বেণুর আইপি আপাতত কিছুদিনের জন্য ডি এক্টিভ করে রাখলাম। ভাবছি এতটা স্বার্থপর কি করে হয়ে গেলাম ? সামান্য একটি জাইনয়েড কি করে আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলেছে ?



আইসিসের মন্দির পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। মেলিসা সপ্তাহ খানিকের জন্য গেছে আইসিসের পূজা করতে। ভাবলাম আমিও সপ্তাহ খানিকের জন্য কোথাও হতে ঘুরে আসি। কিছুটা হলেও মেলিসার শূন্যতা পূরণ হবে। অনেক ভেবে সমুদ্রে একটি ছোট শীপ নিয়ে রওনা হলাম। এক সপ্তাহ সমুদ্রে ঘুরে বেড়াবো বলে। শীপ নিয়ে সমুদ্রের মাঝে চলে এসেছি। মাঝ রাতে সমুদ্রের তলদেশ হতে ভয়ানক ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে পুরো শীপ ডুবে গেলো। আমিও ভাসতে ভাসতে একটি দ্বীপে এসে পৌঁছালাম। যখন জ্ঞান ফিরল নিজেকে আবিষ্কার করলাম সেই অচেনা দ্বীপের সৈকতে। পানিতে ভিজে আমার সকল বায়োনিক সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে। অতএব এখন কেবলই অপেক্ষায় থাকা যদি দূরে সমুদ্রের বুকে কোন শীপ দেখতে পাওয়া যায় তবেই হয়ত বাড়িতে ফেরা হবে।



একাকীত্ব আমাকে গ্রাস করে নিয়েছে। নির্জন একটি জায়গায় এভাবে একা একজন মানুষের পক্ষে জীবন যাপন করা দুর্বিষহ। মাঝে মাঝে মনে হয় আত্মহত্যা করি। কিন্তু সেখানেও স্রষ্টার পাপ পুণ্যের ছক করে দেয়া রয়েছে। আমি চাইলেই নিজেকে হত্যা করতে পারিনা। আবার স্রষ্টাও আমাকে আমার প্রাপ্য মৃত্যু বুঝিয়ে দিচ্ছেনা। বেঁচে থাকা যতই সীমাহীন যন্ত্রণা ভোগের কারণ হোকনা কেন জীবন ধারন আমাকে করতেই হবে। এ ছাড়া অন্যকোন উপায় এই মুহূর্তে আমার জন্য স্থির করা নেই। অতএব জীবন মৃত্যুর হিসাব না মিলিয়ে যতদিন এভাবে বেঁচে থাকতে হবে আমি বেঁচে আছি। আমি এখন যে জায়গায় আছি তার নাম আমার জানা নেই। চারিদিকে সমুদ্র। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু আকাশের সাথে সমুদ্রের মিলিত রেখাই চোখে পরে। মাঝের এই জায়গাটি একটি ছোট দ্বীপ। অন্যান্য দ্বীপ কেমন হয় জানিনা। তবে এই দ্বীপটি বেশ অদ্ভুত ধরনের। এখানে গাছ বলতে শুধু নারকেল আর কলা গাছের প্রাচুর্যতা। সেই কলা গাছ ঘেরা জঙ্গল পেরুলে কিছুদূর এগুতেই একটি মন্দির। মন্দিরের সামনে একটি গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি কিছুটা উঁচুতে গোলাকার একটি বেদী রয়েছে। খুব সম্ভবত এই বেদীর উপর মানুষের বলী দেয়া হত। শরীর থেকে ধরটাকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হত। যার প্রমান বেদীর পাশে মাটিতে পরে থাকা মানুষের মাথার খুলীগুলো। তবে এই দ্বীপটিতে এই মুহূর্তে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আজ প্রায় এক মাস হয়ে গেলো আমি এই দ্বীপে আছি। পুরো দ্বীপ চষে দেখা হয়ে গেছে। কোথাও কোন প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাইনি। শুধু অপেক্ষায় আছি যদি দূরে সমুদ্রের বুকে কোন শীপ দেখতে পাই তবে হয়ত বাড়িতে ফেরা হবে। নতুবা মৃত্যুর অপেক্ষায় দিনগুনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।



কিসের যেন শব্দ হল। এই একমাসে এমন ধরনের কোন শব্দ শুনতে পাইনি। এখানকার বাতাসের প্রতিটা গতিবিধী আমার এখন চেনা। সেই চেনার রাজত্যে অচেনা এই শব্দ চমকে দিচ্ছে বার বার। বাঁশের সাথে বাঁশের ঘর্ষণেই কেবল এমন শব্দ তৈরি হতে পারে। কিন্তু এই দ্বীপে আজ পর্যন্ত কোন বাঁশঝার নজরে পরেনি। তাহলে এই শব্দ কোথা হতে আসছে। আমার শোনার ভুল হতে পারে। কিন্তু না নিয়মিত শব্দটি হয়েই চলছে। ধীরে ধীরে আরও প্রকট আকার ধারন করছে শব্দটি যেন আমার খুব কাছেই চলে আসছে। পেছনে ফিরে তাকানোর সময় পেলামনা। মুহূর্তেই পেছন থেকে কে যেন আমার মাথায় প্রচণ্ড রকম জোড়ে একটা বাড়ি দিল। আমি তাৎক্ষনিক জ্ঞান হারালাম। মনে হল যেন আমার বহুদিনের আকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আজ আমাকে বরণ করে নিতে এসেছে। আর আমি সমুদ্রের স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছি স্বর্গে। আমার চারিদিকটা সাদা মেঘে ছেয়ে গেলো মুহূর্তেই। বেণুকে দেখতে পেলাম সেই মেঘের ফাঁকে। আমাকে দুহাত বাড়িয়ে ডাকছে। এইতো আমি বেণুর হাত ধরে স্বর্গের দরজার কাছে পৌঁছে গেছি। স্বর্গে আগুন থাকার কথা নয়। কিন্তু আমি আগুনের তাপ অনুভব করছি। মনে হচ্ছে যেন আমার চারিদিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। চোখ খুলে তাকাতেই গাঁ শিউড়ে ওঠার মত পরিস্থিতি হলো। আমাকে মন্দিরের সামনের বেদীর উপরে বেঁধে রেখে চারিদিকে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আর অদ্ভুত আকৃতির ও রং দিয়ে সজ্জিত কিছু মানুষ বেদীর চারিদিকে নেচে গেয়ে উল্লাস করছে। এই গানের অর্থ বুঝতে পারছিনা। তাদের ভাষা বিচিত্র ধরনের। সেই ভাষার পাঠ উদ্ধার করা আমার সাধ্যে নেই। শুধু বুঝতে পারছি এরা এখন আমাকে আগুনে ঝলসে কীমা করবে। তারপর সবাই মিলে আমাকে দিয়ে তাদের ভোজন সম্পন্ন করবে।



Please Sir accept the request from Wave 100 gm of 2^33 Bit Video Massage to your Cornea.



Please Sir accept the request from Wave 100 gm of 2^33 Bit Video Massage to your Cornea.



Please Sir accept the request from Wave 100 gm of 2^33 Bit Video Massage to your Cornea.



Thanks already decoded here.



স্বপ্ন ভেঙে গেলো মেলিসার ভিডিও ম্যাসেজ পেয়ে। এতক্ষন আমি তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম। এই স্বপ্নটি কিছুদিন হলো প্রায় রোজই দেখছি। স্বপ্নের ব্যাখ্যা দাড় করাতে চেষ্টা করেছি বহুবার কিন্তু যতবার ব্যাখ্যা খুঁজেছি কোন রকম সমাধানে আসতে পারিনি। আজই মেলিসার ওখানে যেতে হবে। মেলিসার ইচ্ছে আমি যেন ওর জন্মদিনটা এবার ওর সাথে থেকেই উদযাপন করি। অতএব আমাকে এক্ষুনি রওনা হতে হবে। এখন প্রায় ভোর যদি ওর ওখানে যেতেই হয় সকালের প্রথম পূজা ধরতে তবে পূজার আগেই পৌঁছাতে হলে আমাকে এক্ষুনি রওনা দিতে হবে। মেলিসার ইচ্ছে ওর সাথে থেকে আমি আজকের দিনটাতে আইসিসের পূজা করি। ইদানীং গ্রাফাইটের ট্রেনগুলো বেশ উন্নতি লাভ করেছে। ম্যাগনেটিক ফিল্ডের দ্বারা পরিচালিত বলে এই ট্রেন চলতে মাটি স্পর্শ করতে হয়না। তার উপর রয়েছে অভিকর্ষ ত্বরণের বিপরীতমুখী প্রভাব। পাশের সিটের ভদ্রলোকটি ভীষণ বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছে। ঘন ঘন কথা বলা এই ধরনের মানুষের একধরনের রোগ। সাধারনত যাত্রা পথে এদের কথা বলার গতি বেড়ে যায়। হয়ত সময়গুলো কাটিয়ে নেয়ার এটি একটি কৌশল। সাধারনত অচেনা মানুষের সাথে পরিচয় করার মাঝে সংকোচ বোধ কাজ করে তবে এই শিল্পটি যারা রপ্ত করতে পেরেছে তাদের জন্য যে কোন যাত্রা শুভ হবে। নানান ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলেই চলেছে। মনে হচ্ছে যেন সর্ব বিষয়ে মহা জ্ঞানী কোন মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। এখন আমাকে মূর্খ পেয়ে জ্ঞান দান করছে। লক্ষ করলাম আমাকে যখন জ্ঞান দিচ্ছে তার চোখে মুখে বেশ তৃপ্তির হাসি ফুটছে। বেশ ! তিনি যদি আমার মত মূর্খকে কিছু জ্ঞান দান করে তৃপ্ত হন তবে আমার কোন ক্ষতি নেই। তাই আমিও ভদ্রলোকের কথার সাথে মাথা নেড়ে যাচ্ছি।



ট্রেনের গতি ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। সীট বেল্ট বেঁধে নেয়ার জন্য এলাউন্স করা হলো। আমি সীট বেল্ট বেঁধে নিয়েছি। ট্রেনের জানালার গ্লাসে পৃথিবীর সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সংবাদে প্রচারিত হচ্ছে পুরো পৃথিবীময় সাইবার যুদ্ধের ভিডিও ফুটেজ। বেশ কিছুদিন যাবত পরাশক্তি দেশগুলোর মাঝে সাইবার স্পেস দখল নিয়ে স্নায়ু যুদ্ধ চলে আসছিলো। শেষ পর্যন্ত সেটা রুপ নিয়েছে ভয়ানক যুদ্ধে। একে একে সব দেশের সিস্টেম ক্রাশ করে ফেলা হচ্ছে। ম্যালফাংশন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। একের পর এক অটো ডিএক্টিভ হয়ে যাচ্ছে সব আইপি এড্রেসগুলো। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সন্মুখিন হতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কারন এই দেশগুলো চলছিলো ভাড়া করা আইপি নিয়ে। এই মুহূর্তে বেণু আর সিফাতের জন্য ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে। ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও এটিএম সিস্টেম ইনএক্টিভ হয়ে পরার কারনে মানুষের পক্ষে কিছু ক্রয় করাও সম্ভব হচ্ছেনা। আমি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আজই আমাকে দেশে ফিরে গিয়ে ওদের এখানে আনার ব্যাবস্থা করে ফেলতে হবে আমার কোম্পানির কাছে অনুরোধ করে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরলে কোম্পানি নিশ্চয় আমাকে নিরাশ করবেনা। ওরা আমার পরিবারকে এখানে আনার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করে আমাকে সাহায্য করবে।



বেণুর সাথে যোগাযোগ করার কোন সিগন্যালই কাজ করছেনা। আমাকে তাহলে দেশে যেয়েই ওদের নিয়ে আসতে হবে। আমার উদ্বিগ্নতা দেখে পাশের সীটে বসে থাকা ভদ্রলোকটি বলল ব্রাদার এখন ট্রেন থেকে নামলেই যে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে সেটা ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীগামী রকেট কোবাল্ট-বি এর টিকেট আগামী একমাসের আগে পাবেন না। কারন আপনার অবগতির জন্য বলছি এই একটি মাত্র পৃথিবীগামী রকেটটি এক মাস পরপর পৃথিবী থেকে গ্রাফাইট আর গ্রাফাইট থেকে পৃথিবীতে চলাচল করে। ভদ্রলোকের কথাগুলো যেন শেল আকারে আমার হৃদপিণ্ডে আঘাত করছে। আমি আমার সীটের স্টপ বাটন চেপে ধরলাম। যেন এই ট্রেন নয় আমি আমার জীবনকেই এই মুহূর্তে থেমে যাওয়ার জন্য আকুল ভাবে নিবেদন করছি। ট্রেন গ্রাফাইট সেক্টর সেভেনে এসে থামল। আমি ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের ওয়েটিং চেম্বারে বসে আমার কর্নিয়া থেকে মেলিসার আইপি এড্রেস ডিএক্টিভ করছি আর আমার দুচোখ দিয়ে নীরবে অশ্রু ধারা নেমে আসছে। চোখ বন্ধ করে যেন বেণুকে দেখতে পাচ্ছি। আমার চারিদিকটা সাদা মেঘে ছেয়ে গেলো মুহূর্তেই। বেণুকে দেখতে পেলাম সেই মেঘের ফাঁকে। আমাকে দুহাত বাড়িয়ে ডাকছে। এইতো আমি বেণুর হাত ধরে পৃথিবীর মাটিতে নেমে এসেছি।











মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: বাহ ছুটির দিনের অলস দুপুর শুরু হলো সাইন্স ফিকশন দিয়ে ! যদিও সাইন্স ফিকশন আমি বুঝি একটু কষ্ট করে, কিন্তু একটানে পুরো গল্পটা পড়ে যেতে ভালো লেগেছে, কে জানে অন্য গ্রহে বসবাসের জীবন কেমন হবে !

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আল্লাহ না করুক এমন যেন না হয় ভাই।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চরম আর নির্মম সাইফাই । যত তাড়াতাড়ি পারা যায় সুন্দরবন ধ্বংস করে দেয়া হোক । কি দরকার এই সব ফালতু জঙ্গলের । বাসার ছাদেই আমরা এমন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল বানাতে পারি । পরিবেশ ধ্বংস হোক, তাতে কি এসে যায়! হাজার টাকা লিটার দরে পানি খেতে পারব । যখন আর এই দেশ বাসযোগ্য থাকবে না, আমরা প্ল্যানেট গ্রাফাইটের মত ভিন গ্রহে পাড়ি দেব ।

টুপি খোলা স্যালুট গ্রহন করেন কান্ডারী :#) B-)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মামুন ভাই এভাবে বললে সত্যি চোখে পানি চলে আসে ভাই।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

টিসেলিম বলেছেন: আমি সাধারণত ব্লগারের নাম দেখে লেখা পড়ি না .। প্রথম পৃষ্ঠাতে পোস্টের যেটুকু দেখা যাচ্ছিল তা পুরোটাই ইংরেজীতে ছিল .। তাই এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম .। তবে ব্লগারের নাম দেখে ঢুকে পড়লাম .। ভাল লাগছে .। শুভেচ্ছা

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনাকে নিরাশ করিনি তাই ভীষণ খুশি হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনবদ্য ! দাঁড়িয়ে, এক পা উপরে তুলে , টুপি খুলে তারপর স্যালুট গুরু!


শুরুতে ভেবেছিলাম সাইন্স ফিকশ্যান লিখেছেন চোখে পানি দিয়ে এসে মুখে আগুন ধরিয়ে পড়তে শুরু করলাম ! আসলেই অনবদ্য , উপরে মামুন ভাই খুব সুন্দর করে গল্পের মূলভাব তুলে ধরেছেন কি দরকার সুন্দরবনের , আমরা ঘরে ঘরে সুন্দরবন বানাবো , মঙ্গলে গিয়ে বাস করবো!

এখন অফটপিকে কিছু কথা বলিঃ

সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবন কিংবা রামপাল ইস্যু নিয়ে চলমান বিতর্কে আমি তীব্রভাবে হতাশ। জাতী হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা যে কোন জিনিস নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ি , মাঝে মাঝে দলীয় অবস্থানের কারণে নিজের বিবেক - বুদ্ধি বিক্রি করে কথা বলতেও আমাদের লাগেনা!
সম্ভবত বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যেখানে জাতীয় নেতাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয় প্রতিযোগীতা করে , আমরা সামনে আগাবো কি করে যদি আদর্শই না থাকে (আদর্শের প্রতি শতভাগ সম্মান না করা আর না থাকা একই কথা )! সম্ভবত বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যেখানে উচ্চ শিক্ষিত লোক বিশ্বাস করে পৃথিবীর বিরল তম সৌন্দর্যের একটি বনের আশেপাশে কোথা ও বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরী হলে এই বনটির ইকো সিস্টেমে কোন প্রভাব পড়বেনা !

বনের যে অংশের রিসোর্স নষ্ট হবে সেখানের প্রভাব ধীরে ধীরে পুরো বনে ছড়িয়ে পড়তে দুই মাস ও সময় লাগবেনা ! খুব ছোটবেলায় আমরা বই এ পড়েছিলাম সুন্দরবনের প্রতিটা অংশ একটা আরেকটার উপর নির্ভরশীল (ইকো - সিস্টেম বলে একটা শব্দ আছে )! বাঘ - হরিণ - মাছ - কুমির - ছোট্ট কীট একটা আরেকটার সাথে গভীরভাবে জড়িত! এখন এই অবস্থায় এসে আমাদের বিজ্ঞ বড় ভাই যদি বলে বন্য প্রানীরা তো থাকে গভীর বনে ! তখন কি চিৎকার করে কাদবো না হাসবো বুঝতে একটু কষ্ট হয়!

আজিব ধরনের এক সেলুকাস! কোটি টাকা খরচ করে প্রামান্যচিত্র বানিয়ে যদি আপামর জনতাকে বুঝানোই হয় যে ক্ষতি হবেনা তাহলে পাঠ্য বইয়ে ইকো সিস্টেম শেখানোর কি দরকার ছিল , রুচিতে বাধেনা???

যতদিন না আমরা পুরো জাতী এক সাথে নগ্ন দলীয় অন্ধত্ব থেকে বের হয়ে আসতে পারবোনা ততদিন এই দেশটার কিছুই হবেনা , এখানকার অনলাইন জগতে হাম্বা , দুম্ভা , ছাগু ট্যাগ দেয়া চলতে থাকবে আর অফলাইনে আমরা পেয়াজের জন্য ভিক্ষে করবো আরো কত কির জন্য হাত পেতে বসে থাকবো , হাত পেতে নিয়ে আসা ভিক্ষার টাকা - পয়সা নিয়ে আবার ভাগাভাগি ও হবে! আমরা তখন আবার বিতর্কে মেতে উঠবো এরা এদের চেয়ে ভালো , কি অদ্ভুত !!

স্বাধীন , সার্বভৌম বাংলাদেশ দীর্ঘজিবী হোক!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোমার এই মন্তব্যটি আমার পোস্টের মূল্য অনেক অনেক অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তোমার মন্তব্যটি আমার প্রিয়তে রেখে দিলাম।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

সুমন কর বলেছেন: র্দুদান্ত এক সাই ফাই পড়লাম। আপনি স্বল্প সময়ের বিরতি নিয়ে সুন্দর এক গল্প ফিরে এসেছেন, ভালো লাগল। বর্তমান পেক্ষাপট আর ভবিষ্যতের কল্প কাহিনী দিয়ে অসাধারণ লিখেছেন।
+++++++++++++....

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আসলে এই সুন্দরবন ইস্যু নিয়ে ভীষণ ভাবে বিচলিত হবার কারনেই এমন একটি গল্প লেখার প্রচেষ্টা করেছি। পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হা! দারুন দারুন। মনে হলো জাফর ইকবালের কর্ণধার.।.।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধুর ভাই ! স্যারের নখের সমান যোগ্য হবার মত আমি নই।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার।

অভি খুব ভালো একটি মন্তব্য করেছে। তার মন্তব্যে পূর্ন সহমত।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কা_ভা ভাই।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এই গল্পের ধরন কে বলে তাহলে সাঁই ফাই।
ব্লগ না থাকলে গল্প পড়া যে কি খারাপ পর্যায়ে থাকতো, এতো অলস আমি।
আরো লিখবেন, ভালো লাগলো খুব।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনুপ্রানিত হোলাম ভীষণ ভাবে দূর্জয় ভাই।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনবদ্য লেখা, দূর্দান্ত! একটানে পড়েগেলাম। নতুন কিছু টার্ম, ট্যাকনোলজির ব্যাপার স্যাপার সংযোগ ঘটিয়েছেন, যেটা সাই-ফাইটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। খুবই ভালো লেগেছে। কিছু টিকা-টিপ্পোনি থাকলে আরও সুবিধা হতো বিষয়টা পুরোপুরি বুঝতে।

হেটস অফ শুভেচ্ছা, চমৎকার একটা সাই-ফাই এর জন্য।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয় দেবদূত ভাই সত্যি কথা বলতে, একবার ভেবে ছিলাম যে পাদটীকা হিসেবে টার্ম গুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে দেয়ার পরে আবার ভাবলাম না থাক যদি কোনটা বুঝতে কারো সমস্যা হয় তবে মন্তব্যে জানতে চাইলে ব্যাখ্যা করে দেয়া যাবে তাই আর দেই নি। :(

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ---এইতো আমি বেণুর হাত ধরে পৃথিবীর মাটিতে নেমে এসেছি----

অসাধার সাই-ফাই। শেষের সিনটা খুব ভাল লাগছে। একেবারে সিনেমাটিক।

আমাদের জলিল বাই হাগুমুতু সিনেমা নাবানাইয়া আপনাদের এই লেখা গুলো নিয়া যদি একটু চিন্তা করত তাহলে আরো বর স্টার হইতো।

আপনাকে ----------হ্যাটস অফ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ। ভচ ইজ ভচ উনার সাথে কি আর আমাদের তুলনা চলে। ;)

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাণ্ডারি, সাম্প্রতিক বিষয়ের কিছু খণ্ড গল্পের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে, আর সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা আর বৈজ্ঞানিক কিছু শব্দ পেলাম। চমৎকার! শান্তির দেবদূতের সাথে একমত, গল্পের শেষে নির্ঘণ্ট টাইপের কিছু থাকলে আরও সুবিধা হত।

সবমিলিয়ে ভালো লাগল সায়েন্স ফিকশন, কিছুটা বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিমা গল্পকে অনেক ওপরে তুলে দিয়েছে।

শুভকামনা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই একবার ভেবে ছিলাম যে পাদটীকা হিসেবে টার্ম গুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে দেয়ার পরে আবার ভাবলাম না থাক যদি কোনটা বুঝতে কারো সমস্যা হয় তবে মন্তব্যে জানতে চাইলে ব্যাখ্যা করে দেয়া যাবে তাই আর দেই নি। :(

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাহ সুন্দর গল্প ! সাইফাই, কিছু মানবীয় অনুভূতি বায়োনিক হয়েও। তাছাড়া ট্র্যাফিক জ্যামের যে দৃশ্য , গাড়ির উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে অফিস যাওয়া, বাড়ির ছাদে ম্যানগ্রোভ লাগানো ! আবার বেণুর প্রতি একটা গভীর ভালোবাসার পরেও মেলিসা কে নিয়ে ছিটেফোঁটা ভাবনা ! ভালো লেগেছে, সাইফাইয়েও মন্দির পূজার আগমন ! ভাবনা টায় নতুনত্ব !

ব্যস্ত , ব্যবস্থা, রাজত্ব, লক্ষ্য, গতিবিধি ইত্যাদি কয়েকটা বানান ঠিক করে নেবেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সরি আপু ভুলে মিসটেক হয়ে গেছে। বিশ্বাস করেন বানানগুলো আমার জানাই ছিলো কিন্তু টাইপ করতে যেয়ে এমন হয়ে গেছে । এখন হতে আরও সতর্ক হব । :(

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
যত তাড়াতাড়ি পারা যায় সুন্দরবন ধ্বংস করে দেয়া হোক । কি দরকার এই সব ফালতু জঙ্গলের । বাসার ছাদেই আমরা এমন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল বানাতে পারি । পরিবেশ ধ্বংস হোক, তাতে কি এসে যায়! হাজার টাকা লিটার দরে পানি খেতে পারব । যখন আর এই দেশ বাসযোগ্য থাকবে না, আমরা প্ল্যানেট গ্রাফাইটের মত ভিন গ্রহে পাড়ি দেব ।

এমনটাই বোধ হয় সামনে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই বন আমাদের দেশের সম্পদ এবং একে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: অনবদ্য লেখা, দূর্দান্ত !!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রিয় লেখক অপু ভাই। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

এহসান সাবির বলেছেন: চরম সাইফাই....!! এই লেখার মাধ্যমে নির্মম কিছু বাস্তবতা তুলে ধরেছেন যা আগামি দিনে ঘটতে পারে.. এটা নিযে মামুন ভাই, অভি ভাই চমৎকার মন্তব্য করে গেছেন।

গল্প লেখা একদম অফ না করে কিছু লিখেন প্লিজ, আমরা পাঠকরা ভালো কিছু পাবো আশা করি......

+++++++++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এইতো ফিরলাম সাবির ভাই। তবে এর জন্য আপনার ভালোবাসা অনেক বেশি কাজ করেছে। আপনার অনুপ্রেরনা না পেলে ফেরা হতো না।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুর্দান্ত লেখা রে ভাই ...

মন টা খারাপ হয়ে গেল ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপা মন খারাপ করে লেখা এই গল্পটি আমার প্রতিবাদের ভাষা বলতে পারেন।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

গোর্কি বলেছেন:
উপরের মন্তব্যকারীগণ যে চমৎকার বিশ্লেষণমূলক ব্যাখ্যা রেখেছেন, এরপর বলার কিছুই নেই। পরিবেশ দুর্যোগ এবং দূষণের বিষয়টি কল্পকাহিনীর মাধ্যমে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। পোস্টে +++++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমাদের চেতনা এভাবে জেগে থাকুক এই প্রত্যাশাই রইল ভাই।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ব্যাপক ফাটাফাটি সাই ফাই হইছে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

একরাশ ধন্যবাদ ভাই।

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

অসাধারণ গল্প।

দুপুরেই পড়েছি লগইন না করাই কমেন্ট না করে চলে গেছি।



আমিও চিন্তা করতেছি বাসার ছাদে ম্যানগ্রোভ চাষ করবো। ;)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুশি হলাম শোভন

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

ভিয়েনাস বলেছেন: সমসাময়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে চমৎকার একটা সাইফাই হয়েছে। অনবদ্য লিখেছেন। মামুন ভাই আর অভি ভাই মন্তব্যে চমৎকার করে গল্পের গুরুত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন । সুন্দর মন্তব্য ।

একটানে পড়লাম এবং ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার মন্তব্য সবসময় আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রিয় ভিয়েনাস।

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৬

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ভাল লেগেছে। মূলত প্রেক্ষাপট টা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনে তো একজন ভার্চাটাইল লেখক :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:!> :!> :!> :||

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

সায়েম মুন বলেছেন: আমার যা বলার তা উপরে অনেকেই বলে দিয়েছেন। নতুন করে আর কিছু বললাম না। এক কথায় চমৎকার একটা গল্প পড়লাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রিয় সায়েম মুন ভাই।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: তোর শাস্তি হলো নিয়মিত এমন লিখবি । সালাম নিস ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বুঝতে পারছি এবার আমার আর রক্ষে নেই।

২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

জুন বলেছেন: আমরা কি সত্যি এমন এক পৃথিবীর দিকে ধাবিত হচ্ছি কান্ডারী ? আমরা হয়তো থাকবোনা কিন্ত আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি ?
অত্যন্ত সুন্দর কিন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।
+

কয়েক বছর আগে তোলা এই ছবিতে সুন্দরী গাছের নীচে হরিনের বিচরন শুধু কি আমাদের কাছে ছবি হয়েই থাকবে ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


একটা সময় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে প্রচুর পরিমাণ পাখির সমাবেশ ঘটত। নানা প্রজাতির, নানা রঙের সেই সব পাখি। কিন্তু বাংলা একাডেমী ভবনের উপর একটি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বসানোর পর থেকে সেখানে পাখিদের বিচরণ বন্ধ হয়ে যায়। এই নিয়ে বহুদিন ধরে চলে আসছে নানা বাদানুবাদ।

আর সেখানে একটি কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র যে ধীরে ধীরে পুরো সুন্দরবনকে গ্রাস করে নেবেনা সেটার গ্যারান্টি কোথায়? এমনিতেই বনে বাঘের সংখ্যা কমে গেছে। বাঘ বাঁচাও নিয়ে কর্মসূচী পালিত হয়েছে। তার উপর যদি হয় ওখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তবে আর যে অল্প কিছু বাঘ বেঁচে আছে তাও মারা পরবে নির্ঘাত।

এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার নাকি আমাদের জাতীয় পশু অথচ এর প্যাটেন্ড করিয়ে রেখেছে ভারত। অতএব সুন্দরবন নিয়ে গাত্রদাহ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

নেক্সাস বলেছেন: সমসাময়িক কালে আপনার অন্যতম সেরা লিখা। মামুন ভাই আর অভি ভাইয়ের কমেন্টের পর আর কিছু বলার অবকাশ নাই।

আমাদের কে এখন কৃত্রিম সুন্দর বন বানিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়।

ওনেক মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাচ্চাদের জন্য প্লাস্টিকের পশু পাখি খেলনার দোকানগুলোতে কিনতে পাওয়া যায়। একটা সময় খেলনা হিসেবে প্ল্যাস্টিকের সুন্দরবন কিনতে পাওয়া যাবে।

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

টুম্পা মনি বলেছেন: ওয়াও! অসাধারণ! একেবারে অন্যরকম। এভাবে লেখা সহজ কথা নয়। অনেক ভালো লাগল আপনার এই প্যাটার্ন। আমি নিজেও উৎসাহিত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমার লেখা আপনাকে উৎসাহ জোগাতে পেরেছে, নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল। আপনার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
কান্ডারী ভাই, মানবিক এই অতি চমৎকার সাইফাই এর জন্য আপনি আমাদের অভিবাদন গ্রহন করুন। আসলে এই যে উপস্থাপনা বৈচিত্র, এখানেই আপনি লেখক হিসাবে সফল, আর দ্রোহের কথা তো যথাশব্দে অনূদিত!!

শুভকামনা রইল।।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার এই মন্তব্যের পর আমার মত একজন অতি সাধারন মানুষের জন্য চাওয়া পাওয়ার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা। তবে দায়িত্বশীলতা অনেক বেড়ে গেলো। তবে ভবিষ্যতে আপ্রান চেষ্টা করব আপনাদের এই ভালবাসাটুকু শ্রদ্ধার সাথে ধরে রাখতে।

সুন্দরবন সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুক শুধু এই কামনা করি।

আমার ভালবাসা জানবেন।

২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার সাই ফাই, মানবিক আবেদন ছিল দুর্দান্ত!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সুন্দরবন সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুক শুধু এই কামনা করি।

শুভকামনা নিরন্তর।

৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুর্দান্ত এক সাই ফাই। খুব মজা পেলুম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সুন্দরবন সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুক শুধু এই কামনা করি।


শুভকামনা নিরন্তর।

৩১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই অর্ধেক পড়া হল ....এখন পর্যন্ত চমৎকার । কেন্নে লেখেন এইগুলা???

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি নিজেও এই প্রশ্নের উত্তর জানিনা লিমন ভাই। তবে কষ্ট করে বাকি অর্ধেক পড়ে ফেলুন আর সুন্দরবনের জন্য গর্জে উঠুন ।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০

অনাহূত বলেছেন: গতকাল শুরু করেছিলাম, আজকে শেষ হলো।
আপনার গল্পের প্লট খুব ভালো লেগেছে। এমনিতেই আমি সাই-ফাই পোকা। ইউ মেড মাই নাইট ব্রো।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এমন কমপ্লিমেন্ট পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। শুভ সকাল।

৩৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিশাল গল্প।আরেক্টু বিস্তারিত লিখে মনে হয় পর্বে ভাগ করে দিলে ভাল হত।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর একটি সাজেশনের জন্য।

৩৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

আমি ইহতিব বলেছেন: কত ভালো ভালো পোস্ট পড়া মিস হয়ে যায় :(

কাল আবার আসার চেষ্টা করবো ভাইয়া।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু কালকের অপেক্ষায় রইলাম। আসবেন কিন্তু :)

আছেন কেমন ?

৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

আমি ইহতিব বলেছেন: দেরী হয়ে গেলো ভাইয়া।

অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে। একদিকে আপনার ভাষা শৈলী দেখে আর সাই ফাই কে এতো যুক্তি সংগতভাবে উপস্থাপনের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে ভাবছি এতো সুন্দর করে কিভাবে লিখলেন। আর অন্যদিকে ভবিষ্যতের যে নির্মম দূর্দশার চিত্র তুলে ধরলেন তাতে শঙ্কিত হচ্ছি আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

আমাদের বিজ্ঞ বিজ্ঞ দেশ উদ্ধারকারীদের মাথায় কেন সুন্দরবন ধ্বংসের পরবর্তী অবস্থার চিন্তা আসছেনা এটা ভেবে দুঃখ হচ্ছে।

লেখায় +++

ভাইতো দিনে দিনে অলরাউন্ডার হয়ে যাচ্ছেন। শুভকামনা আপনার জন্য।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

যেভাবে সাহস যোগালেন এখন ভীষণ টেনশন হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো কিনা ?

দোয়া করি যেন সুন্দরবন সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকে আমাদের মাঝে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.