![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
রাত প্রায় এগারোটা, বসে আছি স্টেশনে। ট্রেন ছাড়তে এখনো প্রায় এক ঘন্টা সময় বাকি। এই একটি ঘন্টা যেন কিছুতেই কাটতে চাইছেনা। অপেক্ষা জিনিসটা মানুষকে বেশ অস্থির করে তোলে। অস্থিরতা কাটাতে তখন প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত নিকোটিনের। একের পর এক সিগারেট টেনে যাচ্ছি। হঠাত করে সামনে দেখলাম একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে। পরনে তার গোলাপি রঙের শাড়ি। গোলাপি রঙের প্রতি একধরনের বিশেষ দুর্বলতা কাজ করার কথা, কিন্তু আশ্চর্য ! আমার তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছেনা এই মুহূর্তে। মেয়েটি আকাশের দিকে উদাস ভঙ্গিতে তাকিয়ে অন্ধকারে কি যেন খুঁজছে ! মেয়েটিকে দেখে খুব চেনা চেনা মনে হলো। মনে হলো মেয়েটির সাথে আমার পূর্বের কোন পরিচয় রয়েছে। কোন এক অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়েছিলো। আজ তাকে নতুন করে পুনরায় সামনে পেলাম। আর এ কারনেই বুঝি আজকে ট্রেনের শিডিউল চেঞ্জ হয়েছে। ঈশ্বরের খেলা বোঝা মুশকিল ! প্রতিনিয়ত তিনি আমাদের সাথে খেলতে পছন্দ করেন। আমরাও সেই খেলায় কখনও জয়ী হই, কখনওবা হেরে যাই, তবে এখানে জয় পরাজয় আমাদের জন্য আপেক্ষিক হলেও ঈশ্বর ঠিকই এখান থেকে তার প্রাপ্তিটুকু বুঝে নেন।
ভীষণ চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে। দেখি কোথাও চা পাই কিনা । চায়ের দোকান খুঁজতে খুঁজতে সময়টা কেটে যাবে, এর মাঝে হয়ত ট্রেন ছাড়ার সময়ও হয়ে আসবে। বেশি খোঁজা খুঁজি করতে হলোনা। একটি চায়ের দোকান পেয়ে গেলাম। দোকানে এক বৃদ্ধা বসে আছেন। আর কেউ নেই। বুঝলাম এই রাতে আমিই এখন তার একমাত্র কাস্টমার। তাই চা চাইতেই বেশ খুশি মনে অনেক যত্ন করে চা বানাতে লাগলেন। যেন বহুদিন পর ছেলে বাড়িতে ফিরে মায়ের কাছে চায়ের আবদার করেছে। এখন পৃথিবীর সবচেয়ে অমৃত চাটাই বানিয়ে ছেলেকে পরম যত্নে খাওয়াবেন। খালা এত রাতে দোকান খোলা রেখেছেন ? দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাবেন কখন ? আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কোন ইচ্ছে বৃদ্ধার মাঝে দেখতে পেলাম না বরং তিনি রাগান্বিত চোখে আমাকে চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন, আজ যেন আমি এই ট্রেনে করে না যাই। এতে নাকি আমার জন্য অশুভ কিছু অপেক্ষা করছে। আমি বৃদ্ধার কথায় হেসে উঠলাম। আমার হাসি থামিয়ে দিয়ে বৃদ্ধা আমাকে গালি দিয়ে তার দোকান থেকে তাড়িয়ে দিলেন। চাটা শেষ করতে পারলাম না। বৃদ্ধা আমাকে যাচ্ছে তাই বলে তাড়িয়ে দিলেন। ফিরে এসে মেয়েটিকে দেখতে পেলাম না। ওদিকে ট্রেন থেকে বাঁশির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দেবে। যে স্টেশনটি এতক্ষন ছিলো জনমানব শূন্য সেখানে কোথা হতে যেন একগাদা লোক এসে হই হুল্লোড় শুরু করে দিয়েছে। আমি আমার হাতের টিকেটটি নিয়ে দেখলাম তাতে চ নাম্বার বগীর বত্রিশ নাম্বার সীট লেখা রয়েছে। চ নাম্বার বগী খুঁজতে বেশি কষ্ট করতে হলোনা। যেখানে দাড়িয়ে ছিলাম তাকিয়ে দেখি সামনেই চ নাম্বার বগী। বগীতে উঠেই বত্রিশ নাম্বার সীট খুঁজে পেলাম ঠিকই কিন্তু বুকের ভেতরটা আবার কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠল। আমার সামনের সীটে বসেছে সেই মেয়েটি সাথে খুব সম্ভবত তার কোন বান্ধবী।
ট্রেন ছুটে চলেছে। পেছনে অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে দূরের আকাশ আর নাম না জানা সারিবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে থাকা গাছগুলো। বাতাসের কারণে মেয়েটির চুলগুলো উড়ছে। কিন্তু সেই অবাধ্যতাকে শাসন করতেই মেয়েটি চুলগুলোকে যত্ন করে খোঁপায় বেঁধে নিলো। সিগারেট খাওয়ার নাম করে বার বার উঠে গিয়ে মেয়েটিকে দেখছি। এমন অপরূপ মেয়ে এর আগে আমি কখনও দেখিনি। পৃথিবীর কোন কিছুর সাথেই তুলনা করা যাবেনা এমন রূপের। পৃথিবীতে এমন কোন উপমা সৃষ্টি হয়েছে কিনা জানা নেই। আমার শুধু মিরিন্ডার আঁকা ওর নিজের স্কেচটিই চোখে ভেসে আসছে। মিরিন্ডার সাথে ব্লগে পরিচয় হলেও এর আগে বাস্তবে কখনও দেখা হয়নি। এমনকি কথাও হয়নি। তবে ব্লগে কারও সাথে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে ভাবাই যায়না যেমনটা মিরিন্ডার সাথে হয়ে গেছে। মিরিন্ডা কারও নাম হতে পারেনা কিন্তু ব্লগে এটা খুব স্বাভাবিক। সাধারনত ব্লগে ব্লগাররা এভাবেই নিজেদের নানা রকম ছদ্দনাম ব্যবহার করে থাকেন। মিরিন্ডাও ঠিক এমনই একজন। তবে আসল নাম কখনও না বললেও একবার ওর নিজের একটি স্কেচ এঁকে পোস্ট দিয়েছিলো। সেই থেকে ওর মুখটি আমার মনের মাঝে গেঁথে আছে। ট্রেনের এই মেয়েটির সাথে মিরিন্ডার সেই স্কেচের ভীষণ মিল খুঁজে পাচ্ছি। একবার মনে হলো স্বপ্ন দেখছি নাতো। স্বপ্ন দেখছি কিনা যাচাই করতে যেয়ে অনিচ্ছা স্বত্বেও মেয়েটিকে পেছন থেকে কাঁধে স্পর্শ করলাম। মনে হলো নাত আমি স্বপ্ন দেখছিনা। আমি জেগেই আছি। আমার সামনের মেয়েটিই মিরিন্ডা।
হঠাত মেয়ে দুটি পেছন ফিরে আমাকে যাচ্ছে তাই বলে গালি দেয়া শুরু করল। ওদের রক্তচক্ষুকে আমি কিছুতেই বোঝাতে পারছিনা যে আমি কোন পাপ বোধ থেকে এভাবে ছুঁয়ে দেইনি। আমাকে শুধু শুধু আপনারা গালি দিচ্ছেন। আমি আসলে, আমার এক পরিচিতা রয়েছেন নাম মিরিন্ডা তাকে ভেবে; ভুল বশত দেখতে চাইছিলাম যে আপনি আসলেই সেই মিরিন্ডা কিনা। এই কথা শোনার পর যেন আরও কয়েকগুন বেড়ে গেলো ওদের গালাগালি। ট্রেনের বাকি সবাই যেন কেমন হিংস্র চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এখনই বুঝি আমাকে মারা হবে ইভ টিজিং করার অপরাধে। আমি লজ্জায় মাথা নত করে বসে আছি। কি করব ভাবতে ভাবতে ট্রেনের চেন ধরে টান দিলাম। ট্রেনটি থেমে গেলে আমার সাথে একটি ছোট ব্যাগ আছে কাঁধে নিয়ে ট্রেনের দরজা দিয়ে নিচে নামতে যাবো এমন সময় অনুভব করলাম কে যেন আমার ডান হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। কিন্তু ততক্ষনে আমি ট্রেন থেকে নেমে পরেছি। পেছনে ফিরে দেখি মেয়েটি আমার ডান হাত ধরে আছে আর পেছনে দাড়িয়ে আছে ওর বান্ধবী। হঠাত করে ট্রেনটি ছেড়ে দিলো। এমন একটি জঙ্গলে দাঁড়ান নিরাপদ নয় মনে করেই ট্রেনটি ছেড়ে দিলো। আর তাছাড়া আমার নেমে যাওয়া ছাড়া অন্য আর কিছুই তারা খুঁজে পেলোনা। মেয়েটি আমার হাত ছেড়ে দিয়ে শুধু একটিবার কান্না জড়ানো কণ্ঠে চিৎকার করে উঠল। আমার কানে শুধু ভেসে এলো মিরিন্ডা, হ্যাঁ আমি সেই মিরিন্ডা।
রাতের বেলা অন্ধকার জঙ্গল দিয়ে হাটছি। সম্পূর্ণ অপরিচিত অচেনা এমন একটি জঙ্গলে হাটা মোটেই নিরাপদ নয়। কিন্তু পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করেছে। হাটতে হাটতে অনেকটা দূরের পথ চলে এসেছি। হাঁটছি আর খশ খশ শব্দ হচ্ছে ঝোরে পরা শুকনো পাতার। অন্ধকারের নিস্তব্ধতা ভেঙে জোনাক পোকাদের সুরের মূর্ছনা আর মিট মিট করে জ্বলতে থাকা পথ ধরে হাটছি। যেন পোকাগুলো আমাকে এই অন্ধকারে দিক নির্দেশনা দিয়ে চলেছে। সামনেই একটি গ্রাম নজরে এলো। গ্রামের কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ভোর হয়ে এলো। দূরের কোন মসজিদ হতে আযান এর ধ্বনি ভেসে এলো। আকাশটাও ক্রমে সাদা হয়ে আসছে। একটি টিউবওয়েল নজরে এলো। তৃষ্ণায় গলাটা একবারে শুকিয়ে গেছে। কিছুটা পানি পান করে নেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। টিউবওয়েলের কাছে যেতেই একটি আম গাছের সাথে একটি মেয়েকে ফাঁসিতে ঝোলা অবস্থায় দেখে চমকে উঠলাম। দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসব সেই অবস্থা পর্যন্ত রইল না। মাটি যেন আমার পা আঁকড়ে ধরেছে। চিৎকার করবো যে তাও পারছিনা কেউ যেন আমার কণ্ঠ চেপে ধরেছে। কতক্ষণ এভাবে দাড়িয়ে আছি বলতে পারবো না। ঘর থেকে সবাই ছুটে এসেছে। চারিদিকে ছোটা ছুটি শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে গ্রামের সবাই এসে ভিড় করেছে। গ্রামের সবাই মেয়েটিকে নিয়ে এতই ব্যাস্ত হয়ে পরেছে যে আমাকে কেউ যেন দেখতেই পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনও পরিনি। তাই শুধু দূর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম মেয়েটির নাম অনিলা। আজ রাতেই শহর থেকে বাড়িতে এসেছিলো। অনিলার পরিবারের ধারনা মেয়েটি শহরে যেয়ে প্রতারনার স্বীকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ক্রমাগত নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যা করে।
মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডাকা হলো জানাযা পড়ানোর জন্য। কিন্তু ইমাম সাহেব এই জানাযা পড়তে নারাজ। আত্মহত্যাকারীদের জানাযা পড়ানো যাবেনা। কারন এরা নাকি আর তখন দীনের পথে থাকেনা। আর কোন অদীনদ্বার মানুষের নাকি জানাযা পড়তে নিষেধ আছে। তাই ইমাম সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী জানাযা ছাড়াই মেয়েটিকে কবর দেয়া হলো। একবার ভাবলাম ইমাম সাহেবের কাছে তার এইসব ভণ্ড বানানো দীন সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রতিবাদ করি। কিন্তু গ্রামের সবাই যেভাবে তাকে মান্য করে তাতে করে আমাকে যে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হবে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। তাই নীরবে সব কিছু মেনে নিলাম। সেখান থেকে চলে এসে বাজারে এসেছি এখান থেকে ট্রেনে করে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখতে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম কোন ট্রেন নেই তবে বাস আছে। বাস পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচা গেলো। সারাদিন অনেক ধকল গেছে মনের উপর দিয়ে। বাসে উঠে চোখ বন্ধ হয়ে এলো নিমিষেই। রাজ্যের যত ঘুম সব যেন আজ আমার চোখে এসে ক্লান্ত হয়ে পরেছে। স্বপ্নে মিরিন্ডার মুখটা ভেসে উঠলো।
বাড়িতে ফিরে ল্যাপটপ ওপেন করে ব্লগে লগইন করে দেখি অনুসারিত ব্লগে মিরিন্ডার একটি পোস্ট। পড়তে শুরু করলাম।
জীবনের অর্থ যদি হয় শুধুই বেঁচে থাকা তবে বেঁচে থাকতে আমার ভীষণ আপত্তি রয়েছে। মানুষ তার বর্তমানের কাছে বন্দী। আমি এই বন্দী দশা হতে মুক্তি পেতে চাই। আমি দেখেছি, কোন মানুষ যখন মারা যায় সেই মানুষটিকে ঘিরে যারা এতকাল বেঁচে ছিলো তাদের জীবন যাপনের জন্য সৃষ্টি হওয়া নতুন কৌশল। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর আমাকে ঘিরে যারা বেঁচে আছে, তারা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করে; বেঁচে থেকেই দেখার খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু জানি এমনটা ঘটা কখনও সম্ভব নয়। তবু একবার মরে গিয়ে সেই সাধ পূরণের চেষ্টাটুকু করে দেখা যেতে পারে।
আমাকে মেঘ চুরির সাঁজা দেয়া হয়েছে;
শুনেছি গুনে গুনে একশত দোররা মারা হবে,
আমার অমানিশা ঘরের কট মট করে ওঠা চকিতে শোয়ায়ে ।
প্রিয়তম তুমিও কি আমার ঈশ্বরের মতো এমনই নিষ্ঠুর ?
আমি শূন্যতার কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি
আমার চেয়ে সেই অনেক বেশি পূর্ণ,
আমি পূর্ণতার কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি
আমার চেয়ে সেই অনেক বেশি শূন্য,
তাই শূন্যতা আর পূর্ণতার মাঝেই সুখ খুঁজে ফিরি।
পোস্ট পড়ে আমার কানে শুধু ভেসে এলো মিরিন্ডা, হ্যাঁ আমি সেই মিরিন্ডা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কালকে পড়ার নিমন্ত্রন রইলো মামুন ভাই।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
সুমন কর বলেছেন: মিরিন্ডা আর অনিলা আর কবিতা সব ভাল লাগল। ভেবেছিলাম বেশী ভৌতিক কিছু হবে। তবে সাসপেনশন ছিল ভাল। পড়তে ভাল লাগল। +++++......
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমার এই গল্পটিতে সাসপেন্স কিংবা ভৌতিক কিছু খোঁজা ঠিক হবেনা। গল্পটি নেহায়েত বেঁচে থাকার দৈন্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে লেখা।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইল।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
ফ্রেয়া রুনি বলেছেন: একসময় সুখী হবার স্বপ্ন দেখতাম । যখন স্বপ্ন ভঙ্গ হল তখন উপলব্ধি করলাম সুখ আমার মাঝেই নিহিত । যা আছে তা নিয়েই সুখ, যা নেই অথবা যা কেড়ে নেয়া হয়েছে সুখের আশায়, সে বা তারা সুখের পেছনে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হোক । অপূর্ণতা আর অল্প কিছু নিয়েই আমার জীবন সুখকর মৃত্যুতে পরিণত হোক ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জীবনের অপূর্ণতা কিংবা পূর্ণতা অথবা অযাচিত ব্যাঞ্জনার কারণে আমরা কখনও কখনও আমাদের বেঁচে থাকার ভিন্ন কারন খুঁজে ফিরি কখনওবা চাই মৃত্যুর মত প্রশান্তি। এই ভাবনাগুলোকে কিছুটা বুঝতে চাওয়ার প্রয়াস থেকেই এই গল্পের সূচনা।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন: ফ্রেয়া রুনি বলেছেন: একসময় সুখী হবার স্বপ্ন দেখতাম । যখন স্বপ্ন ভঙ্গ হল তখন উপলব্ধি করলাম সুখ আমার মাঝেই নিহিত । যা আছে তা নিয়েই সুখ, যা নেই অথবা যা কেড়ে নেয়া হয়েছে সুখের আশায়, সে বা তারা সুখের পেছনে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হোক । অপূর্ণতা আর অল্প কিছু নিয়েই আমার জীবন সুখকর মৃত্যুতে পরিণত হোক ।
অসাধারণ কমেন্ট ।
একমত হলাম
পোস্টে অনেক অনেক ভাল লাগা
++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি অসাধারন একটি মন্তব্য এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই তবু সুখের খোঁজে কখনও বড্ড বেশি দুঃখের অতলে হারিয়ে যাই কিংবা অযাচিত কিছু কষ্ট আর মানুষের দেয়া যাতনা এসে ভর করে তখন জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
এই যেমন আমরা জানিনা মৃত্যুর পর আমাদের চেনাজান মানুষগুলো কেমন থাকবে কিংবা বেঁচে থেকে আমরাই যে খুব ভালো আছি সেটাও কিন্তু নয় তবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুখি থাকাটা জরুরী।
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ঢাকাবাসী নিয়মিত পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: জীবনের অর্থ যদি হয় শুধুই বেঁচে থাকা তবে বেঁচে থাকতে আমার ভীষণ আপত্তি রয়েছে। মানুষ তার বর্তমানের কাছে বন্দী। আমি এই বন্দী দশা হতে মুক্তি পেতে চাই। আমি দেখেছি, কোন মানুষ যখন মারা যায় সেই মানুষটিকে ঘিরে যারা এতকাল বেঁচে ছিলো তাদের জীবন যাপনের জন্য সৃষ্টি হওয়া নতুন কৌশল। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর আমাকে ঘিরে যারা বেঁচে আছে, তারা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করে; বেঁচে থেকেই দেখার খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু জানি এমনটা ঘটা কখনও সম্ভব নয়। তবু একবার মরে গিয়ে সেই সাধ পূরণের চেষ্টাটুকু করে দেখা যেতে পারে।
আমাকে মেঘ চুরির সাঁজা দেয়া হয়েছে;
শুনেছি গুনে গুনে একশত দোররা মারা হবে,
আমার অমানিশা ঘরের কট মট করে ওঠা চকিতে শোয়ায়ে ।
প্রিয়তম তুমিও কি আমার ঈশ্বরের মতো এমনই নিষ্ঠুর ?
আমি শূন্যতার কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি
আমার চেয়ে সেই অনেক বেশি পূর্ণ,
আমি পূর্ণতার কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি
আমার চেয়ে সেই অনেক বেশি শূন্য,
তাই শূন্যতা আর পূর্ণতার মাঝেই সুখ খুঁজে ফিরি।
পোস্ট পড়ে আমার কানে শুধু ভেসে এলো মিরিন্ডা, হ্যাঁ আমি সেই মিরিন্ডা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিন্তু আপনার অভিব্যাক্তিটুকু জানা হলোনা যে ?
৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
মশিকুর বলেছেন:
মাঝখানে ভয় পাইতেছিলাম। যাক গল্প ভালো লাগলো +
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভয় ?
গল্প পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশিই হোলাম ভীষণ।
৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
নূর আদনান বলেছেন: ভাইয়া, বরাবরের মতোই ভাললাগা
পড়তে সময় একরার মনে হচ্ছিল কোন বাস্তব ঘটনা পড়ছি, আরেকবার মনে হচ্ছিল গল্প পড়ছি।
অবশ্যই প্লাস +++++++
ভাল থাকবেন
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পটি প্রথম পুরুষে লেখা বলেই হয়ত এমনটা মনে হচ্ছে কিন্তু এটা শুধুই একটি গল্প। বাস্তবের সাথে এই ঘটনার কোন মিল নেই।
প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১
নূর আদনান বলেছেন: তবে এখানে জয় পরাজয় আমাদের জন্য আপেক্ষিক হলেও ঈশ্বর ঠিকই এখান থেকে তার প্রাপ্তিটুকু বুঝে নেন।
তাই শূন্যতা আর পূর্ণতার মাঝেই সুখ খুঁজে ফিরি।
কথাগুলো ভাল লাগছে
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বেঁচে থাকা কখনও কখনও যাতনা দায়ক হয়ে উঠে তাই নয় কি ?
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭
নূর আদনান বলেছেন: বেঁচে থাকা কখনও কখনও যাতনা দায়ক হয়ে উঠে তাই নয় কি ?
তা তো হারে হারেই টের পাচ্ছি ভাই
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এতটুকু বুঝতে পারাতেই জীবন বোধ নিহিত। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার!!!
৩ নম্বর কমেন্টে ব্লগার ফ্রেয়া রুনি আপুর কমেন্ট ও আপনার প্রতিউত্তর পড়ে আর কিছু বলার নেই।
++++++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ শোভন। ভালো থাকিস।
এতগুলো প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
ইলুসন বলেছেন: ভাল লাগল। পারফেক্ট ছোট গল্প।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ইলুসন আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হোলাম।
১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা কেমন জানি অগোচালো লাগছে। ব্লগে পরিচয় আবার ট্রেনের মেয়েটাকে মিরিন্ডা ভাবা, চায়ের দোকানের খালা আচরণ, ট্রেন থেকে নেমে যাওয়া, অনিলার লাশ, ইমামের ফতুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চিন্তা করা, আবার ব্লগে মিরান্ডার পোস্ট!
কেমন জানি এক সিনারিওয়ের সাথে আরেকটার খাপ খাচ্ছিলো না। তবে এট দ্যা এন্ড মিরান্ডার ব্লগ পোস্টা বেশ ভালো লাগছে!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের নায়ক ব্লগে একজন মানুষকে চেনেন কিন্তু শুধুই একটি স্কেচের মাধ্যমে যে তার মননে বসে আছে সেই মেয়েকে একদিন ট্রেনে যাত্রা পথে পেয়েগেলো হুট করেই কিন্তু সে দ্বিধায় ছিলো আসলেই ব্লগের মেয়েটিইকি ট্রেনের মেয়েটি কিন্তু ট্রেনে থেকে অপমানের ভয়ে নেমে যাওয়ার সময় মেয়েটি পরিচয় দেয় যে ব্লগের সে মেয়েটিই মিরিন্ডা এবং ট্রেন থেকে নেমে গল্পের নায়কের সাথে গ্রামে কিছু ঘটনা ঘটে। আর মেয়েটি ট্রেনে চড়ার সময় ব্লগে পোস্ট আগেই দিয়ে আসে যা ছেলেটিও সেদিন ব্লগে না থাকায় পড়তে পারেনি যা সে পরে এসে অনুসারিত ব্লগে দেখতে পায়।
স্টেশনে চা খেতে যেয়ে খালা তার সাথে অদ্ভুত আচরন করে, লাশ নিয়ে ইমামের ফতোয়া এবং গল্পের নায়কের প্রতিবাদ করতে না পারা সবকিছু একজন মানুষের সাথে একের পর এক ঘটে গেছে।
চলার পথে মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে সব কিছুর সাথে যোগসূত্র থাকে এমনটা নিশ্চয় নয়। আর একটু যদি কষ্ট করে একবার পড়েন তবে হয়ত অনিলা কিংবা মিরিন্ডার সাথে কিছুটা যোগসূত্র খুঁজে পেলেও পেতে পারেন।
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১০
মশিকুর বলেছেন:
ভয় পাইতে নিছিলাম, মনে করছিলাম ভুতের গল্প হবে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখন কেন যেন মনে হচ্ছে ভুতের গল্প লিখলেই ভালো হতো বুঝি।
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৭
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মিরিন্ডার কি আসলেই বাস্তব কোন পরিচয় আছে ? নাকি এটা গল্পকারের কল্পনার চরিত্র ??
ভালো লাগলো ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় মিরিন্ডা একান্তই আমার একটি কাল্পনিক চরিত্র।
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪১
মাগুর বলেছেন: চমৎকার একটা মুগ্ধতা নিয়ে পড়া শেষ করলাম। বরাবরের মতোই অসাধারণ বর্ণনা আর সাবলীর বাচনভঙ্গী
কিন্তু এ জনমে মনে হয় আর প্লাস বাটনটা কাজ করবে না!!
অ্যানালগ +++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মাগুর ভাই আশা করি সামুর এই সমস্যা শীঘ্রই কেটে যাবে।
প্লাস নয় পড়েছেন মন্তব্য করেছেন তাতেই খুশি।
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৩
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: দারুণ লাগল। গল্পের মাঝেই হারিয়ে গিয়েছিলাম। তবে গল্পের শিরোনাম দেখে তো ভেবেই নিয়েছিলাম খাওয়ার মিরিন্ডা বুঝি
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদিও মিরিন্ডা একটি সুপেয় পানীয়র নাম কিন্তু এর আভিধানিক অর্থ হলো বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়। কেন যেন মনে হলো এটিকেই গল্পের শিরোনাম করা যেতে পারে এবং যেহেতু গল্পের নায়িকার নাম রেখে ফেলেছি মিরিন্ডা আর তাঁকে ঘিরেই গল্প এগিয়েছে তাই আর কি
যাই হোক আপনার জন্য মিরিন্ডা পাওনা রইলো।
১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বাহ ! গুড ওয়ান কান্ডারী ভাই !
চমৎকার হইছে !
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অভি, ভালো থাকিস।
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৯
মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: সিরাম হইছে ভাইজান।
তয় প্রথমে মনে করছিলাম সত্য ঘটনা
পরে মনে করছি ভৌতিক কাহিনী
তারপরে মনে করলাম গপ্পো।
++++++++++++++++++++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আর সবশেষে অনেকগুলো প্লাস এজন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ সকাল।
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: চলার পথে মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে সব কিছুর সাথে যোগসূত্র থাকে এমনটা নিশ্চয় নয়। তবে হয়ত অনিলা কিংবা মিরিন্ডার সাথে কিছুটা যোগসূত্র খুঁজে পেলেও পেতে পারি.......
+++++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম যোগসূত্র মনে হয় পুরোপুরি রয়েছে।
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫০
ভিয়েনাস বলেছেন: তাই শূন্যতা আর পূর্ণতার মাঝেই সুখ খুঁজে ফিরি। দারুন বলেছেন ব্রো.....
কয়েক সেকেন্ডের স্বপ্নে আমরা কত বিচিত্র জিনিস যে দেখি তার ঠিক নেই...
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কয়েক সেকেন্ডের মাঝে মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করতে হয়। শুভ সকাল।
২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
এম ই জাভেদ বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম পেপসি , কোক জাতীয় কোন কিছু হবে!!! গল্পে এক রাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার জন্যও তবে মিরিন্ডা পাওনা রইলো।
২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ট্রেনে একটা সুন্দরীকে মিরিন্ডার স্কেচের সাথে মিলিয়ে ছুয়ে দেয়াটা নাটকীয় লেগেছে । কিন্তু শেষে অপমানিত হয়ে ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার সময় মিরিন্ডার আসা এবং হাত ছুয়ে আকুতি প্রকাশ ভাল লেগেছে ।
গল্পের শুরুর আয়োজনে অতিপ্রাকৃত বা ফ্যান্টাসীর একটা আবহ তৈরি হয়েছিল । কিন্তু শেষে রোমান্টিক আবহে গল্পটা এগিয়ে গেছে ।
সুন্দর গল্পে ভালোলাগা ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মামুন ভাই আমাদের এই ছোট জীবনে অনেক কিছুই ঘটে যা কখনও কখনও ভীষণ নাটকীয়তায় রূপ নেয়। আমরা রুপালী পর্দায় নাটকীয়তা আর ফ্যান্টাসী দেখে বিনোদিত হই। এমন অনেক সাহিত্যকর্ম রয়েছে যেখানে চরম নাটকীয়তা বিরাজমান। এই গল্পটিও তেমনই এক নাটকীয়তার আবেশে লেখার একটি ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র।
জীবনে অনেক কিছুই ঘটে যার ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয় কখনও কখনও সেটা অতিপ্রাকৃত বা ফ্যান্টাসীর মতই মনে হয়। হয়ত এটা আমার লেখার দুর্বলতার কারণে গল্পে প্রকাশ পায়নি। একারণেই গল্পে যা বোঝাতে চেয়েছি তার প্রকাশটা কম এসেছে।
শুভ সকাল মামুন ভাই।
২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২২
কয়েস সামী বলেছেন: ভালো লাগা ++++।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ, শুভ সকাল।
২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
ভিটামিন সি বলেছেন: লিখেছেন ভালো। তবে সত্যি কথা কি জানেন, আমিও কিছু বুঝি নাই।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এটা আমার লেখনীর অক্ষমতা। শুভ সকাল।
২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
গেন্দু মিয়া বলেছেন: "অস্থিরতা কাটাতে তখন প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত নিকোটিনের।"
এইটা কমন পড়সে!
----
বাই দ্য ওয়ে, কঠিন টুইস্ট দিসেন। পড়ে আনন্দ পেলুম!
----
আপনার লেখা পড়া শুরু করেছি। যতই পড়ছি ততই আনন্দ পাচ্ছি!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা ভাই। অনেক খুশি হলাম। অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
২৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
জুন বলেছেন: মনে হলো কোন প্রতিষ্ঠিত লেখকের লেখা পড়লাম। মিরিন্ডার আত্মহত্যা ছাড়াও গল্পের প্রতিটি প্যারায় চমক ছিল ।
অনেক ভালোলাগলো কান্ডারী
কিন্ত বেশি সিগ্রেট খাইছো
+
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু এইভাবে পচাইতে পারলেন আমারে ? আমি নাহয় একটু খারাপ লিখি তাই বইলা এইভাবে পচাইবেন ?
মনে রাখবেন চৌধুরী সাহেব আমি গরীব হতে পারি কিন্তু আমারও কিছু লেখার শখ আছে।
সিগ্রেট না খেয়ে থাকা যায়না
২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
একজন আরমান বলেছেন:
শেষের লেখাটুকুর গভীরতা অনেক।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
শুভকামনা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যি দেখবি একদিন পাখি নেই, নো বার্ড এট অল, পাখি খাঁচা ছেড়ে উড়ে গিয়ে হবে অচেনা।
২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
লাবনী আক্তার বলেছেন: চমৎকার গল্প। মুগ্ধ পাঠ ।
গল্পটা এক নিমিষেই শেষ করলাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু, শুভকামনা জানবেন।
৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
গোর্কি বলেছেন:
রঙয়ের তুলি তোমার হাতে। ইচ্ছে হলে সাদা, কালো কিংবা রঙ্গিন করে তুলতে পারো জীবনটাকে।
গল্প পাঠে ভাললাগা জানাই। শুভেচ্ছা রইল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রিয় গোর্কি আমারতো অন্ধকারটাকেই বেশি ভালোলাগে।
কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।
৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
ভালো গল্প। ভালো লেখক। ভালো থাকবেন।
( কান্ডারি ভাই , দেবদূত ভাই , মামুন ভাই , অপু ভাই ..... অন্য সবাই ও যেভাবে ভালো ভালো গল্প লিখে আমারতো গল্প লেখার চিন্তা করলেই কী- বোর্ড শুকায় )
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুপ্রিয় ভ্রাতা আপনার একটা চমৎকার ক্ষমতা আছে সেটা হলো যে কোন বিষয় নিয়ে চমৎকার সব আর্টিকেল লেখা আর মানুষের হৃদয়ের কাছে চলে যাবার এই ক্ষমতা সবার থাকেনা। শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনার জন্য।
৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের যোগসূত্র ধরে ধরে পড়লাম, অনেক পরিষ্কার লাগল এখন। প্রথমে যে পরিস্থিতি ছিল, পরে তা উলটে পাল্টে গেল- অনেকটা রোমান্টিসিজমের ছোঁয়া পেলাম।
চমৎকার, কাণ্ডারি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলে সমস্যাটা কি জানেন ভাই আমি গল্প লেখার চেয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে বেশি পছন্দ করি আর যে কারনেই অধিকাংশ সময় মূল ট্র্যাক হতে ছিটকে যাই। তারপরেও আপনারা যেভাবে আমাকে উৎসাহ দেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
৩৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এখন মিরিন্ডা খাইতে মন চায় । :#> ইয়ে মিরিন্ডার লিঙ্ক টা দেয়া যায় ? গল্পে +++++++++++++++++++++++++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি সার্চ দিয়েছিলাম কিন্তু এই নামে কোন নিক পাওয়া যায়নি। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন।
৩৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার গল্পে অতিপ্রাকৃত, স্বপ্ন ও ইল্যুশন- এগুলোর কিছু টাচ থাকবেই- এটা ধরে নিয়েই পড়তে শুরু করেছি। আমি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছি এবং গল্পটা উপভোগ করেছি। আপনার স্টাইলটা ধরতে পেরেছি বলেই বুঝতে পেরেছিলাম অনিলা আর কেউ- মিরিন্ডাই হবে। মিরিন্ডাকে পেছন থেকে স্পর্শ করার ব্যাপারটা যদিও মামুন ভাইয়ের কাছে নাটকীয় মনে হয়েছে, কিন্তু আমার কাছে এটা খুব ভালো লেগেছে এবং একটা চমক সৃষ্টি করেছে বটে, এবং ওদের ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়াটা প্র্যাকটিক্যালই মনে হয়েছে। বাসে বা ট্রেনে একটা মেয়েকে আপনি ছুঁয়ে দিবেন কিন্তু সে আপনাকে কিছু না বলে হাসি উপহার দিবে- পৃথিবীতে এমনটা ঘটে না
এরকম গল্পে একটা অতিপ্রাকৃত নাটক বানানো যায়।
কিন্তু এতসব ইল্যুশনের ভিতর দিয়ে যে কথাটি বলতে চেয়েছেন, তা নিচের প্যারাতেই সুস্পষ্ট হয়েছেঃ
জীবনের অর্থ যদি হয় শুধুই বেঁচে থাকা তবে বেঁচে থাকতে আমার ভীষণ আপত্তি রয়েছে। মানুষ তার বর্তমানের কাছে বন্দী। আমি এই বন্দী দশা হতে মুক্তি পেতে চাই। আমি দেখেছি, কোন মানুষ যখন মারা যায় সেই মানুষটিকে ঘিরে যারা এতকাল বেঁচে ছিলো তাদের জীবন যাপনের জন্য সৃষ্টি হওয়া নতুন কৌশল। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর আমাকে ঘিরে যারা বেঁচে আছে, তারা কিভাবে তাদের জীবন যাপন করে; বেঁচে থেকেই দেখার খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু জানি এমনটা ঘটা কখনও সম্ভব নয়। তবু একবার মরে গিয়ে সেই সাধ পূরণের চেষ্টাটুকু করে দেখা যেতে পারে।
কবিতাটাও চমৎকার হয়েছে।
***
আপনার নিকনেইমের ব্যাপারে আমার পোস্টে একটা কথা লিখেছিলাম। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম আপনাকে কথাটা বলি। দয়া করে আপনার নামটা কি চেঞ্জ করতে পারেন? নিকটা সুপারিশ করছি-কাণ্ডারি অথবা ব্লগ কাণ্ডারি অথবা ব্লগার কাণ্ডারি কিংবা ব্লগের কাণ্ডারি কিংবা কাণ্ডারি হুঁশিয়ার। কাউকে ‘অথর্ব’ সম্বোধন করা খুব সুখকর মনে হয় না আমার কাছে। আর ‘কান্ডারী’ বানানটাও এ সঙ্গে শুদ্ধ করে নিলেন!
শুভেচ্ছা জানবেন ব্লগার কাণ্ডারি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমার গল্পটি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য ধন্য হোলাম এবং অবশ্যই কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য জানবেন।
পৃথিবীতে যত দেশ উন্নতি করেছে তার সবকটি দেশের পেছনে রয়েছেন একজন দক্ষ ও হুঁশিয়ার কান্ডারী বা নেতা। কিন্তু একমাত্র আমাদের দেশ এখনো একজন এমন নেতা পায়নি বা কান্ডারী পায়নি যে যার দক্ষ পরিচালনায় সোনার দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। যারা ছিলেন মৃত্যু বরন করেছেন অপঘাতে এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর একটি ইতিহাস। সেই যাতনা থেকেই মূলত স্যাটায়ার হিসেবে আমার নিকের নাম রেখেছি কান্ডারী অথর্ব। সত্যি দেখুন দেশের মূল কান্ডারীরা আজ অথর্ব। আর যদি বলেন ব্লগের কান্ডারী তবে ভাই আমি খুব সাধারন এবং সাদা সিধা টাইপের একজন মানুষ, ঝামেলা এড়িয়ে চলতেই বেশি পছন্দ করি অতএব ব্লগের কান্ডারী হবার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এই ক্ষেত্রেও অথর্ব। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অথর্বের মতই কাজকর্ম করে আসছি। পরাজয় আমার নিত্য দিনের সঙ্গী। আর কান্ডারী বানানটি দুই ভাবেই সঠিক। রি অথবা রী দিয়ে লিখলে মনে হয়না দূষণীয় কিছু হয়।
তবে ব্লগে যে কয়েকজন আমার প্রিয় ব্লগার রয়েছেন এবং আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি তাদের মধ্যে আপনি একজন। আপনার অনুপ্রেরনা সবসময় আমার জন্য দোয়া হিসেবেই কাজ করে।
ভালোবাসা জানবেন নিরন্তর।
৩৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: চমত্কার হইছে।মিরিন্ডা আর অনিলা কি একই ব্যক্তি ?
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হ্যাঁ, মিরিন্ডা আর অনিলা একই ব্যাক্তি।
৩৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
আলাপচারী বলেছেন: +++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আলাপচারী ।
৩৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি আমার গল্পের সার্টিফিকেট পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ হাসান ভাই।
৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ট্রেনযাত্রা উপভোগ্য হয়েছে। শেষের কবিতাটিতে অনেক ভালোলাগা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। আপনার গল্পগুলো আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে।
৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
অচিন্ত্য বলেছেন: ছবিটা খুব সুন্দর
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অচিন্ত্য ।
৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: চাচ্চু , আপনি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করছেন । এটা ঠিক না । আপনি এমন করলে আমরা ছোটরা কি শিখবো ?
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আচ্ছা এখন থেকে আরও ভালো গল্প লেখার চেষ্টা করবো।
৪১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৪
বৃতি বলেছেন: সব লেখকের কিছু না কিছু বিশেষত্ব থাকে । গল্প সবসময় রিয়েলিস্টিক হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই । আপনার লেখায় "ফ্যান্টাসি" অনুসঙ্গটা প্রবল । এটা আপনার নিজস্ব স্টাইল । আমার কাছে গল্পটা বেশ ভাল লেগেছে । কবিতাটা চমৎকার ।
শুভকামনা ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জানিনা কেন যেন ইচ্ছে করলেও এই ফ্যান্টাসি থেকে বের হতে পারিনা। যাই লেখার চেষ্টা করি ফ্যান্টাসি চলেই আসে। আপনার মন্তব্যে ভীষণ অনুপ্রানিত হোলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো গল্প, তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে বাস্তবতার আবহ মোল্লার ফতোয়া যোগ করাতে। ফলে অলীক ব্যাপারগুলোও আর অলীক থাকেনি বলেই মনে হয়েছে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমি একটি গল্প লিখে পোস্ট করলে যাদের সাজেশনের প্রতি চাতকের মতো অপেক্ষা করি তাদের মধ্যে আপনি একজন। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শুভকামনা জানবেন।
৪৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বেশ গতিশীল গল্প, অনেক ঘটনা দূর্ঘটনা মিলিয়ে চমকের গল্প। কিছুটা নাটকিয়তাও ছিল। সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে।
ট্রেনে মিরিন্ডা ভেবে মেয়েটিক ছুয়ে দেওয়াটা একটু খাপছাড়া লাগছে, কথা বললেই তো হতো! পেছন থেকে তো ছোয়ার দরকার ছিল না।
শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক ভালোবাসা জানবেন। অবশ্যই পেছন থেকে ছোঁয়ার দরকার ছিলোনা কথা বলে নিলেই হতো কিন্তু তাতে করে গল্পে একটি নাটকীয়তা অন্যভাবে উপস্থাপন করতে হতো।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নায়িকার নামটা সুন্দর, নামের মিনিং টা ও সুন্দর।
দেবদূত ভাইয়ার কমেন্ট টা ভালো লাগলো, সাথে জুলিয়ান দার কমেন্ট ও।
আর এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে মূল ট্র্যাক থেকে ছিটকে যাওয়াটা সবসময় ঠিক না। আমাদের আম পাবলিকদের বুঝতে সমস্যা হবে, পরে কিন্তু আপনাকেই বুঝিয়ে দিতে হবে।
মিরিন্ডার ব্লগ পোস্ট টা খুব ভালো লেগেছে যা গল্পের চেয়েও সুন্দর।
শুভকামনা কাণ্ডারি ভাই
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপর্ণা দিদি আপনার সাজেশনটা মেনে চলার চেষ্টা করবো।
গল্প কষ্ট করে পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন যদিও কিছুটা ফাঁকিবাজি করেছেন তবুও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো ফাঁকিবাজ ছিলাম না। স্বীকার করলাম। ফাঁকিবাজ আপনার কারণেই হইছি। ভালো থাইকেন
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দিদি এইটা একটা কথা কইলেন ? মনে হইলো যেন আপনার কণ্ঠে বেশ প্রতিবাদের ঘনঘটা । আমি ফাঁকিবাজি মন্তব্য করি দেইখা কি আপনিও ফাঁকিবাজি মন্তব্য করবেন ?
৪৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: বেশ ভালো গল্প শেষটায়। তাই প্রথম অংশের সাথে একটা কম্পারিজম চলে আসে। প্রথম প্যারা কয়টায় লেখা একটু পা্নসা লেগেছে। লেখাটা আরো টাচ করলে বেশ ক্লাসি হবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ রাবেয়া রব্বানি পরবর্তী লেখাগুলোর জন্য আপনার এই ছোট পরামর্শটুকুকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। শুভ কামনা নিরন্তর।
৪৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
প্যাপিলন বলেছেন: ভাল্লাগ্লো গল্পটা+
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ সকাল। খুশি হলাম আপনার মন্তব্য ও ভালোলাগায়।
৪৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: জীবনের অর্থ যদি হয় শুধুই বেঁচে থাকা তবে বেঁচে থাকতে আমার ভীষণ আপত্তি রয়েছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর সমস্যাটা কি ?
৪৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
তাসজিদ বলেছেন: খালার চা পরিবেশন, ট্রেনে মিরিণ্ডার কাধে হাত দেয়া, ত্রেন থেকে নেমে যাওয়া, আত্মহত্যা, এবং ব্লগে ফিরে আসা। সব মিলিয়ে দারুণ
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার প্রোপিক দারুণ। ছবির মানুষদের পরিচয় জানতে চাই।
৫০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: // তবু একবার মরে গিয়ে সেই সাধ পূরণের চেষ্টাটুকু করে দেখা যেতে পারে। //
অসাধারন !!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল।
৫১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মৈত্রী বলেছেন:
দূর্বল প্লট...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। শক্তিশালী প্লট পেলে ভাল হয়।
৫২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমি শূন্যতার কাছে প্রশ্ন করে জেনেছি
আমার চেয়ে সেই অনেক বেশি পূর্ণ ... হমমম । রুঢ় একটা ভালো লাগা , হয়তো সত্যগন্ধি বলে !
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক ধরেছেন জীবনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা। কৃতজ্ঞতা আদনান ভাই।
৫৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
তাসজিদ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার প্রোপিক দারুণ। ছবির মানুষদের পরিচয় জানতে চাই।
বাম পাশের জন আমি, মধ্যে বড় বোন ও বাম পাশে বড় ভাই।
At least ২৩ বছর আগের ছবি
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরে ভাই আপনি ছোট বেলায় অনেক কিউট ছিলেন এখনো নিশ্চয় তাই।
আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইল অনেক অনেক অনেক।
৫৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: আপনার অন্যান্য লেখার সাথে এই লেখাটা মেলাতে পারলামনা। শুরু আর শেষটা যেন খাপছাড়া মনে হল। স্যরি ভাইয়া সত্যি কথাটাই জানালাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুঃখিত হবার কিছু নেই আপু এটা আমার লেখার সীমাবদ্ধতা। আমি খুবই খুশি হয়েছি সত্য মন্তব্যের জন্য। ফেক মন্তব্য করলে আসলে নিজেকে সঠিক ভাবে যাচাই করা যায় না।
গল্পের নায়ক ব্লগে একজন মানুষকে চেনেন কিন্তু শুধুই একটি স্কেচের মাধ্যমে যে তার মননে বসে আছে সেই মেয়েকে একদিন ট্রেনে যাত্রা পথে পেয়েগেলো হুট করেই কিন্তু সে দ্বিধায় ছিলো আসলেই ব্লগের মেয়েটিইকি ট্রেনের মেয়েটি কিন্তু ট্রেনে থেকে অপমানের ভয়ে নেমে যাওয়ার সময় মেয়েটি পরিচয় দেয় যে ব্লগের সে মেয়েটিই মিরিন্ডা এবং ট্রেন থেকে নেমে গল্পের নায়কের সাথে গ্রামে কিছু ঘটনা ঘটে। আর মেয়েটি ট্রেনে চড়ার সময় ব্লগে পোস্ট আগেই দিয়ে আসে যা ছেলেটিও সেদিন ব্লগে না থাকায় পড়তে পারেনি যা সে পরে এসে অনুসারিত ব্লগে দেখতে পায়।
স্টেশনে চা খেতে যেয়ে খালা তার সাথে অদ্ভুত আচরন করে, লাশ নিয়ে ইমামের ফতোয়া এবং গল্পের নায়কের প্রতিবাদ করতে না পারা সবকিছু একজন মানুষের সাথে একের পর এক ঘটে গেছে।
যাই হোক পরেরবার নিশ্চয় আশাহত হবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাললাগা জানিয়ে গেলুম । কালকে পড়ব ।