নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমানা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯









মার বিলাল, মার। শালার ঘাড়ে একটা কোপ দে।



সুমনের রক্তাক্ত দেহটি মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পরে। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে সুমনের লাশ পরে আছে হলের মাঠে। পুরো হল জুড়ে ছাত্রদের মাঝে আতংক, ক্ষণে ক্ষণে গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন। কেউ নেই যে সাহস করে যাবে সুমনের লাশটিকে উঠিয়ে আনবে। এরই মাঝে ছাত্র ছাত্রীরা হল ত্যাগ করতে শুরু করেছে।



-সীমানা কীরে তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস ? আচ্ছা রকম মেয়েরে তুই ! চারদিকে আগুন লেগে সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেলেও দেখছি তুই কিছুই টের পাবিনা !

-কেন কি হয়েছে ?

-কি হয়েছে ! শীঘ্রই উঠে সব কিছু গুছিয়ে নে। আমাদের এখনই হল ছেড়ে যেতে হবে। গন্ডগল শুরু হয়ে গেছে। গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছিস না ?

-আবার সেই হল দখল কাহিনী শুরু হয়ে গেলো নাকিরে ?

-হুম ! এইত আমাদের দেশের ছাত্র রাজনীতি। জানিস না এখন ক্ষমতায় কারা এসেছে ! হল দখল নেবে এটাইত রীতি। চল, চল দেরী করলেই ঝামেলায় পরে যেতে হবে। সবাই বের হয়ে গেছে। আর তুই কীনা কিছুই টের না পেয়ে এখনো ঘুমাচ্ছিস !

-কিন্তু সুমন ! সুমনের কোন খবর জানিস ? এখনত সুমন ঝামেলায় পরবে নিশ্চিত !

-ঝামেলায় পরলে পরবে! কে বলেছিলো ওকে রাজনীতির সাথে জড়াতে। এখন বুঝুক ঠেলা। রাজনীতি করার সাধ মিটবে এবার।

-কী সব বাজে বকছিস ? আশ্চর্য ! ওর সাথে দেখা না করে, কথা না বলে যাই কি করে ? ওর কি অবস্থা এটা জানতে হবেনা ! রাজনীতি করছে বেশ করছে। আরে ওরা যদি রাজনীতি করে দেশের হাল ধরতে এগিয়ে না আসে তবে দেশের হাল ধরবেটা কে, তুই ?

-না বাবাহ ! আমার এত দেশ নিয়ে ভেবে কাজ নেই। পড়াশোনা করতে এসেছি। বাবা-মা অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে পাঠিয়েছেন। মানুষ হতে পাঠিয়েছেন। রাজনীতি করে অমানুষ হতে পাঠায় নি।

-তুই কেন দেশ নিয়ে ভাববি বল !

-দেখ সীমানা, এখন আর পুরনো কথা ভেবে মন খারাপ করার কোন দরকার নেই। চল বেরুই শীঘ্রই।



সীমানা আর নীপা বেরিয়ে এলো হল ছেড়ে। সীমানার সাথে সুমনের শেষ দেখাটা আর হলোনা। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হলো। সীমানা বাড়ি ফিরে এসেই মায়ের গলা জড়িয়ে ধরল।



-মা কেমন আছো?

-কীরে এবার কিছু না বলেই চলে এলি যে !

-মা হল দখল নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভার্সিটি বন্ধ। হঠাত করেই এই অবস্থা হলো বলে তোমাকে জানাতে পারিনি।



মঞ্জিলার বুকের ভেতরটাতে হাহাকার করে উঠল। মঞ্জিলা তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। সীমানার বুঝতে বাকি রইলনা তার মায়ের চোখের এই অশ্রুর কারন। একটু বড় হবার পর যখন সে সব কিছু বুঝতে শিখেছে তখন তার মায়ের কাছ থেকে শুনেছিলো তার জন্ম নেয়ার সেই হৃদয় বিদারক কাহিনী। সীমানার চোখের কোনে অশ্রু নেমে এলো।



২৫ শে মার্চ, ১৯৭১। তখন প্রায় মাঝ রাত। সুইপার মালা বেগম পাক সেনাদের একটি ক্যাম্পে বন্দী ছিলেন। যেটি ছিলো পুলিশদের একটি হেড কোয়ার্টার। যা পাকবাহিনীর একটি বিরাট ক্যাম্পে পরিণত করা হয়। পুলিশদের প্রতিরোধ ব্যর্থ হবার পরে ধর্ষিত হন মালা বেগম। সুইপার বলে প্রাণে বেঁচে যান কারণ রক্ত ও লাশ পরিস্কার করার জন্য তাকে দরকার ছিলো সেনাবাহিনীর। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদের ধরে আনা হয়। আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি যুবতী, মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে। মালা বেগম ড্রেন পরিস্কার করতে করতে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। পাকসেনারা ধর্ষন করেই থেমে থাকেনি, সেই মেয়েদের বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়, মাংস তুলে নেয়। মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বুক, পিঠ ও কোমরের অংশ তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবেই চলতে থাকে প্রতিদিন। যেসব মেয়েরা প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ করত তাদের স্তন ছিড়ে ফেলা হতো, যোনি ও গুহ্যদ্বা্রের মধ্যে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢূকিয়ে হত্যা করা হতো। বহু অল্প বয়স্ক বালিকা উপুর্যুপুরি ধর্ষণে নিহত হয়। এর পরে লাশগুলো ছুরি দিয়ে কেটে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দেয়া হতো।



মেয়েদের ধরে নিয়ে এসে, ট্রাক থেকে নামিয়ে সাথেই সাথেই শুরু হতো ধর্ষন। হেড কোয়ার্টারের দুই, তিন এবং চারতলায় এই মেয়েদের রাখা হতো, মোটা রডের সাথে চুল বেঁধে। এইসব ঝুলন্ত মেয়েদের কোমরে ব্যাটন দিয়ে আঘাত করা হতো প্রায় নিয়মিত, কারো কারো স্তন কেটে নেয়া হতো, হাসতে হাসতে যোনিপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো লাঠি এবং রাইফেলের নল। কোন কোন সৈনিক উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ মেয়েদের বুকে দাঁত লাগিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ত, কোন মেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তখনই হত্যা করা হতো। কোন কোন মেয়ের সামনের দাঁত ছিলো না, ঠোঁটের দু’দিকের মাংস কামড়ে ছিড়ে নেয়া হয়েছিলো, প্রতিটি মেয়ের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে থেতলে গিয়েছিলো লাঠি আর রডের পিটুনিতে। কোন অবস্থাতেই তাঁদের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়া হতো না, অনেকেই মারা গেছে ঝুলন্ত অবস্থায়। অবিরাম ধর্ষণের ফলে কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলেও থামত না ধর্ষণ। বেশির ভাগ মেয়ের লাশ পরে থাকতো উলঙ্গ অবস্থায়। অনেকের শরীর গুলিতে ঝাঝরা থাকত। সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত, জমাট বাঁধা ছোপ ছোপ রক্ত সারা গায়ে লেগে থাকত। ধর্ষণ শেষে কারো কারো দুই পা দু’দিক থেকে টেনে ধরে নাভি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলা হতো।



এমনই এক রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে ট্রাকে করে কিছু মেয়েদের ধরে আনা হয়। তাদেরই একজন হলেন মঞ্জিলা। তাকে আরো ৩০ জন মেয়ের সাথে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকতো দুজন সশস্ত্র গার্ড। এই মেয়েগুলোকে বিভিন্ন ক্যাম্পের সামরিক অফিসারদের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হতো ৫/৬ জন মেয়েকে এবং ভোরবেলা ফিরিয়ে দেয়া হতো অর্ধমৃত অবস্থায়। প্রতিবাদ করলেই প্রহার করা হতো পূর্বোক্ত কায়দায়। এই বন্দীশালায় খাবার হিসাবে দেয়া হতো ভাত এবং লবন। একরাতে মালা বেগম এসব আর সহ্য করতে না পেরে ভোর হবার কিছু আগে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পালানোর সময় গাছের সাথে মঞ্জিলাকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় সে। প্রথমে ভেবেছিলো মেয়েটি বুঝি মরেই গেছে। কিন্তু মঞ্জিলার গোঙানির শব্দ কানে এলে তার বাঁধন খুলে দিয়ে তাকে নিয়ে বহু কষ্টে দেয়াল টোপকে পালাতে সক্ষম হয় মালা বেগম। পালিয়ে মালা বেগম চলে আসে মঞ্জিলাকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে। সারাদেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ একসময় শেষ হয়। বাংলাদেশ নামের এই স্বাধীন দেশেটির জন্ম হয়। আর মানচিত্রের ন্যায় পৃথিবীর মাটিতে নতুন আলোকময় প্রহর নিয়ে বিজয়ের সেই দিনই জন্ম হয় সীমানার। নির্ধারিত হয় মঞ্জিলার জীবনের নতুন সীমানা।



সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রী এখন সীমানা। পরদিন পত্রিকায় ছাপা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমনের হত্যাকান্ডের খবর। সীমানার চোখে আজ অশ্রু নেই। সব কান্না জমে আজ তার কণ্ঠে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সীমানা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে সব ছাত্র ছাত্রীদেরকে সংঘটিত করতে শুরু করে সুমন হত্যার বিচার দাবি করে।



-বিলাল কি করিস?

-ভাই চা খাই।

-চা খাওয়া ভালো অভ্যাস। নিয়মিত চা খাবি। যত চা খেতে চাস আমি তোকে খাওয়াবো। কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তোকে ওই সীমানাকে আমার কাছে এনে দিতে হবে। ওর কণ্ঠে আমি চিৎকার শুনতে চাই।

-জী ভাই এনে দেবো।

-গুড।



রাজপথে গুটি কয়েক ছাত্র ছাত্রী হাতে পোস্টার নিয়ে জড়ো হয়েছে। লাল, সবুজ আর হলুদ রঙের কাগজের সেইসব পোস্টারে কালো কালি দিয়ে লেখা রয়েছে সুমন হত্যার বিচার চাই। সবার সামনে দাড়িয়ে সীমানা। হঠাত ওদের শ্লোগান থামিয়ে দিয়ে বিলালের সন্ত্রাসীরা ওদের উপর হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে দিলো। মুহূর্তে ছত্র ভঙ্গ হয়ে গেলো প্রতিবাদ জনসভা। সীমানাকে সকলের সামনে থেকে একটি মাইক্রোতে করে উঠিয়ে নেয়া হলো। সীমানার মুখ, হাত, পা বেঁধে রাখা হয়েছে। মাইক্রো চলছে, পেছনে খুব দ্রুত ছুটে চলেছে চেনা শহরটাকে বড় অচেনা করে দিয়ে সবকিছু। সন্ত্রাসীরা গাড়ির ভেতরেই সীমানার শরীরটাকে ছিঁড়ে উল্লাসে ফেটে পড়তে লাগলো। সীমানার চিৎকার আর আর্তনাদে যেন দূর হতেই কেঁদে উঠল মায়ের বুক। কেউ একজন দৌড়ে এসে মঞ্জিলাকে খবর দিলো যে তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে একটি ধান ক্ষেতে পরে থাকতে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত, জমাট বাঁধা ছোপ ছোপ রক্ত সারা গায়ে লেগে আছে। ধর্ষণ শেষে সীমানার দুই পা দু’দিক থেকে টেনে ধরে নাভি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলা হয়েছে।



উৎসর্গঃ প্রিয় ব্লগার *কুনোব্যাঙ*




*******************************************************



প্রিয় ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি আহবান করেছিলো মা নিয়ে বেশি বেশি পোস্ট দিতে । তার আহবানে সাড়া দিয়ে ব্লগ পাতা ভরে যায় মায়ের প্রতি ভালোবাসায় । আমাদের প্রিয় মা আর মাতৃভাষা এবং প্রিয় মায়ের এই দেশটাকে সকল পঙ্কিলতা থেকে দুরে রাখার এই শুভ উদ্যোগ বয়ে যাক অনাদি কাল । মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা বুকে ধারণ করে ঐতিহাসিক আজকের এই ৭ ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে স্মরনে রেখে লিখলাম সীমানা শিরোনামের এই গল্পটি। গল্পের কাহিনী ও চরিত্র বিন্যাস নিতান্তই আমার কল্পনাকে কেন্দ্র করে লিখেছি।



*******************************************************





মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: প্রথমে মন্তব্য করলাম, এখন সময় নিয়ে পড়বো। শুভকামনা রইল।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

টুম্পা মনি বলেছেন: খুব কষ্ট পেলাম লেখাটা পড়ে। সত্যি কি বীভৎস ছিল সেই দিন গুলি!

একটু ফান করিঃ ভার্সিটিতে এসে আমি বহুবার অনির্দিষ্ট কালের ছুটি এক্সপেক্ট করেছি। :D B-) একটু ফাঁকিবাজ স্টুডেন্ট তো তাই! কিন্তু পেয়েছি মাত্র একবার। তাও ছুটির দুদিন শ্যাষ না হতে নোটিশ আসল ছুটি শ্যাষ, সবাই হলে ফেরো। :( :( X(

যাই হোক চমৎকার লেখা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সেশন জট বলতে গেলে এখন সব ভার্সিটিতেই প্রায় নেই বললেই চলে। আর না থাকাটাই শিক্ষার জন্য মঙ্গল জনক।

ভালো থাকবেন আপু।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: উপস্থিতি জানান দিয়ে গেলাম , কাল পড়বো ! গল্পটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ , আর জেনে রাখুন সরাসরি আপনার সমস্ত ব্যাথায় আমি ব্যাথিত ! রাইয়ানের খবর নিতে পারছিনা বলে মাফ করে দিয়েন.!খুব দ্রুত ও সুস্থ হয়ে যাক !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গ্রহণ করলাম তোর উপস্থিতি। তোদের সাপোর্টে এখন আমি অনেকটাই স্বাভাবিক। মেনে নিয়েছি যে রায়ানের সুস্থতায় দীর্ঘ সময় প্রয়োজন।

ভালো থাকিস সবসময়।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: মারাত্মক গল্প।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


লেখালিখির চর্চাটাকে চালিয়ে যাচ্ছি নয়ত আবার ভুলে যেতে পারি। তাই লিখলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়ংকর লেখা! প্রচন্ড পুরানো সেই ক্রোধটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আপনার এই গল্পটা পড়ে! শেষে বলব, এই কি চেয়েছিলাম! কেন এমন হয়? :( :(

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই কি চেয়েছিলাম! কেন এমন হয়?

আপনার এই একটি লাইনে পুরো গল্পটিকে ধারণ করে নিয়েছে।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ঘুমুতে যাচ্ছিলাম, ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্লগের প্রথম পাতায় একটু নজর বুলিয়ে যাওয়া ইদানিং একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই ফাঁকে কান্ডারী ভাইয়ের পোষ্ট পেয়ে ভাবলাম একটু ঢুঁ মেরে যাই। পড়লাম আর শেষের দিকে এমন একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে কল্পনাও করিনি। পাবলিক ভার্সিটিতে পড়া আর হলে থাকার সুবাদে আর সবার মতো ছাত্র রাজনীতির বর্তমান চিত্রটা আমিও বেশ কাছ থেকে দেখেছি। হয়তো চেতনে অবচেতনে বিভিন্ন কারণে অনেক জনের চাইতে কিছুটা বেশীই দেখেছি। অবশ্য যে ভার্সিটিতে পড়েছি সেখানে যতটা না ছাত্র রাজনীতি তার চাইতে অনেক বেশী শিক্ষক রাজনীতি এবং তার দ্বারাই অনেকাংশে চালিত হয় সেখানকার ছাত্রদের রাজনীতির রেখাচিত্র। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কি জানিনা তবে বাহ্যিক ভাবে দেখে অনুমান করি শিক্ষক রাজনীতির একটি প্রভাব বলয়ের ভেতরে থেকেই মনেহয় বর্তমান ছাত্র রাজনীতিগুলো চালিত হয় অনেকটাই। অবশ্য এটাকে এক ধরনের ক্ষমতার মিথজীবীতাও বলা যায়। যাইহোক সে আলোচনায় যাচ্ছিনা তার চাইতে একটি গল্প বলি,

যেদিন ভার্সিটিতে ভর্তি হতে যাব তার আগের দিন এলাকাতো এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা যে বড়ভাই তার কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে। কথা প্রসঙ্গে জানতো পারলো যে তার পরদিন আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হতে যাব তখন বললো তাহলে ভালোই হয়েছে তোর ভাবীর ওদিকে একটু কাজ আছে অফিস বলে আমি যেতে পারছিনা তাহলে তোর ভাবীকে অমুক অফিস পর্যন্ত পৌছে দিয়ে যাস। সেদিন ভাবীর সাথে যাওয়ার সময় ভাবীর সামনে আমি ইজি হতে পারছিলাম না কারণ এই ভাবীর জীবনের একটা দুঃখময় পৈশাচিক ঘটনার কথা জানতাম বলে। কোন এক ছাত্র নেতার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অপরাধে সেই ছাত্র নেতা আর তার বাহিনী প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসের ব্যস্ত সময়ে খোলা মাঠে হাজারেরও বেশী মানুষের সামনে সম্পুর্ণ বিবস্ত্র করে ছেড়ে দিয়েছিলো। একবার ভেবে দেখুন ছাত্র রাজনীতির কি প্রবল ভয়ংকর শক্তি! আর এটাই ছিলো ছাত্র রাজনীতির চারণ ভূমিতে থাকার অনুমোদন নিতে গিয়ে আমার প্রথম মানসিক আন্দোলন। সারা পথ ভেবেছি কিভাবে কি, এত এত শিক্ষিত শুশীল মানুষের জায়গায় এটা কিভাবে সম্ভব হয়!

এটা কোন কাল্পনিক গল্প নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন এক সরকারী কলেজে কোন এক কালে ঘটে যাওয়া সত্য গল্প এটি। অতএব তোমরা তোমাদের মহান দেশ পরিচালক নেতাদের কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে!

উৎসর্গে কৃতজ্ঞতা কান্ডারী ভাই। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। দেশ পরিচালক নেতা, মন্ত্রী, আমলা, বুদ্ধিজীবীরা হচ্ছে সোহরাব-রুস্তম উপন্যাসের সেই রুস্তম চরিত্র যারা নিজেদের কলংকিত করে আসলে অজ্ঞাতে তাদেরই সন্তানদের হত্যা করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মামুন ভাই আপনার কাছ থেকে কাহিনীটা জেনে খুব মর্মাহত হোলাম। এমন অনেক অনেক বীভৎস কাহিনী আছে যা ধামাচাপা পরে গেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে কিন্তু সেসব নিয়ে লিখলে একটি অনুগল্প না বরং একটি উপন্যাস লেখা যাবে।

অতএব তোমরা তোমাদের মহান দেশ পরিচালক নেতাদের কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে!

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল গল্প।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। জয় হোক মানবতার !!!

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: দুইটা গল্প, একটা প্রতিবাদের বিন্দুতে এসে মিলেছে । সীমানার হাতে আজ সেই প্রতিবাদি পতাকা । মায়ের লাঞ্ছনা আর প্রেমিক হত্যার প্রতিবাদ ।

গল্পের আইডিয়া আর প্লট চমৎকার । কিন্তু তবুও কেন জানি ৭১এ পাক হানাদের হাতে আমাদের মায়েদের নির্মম লাঞ্ছিত ধর্ষিত হওয়ার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক কোন্দলে নিহত একজনকে এক সাথে মিলাতে পারছিনা ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার শহীদ হওয়া কোন বীরশ্রেষ্ঠের সাথে আজকের দিনের বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের মিল কখনই হতে পারেনা। ঠিক তেমনি ৭১এ পাক হানাদের হাতে আমাদের মায়েদের নির্মম লাঞ্ছিত ধর্ষিত হওয়ার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক কোন্দলে নিহত একজনকে মেলানো সম্ভব না। কিন্তু যেহেতু দেশটা হলো মা, আর সেই মায়ের বুকে আজও তার সন্তানরা কতটা লাঞ্ছিত সেটাকেই অনুগল্পের ভেতর রূপক আকারে ব্যর্থ চেষ্টা করেছি মাত্র। সবশেষে প্রশ্ন একটাই যেটা শান্তির দেবদূত ভাই করেছেন,

এই কি চেয়েছিলাম! কেন এমন হয়?

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

এহসান সাবির বলেছেন: সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ভয়ানক সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। মন খারাপ হয়েছিল কিন্তু কুনো ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে আরো খারাপ লাগছে।

পোস্টে ভালোলাগা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কুনোব্যাঙ ভাইয়ের সাথে সহমত। তিনি বলেছেন,

অতএব তোমরা তোমাদের মহান দেশ পরিচালক নেতাদের কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে!

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

অদৃশ্য বলেছেন:





এমন লিখা পড়তে ভালোলাগেনা কান্ডারী ভাই... লিখাটি পাঠের পর মনটা খুব ভারী হয়ে গেলো...

আমি ওমন বীভৎস দৃশ্য কল্পনাতেও আনতে ভয় পাই মাঝে মাঝে...

শুভকামনা...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুঃখিত প্রিয় অদৃশ্য। আর কখনও কল্পনায় আনতে চাই না এমন বীভৎস দৃশ্য এবং দোয়া করবেন যেন আর কাউকে কখনও লিখতেও না হয়।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

নেক্সাস বলেছেন: সুন্দর গল্প। গল্প লিখায় আপনার হাত অনেক ভাল। আমি বলবো কবিতার চাইতে ভালো।

বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শুভেচ্ছা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বুকের ভেতর দেশমাতার প্রতি ভালোবাসার অনির্বাণ শিখা চিরন্তন প্রজ্বলিত।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রী এখন সীমান- ভালো হয়েছে। মাকে নিয়ে আরো লেখা জমুক ভরে যাক ব্লগ পাতায়

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কৃতজ্ঞতা মাহতাব ভাই। শুভ কামনা রইল।

মাকে নিয়ে আরো লেখা জমুক ভরে যাক ব্লগ পাতায় ।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

মো: ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল। আপনার লেখাটি ভাল লাগল।আপনার সুন্দর লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শুভ সকাল। ধন্যবাদ পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

লাবনী আক্তার বলেছেন: পড়তে পড়তে চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে এসেছে। :( :(

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এর জন্য ক্ষমা প্রত্যাশী।

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: বরাবরের মত খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলা হয়েছে। পড়তে পড়তে ঐসব নোংরা স্মৃতির জন্য মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। গল্পে মুগ্ধ।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুমন ভাই ব্লগিয় এই পথ চলায় আপনাদের সাথে অনেকটা পথ পেরিয়ে আজ কেন যেন মনে হলো আমি যার যোগ্য নই তার চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসা পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

আমি ইহতিব বলেছেন: জানিনা ভাইয়া কিভাবে লিখেছেন এমন একটা গল্প। হুমায়ূন আহমেদের জোৎস্না ও জননীর গল্প বইটা পড়তে গিয়ে আমি বেশ কয়েকবার থমকে গিয়েছি। পাক হানাদারদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের বর্ণনা কিছুটা পড়ে আর বাকীটা একবারে পড়তে পারিনি। আপনার এই গল্পের কিছু অংশও স্কিপ করে করে পড়েছি। জানিনা ঐ বিভৎস সময়গুলোতে মানুষের মধ্যে কোন হায়েনা ঢুকে যায়, মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের উপর এমন নির্যাতন কিভাবে করে তাই আমার মাথায় আসেনা।

ছাত্র রাজনীতির যে রূপ তুলে ধরেছেন তাই আজ বাস্তব। রাজনীতিকারী এসব অপছাত্রদের ভয়ে সবাই জিম্মি। সেলিম সেদিন বলছিলো, এসব নেতাদের অবস্থা নিয়ে। মধুর ক্যান্টিনের টেবিলে টেবিলে অস্ত্র থরে থরে সাজিয়ে তথাকথিত ছাত্রনেতারা মহড়া দিচ্ছিল সামনের রাস্তায়। স্যারদের বহণকারী গাড়িকে রাস্তা দিতেও তারা রাজি না, ড্রাইভার হর্ণ দেয়াতে চোখ গরম করে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এরা নাকি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র (!!!)। ক্যাম্পাসের বাসায় উঠার পর থেকে এই নিয়ে একটু আতংকিত আছি। কখন কোন হলে আবার কি ঝামেলা না শুরু হয়।

রাইয়ান এখন কেমন আছে? কি যে কষ্টকর সময় পার করছেন তার কিছুটা হয়তো অনুভব করতে পারছি। খারাপ সময় দ্রুত কেটে যাক এই দোয়া করি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

খুব সম্ভবত অত্যাধিক পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা থেকে এমন একটি গল্প লিখেছি। এখন মনে হচ্ছে বর্ণনাগুলো খুব বেশি বীভৎস হয়ে গেছে। তবে বাস্তবতা আরও নিষ্ঠুর।

খুব ইচ্ছে আছে ঠিক একই প্লটে একটি উপন্যাস লেখার। জানিনা সেই সময় আর সুযোগ হবে কিনা কখনও।

সাবধানে থাকবেন সবসময়। দোয়া করি যেন সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন সবসময়।

রায়ান এখন কিছুটা ভালো আছে তবে ঘাটা শুকাতে হয়ত দীর্ঘ সময় লেগে যাবে।

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

বোকামন বলেছেন:


মন্তব্যে কী লিখবো, কিবা লেখার আছে ....
সময় বদলে যাচ্ছে, কিন্তু সময়ের উচ্ছিষ্ট রয়েই যাচ্ছে ....

মুক্তিযোদ্ধাদের মলিন মুখে তাকিয়ে মাঝে মাঝে খুব লজ্জিত হই, নিজের প্রতি ঘৃণা আসে, স্তম্ভিত হই এই ভেবে কি করতে পারছি আমরা দেশের জন্য !
কাপুরুষের মত শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ! দেশটার খবর কে রাখে ....

হরতালের নৃশংসতায় ১৪ বছরের কিশোরের পাশে বাবার নত মাথা দেখে আমাদের পুরো জাতির কি মাথা নত হয় না ! সবাই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে ....

দুঃখিত হয়তো অফটপিকে চলে গেলাম । আপনার মানসিক যন্ত্রণার যন্ত্রণায় আমরাও পুড়ছি ....

পোস্টটি শুধু গল্প নয় বাস্তবতার এক চিমটি মাত্র ....
যে গল্পে প্লাস দিতেও সংকোচ বোধ করি ।।

ভালো থাকুন কাণ্ডারি
কাণ্ডারি হয়েই বাঁচুন ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুঃখিত হবার কিছু নাই ভাই আপনি যা বলেছেন তেমন আক্ষেপ শুধু আমি কেন কোটি মানুষের চরম হতাশার প্রতিচ্ছবি।

আপনি হলেন আমার প্রিয় ব্লগ পথিক। আপনার অনুপ্রেরণা সবসময় ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন ভাই।

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

রায়হান(তন্ময়) বলেছেন: এই কি চেয়েছিলাম :(

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

উত্তর খুঁজে ফিরে চলছি

১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

গেন্দু মিয়া বলেছেন: তিন হাত দূর থেকে একজন মানুষকে কুপিয়ে মারা দেখার একটা বীভৎস বর্ণনা শুনেছিলাম এক পরিচিতের কাছ থেকে। আপনার গল্পটা পড়ে মনে পরে গেলো। যদিও সেকেন্ডহ্যান্ড অভিজ্ঞতা তবু আমার কাছে ছাত্ররাজনীতি এক বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নের নাম।

আমি দুঃখিত ভাই। আমি সীমানার জন্য দুঃখিত।

এমন একটা দিন কবে আসবে যখন আপনাদেরকে আর এরকম একটা গল্প লিখতে হবে না! :(

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ গেন্দু ভাই। পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

এমন একটি সুন্দর আলোকিত দিনের অপেক্ষায় আজো স্বপ্ন দেখি।

বুকের ভেতর দেশমাতার প্রতি ভালোবাসার অনির্বাণ শিখা চিরন্তন প্রজ্বলিত।

২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এটাই বাংলাদেশের হতাশা ~

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আর আনন্দটা হলো ক্রিকেট।

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বদলায়নি... :( :( আমরা স্বাধীনতার মাধ্যমে একটি ভূখণ্ড পেয়েছি কিন্তু জীবন পাইনি।

অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু নিজের বা আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে বলতে পারলাম না :(

দুর্দান্ত এই গল্পের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।

+++++++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বলে ফেল নিঃসঙ্কোচে। মনে রাখবি আমি কী ডরাই কভু ভিখেরি রাঘোবে

২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

বাংলার হাসান বলেছেন: এরই নাম কি স্বাধীনতা?????????

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মনে হয় এর উত্তর হবে "না"।

২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রাইসুল আবিদ বলেছেন: হুম!!দেশ স্বাধীন হয়েছে,,ভিনদেশী পশুগুলো দেশ ছেড়েছে,,স্বদেশী পশুগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে!!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তবু একটি সুন্দর দিনের প্রত্যাশায়......

২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

এরিস বলেছেন: বাঘে বাঘ শিকার করে না। আর আমরা মানুষ!! কিছু বলার নেই।

আল্লাহ্‌পাক রাব্বুল আল-আমীন সবার মনে রহমত দান করুন, অথবা বাতিল করুন "আশরাফুল মাখলুকাত" নামের আইডি কার্ড। অন্তত লজ্জা থেকে যেন বাঁচতে পারি!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আইডি কার্ড বাদ দিয়ে যদি শয়তান নাম আইডি কার্ড দেয়া হয় তখনত আরও বেশি করে আমরা মানুষ শিকার করা শুরু করে দেবো। পেয়ে যাবো বৈধতা।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

গোর্কি বলেছেন:
গল্পে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ এ পুলিশ লাইনের ঘটনা হুবহু ঢাকাস্থ রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ঘটনা। রাবেয়া খাতুন নামক বন্দী সুইপারের জবানবন্দী অবিকল এরকম। ঘটনাটি গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরে খুব ভাল করেছেন। যারা সমন্বয়ের রাজনীতি করেন, তারা জানুক তাদেরই প্রতিবেশী মা-বোনেরা কীভাবে নির্যাতিত হয়েছিল বা এটুকু যেন ভাবে তাদের পরিবারের কেউ এভাবে নির্যাতিত হলে কেমন লাগত?

গল্প নিঃসন্দেহে হৃদয়স্পর্শী অসাধারণ প্রকাশ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব ইচ্ছে আছে ঠিক একই প্লটে একটি উপন্যাস লেখার। জানিনা সেই সময় আর সুযোগ হবে কিনা কখনও।

তবে ইচ্ছে থেকেই এই অনুগল্পের মাধ্যমে শুধু মাত্র একটি কাঠামো আপাতত দাড় করিয়ে রেখেছি।

অপেক্ষায় থাকুন।

২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

তওসীফ সাদাত বলেছেন: জন্ম নিয়ে যখন থেকে বুঝতে শুরু করেছি, একটার পর একটা কারণ খুঁজে পেয়েছি লজ্জিত হবার।

লজ্জিত হতে হতে খুব অল্প বয়সেই আমি আজ ক্লান্ত !!
জানিনা আর কতদিন এভাবে লজ্জিত হতে হতে পার করে যাবো।

ছোট মানুষ। মুখ খুলতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি।

এক কোথায় বেয়াদব টাইটেল পেয়ে যাই :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও বেয়াদব তবে সত্য প্রকাশে নির্ভীক। সত্যটাকে জানতে দিন সবাইকে।

২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: শক্তিশালী একটা গল্প।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

জয় হোক মানবতার। শুভকামনা নিরন্তর।

২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

সপন সআথই বলেছেন: বাহ ++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

২৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: কেউ একজন আমাকে একবার বলল, মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে পাক নারীলিপ্সার যে বীভৎস বর্ণনা দেয়া হয়েছে- তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয় ...।

বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও আমি তার কথাটা মেনেই নিলাম ।
এতোটা পাশবিক তারা হয়েছিল, এটা ভাবতেই যে চোখ ভরে আসে !

লেখায় ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

যে বলবে যে

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে পাক নারীলিপ্সার যে বীভৎস বর্ণনা দেয়া হয়েছে- তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয় ... বুঝে নিতে হবে সে পাকিদের জারজ দালাল অথবা সেইসব হায়না ওরা এখনো ওদের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ওদের কথায় বিশ্বাস করবেন না।


শুভ কামনা জানবেন অনেক অনেক অনেক।

৩০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: প্রিয় ব্লগারের আরো একটি অসাধারণ পোস্ট ।

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়ংকর লেখা! প্রচন্ড পুরানো সেই ক্রোধটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আপনার এই গল্পটা পড়ে! শেষে বলব, এই কি চেয়েছিলাম! কেন এমন হয়?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় ব্লগারের মন্তব্য সবসময় অনুপ্রেরনা যোগায়। সব সময় সাহস দিয়ে যাওয়ার জন্য হাজারো শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

৩১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২

নূর আদনান বলেছেন: আপনার এবং কুনোব্যঙ ভাইয়ার গল্প পড়ে রাজনীতির প্রতি যে ঘৃনা ছিল তা আরো বেড়ে গেল...
আর আপনার গল্প পড়ে কোন কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই আমি...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এগুলো গল্প কিন্তু বাস্তবতা আরও বড় নিষ্ঠুর।

৩২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কি কমেন্ট করবো বোঝতাছি না।

৭১ এর যে বর্ণণা দিছেন আর শেষে সীমানা'র যে অবস্হা হল এরকম কিছু পড়ে কি কমেন্ট করতে হয় সেটা জানা নাই ভাই!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই অনেক সময় কিছু না বলেই অনেক কথা বলা হয়ে যায়। আমি বুঝে নিয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১২

ধূর্ত উঁই বলেছেন: মাকে নিয়ে দারুণএকটি পোস্ট ।আরউৎসর্গ ও ভাল লাগলো। ৭১এর ঘটনা দারুণ ভাবেআবেগ তাড়িত করে। :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা তাকে যারা কলুষিত করতে চায় তারা কি করে দেশ প্রেমিক হয় ?

৩৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

নূর আদনান বলেছেন: ভাইয়া সীমানার যে অবস্থা হয়েছে মানে দুপা দুইদিকে...... আসলেই কি মানুষ পারে এত নিষ্ঠুর হতে ??? বিধাতা কি মানুষ কে এমন নিষ্ঠরতাও দিয়েছেন...??
এদেরকে মানুষ বলা যায় না ভইয়া, আমার মনে হয় কোন জানোয়ারও এত নিষ্ঠর আচরন করতে পারে না। ওরা তো খুধা নিবারনের জন্য হিংস্র হয় আর এরা.....

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মানুষ এমন নিষ্ঠুর হতে পারে বলেই এই গল্পের সূচনা হয়েছে। বাস্তবে এর চেয়েও বেশি নিষ্ঠুর হতে মানুষকে দেখা যায়।

যাই হোক আল্লাহর কাছে দোয়া থাকবে এই যে মানুষদের জন্য হেদায়েত দেয়।

৩৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মনটা খুব ভারি হয়ে গেল , জানি লিখতে গিয়ে আপনার হাত ও অনেক বার কেপেছে , যেমন পড়তে গিয়ে আমিও কেপেছি ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক কথা ছিলো যা লিখতে পারিনি শুধু এই একটি কারণে আমি ভীষণ আপসেট হয়ে পড়েছিলাম লিখতে গিয়ে।

মানবতার জয় হোক শুধু এই প্রত্যাশা রইল।

৩৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কিচ্ছু বলার মতো পাচ্ছি না । মানুষ কাকে বলে ?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অন্তত আর যাই হোক এদেরকে মানুষ বলা যাবেনা।

৩৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

সাদরিল বলেছেন: ভালই লাগলো

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ সাদরিল ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।

৩৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অত্যাচারের বীভৎস বর্ণনা গায়ে কাঁটা দেয়! যা কল্পনায়ও আসে না।

শুভকামনা রইলো

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এইটা কি অপর্ণা দিদি। আপনি ইদানীং ভীষণ ফাঁকিবাজি মন্তব্য করা শুরু করছেন।

৩৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কেন যে ফাঁকিবাজ হইলাম সেটা ভেবেই তো কূল পাই না। দোয়া কইরেন যাতে মানুষ হইতে পারি ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:( :( :( :( :( :( :(

৪০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

নাছির84 বলেছেন: হলের সেই চাপাতিটা এখনো আমার বাসায় আছে। মাঝে-মধ্যেই শান নেই। মুরগী-টুরগি জবাইয়ের জন্য। শেষবার দিয়েছি কোরবানির ঈদে। গল্পটা পড়ার পর ইচ্ছে করছে আবারও...................................!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

লেখার ভাল-মন্দ নিয়ে কিছুই বলবো না। কারণ,লেখকের উদ্দেশ্য সফল। অন্তত আমার ক্ষেত্রে। তবে লেখকের কাছে একটা অনুরোধ রইল, সীমানাদের গল্প আর শুনতে চাইনা। কারণ প্রতিদিন তাদের দল ভারী হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের পাপের বোঝাও ভারী হচ্ছে। তাই ইচ্ছে করে চাপাতিটা দিয়ে এক কোপে ঘ্যাচাৎ করে...............।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাই আমি অন্তত আপনার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি। আর চাইনা নতুন কোন সীমানার সাথে এমন হোক।

পাঠে ও মন্তব্যে শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সবসময়।

৪১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
রায়ানের ব্যাপারে আমি জেনেছি একটু দেরিতে। জানি আপনি একটু মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। সুস্থতা কামনা করি। তারপরও ব্লগে সময় দিয়ে যাচ্ছেন দেখে ভাল লাগল।

গল্প নিয়ে বিশেষ কিছু বললাম না, ভাল লেগেছে শুধু এটুকু বলে গেলাম।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। রায়ান এখন অনেকটা সুস্থ।

৪২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: u made me cry.

রায়ানের ব্যাপারটা আমি মনে হয় মিস করে গেছি, বাচ্চাদের দুর্ঘটনা নিয়ে একটা পোস্ট দেখছিলাম তোমার, তখন ভেবেছিলাম হয়তো কোনো এক্সিডেন্ট, কিন্তু তোমাকে আর আস্ক করা হয়নি।
কি হয়েছিলো ?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এখন অনেক সুস্থ। মাঝে মাঝেই ডুব দিয়ে কোথায় যাওয়া হয় ?

৪৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

ইলুসন বলেছেন: অদ্ভুত একটা চক্রে পড়ে গেছে এই দেশ। ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ইলুসন ভাই। আপনার মন্তব্যে খুশি হোলাম।

৪৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: জলপরী ডুব দিয়ে আর কই যাবে বলো ??? খুজলেই ঈশ্বরকেও পাওয়া যায়, আর আমি তো কোন ছার :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাপরে এত অভিমান :(( :(( :((

৪৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: "রাজনীতি করছে বেশ করছে। আরে ওরা যদি রাজনীতি করে দেশের হাল ধরতে এগিয়ে না আসে তবে দেশের হাল ধরবেটা কে"

১০০% সহমত।

ভালো লাগা নয়, গল্প পড়ে নিস্ফল উত্তেজনা আর আক্ষেপ জানিয়ে গেলাম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার উত্তেজনা আর আক্ষেপ আনন্দের সাথে গ্রহণ করলাম এবং সেই সাথে আপনার ভেতরের মানুষটি যার রয়েছে অগাধ দেশ প্রেম তার প্রতি শ্রদ্ধা।

৪৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: '৭১ এর কথা আসলেই প্রতিটা লোম সতর্ক হয়ে যায়। একটা ভিন্ন রকমের শিহরণ বয়ে যায় সারা শরীরে। লেখাটা খুবই নৃশংস.... মনে হয় বিধে থাকা পুরনো কাঁটায় নতুন করে আঘাত লাগলো।

এমন আসলেই কেন হয় যে অল্প সংখ্যক অন্যায়করীরা হয়ে ওঠে শক্তিশালী আর সংখ্যাগরিষ্ঠরা সহ্য করে? প্রতীবাদ করার সাহস কি শেষ??.... আমি বলবনা ছাত্র রাজনীতি অবক্ষয়ের মূল। তারা হাল না ধরলে ধরবে কে? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সংসদীয় রাজনৈতিক দল গুলোর আওতামুক্ত হওয়া উচিৎ এবং একটা শিক্ষার্থী সংসদ থাকা উচিৎ যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চিন্তাধারায় নিজেদের রাজনৈতিক দল গড়ে তুলবে।

কথাটা হয়তো অযৌক্তিক লাগতে পারে, কিন্তু এমনটা হলে রাজনৈতিক আঙ্গন বদলে যাবে, বাংলাদেশের রূপ বদলে যাবে আমার বিশ্বাস।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


রাইট ১০০ % রাইট।

কিন্তু এখন তাহলে প্রশ্ন জাগে বিড়ালের গলায় ঘন্টা আগে কে বাঁধবে?

পিংক ফ্লয়েডের সেই বিখ্যাত গানটার কথা মনে পরে গেলো,

উই নিড........ এনাদার ব্রিক ইন দা ওয়াল........ আমাদের দরকার একটি বিপ্লব.........

৪৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: কেউ একা মাথা তুললে গলা কাঁটা পড়বে। কিন্তু একটু একটু করে অনেকেই মাথা তুলে। এদের সবাই এক হলে হয়তো বিড়ালের গলায় ঘণ্টা দেওয়াটা এতটা কঠিন হবে না। প্রয়োজন ঐক্যের আর প্ল্যানিঙ্গের।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাংলাদেশিরা পারেনা এমন কিছু নেই। শুধু এখন সময়ের অপেক্ষায়......

৪৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭

জেরিফ বলেছেন: অতঃপর তোমরা তোমাদের কোন কোন অনুগ্রহ কে অস্বীকার করবে



৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




কোন উপায় নেই অস্বীকার করার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.