![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
আমি যেখানে এখন বসে আছি এটি একটি কবরস্থান। প্রায় প্রতিদিনই আমার এখানে আসতে হয়। আমার মা এখানে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন। পৃথিবীতে মাই ছিলেন আমার একমাত্র আপনজন। একমাত্র সঙ্গী। কিন্তু মা মারা যাবার পর এই পৃথিবীতে আমি সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ হয়ে পরি। তাইত মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ, মায়ের মমতা আমাকে বারবার এই কবরের কাছেই টেনে আনে। আমি নীরবে অশ্রু সিক্ত চোখে মায়ের কবর জড়িয়ে ধরে বসে থাকি যেন মাকে জড়িয়ে ধরেই নরম বিছানায় শুয়ে থাকার শান্তিটুকু অনুভব করি। মায়ের কফিনটি সেদিন আমাকে নিজ হাতে এখানে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে হয়েছিলো। ফিরে আসার সময় মা যেন পেছন থেকে আমার হাত টেনে ধরে বলেছিলেন তোকে ছাড়া খোকা আমি ভীষণ একা হয়ে গেলামরে। মাঝে মাঝে তোর এই মাকে দেখতে আসিস। আর নিজের প্রতি অবহেলা করিস না কখনও। ঠিক কতক্ষন এভাবে মাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছি টের পাইনি। হঠাত আমার কর্নিয়ায় আগত একটি ম্যাসেজে চৈতন্য ফিরে পেলাম। প্রেসিডেন্ট তার কর্নিয়ায় ধারণকৃত কিছু দৃশ্য থেকে মস্তিষ্কে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামের সাহায্যে এডিট করে বাইনারী ডিজিটে এনকোড করে ওয়েভে সিগন্যাল পাঠিয়েছেন। আমার কর্নিয়া সেই বাইনারী আকারে পাঠানো ভিডিও ম্যাসেজটি ডিকোড করে দেখছে। আমাকে এখনই প্রেসিডেন্টের বাড়িতে উপস্থিত হতে হবে। বিষয়টা ভীষণ জরুরী। আমি আর বিলম্ব না করে মায়ের কবরে শেষবারের মতো চুমু খেয়ে প্রেসিডেন্টের বাড়ির পথে রওনা হোলাম।
প্রেসিডেন্ট হোরাস মরগ্যান। নামটি যদিও মিশরের সেই এক চোখের দেবতা হোরাসের কথাই মনে করিয়ে দেয় তথাপি মার্কিনীদের বর্তমান এই প্রেসিডেন্টের সাথে তাঁর কোন রূপ মিল নেই। যদিও চেহারায় পুরোপুরি তৎকালীন মিশরীয় ফারাওদের মতোই আভিজাত্যের প্রভাব রয়েছে কিন্তু তারপরেও সাদা চামড়ার কারনেই হয়ত তামাটে সেই ছাপটা বিদ্যমান নয়। পুরো পৃথিবী আজ তার নিয়ন্ত্রনে শাসিত হয়। বর্তমান পৃথিবীবাসী তাকে নিজেদের ঈশ্বরের মতোই মান্য করে। আজকে প্রেসিডেন্টের একমাত্র মেয়ে জেসিকা মরগ্যানের জন্মদিন। এই দিনটিতে প্রেসিডেন্ট তার নিজ বাসভবনেই মেয়ের সাথে সারাদিন সময় কাটান। একটি উঁচু পাহাড়ের পাদদেশে কাঠের তৈরি এই বাড়িটি প্রেসিডেন্ট হোরাস খুব শখ করে করিয়েছেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর আগে ভীষণ শখ ছিলো এমন একটি বাড়িতে থাকার। কিন্তু তার সেই শখ পূর্ণ না হলেও প্রেসিডেন্ট ঠিকই বাড়ির পেছনের লনে স্ত্রীর কবর দিয়েছেন। যেন তার স্ত্রীর মৃত আত্মা অন্তত এতটুকু শান্তিতে থাকতে পারে যে সে তার শখের বাড়িতেই চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। সাগরের ঢেউ মুহূর্তে মুহূর্তে এসে আছড়ে পরে বাড়ির প্রাচীরের উপর। সাগরের সেই গর্জনে কোন কৃত্রিমতা নেই। বয়ে আনে অনাবিল প্রশান্তি। এমন একটি পরিবেশে জেসিকার অনাড়ম্বর এই জন্মদিন উদযাপিত হয়। তবে আমাকে অফিসিয়াল কারণে এই দিন প্রেসিডেন্টের সাথে থাকতেই হয়। জেসিকা তার পালক মেয়ে হলেও একেবারে নিজের আপন সন্তানের স্নেহেই তিনি মেয়েকে মানুষ করেছেন। দিয়েছেন নিজ পিতৃপরিচয়। জেসিকাকে তিনি কোথায় পেয়েছেন এই নিয়ে মানুষের মাঝে নানা ধরনের সমালোচনা থাকলেও তিনি সেসবের প্রতি বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করেন না। কোন এক রহস্যের ধুম্রজাল যেন অনেকটা ইচ্ছে করেই মানুষের মাঝে তিনি রেখে দিয়েছেন তার এই পালক মেয়েটিকে ঘিরে। জেসিকার গায়ের রং নিগ্রোদের মতো কালো হলেও চেহারায় এক ধরনের আকর্ষণ রয়েছে। যে কেউ মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে পরবে জেসিকার কৃষ্ণাঙ্গ এই রূপে তবে এটাকে প্রেম বলা যাবেনা। চোখের মনি লাল রঙের যেন সর্বদাই চোখ থেকে অগ্ন্যুৎপাতের মতো লাভা নির্গত হয়ে সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিতে চায়। কেক কাটার পর্ব শেষ হয়েছে। জেসিকা তার বাবার মুখে তুলে এক টুকরো কেক খাইয়ে দিচ্ছে। এমন সময় একটি সাদা রঙের জীপ এসে গেটের কাছে থামল। রক্ষীরা জীপটিকে ভেতরে আসার অনুমতি দিচ্ছেনা। হোরাস দূর থেকে রক্ষীদের ইশারা করলেন যেন গাড়িটিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। জীপ থেকে একজন বেটে আকৃতির সুদর্শন চেহারার চাইনিজ ভদ্রলোক নেমে এসে প্রেসিডেন্টের সাথে হাত মেলালেন। প্রেসিডেন্ট আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ইনি হচ্ছেন ড. ইয়াং হো জিন। আমি তার সাথে হাত মেলালাম।
ড. ইয়াং হো জিন মানুষের মৃত্যুর দিনক্ষণ বের করার জন্য একটি বিশেষ ধরনের টাইম স্কেল তৈরি করেছেন। স্কেলটির গঠন অনেকটা থার্মোমিটারের মতোই। জিহবার নিচে এর একপ্রান্ত তিন মিনিট সময় নিয়ে ধরে রাখলেই স্কেলের মাঝের ডিজিটাল স্ক্রিনটি একেবারে মৃত্যুর তারিখ সহ সময় পর্যন্ত দেখিয়ে দেয়। যেহেতু মানুষের জ্বর হলে জিহবার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণীত হয় এবং ঠাণ্ডা অথবা গরম এমনকি যে কোন ধরনের স্বাদ এই জিহবার মাধ্যমেই মানুষ গ্রহন করতে পারে সেই ধারনাকেই কাজে লাগিয়ে ড. ইয়াং গবেষণা করে আবিষ্কার করেছেন তার এই মৃত্যুর দিনক্ষণ মাপক থার্মোমিটারটি। থার্মোমিটারটির যে প্রান্তে পারদের পাত সংযুক্ত রয়েছে সেখানে জিহবার লালা মিশ্রিত হলেই কেবলমাত্র এটি মৃত্যুর সঠিক তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট আমাকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করতে বললেন যেখানে তিনি পুরো পৃথিবীবাসীর জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী এক নিয়ম প্রচলনের ঘোষণা দেবেন। নির্ধারিত দিনে প্রেসিডেন্ট হোরাস মরগ্যান পৃথিবীবাসীর প্রতি ঘোষণা করছেন। পুরো ঘোষণাটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে একযোগে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে পৃথিবী ব্যাপী।
প্রিয় পৃথিবীবাসী আমি প্রেসিডেন্ট হোরাস বলছি। আপনাদের সুখ দুঃখ বিবেচনা করে দেখার একমাত্র দায়িত্ব আমারই। এই পৃথিবীর জন্য যা কিছু কল্যাণকর এবং যা কিছু অকল্যাণকর তার সবকিছুর জন্য আমি সবসময় নিজেকে নিবেদিত রাখতে সচেষ্ট। আপনারা আজ তাকিয়ে দেখুন চারদিকে পুরো পৃথিবীটা যেন কবরস্থানে রূপ নিয়েছে। আমাদের স্বজনদের কবর আমরা দেখতে পাই বলেই অতীত স্মৃতিগুলো বারবার আমাদের অশ্রু সিক্ত করে। এমনকি এই কবরস্থানের দূষিত মাটির কারণে কিংবা শ্মশানের অগ্নিদগ্ধ ধোঁয়ায় পুরো পৃথিবীতে বিরাজ করে শোকের মাতম। আমি আমার স্ত্রীকে ভীষণ ভালোবাসতাম। আজও সেই ভালোবাসায় এতটুকু ভাটা পরেনি। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ঘটনা নিশ্চয় এর মধ্যে আপনারা ভুলে যান নি। কতটা বীভৎসময় ছিলো সেই দিনগুলো। চারিদিকে শুধু মানুষের রক্তাক্ত লাশের উপর লাশ পরে থাকতে দেখেছি। পুরো পৃথিবীটা যেন কবর ভূমিতে পরিনত হয়েছিলো। প্রতিটা কবরের পাশে স্বজন হারা মানুষের আহাজারি আজও আমাকে ব্যথিত করে। নিশ্চয় আপনারাও এর ব্যতিক্রম নন। আমি সেই যুদ্ধে আমার প্রাণ প্রিয়া স্ত্রীকে হারিয়েছি। তার কবরের সামনে যখনই যাই আমি আর নিজেকে সংবরণ করতে পারিনা। মনে হয়, কেন ঈশ্বর আমাকেও এখনও কবরে শায়িত করছেন না। অন্তত আমার স্ত্রীর সাথে অনন্ত কাল সুখে কাটিয়ে দিতে পারতাম। জানি আপনাদের মৃত স্বজনদের প্রতিও আপনাদের হৃদয় তাড়নের অনুভূতিগুলো একই রকম। তাই আমি পৃথিবীতে আজ হতে আর কোন শোকের মাতম চাইনা। চাইনা শোক বিহবল স্মৃতির মায়ায় অশ্রু সিক্ত দুটি চোখ। তাই আপনাদের জন্য এখন থেকে মৃত্যু শুমারির প্রচলন শুরু করছি। প্রতি বছর আপনাদের মাঝে মৃত্যু শুমারির মাধ্যমে যাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ একমাসের কম তালিকায় নিবন্ধিত হবে তাদেরকে মৃত্যুর কিছুকাল আগে নিয়ে গিয়ে অন্যান্য গ্রহে রেখে আসা হবে। সেখানেই আপনারা আপনাদের জীবনের শেষ সময়গুলো কাটাবেন। সেখানেই আপনাদের শেষকৃত্য পালিত হবে।
ঘোষণা পত্র পাঠের সময় প্রেসিডেন্টের মেয়েটি পাশেই দাড়িয়ে ছিলো। সাদা রঙের গাউন পরিহিত জেসিকার সরু শরীর আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখলো পুরোটা সময় ধরে। বুকের নিচ থেকে তলপেট পর্যন্ত গাউনের অনাবৃত অংশ দিয়ে মেদহীন পেটে চোখ পরতেই নজরে এলো নাভিতে আঁকা পিরামিডের উল্কি। মুহূর্তেই অনেক দিনের জমে থাকা রহস্য নতুন করে মনের মাঝে জট পাকাতে শুরু করে দিলো। আমি মেয়েটির চোখে তৃপ্তির হাসি দেখতে পেলাম। মায়ানদের নিয়ে লেখা একটি বইতে পড়েছিলাম যে সাধারনত নরবলির সময় মায়ান পুরোহিত ও রাজাদের চোখে তৃপ্তির এমন হাসি ফুটে উঠত। ঈশ্বর তাদের সেই নরবলিতে সন্তুষ্ট হলে তাদের কল্যানের জন্য সূর্যকে অন্ধকার মেঘ হতে প্রচ্ছন্ন মুক্তি প্রদান করত। জেসিকার চোখের রক্তিম আভায় যেন মুহূর্তে সূর্য তার সেই হারানো অতীত ফিরে পেলো।
পুরো পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়েছে মৃত্যু শুমারি। ঘরে ঘরে যেয়ে প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর দিন জেনে নেয়া হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। একমাসের মধ্যে যাদের মৃত্যু হবে তাদেরকে তালিকার শীর্ষ সারিতে রাখা হয়েছে। তারপর ক্রমান্নয়ে রাখা হয়েছে বাকিদের নাম তারিখ ও সময়ের ক্রম অনুসারে। ঈশ্বরের বিধান না যায় খন্ডন। এই তালিকা থেকে শত চেষ্টা করেও আমার নিজের নামটি বাদ রাখতে পারিনি। শুধু মাত্র প্রেসিডেন্ট ও তার মেয়ে জেসিকার মৃত্যু টাইম স্কেলে দেখা হলোনা। প্রেসিডেন্ট যদিও স্বয়ং নিজেই আইন প্রণয়ন করেছেন কিন্তু তার জন্য সেই আইন মান্য করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অনেক কিছুতেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার জন্য ছাড় রয়েছে। রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্পেস শীপ হেক্সা-০৯ কিছুক্ষনের মাঝেই নেপচুন গ্রহের পথে ছেড়ে যাবার জন্য প্রস্তুত। যাত্রা পথে তালিকা অনুসারে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে মানুষদের তুলে নিয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট হোরাস ছুটে আসছেন হেক্সা-০৯ এর দিকে। পেছনে রয়েছে তার মেয়ে জেসিকা। দুজনের হাটার মধ্যে ব্যাস্ততার ছাপ যেন এই স্পেস শীপ আজকে কিছুতেই মিস করা যাবেনা। জেসিকা তার বাবার কপালে চুমু খেয়ে স্পেস শীপে চড়ার জন্য এলিভেটরে উঠে দাঁড়াল। আমি সম্পূর্ণ বাক রুদ্ধ হয়ে পরলাম ঘটনার আকস্মিকতায়। এলিভেটরটি জেসিকাকে নিয়ে স্পেস শীপের ভেতর মিলিয়ে যেতেই প্রেসিডেন্ট হাত নেড়ে বিদায় জানালেন তার মেয়েকে। তার চোখে আমি এই প্রথমবারের মতো অশ্রু দেখতে পেলাম। নেপচুনের পথে আকাশে উড়ে চলেছে হেক্সা-০৯। আমি প্রেসিডেন্টের সাথে দাঁড়িয়ে আছি স্পেস শীপ কন্ট্রোল রুমের বিশাল স্ক্রীনের সামনে। মনিটরে হেক্সা-০৯ এর গতিপথের উপর নজর রাখা হচ্ছে। হেক্সা-০৯ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আকাশে অবস্থান করছে। মনিটরে হঠাত লাল রঙের একটি সিগন্যাল দেখা দিলো, সেই সাথে একটি ম্যাসেজ, রাকিব ফ্রম বাংলাদেশ ইজ মিসিং, টাইমঃ ১৩.১৫.১৭ ( অর্থাৎ রাকিবের মৃত্যুর জন্য আর মাত্র সময় বাকি রয়েছে ১৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ড )
প্রেসিডেন্ট নির্দেশ করলেন যেন যেভাবেই হোক রাকিবকে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই খুঁজে বের করে স্পেস শীপে তুলে নেয়া হয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রাকিবকে অনুসন্ধান করা শুরু হয়েছে। পুরোটা মনিটরে দেখা যাচ্ছে। যখন যেখানে জুম করার প্রয়োজন হচ্ছে জুম করে দেখা হচ্ছে। এক এক করে মনিটরে রাকিবের মৃত্যুর সেকেন্ড কমছে ১৩.১৫.১৬.......১২.০৯.০২.........১১.০৩.৫০........ রাকিবের অনুসন্ধান চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট হোরাস বলতে লাগলেন তার পরিবারের কিছু অতীত স্মৃতির কথা। আমার মেয়ে জেসিকার পূর্ব পুরুষরা ছিলেন মিশরের আদিবাসী। তারা সেসময় মানুষ মারা যাওয়ার পর মৃত দেহের মমি করে রাখতেন। মৃত স্বজনদের স্মৃতি ধরে রাখার এক অভিনব ও অনন্য পন্থা তারা বের করেছিলেন। ফারাও রাজাদের মমি তৈরী করে পিরামিডে রাখা হতো। এসব পিরামিড আধ্যাত্মিক জায়গা হিসেবে স্বীকৃত। এগুলো হলো সেই পিরামিড যা নিয়ে খোড়াখুড়ি করা গবেষক, নিরাপত্তা পর্যবেহ্মকের অনেকেই কেউ দুর্ঘটনায়, কেউ অনারোগ্য কঠিন রোগ, কেউবা খুন হয়ে এমনকি আত্মহত্যা করে, কেউ হার্ট এ্যাটাকে মারা গিয়েছেন। এক কথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু কেড়ে নিয়েছে তাঁদের জীবন। তেমনই এক ফারাও বংশোদ্ভূত এতিম একটি মেয়েকে আমি একদিন মিশরের একটি এতিমখানায় ভিজিট করতে গিয়ে পাই। দেখলাম একটি নিষ্পাপ ফুটফুটে শিশু মাঠের এক কোনায় বসে কাঁদছে। তখন সবে মাত্র আমার স্ত্রী মারা গেছেন। মনের ভেতরটায় কেমন যেন হাহাকার করে উঠল। আমি শিশুটিকে কোলে তুলে নিলাম। যেন সাক্ষাৎ একটি দেব শিশু আমার কোলে উঠেই হেসে দিলো। আমি সেই হাসির মাঝে লুকিয়ে থাকা মায়ার আকর্ষণে সেদিনের মতো আজও বিলীন হয়ে রয়েছি। বলতে বলতে প্রেসিডেন্ট হোরাস কেঁদে ফেললেন। একেবারে শিশু সুলভ সেই কান্না। আমি আমার স্ত্রীর কবর দেখে দেখে আজ বড় বেশি ক্লান্ত হয়ে পরেছি। এখন আমার এই একমাত্র মেয়ের কবর দেখা আমার পক্ষে আর সম্ভব হবেনা। ওর পূর্ব পুরুষদের মতো ওর জীবনেও অভিশাপ লেগেছে। ডাক্তাররা বলেছেন ওর শরীরে অজ্ঞাত এক ভাইরাস ধরা পরেছে। যা তাদের পক্ষে নিরাময় করা সম্ভব নয়। যেটা ক্রমাগত ওর জীবনকে মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মনিটরে রাকিবের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাকিব তার স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে একটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে। প্রেসিডেন্ট হোরাস মনিটরে রাকিবের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পূর্বের কিছু অতীত দেখতে চাইলেন। রাকিবের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছুদিন পূর্বের স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত অতীত ভিডিও মনিটরে রিউন্ড করা হলো।
লিটনের দোকানে বসে রাকিব চা খাচ্ছে। এই ভর দুপুরে তার তেমন কোন কাজ নেই। আসলে তার কখনওই কোন কাজ থাকেনা। বেকার বলে যে বাসা ছেড়ে দোকানে বসে এক কাপ চা সে খেতে পারবেনা তেমন কোন সংবিধান নিশ্চয় নেই। আর থাকলেও আমরা আইন ভাঙ্গতে বিশেষ ভাবে পারদর্শী। একটি পুলিশের জীপ এসে থামল। জীপ থেকে নেমে এলেন ওসি নিয়ামত আলী। নিয়ামত আলী লোকটি ভীষণ ভালো একজন মানুষ। পুলিশ হলেও এলাকাতে তার বেশ সুনাম রয়েছে। অন্তত যতবার রাকিবকে থানার হাজতে নিয়ে আঁটকে রেখেছেন কিন্তু পরদিন ঠিকই আবার ছেড়ে দিয়েছেন। এর জন্য কখনও তিনি রাকিবের কাছ থেকে ঘুষ পর্যন্ত নেননি। আজকেও হয়ত রাকিবকে ধরে নিয়ে যাবেন।
-কি রাকিব লিটনের দোকানের চায়ে কি মধু আছে নাকি ?
-জী না ওসি সাহেব। এই সময়টাতে আমি ঘুম থেকে উঠি। আর যেহেতু ম্যাসে থাকা হয় তাই চাইলেই এই দুপুর বেলা চা করে খেতে পারব তার কোন নিশ্চয়তা নেই বলেই আমি দোকানে এসে চা খাই।
-তা চায়ের সাথে আজকে অন্য কিছু খাওনি? এই লিটন রাকিব সাহেবের চায়ে কি আজকে চিনির পরিমান বাড়িয়ে দিছিস নাকিরে হারামজাদা ?
-জী না স্যার। রাকিব ভাই এখন আর দুধ চা খান না। দেখেন উনি রং চা খাচ্ছেন।
-ভালো বেশ ভালো। রং চা সাস্থের জন্য ভালো উপকারী। শুনেছি রং চা খেলে নাকি ক্যান্সার হবার ভয় থাকেনা।
নিয়ামত সাহেব ফিরে গিয়ে জীপে উঠলেন। রাকিবকে হাতে ইশারা করলেন। রাকিব উঠে গিয়ে তার কাছে গেলো। ওসি তাকে কানে কানে বললেন আজকে সন্ধায় যেন একবার সে থানায় যায়। রাকিব মাথা নেড়ে থানায় যাবার অঙ্গীকার করে ফেলল সাথে সাথে।
নিয়ামত আলী সাহেবের টেবিলের সামনে একটি মেয়ে বসে আছে। রাকিবকে দেখে তিনি বসতে বললেন। রাকিব মেয়েটির পাশে একটি চেয়ার টেনে নিয়ে বসল।
-দেখত রাকিব এই মেয়েটিকে চিনতে পার নাকি ?
-জী না। আমি চিনব কেমন করে ?
-হুম ! তোমার চেনার কথাও না।
-তাহলে আমার কাছে জানতে চাইছেন কেন ?
-কিন্তু মেয়েটি যে বলল সে তোমাকে চেনে ?
মেয়েটি রাকিবের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে। মুখে কোন কথা নেই। ঠোঁট দুটি বাঁকিয়ে শুধু কাঁদছে। তার কান্না যেন বলতে চাইছে সে রাকিবকে চেনে।
-আমিত কিছুই বুঝতে পারছিনা স্যার। একটু পরিষ্কার করে বলবেন কি আসলে ঘটনাটা কি ?
-বরং তুমি নিজেই জিজ্ঞাস করে দেখনা ?
মেয়েটির নাম রোকেয়া। রাকিবের গ্রামের মেয়ে। মেয়েটির দাবি সে নাকি তার স্বামী। বিয়ের একবছরের মাথায় তাকে ছেড়ে তার স্বামী শহরে চলে এসেছিলো কাজের কথা বলে। কিন্তু তারপর আর গ্রামে তার কাছে ফিরে যায়নি। কখনও কোন যোগাযোগও আর রাখেনি। কি ভয়ংকর কাহিনী। ওসি সাহেবকে নানা ভাবে বুঝিয়েও কোন লাভ হলোনা। মেয়েটি বিয়ের কাবিন নামা পর্যন্ত দেখিয়ে প্রমান করে দিলো যে রাকিবই তার স্বামী। যাই হোক বিয়ে না করেই ফ্রিতে বউ পেয়ে ওসি সাহেবের আদেশে রাকিব তার বউকে ঘরে তুলে নিতে বাধ্য হলো। ম্যাসে বউ নিয়ে ফিরেছে। পাশের ঘর থেকে সেলিম দৌড়ে এলো। তার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। যেন সে বিরাট এক পুণ্যের কাজ করে ফেলেছে। সে হৈ চৈ বাধিয়ে দিলো পুরো ম্যাসের ভেতর। মুহূর্তের ভেতর রাতে খিচুড়ির আয়োজন করে ফেলা হলো। ম্যাসে সাধারনত বিশেষ কোন দিন ছাড়া কদাচিৎ খিচুড়ির আয়োজন করা হয়। সাধারনত আলু ভর্তা আর ভাত খেয়েই তাদের দিন চলে যায়। সেখানে খিচুড়ির আয়োজন তাদের জন্য একরকম বিলাসিতা। তাও যদি আবার সাথে গরুর গোশতের ব্যাবস্থা করা যায় তাহলেত আর কোন কথাই নেই। খেয়ে দেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আয়োজন করে শুরু হয়ে যায় তাস খেলা। রাতভর চলে সেই তাস খেলা। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। খিচুড়ি খেয়ে তার আজকে থানায় পাওয়া পুরাতন বিয়ে করা বউয়ের সাথে জীবনের প্রথম মধুচন্দ্রিমার রাত কাটাতে হবে।
রাকিব ইচ্ছে করেই তার বউকে জড়িয়ে ধরতে চাইল। কিন্তু রোকেয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। বলল কোন কথা না বলে সে যেন চুপচাপ মেঝেতে শুয়ে পরে আর সে তার বিছানায় ঘুমাবে। রাকিব নেহায়েত ভদ্র লোকের মত মেঝেতে শুয়ে পরল। রাত যত গভীর হয় তার ভেতর টেনশন তত বাড়তে থাকে। একবার সে ভাবল ব্যাপারটা নিয়ে সেলিমের সাথে কথা বললে কেমন হয় ! হয়ত সে তাকে একটি ভালো সমাধান দিতে পারবে। আবার পরক্ষনেই মনে হলো কিন্তু লাভ কি মেয়েটির কাছে বিয়ের কাবিন নামা রয়েছে। সেলিম তাহলে আর তাকে বিশ্বাস নাও করতে পারে। কিন্তু সে ভাবছে মেয়েটি এই ভুয়া কাবিন নামা পেলো কোথা হতে ? আবার তার সাক্ষর হুবাহু মিল রয়েছে। অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যদিও সে জানে এই স্বাক্ষর তার করা নয় কিন্তু মিথ্যা প্রমান করার মতো তার কাছে এই মুহূর্তে যথেষ্ট কোন প্রমান নেই। ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে এলো। কিন্তু সমস্যা একটা হলো এখন থেকে ঘরে আর হিরোইনের প্যাকেট রাখা যাবেনা। এতদিন মহা সুখেই লোকচক্ষুর আড়ালে অনেক কিছুই করে আসছিলো সে। কিন্তু বউ নামক এই ঝামেলা জোটার পর থেকে তার ব্যবসায় ভাটা পরতে শুরু করবে। সকালে উঠে বাইরে বেরুচ্ছে। এমন সময় রোকেয়া দরজার কাছে এসে তাকে বাইরে যেতে বাঁধা দিলো।
-কোথায় যাচ্ছেন ?
-কোথায় যাচ্ছি মানে কাজে বেরুচ্ছি। আমি কাজ না করলে তুই খাবি কি ?
-কি কাজে যাচ্ছেন ?
-আমি যে কাজ করি সেই কাজেই যাচ্ছি ।
-কি কাজ করেন আপনি?
-আমি সি এন জি চালাই। সি এন জির ড্রাইভার।
বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পরল রাকিব। আজকে একবার বড় ভাইয়ের আড্ডায় যাবে সে। তার কাছে পুরো বিষয়টি খুলে বলবে বলে সিদ্ধান্ত নিলো। একমাত্র তিনিই তাকে বাঁচাতে পারেন এই সমস্যা থেকে। বড় ভাই মাদুর বিছিয়ে উদোম শরীরে মেঝেতে শুয়ে আছেন উপুর হয়ে। তার পিঠে তেল মালিশ করছে সুলতানা। সুলতানা বড় ভাইয়ের রক্ষিতা। ভীষণ ভালো একটি মেয়ে। কিন্তু একটাই সমস্যা মেয়েটি বোবা। এই নিয়ে তার ভেতর অবশ্য কোন কষ্ট বোধ নেই। বড় ভাই তাকে বেশ যত্নেই রেখেছেন। বড় ভাই রাকিবের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। এই হাসির রহস্য ভীষণ ভয়ংকর। যখনই তিনি এভাবে হাসেন বুঝে নিতে হবে যার দিকে তাকিয়ে হাসছেন তার জীবনের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাহলে কি রাকিবেরও শেষ সময় ঘনিয়ে এলো !
-বড় ভাই একটা ঝামেলায় পরে গেছি।
-হুম! আমি জানি। মেয়েটি কে তালাক দিয়ে দে। তাহলেই ঝামেলা চুকে যাবে।
-কিন্তু মুখে বললেই কি আর সে মেনে নেবে। আবার দেখা যাবে থানা পুলিশের কাছে দৌড়াচ্ছে।
-তুইও দৌড়া তবে আদালতে। কি বোকার মতো এখনও দাড়িয়ে আছিস কেন ?
-কিন্তু আমারত কোন উকিলের সাথে পরিচয় নেই।
-আমি ফোন করে দিচ্ছি। তুই বসে থাক। একটু পর উকিল এলে সেই তোর সব ব্যবস্থা করে দেবে।
রাকিব যেন নিশ্বাস ছেড়ে বাঁচল। এই সামান্য বুদ্ধিটাই তার মাথায় এলোনা ! তবে বড় ভাই তার সব খবরই রাখেন। কোন কিছুই তার কাছে গোপন থাকেনা। আর তার অজ্ঞাতে থাকলেই বা কেমন করে তিনি তার ব্যবসা চালাবেন। ঘণ্টা খানেকের ভেতর উকিল চলে এলেন। তিনি রাকিবকে একটি তালাক নামা দিয়ে বললেন যেন সে যে কোন উপায় তাতে তার বউয়ের একটি স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। আর একবার স্বাক্ষর নিয়ে নিতেই পারলেই হয়ে যাবে তার সকল সমস্যার সমাধান। রাকিব খুশি মনে কাগজটি পকেটে ভরে ম্যাসে ফিরছে।
প্রচন্ড গরম পরেছে। রাস্তায় নেমে এসেই রাকিব সেটা টের পেলো। রাস্তার পাশেই একটি ভ্যান গাড়িতে করে লেবুর শরবত বিক্রি হচ্ছে। লেবুর শরবত পরিবেশনের প্রক্রিয়াটা পছন্দ হবার মতো। একটি ফিল্টারের ভেতরের উপরের অংশে বরফ রাখা হয়েছে। নিচের অংশে পানি। কেউ চাইলেই গ্লাসে ফিল্টার থেকে ঠাণ্ডা পানি ভরে তাতে শুধু লেবু আর চিনি মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। লেবু চেপার মেশিনটি কাঠের তৈরি। এই আধুনিক যুগেও এমন আদিকেলে পন্থা দেখে রাকিব কিছুটা অবাক হলো। কি চমৎকার লেবু চেপার মেশিন বানিয়ে ফেলেছে। অথচ তার মাথায় সামান্য বুদ্ধিটা এলোনা কি করে একটি ভুয়া বউয়ের কাছ থেকে মুক্তি সে পেতে পারে। রাকিব দাড়িয়ে পরলো শরবত খাওয়ার জন্য।
দাড়িয়ে দাড়িয়ে সে শরবত খাচ্ছে। এর মধ্যে একটি মোটর সাইকেলে করে একটি ছেলে এসে তার পাশে দাঁড়াল। ছেলেটি হেলমেট পরে থাকার কারণে রাকিব তাকে চিনতে পারেনি। রাকিবকে কিছু ভাবার অবকাশ না দিয়েই তার বুকে গুলি করে মুহূর্তে মোটর সাইকেলে করে অনেক দূরে মিলিয়ে গেলো ছেলেটি। রাকিবের চোখের সামনে সব কিছু কেমন যেন সাদা রঙের হয়ে আসতে শুরু করল। তারপর আর কিছুই তার মনে নেই। শুধু মনে হচ্ছে সে পরে যাচ্ছে মাটিতে। আর তার কানে ধীরে ধীরে মানুষজনের এলোমেলো কথা ভেসে আসছে। যখন জ্ঞান ফিরলো চোখ খুলে সে নিজেকে দেখতে পেলো একটি হাসপাতালের বিছানায় সে শুয়ে আছে। তার মাথার কাছে বসে তার বউ কাঁদছে। রাকিবের চোখ খোলা দেখতে পেয়ে তার বউ তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল পরম যত্ন নিয়ে। রোকেয়ার অশ্রু ভরা চোখে তার জন্য যে ভালোবাসা সে দেখতে পেলো তা কোন পুরুষ মানুষ হিমালয় পর্বতের চুড়ায় হাজার বার সাধনা করলে তবেই পাবে। রাকিব তার বউয়ের কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বলল, তোর বিবিধ ব্যস্ততা থেকে খানিকটা সময় জমিয়ে রাখিস। মনে রাখিস একদিন তোর সাথে রোদে ভিজবো। আমি কি সেদিনও তোর বকবক শুনেই কাটাবো ? অসহ্য তোর বকবকানি ! তারপরও তুই তোর মতোই থাকিস। তোর মতো মেয়েরা আছে বলেই এখনো রোদ ওঠে, একটা রিক্সা অপেক্ষা করে, একজন ফুচকাওয়ালা অপেক্ষা করে, একটা ছটফটে স্ত্রী তার স্বামীর পাশে বসে অপেক্ষা করে জঘন্য স্বাদের চা খাবার জন্য। শোন ভালো থাকিস নইলে তো জানিস মরে গিয়েও ভূত হয়ে ফিরে আসবে কেউ। বলবে, মনে রাখিস। তুই বলবি , মনেই রাখি। তুই মাঝে মাঝে বুদ্ধিমানের মতোই কথা বলিস, ভালো থাকিস, ভালো থাকতে হয় নইলে রোদগুলো মন খারাপ করে বৃষ্টি হয়ে যায়। আমার কবরে একসময় তুই এসে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে দাড়িয়ে থাকবি। আমি পরম শান্তিতে সেদিন ঘুমাবো আমার শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
মনিটরে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের কাছেই স্পেস শীপ হেক্সা-০৯ রাকিবের জন্য অপেক্ষা করছে। ভেতরের মৃত্যু গ্রহের গন্তব্যের যাত্রীরা আর এক মুহূর্ত দেরী করতে চাইছেননা। প্রেসিডেন্ট হোরাস কাঁদছেন। তিনি চিৎকার করে তার স্ত্রী ফেদেরাকে একবার ডাকলেন। এক এক করে মনিটরে রাকিবের মৃত্যুর সেকেন্ড কমছে ০০.০৫.৫৫.........০০.০২.০১..........০০.০০.০৭..........
নিশ্বাসে তোমার শরীরের বিষাক্ত গন্ধ,
নিপীড়িত মনে চন্দ্রালোকের অলীক গল্প,
বেহুলার বাসর আজও খোঁজে আমার রন্ধ্র রন্ধ্র;
সূর্য কোষে তারপর নিশ্চুপ ঘুম ক্লান্ত ক্লান্ত করে,
এই ঘুম চেয়েছিলাম বুঝি !
স্বর্গের চাদর শরীরে জড়ায়ে।
নোনা স্রোতে স্নান শেষে
বালুর মতো ঝর ঝরে মন নিয়ে,
খুঁজেছি তোমাকে ঈশ্বর !
পরম যতনে গোবরে লেপেছি আমার ঘরের মেঝে,
দরজার চৌকাঠে জোড়া তালি দিয়ে চলছে;
বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টাটুকু,
আঁকড়ে ধরে থাকা আকাশের তারাদের মিছিলেও সূর্য হাসে,
শুধু আমি আজও জ্যামিতিক নিয়মে;
উপপাদ্য প্রমাণের নিমিত্তে ঘুমন্ত।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই অনেক অনেক অনেক। শুভ রাত্রি। ভালো থাকুন সবসময়।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লেখা, ভাল লেগেছে। দুয়েক জায়গাতে হারিয়ে গেছিলুম।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। কোথাও আমাদের হারিয়ে যেতে নেই মানা যদি ফিরে আসার পথ জানা থাকে।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
পরে আসছি ....... সময় নিয়ে পড়তে হবে
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সময়ের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালো লাগলো
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মাসুম ভাই আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩
আশিক মাসুম বলেছেন: Heart tuching....
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হৃদয় ছুঁতে পেরেছে জেনে খুশি হোলাম।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: নিজেরাই লিখে যাই নিজেদের এপিটাফ ।
ভালো লেগেছে মৃত্যুর গল্প ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মৃত্যুর গল্প সাধারনত মন খারাপ করিয়ে দেয় তবে চেষ্টা করেছি যেন পড়ে মন খারাপ না হয়। কৃতজ্ঞতা মামুন ভাই।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
গেন্দু মিয়া বলেছেন: চমকপ্রদ।
এতো ভালো ভালো কাহিনী পান কোথা থেকে?
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অলস মস্তিস্ক থেকে কত কিছুই ভাবনা আসে। সেই সব এলোমেলো ভাবনার বহিঃপ্রকাশ বলতে পারেন।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। গল্পের ভিতরের গল্পগুলো দারুণ মিল। আর শুরুটা এবং কবিতায় মুগ্ধ।
প্লাস....
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুমন ভাই এমন মন্তব্য আমার জন্য অনেক বড় বেশি পাওয়া। ধন্যবাদ।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
গোর্কি বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট। ভাল লাগল।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে প্রিয় গোর্কি।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার। ৫ম +
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৫ম প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা সেলিম ভাই।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হুম ! সাইন্স ফিকশনে সব সময় অবাস্তব গল্প এলাও!
তবে মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাটা বিজ্ঞানের চরমতম উৎকর্ষের দিনেও অসম্ভব , তাহলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে !
কিছু তীক্ষ্ণ মানবীয় অনুভূতি উঠে এসেছে সাথে সাথে , যা অবিনশ্বর !
শেষের কবিতাটা অস্থির হয়েছে !
সব মিলিয়ে ইউ ডিসার্ভ এ বিগ প্লাস।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথমেই বলে নেই আমার মত একজন লেখক যে বিগ প্লাস ডিসার্ভ করেছে তার জন্য ধন্য। কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হোলাম ভীষণ।
আর সাইন্স ফিকশনে সব সময় অবাস্তব গল্প এলাও! কথাটার সাথে পুরোপুরি সহমত হতে পারলাম না তাহলে আর সেটা সাইফাই হলোনা। সায়েন্স মানেই যুক্তি এবং প্রমান নির্ভর তারচেয়ে বলতে পারিস ফ্যান্টাসিতে সব সময় অবাস্তব গল্প এলাও! তাহলে কথাটা ঠিক হবে।
মানুষ দুটি পাথর ঘষলে যে আগুন উৎপন্ন হয় সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে। কিন্তু এর আগে আকাশে সামান্য বিদ্যুৎ চমকালেও মানুষ ভয় পেতো। মানুষ কখনওই তার অনাগত ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের কি নতুন নতুন আবিষ্কার আসবে তার জন্য ভাবতে পারেনা। এই যেমন তুই কি কখনও আগে ভেবেছিলি ব্লগে গল্প কবিতা লেখা যাবে। আগেত মানুষ প্যাপিরাসে লিখত এখন কি লেখে ? তাই বিজ্ঞান কখন কি আবিষ্কার করে ফেলে তার ঠিক নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আর যেহেতু তার দেয়া জ্ঞানে মানুষ এই পর্যন্ত অনেক কিছুই করতে পেরেছে অবশ্যই তিনি চাইলে এটাও সম্ভব। তবে আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন এটা মানুষকে তিনি কখনও জানতে দেবেন না যে মানুষ কখন মারা যাবে। তবু প্রাকৃতিক ভাবে মানুষ অনেক সময় টের পায় যে তার মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে। এই নিয়ে বলতে গেলে অনেক দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়ে ফেলতে হবে। মন্তব্যে সম্ভব নয়। মৃত্যুর দিন তারিখ জানার সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াটা নিছক ছেলে মানুষী কথা হয়ে গেলো। ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানুষের দিন তারিখ নিজে জানিয়ে দিলেও মিথ্যে হয়ে যাবেনা। আজকের পৃথিবীতে গর্ভবতী মায়ের পেটের শিশুটি ছেলে হবে কিনা মেয়ে তা জানার পর যেহেতু ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি অতএব মৃত্যু জানলে তেমন হবে কেন সেটা বোধ গম্য হলো না। ঈমানের জোড় না থাকলে অবশ্য কেউ কেউ ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
আর ঈশ্বর নিজেই দাজ্জাল প্রেরণ করবেন তখন কি ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবেনা ? অতএব অনেক কিছু বোঝার আছে, ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। সাক্ষাতে এই নিয়ে একদিন বিশদ আলোচনা করা যাবে। তবে এই গল্পটি কিছুটা ইল্লুমিনাতি কনসেপ্ট নির্ভর গল্প। তাই এই গল্পটি বুঝতে হলে ইল্লুমিনাতি কনসেপ্ট বুঝতে হবে কিছুটা।
ধন্যবাদ মনযোগী পাঠের জন্য।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
এম মশিউর বলেছেন: নিশ্বাসে তোমার শরীরের বিষাক্ত গন্ধ,
নিপীড়িত মনে চন্দ্রালোকের অলীক গল্প,
বেহুলার বাসর আজও খোঁজে আমার রন্ধ্র রন্ধ্র;
সূর্য কোষে তারপর নিশ্চুপ ঘুম ক্লান্ত ক্লান্ত করে,
এই ঘুম চেয়েছিলাম বুঝি !
স্বর্গের চাদর শরীরে জড়ায়ে।
শেষটা অনবদ্য। দারুন।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভীষণ অনুপ্রানিত হোলাম। শুভ রাত্রি।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,
ভালো লাগলো .........
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অল্প কথায় অনেক বেশি কিছু বলে ফেলা হয়ত এমন মন্তব্যকেই বলে।
অনেক অনেক অনেক খুশি হোলাম। প্রিয় ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে।
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ভালো লেগেছে খুব
বিশেষ করে শেষ এর কাব্যধর্মি অংশটুকু। এবং কবিতাটুকু ও বটে।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা
আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর।
সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে;
আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে;
কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার,
শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে;
রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়;
সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার,
আমি হতে রবো কাতর।
ধন্যবাদ সাদাত।
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই, গল্পের থিম ভালো লেগেছে।
কিন্তু, আমেরিকা আর বাংলাদেশের ঘটনা একই সময়কালের হলেও ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেগেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন মৃত্যুশুমারি হচ্ছে, মানুষ নেপচুনে যাচ্ছে, সেই সময়ে বাংলাদেশে কাঠের মেশিনে লেবু চিপরে শরবত বিক্রি হচ্ছে...
এই ব্যাপারগুলো এভয়ড করতে পারলে কল্পকাহিনী হিসেবে জটিল হত।
একরাশ শুভকামনা।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু পড়ে দেখুন নিজেই লেবুর শরবতের অংশে বলেছি যে রাকিব এই আধুনিক যুগেও এমন কাঠের মেশিন দেখে চমকে গেছে। এখানে বুঝে নিতে হবে যুগের সাথে উন্নয়নশীল দেশ হবার কারণে এখনও আমরা যেভাবে অনেক দিক থেকে পিছিয়ে আছি আমেরিকা থেকে হয়ত তখনও পিছিয়েই থাকব। এটাকে স্যাটায়ার বলতে পারেন একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মনের আক্ষেপের অথচ যেখানে আমাদের রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনাময় উন্নতির দিকের।
১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
একজন আরমান বলেছেন:
সত্যি বলতে আপনার লিখা সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে আগে থেকে অনেক কিছু ভাবতে হয়। এতো সুন্দর লিখেন যদি মন্তব্যটা তার সাথে না যায় তাহলে বড় বিপদ। আপনার চিন্তা শক্তি আমাকে মুগ্ধ করে। প্রতি লাইনেই মুগ্ধতা। মিশর, আমেরিকা, বাংলাদেশ, পালিত, লেবুর শরবত ঘোর লাগানো প্রতিটি শব্দ প্রতিটি লাইন।
বোনাস কবিতা ! সব মিলিয়ে অসাধারণ।
তোর মতো মেয়েরা আছে বলেই এখনো রোদ ওঠে, একটা রিক্সা অপেক্ষা করে, একজন ফুচকাওয়ালা অপেক্ষা করে, একটা ছটফটে স্ত্রী তার স্বামীর পাশে বসে অপেক্ষা করে জঘন্য স্বাদের চা খাবার জন্য। শোন ভালো থাকিস নইলে তো জানিস মরে গিয়েও ভূত হয়ে ফিরে আসবে কেউ। বলবে, মনে রাখিস। তুই বলবি , মনেই রাখি। তুই মাঝে মাঝে বুদ্ধিমানের মতোই কথা বলিস, ভালো থাকিস, ভালো থাকতে হয় নইলে রোদগুলো মন খারাপ করে বৃষ্টি হয়ে যায়। আমার কবরে একসময় তুই এসে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে দাড়িয়ে থাকবি। আমি পরম শান্তিতে সেদিন ঘুমাবো আমার শান্তির শেষ স্বপ্ন কবর ভূমিতে।
লাইনগুলি খুব সুন্দর।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরমান আমার ব্লগিয় পথ চলায় প্রথম থেকেই তোকে পেয়েছি সর্বক্ষণ এই জন্য আমি তোর কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।
আমি আমার সব পোস্টে নানা সময়ে আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী সহব্লগারদের কাছ থেকে নানা রকম আলোচনা ও সমালোচনা মূলক মন্তব্য পেয়েছি। কখনও সেগুলো ছিলো পজিটিভ কখনও ছিলো নেগেটিভ। যাই হোক নিজের বিচারে আমি অনেক বিলো লেভেলের একজন লেখক। তাই যখন কেউ প্রশংসা করে তখন ভাষা হারিয়ে ফেলি। মূলত আমি মনে করি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। সেখানে যখন তুই বললি যে আমার ব্লগে মন্তব্য করতে তোকে আগে থেকে অনেক কিছু ভাবতে হয়। এতো সুন্দর লিখি যদি মন্তব্যটা তার সাথে না যায় তাহলে বড় বিপদ। আমি বলব নারে ভাই বরং আমাকে দুটি মন্দ কথা শুনিয়ে যা তাতেই এই অথর্ব যদি কিছুটা শিখতে পারে তবেই মঙ্গল।
আমি কোন সাহিত্যিক নই। ব্লগ ছাড়া লেখালিখির মূল্য নেই। আর এখানে লিখেই যদি কিছুটা লেখালিখি শিখতে পারি তবে মন্দ কি?
১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
একজন আরমান বলেছেন:
মন্দ কথা শুনাতে পারেন যারা অনেক কিছু জানেন, যারা অনেক বড় মাপের লেখক তারা। আমি সামান্য পাঠক। আমার বিচারে যেটা খুব ভালো অন্য বড় কোন লেখকের বিচারে সেটা তা নাও হতে পারে। এখন আমি অবশ্যই আমার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখবো, নিশ্চয়ই অপরের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয় ! আমার কাছে আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে। ভালো না খুব ভালো। আর আমার যা মনে হয়েছে আমি তাই বলেছি।
আপনার কাছে যেটা হাফপ্যান্ট, অন্যের কাছে সেটা ফুলপ্যান্টও হতে পারে।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কথাগুলোর সাথে আমি পুরোপুরি সহমত। কোন রূপ যুক্তি খন্ডানোর মতো আমি কিছুই পেলাম না। অনেক বড় মাপের কিছু কথা বলেছিস।
শুভকামনা ও ভালোবাসা সব সময় তোরও জন্য।
১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: এপিটাফ শব্দটা প্রথম জানতে পারি সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের বই -এ । বুঝে উঠতে পারি নি সেটা কি ।
এখন শব্দটা বুঝি, কিন্তু এর সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন: একজন মানুষ, তার চোখ বুজে শুয়ে থাকা - চিরতরে, তার একটা পরিচয়, একটা ফলক, তার স্মৃতি এসব ভাবতেই কেমন জানি লাগে। বুঝে উঠতে পারি না সব কছু।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি শুধু মাত্র আমার পোস্টে কবরের পক্ষে ও বিপক্ষে মানুষের মধ্যে যে মানবিক চেতনাগুলো কাজ করতে পারে তার সম্পূর্ণ নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যা দাড় করার চেষ্টা করেছি মাত্র। এখন দেখে নেয়া যেতে পারে কবর সম্পর্কে ইসলাম কি বলছে।
শরীয়ত সমর্থিত পদ্ধতিতে কবর যিয়ারত সম্পন্ন হলে যিয়ারতকারী সে যিয়ারতের মাধ্যমে তিনটি উপকার লাভ করেঃ
একঃ মৃত্যুকে স্মরণ করা; যার দ্বারা সে নেককাজের মাধ্যমে এর জন্য তৈরী হতে তৎপর হয়; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"زُوْرُوْا الْقُبُوْرَ؛ فَإِنَّهَا تُذَكِّرُكُمُ الآخِرَةَ".
“তোমরা কবর যিয়ারত কর; কেননা তা তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে”। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
দুইঃ যিয়ারত কার্যটি সম্পাদন করা, আর এটা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতৃক প্রবর্তিত একটি সুন্নাত, যা করলে সওয়াবের অধিকারী হবে।
তিনঃ মৃত মুসলিমদের প্রতি দো‘আর মাধ্যমে তাদের প্রতি দয়া করা, তাদের প্রতি এ দয়া প্রদর্শনের কারণে সওয়াবের অধিকারী হবে।
আর মৃত যিয়ারতকৃত কবরবাসী, তারা শরীয়ত সমর্থিত কবর যিয়ারত দ্বারা তার জন্য কৃত দো‘আ, ও তার প্রতি দয়া দ্বারা লাভবান হয়; কেননা মৃতগণ জীবিতদের দো‘আ দ্বারা লাভবান হয়ে থাকে।
কবর যিয়ারতকারীর জন্য মুস্তাহাব হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যে সমস্ত দো‘আ সাব্যস্ত হয়েছে সেগুলো দিয়ে দো‘আ করা, তম্মধ্যে আছেঃ বুরাইদা ইবনে হুসাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে যখন তারা কবরস্থানে যেতেন তখন শিক্ষা দিতেন, সুতরাং তাদের মধ্যকার একজন বলতেনঃ
"اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ، أَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ"
“আসসালামু আলাইকুম আহলাদদিয়ারে মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়া ইন্না ইনশা’আল্লাহু বিকুম লালাহেকুন, আসআলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ”।
‘হে এ গৃহসমূহে অবস্থানকারী মু‘মিন ও মুসলিম! তোমাদের উপর সালাম বর্ষিত হোক, আমরাও অচিরেই আল্লাহ চাহেত তোমাদের সাথে অবশ্য অবশ্য মিলিত হবো, আমি আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছি’। এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
অপরপক্ষে বিদআতী কবর যিয়ারত হলোঃ ঐ যিয়ারত যা শরীয়ত গর্হিত, অনুমোদিত নয় সে পদ্ধতিতে করা হয়। যেমন কেউ কবরবাসীকে ডাকার জন্য, তাদের দ্বারা বিপদ হতে উদ্ধার পাবার আশায়, তাদের কাছে প্রয়োজন পূরণ হওয়া চাওয়া এ জাতীয় উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারতে বের হলো; তাহলে তার এ যিয়ারতের দ্বারা মৃত ব্যক্তি কোন প্রকার উপকৃত হবে না, জীবিত যিয়ারতকারী এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জীবিত ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারণ সে এমন কাজ করেছে যা বৈধ নয়, কেননা তা আল্লাহর সাথে শির্ক। আর মৃত ব্যক্তি এর দ্বারা কোন উপকৃত হতে পারেনি কারণ তার জন্য দো‘আ করা হয়নি, বরং আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহবান করা হয়েছে।
কবরের কাছে দো‘আ করার উদ্দেশ্যে বা কবরের কাছে এতেকাফ করার উদ্দেশ্যে অথবা কবরবাসীদের কাছে প্রয়োজন পূরনার্থে প্রার্থনার উদ্দেশ্যে অথবা কবরবাসীদের কাছে অসুস্থকে সুস্থতা দেয়ার জন্যে অথবা তাদের অসীলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা অথবা তাদের মান-মর্যাদার দোহাই দিয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়া আরও এ জাতীয় যত উদ্দেশ্যে যিয়ারত করা হয় সেগুলো বিদ‘আতী নিন্দনীয় যিয়ারত, যা আল্লাহ কক্ষনো অনুমোদন করেননি, তেমনিভাবে তাঁর রাসূলও প্রবর্তন করেননি, সালফে সালেহীন রাদিয়াল্লাহু আনহুমও এ কাজটি করেননি । বরং এটা খারাপ আজেবাজে কথার অন্তর্ভূক্ত, যার থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তিনি বলেছেনঃ
"زُوْرُوْا الْقُبُوْرَ وَلاَ تَقُوْلُوْا هُجْراً"
“তোমরা কবর যিয়ারত কর, আজে বাজে খারাপ কথা বলো না”।
উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো বিদ‘আত হিসাবে একত্রে বুঝানো হলেও এগুলির মধ্যে বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে, তম্মধ্যে কিছু আছে বিদ‘আত তবে শির্ক নয়, যেমনঃ কবরের কাছে আল্লাহর কাছে চাওয়া, আল্লাহর কাছে মৃত ব্যক্তির হক্ব ও মান-মর্যাদার অসীলা দিয়ে কিছু চাওয়া ইত্যাদী, আবার এগুলোর মধ্যে কোন কোনটা বড় শির্কের অন্তর্ভূক্ত যেমনঃ মৃত ব্যক্তিকে ডাকা, তাদের সাহায্য চাওয়া ...ইত্যাদি।
১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ব্লগে এসে কিছু চমৎকার সাইন্স ফিকশন পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে । এই গল্পটি নিঃসন্দেহে সেই তালিকাকে সমৃদ্ধ করলো । + অভিনব আইডিয়া আর হৃদয়ছোঁয়া বর্ণনাভঙ্গীতে !
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আদনান ভাই। এই গল্পটিতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কবরের পক্ষে বিপক্ষে মানবিক চেতনা, ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার কনসেপ্ট যা ঈশ্বরের পুরো সিস্টেমের সাথে ফ্রিম্যাশন দের দ্বৈরথ দাজ্জাল আর ঈশ্বরের মাঝের কিছু সাইফাই সিমুলেশন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ অবস্থান, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের মানবিক দিক। জানিনা কতটা সার্থক হতে পেরেছি। তবে অনুপ্রেরনা দেবার জন্য কৃতজ্ঞ।
২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন উৎফুল্ল করার জন্য এই পোস্ট নয়। মন খারাপ হবে ঘুম পাবে কিংবা এনার্জি ড্রিং খেতে হবে অথবা বোরিং লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে বেশ কিছু দর্শন বোঝার রয়েছে। মন উৎফুল্ল রাখার জন্য রয়েছে পপ কর্ণ তাই সব জায়গায় পপ কর্ণ খোঁজা বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবেনা। পপ কর্ণ দিতে না পারার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত অভি তোর কাছে।
২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে যা মনে হয়েছে তা তো বলেছি ! সেখানটায় আমার সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে , আপনার এই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবে ওয়াকিবহাল , অফটপিক একটা মন্তব্য করেছি সেটার জন্য আপনার আগেই আমি দুঃখিত!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তোর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমিওত আমার যুক্তি দেখিয়েছি। পাঠক কেন দুঃখিত হবে, দুঃখিত হব আমি কারণ আমি গল্পটা লিখেছি।
কঠিন সমালোচনা একজন লেখককে তার লেখায় প্রাণ জাগাতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু অবশ্যই সেটা ইন্সাল্ট করে নয় নিশ্চয়। কথা গুলো আমি তোকে বলছিনা, বলছি অভিজ্ঞতা থেকে। আর যেহেতু পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেছিস তাই বললাম ম্যান চিয়ার আপ ইউর সেলফ বাট আই কান্ট হেল্প ইউ সরি ব্রো .......
২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
অদৃশ্য বলেছেন:
সাইফাইটা আমার দারুন লেগেছে... আর শেষে যেটা রাখলেন তা অদ্ভুত সুন্দর...
কান্ডারী ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নিয়মিত ব্লগিয় পথ চলায় আপনাকে সাথে পেয়েছি সবসময় তাই আপনার প্রতি অনেক অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা নিরন্তর প্রিয় অদৃশ্য ।
২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: সুন্দর একটি সাইন্স ফিকশন গল্প , ভালোলাগে পড়তে কান্ডারী। তবে এই সব গল্প সিনেমা বা টিভিতেই বেশী মজা পাই, খাটুনি কম
গল্পেতো কল্পনা করতে হয় অনেক কিছু :-<
এপিটাফ পড়তেও ভালোলাগে।প্রিয়জনদের কত করুন আর্তি লেখা থাকে তাতে।
+
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালো কোন প্রযোজক পেলে সিনেমা বানাতে আপত্তি নাই। কিন্তু আর্থিক দৈন্যদশার কারণে আপাতত সামুতে লিখে রাখা।
একটা সময় মিশরে মৃত দেহ মমি আকারে সংরক্ষিত হতো ভেবে দেখুন স্বজন হারাবার বেদনা মানুষকে কতটা পাগল করে তোলে। অনেকে আবার কবরকে করে তোলে তীর্থ স্থান। আবার এমন অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গের কবর আছে যেখানে রীতিমত উৎসব পার্বণ পালিত হয়।
সব কিছু মিলিয়েই কিছুটা ভাববাদী বিশ্লেষণ করার প্রয়াস মাত্র এই গল্প।
ধন্যবাদ জুন আপু ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
মৃত্যু, ঈশ্বর...অনন্ত....এরকমই কিছু কি থিম? আমি আসলে খেই হারিয়ে ফেলেছি পড়তে পড়তে।
তবে মৃত্যুর দিন ক্ষন কখনো বিজ্ঞান কখনো আবিষ্কার করতে পারুক...চাইনা। আমার আপনজনের আমার কাছে থেকে চলে যাবার দিন, অথবা তার কাছ থেকে আমার যাবার দিন জেনে যাবার পর থেকেইতো মরে যাবো।
লেখাটা কালকে থেকে পড়ছি। শরীর খুবই খারাপ বলে এতটা সময় লাগলো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই গল্পটিতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কবরের পক্ষে বিপক্ষে মানবিক চেতনা, ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার কনসেপ্ট যা ঈশ্বরের পুরো সিস্টেমের সাথে ফ্রিম্যাশন দের দ্বৈরথ দাজ্জাল আর ঈশ্বরের মাঝের কিছু সাইফাই সিমুলেশন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ অবস্থান, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের মানবিক দিক।
শরীর খারাপের মধ্যে দিয়েও যে কষ্ট করে লেখাটা ধৈর্য নিয়ে পড়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সুস্থ হয়ে উঠুন শীঘ্রই। শুভ কামনা রইল।
২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
কবিতাটা অসাধারণ....
"নিঃশ্বাসে তোমার শরীরের বিষাক্ত গন্ধ...."....অসাধারণ!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রিমঝিম বর্ষার মতো বর্ষিত হোন ধরণীতে সুখের বার্তা হয়ে শুভ কামনা নিরন্তর।
২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর গল্প।
কবিতাটি দুর্দান্ত হয়েছে।
++++++
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থেঙ্কু ভ্রাতা । ভালো থাকিস সব সময়।
২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
সাহিত্যের অনেক শাখাই ছুয়ে গেছে আপনার এই সৃষ্টি, এখানে সাই ফাই পটভূমি একটি উপলক্ষ মাত্র।
ভাবের জগতে ভ্রমন করানোর জন্য +।
একটি প্রশ্ন ( হয়ত উত্তর গল্পের ভেতরে ছিল, খেয়াল করতে করিনি, সেক্ষেত্রে জানাবেন, নিজে নিজে পড়ে খুজে নিব, সেটাই মজা), রাকিবের স্ত্রীর রহস্য কি? উনি কি সত্যিই বউ ছিলেন? আর রাকিব গুলি খেলেন কেন?
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি ঠিক ধরেছেন এখানে সাই ফাই পটভূমি একটি উপলক্ষ মাত্র।
রাকিব সমাজের একটি চরিত্র যা অবক্ষয়ের অতলে হারিয়ে গেছে। গ্রাম থেকে আসা মেয়েটি রাকিবের সত্যিকারের স্ত্রী শেষে রাকিব তার পুরানো কিছু স্মৃতিস্মরণের মাধ্যমে স্বীকার করেছে আর রাকিবকে গুলি করা হয়েছে বার বার পুলিশের সন্দেহের তালিকায় থাকার কারণে যা বড় ভাই নামক গড ফাদার চাচ্ছিলো তার স্মাগলিং ব্যবসায় যেন এই রাকিবের কারণে কোন আঁচ না আসে।
ভীষণ খুশি হোলাম প্রিয় অস্পিসাস প্রেইস আপনার মনযোগী পাঠের জন্য। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মনে রাখিস একদিন তোর সাথে রোদে ভিজবো। আমি কি সেদিনও তোর বকবক শুনেই কাটাবো ? অসহ্য তোর বকবকানি ! তারপরও তুই তোর মতোই থাকিস। তোর মতো মেয়েরা আছে বলেই এখনো রোদ ওঠে, একটা রিক্সা অপেক্ষা করে, একজন ফুচকাওয়ালা অপেক্ষা করে, একটা ছটফটে স্ত্রী তার স্বামীর পাশে বসে অপেক্ষা করে জঘন্য স্বাদের চা খাবার জন্য। শোন ভালো থাকিস নইলে তো জানিস মরে গিয়েও ভূত হয়ে ফিরে আসবে কেউ। বলবে, মনে রাখিস।
অসাধারণ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গুনী একজন লেখক যখন বলছে অসাধারন তখন এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমার প্রিয় ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যি ভীষণ খুশি হয়েছি।
শুভকামনা নিরন্তর।
২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: খুব বোর লাগছিলো। সময় কাটানোর জন্য ব্লগে ঢুকেই প্রথমে আপনার এই পোস্টটি চোখে পড়লো। আপনি একটি কমেন্টে বলেছেন লেখাটি বোরিং; মোটেই না! লেখাটা অনেক ইন্টারেস্টিং। অনেক কিছুই আছে এর ভেতর। সাই-ফাই প্রেক্ষাপটে অনেক গুছিয়ে কিছু অসংগতি তুলে ধরেছেন। লেখাটা তথ্যবহুলও বটে। আর সাহিত্যিক নৈপুন্যের কথা আপনার লেখার ব্যাপারে বলার মত এখনও আমার যোগ্যতা হয় নি। কিন্তু অসাধারন ভাবে ঘটনাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন!
আমার কাছে এই লেখার মূল বিষয় মনে হয়েছে প্রিয়জন থেকে পার্থিব সর্বস্ব বিচ্ছেদের অনুভুতি। কবরের পক্ষ-বিপক্ষ মতবাদ আসার অভ্যান্তরেও এই অনুভূতি কাজ করেছে কি না তা আমার জানা নেই। কিন্তু শরী'আত এবং বিদ'আত এর বিষয়গুলোর বর্ণনা গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে স্যাটায়ার এর বিষয়টা হয়তো আপনার কমেন্টটা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। "এই আধুনিক যুগেও এমন আদিকেলে পন্থা দেখে"-এই লাইনটির জন্যই ব্যাপারটি স্বাভাবিক মনে হয়েছিলো। তবে আমি অবশ্যই আশা করি না ভবিষ্যতে কোন রোবো লেবু চিপে রস বের করে দেবে আর সেটা মজা করে সবাই খাবে!!
(আপনার লেখাকে নিয়ে সমালোচনা যোগ্য হইনি, তবুও কিছু কথা বলে ফেললাম। আমার স্পর্ধাকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেন।)
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই প্রথমেই তীব্র প্রতিবাদ আপনার কথায় কারন আমি এখনও অনেক অনেক অনেক বেশি এমেচার লেখালিখিতে। আপনাদের সমালোচনা আমাকে অনুপ্রানিত করে। লেখার ভুলগুলো শুধরে নেয়ার সুযোগ পাই।
তবে কষ্ট করে পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য। আপনার কবিতা আমাকে মুগ্ধ করে।
কবরের পক্ষে-বিপক্ষে মতবাদের ভিত্তিতে প্রিয়জন থেকে পার্থিব সর্বস্ব বিচ্ছেদের অনুভুতি কিন্তু গল্পে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা ছিলো। আসলে অনেকগুলো বিষয় একসাথে তুলে আনতে যাওয়াটা হয়ত ঠিক হয়নি। গল্পটি আর কিছু সিম্পল করা হয়ত যেত।
আমিও চাই ভাই আমার এই প্রিয় মাতৃভূমি পৃথিবীর সাথে তাল রেখে আধুনিক একটি বাংলাদেশে রুপান্তর হোক। সেই সুদিনের প্রত্যাশায়।
গল্প সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা পুরোপুরি ঠিক আছে। মনোযোগী পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইল্লুমিনাতি কনসেপ্ট নিয়ে একটি পোষ্ট আপনার কাছ থেকে পড়ার ইচ্ছা পোষন করি। ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে খুব বেশি কিছু বলা যায় না। তাই গল্পটা ভালো লেগেছে।
কবিতা নিয়ে বেশি প্রশংসাই করতাম, কিন্তু গল্পের পোষ্টে এসে কবিতা নিয়ে বেশি প্রশংসা করে বিপদে পড়তে চাই না। তবে, এটা অবশ্যই বলব, অনবদ্য কবিতাটি একটি সতন্ত্র পোষ্ট হিসেবে আসলেও দারুন হত।
শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি স্বপ্ন দেখছিনাত :-& আমার গল্পে কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়ের মন্তব্য আমি ভাবতেই পারছিনা। ভীষণ খুশি হোলাম ভাই আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনি হয়ত জানেন না আপনার মন্তব্য আমাকে কতটা অনুপ্রানিত করে বিশেষ করে আপনি শুধু আমাকেই নন যেভাবে অন্য সহব্লগারদের অনুপ্রানিত করেন সত্যি আপনি একজন আদর্শ এই ব্লগের। নাহলে অনেকেত সামুকে দেখি চটি ব্লগ বলে ফেবুতে গিয়ে চটি সামুর জয় হোক বলে শ্লোগান পর্যন্ত দিয়ে ফেলে। দুঃখিত অফটপিক কথা বলে ফেলার জন্য। আসলে সামুকে ভালোবাসি বলেই হয়ত কথাগুলো বলে ফেলা আর আপনার সামুর প্রতি ডেডিকেশন সত্যি আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে।
আপনার একটি মন্তব্য আমাকে ভীষণ রকম অনুপ্রানিত করে। আপনি বলেছিলেন,
আপনি গল্প, ফিচার প্রভৃতির চাইতে কবিতা অনেক ভালো লিখেন। যদিও ছন্দ, মাত্রা, কবিতার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ে আমার ধারনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। তাই কবিতায় কোন ভূল আছে কিনা, কোন ছন্দ গড়মিল আছে কিনা ইত্যাদি বলতে পারছি না। যদিও একজন সাধারন পাঠক এত কিছু বিবেচনা করে পড়ে না। তারা কোন কিছু পড়ে ভালো অনুভতি পেলেই খুশি। সেই হিসাবে আপনার কবিতাগুলো আমার বেশ ভালোই লাগে।
তাই আমার মতে আরো নিয়মিত কবিতা চর্চা করুন। পাঠকদের আরো ভালো লেখা উপহার দিন।
লেখালেখি ছাড়বেন কেন? সেটা তো কোন ভাবেই বলি নাই। আপনার যা ভালো লাগবে সেটাই লিখবেন। পাঠক হিসেবে আমি শুধু আমার চাহিদার কথাই জানিয়েছি।
আমি বলেছি, আমার মনে হয়েছে আপনার অন্য সকল লেখা গুলোর চাইতে কবিতা গুলো অনেক ভালো হয়। পড়ে আরাম লাগে।
এখন পর্যন্ত যদি প্রফেশনালি না লিখেন তাহলে সঠিক চর্চার মাধ্যমে প্রফেশনালিই লিখুন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে সেটা আমার সীমাবদ্ধতা ভেবে মন্তব্যগুলো ইগনোর করুন। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আমার একটি সিরিজ ছিলো ক্রুসেড নিয়ে সেখানে নেট ঘেটে বই পড়ে আরও অনেক মাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে চালিয়েছিলাম। আশা করি ওই পোস্টের পর আর একটি পোস্ট না দিলেও চলবে যদি না আপনার ইচ্ছা পূর্ণ না হয়ে থাকে। তবে ওই সিরিজ থেকে যদি কিছুটা ফ্রিম্যাশন নিয়ে ধারনা পেয়ে যান যদিও সেটা হয়ত সম্ভব নাও হতে পারে কারন আমি ফিচার ভালো লিখতে পারিনা তাহলে হয়ত এখন যেহেতু ভাসা ভাসা জ্ঞানের কারণে গল্প ভালো লেগেছে তখন হয়ত পূর্ণ জ্ঞান হয়ে গেলে গল্পটি আর ভালো লাগতে নাও পারে।
আপনাকে ভেবেছিলাম আমার কবিতা পোস্ট ছাড়া পাওয়া যাবেনা। তবে এই পোস্টের শেষে যেহেতু কবিতা দিয়েই ফেলেছি তাই আপনি ইচ্ছে হলে গল্পের প্রশংসা না করে কবিতার প্রশংসা করতে পারেন। তাতে কোন বিধি নিষেধ নিশ্চয় নেই। আর আমার একটি বদ অভ্যাস আছে কবিতা প্রেমি হিসেবে অনেক সময় গল্পের শেষে বা মাঝে কবিতা দিয়ে দেই। কবিতা দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চয় কোন বিধি নিষেধ নেই। আর যদি আমি না জেনে থাকি তবে ধারাগুলো দেখিয়ে দেবেন নিজেকে শুধরে নিতে পারব আশা করি। কারন আপনার অনুপ্রেরনায় কিছুটা ভালো লেখার চেষ্টা করি।
পোস্টের সংখ্যা এমনিতেই অনেক হয়ে গেছে শুধু শুধু আর বিরক্তির কারন হয়ে লাভ কি একটি পৃথক কবিতা পোস্ট দিয়ে বলুন।
অনেক বড় রিপ্লাই দিয়ে ফেললাম। আপনি চাইলে এনার্জি ড্রিংক খেয়ে নিতে পারেন। অথবা মন্তব্যটি স্কিপ করতে পারেন।
অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপনার প্রতি প্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই।
৩১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইরে এনার্জি ড্রিংক আমি না আপনি খান! প্রতিটি কমেন্টের মাশাল্লাহ যে বিশাল বিশাল জবাব দিতাছেন, তাতে তো মনে হইতাছে কিছুক্ষন পর হাতে দুটা ডাব কিনা আপনেরে দেখতে যাওন লাগব!
আমি লক্ষ্য করেছি, আপনার কমেন্ট গুলোতে অনেক তথ্য থাকে। একটা ফ্রী অভিনব আইডিয়া দিতে পারি যদি চান তো!! একটা পোষ্ট দিয়া ফালান। পোষ্টের নাম দিয়েন, "আমার কমেন্ট সংকলন"
কিংবা "আমার সেরা দশটি মন্তব্য" বিশ্বাস করেন!! সেই হবে ব্যাপারটা।
এমন কোন নির্ধারিত কিছু নাই যে আপনার এই লেখা পড়ব আর ঐ লেখা পড়ব না। এই লেখা আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু মন্তব্য করতে কিছুটা দেরী হয়ে গেল।
যাইহোক, খানিকটা দুষ্টামী করলাম আবার রাগ কইরেন না কিন্তু!।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুনেন কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের কাছে আমার মন্তব্য কিছুইনা। আমিত শুধু মাত্র ভালো লাগল, ++++ রইল, শুভকামনা, কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ ব্যতীত কদাচিৎ মনে হয় দুই এক জায়গায় কিছু নিজের ভাবনা দেয়ার চেষ্টা করি। তাই অল্প যে দুই একটি মন্তব্য বিশাল হয়ে গেছে তার জন্য সংকলন দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরং সহ ব্লগার এবং আপনার নিজ ব্লগে আপনি যেসব মন্তব্য করেছেন আপনার কষ্ট হলে আমি একটা সংকলন বের করে দিতে পারি।
"বেস্ট অফ কাল্পনিক_ভালোবাসা'স কমেন্ট" সামুর ইতিহাস হবে বিষয়টা নিশ্চিত। এর আগেও সামুতে এমন অনেক ইতিহাস হয়েছে। ওহ যদি পরিবেশ বন্ধুকে আপনার সাথে নেয়া যায় তাহলেত পোস্ট সুপার হিট। "বেস্ট অফ কাল্পনিক_ভালোবাসা ও পরিবেশ বন্ধু কমেন্টস" সেইরাম হবে আসলেই।
যাইহোক, আমিও খানিকটা দুষ্টামী করলাম আবার রাগ কইরা বইলা কইয়া আমার নিকটা ব্যান কইরা দিয়েন না কিন্তু!। :-& :-& :-&
আর শুনেন ডাবই কিন্তু আইনেন আপনিত আবার তাল বিশারদ কিনা
৩২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আইচ্ছা আইচ্ছা! আফনে জিতছেন! এবার কন্ট্রোল!! কন্ট্রোল!!
যদিও....... আচ্ছা সে যাই হোক! চালিয়ে যান!!! শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইখানে কি কোন প্রতিযোগিতা হইছে নাকি যে আমি জিতুম। যার মনে যা ফাল দিয়া উঠে তা একটা কথা আছেনা নেন যাইতে যাইতে একটা গান শুনেনঃ
৩৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাপরে !একটা কমেন্টই পোস্টোর সাইজ কান্ডারী।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেলিম ভাই নিজেরে ইদানীং অনেক বড় কিছু হয়ে গেছি বলে মনে হচ্ছে দেখেই হয়ত মন্তব্যের এই অবস্থা
কথায় আছে, Cut Your Coat According to Your Cloth
৩৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেক বড় কিছুই তো। এত ভাল পোস্ট কয়জন দিতে পারে। বড় না হলে সেটা অসম্ভব।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিন্তু ভাই ছোট বেলায় একটা কবিতা পড়ছিলাম আজও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
আপনাকে বড় বলে
বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে
বড় সেই হয়।
বড় হওয়া সংসারেতে
কঠিন ব্যাপার
সংসারে সে বড় হয়
বড় গুণ যার।
হিতাহিত না জানিয়া মরে অহংকারে
নিজে বড় হতে চায়
ছোট বলি তারে,
গুণেতে হইলে বড়
বড় বলি তারে
বড় যদি হতে চাও
ছোট হও তবে ।
৩৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
মুশাসি বলেছেন: ভালো লাগা+++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মুশাসি ভাই। ভালো থাকুন সব সময়। শুভ কামনা রইল।
৩৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি আপনাকে বড় বললাম। হলো।
আ ই এম নো বডি।বাট ইউ আর গ্রেট কান্ডারী। এ গ্রেট ব্লগার।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:#> :#> :#> সেলিম ভাই এইভাবে লজ্জা দিয়েন না। সত্যি ভীষণ শরম পাইলাম ।
৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি নতুন তাই কষ্ট করে হলেও আমার ব্লগে একটু ঢুঁ মাইরেন। ভুলবেন না কিন্তু!
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মনে হচ্ছে নিয়মিত ঢু মারতেই হবে..........
ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।
৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: নোনা স্রোতে স্নান শেষে
বালুর মতো ঝর ঝরে মন নিয়ে,
খুঁজেছি তোমাকে ঈশ্বর !
পরম যতনে গোবরে লেপেছি আমার ঘরের মেঝে,
দরজার চৌকাঠে জোড়া তালি দিয়ে চলছে;
বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টাটুকু,
আঁকড়ে ধরে থাকা আকাশের তারাদের মিছিলেও সূর্য হাসে,
শুধু আমি আজও জ্যামিতিক নিয়মে;
উপপাদ্য প্রমাণের নিমিত্তে ঘুমন্ত
অনেক ভাল লাগল।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ভবঘুরের ঠিকানা। ভালো থাকুন সবসময়।
৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
দারুণ লেখাটা প্রায় মিস করে ফেলেছিলাম!!
নিশ্বাসে তোমার শরীরের বিষাক্ত গন্ধ,
নিপীড়িত মনে চন্দ্রালোকের অলীক গল্প,
বেহুলার বাসর আজও খোঁজে আমার রন্ধ্র রন্ধ্র;
সূর্য কোষে তারপর নিশ্চুপ ঘুম ক্লান্ত ক্লান্ত করে,
এই ঘুম চেয়েছিলাম বুঝি !
স্বর্গের চাদর শরীরে জড়ায়ে।
আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যগুলো বোনাস!!
শুভকামনা কাণ্ডারি ভাই!!
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হা হা হা ভালো বলেছেন ভাইয়া।
দোয়া করবেন যেন আপনাদের মাঝে ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই থাকতে পারি।
৪০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: শোকেসে রাখলাম ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা, এই গল্প শোকেসে রেখে আমাকে যে সন্মানটুকু দেয়া হলো আদৌ কি আমি তার যোগ্য ?
৪১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সাই ফাই আমার প্রিয় বিষয় । ব্লগে কয়েকজন আছেন যারা দারুণ সাই ফাই লেখেন । তোর লেখাও তাদের মধ্যে আছে । সবার যোগ্যতা থাকে না সাই ফাই লেখার । আমাকে মেরে ফেললেও একটা সাই ফাই বের হবে না আমাকে দিয়ে । প্রিয়তে রেখে দিলাম যাতে আমার মেয়েরা পড়তে পারে
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওরে আমার সৌভাগ্য অনেক ভালো দেখছি যে আমার লেখা পড়বে ভাগ্নিরা।
কৃতজ্ঞতা রইল।
৪২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বড় হলেও চমৎকার। আর শেষের কবিতাটা তো .......
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ইসহাক ভাই গল্পটা কষ্ট করে পড়ার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।
৪৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভাই গল্পটা আরেকটু অন্যভাবে লেখা যেত না???
অথবা একই প্লট দিয়ে আরো কিছু লেখা যায়??
+++++++
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সাবির ভাই। দেখি ভবিষ্যতে পারি কিনা।
৪৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
নূর আদনান বলেছেন: গুরু,
পোষ্টটা এখনও পুরা পড়া হয়নি পরে পড়বো। কারন আপনার পোষ্ট পড়তে তো সারাদিন লাগে, বহুত জ্ঞানের পোষ্ট। এখন কয়েকটা মন্তব্য পড়লাম এবং কবর যিয়ারত সম্পর্কে অনেক জানলাম।
আমার ব্লগে একবার ঘুরে আসার অনুরোধ রইল
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুঃখিত ভাই আমি কোন গুরু ফুরু না। ভাই বলবেন তাইলেই চলবে।
৪৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: "মৃত্যুর দিনক্ষণ বের করার জন্য একটি বিশেষ ধরনের টাইম স্কেল" কনসেপ্ট ভাল লেগেছে। তবে আসলেও এটা আবিষ্কার সম্ভব কিনা কে জানে? একজন মানুষের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে এটি মৃত্যুর দিন বলে দেয়। কিন্তু একজন মানুষের শারীরিক অবস্থার উন্নতি অবনতির সাথে সাথে তো মৃত্যুর দিনক্ষণ বদলে যাওয়ার কথা, তাইনা?
যাইহোক, তাত্ত্বিক ব্যাক্ষায় যাবনা। গল্পটা অসম্ভব ভাল লেগেছে। শেষ দিকে রাকিবের মৃত্যুপূর্ব শেষ বাক্যগুলো পড়তে গিয়ে শারীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল। বর্ণনাভঙ্গি চমৎকার লেগেছে।
এমন একটা গল্প পড়তে পারলেই পাঠকের তৃপ্তি আসে। ভাল লাগা আর সাথে শুভকামনা!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নাজিম ভাই আসলে এটা একটা কল্পনা মাত্র। একটা কনসেপ্ট বাকিটা বিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবে। যুক্তি তর্কের ভেতর দিয়ে বের হয়ে আসবে আসলেই কি সম্ভব মৃত্যুর দিন জানতে পারা আর যদি যায় তাহলে সেটা কিভাবে ? আমি শুধু মাত্র গল্পের খাতিরে দেখিয়েছি। তবে ধরুন আপনি একজন সুস্থ মানুষ কিন্তু গুলি খেয়ে মারা গেলেন যেভাবে গল্পের রাকিব মারা গেলো এটা কিন্তু ঈশ্বর তার ভাগ্যে লিখেই রেখেছিলেন যে সে এভাবেই মরবে। মানুষ কখন কিভাবে মরবে ঈশ্বর আগেই ঠিক করে রেখেছেন এমনকি পৃথিবী ধ্বংস হবে কিভাবে সেটাও পূর্ব নির্ধারিত।
আপনার গল্প পাইনা অনেক দিন। নতুন গল্পের অপেক্ষায় আছি।
৪৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
নাছির84 বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। প্রিয়তে....
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার হৃদয়ে স্থান পেয়ে কৃতজ্ঞ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৯
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: নিশ্বাসে তোমার শরীরের বিষাক্ত গন্ধ,
নিপীড়িত মনে চন্দ্রালোকের অলীক গল্প,
বেহুলার বাসর আজও খোঁজে আমার রন্ধ্র রন্ধ্র;
সূর্য কোষে তারপর নিশ্চুপ ঘুম ক্লান্ত ক্লান্ত করে,
এই ঘুম চেয়েছিলাম বুঝি !
স্বর্গের চাদর শরীরে জড়ায়ে।
নোনা স্রোতে স্নান শেষে
বালুর মতো ঝর ঝরে মন নিয়ে,
খুঁজেছি তোমাকে ঈশ্বর !
পরম যতনে গোবরে লেপেছি আমার ঘরের মেঝে,
দরজার চৌকাঠে জোড়া তালি দিয়ে চলছে;
বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টাটুকু,
আঁকড়ে ধরে থাকা আকাশের তারাদের মিছিলেও সূর্য হাসে,
শুধু আমি আজও জ্যামিতিক নিয়মে;
উপপাদ্য প্রমাণের নিমিত্তে ঘুমন্ত।
ভাই চরম লিখছেন । প্লাস।