![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
ইংরেজি মেইডেন শব্দটির অর্থ কুমারী। ম্যাগডেন অর্থাৎ অবিবাহিত নারী থেকে মেইডেন শব্দটির উৎপত্তি। ঋতুবতী অথচ বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত কোনো নারী পুরুষের সঙ্গে যৌন সংযোগ না করে থাকলে সে কুমারী। বাংলায় এর সমার্থক শব্দগুলো হচ্ছে অনূঢ়া, অধবা, অপাত্রস্থা, কৌমারী। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার বঙ্গীয় শব্দকোষে কুমারীর সংজ্ঞায় বলেছেন, “দ্বাদশ বর্ষীয়া বালিকা, সম্ভান্তে দ্বাদশ বর্ষে কুমারীত্ব বিধিয়তে অথবা অজ্ঞাতপুষ্প ষোড়শ বর্ষ পর্যন্ত বয়স্কা বালিকা”। সৎ+ঈপ = ‘সতী’ শব্দটির উৎপত্তি । ‘সৎ’ (অসবিদ্যমান থাকা + শতৃ কর্তৃ) অর্থ যা বিদ্যমান, যা উত্তম, সাধু এবং সভ্য। নারীদেহে হাইমেন বা সতীচ্ছেদ নামক একটি পর্দা নির্ণীত হয় যা নারীর সতীত্ব প্রমান করে অর্থাৎ একজন নারীকে কুমারী বা ইংরেজিতে ভার্জিন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
আল্লাহ বলেন, وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلاَئِكَةِ إِنِّيْ خَالِقٌ بَشَرًا مِّن صَلْصَالٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُوْنٍ، فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيْهِ مِن رُّوحِيْ فَقَعُوْا لَهُ سَاجِدِيْنَ-
অর্থঃ স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বললেন, আমি মিশ্রিত পচা কাদার শুকনো মাটি দিয়ে ‘মানুষ’ সৃষ্টি করব। অতঃপর যখন আমি তার অবয়ব পূর্ণভাবে তৈরী করে ফেলব ও তাতে আমি আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সিজদায় পড়ে যাবে (হিজর ১৫/২৮-২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,هُوَ الَّذِيْ يُصَوِّرُكُمْ فِي الأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَآءُ لآ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ- (آل عمران
অর্থঃ তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাতৃগর্ভে আকার-আকৃতি দান করেছেন যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি মহা পরাক্রান্ত ও মহা বিজ্ঞানী (আল ইমরান ৩/৬)।
তিনি আরও বলেন, يَخْلُقُكُمْ فِيْ بُطُوْنِ أُمَّهَاتِكُمْ خَلْقًا مِّن بَعْدِ خَلْقٍ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلاَثٍ- (زمر
অর্থঃ তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেন একের পর এক স্তরে তিনটি অন্ধকারাচ্ছন্ন আবরণের মধ্যে (যুমার ৩৯/৬)। তিনটি আবরণ হলোঃ পেট, রেহেম বা জরায়ু এবং জরায়ুর ফুল বা গর্ভাধার।
উপরোক্ত আয়াতগুলোতে আদম সৃষ্টির তিনটি পর্যায় বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমে মাটি দ্বারা অবয়ব নির্মাণ, অতঃপর তার আকার-আকৃতি গঠন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহে শক্তির আনুপতিক হার নির্ধারণ ও পরস্পরের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এবং সবশেষে তাতে রূহ সঞ্চার করে আদমকে অস্তিত্ব দান।
অতঃপর আদমের অবয়ব পাঁজর থেকে কিছু অংশ নিয়ে তার জোড়া বা স্ত্রী সৃষ্টি করা হয়। সৃষ্টির সূচনা পর্বের এই কাজগুলো আল্লাহ সরাসরি নিজ হাতে করেছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)।
অতঃপর এই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে প্রথম যে যমজ সন্তান জন্ম দেয়, তারাই হলো মানুষের মাধ্যমে সৃষ্ট পৃথিবীর প্রথম মানব যুগল। তারপর থেকে এই পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মিলনে মানুষের বংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মৃত্তিকাজাত সকল প্রাণীর জীবনের প্রথম ও মূল একক হচ্ছে ‘প্রোটোপ্লাজম’। যাকে বলা হয় ‘আদি প্রাণসত্তা’। এ থেকেই সকল প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলী একে বম্ব শেল বলে অভিহিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মাটির সকল প্রকারের রাসায়নিক উপাদান। মানুষের জীবন বীজে প্রচুর পরিমাণে চারটি উপাদান পাওয়া যায়। অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ও হাইড্রোজেন। আর আটটি পাওয়া যায় সাধারণভাবে সমপরিমাণে। সেগুলো হলোঃ ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ক্লোরিন, সালফার ও আয়রণ। আরও আটটি পদার্থ পাওয়া যায় স্বল্প পরিমাণে। তাহলোঃ সিলিকন, মোলিবডেনাম, ফ্লুরাইন, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, আয়োডিন, কপার ও যিংক। প্রথম পর্যায়ে মাটি থেকে সরাসরি আদমকে অতঃপর আদম থেকে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করার পরবর্তী পর্যায়ে আল্লাহ আদম সন্তানদের মাধ্যমে বনু আদমের বংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন। এখানেও রয়েছে সাতটি স্তর। যেমনঃ মৃত্তিকার সারাংশ তথা প্রোটোপ্লাজম, বীর্য বা শুক্রকীট, জমাট রক্ত, মাংসপিন্ড, অস্থিমজ্জা, অস্থি পরিবেষ্টনকারী মাংস এবং সবশেষে রূহ সঞ্চারণ (মুমিনূন ২৩/১২-১৪; মুমিন ৪০/৬৭; ফুরক্বান ২৫/৪৪; তারেক্ব ৮৬/৫-৭)।
স্বামীর শুক্রকীট স্ত্রীর জরায়ুতে রক্ষিত ডিম্বকোষে প্রবেশ করার পর উভয়ের সংমিশ্রিত বীর্যে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে (দাহর ৭৬/২)। উল্লেখ্য যে, পুরুষের একবার নির্গত বীর্যে লক্ষ-কোটি শুক্রাণু থাকে। আল্লাহর হুকুমে তন্মধ্যকার একটি মাত্র শুক্রকীট স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করে। এই শুক্রকীট পুরুষ ক্রোমোজম Y অথবা স্ত্রী ক্রোমোজম X হয়ে থাকে। এর মধ্যে যেটি স্ত্রীর ডিম্বের X ক্রোমোজমের সাথে মিলিত হয়, সেভাবেই পুত্র বা কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে আল্লাহর হুকুমে। মাতৃগর্ভের তিন তিনটি গাঢ় অন্ধকার পর্দার অন্তরালে এইভাবে দীর্ঘ নয় মাস ধরে বেড়ে ওঠে একটি পূর্ণ জীবন সত্তার সৃষ্টি (আবাসা ৮০/১৮-২০)।
এভাবেই জগত সংসারে মানববংশ বৃদ্ধির ধারা এগিয়ে চলেছে। এ নিয়মের ব্যতিক্রম নেই কেবল আল্লাহর হুকুম ব্যতীত। একারণেই আল্লাহ অহংকারী মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অতঃপর সে হয়ে গেল প্রকাশ্যে বিতন্ডাকারী’। ‘সে আমার সম্পর্কে নানারূপ দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে। অথচ সে নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে ভুলে যায়, আর বলে যে, কে জীবিত করবে এসব হাড়গোড় সমূহকে, যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? (ইয়াসীন ৩৬/৭৭-৭৮)।
অতএব প্রমানিত হলো যে, স্বয়ং আল্লাহর সৃষ্ট নিয়ম অনুযায়ী একজন কুমারী নারীর পক্ষে কখনও সন্তান জন্ম দিয়ে মা হওয়া সম্ভব নয়। এবং বিজ্ঞানও তাই প্রমান করে বলেই কুমারী মা সম্পূর্ণ অবাস্তব একটি ভিত্তিহীন অমূলক ধারনা। কুমারী মা বলে আসলে পৃথিবীতে কিছুই নেই। আর তাই যদি হয়, তাহলে বিভিন্ন পুরাণ আর বিভিন্ন ধর্ম অনুসারে আমরা কুমারী মা সম্পর্কে যে ধারনাগুলো পেয়ে থাকি সবই মিথ্যা মানুষের রচিত কল্প কাহিনী ব্যতীত আর কিছুই নয়। তবে দেখে নেয়া যাক বিভিন্ন পুরাণ আর বিভিন্ন ধর্মে কুমারী মা নিয়ে প্রচলিত কাহিনিগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
গ্রীক পুরাণ অনুযায়ীঃ
সৃস্টির শুরুতে পৃথিবী ছিলো না, সমুদ্র ছিলো না, আকাশ ছিলো না , ছিলো শুধু অসীম অনন্ত শুন্যতা, বিশৃংখল নিরাকার অন্ধকার। সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই ছিলো কিন্তু তার কোন গুনাবলি ছিলো না, পৃথিবীর আকার ছিলো না ,পানির তরলতা ছিলো না আকাশে আলো ছিলো না। একটা মাত্র পাখি ছিলো নাম তার নিক্স। কালো ডানার পাখি নিক্স সোনালী ডিম পেড়ে যুগের পর যুগ তাতে ‘তা’ দেওয়ার পর একদিন প্রানের লক্ষন দেখা গেলো এবং আরো কিছুদিনপর ডিম ফেটে জন্ম নিলেন ভালোবাসার দেবতা এরোস। ডিমের খোসার এক অংশ বাতাসের উপরে উঠে গিয়ে হলো আকাশ আর অপর অংশ হলো পৃথিবী। এরোস আকাশের নাম রাখলেন ইউরেনাস আর পৃথিবীর নাম রাখলেন গাইয়া, তারপর এরোস, গাইয়া এবং ইউরেনাসের মনে ভালোবাসা সঞ্চার করলেন।
গাইয়া এবং ইউরেনাসের অনেক সন্তান সন্ততি হলো, নাতিপুতি হলো। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ক্রোনাস। ক্রোনাস তার সন্তানদের কেউ হয়ত তার চেয়ে শ্রেষ্ঠতর হয়ে যাবে এই ভয়ে জন্ম মাত্রই তাদের গিলে খেয়ে ফেলতে লাগলেন। কিন্তু ক্রোনাস স্ত্রী রিয়া তাদের সবচে ছোট সন্তানকে লুকিয়ে রাখলেন। যখন ক্রোনাস সন্তান চাইলেন তিনি কম্বলে জড়ানো এক টুকরো পাথর দিলেন আর ক্রোনাস তাই গলাধঃকরন করলেন। এই সন্তান হলেন জিউস। জিউস যখন বড় হলেন তখন বাবার হাত থেকে তার ভাই বোনদের কৌশলে রক্ষা করতে থাকলেন। তারপর জিউসে্র নেতৃত্বে পিতার বিরুদ্ধে তারা অনেক বছর যুদ্ধ করে জয়ী হলেন। তারা আকাশকে গ্রহ নক্ষত্র দিয়ে সাঁজালেন আর পৃথিবীতে সাঁজালেন প্রানী দিয়ে। এরপর জিউস তার দুই পুত্র প্রমিথিউস এবং এপিমেথিউস এই দুজনকে পৃথিবীতে পাঠালেন মানুষ এবং অন্যান্য প্রানী তৈরী করে প্রত্যেককে একটা করে উপহার দিতে।
প্রমিথিউস দেবতাদের অনুকরনে সৃস্টি করলেন মানুষ এবং এপিমিথিউস সৃস্টি করলেন অন্যান্য প্রানী। এপিমিথিউস অনেক আগেই প্রানী সৃস্টি করে প্রত্যককে উপহার দিলেন। মানুষ সৃস্টি শেষ হলে প্রমিথিউস যখন তাদের উপহার দেওয়ার জন্য এলেন এপিমিথিউস তাকে লজ্জিতমূখে জানালেন আর কোন উপহার অবশিষ্ট নেই, সবই দিয়ে ফেলেছেন প্রানীদের। তখন বিষন্ন প্রমিথিউস ঠিক করলেন মানুষকে তিনি আগুন উপহার দেবেন।
পরদিন সকালে সূর্য্য আকাশে ওঠার পর তিনি সেখান থেকে আগুন চুরি করে এনে মানুষদের কে আগুনের ব্যবহার শেখালেন। আগুনের উপর দেবতা ছাড়া অন্য কারো ব্যবহার করার অধিকার ছিল না। জিউস প্রমিথুসের এই কাজ জানতে পেরে তাকে শাস্তি স্বরুপ এক পাহাড়ের সাথে বেধে রাখলেন। অনন্ত কাল ধরে প্রতিদিন ঈগল এসে তার লিভারের কিছু অংশ খেয়ে যায়।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ীঃ
গীতার কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছেন কৃষ্ণ। হিন্দুশাস্ত্রীয় বিবরণ বা লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল খ্রীষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সম্প্রদায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষ্ণের পূজা করে থাকে। একাধিক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে তাকে বিষ্ণুর অবতার রূপে গণ্য করা হয়; অন্যদিকে কৃষ্ণধর্মের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলিতে তাকে ঈশ্বর এর মর্যাদা দেওয়া হয়। কৃষ্ণকে যেহেতু ঈশ্বর হিসেবে বিশ্বাস করা হয় সেহেতু তাদের কাছে গীতা হচ্ছে ঈশ্বরের বাণী। অন্যদিকে আবার তারা যেহেতু ঈশ্বরকে স্বচক্ষে দেখে বিশ্বাস করে সেহেতু তারা খ্রীষ্টান, মুসলিম, ও ইহুদীদেরকে ‘অন্ধ বিশ্বাসী’ বলে সমালোচনা করে থাকে। যদিও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেমন রাম ও কৃষ্ণকে মানুষরূপী ঈশ্বর হিসেবে বিশ্বাস করে, খ্রীষ্টানরাও তেমনি যীশুকে মানুষরূপী গড বা গডের পুত্র হিসেবে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও মুসলিম ও ইহুদীদের সাথে খ্রীষ্টানদেরকেও ‘অন্ধ বিশ্বাসী’ বলা হয়! কৃষ্ণ যাদব-রাজধানী মথুরার রাজপরিবারের সন্তান। তিনি বসুদেব ও দেবকীর অষ্টম পুত্র। তাঁর পিতামাতা উভয়ের যাদববংশীয়। দেবকীর দাদা কংস তাঁদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। একটি দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তাঁর মৃত্যু হবে। এই কথা শুনে তিনি দেবকী ও বসুদেবকে কারারুদ্ধ করেন এবং তাঁদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন। দেবকী তাঁর সপ্তম গর্ভ রোহিণীকে প্রদান করলে, বলরামের জন্ম হয়। এরপরই কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে বসুদেব তাঁকে গোকুলে তাঁর পালক মাতাপিতা যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন। কৃষ্ণ ছাড়া বসুদেবের আরও দুই সন্তানের প্রাণরক্ষা হয়েছিল। প্রথমজন বলরাম যিনি বসুদেবের প্রথমা স্ত্রী রোহিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন এবং সুভদ্রা বসুদেব ও রোহিণীর কন্যা, যিনি বলরাম ও কৃষ্ণের অনেক পরে জন্মগ্রহণ করেন। ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, কোনো প্রকার যৌনসংগম ব্যতিরেকেই কেবলমাত্র "মানসিক যোগের" ফলে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, সেযুগে এই ধরনের যোগ সম্ভব ছিল।
কুন্তির আসল নাম পৃথা। তিনি শ্রীকৃষ্ণের পিসি। একবার মহর্ষি দুর্বাসা অতিথিরূপে গৃহে এলে কুন্তি তাঁকে আতিথেয়তা ও পরিচর্যায় সন্তুষ্ট করেন। দুর্বাসা তাঁকে এক অমোঘ মন্ত্র শিখিয়ে দিয়ে বলেন যে, এই মন্ত্রের প্রভাবে কুন্তি যে-দেবতাকে স্মরণ করবেন সেই দেবতাই তাঁর নিকটে আসবেন এবং তাঁর সাহায্যে কুন্তির পুত্রলাভ হবে। বর পেয়ে যে কোনো দেবতার সঙ্গে পুত্রসন্তান জন্মাতে পারবেন জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে কিছু না বুঝেই কিশোরী কুন্তি কৌতূহলবশত মন্ত্রের গুণাগুণ পরীক্ষা করার জন্যে সূর্যদেবকে ডেকে বসেন। আসলে কুমারী কুন্তিদেবী গুরুদেবের দেওয়া মন্ত্রের গুরুত্ব না বুঝে ভুলক্রমে বিবাহের পূর্বে সন্তান প্রার্থনার মন্ত্রটা পাঠ করে ফেলেছিলেন। ফলে অবিবাহিত অবস্থায় তাঁর গর্ভে জন্ম নেন কর্ণ। সূর্য যথারীতি চলে যান নিজ গৃহে কুন্তির গর্ভে সন্তানের ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করে। তবে কুন্তি যে জেনেশুনেবুঝে সূর্যকে ডাকেননি এটা বুঝতে পেরে সূর্য কুন্তিকে পুনরায় কুমারীত্বে ফিরে যাওয়ার আশ্বাস দেন পুত্রজন্মের পর, এবং সেটা ঘটে। কৌমার্য হারালে কুন্তির আর বিয়ে হতো না। যথাসময়ে পুত্র কর্ণের জন্ম হয়। মা-বাবা বা সমাজ কেউ কুন্তিকে এই অবস্থায় গ্রহণ করতে পারবে না বলে পুত্র কর্ণকে তিনি জলে ভাসিয়ে দেন। এক সন্তানহীন রথচালক ও তার স্ত্রী আদি রাধা কর্ণকে প্রতিপালন করেন। অতঃপর স্বয়ংবর-সভার মাধ্যমে কুন্তির সঙ্গে বিয়ে হলো পান্ডুর। পান্ডু সন্তান উৎপাদনক্ষম ছিলেন না। হরিণের বেশে রতিক্রিয়ায় রত দুই ঋষিকে শিকার করায় তাঁর প্রতি দেবতার অভিশাপও ছিল, কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করলেই তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। পান্ডু কুন্তিকে অনুরোধ করেন, দুর্বাসার দেওয়া মন্ত্রের মাধ্যমে সন্তান উৎপাদন করতে। কুন্তি তখন একে একে তিন ধর্মদেবতাকে স্মরণ করে তিন পুত্র লাভ করেন। যমরাজের সঙ্গে জন্ম নেন যুধিষ্ঠির, বায়ুর সঙ্গে ভীম আর ইন্দ্রের সঙ্গে অর্জুন। পৌরুষত্বহীন, নির্জীব পান্ডুকে বিয়ে করে শরীরের কামনা-বাসনা চরিতার্থ করতে পারেননি কুন্তি। কিন্তু মন্ত্র ও বরের শক্তিতে তিন দেবতাকে দিয়ে তিন পুত্রের জননী হয়েছেন। এছাড়া, পান্ডু অন্য স্ত্রী মন্দ্রাকে সেই গোপন মন্ত্র শিখিয়ে তাঁর দ্বারাও পান্ডুকে দুই পুত্র, সহদেব আর নকুল, দান করতে সমর্থ হন কুন্তি।
মিশরীয় পুরাণ অনুযায়ীঃ
আইসিস, পৃথিবীর অধিকর্তা গেব স্বর্গের অধিকর্তী নাট দেবীর চার সন্তানের একজন। আইসিস এবং তাঁর স্বামী অসিরিস ছিলেন জমজ ভাই বোন। তাদের অন্য দুই ভাইবোন নেফথিস এবং তার স্বামী সেথও ছিলেন জমজ। এক রাতে অসিরিস নেফথিসকে তার স্ত্রী আইসিস মনে করে তার সাথে রাত্রি যাপন করে। যার ফলশ্রুতিতে জন্ম নেয় আনুবিস । নেফথিসের স্বামী সেথ ব্যাপারটা স্বভাবতই সহজ ভাবে মেনে নিল না। গোপনে সে ফন্দি আঁটতে শুরু করল কি করে অসিরিসকে হত্যা করা যায়। তার গোপন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেথ গোপনে অসিরিসের দেহের মাপ নেয় এবং সেই মাপে একটি সুন্দর কারুকার্য খচিত কফিন তৈরী করে যাতে সেই কফিনে নিখুঁত ভাবে অসিরিসের দেহ এঁটে যায়। একদিন দেবতাদের ভরা মজলিশে সেথ তার কারুকার্য মন্ডিত কফিনটি প্রদর্শন করে এবং ঘোষণা দেয় যে এই কফিন যার দেহের সাথে নিখুঁত ভাবে মানিয়ে যাবে কফিনটি তাকে উপহার দেয়া হবে। মজলিশের সবাই একে একে তাদের মাপ দেয়ার জন্য যায় কিন্তু কারো সাথেই কফিনটি মিলে না। অবশেষে অসিরিস কফিনের ভেতর যায় এবং তা আবশ্যিক ভাবেই তার সাথে একদম মিলে যায়। এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অসিরিস কফিনে ঢোকা মাত্রই সেথ কফিনের ঢাকনা বন্ধ করে দেয় এবং কফিনে বন্দী করে নীল নদে ডুবিয়ে তাকে হত্যা করে। আনুবিসের জন্মের কারণে অসিরিসের মৃত্যুর উপাখ্যানের মাধ্যমেই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় শেয়াল দেবতা আনুবিস মৃত্যুর দেবতার আসনে আসীন হয়। আর অসিরিসের মৃত্যু হয়ে উঠে নীল নদের বন্যা এবং উর্বরতার প্রতীক। আর এই বন্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয় মৃত্যুর দেব শেয়াল দেবতা আনুবিস। এদিকে অসিরিসের মৃতদেহ নীল নদে ভেসে ভেসে সিরিয়ার উপকূলে চলে যায়। এবং সমুদ্র সৈকতে তার শবদেহ সহ কফিনটি একটি গাছে পরিণত হয়। যার থেকে বেরুতে থাকে দারুণ সুগন্ধ। এদিকে সিরিয়ার রাজার সেসময় একটি ছেলে সন্তান জন্ম নিয়েছে। রাজা গাছের সুখ্যাতি এবং সুবাসের কথা শুনে তার সন্তানকে উপহারের জন্য গাছটি কেটে এনে প্রাসাদের থাম বানিয়ে রাখে। এদিকে আইসিস তার স্বামীকে খুজতে বের হয়। নীল নদের ধারে ধারে স্বামীর মৃতদেহ খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে হাজির হয় সিরিয়াতে। সিরিয়াতে উপস্থিত হয়েই আইসিস লোকমুখে সেই আশ্চর্য কারুকার্য খচিত গাছ এবং তার সুবাসের কথা শুনতে পায়। এবং শোনা মাত্রই তার স্থির বিশ্বাস জন্মে এটাই তার স্বামীর মৃতদেহের পরিবর্তিত রুপ। অবশেষে স্বামীর খোঁজে আইসিস রাজার সন্তানের পরিচারিকা হিসেবে কাজ নেয়। রাজা তার সন্তানের প্রতি আইসিসের মমত্ব দেখে আপ্লুত হয় এবং আইসিসকে তার ইচ্ছা মতো রাজার থেকে পুরষ্কার নিতে বলে। তখন আইসিস সেই সুগন্ধী গাছের থামটা চেয়ে নেয়। তারপর সেই থাম নিয়ে রাজকীয় নৌকায় চড়ে আইসিস মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে আইসিস সেই গাছের থামের সাথে মিলিত হয় এবং তাদের এই মিলনের ফলে জন্ম নেয় দেবতা হোরাস ।
তুলনামূলক মিথ তত্ত্বে হোরাসকে প্রাচীন মিশরের যীশুও বলা হয়। যে প্রাচীন মিশরের কুমারী মাতা আইসিসের পুত্র।
অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ফেল্কন পাখির দেহ নিয়ে হোরাস ছিলো মিশরীয় দেবতা। আনুমানিক ৩০০০ বিসি এর সময়ের হোরাসকে মিশরীয়রা সান অব গড (সূর্য দেবতা) হিসেবে জানত। আমাদের আধুনিক সময় গণনার সূর্যভিত্তিক যে সিস্টেম তা কিন্তু এসেছে এই হোরাস থেকেই। আরও সহজভাবে বললে horus শব্দ টিকে একটু উল্টিয়ে পাল্টিয়ে লিখলেই কিন্তু hours শব্দটি চলে আসে যাকে আমরা এখন দিনের ২৪ ভাগের এক ভাগ বলি। তাছাড়া সূর্যোদয়ের (হোরাসের উদয়) যেদৃশ্য যদি আমরা দেখি তা কিন্তু আমরা দিগন্ত কে হরাইজনটালি রেখে। এই horizon শব্দটা এসেছে horus has risen থেকে। এবার আসি যীশুর কথায়। খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচারক যীশু ছিলেন savior of humanity. মরার আগ পর্যন্ত যীশু এক ঈশ্বর এর বানী প্রচার করে গেছেন। কিন্তু তার আমাদের সামনে তার যে জীবনী আছে তা যদি আমরা ভালভাবে দেখি তাহলে আমরা তাকে বলতে পারি replica of horus। এই যীশু আর হোরাস মিলের ব্যাপারটা সবার আগে খেয়াল করেন MASSEY (1828-1927) নামের একজন ইংরেজ কবি, মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে যার ছিলো প্রবল আগ্রহ। মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে যখন তিনি গবেষণা শুরু করলেন তখনি একদিন যীশু আর হোরাসের মিলের ব্যাপারটি তিনি খেয়াল করেন।
হোরাস এবং যীশুর মধ্যে মিলগুলোঃ
১। যতটুকও জানা যায় যীশু জন্মের প্রায় ৩০০০ বছর পূর্বে হোরাসের পৃথিবীতে আগমন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে তারা দু জনই জন্ম গ্রহণ করেন ২৫ ই ডিসেম্বর।
২। তাদের দু জনের জন্মই কুমারী মাতার গর্ভে। যীশুর মা ছিলেন মেরী অন্যদিকে হোরাসের মা ছিলেন আইসিস যিনি আইসিস মেরি নামেও পরিচিত ছিলেন।
৩। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে যীশুর জন্মের সময় স্টার সিরিয়াস এবং থ্রি কিংস নামে তিনটি তারা একই লাইন বরাবর ছিলো। আশ্চর্যের ব্যাপার হল হোরাসের কাহিনীতেও এই চারটা তারা একইভাবে ছিলো। তাছাড়া দুজনের জন্মই গুহার মধ্যে।
৪। দুজনেরই ১২ জন করে শিষ্য ছিলো।
৫। যীশুর সিম্বল ছিল fish,beetle,the vine &shepard’s cross. এই চারটি সিম্বলের প্রত্যেকটিই হোরাসের সিম্বল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৬। তারা দুজনেই একই রকম মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পারতেন। যেমন দুজনেই পানির উপরে হাঁটতে পারতেন।
৭। তারা জনেই ক্রুচিফাইড হন।
৮। তারা দুজনেই নিজ নিজ অনুসারিদের নিকট king of kings, son of god, light of the world, savior of humanity ইত্যাদি নামে পরিচিত।
আরও অনেক মিল আছে তাদের মধ্যে। এসব মিল শুধুমাত্র co-incidence নয়। খুব সুকৌশলে যীশুর ইতিহাস গুলিয়ে ফেলা হয়েছে হোরাসের সাথে। পৃথিবীর মানুষজনকে সত্য ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হয়েছে। কালক্রমে খুব ধীরে ধীরে তার ইতিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে, সাথে সাথে বদলে দেওয়া হয়েছে যীশুর অনেক ইতিহাস, এভাবেই দুজনকে একবিন্দুতে নিয়ে আসা হয়েছে, বানান হয়েছে একই রকম সত্ত্বা। আসলে এটা হাজার বছর ধরে চলা একটি পুরনো ষড়যন্ত্র। এটা ধর্মের সাথে ধর্মের সংঘাত, সত্যর সাথে মিথ্যার, আলোর সাথে আঁধারের সংঘাত। যারা এই কাজটি করছে তারা সবসময় চেয়েছে একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো এবং এগুলোর প্রচারকদের প্রকৃত ইতিহাস কখনই মানুষ না জানুক। তাদের ষড়যন্ত্র এর শিকার মুসা (আঃ), ইসা (আঃ), মুহাম্মদ (সাঃ) সহ অনেক নবী রাসুলগণ। তবে যীশুর ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি সফল।
খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ীঃ
খৃস্ট ধর্মমতে যীশু স্বয়ং ঈশ্বর পুত্র। খৃস্ট ধর্মানুসারীদের মতে ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্নিত মসীহ হলেন যীশু। খৃস্ট ধর্মমতে মসীহ বলতে বোঝায় “ঈশ্বর কর্তৃক অভিষিক্ত”, ইহুদী ধর্মমতে “যিনি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন”, ইসলাম ধর্মমতেও ইহুদী ধর্মের অনুরূপ, তবে ইহুদী ধর্মানুসারীদের মতে যীশুর মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী নবীদের গুণাবলী ছিলো না, আর ইসলাম ধর্মমতে গুণাবলী ছিলো তবে ঈশ্বরের পুত্র না। ইহুদী ধর্মে যীশু’র স্বীকৃতি না থাকলেও ইসলাম ধর্মে যীশুকে ঈসা নবী বলে মান্য করা হয়।
মেরী’র সাথে যোসেফের বিয়ে ঠিকঠাক। এমন সময় গ্যাব্রিয়েল হাজির। কুমারী মেরীকে গ্যাব্রিয়েল এসে বলে তোমাকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেছেন। মেরী তো আতংকে অস্থির, আবার কি হলো! গ্যাব্রিয়েল বললো ভয় করোনা মেরী, ঈশ্বর তোমার সাথেই আছেন, তিনি তোমাকে দয়া করেছেন। তোমার একটা পুত্র সন্তান হবে। সেই পুত্র হবে স্বয়ং ঈশ্বরের পুত্র। নাম হবে যীশু, যীশু ডেভিডের সিংহাসনে বসবে। য্যাকবের বংশের উপর চিরকাল রাজত্ব করবে। এই কথা শুনে হাহাকার করে উঠলেন মেরী, বললেন, আমার তো এখনও বিয়েই হয়নি, বাচ্চা হবে কিভাবে! উত্তরে গ্যাব্রিয়েল বললেন, তোমার উপর পবিত্র আত্মা ভর করবে, ঈশ্বরের শক্তির ছায়া তোমার উপর পরবে। এতে যে পুত্র জন্মগ্রহন করবে সে হবে ইশ্বরপুত্র। মেরী’র অবিশ্বাস অবস্থা দেখে গ্যাব্রিয়েল আবারো শুরু করলেন, ঈশ্বরের কাছে অসম্ভব কিছু নেই। মেরী এই কথা যোসেফকে জানালেন, যোসেফ মেরীর কথা বিশ্বাস করে মেরীকে লজ্জা থেকে বাঁচাতে ছেড়ে দিবেন ভাবলেন। স্বপ্নে ঈশ্বরের একজন দূত স্বরুপে যোসেফকে দেখা দিলেন, বললেন, ভয় করোনা ডেভিডের বংশধর যোসেফ! মেরীর গর্ভে ঈশ্বরের পুণ্যাত্মা আসছে, ওর নাম রেখো ইমানুয়েল। ইমানুয়েল মানে হলো ঈশ্বর আমাদের সংগে আছেন। কথামত কাজ করলেন যোসেফ। মেরীকে বিয়ে করলেন কিন্তু মিলিত হলেন না। ছেলের জন্ম হওয়ার পর নাম রাখলেন যীশু। ইহুদিয়া রাজ্যের সম্রাট ছিলেন অগাস্ট। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তার রাজ্যের গণনা’র জন্য সবার নাম লিখা হবে। নাম লিখাবার জন্য সবাই নিজ নিজ গ্রামে যেতে লাগলেন। রাজা ডেভিডের জন্মস্থান ছিলো ইহুদিয়া রাজ্যের গ্যালিলি প্রদেশের বেথেলহেম গ্রাম। যোসেফ নাজারেথ গ্রাম থেকে বেথেলহেমে রওনা করলেন, সাথে গর্ভবতী স্ত্রী মেরী। বেথেলহেমে থাকা অবস্থায়ই সন্তান প্রসবের সময় চলে আসলো। জন্ম হলো নাজারেথ যীশু’র। গ্রামে তাদের থাকার যায়গা ছিলো না, সদ্য ভুমিষ্ট যীশুকে তাই যবপাত্রে রাখা হলো।
খৃস্ট ধর্ম প্রচারক যীশু'র জন্ম একটি বিতর্কের বিষয়। খৃস্ট ও ইসলাম ধর্মমতে পিতা ছাড়াই কুমারী মাতা মেরীর গর্ভে যীশু’র জন্ম হয়েছিলো। খৃস্ট ধর্মমতে যীশু’র পিতা স্বয়ং ইশ্বর, আর ইসলাম ধর্মমতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার ক্ষমতা বলে কুমারী মাতার গর্ভে যীশুকে স্থান দিয়েছিলেন। যীশু’র বংশধরেরা ছিলেন ক্ষমতাবান ধর্মপ্রচারক ও রাজ বংশীয়। মেরী’র সাথে যোসেফ’র (নবী ইউসুফ) বিয়ে যখন ঠিকঠাক, তখনি মেরী’র গর্ভে সন্তান এলো। বিন্দুমাত্র বাস্তব জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বীকার করবে স্বামী ছাড়া কেবল ইশ্বরের আশীর্বাদে সন্তানের জন্ম সম্ভব না। যোসেফের সাথে অবশ্যই মেরী’র বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক ছিলো। যার ফলে মেরির গর্ভে সন্তান আসে। ক্ষমতাশালী পরিবার হওয়ায় ব্যাপারটা ইশ্বরের ইচ্ছা বলে চালিয়ে দিয়ে মেরী-যোসেফ সহ তাদের পরিবার পার পেয়ে গিয়েছিলো। কেননা ইব্রাহীমের বংশের কোন পুরুষের লাম্পট্য কোনভাবেই গ্রহনযোগ্যতা পেত না। যোসেফের নিজ বংশীয় ডেভিডের প্রচারিত ধর্মে মসীহের আগমনের সংবাদ ছিলো। সুচতুর যোসেফ আর মেরী পরিবারের অন্যদের সহায়তায় রটিয়ে দিলো গর্ভে আসা সন্তানই হবে সেই মসীহ। যীশু নাম নিয়ে সে ঈশ্বরের সত্য ধর্ম প্রচার করবে। ঐসময় এলাকার কিছু মানুষ আপত্তি তুললে মেরী ও যোসেফ বেথেলহেমে চলে যায়, সেখানেই জন্ম হয় যীশু’র। যোসেফের সাথে মেরীর বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেই কিন্তু মেরী গর্ভবতী হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারনেই বিয়ে ঠিক হয়েছিলো কিনা তাই বা কে জানে। ততকালীন সময়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দুধ ভাত হলেও মেরী-যোসেফের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হেলাফেলার বিষয় ছিলো না। কারন মেরীর পিতা য্যাকব, বোন এলিজাবেথ ও জামাই যাকারিয়াও ধর্ম প্রচারক ছিলেন।
আমরা বহু আগে থেকেই জানি, শুধুমাত্র পিতা অথবা মাতা হতে সন্তান জন্ম সম্ভব না। ছেলে সন্তানের জন্য যেই সেক্স ক্রোমোসোম Y লাগে তা শুধুমাত্র পুরুষ হতেই পাওয়া সম্ভব। যেহেতু খৃস্ট ধর্মমতে কোন পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াই কেবল মেরী হতে যীশু’র জন্ম হয়েছিলো, আর তিনি ইশ্বর পুত্র, তাই এই গাজাখুরি কথার পিঠে বলা যায় স্বয়ং ইশ্বরের সাথে মেরীর সম্পর্ক ছিলো, ইশ্বরের শুক্রানু থেকেই যীশু’র জন্ম। তাহলে আবার "নিরাকার" ইশ্বরের তত্ত্ব টিকেনা। আরেকটা কথা বলা যায় মেরীর শরীরেই ডিম্বানু ও শুক্রানু উৎপন্ন হয়েছিলো, তা নিষিক্ত হয়েই যীশু’র জন্ম। স্বাভাবিক কোন নারীর পক্ষে এইসব অসম্ভব ব্যাপার। ধর্মীয় মতেও আবার এই যুক্তি টিকেনা। কারন মেরীকে সবচেয়ে নিখুঁত নারী হিসেবেই খৃস্ট ধর্মাবলম্বীরা মানে, ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কোরআনেও মেরীকে একমাত্র নিখুঁত নারী বলা হয়েছে (দ্রষ্টব্যঃ সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১, হাদিস ৫৯৬৬)। হয় যোসেফের সাথে মেরীর যৌন সম্পর্ক ছিলো, অথবা তার পরিবারেরই কারো সাথে!
বিজ্ঞান অনুযায়ী একজন কুমারী নারীর মা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
একজন কুমারী নারীর কোন রকম যৌন সম্পর্ক ছাড়া মা হওয়া সম্ভব। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। একজন কুমারীকে মা হতে হলে তার নিজের ডিম্বগুলোর একটিকে অবশ্যই গর্ভনিষেক নির্দেশক জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন করতে হবে এবং শুক্রানু ডিএনএ'র অভাব পুরণের জন্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে হবে। এই ব্যাপারটা অনেকটাই সহজ এবং ডিম্ব বা ডিম্বপূর্ব অবস্থার কোষগুলোতে এই ঘটনা ঘটতে পারে, যার সম্ভাবনা কয়েক হাজার নারীর মধ্যে একজন। কিন্তু একটি সফল বাচ্চা দিতে ডিম্ব'কে কমপক্ষে দুটি বিশেষ জ্বীনগতভাবে মুছন কাজ করতে হবে। স্পাইক সেন্স করার পর ডিম্ব ভাগ হতে শুরু করে। শুক্রানু প্রবেশের সময় এটি স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। কিন্তু সতঃস্ফুর্ত ক্যালসিয়াম স্পাইকও দেখা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে ডিম্ব তার কাজ যথারীতি শুরু করতে পারে। ত্রুটিযুক্ত শুক্রানু যাতে ডিএনএ নেই ফেইক ক্যালসিয়াম স্পাইক তৈরি করতে পারে। নিষেক হওয়ার পর ডিম্বকোষ বিভাজনের ফাইনাল স্টেইজ সম্পন্ন করতে পারে মিওসিস-২ । এই সময় ডিম্ব তার অর্ধেক জ্বীনবস্ত হারায়, যাতে শুক্রানুর ডিএনএ স্থান পেতে পারে। কিন্তু যদি শুক্রানু না থাকে তাহলে বিভাজিত প্রত্যেক অর্ধডিম্বকোষ ধীরে ধীরে কমে আসবে এবং উভয় কোষের মৃত্যু ঘটবে। কুমারী জন্মদান অব্যাহত রাখতে হলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিষিক্ত ডিম্বের মিওসিস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেয়া যাবে না।
মানবজাতির মধ্যে যৌনসংসর্গ ব্যতীত সন্তানজন্ম Parthenogenesis আপাতঃদৃষ্টিতে সম্ভব নয়। কারণ ডিম্বানু এবং শুক্রানু উভয়ের সিগন্যালই প্রয়োজন। একটি অনুপস্থিত থাকলে অন্যটি প্রকট থাকবে এবং ফাইনালি নিষিক্ত ডিম্ব মারা যাবে। কাজেই মানবজাতির মধ্যে কুমারী মাতার সন্তান জন্মদান সম্ভব হলেও তার সম্ভাবনা খুবই কম। মূলত এই যে জ্বীনগত মুছনকার্য এর সম্ভাবনা এক বিলিয়নভাগের একভাগ।
এবার ব্লগার মুদ্দাকির তার একটি পোস্টে কি বলছেন দেখে নেয়া যাকঃ
ভালোবাসার জৈবিক বিজ্ঞান টেষ্টোস্টেরন
এই যুক্তি খন্ডানোর আগে আবার হিন্দু শাস্ত্র থেকে কুমারী পূজা সম্পর্কে কিছু ধারনা নেয়া যাকঃ
বৃহদ্ধর্মপুরাণ এ রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তখন শরৎকাল, দক্ষিণায়ণ। দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই, ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারন করলেন।
সব নারী ভগবতীর এক একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। দুর্গাপূজার অষ্টমী বা নবমীতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছরের একটি কুমারীকে প্রতিমার পাশে বসিয়ে দেবী প্রতিমা চিন্তা করে পূজা করা হয়। এটা মাতৃভাবের প্রতিই শ্রদ্ধা নিবেদন।
চণ্ডীতে বলা হয়েছে, “যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা। নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নম”
অর্থঃ সকলের মধ্যে মায়ের রূপ ধরে যে দেবী বিরাজিতা, তাঁকে পুনঃপুন নমস্কার করি।
সঠিকভাবে পূজা হলে মন বিশুদ্ধ হয়, ঈশ্বরের কৃপালাভ হয়। বয়স অনুসারে কুমারীর নানা শাস্ত্রীয় নাম হয়ে থাকে। যেমনঃ কালিকা, সুভগা, উমা, মালিনী ইত্যাদি। শান্ত, পবিত্র, সর্তশীলা এসব দৈবী সম্পদের অধিকারিণী কুমারীই জগজ্জননীর প্রতিমারূপে গ্রহণে বিধান আছে। ব্রহ্ম ও শক্তি অভিন্ন। যাঁকে ঈশ্বর, হরি, গড প্রভৃতি বলা হয়, তাঁকেই মাতৃভাবে সাধনার সময় বলা হয় জগজ্জননী। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানবজাতির ক্ষেত্রে মায়ের নীরব অবদানের ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব। নারী শক্তিরূপিণী। তাঁর সঠিক মূল্যায়নের অভাবে আমাদের অবক্ষয় নেমে আসে। আবার তাঁর উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজ হয় কল্যাণমুখী। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “মেয়েদের পূজা করেই সব জাত বড় হয়েছে। যে দেশে, যে জাতে মেয়েদের পূজা নেই, সে দেশ, সে জাত কখনও বড় হতে পারেনি, কস্মিন্কালেও পারবে না”।
“যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তএ দেবতা। যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যতে সর্বাস্তত্রাফলা ক্রিয়া”।
অর্থঃ যেখানে নারীগণ পূজিতা হন, সেখানে দেবতারা প্রসন্ন। যেখানে নারীগণ সম্মানিতা হন না, সেখানে সকল কাজই নিষ্ফল। (মনুসংহিতা, ৩.৫৬) যেখানে স্ত্রীলোকের আদর নেই, স্ত্রীলোকেরা নিরানন্দে অবস্থান করে, সে সংসারের, সে দেশের কখনও উন্নতির আশা নেই।
মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব রূপ কুমারী পূজা। কুমারীতে সমগ্র মাতৃজাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তি, সকল কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্মরূপে বিরাজিতা। তাই কুমারী পূজা। কুমারী প্রতীকে আমাদের মাতৃরূপে অবস্থিত। সর্বব্যাপী ঈশ্বরেরই মাতৃভাবে আরাধনা। যে জাতির মধ্যে শুদ্ধা, শিক্ষিতা, করুণাময়ী মায়ের সংখ্যা বেশি সে মাতৃজাতির সন্তানেরা সমাজের আদর্শ সন্তান। নিজ নিজ শক্তির বিকাশের জন্য সমগ্র নারী জাতির প্রতি প্রয়োজন নিজের মায়ের শ্রদ্ধা। তাই কুমারী পূজার মাধ্যমে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। যিনি সকল প্রাণীতে মাতৃরূপে আছেন, তাকে প্রণাম। কুমারী পূজার প্রণামে আছে তিনি “পরমভাগ্যসন্দায়িনীম এবং ভুবনবাক কুমারীং ভজে”। অর্থঃ কুমারী প্রতীকে জগজ্জননীর পূজায় পরম সৌভাগ্য লাভ হয়। এ কুমারী সমগ্র জগতের বাক্যস্বরূপা, বিদ্যাস্বরূপা। তিনি এক হাতে অভয় এবং অন্য হাতে বর প্রদান করেন। অন্য ধ্যান আছে, “ভদ্রবিদ্যাপ্রকাশিনীম”। তিনি সকল শুভ বিদ্যার প্রকাশিকা। তাই মাতৃজাতির প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমরা আমাদের সমাজ ও জীবনকে মহৎ করে তুলতে পারি। শাস্ত্রকাররা নারীকে সন্মান ও শ্রদ্ধা করতে এই পূজা করতে বলেছেন। আমাদের সনাতন ধর্মে নারীকে সন্মানের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে। “নিজেদের পশুত্বকে সংযত রেখে নারীকে সন্মান জানাতে হবে” এটাই কুমারী পূজার মূল লক্ষ্য। সকল নারীর মধ্যই বিরাজিত রয়েছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপেই মা দুর্গা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়েছিলেন। তাই, কুমারী রূপে নারীকে দেবীজ্ঞানে সন্মান জানানোর একটি বাস্তব উদাহরন হচ্ছে “কুমারী পূজা”।
এবার দেখে নেয়া যাক, মারিয়ামের সতীত্ব সম্পর্কে আল্লাহর সাক্ষ্যঃ
আল্লাহ পাক নিজেই মারিয়ামের সতীত্ব সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,
وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوْحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ- (التحريم ১২)-
অর্থঃ তিনি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন ইমরান তনয়া মারিয়ামের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ হতে রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বাণী ও কিতাব সমূহকে সত্যে পরিণত করেছিল এবং সে ছিল বিনয়ীদের অন্যতম (তাহরীম ৬৬/১২)।
মারিয়াম বায়তুল মুক্বাদ্দাসের খিদমত করতে থাকেন। সম্মানিত নবী ও মারিয়ামের বয়োবৃদ্ধ খালু যাকারিয়া (আঃ) সর্বদা তাকে দেখাশুনা করতেন। মেহরাবের উত্তর-পূর্বদিকে সম্ভবতঃ খেজুর বাগান ও ঝর্ণাধারা ছিলো। যেখানে মারিয়াম পর্দা টাঙিয়ে মাঝে-মধ্যে পায়চারি করতেন। অভ্যাসমত তিনি উক্ত নির্জন স্থানে একদিন পায়চারি করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মানুষের বেশে সেখানে জিবরাঈল (আঃ) উপস্থিত হন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে মারিয়াম ভীত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে কুরআনী বর্ণনা নিম্নরূপঃ
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَاناً شَرْقِيًّا- فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَاباً فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا- قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَن مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا- قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلاَمًا زَكِيًّا- قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلاَمٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا- قَالَ كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّا وَكَانَ أَمْرًا مَّقْضِيًّا- (مريم ১৬-২১)-
অর্থঃ (হে মুহাম্মাদ!) ‘আপনি এই কিতাবে মারিয়ামের কথা বর্ণনা করুন। যখন সে তার পরিবারের লোকজন হতে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে একস্থানে আশ্রয় নিলো’ (মারিয়াম ১৬)। ‘অতঃপর সে তাদের থেকে আড়াল করার জন্য পর্দা টাঙিয়ে নিলো। অতঃপর আমরা তার নিকটে আমাদের ‘রূহ’ (অর্থাৎ জিব্রীলকে) প্রেরণ করলাম। সে তার কাছে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল’ (১৭)। ‘মারিয়াম বলল, আমি তোমার থেকে করুণাময় আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যদি তুমি আল্লাহভীরু হও’ (১৮)। ‘সে বলল, আমি তো কেবল তোমার প্রভুর প্রেরিত। এজন্য যে, আমি তোমাকে একটি পবিত্র পুত্র সন্তান দান করে যাব’ (১৯)। ‘মারিয়াম বলল, কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণী নই’ (২০)। ‘সে বলল, এভাবেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজ ব্যাপার এবং আমরা তাকে (ঈসাকে) মানবজাতির জন্য একটা নিদর্শন ও আমাদের পক্ষ হ’তে বিশেষ অনুগ্রহরূপে পয়দা করতে চাই। তাছাড়া এটা (পূর্ব থেকেই) নির্ধারিত বিষয়’ (মারিয়াম ১৯/১৬-২১)। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) মারিয়ামের মুখে অথবা তাঁর পরিহিত জামায় ফুঁক মারলেন এবং তাতেই তাঁর গর্ভ সঞ্চার হলো (আম্বিয়া ২১/৯১; তাহরীম ৬৬/১২)। অন্য আয়াতে একে ‘আল্লাহর কলেমা’ (بِكَلِمَةٍ مِنْهُ) অর্থাৎ ‘কুন্’ (হও) বলা হয়েছে (আলে ইমরান ৩/৪৫)।
অতঃপর আল্লাহ বলেন,
فَحَمَلَتْهُ فَانتَبَذَتْ بِهِ مَكَانًا قَصِيًّا- فَأَجَاءهَا الْمَخَاضُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ قَالَتْ يَا لَيْتَنِي مِتُّ قَبْلَ هَذَا وَكُنتُ نَسْيًا مَّنْسِيًّا- فَنَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَا أَلاَّ تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا- وَهُزِّيْ إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا- فَكُلِيْ وَاشْرَبِيْ وَقَرِّيْ عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِيْ إِنِّيْ نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْماً فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنسِيًّا- (مريم ২২-২৬)-
অর্থঃ ‘অতঃপর মারিয়াম গর্ভে সন্তান ধারণ করলো এবং তৎসহ একটু দূরবর্তী স্থানে চলে গেলো’(মারিয়াম ২২)। ‘এমতাবস্থায় প্রসব বেদনা তাকে একটি খেজুর বৃক্ষের মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। তখন সে বলল, হায়! আমি যদি এর আগেই মারা যেতাম এবং আমি যদি মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতাম’ (২৩)। ‘এমন সময় ফেরেশতা তাকে নিম্নদেশ থেকে (অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী নিম্নভূমি থেকে) আওয়ায দিয়ে বলল, তুমি দুঃখ করো না। তোমার পালনকর্তা তোমার পাদদেশে একটি ঝর্ণাধারা সৃষ্টি করেছেন’ (২৪)। ‘আর তুমি খেজুর বৃক্ষের কান্ড ধরে নিজের দিকে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার দিকে সুপক্ক খেজুর পতিত হবে’ (২৫)। ‘তুমি আহার কর, পান কর এং স্বীয় চক্ষু শীতল কর। আর যদি কোন মানুষকে তুমি দেখো, তবে তাকে বলে দিয়ো যে, আমি দয়াময় আল্লাহর জন্য সিয়াম পালনের মানত করেছি। সুতরাং আমি আজ কারও সাথে কোন মতেই কথা বলব না’ (মারিয়াম ১৯/২২-২৬)।
যেহেতু ঈসা (আঃ) এর জন্মগ্রহণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে অলৌকিক, তাই তার গর্ভধারণের মেয়াদ স্বাভাবিক নিয়মের বহির্ভূত ছিল বলেই ধরে নিতে হবে। নয় মাস দশদিন পরে সন্তান প্রসব শেষে চল্লিশ দিন ‘নেফাস’ অর্থাৎ রজঃস্রাব হতে পবিত্রতার মেয়াদও এখানে ধর্তব্য না হওয়াই সমীচীন। অতএব ঈসাকে গর্ভধারণের ব্যাপারটাও যেমন নিয়ম বহির্ভূত, তার ভূমিষ্ট হওয়া ও তার মায়ের পবিত্রতা লাভের পুরা ঘটনাটাই নিয়ম বহির্ভূত এবং অলৌকিক। আর এটা আল্লাহর জন্য একেবারেই সাধারণ বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে সন্তান জন্ম হবে, মাকে দশ মাস গর্ভধারণ করতে হবে ইত্যাদি নিয়ম আল্লাহরই সৃষ্টি এবং এই নিয়ম ভেঙ্গে সন্তান দান করাও তাঁরই এখতিয়ার। এদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন,
إِنَّ مَثَلَ عِيْسَى عِنْدَ اللهِ كَمَثَلِ آدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُوْنُ- الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلاَ تَكُن مِّنَ الْمُمْتَرِيْنَ- (آل عمران ৫৯-৬০)-
অর্থঃ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকটে ঈসার দৃষ্টান্ত হলো আদমের মতো। তাকে তিনি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এবং বলেন, হয়ে যাও ব্যস হয়ে গেলো’। ‘যা তোমার প্রভু আল্লাহ বলেন, সেটাই সত্য। অতএব তুমি সংশয়বাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’ (আলে ইমরান ৩/৫৯-৬০)।
অর্থাৎ, আদমকে যেমন পিতা-মাতা ছাড়াই সৃষ্টি করা হয়েছে, ঈসাকে তেমনি পিতা ছাড়াই শুধু মায়ের মাধ্যমেই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এটাই যে সত্য এবং এর বাইরে যাবতীয় জল্পনা-কল্পনা যে মিথ্যা, সে কথাও উপরোক্ত আয়াতে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্য এই যে, যে বনু ইস্রাঈলের নবী ও রাসূল হয়ে ঈসা (আঃ) এর আগমন ঘটলো, সেই ইহুদী-নাছারারাই আল্লাহর উক্ত ঘোষণাকে মিথ্যা বলে গণ্য করেছে। অথচ এই হতভাগারা মারিয়ামের পূর্বদিকে যাওয়ার অনুসরণে পূর্বদিককে তাদের ক্বিবলা বানিয়েছে।
এর পরের ঘটনা, আল্লাহ বলেন,
فَأَتَتْ بِهِ قَوْمَهَا تَحْمِلُهُ قَالُوْا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا- يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوْكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا- (مريم ২৭-২৮)-
অর্থঃ ‘অতঃপর মারিয়াম তার সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলো। তারা বলল, হে মারিয়াম! তুমি একটা আশ্চর্য বস্ত্ত নিয়ে এসেছো। ‘হে হারূণের বোন! তোমার পিতা কোন অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না কিংবা তোমার মাতাও কোন ব্যভিচারিণী মহিলা ছিলেন না’ (মারিয়াম ১৯/২৭-২৮)।
কওমের লোকদের এ ধরনের কথা ও সন্দেহের জওয়াবে নিজে কিছু না বলে বিবি মারিয়াম তার সদ্য প্রসূত সন্তানের দিকে ইশারা করলেন। অর্থাৎ একথার জবাব সেই দিবে। কেননা সে আল্লাহর দেওয়া এক অলৌকিক সন্তান, যা কওমের লোকেরা জানে না।
আল্লাহ বলেন,
فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا- قَالَ إِنِّيْ عَبْدُ اللهِ آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا- وَجَعَلَنِيْ مُبَارَكاً أَيْنَ مَا كُنْتُ وَأَوْصَانِيْ بِالصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا- وَبَرًّا بِوَالِدَتِيْ وَلَمْ يَجْعَلْنِيْ جَبَّارًا شَقِيًّا- وَالسَّلاَمُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوْتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا- (مريم ২৯-৩৩)-
অর্থঃ ‘অতঃপর মারিয়াম ঈসার দিকে ইঙ্গিত করল। তখন লোকেরা বলল, কোলের শিশুর সাথে আমরা কিভাবে কথা বলবো’? (মারিয়াম ২৯)। ঈসা তখন বলে উঠলেন, ‘আমি আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব (ইনজীল) প্রদান করেছেন এবং আমাকে নবী করেছেন’ (৩০)। ‘আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে’ (৩১)। ‘এবং আমার মায়ের অনুগত থাকতে। আল্লাহ আমাকে উদ্ধত ও হতভাগা করেননি’ (৩২)। ‘আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন আমি মৃত্যুবরণ করবো এবং যেদিন জীবিত পুনরুত্থিত হবো’ (মারিয়াম ১৯/২৯-৩৩)।
ঈসার উপরোক্ত বক্তব্য শেষ করার পর সংশয়বাদী ও বিতর্ককারী লোকদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন,
ذَلِكَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِيْ فِيْهِ يَمْتَرُوْنَ- مَا كَانَ ِللهِ أَن يَّتَّخِذَ مِنْ وَلَدٍ سُبْحَانَهُ إِذَا قَضَى أَمْراً فَإِنَّمَا يَقُوْلُ لَهُ كُنْ فَيَكُوْنُ- وَإِنَّ اللهَ رَبِّيْ وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُ هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ- (مريم ৩৪-৩৬)-
অর্থঃ ‘ইনিই হলেন মারিয়াম পুত্র ঈসা। আর ওটাই হলো সত্যকথা (যা উপরে বর্ণিত হয়েছে), যে বিষয়ে লোকেরা (অহেতুক) বিতর্ক করে থাকে’ (মারিয়াম ৩৪)। ‘আল্লাহ এমন নন যে, তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন (যেমন অতিভক্ত খৃষ্টানরা বলে থাকে যে, ঈসা ‘আল্লাহর পুত্র’)। তিনি মহাপবিত্র। যখন তিনি কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন বলেন, হও! ব্যস, হয়ে যায়’ (৩৫)। ‘ঈসা আরও বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদের পালনকর্তা। অতএব তোমরা তাঁর ইবাদত কর। (মনে রেখো) এটাই হলো সরল পথ’ (মারিয়াম ১৯/৩৪-৩৬)।
মারিয়ামের গর্ভধারণ ও ঈসার জন্মগ্রহণ ছিলো সম্পূর্ণরূপে অলৌকিক ঘটনা। আল্লাহ পাক নিয়মের স্রষ্টা এবং তিনিই নিয়মের ভঙ্গকারী। তাকে কোন বিষয়ে বাধ্য করার মতো কেউ নেই। তিনি পিতা-মাতা ছাড়াই আদমকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর পিতা ছাড়াই শুধু মাতার মাধ্যমে ঈসাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি যা খুশী তাই করতে পারেন। ঈসা কোন উপাস্য ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন অন্যদের মত আল্লাহর একজন দাস মাত্র এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন সম্মানিত নবী ও কিতাবধারী রাসূল। ঈসা যে বিনা বাপে পয়দা হয়েছিলেন, তার অন্যতম প্রমাণ এই যে, কুরআনের সর্বত্র তাঁকে ‘মারিয়াম-পুত্র’ (عيسى ابن مريم) বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/৮৭, ২৫৩; আলে ইমরান ৩/৪৫ প্রভৃতি)। পিতা-মাতা উভয়ে থাকলে হয়তবা তাঁকে কেবল ঈসা বলেই সম্বোধন করা হতো, যেমন অন্যান্য নবীগণের বেলায় করা হয়েছে। অথচ মারিয়ামকে তার পিতার দিকে সম্বন্ধ করে ‘মারিয়াম বিনতে ইমরান’ (ابنت عمران) ‘ইমরান-কন্যা’ বলা হয়েছে (তাহরীম ৬৬/১২)। একমাত্র মারিয়ামের নাম ধরেই আল্লাহ তাঁর সতীত্বের সাক্ষ্য ঘোষণা করেছেন (তাহরীম ৬৬/১২)। যা পৃথিবীর অন্য কোন মহিলা সম্পর্কে করা হয়নি। অতএব যাবতীয় বিতর্কের অবসানের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। তাছাড়া আল্লাহ তাঁকে ‘ছিদ্দীক্বাহ’ অর্থাৎ কথায় ও কর্মে ‘সত্যবাদীনী’ আখ্যা দিয়েছেন (মায়েদাহ ৫/৭৫)। যেটা অন্য কোন মহিলা সম্পর্কে দেওয়া হয়নি।
অর্থাৎ, পৃথিবীতে কুমারী মা নিয়ে যেসকল পুরাণ আর ধর্মে কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে তার সবগুলোই একই সূত্রে গাঁথা। ঈশ্বর তার সৃষ্টিকর্মের স্বরূপ পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রমান হিসেবে কুমারী মায়ের মাধ্যমে রূপক আকারে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন যেন আমরা যুগে যুগে এক ঈশ্বরের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করি এবং হেদায়েত প্রাপ্ত হই।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:-< :-< :-< :-< :-<
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ভাই এত বিশ্লেষণ করছেন !!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
রামন বলেছেন:
¡ইন্টারেস্টিং! সময় নিয়ে পড়তে হবে তাই আপাতত প্রিয়তে রাখলাম। ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ রামন ভাই ইন্টারেস্ট দেখানোর জন্য।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেক কিছু আগে জানা ছিল,অনেক কিছুই নতুন করে জানলাম।অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সন্ধ্যা প্রদীপ ভালো থাকবেন।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: গুগল উইকি রকয।আমরা সবাই জ্ঞানী ।অনেক কিছু জানি।
দাদা এই পোস্ট কি মৌলিক নাকি যৌগিক নাকি খিচুড়ি পোস্ট?
কাল্পনিক ভাই জবাব দেন?
সামুতে কাল্পনিক ভাই বাংলাদেশের জাফর ইকবাল।সব প্রশ্নের উত্তর উনি স্বপ্রণোদিত হয়ে দেন।এই প্রশ্নও উনার কাছে রইলো।এই পোস্টে উনি আসবেনই।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দাদা আপনার টেনশনে আমি বিরাট টেনশিত ইহা একটি খিচুড়ি পোস্ট। ভবিষ্যতে আপনার বংশধর যখন এই বিষয় নিয়া জানতে চাইব তখন গুগলে সার্চ দিয়াই এই পোস্ট পাইলে তখন সেও জ্ঞানী হইব।
আপনার সিন্ডিকেটের আরও কোন সদস্য থাকলে ডাইকা আনেন কারণ আপনিত আবার সুস্থ ধারায় ব্লগিং করতে পারেন না। আমার সাথে ক্যাচাল করতে চান সিন্ডিকেট নিয়া মোস্ট ওয়েলকাম তবে নিজ নিকে আইসেন ক্যাচাল জমবে ভালো।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬
কান্টি টুটুল বলেছেন:
আল্লাহর হুকুমে তন্মধ্যকার একটি মাত্র শুক্রকীট স্ত্রীর জরায়ুতে প্রবেশ করে
এই তও্ব কোথায় পাইলেন জনাব?
জরায়ু,ডিম্বাণু সব এক কইরা ফেলছেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সরি ভাই ভুলে মিস্টেক হয়ে গেছে লেখার সময় জরায়ু লিখা ফালাইছি। ওইটা ডিম্বাণু হবে। ধন্যবাদ ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
ভিটামিন সি বলেছেন: কি প্যাচ লাগাইলেন ভাই? যীশু, মেরি বিষয়ে তো এইবার আর সুপারগ্লুতে ও বিশ্বাস টিকানো যাবে না। অনেক কিছুই জানলাম।
আপনি অনেক বই পড়েন, তাই না?
ধন্যবাদ, অজানা অনেক কিছু শেয়ার করার জন্য।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নাহ ভাই আমি মোটেও বই পড়িনা উপরে আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলে গেছেন এই পোস্ট গুগল আর উইকি সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে।
আমি ভাই গুগলে পড়াশোনা করি। আমিত আর জাফর ইকবাল না।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক তথ্য আর বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ পোস্ট । নিঃসন্দেহে কষ্টসাধ্য কাজ । কিন্ত বিষয়টি নিয়ে আগ্রহবোধের অভাবে পড়ায় মনযোগ দিতে পারিনি ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন ভাই তবু ভালোবাসার খাতিরে যে ব্লগে মন্তব্য করে গেছেন এই জন্য ধন্যবাদ। এই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ না থাকাটাই স্বাভাবিক।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
সুমন কর বলেছেন: হালকা করে পড়লাম। কারণ, ধর্ম নিয়ে কোন কথায় আমি নাই।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ সুমন ভাই।
১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
মশিকুর বলেছেন:
সব গুলকে একত্র করার প্রয়াসকে স্বাগতম। সবচেয়ে ভালো লাগলো যে এটা পক্ষপাতহীন লেখা। শেষ অংশটা(ইসলাম ধর্ম) শুধু চোখ বুলিয়ে গেলাম, অনেকটা জানিতো তাই।
অনেকে ক্যাচাল করার জন্য অন্যের ধর্ম গ্রন্থ/মিথ পড়ে। তারা বিশ্বাস আর জ্ঞানের মধ্যে গুলিয়ে ফেলে। তবে নির্জলা জ্ঞানদান ও অতি কষ্টসাধ্য পোস্ট দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভকামনা।।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই পোস্টের সবটাই আমাদের জানা। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি ভাইয়া জ্ঞানদানের আসলে চেষ্টা করিনি। শিরোনামে দেখুন লিখেই দিয়েছি একটি তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ। সবগুলো ধর্ম আর মিথ থেকে আমি নিজে নিজে কিছু ধারনা স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
সায়েম মুন বলেছেন: কিছুদুর পড়লাম। এরপর পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারলাম না। আসলে বিষয়টা আমার আগ্রহের বাইরে বলে হয়ত এরকমটা হচ্ছে।
অনেক কষ্টসাধ্য পোস্ট।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সায়েম মুন ভাই তবু ভালোবাসার খাতিরে যে ব্লগে মন্তব্য করে গেছেন এই জন্য কৃতজ্ঞ। এই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ না থাকাটাই খুবই স্বাভাবিক। আমি শুধুমাত্র নিজের কিছু ধারনা পরিষ্কার করতে চাইছি মাত্র। এই জন্য লিখেই দিয়েছি শিরোনামে একটি পর্যবেক্ষণ মাত্র।
১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
এন এফ এস বলেছেন: আমি অন্য ধর্মের গুলো স্কিপ করে পড়লাম এককথায় প্রচুর গবেষণা করেছেন এর উপর
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গবেষণা আসলে করিনি কিছু জিনিস বোঝার চেষ্টা করছি মাত্র।
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
মশিকুর বলেছেন:
আমি অনেকটাই জানতাম না, তাইতো জ্ঞান লাভ করলাম। পোস্টে ভালোলাগা জানাই।
ভালো থাকুন সবসময়।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আপনি হয়ত আমাকে ভুল বুঝেছেন।
কৃতজ্ঞতা জানবেন অনেক অনেক অনেক।
১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাবারে অনেক কষ্টসাধ্য পোস্ট । আপনাকে বরাবরই এরকম
পোস্ট দিতে দেখি । প্রিয়তে নিলাম ।পড়লাম অনেক ভাল লেগেছে ।
মশিকুর ভাইয়ের সাথে একমত ।
ভাল থাকুন ভাই ।/
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ অনেক ও কৃতজ্ঞতা কষ্ট করে এমন একটি পোস্ট পড়ার জন্য।
শুভ কামনা নিরন্তর।
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: অনেক গবেষণা করেছেন,আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভাল লাগলো। সব গুলো অংশ ধারুন ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক ভালো থাকবেন।
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক ভালো থাকবেন।
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
রানা িসরাজুল বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক ভালো থাকবেন।
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। অনেক যুক্তিপূর্ণ পোস্ট। কিছু প্রশ্নও আছে, পুরোটা পড়ে করবো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপেক্ষায় রইলাম
১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বিরাট লেখা। অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেটা কিছুটা করেছি। ধন্যবাদ ভাই। শুভ দুপুর।
২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
সাদাকালো টেলিভিশন বলেছেন: মাথা ঘুরে গেলো -_-
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার নিকটা দারুণ। ভালো থাকবেন সবসময়।
২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ভাই, পোষ্ট বিশাল বড়। এত সময় নিয়ে পড়ার অবকাশ আছে কী?
ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অবশ্যই নয়। এই ধরনের পোস্ট একবসায় পড়তে চাইলে অন্য পোস্ট আর পড়ার সময় পাওয়া যাবেনা। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে পড়াই উত্তম।
আসলে ব্লগ বলতে আমি যেটা বুঝি সেটা হলোঃ
আধুনিক এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ধরুন কেউ কোন বিষয় নিয়ে জানতে চাইছে হোক সেটা কবিতা, গল্প, রাজনীতি, অর্থনীতি, ছবি, ধর্ম ....... ইত্যাদি যা নিয়েই তথ্য খুঁজুক সে ব্লগের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। আসলে ব্লগ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করে রাখার একটি আদর্শ স্থান যা দিয়ে উপকৃত হতে পারবে যে কেউ। ব্লগ পোস্টগুলো আসলে সাময়িক নয় এগুলো আজীবনের জন্য। সাময়িক পড়ার জন্য রয়েছে সংবাদ পত্র।
ধন্যবাদ।
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: পড়তে পড়তে চোখ ব্যথা হয়ে গেল সংগে মাথাও। এত লেখা ! তথ্যবহুলও। ধন্যবাদ পরবর্তী পোস্টের জন্য আশায় রইলাম।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার জন্য সহমর্মিতা ভাই। কষ্ট করে পড়েছেন তাই কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইল।
২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিই আপনার উত্তরের সংগে আমি একমত।
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা রইল।
২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
ধূর্ত উঁই বলেছেন: বিবি মরিয়ম ছিলেন কুমারী মা। একজনই।বিবি মরিয়মের বিয়ে হবে আখেরাতে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিবি মরিয়ম ছিলেন কুমারী তবে একজনই নন। কেননা এখানে কুমারী মা বলতে যে অবিবাহিতা নারীকেই ধরা হবে বিষয়টা আসলে তা নয়। পুরুষের শুক্রাণু ব্যতীত যদি কোন নারী মা হন তাহলেও তাকে কুমারী মা বলা হবে এটাও পোস্টে পর্যবেক্ষণ করতে চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
গ্রেট পোষ্ট +++
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। আপনার কাছ থেকে প্লাস পাওয়া মানেই হলো পোস্টের জন্য সার্টিফিকেট পাওয়া।
২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২
নীল ভোমরা বলেছেন: জটিল তাত্ত্বীক বিশ্লেষণ!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিষয়টি অনেক জটিল তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মীয় রোষানল এড়িয়ে যেতে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি পোস্টের বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন থাকতে।
২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ, চমৎকার লেখা, প্রিয়তে রাখলাম;
সময় নিয়ে পড়তে হবে;
কাণ্ডারি ভাই দিন দিন আপনার ভক্ত হয়ে উঠছি!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমি কিন্তু আপনার কবিতার সবচেয়ে বড় ভক্ত। কবিতার জন্য আপনি আমার গুরু।
আমার মাঝে মাঝে আফসোস হয় ঈশ! আমি যদি দর্শনের ছাত্র হোতাম বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারতাম ও বুঝাতে পারতাম। তাইত অনেক কিছু চেয়েও গুছাতে পারিনা।
২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: বাপরে! অনেক পড়াশুনা করেছেন। প্রিয়তে নিলাম।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই এই পোস্টের জন্য সত্যি অনেক পড়েছি তবে কোরআনের আয়াতগুলোর জন্য বেশি বেগ পেতে হয়েছে। অনেক ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে। প্রিয়তে স্থান পেয়ে খুশি হোলাম।
২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: জটিল পোস্ট । অনেক পড়াশুনার ফসল । পোস্ট পড়ে ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান সামনে আপনার কতৃক ভাল পোস্ট পাব।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদি সত্যি সাহস দেন তাহলে আরও কিছু কষ্ট করতে অনুপ্রেরনা পাবো। পড়তে আর জানতে ভালই লাগে আমার।
৩০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুণ পোস্ট ।বিশ্লেষন ধর্মী। অনেক তথ্য জানা গেল। আদম হাওয়া বাবা মা ছাড়াই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ঈসা আঃ কুমারী মাতা মরিয়মের (আঃ) গর্ভে জন্ম নিয়েছেন। বাদ বাকী অনেক জায়গায় বিয়ে না হয়ে বাচ্চা হলেও সেটাকে কুমারী মাতা বলা হয়। আসলে ব্যাপারটা অযৌক্তিক। কুমারীতো বিয়ে হলে এমনকি যৌন সংসর্গে গেলে ই শেষ। সেখানে কুমারী মাতা শব্দটা বাদ দিলেই ভাল হয়। কারণ কুমারীমাতা শুধুমাত্র বিবি মরিয়ম আঃ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কুমারী শব্দটার মাঝে লুকিয়ে আছে ঈশ্বরের পরিচয়।
যেমন দেখুন ঈশ্বরের সৃষ্টির জন্য কোন মাধ্যম প্রয়োজন হয়না তিনি শুধু হও বললেই সৃষ্টি হয়ে যায়। তেমনি যে নারী পুরুষের শুক্রাণু ব্যতীত মা সন্তান জন্ম দিতে পারেন তিনি কুমারী মা আর এখানেই ঈশ্বর তার নিজের সৃষ্টির স্বরূপ রূপক আকারে যুগে যুগে বুঝিয়ে দিয়েছেন। মানুষ তারপরেও কিসে এত অহংকার করে ? তারত কোন কিছুই সৃষ্টি করার ক্ষমতা নেই। আপনি আমি চাইলেই বাবা হতে পারিনা আবার একজন কুমারী না চাইলেই মা হয়েছেন পুরুষের সাহায্য ব্যতীত।
৩১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: জটিল আর আজদাহা সাইজের পোষ্ট। পড়তে সময় লাগবে। দেখি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্ট পুড়োটা না পড়ে আপনি একবার নিজে নিজে ভাবুন একজন কুমারী নারী মা হয়েছেন আর একজন পুরুষ চেয়েও বাবা হতে পারে না। এর সাথে ঈশ্বরের শক্তির বা সৃষ্টির রহস্য কোথায়? তাহলেই দেখবেন অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
তাই নারীকে সন্মান দেয়া আমাদের কর্তব্য যেমন ঈশ্বরের ইবাদত করা আমাদের কর্তব্য।
৩২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বিষয়গুলা নিয়ে আগে ভাবিনি । একটু একটু করে পড়ছি । আপাতত প্রিয়তে রাখলাম । পুরোটা পড়া হলে জানাবো ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া কষ্ট করে পড়তে হবেনা শুধু নিজেকে প্রশ্ন করুন যে আপনি কি চাইলেই সন্তানের জন্মদাতা পিতা খুব সহজেই হয়ে যেতে পারবেন ? যদিও মনে হতে পারে এ আর এমন কি ! বিয়ে করলেই হয়ে গেলো। না পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা চেয়েও সন্তান নিতে পারেন না। কিন্তু ঈশ্বর চাইলে শুধু মাটি কেন বাতাস দিয়েও মানুষ বানাতে পারেন। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এই মানুষের জন্মের জন্য তিনি কিন্তু শুধু নারী জাতিকেই বেছে নিয়েছেন। নিয়ম করেছেন পুরুষ তার অংশ দিয়ে দিলেই নারী পাবে পূর্ণতা কিন্তু আবার সাথে এও দেখিয়েছেন পুরুষ না চাইলেও একজন নারী সম্পূর্ণ হতে পারে যদি ঈশ্বর চান। নারীকে ঈশ্বর কোন পর্যায়ে সন্মান দিয়েছেন ভেবে দেখুন। ঠিক যেভাবে ঈশ্বরের সৃষ্টির জন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।
৩৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ঈশ্বর তার সৃষ্টিকর্মের স্বরূপ পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রমান হিসেবে কুমারী মায়ের মাধ্যমে রূপক আকারে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন
বিধাতা নিয়ম সৃষ্টি করেছেন তিনি চাইলেই নিময়ের ব্যতিক্রম ঘটাতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল খ্রিস্টানরা বিষয়টাকে সহজভাবে দেখতে পারল না। তারা যীশু খ্রিস্টকে ঈশ্বরের পুত্র রুপে জানল!
এত্ত পরিশ্রম করে একটা পোস্ট দেয়া! উফ! হ্যাটস অফ কান্ডারি ভাই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই খ্রিস্টান্দের মাঝে যারা প্রথম ইনজিল বিশ্বাস করেন তারা কিন্তু কখনও যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন না কিন্তু যারা পরে নিজেদের স্বার্থে বাইবেল লিখেছেন বিকৃত করে কেবল তারাই যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে মনে করেন আসলে মনে করেন না তারা ইচ্ছে করে, জেনে বুঝেই এই বিভ্রান্তি করে রেখেছে। কেয়ামতের পূর্বে কিছু খ্রিস্টান্দের সাথে মুসলমানদের মিল হবে এবং তারা একত্র হয়ে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হবেন।
শুভকামনা রইল নাজিম ভাই।
৩৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪
এহসান সাবির বলেছেন: সময় নিয়েই পড়লাম.........
আবার পড়তে হবে.....
জিউস প্রমিথুসের এই কাজ জানতে পেরে তাকে শাস্তি স্বরুপ এক পাহাড়ের সাথে বেধে রাখলেন। অনন্ত কাল ধরে প্রতিদিন শকুনে এসে তার লিভারের কিছু অংশ খেয়ে যায়.....
আমার যতদূর মনে পড়ে হারকিউলিস পাখি টাকে মেরে ফেলে...!! আর ওটা শকুন নয়... ঈগল..!!
++++++++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সাবির ভাই আপনার তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। ওটা শকুন নয় ঈগল কিন্তু আমি হারকিউলিস আর প্যান্ডরার কাহিনী কিংবা এথেনার কাহিনী পর্যন্ত যাই নি তাহলে পোস্ট আরও বড় হয়ে যেতো। ঠিক করে দিচ্ছি লিখার সময় ভুলে মিস্টেক হয়ে গেছে মাথায় খালি শকুন ঘুরতে ছিলো। ঈগল পাখির সাথে মিশরের হোরাসের কিছু কাহিনী জড়িত আছে সময় হলে একদিন বলা যাবে।
৩৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুর্দান্ত একটি পোষ্ট!!!
কুমারী মাতার তত্ত্ব থেকে স্পষ্টত এটাই বুঝতে পারলাম সৃষ্টিকর্তার কোন কিছু সৃষ্টি করার জন্য কোন মাধ্যম লাগে না এবং তিনি এক ও অদ্বিতীয় উনি কোন কিছু থেকে সৃষ্টি হননি। (আমি যতটুকু বুঝলাম)
বিভিন্ন ধর্মের নানা অজানা বিষয় নিয়ে আর পোষ্ট চাই।
+++++++++++++++++++++++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সাহস এবং অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। আপাতত কিছুদিন অফিসিয়াল কাজে ব্যাস্ত থাকতে হবে ভীষণ। তাই নতুন পোস্ট পেতে হয়ত দেরী হবে তবে এমন কিছু পোস্ট নিয়ে হাজির হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সামুর অন্যতম প্রধান সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে বড় পোষ্ট দেখলেই আম ব্লগাররা উলটো ঘুরে দৌড় লাগায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। তবে কুমারী মাতা যেহেতু সেহেতু একটু নড়েচড়ে বসতেই হয়। বসলাম এবং তিন ভাগে পুরোটা শেষ করলাম। ভবিষ্যতে কোন কিছুর রেফারেন্স হিসেবে যদি কাজে লাগে সেই আশায় নিজের শোকেসে নিয়ে রাখলাম।
অত্যন্ত পরিশ্রমী পোষ্ট। কান্ডারী ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্টের জন্য।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রিয়তে স্থান পেয়ে খুবই খুশি হলাম।
সত্যি ভাই আপনারা এভাবে সাহস দেন বলেই কষ্ট করে তৃপ্তি পাই।
৩৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পুরাটা পরলাম। আসলেই অনেক কিছু অজানা ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্টের জন্য।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা বশর ভাই পোস্টটি কষ্ট করে হলেও পড়েছেন।
৩৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আমি একবার একটা খ্রিস্টান মতবিরুদ্ধ বিদেশি এক লিংক এ দেখেছিলাম মরিয়ম কোন একটা যুদ্ধের সময় রেইপ এ শিকার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে....
যাই হোক,
কিন্তু বিবাহের আগে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের ব্যাপারটা এবার ই প্রথম পেলাম।
আপনার লেখাটা খুব ই ইন্টারেস্টিং মনে হলো।
যাই হোক, ধর্ম হলো বিশ্বাসের ব্যাপার আর বিজ্ঞান হলো যুক্তিপ্রমাণের ব্যাপার।
এছাড়া আর কিছু বলার নাই।
সুন্দর পোস্ট।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধর্ম বিজ্ঞানময় এবং যা কিছু বিজ্ঞানের আবিষ্কার তার সবটাই ধর্মকে এড়িয়ে হতে পারেনা।
ভেবে দেখুন এখন মানুষ আলোর গতি নিয়ে চলতে গবেষণা করছে কিন্তু মিরাজের সেই ঘটনা মনে করুন তো একবার আলোর গতির ধারনা সেখানেই পাওয়া যায়।
৩৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার king David ই কি হযরত দাউদ (আ ?
এই জিনিসটা আমার কাছে clear না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হ্যাঁ ভাই king David ই হযরত দাউদ (আঃ) এবং তার পুত্র King solomon বা হযরত সোলায়মান (আঃ)
৪০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৮
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার king David ই কি হযরত দাউদ (আ: ) ?
এই জিনিসটা আমার কাছে clear না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৪১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
সাউন্ডবক্স বলেছেন: বিশাল পোস্ট... প্রিয়তে নিলাম...... আস্তে আস্তে পরব...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধীরে ধীরে পড়াই উত্তম। শুভ কামনা রইল।
৪২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
জেরিফ বলেছেন: +++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্লাসের জন্য খুশি হলাম। শুভ কামনা নিরন্তর।
৪৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
হেডস্যার বলেছেন:
খাইছে !! আপনে এত কিছু জানেন ক্যান?
বিরাট জ্ঞানী পোষ্ট। অনেক্ষন ধরে পড়লাম। +
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি নিজে কিছুই জানিনা, সব বইতে আছে, আমি শুধু বই থেকে তুলে দিছি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ওরে !!! প্রিয়তে রাখলাম । মন দিয়ে পড়তে হবে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধীরে ধীরে মন দিয়ে পড়লে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। শুভেচ্ছা রইল।
৪৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
না পারভীন বলেছেন: বেশ পরিশ্রমী পোস্ট । খুব ভাল লাগল । সুরা ইমরান খুব প্রিয় সুরা । বিশেষত হযরত মারিয়াম ( আঃ ) যখন সন্তান আসার খবর শুনে খুব আতঙ্কিত অনুভব করেন সমাজ সংসারের ভয়ে । যেন চিরকালের নারী স্বত্তা ফুটে ওঠে তাতে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যে জাতির মধ্যে শুদ্ধা, শিক্ষিতা, করুণাময়ী মায়ের সংখ্যা বেশি সে মাতৃজাতির সন্তানেরা সমাজের আদর্শ সন্তান। নিজ নিজ শক্তির বিকাশের জন্য সমগ্র নারী জাতির প্রতি প্রয়োজন নিজের মায়ের শ্রদ্ধা। তাই মাতৃজাতির প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমরা আমাদের সমাজ ও জীবনকে মহৎ করে তুলতে পারি। সকল নারীর মধ্যই বিরাজিত রয়েছে দেবীশক্তি।
৪৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
বিডি আমিনুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভীষণ খুশি হলাম ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
৪৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
নতুন বলেছেন: একজন কুমারী নারীর কোন রকম যৌন সম্পর্ক ছাড়া মা হওয়া সম্ভব। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে।
যদি নারীর কোন ভাবে ডিম্বানু থেকে বাচ্চা হবার সম্ভবনা হয়.... তবে মেয়ে হতে পারে.....
কিন্তু ছেলে হতে হলে যে Y ক্রমোজম প্রয়োজন তা কিভাবে আসবে?
ঈসা অ: তাহলে XX ক্রোমজমের হবেন অথা`ত মেয়ে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধর্মের কোন কিছুই অযৌক্তিক বা অবৈজ্ঞানিক নয়। ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আমার পর্যবেক্ষণে নতুন গতি পেলাম।
৪৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
মুদ্দাকির বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে একটা অসাধারন পোষ্ট পড়লাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মূল কথা হল আল্লাহ কুন বলেন আর হয়ে যায়, আর বিজ্ঞানের যত উচ্চতায় পৌছানো যায়, হারে হারে তা টের পাওয়া যায়।
আমার (এই এই এই এই এই ) লেখাটা পরলে দেখতে পাবেন, কিভাবে 46XY ক্রমোজমের বিন্যাস নিয়েও একজন পুরুষ প্রায় পূর্নাংগ একজন মহিলার জীবন জাপন করেন। তাই আল্লাহের হুকুম হলে দুইটি ডিম্বানুর ক্রমজম মিলে একটা ডিপ্লয়েড জাইগোটের জন্ম হতেই পারে, এই ব্যাপারটা আমার জন্য অকল্পনিয় কিছু নয়, but thats only me!!! আর X Y এই দুটোই সেক্স ক্রমজম, আমাদের দেয়া নাম এর জন্য পার্থক্যটা ব্যাপক মনে হয়, কিন্তু আসলেই কি তা ব্যাপক??!!! Y ক্রমজমকে X ক্রমজমে পরিবর্তন করা হয়ত অসম্ভব, কারন X ক্রমজমটি Y ক্রমজমটিরচেয়ে অনেক বড়, কিন্তু কে জানে X ক্রমজমকে হয়ত বিজ্ঞানীরা কিছু কাল পরে নিজেরাই Y ক্রমজমে পরিবর্তন করতে পারবেন !!!!!!!! বিজ্ঞানের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি আর আল্লাহের ক্ষমতা নিয়ে আসঙ্ককা করব, তাকি হয় ????
বিনিত ভাবে আপনার লেখার "অতএব প্রমানিত হলো যে, স্বয়ং আল্লাহর সৃষ্ট নিয়ম অনুযায়ী একজন কুমারী নারীর পক্ষে কখনও সন্তান জন্ম দিয়ে মা হওয়া সম্ভব নয়। এবং বিজ্ঞানও তাই প্রমান করে বলেই কুমারী মা সম্পূর্ণ অবাস্তব একটি ভিত্তিহীন অমূলক ধারনা। কুমারী মা বলে আসলে পৃথিবীতে কিছুই নেই। আর তাই যদি হয়, তাহলে বিভিন্ন পুরাণ আর বিভিন্ন ধর্ম অনুসারে আমরা কুমারী মা সম্পর্কে যে ধারনাগুলো পেয়ে থাকি সবই মিথ্যা মানুষের রচিত কল্প কাহিনী ব্যতীত আর কিছুই নয়। " অংশের প্রতিবাদ করলাম, আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব, তিনি কুন বলেন আর হয়ে যায়।
কেউ হয়ত চিন্তা করতে পারেন আমি পাগলের প্রলাপ বকছি, দুইটা ডিম্বানুর ক্রমোজম মিলে কি একটা নিশিক্ত জাইগোট হতে পারে??? আমার বিজ্ঞানের জ্ঞান বলে , এটা খুবই সম্ভব। মোলার প্রেগনেনসি বলে একটা ব্যাপার আছে , যেখানে দুই বা ততোধিক শুক্রানুর ক্রমোজম গুলার মিলন হয়, কিন্তু কোষ ঝিল্লিটা কিন্তু থাকে ডিম্বানুর!!!!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমি আপনার পোস্টটি আমার পোস্টের সাথে যুক্ত করে নিচ্ছি। দুর্দান্ত একটি পোস্ট, হয়ত কোন কারণে নজর এড়িয়ে গিয়েছিলো আপনার পোস্টটি এই জন্য আমি দুঃখিত, ক্ষমা করবেন।
আপনার যুক্তির সাথে আমি পুরোপুরি সহমত প্রকাশ করছি।
আপনি আমার যে কথাগুলোর জন্য প্রতিবাদ করেছেন সেটা অত্যন্ত যৌক্তিক প্রতিবাদ। আর এই অমূলক ধারনাকে আমি পোস্টের সব শেষে নিজেই ভুল প্রমান করে দিয়েছি এখানে,
মারিয়ামের গর্ভধারণ ও ঈসার জন্মগ্রহণ ছিলো সম্পূর্ণরূপে অলৌকিক ঘটনা। আল্লাহ পাক নিয়মের স্রষ্টা এবং তিনিই নিয়মের ভঙ্গকারী। তাকে কোন বিষয়ে বাধ্য করার মতো কেউ নেই। তিনি পিতা-মাতা ছাড়াই আদমকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর পিতা ছাড়াই শুধু মাতার মাধ্যমে ঈসাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি যা খুশী তাই করতে পারেন। ঈসা কোন উপাস্য ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন অন্যদের মত আল্লাহর একজন দাস মাত্র এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর একজন সম্মানিত নবী ও কিতাবধারী রাসূল। ঈসা যে বিনা বাপে পয়দা হয়েছিলেন, তার অন্যতম প্রমাণ এই যে, কুরআনের সর্বত্র তাঁকে ‘মারিয়াম-পুত্র’ (عيسى ابن مريم) বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/৮৭, ২৫৩; আলে ইমরান ৩/৪৫ প্রভৃতি)। পিতা-মাতা উভয়ে থাকলে হয়তবা তাঁকে কেবল ঈসা বলেই সম্বোধন করা হতো, যেমন অন্যান্য নবীগণের বেলায় করা হয়েছে। অথচ মারিয়ামকে তার পিতার দিকে সম্বন্ধ করে ‘মারিয়াম বিনতে ইমরান’ (ابنت عمران) ‘ইমরান-কন্যা’ বলা হয়েছে (তাহরীম ৬৬/১২)। একমাত্র মারিয়ামের নাম ধরেই আল্লাহ তাঁর সতীত্বের সাক্ষ্য ঘোষণা করেছেন (তাহরীম ৬৬/১২)। যা পৃথিবীর অন্য কোন মহিলা সম্পর্কে করা হয়নি। অতএব যাবতীয় বিতর্কের অবসানের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। তাছাড়া আল্লাহ তাঁকে ‘ছিদ্দীক্বাহ’ অর্থাৎ কথায় ও কর্মে ‘সত্যবাদীনী’ আখ্যা দিয়েছেন (মায়েদাহ ৫/৭৫)। যেটা অন্য কোন মহিলা সম্পর্কে দেওয়া হয়নি।
অর্থাৎ, পৃথিবীতে কুমারী মা নিয়ে যেসকল পুরাণ আর ধর্মে কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে তার সবগুলোই একই সূত্রে গাঁথা। ঈশ্বর তার সৃষ্টিকর্মের স্বরূপ পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রমান হিসেবে কুমারী মায়ের মাধ্যমে রূপক আকারে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন যেন আমরা যুগে যুগে এক ঈশ্বরের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করি এবং হেদায়েত প্রাপ্ত হই।
এটা করেছি যুক্তির পেছনে যুক্তি দিয়ে খান্ডানোর জন্য যেন বিষয়টি যে সত্য সেটা প্রমানের জন্য।
শুভ কামনা রইল। কৃতজ্ঞতা আপনার পর্যবেক্ষণের জন্য যা আমাকে কুমারী মা নিয়ে এই পর্যবেক্ষণে নতুন ভাবে সাহায্য করল।
৪৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: হোরাস আর যিশুর মিল দেখে অবাক হলাম !!!
মুদ্দাকির ভাইয়ের সাথে একমত
অসাধারন পোষ্ট
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
উনার সাথে আমিও সহমত জানিয়েছি দেখে নিতে পারেন মন্তব্যের প্রতিউত্তরে।
হোরাস এবং যীশুর মাঝে যে মিল রয়েছে সেটা প্রমানিত নয় একটি পর্যবেক্ষণ মাত্র, তবে সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেয়া সম্ভব নয়। আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি আচ্ছা বলুনত কোরআনে কতজন নবীর আলোচনা এসেছে এবং কতজন নবী এসেছিলেন পৃথিবীতে ? আমরা আসলে কতজন নবীর কাহিনী জানি ? আসমানি কিতাব কতখানা নাজিল হয়েছে আর একমাত্র কোরআন ছাড়া আর বাকিগুলো যে বিলুপ্ত করে দেয়া হলো তার ভেতর যা লেখা ছিলো সবই কি আমরা জানি ?
তাই কোন কিছুই ভিত্তিহীন বলা সম্ভব নয়। সেই কত আগে মিশরের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিলো কি অভিনব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। সেগুলো কিন্তু মানুষের তৈরি। আর সেখানে যেহেতু আইসিস আর হোরাসের মানুষরূপের মূর্তি এবং দেয়াল চিত্র পাওয়া গেছে তাই সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলা সম্ভব নয়। কিংবা জেনর প্যারাডক্স সুত্র হোরাসের চোখের সুত্র অনেক প্রশ্নের সমাধান দিতে পারে যা আমরা এখন বুঝতে পারছিনা কিংবা আমাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছে।
আচ্ছা নুহ (আঃ) এর সময় মহাপ্লাবনে সব কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো যার কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই সেই সময়গুলোতে পৃথিবীর ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছিলো এবং নতুন করে পৃথিবীতে আবার মানুষের পদ চালনা শুরু হয়। আমরা কি সেসব কিছু এখন নতুন করে ফিরে পাব ?
তাই ভাই বলব একমাত্র আল্লাহ সব জানেন কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। আমরা শুধু ধারনাই করতে পারি এর বেশি কিছু নয়। তাই বলে কোন কিছুকে মিথ্যাও প্রমান করতে পারিনা।
৫০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
জল পািন বলেছেন: ভাইয়া আপনার জ্ঞানের পদচারনা দেখি অসাধারন আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল এবং পোস্ট প্রিয়তে
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি নিজে কিছুই জানিনা, সব বইতে আছে, আমি শুধু বই থেকে তুলে দিছি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করলেন ভাই ।
৫১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
না পারভীন বলেছেন: মুদ্দাকির ভাই এর সাথে একমত । আমাদের প্রফেসর ম্যাডাম কে বলতে শুনেছিলাম , হযরত মারইয়াম ( আঃ ) ইন্টারসেক্সের হতে পারেন ।
সব সময় মনে করি , কুরআন বিজ্ঞান ময় ।
অন্যদিকে সেদিন ডিসকভারিতে পোগ্রাম দেখছিলাম , এক প্রকার কুমির জাতীয় প্রাণী ( ফিমেল ) কোন প্রকার সেক্সুয়াল রিলেশন ছাড়া গর্ভ ধারণ করে ।
সন্তান গুলো সব মেইল হয় ।
তাই বিবি মারইয়াম ,নরমাল বা ইন্টারসেক্সের যাই হোন না কেন , মেইল বেবী জন্ম দিতে পারেন ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখানে আসলে পর্যবেক্ষণ মেইল বা ফিমেইল বেবি নিয়ে নয়। মূল কথা হচ্ছে আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। আর আল্লাহ তার শক্তির স্বরূপ রূপক আকারে কুমারী মায়ের মাধ্যমে আমাদের হেদায়েতের জন্য দেখিয়েছেন। আর যেহেতু তিনি এই জন্য নারীকে বেছে নিয়েছেন তাই নারীর সন্মান অনেক উচুতে। নারীর মাধ্যমে একটি শিশুর জন্ম হয় আর ঈশ্বর শুধু হও বললেই হয়ে যায় তাই এই শক্তি প্রমানের জন্যই কুমারী মায়ের উদ্ভব নতুবা ঈসা (আঃ) কে তিনি পিতা সহই সৃষ্টি করতে পারতেন তাতে বরং কোন জটিলতা থাকতনা কিন্তু তিনি কেন এই জটিলতার সৃষ্টি করেছেন নিজের করা নিয়মের বিপরীত কিছু করে কারন একটাই আল্লাহ চেয়েছেন তার সৃষ্টির কৌশল বুঝাতে মানুষকে যেন তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়।
৫২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
গ্রেট। +++++++++++
পোস্টি ২/৩টি পর্ব করলে ভাল হতো।
ধন্যবাদ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া আমার পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি পর্ব করলে পোস্টের প্রতি একসময় নিজের আগ্রহ হারিয়ে যায় তাই বড় করলাম তবে এই পোস্টটিকে আরও সংক্ষিপ্ত করা যেত কিন্তু সে ক্ষেত্রে হয়ত অনেকেই বুঝতে পারতনা পোস্টের বিষয়বস্তু।
আপনার প্লাস আমাকে সবসময় অনুপ্রানিত করে।
৫৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটি ফিচার। সত্যি বলতে অন্য ধর্মের ব্যাখ্যা বা ব্যাপারগুলো জেনে বেশ ইন্টারেস্টিং ফিল করছি। প্রথমদিনই প্রিয়তে নিয়েছি। রেফারেন্স হিসেবে এই পোষ্টের বিভিন্ন তথ্য কাজে লাগতে পারে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
নিজেদের পশুত্বকে সংযত রেখে নারীকে সন্মান জানাতে হবে।
৫৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরো দেখি থিসিস পেপার তৈরি করে ফেলেছেন। একটা ওয়াও লিখা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ খেয়া ঘাট। শুভেচ্ছা রইল। কিন্তু এই থিসিস পেপার জমা দেয়া যাবেনা পরে নোবেল টোবেল পেয়ে গেলে আবার বিপদ হতে পারে।
৫৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক খাটুনি করে লিখেছো,অপূর্ণ ভালোলিখা
বিশ্বাস থাকলে কোন প্রশ্ন নাই। কিন্তু বিজ্ঞান, ধর্ম আর বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলা রহস্যময় থেকে যায়।
আরো জানতে ইচ্ছে করে........শুরুটা কোথায়?
যে সব সৃষ্টির সৃষ্টিকারী তার সৃষ্টি কী ভাবে হলো।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানবেন। কষ্ট করে সময় নিয়ে পড়েছেন এবং সুচিন্তিত মন্তব্য করেছেন। শুভ কামনা নিরন্তর।
খুব চমৎকার একটি প্রশ্ন করেছেন, যে সব সৃষ্টির সৃষ্টিকারী তার সৃষ্টি কী ভাবে হলো ?
আল্লাহ বলেছেন যে তিনি মানুষ ও জীন জাতি সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। এখন যদি প্রশ্ন করি ইবাদত করলে আল্লাহর কি লাভ ? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর কি দেবেন ?
আমি মনে করি ইবাদত হলো শক্তি। বিজ্ঞান বলে শক্তি কখনও ধ্বংস হতে পারেনা। শুধু এর রূপের পরিবর্তন হয়। আল্লাহ হচ্ছেন শক্তি তার সৃষ্টির প্রয়োজন হয়নি বরং তিনি তার থেকে সব রূপ দান করেছেন।
আরও পরিষ্কার ভাবে বলতে গেলে শূন্যর যেমন কোন এক্সিস্টেন্টসি নেই কিন্তু এই শূন্যকেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংখ্যার পরিপূর্ণতার জন্য তেমনি আল্লাহ বলছেন তিনি নিরাকার একক এবং একমাত্র যিনি নিজে সৃষ্টি হননি কিন্তু তিনি ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি সম্ভব নয়।
৫৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
রোকসানা লেইস বলেছেন: তোমার নামটা ভুল হয়ে গেছে অথর্ব
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু আমি কি চাইলেই আবে হায়াতের পানি পান করে চির দিনের জন্য মৃত্যু হীন জীবন লাভ করতে পারব ? নিশ্চয় পারব না, একদিন আমাকে মৃত্যুর সাধ গ্রহন করতে হবেই। অতএব আমি যে অথর্ব সেটাই যৌক্তিক।
৫৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
ড. জেকিল বলেছেন: বেশির ভাগই পড়ে ফেললাম, সুন্দর পোস্ট। অনেক কষ্ট করে পোস্ট দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
ঈসা (আঃ) এর কাহিনি জানা ছিলো জন্য পড়ালাম না।
ভালো থাকবেন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রিয় জেকিল আপনার জন্য অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা থাকল তবু কষ্ট করে এই দীর্ঘ পোস্ট পড়েছেন।
৫৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: চরম বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। অনেক ধৈর্য্য নিয়া পড়তে হইছে। ভাল লাগল।
চরম পোস্টের জন্য +++++
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার ধৈর্যর প্রতি শ্রদ্ধা রইল। যদি আমার এই পোস্ট আমাদের সকলের বিবেককে সামান্যতম হলেও নাড়া দেয় তবেই আমি খুশি।
শুভ কামনা রইল।
৫৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯
রামন বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহ চাইলেই কিনা হয়।যাইহোক আপনার পোস্টার সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় আমার পূর্বের একটি পোস্ট থেকে কিছু অংশ তুলে ধরলাম।
"সেদিন পেরু বাসীরা হতবাক , হতভম্ব হয়েগিয়েছিল যথন তারা শুনলো ৫ বছর বয়সী একটি শিশু মা হতে যাচ্ছে। এমন একটি ব্যথা দায়ক ও দুঃখজনক কথা শুনে তারা কেন পৃথিবীর সকল বিবেকবান মানুষের হৃদয় ক্ষনিকের জন্য হলেও কেঁপে উঠার কথা। পেরুর তিকরাপো নামক গ্রামের ৫ বছর বয়সী এই শিশুটির নাম লিনা মেদিনা। পরবর্তী কালে পৃথিবীর সর্ব কনিষ্ঠা শিশু মা হিসেবেই পরিচিত । দিনে দিনে মেয়েটির পেট আকারে বৃদ্ধি পেতে দেখে বাবা মা স্থানীয় এক ডাক্তারের সরনাপন্ন হন। প্রথম প্রথম এর কারণ হিসেবে টিউমার বলে সন্দেহ করা হলেও পরে শিশুটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ৭ মাসের গর্ভবতী বলে সুনিশ্চিত করা হয় । ডাক্তার গেরহাড লোসাদা, যিনি প্রথম মেয়েটিকে গর্ভবতী বলে সনাক্ত করেন তিনি শহরের খ্যাতনামা শৈলচিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শের জন্য শিশুটিকে সাথে নিয়ে পেরুর রাজধানী লিমাতে চলে আসেন। সেখানকার পরীক্ষায়ও একই ফলাফল পান তারা। অবশেষে দেড় মাস পর ১৯৩৯ সালের ১৪ মে ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বদৌলতে সিজারিয়ান অপারেশনের সাহায্যে লিনা মেদিনা একটি পুত্র সন্তান জন্মদিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়েসী শিশুমা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন"।
নিলা মেদিনার ঔরসজাত সন্তানের জন্মদাতা কে ছিল তা নিয়ে সে সময় পেরুবাসীদের মাঝে কানাঘুষা ও তদন্তের ঘাটতি ছিল না।প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে লিনার পিতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল পরবর্তিতে সন্দেহটি অমূলক বলে প্রমানিত হয়। লিনাকেও বহুবার জিজ্ঞাসা করে তার গর্ভ সংক্রান্ত কোন তথ্য বের করা যায় নাই।
আর তখন থেকেই গ্রামবাসীরা লিনাকে যীশু আ. এর মাতা কুমারী মেরীর অন্য আরেক রূপ হিসেবে ধারণা করত এবং নীনার ছেলে গেরহার্ডকে সূর্য দেবতার সন্তান বলেই বিশ্বাস করত।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রিয় রামন ভাই আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পোস্টটি পড়েছেন এবং আপনার পোস্টটি শেয়ার করেছেন। চমৎকার একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। একটি অজানা ঘটনা জানতে পেরে মনের মাঝে বিশ্বাস আরও দৃঢ় হলো।
শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল।
৬০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
মুদ্দাকির বলেছেন:
@ব্লগার না পারভীনঃ with due respect আপনার ম্যাডামের সাথে এক মত নই!!! কুরয়ানে বর্নিত এক জন মহিওষি নারী ইন্টার সেক্স কি করে হন ?? বোধ করি এই রূপ কল্পনা করাও ঠিক নয়।!!!
@লেখকঃ অধমের লেখাটি এই দারূন পোষ্টে যোগ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। তবে আমার মতে আপনার পোষ্টটি নিজেই একটি পুর্নাগ পোষ্ট। এটার একটা আলাদা থিম আছে।
আমার সমালোচনা পজেটিভলি নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা রইল।
৬১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: solomon এর ভাই nathan সম্পর্কে কি বলতে পারবেন ? ইসলাম ধর্মে কি তাকে ও নবী হিসেবে মানা হয় ?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্যামুয়েল লিখিত ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ী নাথান কিং ডেভিড ও বাথসেবার চার পুত্রের একজন ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয় এবং নাথান কিং ডেভিড ও তার পুত্র কিং সলোমন এর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। টেম্পলের জন্য সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। তাকে বলা হতো আদালতের দূত। কিং ডেভিডের মৃত্যুর পর তার পুত্র কিং সলোমনই একমাত্র রাজা হতে পেরেছিলেন কিংবা নবী যাই বলি না কেন। তবে নাথান উত্সব ২৪ অক্টোবর পালিত হয়। ইস্টার্ন অর্থডক্স চার্চ, এবং বাইজেন্টাইন রাইট অনুসারে যারা ইস্টার্ন ক্যাথলিক চার্চ, তারা পবিত্র পিতার সন্তানকে স্মরণ করে এই দিনে।
কিন্তু ইসলাম ধর্ম অনুসারে দাউদ(আঃ) এর পুত্র একমাত্র সোলায়মান (আঃ) পরবর্তীতে নবী হন।
৬২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: @ না পারভীন, এটা সম্ভব। আসলেই সম্ভব। যদি ও মানুষের ক্ষেত্রে চিন্তা করা একটু কষ্টসাধ্য।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ সকাল।
৬৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: অনেক খাটনি করেছেন!!
গ্রেট পোস্ট!!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সব সময়।
৬৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
জেমস বন্ড বলেছেন: কেমন আছেন ভাই ?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ ভাই ভালোই আছি। আপনি কেমন আছেন ?
৬৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
স্যার ... বলেছেন: Good job.
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ স্যার।
৬৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: না পড়লে মিস করতাম। বিশ্বাসেই শান্তি তর্কে অস্থিরতা। ভালো পোষ্ট অনেক কষ্ট করেছেন । সাধুবাদ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন বিশ্বাসেই শান্তি তর্কে অস্থিরতা। তবে তর্কে অনেক সমস্যার সমাধানও বের হয়ে আসে। পৃথিবী হয় আধুনিক।
ধন্যবার রাবেয়া আপু। ভালো থাকুন সসময়।
৬৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
অদৃশ্য বলেছেন:
কান্ডারী ভাই
লিখাটি কিছুটা পড়েছিলাম আর আজকে আরও কিছুটা পড়লাম আশাকরছি দু একদিনের মধ্যে শেষ করতে পারবো...
কথা হলো, এমন চমৎকার সব ফিচার মাঝে মাঝে আপনাকে দিতে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই... এই লিখাটিতে আপনার পরিশ্রম কতটুকু হয়েছে তা নিশ্চয় কাউকে বলে বুঝাতে হবেনা! এর আগেও আমি আপনার এই বিশ্লষনধর্মী পোষ্ট দেখেছি এবং পড়েছি... যথেষ্ট কষ্টসাধ্য কাজ... এবং খুবই দারুন কাজ...
শুভকামনা...
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রিয় অদৃশ্য এভাবেই অনুপ্রেরণা দেন বলেই এমন পোস্ট দিয়ে ভালো লাগে। কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য সব সময় এভাবে সাথে থেকে সাহস জোগান বলে।
শুভ কামনা নিরন্তর।
৬৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনার পুরো পোস্টের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমার অভিমত ব্যক্ত করছি- আমার কাছে ধর্ম আর বিজ্ঞান সম্পূর্ন দুই জিনিস। একটার মুল হইলো বিশ্বাস আর একটা সন্দেহ। ধর্ম যা বলা আছে, আমি মানতে বাধ্য, এখানে যুক্তি তর্কের কোনো বিষয় নেই। এই জন্য ইসলাম ধর্মে ঈমানের গুরুত্ব। আর বিজ্ঞান এগিয়ে যায় সন্দেহ, যুক্তি, তর্ক, প্রমান দিয়ে। আপনি যখন একজন কে সর্বশক্তিমান বলে মানবেন, তখন কোনটা বৈজ্ঞানিক আর কোনটা না সেই কথাই অর্থহীন। কারন আমি আগেই ধরে নিয়েছি তিনি সর্ব শক্তিমান, তিনি যা চান তাই পারেন, জেসাস কে জন্ম দিতে তিনি কুমারী মেরী কেন, নিষ্প্রান পাথর থেকেও দিতে পারতেন!
শুভকামনা!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন আর তাইত বিজ্ঞানকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে ঈশ্বর তার শক্তির নিদর্শন দেখিয়েছেন। আর যেহেতু কোন নিষ্প্রাণ পাথরের বদলে একজন কুমারী নারীকেই বেছে নিয়েছেন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর কোন কিছু অহেতুক করেন না। তার প্রতিটি সৃষ্টি এবং কাজ পরিপূর্ণ অর্থবহ এবং মানুষের জন্য নিদর্শন স্বরূপ। এখন পাথর দিয়ে বাচ্চার জন্ম হলে মানুষ পাথরকে ঈশ্বর ভাবা হয়ত শুরু করে দিত আর এটা অস্বাভাবিক কিছু হতোনা।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা প্রিয় ইফতি ভাই।
৬৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
বাংলার হাসান বলেছেন: খুব চমৎকার একটি লেখা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় হাসান ভাই।
৭০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আচ্ছা শোন , আমাদের ধর্মে উল্লেখ আছে একজন পুরুষের বাম পাঁজরের হাড় থেকে তার স্ত্রী কে বানানো হয় । আমার প্রশ্ন ( ক্যাচাল করার জন্য না । তুই অনেক পড়াশুনা করিস তাই তোকে প্রশ্ন করি ) অনেকে অনেক বিয়ে করে , আরবে শেখরা কেউ কেউ শুনেছি ৩০/৪০ টা বিয়ে করে । সেক্ষেত্রে বিষয়টি কিভাবে ব্যাখ্যা হবে । আমি কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করেছি , উত্তর পাইনি । তুই কি জানিস কিছু এই বিষয়ে ?
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদিও এই বিষয়টা পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং আরব শেখ শুধু নয় মোঘল রাজা বাদশাহরাও হেরেম খানা ব্যবহার করতেন।
এই বিষয়গুলোতে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনার স্কোপ রয়েছে। এখানে আসলে সংক্ষেপে বলা সম্ভব নয়।
৭১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: এই নিয়ে ২/৩ বার পড়লাম। পোস্টটি অনেক তথ্যবহুল। প্রথমেই এমন একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক আমার মতে ধর্মে বর্ণিত কথা গুলো যদি "উপপাদ্য" হয়, তবে বিজ্ঞান তার যুক্তিপূর্ণ প্রমাণ। ধর্মের যে বিষয় গুলো বিজ্ঞান অস্বীকার করে সেগুলো এখনও অপ্রমানিত কিংবা যুক্তি বিভ্রান্ত।
"যে সব সৃষ্টির সৃষ্টিকারী তার সৃষ্টি কী ভাবে হলো।" - এর জবাবে আপনার কথাটি অনেক যুক্তিপূর্ণ। অনেক আগে আমি শুন্য এবং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে কিছু তুলনামূলক চিন্তা করেছিলাম, আবার এক পর্যায়ে "হও বললে হয়ে যায়" আইন্সটাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি E = m(C^2) বা যেকোনো ভরের বস্তুর বেগ যদি আলোর বেগের বর্গের সমান হয় তবে বস্তুটি শক্তিতে পরিণত হয় এবং রিভার্স থিওরি অনুযায়ী শক্তি থেকে সম ভরের যে কোনো বস্তুতে পরিণত করা যায় থেকে প্রমাণের একটা তুলনামূলক যুক্তি তুলে ধরি। কথা গুলো হয়তো প্রাসঙ্গিক নয় তবুও পোস্টের কমেন্টে এ বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে কথা থেকেই বলা। কতটুকু গ্রহণ যোগ্য তা আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন।
"তার গর্ভধারণের মেয়াদ স্বাভাবিক নিয়মের বহির্ভূত ছিল বলেই ধরে নিতে হবে। নয় মাস দশদিন পরে সন্তান প্রসব শেষে চল্লিশ দিন ‘নেফাস’ অর্থাৎ রজঃস্রাব হতে পবিত্রতার মেয়াদও এখানে ধর্তব্য না হওয়াই সমীচীন।" - এই অংশটি আরেকটু বিস্তারিত করেন। গর্ভধারণের মেয়াদ কতদিন ছিল? এবং গর্ভত্তোর স্বাভাবিক ভাবে নারীদের যা হয় তার মধ্যে কি কি হয় নি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাবনার নতুন কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য।
৭২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
ব্লগার রানা বলেছেন: vai, ei joseph nobi joseph/ yusuf(pbuh) na.
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না ভাই এই জোসেফ ইউসুফ (আঃ) নন কিংবা বাইবেলে এই জোসেফ নবী জোসেফ নন।
৭৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
এম এম ইসলাম বলেছেন: মিরাকল তো মিরাকলই। হযরত মুসার লাঠি কিভাবে সাপে পরিনত হয় তার পেছনে বিজ্ঞানের একটি ব্যাক্ষা দাড় করানোর দরকার কি? মেরির পুত্র সন্তান জন্মের যে ব্যক্ষা দিলেন তা শত হাজার বছর পরে আর কারো ক্ষেত্রে কেন হচ্ছে না? আনকমন তো আনকমন, ইউনিক নয়।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কতে বহুদুর।
অনেক পরিশ্রম করে লেখেছেন। লিখেছেনও সুন্দর। তবে মিরাকল নিয়ে বিজ্ঞানের বিশ্লেষন নিয়ে আমার সবসময় কিছু প্রশ্ন থাকে। আমি নাস্তিক নই, আস্তিক। তবে যুক্তির পেছনে পাল্টা যুক্তি ঠিকই দাড় করানো যায়। নৈতিক বিষয় নিয়ে যুক্তি হতে পারে কিন্তু মিরাকল নিয়ে নয়। এটি সৃষ্টি কর্তার একটি নিদর্শন যা তিনি স্বাভাবিক নিয়ম (বিজ্ঞান) ভঙ্গ করে করেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এখানে আমি মিরাকলকে প্রমাণ না করে বরং চেষ্টা করেছি কেন সৃষ্টিকর্তা স্বাভাবিক নিয়ম ভঙ্গ করে তার নিদর্শন দেখানোর চেষ্টা করেন তা নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করতে। কারণ আমরা যেন তা থেকে হেদায়েত প্রাপ্ত হই। এই কুমারী মা কনসেপ্টা আসলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকেই ইঙ্গিত করে।
৭৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
নতুন বলেছেন: যদি কোন কিছু মিরাকেল হয়... তাকে বিজ্ঞানের একটি ব্যাক্ষা দাড় করানোর দরকার কি?
যদি আজ আপনি বিজ্ঞানের ব্যাক্ষা দিয়ে প্রমান করলেন যে এটা সম্ভব>> কিন্তু পরে যদি প্রমান হয় যে নারী কখনোই কুমারী অবস্হায় সন্তান জন্মদিতে পারেনা..????
তখন কি সব ধম`গ্রন্হ ভুল প্রমানিত হবে? আপনি কি তা মেনে নেবেন?
তাই মিরাকেল কে মিরাকেল পযায়েই রাখা উচিত.... প্রমানের চেস্টা করলে তাকে ভুল প্রমানের ও অবকাশ থাকে...
আর বিশ্বাসের কোন প্রমানের দরকার আছে কি?
কিন্তু প্রশ্ন হলো যদি বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমান হয় যে কুমারী নারীর পক্ষে সন্তানধারন সম্ভব... তবে পৃথিবির ইতিহাসে শুধু ১জন কুমারী মা কেন?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দেখুন বিজ্ঞান ভুল হতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি বিজ্ঞানময় এবং নির্ভুল। মিরাকল নয় বরং স্রষ্টার যে কোন সৃষ্টি স্বাভাবিক। আর আমি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভুল প্রমাণ করতে পারবনা এবং এই পোস্টে সেই চেষ্টাও করিনি বরং এই পোস্টের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে কুমারী মা কনসেপ্টের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে স্রষ্টার সৃষ্টিকর্মের রহস্য যা আমাদের হেদায়েত প্রাপ্ত হতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
৭৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০০
দার্শনিক বলেছেন: ঈসা(আ.) এর মৃত্যু নিয়ে ইসলামের অভিমত কি, সেটা ব্যাখ্যা করে এটি ফিচার পোস্ট লিখলে আরও ভাল হত। কারণ ঈসা(আ.) এর মৃত্যুতেই ইসলামের জীবন নিহিত। এজন্য বিষয়টি আরও গুরুত্বের দাবী রাখে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।
ঈসা(আ.) এর মৃত্যুতেই ইসলামের জীবন নিহিত
কথাটি সঠিক হলোনা। ইসলাম অনুযায়ী তিনি এখনও জীবিত রয়েছে এবং কেয়ামতের পূর্বে পৃথিবীতে আসবেন শেষ নবীর উম্মত হিসেবেই।
৭৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
দার্শনিক বলেছেন: আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। ব্যস্ত ছিলাম বেশ কিছুদিন। তাই ব্লগে আসা হয়নি। যাই হোক http://bit.ly/jd1234 এই লিংকে আমার উক্তির পক্ষে কিছু যুক্তি কোরআন থেকে দেখানো হয়েছে। একটি দুটি আয়াত নয়, ৩০টি আয়াত এই উক্তির পক্ষে রায় দিচ্ছে। যাই হোক, আপনি অনেক গবেষণা করেন। তাই আপনার জ্ঞাতার্থে এই আর্টিক্যালের লিংকটি দিলাম। আশা করি সময় নিয়ে পড়বেন। ধন্যবাদ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইনশাল্লাহ পড়ব। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৭৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩১
বক বলেছেন: আল্লাহ্ পাক সব অবস্থায় মানুষ সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন।
মা বাবা ছাড়া সৃষ্টি করেছেন -- আদম ( আ ) কে
বাবা ছাড়া মা থেকে সৃষ্টি করেছেন -- ঈসা ( আ ) কে
মা ছাড়া বাবা থেকে সৃষ্টি করেছেন -- মা হাওয়া কে
আল্লাহ্পাক সব কম্বিনেশন দেখিয়েছেন/ নিদর্শন রেখেছেন। তারপরও মানুষ চিন্তা করেনা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: Parthenogenesis (উইকি)
এর মাধ্যমে ১৭টা প্রজাতির কুমারীর সন্তান দেখাগেছে... কিন্তু এটা এক রকমের ক্লনিং... যাতে মায়ের জিনের কপি হয় সন্তান... তাই এর ফলে সব সময় মেয়ে শিশুই জন্ম হয়...
তাই ঈসা আ: যদি মেয়ে হইতেন তবে Parthenogenesis এর বত`নাম ব্যক্ষায় সম্ভব হইতো... তাই আরো অপেক্ষা করতে হইবে...
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল বলেছেন নতুন ভাই। আরও অপেক্ষা করতে হবে...
৭৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এত পরিশ্রম দেন কিভাবে লেখায়??
প্রিয়তে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইতো ভাই আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে এতদূর চলে আসতে পেরেছি নতুবা আমি হলাম অথর্ব।
কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪
ভণ্ড বাবা বলেছেন: