![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
বাঙালি স্বভাবতই আড্ডা প্রিয় জাতি। বাসা, অফিস, আদালত, টং দোকান এমনকি ফেসবুক কিংবা ব্লগ যেখানেই সুযোগ পাওয়া যায়; কয়েকজন একসঙ্গে হলেই শুরু হয়ে যায় আড্ডা দেয়া। বন্ধু মহলে আড্ডাবাজ হিসেবে আমারও বেশ সুনাম আছে। আমাদের এক বন্ধু কবির। একটা সময়ছিলো যখন সকাল হলেই ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা না করেই ওর বাসায় গিয়ে কার্ড খেলা শুরু করতাম। সেই কার্ড খেলা চলত সন্ধ্যা পর্যন্ত। মাঝে মাঝে রাতেও থাকা হতো ওর বাসায় কার্ড খেলতে খেলতে। তবে খালাম্মার হাতের রান্নার কোন তুলনা ছিলোনা। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবারটা খাওয়াতে পর্যন্ত খালাম্মা কোন কার্পণ্যতা করতেন না। এমনই একদিন কবিরের বাসায় বসে কার্ড খেলছি। হঠাৎ কবির বলল দোস্ত তোরা আজ চলে যা। আমার আজকে পরীক্ষা আছে। মেজাজটা প্রথমে প্রচন্ড রকম খারাপ হলো কিন্তু কি আর করার আমরা বের হয়ে এলাম। বের হয়ে মোস্তফা মামার টং দোকানে এলাম আড্ডা দিতে।
মোস্তফা মামার দোকানটা ছিলো আমাদের আড্ডার স্পট। মামার কথা বিশেষ ভাবে না বললেই নয়। মামা ছিলেন আমাদের মতন বেকারদের জন্য অভিবাবকের মতো। মাসের পর মাস বাকী খেলেও রাগ করতেন না। বরং মাঝে মাঝে নগদ টাকা ধার চাইলেও দিয়ে দিতেন। মামার সাথে আসলে আমাদের সম্পর্কটা ছিলো নিজের আপন মামার মতো সম্পর্ক। কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা বাসায় কোন অনুষ্ঠান হলে মামা ছাড়া আমরা কোন কিছুই কল্পনা করতে পারতাম না। তাই বলে মামার টাকা অবশ্য বাকী রাখতাম না। হাতে টাকা এলেই পরিশোধ করে দিতাম। মামার বিয়ের সব খরচ আমরা বন্ধুরা মিলেই দিয়েছিলাম। যাই হোক মোস্তফা মামার দোকানে আড্ডা দিতে দিতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। শীতের সন্ধ্যা। হঠাৎ সোহেল বলল দোস্ত চল আজকে রাতে চট্টগ্রাম যাই। সোহেলের প্রস্তাবে একমাত্র আমি ছাড়া আর কেউ রাজী হলোনা। কিন্তু আমার আর সোহেলের কাছে কোন টাকা নেই। শেষে মোস্তফা মামার কাছ থেকে এক প্যাকেট সিগারেট আর নগদ পাঁচশত টাকা নিয়ে রওনা হয়ে গেলাম কমলাপুর রেলস্টেশনের পথে। গন্তব্য চট্টগ্রাম।
টিকেট না কেটেই ট্রেনে উঠে বসলাম। ঘন্টা দুই পর টিটি এলো টিকেট চেক করতে। সোহেল আমাকে দেখিয়ে বলল ওর কাছে টিকেট। আমি পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। আমি বললাম আরে ব্যাটা টিকেট আমার কাছে কোথা থেকে আসবে। টিকেট তোর কাছে দিয়েছি দেখ। সোহেল কিছুক্ষণ পকেট হাতিয়ে বলে আশ্চর্য তাহলে টিকেট গেল কোথায় ! পাচ্ছিনা কেন? আমি বললাম তোর মানিব্যাগে রাখছিস দেখ। সোহেল পকেটে হাত দিয়ে বলে সর্বনাশ মানিব্যাগ নাই। পকেট মার কি নিয়ে গেল নাকি? যাই হোক আমাদের এমন অভিনয় শৈলী দেখে টিটির মনে বেশ দয়া হলো বলেই মনে হলো। সে আমাদের বলল ভাইজানেরা আপনারা কষ্ট করে ভৈরব নেমে যাইয়েন। পরের ট্রেনে আইসেন। এইটা আন্তঃনগর। এইটাতে করে আপনাদের নেয়া যাবেনা। আপনারা লোকালে করে আসেন প্লীজ। আমরাও অগ্যতা মান সন্মান হারাবার ভয়ে রাতের বেলায় ভৈরব নেমে গেলাম। ভাগ্য ভাল কিছুক্ষণ পর একটা লোকাল ট্রেন এলো। নতুবা ঘন অন্ধকারময় কুয়াশার রাতে দুইজনের জংশনে বসে মশা মারা ছাড়া আর কিছুই করার থাকতনা। এত রাতে আমাদের কোথাও যাওয়ার উপায়ও ভেবে পাওয়া যাচ্ছিলনা। যাই হোক শেষে সেটাতে করে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছলাম সকাল বেলা। কিন্তু ভাগ্যটা খারাপ ছিলো লোকাল ট্রেন হলেও সেখানে আমাদের দুইজনের চল্লিশ টাকার আক্কেল স্যালামী গুনতে হলো।
সকাল বেলা চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের একটি বেঞ্চ দখল করে বসে আছি আমরা দুই বন্ধু। শীতের সকালের সেই স্নিগ্ধতা ছিলো ভীষণ মুগ্ধ করার মতো। কুয়াশা আস্তে আস্তে সরে গিয়ে সকালের মিস্টি রোদ একটু একটু করে আমাদের গায়ে লাগছিলো। চারাদিকে মানুষের কোলাহল বাড়তে শুরু করেছে এর মধ্যেই। হকার আর কুলীদের পদচারনায় মুখরিত পুরো স্টেশন। পাশে চায়ের দোকানে কাপের ভেতর চামচ নাড়ানোর শব্দটা বেশ মূর্ছনা সৃষ্টি করছিলো। কেউ কেউ লাগেজ হাতে নিয়ে ছুটছে রিক্সা কিংবা বেবীর খোঁজে। এখন যেটা সি এন জি এক সময় সেটাই ছিলো বেবী নামে পরিচিত। মাঝে আরও একটা ট্রেন এসে থামল তার হুইসেল বাজিয়ে। মাইক থেকে শোনা যাচ্ছে ট্রেনের আগমনী বার্তা। আমি একটা সিগারেট টানছি। পাশে বসে সোহেল সারারাত অনিদ্রার কারণে ঝিমাচ্ছিলো। পাঁচ কি ছয় বছরের একটা মেয়ে এসে সামনে দাঁড়িয়ে বলল স্যার দুইটা টাকা দিবেন? এই তীব্র শীতের মধ্যেও মেয়েটা খালি গায়ে স্টেশনে হেটে ভিক্ষা করছে দেখে খুব খারাপ লাগল। দশটা টাকা দিয়ে জিজ্ঞাস করলাম তোমার শীত করেনা ? মেয়েটা মাথা নাড়ালো। সোহেলের গায়ে একটা শাল ছিলো; মেয়েটার হাতে দিয়ে বলল যা ভাগ! শালটা পেয়ে খালি পায়ের মেয়েটার দৌড়ে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সোহেল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল দোস্তরে আজকে খুব ইচ্ছা করছে নীলাকে একবার খুব কাছে পেতে। নীলা বলত আমার নাকি ভেতরে কোন ফিলিংস নেই। অথচ সে বুঝলনারে দোস্ত; এই সোহেল নীলাকে কত বেশি ভালোবাসে। দোস্তরে আমি ওরে কিছুতেই বুঝাতে পারিনি যে, আমি নীলাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকি কি করে রে দোস্ত! এই কথা শুধু আমার আল্লাহই জানে যে আমার বুকের ভেতর নীলার প্রতি কতটা মায়া, কতটা ফিলিংস কাজ করে। জানিস কাল নীলা আমাকে জানিয়ে দিয়েছে সে এখন অন্যকাউকে ভালোবাসে। আমাকে না।
সোহেলের কথা শুনে আমি প্রায় কেঁদেই দিলাম। কারণ আমারও বুকের ভেতরটায় যে হাহাকার একদিন সেটা আমিও বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলাম রেশমীকে। তারপর দুইজনে মিলে চা খেয়ে ঠিক করলাম পতেঙ্গা যাবো। শীতের সকালে স্টেশনে বসে চা খাওয়ার মাঝে যে অমৃত সুধার মতো একটা ভাব আছে সেটা টের পেলাম খুব। চা খেয়ে রওনা হোলাম পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে। পুরো পতেঙ্গার বীচ ধরে হাটলাম কিছুক্ষণ দুইজনে। দূরে সাগরের উপর নোঙর ফেলে রাখা সারি সারি জাহাজগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো যেন কোন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী তার মনের মাধুরী মিশিয়ে অদ্ভুত সুন্দর ছবি এঁকে রেখেছে। একটা জিনিস খুব মজা পেলাম। আমাদের দুইজনের গায়ের রঙ হঠাত করেই লাল হয়ে গেল। পতেঙ্গা থেকে চলে আসার পরেও কিছুক্ষণ লাল ছিলো; তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে এলো। স্টেশনে এসে খোঁজ নিলাম নেক্সট ঢাকার ট্রেন কখন? ঘোরাঘুরি করার কারণে বেশ ক্ষুধার্ত দুই বন্ধু। স্টেশনের পাশেই ছাপড়া একটা হোটেল। হোটেলে ঢুকে গরম গরম পরোটা দিয়ে ডাল, সবজী আর ডিম ভাঁজি খেয়ে এক কাপ চায়ের সাথে সিগারেট ধরালাম। সোহেল অবশ্য চা খেয়ে একটা ভাল করে মশলা ওয়ালা পান মুখে দিয়ে সিগারেট ধরালো। তারপর আবার বীনা টিকেটে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম দুই বন্ধু। সোহেল দরাজ কণ্ঠে গান ধরল নীলাঞ্জনা ঐ নীল নীল চোখে চেয়ে দেখনা.... সাথে আমিও সুর মেলালাম..... তোমার ঐ দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছি, আমি বোঝাতেত কিছুই পারি নাই....নীলাঞ্জনা.....
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ব্লগার গোঁফওয়ালা ভাইকে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা অবশেষে সামুতে এক্সেস পেলাম আজকে।
ভালইত আছি ভ্রাতা। আপনি কেমন আছেন ভ্রাতা ?
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন, বাউন্ডুলে জীবন.
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপা এখনও মানুষ হতে পারলাম কই।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: অভিজ্ঞতাটা বেশ মজার। ভালবাসা বিষয়ক অংশটুকু বাদ দিয়ে।
প্লাস।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অভিজ্ঞতাটা হয়েছিল যে আপু ভালোবাসার কারণেই।
প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতা।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মাঝে মাঝে এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার কথা ভাবছি ভাই।
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আছি ভালোই ।
ভালো থাকবেন সবসময় , এই কামনাই করি ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা দোয়া করবেন এই ভাইটির জন্য।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা নিরন্তর শোভন। ভাল থাকা হোক সব সময়।
৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
আবু শাকিল বলেছেন: আপনার আগের জীবনটা দারুন কেটেছে!
মাঝে মাঝে চোখে ঘুম না আসলে পূর্বে ঘটে যাওয়া সময় গুলো মিছড করেন মনে হচ্ছে
শুভেচ্ছা জানবেন কান্ডারি ভাই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এখনকার এই জীবনটা আরও ভয়ানক সব অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ হয়ে উঠছে !
ভীষণ মিস করি বন্ধুদের সাথে কাটানো সেইসব মুহুর্তগুলোকে।
শুভকামনা নিরন্তর ভাইডি।
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: যে জীবনের কথা বলেছেন, সেই জীবনটা অনেক মিস করি। সারাটা জীবন গেল গন্ডীর মধ্যে কাটিয়ে। কখনো বন্ধুর বাসায় সারারাত তাস খেলে কাটাতে পারলাম, না পারলাম কখনো বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ে মাঝ পথে নেমে যেতে। জীবনটা একেবারে সোকেচে সাজানো সোপিচের মতো পার করলাম। এজন্য প্রচন্ড হিংসে হচ্ছে আপনাকে।
আসলেই চমৎকার লিখেছনে কান্ডারি ভাই।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সারাজীবন ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম ভাই... কখনও ইচ্ছেই করেনি সাজানো গোছান জীবনের...
তবে জীবনের মাঝ বয়সে এসে কেন যেন মনে হয় জীবনকে গোছানোর খুব প্রয়োজন।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগলো ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল মাহমুদ ভাই।
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার
++++++
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫২
ডি মুন বলেছেন:
প্রথম প্লাস +++ আমিই দিয়ে গেছিলাম। নেট এতো স্লো ছিল যে কমেন্ট আর করতে পারি নাই
এখন কমেন্ট করতেছি, কমেন্ট কমেন্ট কমেন্ট কমেন্ট
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেইটা আমি টের পাইছি যে প্রথম প্লাসটা তোরই দেয়া।
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
ডট কম ০০৯ বলেছেন: খুব ভাল লেখনী।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুপ্রাণিত হোলাম খুব।
শুভেচ্ছা শতত।
১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
সোহানী বলেছেন: আরে পাগল নাকি.... বাপের ঠ্যাঙ্গানী মনে হয় খান নাই জীবনে তাই সুযোগ নিয়েছেন। আর মায়ের কঠিন শাসনের কথা তো নাই বললাম..........
তারপর ও উড়নচন্ডী জীবনের প্রতি হিংসাত্বক ভালোবাসা সহ +++++++
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপা ছোট বেলায় আব্বার হাতে কত মাইর খাইছি তার হিসাব নাই। মাইর দেয়ার জন্য আব্বার স্থান কালের প্রয়োজন হইত না। যখন যেখানে প্রয়োজন হইত আচ্ছা মতন ধোলাই দিত। আর আম্মাত একবার মারতে মারতে আমার পিঠের উপর আস্ত একটা ডাল ঘুটনীই ভেঙ্গে ফেলছিল। এই কারণেই অমানুষ হই নই।
তবে কোথাও বেড়াতে গেলে মানা করত না কখনও। আর যেই সময়ের ঘটনা এটা তখন আমি মাইর খাওয়ার বয়সের অনেক উর্ধে।
প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার মিশালী ভ্রমন গল্প । ১১তম ভালোলাগা ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভাল লাগল।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: লষ্টালজিয়া, সেই খালাম্মা, মামা সবাই যখন ইতিহাসরে অংশ তখন কান্ডারি অথর্ব একজন বিখ্যাত বাংলা ব্লগার।
লেখায় +++
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
:-& :-& :-&
ভাই মাফও চাই দোয়াও চাই...
প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা ভাই।
১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: গল্পপাঠে মুগ্ধতা ও ভালোলাগা ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এটা কি গল্প নাকি স্মৃতিচারন? পড়তে ভালই লাগল
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুটোই বলা যেতে পারে ভাই।
শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: এধরণের বাউন্ডুলে কাহিনী পড়লে হিংসে হয় কিছুটা।
স্মৃতচারণ ভাল লাগল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পুরোন স্মৃতিগুলোর মাঝে অনেকটা অতীতে ফিরে যাওয়ার মোহ কাজ করে।
২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪১
তওসীফ সাদাত বলেছেন:
কতজনেরই সেই 'নীলা/রেশমি' আছে!!
যাকে সে একদিন বোঝাতে অসমর্থ হয়েছিল।
আর হ্যাঁ শীতের সকালে স্টেশনে বসে চা খাওয়ার আসলেই সেরকম একটা অনুভূতি। আমার খুব প্রিয় একটা কাজ এটা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আছে হয়ত অনেকেরই ...
কিছু কিছু কাজ আছে যা খুব সাধারন হলেও অসাধারন তৃপ্তি দেয়।
২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: কাপানো শীতের অভিজ্ঞতা !!!
সুন্দর স্মৃতিচারণ ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শীতে শীতের স্মৃতিচারণ
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
নাসির ভাই বলেছেন: বিনা টিকেটে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছে। ব্যপারটা বেশ মজার। ভালো লাগলো
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যদিও কাজটা ভীষণ অন্যায় তবে ট্রেনের এই অভিজ্ঞতাটা বেশ উপভোগ্য।
২৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০১
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ্নীলাঞ্জনা নামটা সুন্দর
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলেই খুব অন্যরকম একটা নাম।
২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
নাসির ভাই বলেছেন: দাদা সুযোগ থাকলে চলেন আরেকবার অন্যায় করি
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলেন তাহলে। বলেন কবে অন্যায় করতে বের হবেন।
২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগা। অনেক।
শুভকামনা জানবেন ভাই। অনিঃশেষ। সবসময়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
শুভেচ্ছা শতত।
২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: বাহ দারুন! অনেক দিন পর গানটা আমিও গুন গুন করে গাইলাম- “তোমার ঐ দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছি...আমি বোঝাতে তো কিছু পারি না” ......
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই গানটা আমি প্রায়ই গেয়ে উঠি মনের অজান্তে।
ভাল থাকুন সর্বদা।
২৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক পুরানো ঘটনা মনে করিয়ে দিলেন।। শুধু ক্ষেত্র এবং ব্যাক্তিবিশেষে ভিন্ন রং।। আমার ক্ষেত্রে পিলটার পরিবার।।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার কাছ থেকে আপনার অভিজ্ঞতা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: @কান্ডারী টিটিকে তো পাত্তাই দিতাম না।। বেশী করলে শুধু বিল্ডিং নাম্বারটা জানতে চাইতাম।।(কারন বাসা ছিল শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীর আশে-পাশেই বা ভিতরে) ।। তাতেই ভদ্রলোক বুঝে যেতেন।। আর বাকিটাতো লেখাতেই পেয়েছেন।।
এরমাঝে কিন্তু দেশ থেকেও বেড়িয়ে এসেছি।।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।। ভাল এবং আনন্দে থাকুন,সবাইকে নিয়ে এই কামনায়।।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দেশে আসলেন কিন্তু জানতেও পারলাম না ভাই ?
হ্যাপী নিউ ইয়ার ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার +++++++++ ট্রেইলার পড়েছিলাম ফেবুতে মনে হয় ।
কেমন আছেন ভ্রাতা ?