![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
এরই মধ্যে তুমি ছয় পেগ মদ খেয়ে ফেলেছো। অনেক হয়েছে আজকের মতো বাদ দাও। তুমি খুব বেশী মদ খেয়ে ফেললে আমি আমার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। তখন তোমার শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোকে সঠিক সংকেত পাঠাতে পারিনা।
আমি খুব ভাল ভাবেই লক্ষ্য করছি আজকাল তুমি বেশ উৎপাত করতে শুরু করেছো। আমার বিরুদ্ধে এক রকমের ষড়যন্ত্র করা শুরু করেছো। আমাকে নানাভাবে অত্যন্ত সুকৌশলে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছো। এটা ঠিক হচ্ছেনা। এমনটা আর কখনও করবেনা।
দেখো আমার কাজই হচ্ছে তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমি মোটেই কোন ষড়যন্ত্র করছিনা। আমি শুধুমাত্র আমার দায়িত্ব পালন করছি। আমার দায়িত্বই হলো তোমাকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করা।
ভুল বললে। এটা সম্পূর্ণ তোমার ভুল ধারণা। যেসব মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে তাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেও তাদের রুহ কিন্তু ঠিকই বেঁচে থাকে। তাদের শরীর সঠিক ভাবে পরিচালিত হতে না পারলেও তাদের রুহ কিন্তু বেঁচে থাকে অনন্তকাল ধরে। শোন মস্তিষ্ক, তোমাদের মৃত্যু আছে কিন্তু আমার কোন মৃত্যু নেই। আমি অমর। আমার শুধু ঠিকানার পরিবর্তন হয়।
বেশ ! তুমি যেটা ভাল মনে করো। আমার কাজ হলো তোমাকে সতর্ক করে দেয়া। তাই আমি করেছি মাত্র।
কি ব্যাপারে সতর্ক করলে ঠিক বোঝা গেল না বিষয়টা। আমিতো দেখছি তুমি আমাকে সতর্ক না করে বরং তোমার নিজেকে নিয়েই বেশী উদ্বিগ্ন।
মোটেও তা নয় ! তোমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ওরা তোমাকে মেরে ফেলতে চাইছে।
আবারও ভুল করলে তুমি। ওরা চাইলেই আমাকে মারতে পারবেনা। ওরা যা করবে ওদের নিজেদের মৃত্যুই ওরা নিজেরা ডেকে আনবে। আমার কোন মৃত্যু নেই। আমি অমর। আসলে তুমি উদ্বিগ্ন তোমার এবং তোমার সঙ্গীসাথীদের মৃত্যু নিয়েই। তাই তুমি আসলে আমাকে সতর্ক করছোনা। নিজেদের বাঁচার তাগিদেই ষড়যন্ত্র করছো। আর যদি তোমার এতই বেঁচে থাকার স্বাদ জাগে তাহলে ওদের সতর্ক করে দাও। ওদের পুরো নিয়ন্ত্রণতো তোমার কাছেই।
আমি আর কিছুই বলবো না। তোমার যা ভাল মনে হয় তুমি তাই করো।
হ্যাঁ ! আমি তাই করবো। আমার পরিপূর্ণ তৃপ্তিই আমার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।
ঘরের ভেতরটা হঠাৎ করে এমন অন্ধকার অন্ধকার লাগছে কেন ? আমিতো ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রেখেই মদ খেতে বসেছি। কোথাও কোন ভুল হচ্ছেনাতো ? চারদিকটা হঠাৎ ঝাপসা হয়ে আসছে। এইতো আমি সিগারেট খাচ্ছি। মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছি। সবইতো ঠিক আছে। কিন্তু কোন কিছুই হঠাৎ করে যেন ঠিক মতো ভাবতে পারছিনা। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো লাগছে। ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। ঐতো শ্রাবণীকে দেখতে পাচ্ছি। সাদা রঙের শাড়িতে মনে হচ্ছে যেন বেহেশতের কোন এক সাদা পরী সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।
কী ব্যাপার পাকস্থলী হঠাৎ আজকে এই অবেলায় এতো জরুরী তলব ?
শোন ফুসফুস তুমি আমার খুব ভাল একজন বন্ধু। তুমিতো ভাল করেই জানো আমার জীবনটা কতটা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। তাই আমি একটা কঠিন সিদ্ধ্যান্ত নিয়ে ফেলেছি।
তুমি কি সিদ্ধ্যান্ত নিয়েছো জানিনা। তবে তোমার মতোই আমারও একই অবস্থা। আমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে এখন শুধুই বিষাক্ত নিকোটিন। এভাবে চলতে থাকলে আমরা তীলে তীলে নিঃশেষ হয়ে যেতে থাকবো। একটা সময় আমাদের অস্তিত্ব হুমকীর মুখে পড়বে। তখন কোন ওষুধেই আর আমাদের সুস্থ করতে পারবেনা। তা বলো শুনি তোমার সিদ্ধ্যান্তটা কি শুনি।
আমি ঠিক করেছি আমি ওকে মেরে ফেলবো।
তুমি ওকে কীভাবে মারবে ? তোমার কি আর সেই ক্ষমতা আছে নাকি ?
শোন আমার পরিকল্পনাটা খুব দারুণ। একটা সুপরিকল্পিত হত্যা।
আরে তুমি কি পাগল হলে নাকি ? আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। আর এই মস্তিষ্ক সবসময় ওর গোলামী করে। মস্তিষ্ক কখনই আমাদেরকে এই হত্যায় সাহায্য করতে চাইবেনা। বরং আমরাই ওর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অসহায়।
এই নিয়ে তোমাকে মোটেই ভাবতে হবেনা ফুসফুস। তুমি জেনে খুব খুশী হবে যে এবং সেই সাথে অবাকও হবে মস্তিষ্ক এখন আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। আজকের সভায় মস্তিষ্ককেও আসতে বলা হয়েছে। এবং সে আসছে আমাদেরই একজন সদস্য হিসেবেই।
ভাল করে একবার ভেবে দেখো পাকস্থলী ? মস্তিষ্ককে কি আমাদের মাঝে আনাটা ঠিক হচ্ছে ? ওকে ভরসা করাটা কি উচিৎ হবে ? দেখা গেলো আমাদের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে উল্টো আমাদেরকেই বিপদে ফেলে দিলো।
তোমার এই কথা ঠিক যে মস্তিষ্ক আমাদের চেয়েও অনেক বেশী জ্ঞান রাখে। আর যেহেতু সে আমাদের সবার নিয়ন্ত্রক তাই তার কাছে আমরা সবাই নস্যি। কিন্তু তুমি এই নিয়ে কোন দুশ্চিন্তাই করোনা। এতদিনে মস্তিষ্কের ভুল ভেঙেছে। সে এখন নিজে থেকেই আমাদের দলে আসতে রাজী হয়েছে। এবং তুমি জেনে অবাক হবে যে এই হত্যাকান্ডের পুরো পরিকল্পনাই কিন্তু মস্তিষ্কের নিজের করা। আমি শুধু তোমাকে বলছি মাত্র।
ঐতো মস্তিষ্ককে আসতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ওকে এমন লাগছে কেন ? মনে হচ্ছে এখনই ঘুমিয়ে পড়বে। শোন পাকস্থলী আর ফুসফুস আমার সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার নিজের উপর থেকেই হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে শুরু করে দিয়েছি। এখন তোমাদের সাথে যাই বলতে পারছি সেটা সঞ্চয় করে রাখা কোষ থেকে বলতে পারছি। নতুন করে কিছুই আর ভাবতে পারছিনা। আর একটু পর হয়তো পুরানো কিছুও আর মনে করতে পারবোনা। তোমরা আজ যে কারণে সভা ডেকেছো তার আর কোন প্রয়োজন নেই। আমি ইতিমধ্যে হাতকে দিয়ে সব কাজ শেষ করিয়ে ফেলেছি। হাত অত্যন্ত সুচারু ভাবেই আমার দেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার প্রাথমিক কাজটি করে ফেলেছে। এখন বাকিটা তোমাদের দুইজনকেই করতে হবে। পাকস্থলী ইতিমধ্যেই তোমার কাছে বিষাক্ত মদ চলে এসেছে আর ফুসফুস তোমার কাছে চলে এসেছে অতিমাত্রার নিকোটিন। ব্যাস হয়েইতো গেলো এবার বাকিটা নির্ভর করছে তোমাদের উপর। তোমরা চাইলেই সব হজম করে ফেলতে পারো আর না চাইলে তোমাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারো।
মস্তিষ্ক, মস্তিষ্ক কি হলো চুপ করে গেলে কেন ?
পাকস্থলী, শোন মস্তিষ্ককে ডেকে আর কোন লাভ নেই। ও আর কখনই কোন কথা বলবে না। আমার ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা পাকস্থলী।
বন্ধু ফুসফুস আমারও ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। আমার সাথে সাথে আমার ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত সবকিছুই কেমন যেন অশ্বার হয়ে পড়ছে।
বিদায় বন্ধু।
ভাল থেকো বন্ধু। বিদায়।
হা হা হা আজকে আমি স্বাধীন। আমি মুক্ত। বোকার দল আমাকে মেরে ফেলা কিংবা বাঁচিয়ে রাখা তোমাদের কাজ নয়। আমাকে কেবলমাত্র নিঃশেষ করতে পারে একজনই। তোমাদের আমার প্রয়োজন ছিলো বটে কিন্তু আমি আবারও তোমাদের মতো একটি শরীরের ঠাই পাবো। কিন্তু তোমাদের কার্যপ্রক্রিয়ার বদলে যাবে। আমি রুহ আমার কোন পরিবর্তন নেই।
হা হা হা হা
কে হাসছে ওখানে ?
ভয় পেওনা। আমি তোমার মতোই আরেকজন রুহ। তুমি আসলে যা ভাবছো ঠিক তেমনটা নয়। তুমি এখন থেকে নিজেই দেখতে পাবে রুহদের বাকি জীবন আসলে কেমন হয়। যাই হোক রুহ বন্ধু তোমাকে আমাদের রুহের জগতে স্বাগতম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই এভাবে সাথে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
ভেবে দেখেন মানুষের অঙ্গগুলো যদি এভাবে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করার সুযোগ পেতো তাহলে কি হতো ?
দেখা গেলো কোন এক সকালে বিছানা থেকে উঠা যাচ্ছেনা। পা ধর্মঘট পালন করছে। সেদিন সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হতো।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪০
ধমনী বলেছেন: ছবিটা দেখে বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। তবে পোস্টটি অসাধারণ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এইরকম গল্পের প্রচ্ছদ কেমন হতে পারে ঠিক ভেবে পাচ্ছিলাম না।
মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: Laptop nosto hoye geche. Comment reply pore dibo kandari vaiyaaaaa..
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক করিয়ে ফেলো। ঠিক করিয়ে তারপর শুধু কমেন্ট কেন আর কত আড্ডা চলবে।
ভাল থাইকো।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শিরোনামেই অনেকটা আন্দাজ করেছিলাম।
এইরকম লেখা খুব একটা পড়িনি। কোন ক্লাসের ইংরেজী বইয়ে যেন এমন একটা লেখা পড়েছিলাম। তবে ঐটার থেকে এইটা আরো ভাল। আরো বর্ণনাময়। ভাল লাগলো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
কোন ক্লাসে এমন কোন কিছু ছিলো কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হোলাম।
মানব শরীর ও মানবের মাঝে দ্বৈরথটা এইরকমই অনেকটা।
ভাল থাকুন ভাই।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
সুমন কর বলেছেন: অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাথে কথোপকথন--ভালো হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একটু ভিন্নরকম লেখা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নিরন্তর ভাই।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
সুলতানা রহমান বলেছেন: একটু আলাদা লাগলো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছুটা হয়তো।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
প্রামানিক বলেছেন: ব্যাতিক্রমী লেখা। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই লেখাটি পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা শতত।
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
বাহ অপার্থিব কথোপকথন !
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু সব সময় সাথে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
মানবদেহর অঙ্গগুলো এভাবেই হয়ত বিদ্রোহ করে বসে। তারপর চিরপ্রস্থান এবং চিরমুক্তি।
শুভেচ্ছা শতত আপু।
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: অন্যরকম লেখা, ভাল লেগেছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় ঢাকাবাসী।
শুভেচ্ছা শতত।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
মশিকুর বলেছেন:
জটিল চিন্তা ভাবনা...
+
শুভকামনা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছুটা অপার্থিব চিন্তাভাবনা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাপারটা মন্দ না, অ্যালকোহলিক,ধুমপায়ী বা ছাড়া দের শরীরের যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিদ্রোহ ঘোষণা করে কেমন হবে!
আজকের পোস্ট ছোট হলেও পরিসমাপ্তি আমার কাছে ঠিকঠাক লাগলো না। আরো ডিটেইলস আনতে পারতেন। আপনার এই পোস্ট থেকে লেখার থীম পাইলাম।
যাই হোক শুভেচ্ছা
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছোট গল্পের সীমা পরিসীমা কিছুটা অপরিতৃপ্তি মূলক হওয়াটা দোষের কিছু কি ? থাকনা কিছু অপরিতৃপ্তি জমা হয়ে।
অপেক্ষায় রইলাম আপনার লেখা পড়ার জন্য। আপনি লিখলে সেটা হবে অমৃত। ছাইপাঁশ একটা লেখা পাবে দুর্দান্ত লেখার স্বাদ।
অনেক ভাল থাকুন। কৃতজ্ঞতা চিরদিনের।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
ভারসাম্য বলেছেন: ৪/৫ ক্লাসের ইংলিশ ফর টুডেতে সম্ভবত একটা গল্প ছিল, যেখানে হাত-পা ও শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবাই পেটকে দোষারোপ করছে যে, সবাই মানুষের জন্য অনেক কাজ করে কিন্তু পেট শুধু খায় আর খায়। তাই সবাই মিলে পেটে খাবার পৌঁছানো বন্ধ করে দেয়ায় এক সময় অন্যান্য কাজেও অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর শক্তি পাচ্ছিল না। পরে সবাই আবার সিদ্ধান্ত নিল, পেটও তাদের জন্য অনেক কাজ করে।
থীমটা সেরকম হলেও, বক্তব্য পুরো উল্টা। খুব বেশি আহামরি লাগে নি গল্পটা। রুহ ও মস্তিষ্কের পাশাপাশি আবেগ ও বিবেকের অংশটা গল্পে আনা গেলে, ভাল হত হয়তো। যাই হোক, আরেক পর্ব বাড়ান লেখাটার।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওরে রে !!!! ভাই এত আগের গল্পও আপনার মনে আছে ?
এইটা নিতান্তই একটা ছোট গল্প। গল্পের থীমটা হলো মানবের সাথে মানব শরীরের দন্দ, বিদ্রোহ এবং বাস্তবতা। এখানে রুহ হচ্ছে মূল অন্যান্যগুলো কেবল নিমিত্ত মাত্র।
কিছুটা আবেগ ও বিবেকের ছোঁয়া দেয়া হয়েছে তবে সেটা ছোট গল্প অনুযায়ী। এটাকে চাইলে টেনেটুনে দীর্ঘ করা যেতে পারে অবশ্যই।
চিরকৃতজ্ঞতা জানবেন এভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: রুহ। নতুন একটা শব্দ শিখলাম। পোস্ট ভালো লেগেছে। ভারসাম্য ভাইকেও ধন্যবাদ। মনে করতে পারছিলাম না এই ধরণের একটা গল্প কোথায় যেন পড়েছিলাম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রুহ হল আরবি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হলো আত্মা। এটা আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ কুদরত। সম্পুর্ন শূণ্যতা বা অস্তিত্বহীন থেকে শক্তির মাধ্যমে তিনি যেভাবে সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনেন, তেমনি করে অতিরিক্ত আরেকটি শক্তির মাধ্যমে নিষ্প্রাণ পদার্থে তিনি প্রাণের উন্মেষ ঘটান। সে অতিরিক্ত শক্তিই হল রুহ বা আত্মা।
ভারসাম্য ভাইয়ের স্মরণ শক্তি অতুলনীয়।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
জুন বলেছেন: খুব ভালোলাগলো কান্ডারি আত্মার কথোপকথন।
+
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যাক ! তাও যে কোন ভুল ধরেন নাই।
ইদানীং বেশ ভয়েই থাকি কখন কোন ভুল করে ফেলি আর আমার বানানের যে অবস্থা।
১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
অগ্নি সারথি বলেছেন: কথোপকথনে গুরুত্বপূর্ন ম্যাসেজ। ভাললাগা।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
ভোরের মতোই সজীব থাকুন সব সময়।
১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
সোহানী বলেছেন: এভাবে শরীরের অংশগুলোকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করানোর কোন মানে হয়!!!! চারপাশের ষড়যন্ত্রে্ এমনিতেই অস্থির আছি....
নতুন আঙ্গিকে অসাধারন হয়েছে........+++++++++++++++++++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চারদিকের ষড়যন্ত্রই খুব সম্ভবত শরীরকেও বাদ রাখতে চাইছেনা আপা।
কেমন আছেন আপা ?
১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: টোটালি ডিফরেন্ট কনসেপ্ট, ভাল্লাগছে +++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ভ্রাতা। সব সময় সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্যতিক্রমী লাগলো । + এত উপসর্গ আর বদঅভ্যাস লইয়া মানব জীবন !!!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সেলিম ভাই তবু যদি মানবের একটু হুঁশ ফিরতো।
২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা।খুব ভালো লাগল পাঠে+
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
শুভ সকাল।
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আধ্যাত্বিক !! আমি বাস্তবে (পাঠকের নিজস্ব চিন্তাধারা অনুসারে)।। সেখান থেকে নামিয়ে বাস্তবে আনলে কি হবে?? আমাদের দেহ-মনতো আগেই বিক্রিত যাও বাকি ছিল মাথাটা,তাও বিদায় নেবার পথে।। থাকলো ঘোড়ার ডিম।।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঘোড়ার ডিম এখন মামলেট করে খেয়ে নিলেই হয়।
আছেন কেমন ভাই ?
২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো প্রতিকী গল্প ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভেচ্ছা শতত।
২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মনে হচ্ছে অন্য রকম একটি গল্প। সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভেচ্ছা শতত।
২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
মৃন্ময় বলেছেন: অনেক ব্যতিক্রমী লেখা, অনেক ভালো লাগলো।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর ভাই। কেমন আছেন ?
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
শুভকামনা নিরন্তর।
২৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
আবু শাকিল বলেছেন: অন্য রকম।ভাল লেগেছে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থেঙ্কু শাকিল ভ্রাতা।
নেক্সট টাইম আপনার সাথে দেখা হওয়ার খুব ইচ্ছা আছে।
২৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিভ্রান্তির ছলনে নিমজ্জিত হলাম কয়েক মিনিট।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা আপনার কাছে আমি সবসময় কৃতজ্ঞ। এভাবে উৎসাহিত কেউ আজকাল সহজে করতে চায়না।
ভাল থাকুন ভাই সবসময় এই দোয়া করি।
২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: জ্ঞল্প ভাবনায় ভিন্নতা । সুন্দর ভিন্নতা । ভাল লেগেছে ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
ভাল থাকুন সব সময়।
২৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
এহসান সাবির বলেছেন: আমি তো ছবি দেখে কবিতা ভেবেছিলাম।
ভালো থাকুন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বলেন কি ভ্রাতা ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: ভিন্ন ধাচের ভালোলাগা!!! শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলোকে জীবনের চরিত্রে দাড় করিয়ে মুগ্ধ ভালোলাগার গল্পটা।অনবদ্য সুখপাঠ্য- নান্দনিক...
অনেক শুভকামনা সব সময়ের জন্য প্রিয় কান্ডারি অথর্ব ...