![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।
আমি একজন না-মানুষ। সোজা কথায় না-মানুষ হলো সেই, যে মানুষ না। এই মানুষ না হওয়ার বেশ আনন্দ আছে। কোন প্রকারের পাপ-পূণ্যের দায়বদ্ধতা থাকেনা না-মানুষদের। আমারও নেই। এইজন্য অবশ্য লোকে আমাকে ঘৃণা করেনা। আমাকে অনেকেই সাধু সন্ন্যাসী বলে মনে করে। আমার কাছে মানুষজন এসে তাদের সমস্যার কথা জানায়। আমিও চেষ্টা করি তাদের সেসব সমস্যার সমাধান করে দিতে। অবশ্য এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য আমি সম্মানী বাবদ কিছু অর্থকরী নিয়ে থাকি। কারণ না-মানুষ হলেও আমারও জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজন রয়েছে। কিছুদিন আগে শফিক নামের একটি ছেলে এসেছিলো তার সমস্যা নিয়ে। তার স্ত্রীর নাকি অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে তার স্ত্রীকে খুন করার পরামর্শ দিলাম। তার কিছুদিন পরেই তার স্ত্রীও এলো। আমি তাকেও খুন করার পরামর্শ দিয়ে দিলাম। দুই জনের কাছ থেকেই বেশ ভাল রকমের অর্থকরী উপার্জিত হয়েছিলো। আজকে আবার একজন এসেছে তার সমস্যা নিয়ে। নাম সুমন। ছেলেটা আমার সামনেই বসে আছে।
আমি কি এখানে একটা সিগারেট ধরাতে পারি ?
ধরান।
ছেলেটা একটা সিগারেট ধরিয়ে এত দ্রুত টানতে শুরু করল, যেন এখনই বাস ছেড়ে দিবে। সিগারেট শেষ না হলেও সমস্যা আবার বাসও মিস হবে। একবার বাস মিস হলে আর দ্বিতীয় বাস পাওয়া যাবেনা। আমি বললাম এত ব্যাস্ত হওয়ার কিছু নেই। আপনি ধীরে সুস্থে আয়েশ করেই সিগারেট টানুন। সিগারেট হলো আয়েশ করে খাওয়ার জিনিস। ধীরে সুস্থে আয়েশ করে না টানলে হঠাৎ একসাথে অনেক ধোঁয়া জমে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়ায় সমস্যা হয়ে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আমার মনে হলো ছেলেটা আমার কথা বুঝতে পেরেছে। এখন সে ধীরে সুস্থেই সিগারেট টানছে। তবে তার চোখে মুখে একটা অপরাধী অপরাধী ভাব কাজ করছে। বোঝাই যাচ্ছে ছেলেটা কোন কিছু নিয়ে ভয়ে খুব টেনশনের মধ্যে আছে। এবার আপনার সমস্যার কথা বলুন।
আমি একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসি।
বেশত। ভালোবাসা খুব ভাল জিনিস। কিন্তু মেয়েটা আপনাকে ভালোবাসেনা এইতো ?
জী না, মেয়েটাও আমাকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসে।
তাহলে সমস্যা কোথায় ?
সমস্যা হলো মেয়েটার হাসবেন্ড কে নিয়ে !
হুম ! পরকীয়া কেস।
আমাকে সাহায্য করুণ প্লীজ !
এটা কোন বিষয়ই না। আপনাকে শুধু একটা খুন করতে হবে।
খুনের কথা শুনে ছেলেটা চমকে উঠলো। খুন করতে হবে ! মানে মেয়েটার হাসবেন্ডকে খুন করার কথা বলছেন ?
ছেলেটা ঘামতে শুরু করেছে। কপালের রেখাগুলো মোটা করে ভাঁজ হয়ে ফুলে উঠেছে। আবার একটা সিগারেট ধরাল। এবার আগের চেয়ে আরও দ্রুত সিগারেট টানা শুরু করেছে। এরই মধ্যে সে সিগারেট টানা সম্পর্কে আমার জ্ঞানদানের কথা ভুলে গেছে। অবশ্য টেনশনে থাকলে মানুষের মস্তিষ্কের সাধারণ চিন্তা শক্তি কাজ করেনা। তখন সে কয়েক সেকেন্ড আগে কি হয়েছে ভুলে যায়। সামনে কি হবে সেটাই তখন মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের আবার হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা। তখন তার পক্ষে অনেক কিছুই করে ফেলা সম্ভব হয়। এই ছেলেটাও তেমন প্রকৃতির। এই জন্য মানুষ খুন করার কথা শুনে তার ভেতর ভীতি কাজ করছে। আমার মত না-মানুষ হলে এমনটা হত না। মানুষ খুন করার কথা শুনে স্বাভাবিক থাকতে পারত।
আপনি দেখছি গভীর চিন্তার মধ্যে পরে গেছেন ? এত চিন্তার কিছু নেই। খুনটা করতে হবে খুব ঠাণ্ডা মাথায়। কোন রকম ক্লু রাখা যাবেনা। এবং সাথে সাথেই মেয়েটার সাথে থাকা যাবেনা। মেয়েটাকেও বলে দিবেন যেন কিছুদিন ঘরে থেকেই নিজ স্বামীর হত্যাকান্ডে শোক পালন করে। তারপর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এলে দুজনে মিলে নিজেদের অভিসার পূর্ণ করবেন। ছেলেটা মনে হলো আমার কথায় ভরসা পেল। আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিগারেট টানতে টানতেই উঠে চলে যেতে লাগল। এইযে মশাই, দাঁড়ান। আপনি দেখছি আমার ফিস না দিয়েই চলে যাচ্ছেন !
ওহ ! দুঃখিত। আসলে মাথাটাই কাজ করছেনা। আপনার ফিসটা পকেটেই রেখেছিলাম। দুঃখিত
এই নিন।
জী ধন্যবাদ !
মাঝে মাঝে আমার ঘরে আমার গুরুজী আসেন। তার মৃত্যুর পর থেকেই মূলত আমার জন্য এই পরম সৌভাগ্যের সূচনা হয়। গুরুজী এসে আমার সাথে কথা বলেন। নানারকম জ্ঞান দান করেন। আমাকে দীক্ষা দেন। অনেক দিন পর আজকে আমার ঘরে গুরুজী এসেছেন। কি কেমন চলছে তোমার দিনকাল ?
স্যার ভাল না ! আমি আমার গুরুজীকে স্যার বলেই সম্বোধন করি।
সেটা অবশ্য না চলারই কথা। এই, কি ব্যাপার লেবু দিয়ে মাংস রান্না করা হয়েছে মনে হচ্ছে ? বেশ গন্ধ পাচ্ছি ! কিন্তু মনে হচ্ছে লেবুর পরিমাণটা অনেক বেশি দিয়ে ফেলছ ? মাংসের চেয়ে লেবুর গন্ধটা বেশি আসতেছে। মাংস আর লেবুর গন্ধ সমান আসতে হবে। না হলে সুস্বাদু হয়না। আজকে মনে করবাত; তোমাকে অবশ্যই রান্নাটা ঠিক ভাবে শিখিয়ে দিয়ে যাব।
জী স্যার। স্যার আপনার ভাগ্যটা খুব ভাল। আজকে অনেকদিন পর আপনি এসেছেন। আর আজকেই লেবু দিয়ে মাংস রান্না করিয়েছি।
এক কাপ চা খাওয়াতে পারবা ?
জী স্যার অবশ্যই !
শোন দুধ চা কর। আর দুধ কিন্তু অবশ্যই গাভীর দিবা।
স্যার কি সাথে সিগারেট খাবেন ?
ঘরে থাকলে একটা দাও খাই।
স্যার বেনসন কিন্তু ?
আরে দাওত !
স্যার চায়ের কাপ থেকে পিরিচে একটু একটু করে চা ঢেলে নিয়ে চুমুক দিচ্ছেন। চা শেষ করে
সিগারেট ধরালেন। কি ব্যাপার তুমি সিগারেট ধরাচ্ছনা ?
স্যার না, মানে !
ধুরও ! ধরাওত। আমার এসব প্রেজুডিস নাই।
স্যারের সাথে সাথে আমিও একটা সিগারেট ধরালাম।
জীবন খুব সাধারন একটা বিষয়। এই বিষয়টাকে আমরা মানুষরা খুব জটিল করে ফেলাই। অবশ্য তোমার ক্ষেত্রে এইটা প্রযোজ্য না। তুমিত আবার মানুষ না। তুমি হইলা না-মানুষ। এই না-মানুষ হওয়ার আইডিয়াটা কিন্তু চমৎকার। বৃষ্টি হবে আর সেই বৃষ্টিকে উপভোগ করতে পারলানা, এরচেয়ে হতভাগ্য আর কিছু নাই। সর্দি লাগবে, জ্বর আসবে, এইসব অজুহাত দেখান হলো যতসব মানুষের জটিলতা। বৃষ্টি হবে, উপভোগ কর। শর্দি জ্বরের জন্য ডাক্তার আছে। ডাক্তারের কাছে যেন যেতে না হয়, এইজন্য সব এড়িয়ে চললাম, তাহলে ডাক্তাররা খাবে কি ?
জী স্যার, একদম ঠিক বলেছেন।
একটা কাগজ আর কলম নিয়ে আস। তোমাকে লেবু দিয়ে মাংস রান্না করার রেসিপিটা লিখে দিয়ে যাই। এরপর আসলে যেন তৃপ্তি ভরে খাওয়াতে পার।
স্যার খুব আগ্রহ নিয়ে লিখছেন।
এক কেজি মাংস, অল্প পরিমানে পুদিনা পাতা, আদা তিন টেবিল চামচ, আস্ত রসুন কুঁচি তিন চারটা, গোল গোল করে পেঁয়াজ কুঁচি, লবন পরিমান মত, কাঁচা ঝাল মরিচ লম্বা করে কেটে দিতে হবে (তবে কোন হলুদ আর মরিচের গুঁড়া দেয়া যাবেনা), দেড়টা বাতাবী লেবু। কোন ঝোল রাখা যাবেনা। ভূনা ভূনা করে রান্না করবা।
হঠাৎ কলিং বেলের শব্দে ঘুম ভাঙল। দরজা খুলতেই দেখি রাজুর মা দাঁড়িয়ে আছে। রাজুর মা প্রতিদিন বিকাল বেলায় এসে আমার জন্য রান্না করে দিয়ে যায়। তাছাড়া ঘরের কিছু টুকটাক কাজ থাকলেও করে দিয়ে যায়। রাজুর মার বয়স খুব বেশি না। মনে হয় এখনও তিরিশও হয়নি। বিয়ের পর দুই বছরের মাথাতেই ছয় মাসের ছেলেটাকে সহ রেখে তার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে তাকে ছেড়ে চলে যায়। এখন ছেলেটাকে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে পাশের বস্তীতেই থাকছে। বাড়ি বাড়ি কাজ করে যা রোজগার করে তাই দিয়ে ছেলেকে নিয়ে তার জীবন চলে।
রাজুর মা শোন, আজকে লেবু দিয়ে মাংস রান্না করবা। লেবু দিয়ে মাংস রাঁধতে পারত ? না পারলে বল শিখিয়ে দিচ্ছি।
ভাইজান, এইডা আর এমন কঠিন কি ! মাংস রান্না কইরা হের মইধ্যে লেবু চিইপ্প্যা দিয়া দিলেই হইব।
এত সহজ হলেত, হয়েই যেত তাইনা ? শোন, আমি শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে রান্না করবা লেবু দিয়ে মাংস। মাংসের সাথে অল্প পুদিনা পাতা নিবা, আদা দিবা তিন টেবিল চামচ, আস্ত রসুন কুঁচি দিবা চারটা, গোল গোল করে পেঁয়াজ কুঁচি নিবা, অল্প একটু লবন দিবা, কাঁচা মরিচ লম্বা করে কেটে দিবা, কিন্তু কোন হলুদ আর মরিচের গুঁড়া দিবানা, দেড়টা বাতাবী লেবুর রস দিয়ে ভূনা ভূনা করে রান্না করবা। কোন ঝোল রাখবানা। রান্না হলে আমার জন্য সামান্য কিছু রেখে, বাকিটা তোমার আর তোমার ছেলের জন্য নিয়ে যাবা।
হয়, ভাইজান বুঝতে পারছি।
নাহ ! রাজুর মা রান্নাটা ঠিক মত করতে পারেনি। মাংসের চেয়ে লেবুর গন্ধটাই বেশি আসছে। একগাদা লেবু দিয়ে ফেলছে। খেতেও মোটেও সুস্বাদু হয়নি। কাল আবার আসুক রাজুর মা, তার আর আমার এখানে কাল থেকে কাজ করতে হবে না।
নাহ ! গল্পটা ঠিক জমছেনা। এমন গল্প লিখলে আজকাল পাঠক খাবেনা। আর পাঠক না খেলে একজন লেখকের কোন সার্থকতা থাকেনা। একজন লেখক হিসেবে নিজের কাছে আত্মতৃপ্তি থাকলেও পাঠক সমাজে পুরো মাত্রায় একজন ফ্লপ লেখক হিসেবেই দুর্নাম কামাই করতে হবে। পাঠকের রুচির প্রতি জ্ঞান রেখে লিখতে হবে। তবে আবার নিজের মত করে রুচি তৈরি করে দেয়ার মাঝেও সার্থকতা আছে। সোজা কথা পাঠককে খাইয়ে দিতে হবে। সেটা বিড়িই হোক অথবা চুরুট। একজন লেখক হলো তার নিজ সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা। যার লেখনীতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন চরিত্র আর সেইসব চরিত্রকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাহিনীর।
গল্পের নায়িকার নাম দিলাম শ্রাবণী। রুপের বর্ণনা হিসেবে প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী পরীর মত অনিন্দ্য সুন্দরী কল্পনা করে নিলাম। নায়িকা সব সময় শাড়ি পরে থাকে। বেশিরভাগ শাড়িই প্ল্যাস্টিক এর মতো কাপড়ের। হালকা সাজসজ্জা থাকা আবশ্যক। এই যেমন ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ, হাতে রেশমি চুড়ি, উঁচু হিলের জুতা ইত্যাদি। গল্পের নায়ক এখানে দুইজন। একজনের নাম দিলাম সুমন। সুমন একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক। গল্পের অপর নায়ক শফিক। সেও একজন সাহিত্যিক। তবে সুমনের মত সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। পাঠক সমাজের কাছে সুমনের মত কদর তার নেই। আর এই শফিকের স্ত্রীই হলো গল্পের নায়িকা শ্রাবণী।
শফিকের সাথে তার স্ত্রী শ্রাবণীর দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল না। মূলত সুমনের সাহিত্যকর্মের প্রতি ভক্তি থেকে শ্রাবণীর সুমনের প্রতি দুর্বলতা থেকে গভীর প্রণয়ের সূচনা হয়। তার উপর নিজের স্বামীকে নিয়ে আত্মগ্লানিতো রয়েছেই। কাহিনীর সমাপ্তি এভাবে করা যেতে পারে শফিক শেষ পর্যন্ত সিদ্ধ্যান্ত নেয় তার সুমনকে খুন করার। তার স্ত্রী অর্থাৎ শ্রাবণীও ঠিক করে যে সে তার স্বামীকে খুন করবে। অন্যদিকে, সুমন মনে মনে ভাবতে থাকে সে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক। অথচ শ্রাবণীর মত এমন অপরূপ সুন্দরী একটা মেয়ে কিনা তার না হয়ে; হলো শফিকের মত একজন অখ্যাত লেখকের স্ত্রী। তার ভেতর অহংকার বোধ থেকে ক্রমশ শফিককে খুন করার বাসনা চেপে বসে। এভাবে একে অপরকে খুন করার পরিকল্পনা থেকে এক পর্যায় শফিক ও সুমন দুইজন একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অবশেষে দুইজনই মারা যায়। আর বেচারি শ্রাবণী শেষ পর্যন্ত তার স্বামী ও প্রেমিককে হারিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে।
কিন্তু কাহিনীটাকে যদি এভাবে না লিখে, অন্যভাবে লেখা যায়। তাহলে কেমন হয় সেটাই এখানে বিবেচ্য বিষয়। গল্পের নায়ক এখানে একজনই। শফিক। জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত। আত্মগ্লানিতে ভোগা একটি চরিত্র। অনিন্দ্য সুন্দরী স্ত্রীর সাথে কোনভাবেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে না পারা একটি চরিত্র। যার কাছে তার সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি অথবা ধ্বংসের পটভূমি তার স্ত্রী শ্রাবণী।
কি ভাবছো ?
আরে স্যার যে; কখন এলেন স্যার ? একদমই টের পায়নি স্যার !
টের পাবা কিভাবে ? তুমিত আর কোন সাধারণ মানুষ নও। তুমি হোলা না-মানুষ। সাধু সন্ন্যাসী। গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকো সারাদিন। তা এখন কি নিয়া ধ্যানে মগ্ন ছিলা ?
স্যার ভাবছি আপনার মত লেখক হব।
বেশত ! কিন্তু লেখক হওয়ার যে যাতনা আছে সেটা কি সহ্য করে নিতে পারবা ?
স্যার আমি না-মানুষ। আমার কাছে এইসব যাতনা কোন বিষয়ই না।
বেশ ! তা কী লিখবা কিছু কি ঠিক করছ ?
স্যার, একটা খুনের গল্প লিখতে চাই।
চমৎকার ! তা সমস্যা কোথায় ?
সমস্যা স্যার, কীভাবে গল্প লিখলে পাঠক খাবে সেইটা বুঝতে পারতেছিনা।
শোন এখন থেকে এমন স্যার স্যার আর করবানা। তোমার মত না-মানুষ এমন স্যার স্যার করবে এটা মানায় না। তুমি হবা এইসব প্রেজুডিস আর ভদ্রতার ঊর্ধের।
বুঝতে পারছি; বলেই ভদ্রতার কোন তোয়াক্কা না করে স্যারের সামনেই এবার একটা সিগারেট ধরালাম। স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন।
কি গল্পের বিষয়ে কী কিছু মাথায় আসলো ?
হুম ! এসেছে। আচ্ছা, আপনি কি মানুষের মাংস রান্না সম্পর্কে কোন বিশেষ রেসিপি জানেন ?
স্যার তার ভ্রুযুগল কুঁচকিয়ে আমার দিকে একবার তাকিয়ে কী যেন ভাবলেন ! তারপর বললেন, মানুষের মাংস নোনতা হওয়ার কথা !
মাংস রান্না করাই আছে। আমিত আর রাঁধতে জানিনা। কাজের বুয়ার হাতের রান্না। যদিও আপনার রেসিপি অনুযায়ী তেমন একটা সুস্বাদু হয়নি, মাংসের সাথে লেবুর পরিমাণটা ঠিক মত মিশ্রিত হয়নি। তারপরেও কি একটু খেয়ে দেখবেন ?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তারপরেও যে মূল্যবান সময় দিয়েছেন এই জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: বাহ!চমৎকার লিখেছেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওফফ!!
জটিল ভাবনা ভ্রাতা! তবে আজকাল নাকি প্রকাশ্যেই নরমাংস পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকে সেদিন দেখলাম একটা ছবি। ভয়ানক আঁৎকে ওঠার মতো কিছু ব্যাপার এটা। ওহ!!
লেখার প্লট ভাল। বর্ণনা হয়েছে সেরকম, যেমনটি পড়লে ভাল লাগে আমার।
টাইপোঃ শর্দি < সর্দি
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা এখানে খুন এবং নর মাংসের চেয়ে মূখ্য হলো পুরো গল্পটার মেটাফোর।
আপনার ভাল লাগায় সন্মানিত বোধ করছি।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধার। +++
গল্পটার লেখনভঙ্গী খুব ভালো লাগল। মনোযোগ একটুও এদিক ওদিক হয় নি। দারুণ স্বাদ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
কয়েস সামী বলেছেন: শুরুটা তো অসাধারণ হইসিলো। সব মিলিয়ে একটা ভিন্নধমী গল্প। তবে মাঝখানে শাওন নামটা ভুলবশত ব্যবহার হয়েছে। ওটা বোধহয় সুমন হবে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হা হা হা ভাই ভুলটা দেখে খুব মজা পাইছি। ঠিক করে নিয়েছি। আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমারতো পুরাই মাথা চক্কর দিচ্ছে !
কই থেকে শুরু করে কই নিয়া গেলেন ?
পুরাই হ্যামিলনের বাশিওলার কাজ !
তন্ময় হয়ে কাণ্ডারি ভাইএর পিছে পিছে ঘুরলাম , যা গিলালেন গিললাম ।
টেস্টু হয়েছে অসাধারণ ।
চমতকার লেগেছে লিখাটা ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেবু আর মাংসের মিশ্রণ নিয়ে খুব শংকিত ছিলাম লিটন ভাই। রান্না ভাল হওয়াটা জরুরী।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হোলাম খুব।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য ভাই।
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১
সুমন কর বলেছেন: আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। গল্প দারুণ হয়েছে। না-মানুষ হতে চাই....!! +।
তা ব্লগে কম আসেন কেন??? কেমন আছেন?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
না-মানুষ হতে চান ? সুপ্রিয় সুমন ভ্রাতা আপনার জন্য মন থেকে অনেক দোয়া রইলো ভাই। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।
মন্তব্যে উৎসাহিত হোলাম খুব। ভাই কাজকর্মের চাপে সময় বের করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। ভালই আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন ?
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য রইলো।
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: একজন লেখক হলো তার নিজ সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা। যার লেখনীতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন চরিত্র আর সেইসব চরিত্রকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাহিনীর। তাহলে আর চিন্তা কেন?
খুনের গল্প না লিখে মিলনের গল্পই লেখা হয়ে যাক না! জীবন যুদ্ধে ক্লান্ত এবং আত্মগ্লানিতে ভোগা শফিক এক সময় সাহিত্য কর্মে প্রতিষ্ঠিত হোক এবং শ্রাবণী তার ভুল বুজতে পেরে ফিরে আসুক তার শফিকের কাছে । আমি কিন্তু এটাই চাই.।.।.।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার চাওয়াটাই আসলে কাম্য। তবে বাস্তবতা যে ভিন্ন কথাই বলে।
শীত শেষে বসন্ত আসুক। অনেক ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
"কেন আমার স্ত্রীকে খুন করি" বইটা পড়েছিলাম
কয়েক বছর আগে, লিও তলস্তয়ের।
খুনোখুনি এখন খুব সাধারণ হয়ে গেছে।
ভালোলাগা জানবেন। ++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বইটা চমৎকার। তারচেয়ে বেশি ভাল লাগে আমার শয়তান বইটা।
এটাই এখন সমাজের চিত্র ভাই।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা। অনেকদিন পর দেখা হলো। কেমন আছেন ?
১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৬
আবু শাকিল বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের ভিতর একজন করে না-মানুষ বাস করে ।সেই না -মানুষদের কর্ম হচ্ছে দুনিয়ার যত অদ্ভুত চিন্তা আছে সব " না মানুষ " থেকে বের হয় ।
বড়দা আপনার গল্পের সেই না-মানুষ আমাদের মন ।যে নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী ভাবতে শেখায় ।
মন কলুষিত হলে নানা রকম কুপরামর্শ র জন্য কোন প্রকারের পাপ-পূণ্যের দায়বদ্ধতা কাজ করে না।
গল্পে শ্রাবণী শফিক ,সুমনকে এনে লেখার পূর্নতা দিয়েছেন।
লেখক নিজেই স্বীকার করে নিলেন -
গল্পটা ঠিক জমছেনা। এমন গল্প লিখলে আজকাল পাঠক খাবেনা। আর পাঠক না খেলে একজন লেখকের কোন সার্থকতা থাকেনা। একজন লেখক হিসেবে নিজের কাছে আত্মতৃপ্তি থাকলেও পাঠক সমাজে পুরো মাত্রায় একজন ফ্লপ লেখক হিসেবেই দুর্নাম কামাই করতে হবে। পাঠকের রুচির প্রতি জ্ঞান রেখে লিখতে হবে। তবে আবার নিজের মত করে রুচি তৈরি করে দেয়ার মাঝেও সার্থকতা আছে। সোজা কথা পাঠককে খাইয়ে দিতে হবে। সেটা বিড়িই হোক অথবা চুরুট। একজন লেখক হলো তার নিজ সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা। যার লেখনীতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন চরিত্র আর সেইসব চরিত্রকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাহিনীর।
একজন লেখকের কাজ হচ্ছে পাঠককে তার লেখা খাওয়ানো ।সেইটা আপনি ভালভাবেই পেরেছেন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শাকিল ভাইডি কেউ না-মানুষ হতে চায়, আবার কেউ না-মানুষ হয়েও বুঝতে পারেনা যে সে কী ? তবে মানুষের ভেতরকার এই দ্বৈত স্বত্বাটাকে নিজ থেকে বের করে আনতে পারার মাঝেই সার্থকতা। তবে আমার কাছে মনে হয় একজন লেখক তার লেখায় জ্ঞাত কিংবা অজ্ঞাত ভাবেই এই না-মানুষ কে আবিষ্কার করে চলেন।
ভাইডি তোর মন্তব্যে না-মানুষ অনুসন্ধানের অভিপ্রায় সচল থাকলো।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৬
আবু শাকিল বলেছেন: গল্পের শ্রাবণী কে আমার পছন্দ হৈছে-
গল্পের নায়িকার নাম দিলাম শ্রাবণী। রুপের বর্ণনা হিসেবে প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী পরীর মত অনিন্দ্য সুন্দরী কল্পনা করে নিলাম। নায়িকা সব সময় শাড়ি পরে থাকে। বেশিরভাগ শাড়িই প্ল্যাস্টিক এর মতো কাপড়ের। হালকা সাজসজ্জা থাকা আবশ্যক। এই যেমন ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ, হাতে রেশমি চুড়ি, উঁচু হিলের জুতা ইত্যাদি।
গল্পের শ্রাবণীকে পেলে মন্দ হত না।
অসুখের নাম তুমিহীনতা ।আপাতত দুইদিনের ১৩/১৪ ফেব্রুয়ারী হৃদয়ের জ্বালা-পোড়া কম হত
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিবাহের বয়স অতিবাহিত হয়ে যাওয়াটা ক্ষতিকর। তবে দহন জ্বালা যে বিবাহ হইলেই ফুরিয়ে যাবে এটা কোন ভার্নিয়ার ধ্রুবক নয়। তবু কিছু দহন জ্বালায় ভিটামিন আছে। যেমন ভিটামিন আমরা রোদ থেকে পেয়ে থাকি।
পাত্রী দেখা শুরু করবো নাকি ?
১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুরু আর শেষটা দুর্দান্ত। মাঝখানে একটু কেমন যেন গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে। গল্প ভালো লাগছেছেছে.।.।.।.।
ছবিটা দেখে প্রথম ভাবছিলাম আমাদের ডিম নুনের কোন ছবি!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালোবাসা নিরন্তর এই বসন্তের প্রহরে।
মাঝখানটা গল্পের প্রয়োজনে এসেছে। যার মোরালও উল্ল্যেখ করেছি যে, একজন লেখক হলো তার নিজ সাহিত্যকর্মের স্রষ্টা। যার লেখনীতে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন চরিত্র আর সেইসব চরিত্রকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কাহিনীর। আসলে পুরো গল্পটাই মেটাফোরিক। আর রান্না তখনই ভাল হয় যখন সব কিছুর পরিমাণ ঠিক ঠাক মতো হয়। এই রেসিপিটাও মাঝেই এসেছে।
আইচ্ছা ডিম নুন কি মামলেট হয়ে গেছে, না অমলেট হয়ে গেছে ?
১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: লিখা বড় হলে পড়িনা, মাথা ধরে যায়, এই লিখাটা একটানা পড়ে গেলাম, মন্ত্রমুগ্ধকর ++++++++++++++++++
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
জীবনটা বসন্তময় হোক।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৮
বৃতি বলেছেন: খুন খারাপি ভালু পাই না। মানুষ কেন যে খুন খারাপি করে!!
গল্প ভালো লেগেছে, কান্ডারী ভাই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপু আমিও আপনার মত ঠিক একই জিনিস ভাবি। মানুষ কেন খুন খারাপি করে। খুব সম্ভবত মানুষ তার সেই প্রথম পাপ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।
বসন্তের শুভেচ্ছা।
১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ডিম আপাতত হাইবারনেশনে আছে। পুরো বসন্ত অনশনে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হাইবারনেশনে থাকা খুব ভাল। আমিওত থাকি।
১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষ, না ,মানুষ, অমানুষ, মহা মানুষ
চক্রে ঘুরপাক! জ্ঞাতে অজ্ঞাতে!
ঘুর্ণনটা পষ্ট করেদিলেন।
+++
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই চক্র থেকে সেই আদিম কাল থেকে আজ অবধি মানুষ মুক্ত হতে পারেনি।
আন্তরিক মতামতে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
বসন্তের শুভেচ্ছা রইলো।
১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
সোহানী বলেছেন: নাহ্ সোজা কথায় ভালো লাগেনি, একমাত্র না মানুষ ভাবনা ছাড়া। আর ইদানিং সবাই কেন যেন গল্পে নর মাংস ঢুকাতে চায় স্পেশালি সুন্দরী নারী মাংস......... অবশ্য এটা আমার নিজস্ব ভাবনা। তারপর ও গল্পের নুতনত্বের বা নতুন ভাবনার জন্য +++
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও আপনার নিজস্ব ভাবনার সাথে পুরোপুরিভাবে সহমত।
আপা গল্পে কিন্তু ঠিক আপনার কথাটাই মাংস ভূনার স্বাদ হিসেবে বলা আছে। খাবারের রুচির ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এই রুচি ভেদের পরেও পরিবেশনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপা গল্পে কিন্তু এই ইদানিং কালের ট্রেন্ডটাকেই বোঝান হয়েছে।
গল্পে লেখক এইসবের দায় নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে অত্যন্ত সরল ভাবেই।
আপনার প্লাস মানেই নিরন্তর এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।
সব সময়ের জন্য কৃতজ্ঞ আপা।
এক্বরাশ বসন্তের শুভেচ্ছা।
১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
জুন বলেছেন: আর ইদানিং সবাই কেন যেন গল্পে নর মাংস ঢুকাতে চায় সোহানীর কথার সাথে একমত ।
লেখায় মুন্সীয়ানা আছে বাট বীভৎস আর প্যরানয়েড গল্প ভালোলাগে না কান্ডারী
+
+
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপ্পি আমিও গল্পের মাধ্যমেই এই বিষয়ে একমত হয়েছি। বাস্তবতার নিরিখেই কিন্তু গল্পের সৃষ্টি। আর আজ পুরো পৃথিবী জুড়েইত মানুষ মানুষের মাংস ভক্ষণ করে চলেছে।
মন্তব্যে খুব খুব উৎসাহ পেলাম।
বসন্তের হলুদীয় শুভেচ্ছা।
১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮
এহসান সাবির বলেছেন: ফাগুনের শুভেচ্ছা রইল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এলো বসন্ত
২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভাল লাগল। ধন্যবাদ
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
বসন্তের শুভেচ্ছা।
২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: মৌসুমি ওমর সানি কে দেখে ভালো লাগল অনেক দিন পর। মৌসুমি আমার পছন্দের নায়িকা ছিল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভ্রাতা আমার মৌসুমি পোষ্টের কথা কি ভুলে গেছেন ?
২২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: অসাম সুন্দর। ++
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বসন্তের শুভেচ্ছা।
২৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: !!! শেষে এটা কী দিলেন !! মানুষের মাংসের স্বাদ তো জানি না তবে গল্পের স্বাদ সেইরকম !!
লেখার ধরণটা ভাল লেগেছে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা সকালের।
২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভ সকাল।
২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়লাম কিন্তু এতসব খুন খারাবির বুদ্ধি দেন কেন ?
ভালো বুদ্ধি দিবেন যাতে সংসারে শান্তি আসে
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিত আপা বাস্তবতা থেকেই এইসব খুন টুনের বুদ্ধি পাই।
২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নাহ! গল্পটা বেশ জমেছে। আর শ্রাবণী নামটাও সুন্দর। পাঠক খাবে
"না মানুষের" গল্পও চমৎকার হয়ে ওঠে একজন নিপুন কথকের হাতে এলে।
ভাল লেগেছে, কাণ্ডারি ভাই।
++++
গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন কোথায়?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
হুম ! নামটা আসলেই খুব সুন্দর।
শীত নিদ্রা।
২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লেবু দিয়ে মাংস রান্নার ব্যাপারটি ভাল লাগলো । বিঃ দ্রঃ আমাকেও হঠাৎ হঠাৎ রান্না করতে হচ্ছে । হুলুদ মরিচা ধনিয়া গুড়ো ছাড়াই কাচামরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করেছিলাম ।
লিখেছেন বেশ । ভাল হয়েছে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গতানুগতিক মাংস রান্নায় কোন স্বাদ নাই। ভিন্ন কিছু হলে মন্দ হয় না।
সেলিম ভাই ভালোবাসা জানবেন।
২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,
কীভাবে গল্প লিখলে পাঠক খাবে সেইটা বুঝতে পারতেছিনা , লিখেছেন ।
এক কেজি মাংস, অল্প পরিমানে পুদিনা পাতা, আদা তিন টেবিল চামচ, আস্ত রসুন কুঁচি তিন চারটা, গোল গোল করে পেঁয়াজ কুঁচি, ........................................ কোন ঝোল রাখা যাবেনা, এরকমের করে এক চিমটে মন্ত্র , আধা বাটা অভিশাপ ২ চামচ, কুঁচি কুঁচি করে কাটা জাদুদন্ড , খানিকটা কল্প বিজ্ঞান, গোল গোল করে কাটা উদ্ভট চিন্তা , এককাপ বিকৃতি আর আস্ত কয়েকটা জিঘাংসা এবং শেষে লেবুর রস কচলে ৩৫০ ডিগ্রী তাপে গল্প জ্বাল দিলেই পাঠক খাবে ।
অবশ্য এই রেসিপিটা লিখে দিলুম বলেই যে সব রাজুর মা-ই রান্নাটা ঠিক মতো করতে পারবে , তা না ও হতে পারে । পাক্কা রাঁধুনী চাই ........................।
প্রথম ফাগুন সন্ধ্যার শুভেচ্ছা ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুপ্রিয় আহমেদ জী এস ভাই আমিও আপনার সাথে সহমত। রেসিপি ভাল হলেও সব রাজুর মা-ই রান্না ঠিক মতো করতে পারেনা। গল্পের রাজুর মাও সেটা পারেনি।
ভালোবাসা নিরন্তর।
২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: অবলীলাক্রমে লেখা, দারুণ লাগল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুপ্রাণিত হোলাম খুব। কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য ভাই।
৩০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: লেখার ভংগিতে তীব্র হুমায়ুনীয় ছাপ। এইটা ভাল লাগে নাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাই নাকি ?
৩১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
এহসান সাবির বলেছেন: মনে আছে...
প্রচ্ছদের ছবিটা কি......
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থ্যাংকুস ভাই।
বলা যাবেনা সিক্রেট।
৩২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: লেখাটার মাঝে যেন সুতা ছিড়ে গেল, তাই পড়তে পারলাম না পুরোটা । তবে লেখায় মুন্সীয়ানা আছে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পটা একজন লেখকের লেখক হওয়ার যাতনা, নিজের সাথে নিজের লেখার দ্বৈরথ। গল্পের গল্প হয়ে উঠার আবেদন। তাই সুতা ছিড়ে যাওয়ার কথা না।
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
উল্টা দূরবীন বলেছেন: দারুণ
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
আলোরিকা বলেছেন: শেষমেশ গুরুজীর মাংস রান্না করলেন নাকি......... কিছুটা মাথার উপর দিয়ে গেছে !
যাহোক মাংস রান্নার রেসিপিটা ভালই মনে হল
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গুরুজীর রেসিপি রান্না করা হয়েছে, গুরুজীকে না।
৩৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: সামান্য প্রাঞ্জল! গল্পটি কি না মানুষের নিজের গল্পই। সে কি তার স্ত্রীকেই খুন করেছে?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যে। গল্পটি না-মানুষের নিজেরই এবং সে তার স্ত্রীকেই খুন করেছে।
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: পড়ে টেস্ট পেয়েছি। ''গল্প'' রান্নার রেসিপি ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পেরেছেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
জয় মন্ডল বলেছেন: ভাল লাগল। পড়ে খুব ভাল লাগল।আরও লিখুন শুভ কামনা রইল।ভাই আমি ব্লগে নতুন। লেখা প্রকাশ করলাম কিন্তু প্রথম পাতায় আসছে না।আসতে কি কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয় নাকি কোন দিন প্রথম পাতায় আসবে না।দয়া করে জানিয়ে দিন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যেহেতু মন্তব্য করতে পারছেন অতএব পোষ্ট প্রথম পাতায় প্রকাশ পাওয়ার কথা। নিক খোলার পর কিছুদিন ওয়াচে রাখার নিয়ম আছে সামুতে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে মন্তব্য করতে পারার কথা না। ভাল হয় বিষয়টা আপনি সামু কর্তৃপক্ষের কাছে জানালে। সামুর টেকনিক্যাল টিম যদি এই ব্যাপারে কোন সহায়তা করতে পারে আপনাকে।
শুভকামনা রইলো।
৩৮| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বেশ ভাল হয়েছে
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমারতো পুরাই মাথা চক্কর দিচ্ছে !
কই থেকে শুরু করে কই নিয়া গেলেন ?
পুরাই হ্যামিলনের বাশিওলার কাজ !
তন্ময় হয়ে কাণ্ডারি ভাইএর পিছে পিছে ঘুরলাম , যা গিলালেন গিললাম । কথা পুরাপুরি সইত্য।
আসলে আমি সাধারণ গল্প-উপন্যাসের পাঠক, এরকম ভিন্ন ধারার রূপক গল্প কেন জানি মাথার উপুর দিয়ে যায়। ব্লগার সোহানী'র সাথে সম্পূর্ণ একমত।
শুরুটা চমৎকার ছিল। এই না-মানুষের গল্পটা অন্য কোথাও শেষ হতে পারত, যেখানে না মানুষেরা শেষ পর্যন্ত হ্যাঁ-মানুষই থেকে যায়।
একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, সাধারণ পাঠক হিসেবে। আশা করি বুঝবেন প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আন্তরিক মতামতের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় ভ্রাতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি তাকে তার স্ত্রীকে খুন করার পরামর্শ দিলাম। -
পুরোটা পরা হয়নি তাহলে হয়ত এ গল্পের রহস্য উদঘাটন করতে পারতাম।