নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল দেশের রানী সে যে - আমার জন্মভূমি

কষ্ট - ১

আমার মাকে বড্ড বেশি ভালবাসি, এই দেশকেও মায়ের মত ভালবাসি

কষ্ট - ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইয়ের বন্দীশালা থেকে পাঁচ বছর পর মুক্তি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ফেনীতে পাঁচ বছর ধরে ভাইয়ের হাতে একটি কক্ষে বন্দী থাকা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা জাহানারা বেগম রোজী ও তার শিশুপুত্র মেহেদি ইসলাম জীমুনের পক্ষে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছে মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইট। গতকাল রাতে সংস্থাটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন তাদের পক্ষে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করে।
বুধবার বিকালে ফেনীর রামপুরের শাহীন একাডেমি এলাকার নির্জন একটি বাড়ি থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ অভিযান চালিয়ে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা বাইরে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া ওই ঘরের দরজা কেটে ও তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। বন্দী থাকতে থাকতে রোজী মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়া ও তার ফুটফুটে শিশু জীমুন রিকেট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ‘পড়তে চাই, আমি মুক্তি চাই’ কয়েকটি শব্দের একটি চিরকুট কয়েকদিন আগে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয় ১১ বছরের শিশু জীমুন। এক ছাত্র ওই চিরকুটটি পেয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় দিলে সে পত্রিকার সংবাদ ছাপার পর তার জের ধরে বুধবার পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে ভিকারুননেছা নূন স্কুল এন্ড কলেজ এবং তার আগে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে শিক্ষকতা করেছেন জাহানারা বেগম রোজী। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা আবুল কালাম আজাদ ভূঞার সঙ্গে ২০০০ সালে বিয়ে হয় রোজীর। তিন বছর পর ২০০৩ সালে দুজনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সাবেক স্বামী বর্তমানে সিলেট জেলার সমাজসেবা অফিসার। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর রোজী ফেনী শহরের রামপুর এলাকার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। এরই মধ্যে রোজীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলতে থাকে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে রোজীর ভাই শের শাহ্ তাকে ওই ঘরে ভাগিনাসহ তালাবন্দী করে চলে যায় বলে তিনি জানান। শের শাহ্ ঢাকার ইস্কাটনে ব্যবসা করেন। রোজীরা দুই ভাই ছয় বোনের মধ্যে অপর ভাই শাহেনশাহ অতিরিক্ত নেশা করার কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। এক বোন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। বড় ভাইয়ের ভয়ে অন্য চার বোনের কেউই রোজীর খোঁজ নিতে আসে না। তাদের তিনজন ঢাকায়, অপরজন ফেনী শহরেই বসবাস করেন। তিনি শহরের রামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। জীমুন জানায়, তালাবদ্ধ ওই কক্ষের জানালা দিয়ে তাদের ভাড়াটিয়ারা চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দিয়ে আসতেন। এতে মা-ছেলের অর্ধাহারে-অনাহারে কোনোরকম দিন কাটে। ভাড়াটিয়ারা না থাকলে ওদের মাঝে মাঝে না খেয়েই থাকতে হয়। ভুতুড়ে ওই কক্ষের ভেতরে একটি লাইট থাকলেও পাখাটি দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পড়ে আছে। কক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকায় উৎকট গন্ধ বের হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছরে এক মিনিটের জন্যও মা-ছেলে দেখেনি সূর্যের আলো। ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার সাহা জানান, বন্দী থাকতে থাকতে রোজী মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়া ও জীমুন রিকেট রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোজীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান। পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক জানান, বন্দী থেকে অসুস্থ হয়ে পড়া মা-ছেলেকে সুস্থ করার পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তথ্যসূত্র

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: খবরটা আমিও টিভিতে দেখেছি। সত্যি ভয়ংকর এবং অমানবিক। আশাকরি তারা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।

তাদেরকে বন্দীকারি ভাই সহ অন্যান্য ভাই বোনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশা করছি।

এছাড়াও আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যে ভারাটিয়ারা তাদেরকে জানালা দিয়ে খাবার দিয়ে আসতো। ব্যাপারটা ভাল শোনালেও আসলে ভাল নয় কারণ ভারাটিয়ারা ইচ্ছা করলেই প্রশাসন কে জানিয়ে তাদেরকে মুক্ত করতে পারতো কিন্তু করেনি। তারাও কি অপরাধী নয়? আমাদের বিবেক এত নীচে নেমে গেছে....

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

কষ্ট - ১ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাড়াটিয়ারা প্রশাসনকে জানালে পারতো, তাহলে অনেক আগেই তারা উদ্ধার হতে পারতো -------আমাদের বিবেক আসলেও নীচে নেমে গিয়েছে
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

জ্যানাস বলেছেন: এটা কি ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা!!!
ভিকারুন্নেসার মত স্কুলের শিক্ষিকার খোজ পাঁচ বছর ধরে কেউ নিল না ্্ই মোবাইল ফেসবুক এর যুগে!!!!
দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই। ভারাটিয়া গুলির ও কি কোন মানবিক বোধ ছিলনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

কষ্ট - ১ বলেছেন: ভাবতেও অবাক লাগে যে এই যুগে ভিকারুন্নেসার মত স্কুলের শিক্ষিকাকে ও তার শিশুকে এত গুলো বছর বন্ধী জীবন যাপন করতে হয়েছে ----- আমাদের বোধদয় হোক


আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মানবতা কেঁদে বেড়ায় ---- ভাড়াটিয়া জানালা দিয়ে খাবার দিচ্ছে কিন্তু প্রসাশনকে খবর দিচ্ছে না --- বা দেয় নাই---। এরা শুধু করুনা করে তাদেরকে খাবারই দিয়েছে কিন্তু মুক্তি করতে কোন উদ্যোগ নেয় নাই --- ভাবতেই খারাপ লাগে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.