![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডকিন্স এই অধ্যায়ে বলেছেন যে তিনি কেন ধর্মবিরোধী | তিনি যেসব জিনিস এই অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন তা হলো : মৌলবাদ ও বিজ্ঞানের পরাভব , ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্রের কালো দিক, ধর্ম আর সমকামিতা, ধর্ম আর জীবনের পবিত্রতা, মডারেট ধর্মের বিপদ ইত্যাদি |
আমি এই অধ্যায়ের সমালোচনা একটু বৃহত্তর পরিসরে করতে চাই | ডকিন্স শুধু খ্রিস্টধর্মের কথা বলেছেন কিন্তু আমি সমস্ত ধর্মের কথা বলতে চাই | তবেই প্রকৃত অবস্থাটা বুঝা যাবে বলে আমার ধারণা |
ডকিন্স এই বইতে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছেন | প্রশ্নটা হলো ধর্মে খারাপটা কি আছে? ধর্মের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের এত উত্তেজিত হবার কারনটা কি ? ধর্মের বিরুদ্ধে ডকিন্সের এই পজিসন কি নাস্তিকদেরও মৌলবাদী বানিয়ে দিচ্ছে না ? ডকিন্স এর উত্তর দিতে গিয়ে প্রথমে ধর্মীয় মৌলবাদ ও বিজ্ঞানের পরাভবের প্রসঙ্গ এনেছেন |
প্রথমেই বলা উচিত ধর্মীয় মৌলবাদ কিভাবে বিজ্ঞানকে পরাজিত করছে | বহু বিজ্ঞানী ধর্মীয় মৌলবাদের কাছে নতি স্বীকার করছেন | ডকিন্স কুর্ট ওয়াইস-এর কথা বলেছেন | ইনি একজন সম্মানিত ভূবিজ্ঞানী ছিলেন | ইনি হার্ভার্ডে স্টিফেন জে গুল্ডের ছাত্র ছিলেন | কিন্তু ইনি ছেলেবেলার ধর্মশিক্ষার প্রভাবকে পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি | তাই ইনি শেষ পর্যন্ত ধর্মের কাছে নতি স্বীকার করে মেনে নিয়েছেন যে পৃথিবী ১০ হাজার বছর পুরনো মাত্র | এইরকম ভাবে যেসব বিজ্ঞানী সৃষ্টিতত্ববাদী তারা সবাই ধর্মের বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়েছেন |
এরপরে ডকিন্স বলেছেন ধর্ম কিভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করেছে | সমকামীদের উপরে ধর্ম কিভাবে আঘাত হেনেছে | ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্রের কালো দিক দেখাতে গিয়ে ডকিন্স বলেছেন যে পাকিস্তানে ডক্টর ইউনুস শেখকে কিভাবে ব্লাসফেমি আইনে ফাঁসানো হলো | ইউনুস তার ছাত্রদেরকে বলেছিল যে মুহাম্মদ ইসলাম আবিস্কারের আগে মুসলিম ছিলেন না | ইউনুসের ১১ জন ছাত্র অভিযোগ করে স্কুল আধিকারিকদের | তারপরেই ইউনুসকে ব্লাসফেমি আইনে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় |
এছাড়া এই ব্লাসফেমি আইন খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় | অগাস্টিন আশিক কিংরী মসিহ বলে খ্রিস্টান তার মুসলিম প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য মুসলিম হয় | তারপরই মেয়ের বাড়ির লোকেরা ব্লাসফেমি আইনে মসিহ কে ফাঁসায় | মসির অপরাধ হলো সে ইসলাম নিয়েছে তার যৌন আকাংখা পূরণের জন্য |
ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্র সব দেশেই আছে | আমেরিকায় আমেরিকান তালিবান বলে একটি কথা খুব জনপ্রিয় হয়েছে | এরা আসলে ধর্মীয় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা | বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের আমেরিকান কাউন্টারপার্ট | এরাই ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে |
ধর্ম ও মানবজীবনের পবিত্রতা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ডকিন্স বলেন যে ধর্মের নামে কিভাবে ভ্রুণ হত্যা ও গর্ভপাত, ইচ্ছামৃত্যু ইত্যাদির উপর আক্রমন এসেছে | গর্ভপাতবিরধিদের ডাক্তার হত্যা করা এবং ভ্রুনহত্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে | ধর্মওয়ালাদের মতে প্রতিটি ভ্রুণ একটি নবজাত শিশু অতএব ভ্রুণ হত্যা একটি হত্যা | এই হত্যাকারীকে দন্ড দেয়া উচিত | সেই দণ্ডদানের নাম করে ভ্রুণ হত্যাকারী ডাক্তারদের হত্যা করা হচ্ছে | ডকিন্স বলছেন যে ভ্রুণ হত্যা বন্ধ করতে হলে স্টেমসেল রিসার্চ বন্ধ করে দেয়া উচিত যার মেডিকেল সাইন্সে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে | আই ভি এফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলায়জেসন ) ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া উচিত, কারণ এখানেও ভ্রুণ হত্যা হয় ইত্যাদি | ডকিন্স এও বলেছেন যে ভ্রুণ নিয়ে সমস্যাটা শুধুই দৃষ্টিভঙ্গির (পার্সেপসনের) | ভ্রুণ আসলে ডকিন্সের মতে ক্লাস্টার অফ সেল, কোনো জীবন্ত মানুষ নয় |
মডারেট ধর্ম কিভাবে উন্মাদনার জন্ম দেয় তা নিয়েও ডকিন্স লিখেছেন | খ্রিস্টান আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যনীতি সবসময় এই ধর্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে স্থাপিত হয় যে ইহুদিদের পালেস্তাইন-এর উপর ইশ্বরপ্রদত্ত অধিকার আছে | কেউ কেউ তো পরমানু যুদ্ধের কথা বলে, তাদের মতে পরমানু যুদ্ধ আসলে আর্মাগেডন যা যিশু খ্রিস্টকে ফিরিয়ে আনবে | এছাড়া মুসলিমদের ৯/১১ আক্রমন এবং বৃটেনের ৭/৭ রেল আক্রমন নিয়েও আলোচনা করেছেন ডকিন্স | তিনি দেখিয়েছেন যে এই ধর্মীয় উন্মাদেরা আসলে যা বিশ্বাস করে বলে প্রচার করে তাইই বিশ্বাস করে | তিনি আরো দেখিয়েছেন যে স্বর্গের বর্ণনা এত মধুর যে তার লোভ এরা সামলাতে পারে না | ডকিন্সের মতে ধর্ম আসলে যুক্তি তর্ককে বন্ধ করে | এইভাবেই মডারেট ধর্ম উন্মাদ ফ্যানাটিক তৈরী করে |
আসুন দেখি ডকিন্সের কথা কতটা সত্যি |
ধর্মীয় মৌলবাদ যে বিজ্ঞানকে পরাভূত করেছে একথা আংশিক সত্যি |এখানে ধর্ম বলতে ধর্মীয় মৌলবাদকে বুঝাচ্ছি , ধর্মগ্রন্থকে নয় | ভারতের মত দেশে ডাক্তারেরা কখনই গোমাংসের পুষ্টিকর দিকটি জোর গলায় বলতে পারে না | মুসলিম দেশে শুকরমাংসের পুষ্টিকর দিকটি বলতে পারে না সেদেশের চিকিত্সক সমাজ | কারণ ধর্ম | ধর্ম আরো নানাভাবে বিজ্ঞানকে পরাভূত করেছে | ভারতে বিজ্ঞানে কখনই কেউ মৌলিক গবেষণা করতে পারে নি | কারণ ধর্ম নতুনকে গ্রহণ করতে শেখায়নি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের | ডক্টর সুভাষ মুখোপাধ্যায় বিশ্বে প্রথম টেস্ট টিউব বেবির স্রষ্টা | তার সৃষ্ট টেস্ট টিউব বেবিটি আজ পূর্ণবয়স্কা নারী , এক সন্তানের জননী | কিন্তু সেই বিজ্ঞানীকে ভারত সরকার কোনভাবেই বিদেশে প্রতিষ্ঠা পেতে দেয় নি | স্বদেশে তো নয়ই | কারণ অবশ্যই ধর্ম | আজ ওনার গবেষণা প্রকাশিত হলে ভারত হত বিশ্বে প্রথম টেস্ট টিউব বেবির নির্মাতা | সুভাষবাবু নোবেল পেতেন , কোনো সন্দেহ নাই | কিন্তু ওই ধর্ম তথা ধর্মীয় মৌলবাদী পথের কাঁটা হয়ে গেল |
একই রকম উদাসীনতার শিকার হয়েছিলেন আব্দুস সালাম সাহেব | তিনি পাকিস্তানি ছিলেন |তিনিও নিজের দেশের বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে কোনো সাহায্য পাননি |
আরেক দিক থেকে ডকিন্সের কথাটা মিথ্যা | ধর্মীয় মৌলবাদ বিজ্ঞানকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করেনি | করলে ডকিন্সের মত বিজ্ঞানীরা থাকতেন না | বিজ্ঞানের অগ্রগতি হত না | সব থমকে যেত | এছাড়া যদি ধর্মগ্রন্থের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যায় চরক সুস্রুতের মত গ্রন্থে কিরকম বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় কাজ হত | কাজেই ডকিন্সের কথাটা আংশিক সত্যি |
ধর্ম সমকামিতাকে ঘৃনা করে অর্থে ডকিন্স বোঝাতে চেয়েছেন যে ধর্মীয় মৌলবাদ করে | কারণ সমকামিতা বিষয়টা পৃথিবীর কোনো ধর্মগ্রন্থে নেই | বিষয়টা নতুন | এবিষয়ে ধর্মগ্রন্থে কিছু বলা নেই | যা কিছু ঝামেলা হচ্ছে সবই মৌলবাদীরা করছে | ডকিন্সের মত আমিও এর তীব্র নিন্দা করছি | সমকামিদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে | তাদের জীবনেরও একটা দাম আছে | সুতরাং একজন মানবতাবাদী হিসেবে আমি সমকামীদের অধিকার সমর্থন করি |
ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্রের কালো দিক নিয়ে ডকিন্স যা বলেছেন আমি তা সর্বৈব সমর্থন করি | তবে এইটুকু বলতে চাই যে ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ নয় বরং ধর্মীয় মৌলবাদীরাই করে থাকে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে | ডকিন্সের উদাহরণের সাথে আমি যোগ করতে চাই রাজীব হায়দার, অভিজিত রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্তবিজয় দাস, আর নিলয় নীলের হত্যাকান্ড | হুমায়ুন আজাদের হত্যাকান্ড ও তসলিমা নাসরিনের বহিস্কার, সলমান রুশদির ওপর মৃত্যু পরোয়ানা , থিও ভ্যান গগের হত্যা, ডক্টর নরেন্দ্র দাভলকর ও মালেশাপ্পা কালবুর্গির হত্যা, গোমাংস খাবার নামে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা, মকবুল ফিদা হোসেনের বহিস্কার আরো কত কি | বলতে শুরু করলে রাত কাবার হয়ে যাবে |
ধর্ম ও মানবজীবনের পবিত্রতা অধ্যায়টা সম্পূর্ণই গর্ভপাত নিয়ে লেখা | এবিষয়ে আমার একটু ভিন্নমত আছে | গর্ভপাত বা ভ্রুণ হত্যা জিনিষটা সত্যি অমানবিক | আজকের দিনে যখন কনডম, গর্ভনিরোধক পিল ইত্যাদি বেরিয়ে গেছে তখন ভ্রুণ হত্যার কি প্রয়োজন আছে ? গর্ভনিরোধক পিল খেলে বিনা কনডমে সেক্স করলেও কোনো গর্ভধারণের ভয় নেই | তাহলে কেন প্রথমে গর্ভধারণ করে আবার গর্ভপাত করতে হবে ? অনেকে নিরোধক পিলের সাইড এফেক্টের কথা বলেন , তাদের আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই যে গর্ভপাতের কি কোনো সাইড এফেক্ট নাই ?
এছাড়া এই আই ভি এফ ক্লিনিকের ব্যাপারে আমি একটু দ্বিমত পোষণ করি | শাস্ত্রে বলা নিয়োগ প্রক্রিয়া (সারোগেসী) আর আই ভি এফ ক্লিনিকে কি পার্থক্য আছে ? কিই বা সাদৃশ্য আছে ? দুই প্রক্রিয়াতেই পর পুরুষের সন্তান পেটে আসছে | এইটাই সাদৃশ্য | আর আই ভি এফে ভ্রুণ হত্যা হচ্ছে আর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না | এইটাই পার্থক্য | তাই আমার মতে আই ভি এফের চেয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক বেশি ভালো | অনেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর পুরুষের ছোঁয়া লাগবে বলে নাক সিটকন| তাদের বলি যে এতে সমস্যা কোথায় ? আজকাল ট্রামে বাসে কি পর পুরুষের ছোয়া লাগছে না ? আর একটু অন্তরঙ্গ হলে যদি ভ্রুণ হত্যা বন্ধ করা যায় , তাতে সমস্যাটা কি ?
এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় যে গর্ভপাত না করলে মাকে বাঁচানো যাবে না | এইরকম ক্রিটিকাল অবস্থায় গর্ভপাত করাটাই শ্রেয় | তবে সব অবস্থায় নয় |
এছাড়া ডকিন্স মডারেট ধর্মের বিপদের কথা বলেছেন | তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে মডারেট ধর্ম ফ্যানাটিসিসম কে প্রশ্রয় দেয় | এর সাথে আমিও একমত | আমি শুধু যোগ করতে চাই হিন্দু মডারেট ধর্মকে | আজকের হিন্দু ভারতে গোমাংস নিয়ে যে নরহত্যার মিছিল চলেছে সেটাও ৯/১১ বা ৭/৭ এর চেয়ে কোন অংশে কম নয় | নরেন্দ্র দাভলকর, গোবিন্দ পানসারী আর মালেশাপ্পা কালবুর্গি ইত্যাদির হত্যা কোনভাবেই মুসলিম সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম নয় | দলিতদের ছোঁয়া ছুতের যে ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু হয়েছে সেটাও এক ধরনের মানসিক নির্যাতন | অনার কিলিং –এর নাম ঘৃণ্য জাতিভেদ প্রথাকে জিয়িয়ে রাখার জন্য নতুন উদ্যমে সংঘ পরিবার নেমে এসেছে | পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত-এর লেখা বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তার মুখে কালী লেপে শিবসেনা এটাই প্রমান করে যে তারা শান্তির পক্ষে নয় | দিল্লির চার্চ জ্বালানো, রানাঘাটে বৃদ্ধ মাদার সুপিরিয়রকে ধর্ষণের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য |
বৌদ্ধদের সন্ত্রাসবাদ এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য | বার্মা থেকে বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিয়েছে | তিব্বতের কর্মপা বা দলাই লামার নির্বাচনকে ঘিরে অজস্র রাজনীতি, হিংসা মারামারি হয় | চীন এ বিষয়ে নাক গলায় |
কিন্তু আমি সেইসব ধর্মগুরুদের কোনভাবেই উপেক্ষা করতে পারি না যারা ধর্মের নামে অহিংসা , শান্তি ও প্রীতির কথা বলে গেছেন | গৌতম বুদ্ধ, দলাই লামা, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ, নানক,কবির, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ইত্যাদি মহাপুরুষেরা সর্বদা শান্তি আর অহিংসার কথা বলে গেছেন : এটাও এই প্রসঙ্গে বিচার্য |
তাহলে শেষমেষ কি দাঁড়ালো ? ডকিন্স ধর্মের অপব্যবহারের যে দিকটি তুলে ধরেছেন তার সাথে ভীষনভাবে একমত | কিন্তু ধর্মের সদ্ব্যবহারের দিকটিও ভুলে গেলে চলবে না | সব দিক বিবেচনা করে এটাই বলতে হয় যে ধর্মগ্রন্থ তথা ধর্ম একটি নির্জীব পদার্থমাত্র | এর সদ্ব্যবহার আর অপব্যবহার দুইই মানুষে করে | কিছু মানুষ সব ধর্মে আর দেশে আছে যারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে ধর্মের অপব্যবহার করে | এরা বেশিরভাগ পলিটিশিয়ান আর ভুইফর, স্বঘোষিত ধর্মগুরু হয় যারা পরস্পর প্যাকড থাকে | এদেরই জন্য ধর্মের মুখে কালী লাগে | আবার কিছু মানুষ ধর্মের সদ্ব্যবহার করে বাকি মানুষদের ধর্মের পথে আসতে উদ্বুদ্ধ করে | সবই মানুষের হাতে | ধর্ম ভালো-মন্দ নয় , মানুষই ভালো–মন্দ হয় |
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০
সত্যান্বেসী বলেছেন: যা লিখেছি সত্য লিখেছি | পাঠকের দরকার নেই |
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
রুকনুজ্জামান বলেছেন: ধর্ম সমকামিতাকে ঘৃনা করে অর্থে ডকিন্স বোঝাতে চেয়েছেন যে ধর্মীয় মৌলবাদ করে | কারণ সমকামিতা বিষয়টা পৃথিবীর কোনো ধর্মগ্রন্থে নেই | বিষয়টা নতুন | এবিষয়ে ধর্মগ্রন্থে কিছু বলা নেই | যা কিছু ঝামেলা হচ্ছে সবই মৌলবাদীরা করছে | ডকিন্সের মত আমিও এর তীব্র নিন্দা করছি | সমকামিদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে | তাদের জীবনেরও একটা দাম আছে | সুতরাং একজন মানবতাবাদী হিসেবে আমি সমকামীদের অধিকার সমর্থন করি |
আপনি কি শিওর যে ধর্মে সমকামিতা নিয়ে কিছু নেই? লুত (আঃ) এর কওম নিয়ে আল-কোরানের আয়াতগুলি পরেছেন কখনো?
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩
সত্যান্বেসী বলেছেন: লুতের দুই মেয়ে তাদের বাপের সাথে কি করেছিল সেটাও জানেন নিশ্চয় | সেটা কতটা নরমাল সেক্স ছিল ?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: দারুণ লিখেছেন! তবে পাঠক নেই।