![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে অনেক বড় বড় কথা ইতিহাসে পড়েছি | অনেক বড় বড় ব্যাপার জেনেছি | এমনভাবে সব লেখা হয়েছে যে মনে হয় হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল | কিন্তু সত্যি কি তাই ? দেখা যাক বাস্তব কি বলে ?
মহাবিদ্রোহ :
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রহে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে ব্রিটিশের বিরোধিতা করেছিল | এটাকে বিভিন্ন লোকেরা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে সগর্বে প্রচার করে | কিন্তু ঘটনাটা ঠিক কি ? গরু আর শুওরের চর্বিমিশ্রিত কার্তুজ দাঁতে কাটবার ফলে হিন্দু ও মুসলমানের ধর্মানুভুতি আহত হয়েছিল | অতএব সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হলো | সিপাহীরা ব্রিটিশ নারী পুরুষদের হত্যা করতে লাগলো | সামান্য গরু আর শুওরের দামের চেয়ে মানুষের প্রানের দাম অ-নে-ক কম কিনা | এই বিদ্রোহটা ভারতের একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা চলে | প্রতিটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যেমন ধর্ম নিয়ে শুরু হয় , তেমনি এটাও শুরু হয়েছিল গরু-শুওর ধর্ম নিয়ে | দেশীয় রাজারা এই সুযোগে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে গেলেন | ঠিক আজকের পলিটিশিয়ানদের সাথে মিল পাওয়া যাবে | এই বিদ্রোহে বিদ্রোহী সিপাহীরা যে অমানবিক নির্দয়তার পরিচয় দিয়েছিল নিরীহ ইংরাজ নারী পুরুষদের হত্যার মাধ্যমে, তার সাথে ৪৭ এর দাঙ্গা, গুজরাটের গোধরার দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর মুম্বাইয়ের দাঙ্গার এবং বাংলাদেশের মুক্তমনা ব্লগার হত্যার মিল পাওয়া যায় | মিলটা হলো ধর্মানুভুতি আহত হলেই নরহত্যা করে প্রতিশোধ নেয়া হবে | সিপাহিদের নিরীহ ইংরাজ নারী পুরুষ হত্যার কথাটা কিন্তু ফলাও করে কখনো বলা বা লেখা হয় না | বরং হলওয়েলের অন্ধকূপ হত্যার তত্ব যে বানানো কথা সেটা প্রমান করতে সবাই উঠেপড়ে লেগে যান | মঙ্গল পান্ডের ফাঁসির উপরে সিনেমা বানানো হয় |
আগেই বলেছি নানা সাহেব-তাতিয়া টুপি-রানী লক্ষীবাই, ইত্যাদি দেশীয় রাজন্যবর্গ নিজ নিজ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে তত্পর হলেন | রানী লক্ষী বাই তার ঝাঁসী দুর্গ রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান | তার দত্তক পুত্র গঙ্গাধর রাও-এর কোনো খোজ পাওয়া যায় নি | বাকি সমস্ত রাজারা তাদের নিজেদের সময় সুবিধা মাফিক ইংরেজদের দলে ভিড়ে গেলেন | ব্যাস, মহাবিদ্রোহের ঐখানেই শেষ |
পরাধীন ভারতের রাজনৈতিক পার্টি
পরাধীন ভারতে কয়েকটি পার্টি ছিল | প্রত্যেকের পৃথক পৃথক উদ্দেশ্য ছিল | আমি পার্টি গুলো আর তাদের উদ্দেশ্যকে পর পর সাজিয়ে দিচ্ছি |
১] প্রথমেই বলা চলে কংগ্রেসের কথা | এই দলটি অ্যালেন অক্টাভিয়ান হিউম নাম এক ব্রিটিশ তৈরী করেছিল | এর মূল উদ্দেশ্যটাই ছিল সেফটি ভালভের কাজ করা | অর্থাৎ দেশীয় জনতার যত রাগ বা ক্ষোভ আছে সব শান্তিপূর্ণ ভাবে বের করে দেয়াই এই দলটির কাজ | এর ফলে ১৮৫৭ মহাবিদ্রোহের মত পরিস্থিতি তৈরী হবে না | এইটি ধর্মনিরপেক্ষ দল |
২] এরপরে ১৯০৬ সালে তৈরী হয় মুসলিম লীগ | এই দলটির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের ধর্ম , ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির রক্ষা করা | এছাড়া এর দ্বিতীয় কোনো উদ্দেশ্য ছিল না | সম্ভবত এটি ভারতের প্রথম ধর্মীয় রাজনৈতিক দল | এই দলটিকে ইংরেজরা এসেম্বলির সদস্য করে | প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ প্রশাসনে মুসলিম যুবকদের বেশি করে ঢোকানো | তাই এরা বেশি বেশি মুসলিম যুবকদের প্রশাসনে ঢোকায় | ব্রিটিশদের সাথে এদের ভালো সম্পর্ক ছিল | ৮০% মুসলিম এর কথায় চলত | ব্রিটিশ বিরোধী সহিংস আন্দোলনে এরা অংশ নেয় নি |
৩] মুসলিম লীগের এইরকম আগ্রাসী মনোভাব হিন্দুদের ভীত করে তোলে | দেশটা আবার মুসলিমদের হাতে চলে যাবার ভয় যত না ছিল তার চেয়ে বেশি ধর্মের ভয় | সেই ভয় থেকে ১৯০৯ সালে জন্ম নেয় হিন্দু মহাসভা | এই দলটির উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু ধর্ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা | এই দ্বিতীয় ধর্মীয় রজনৈতিক দল | কংগ্রেসের সাথে এই দলটি প্রতিযোগিতা করতে শুরু করে | এর উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনে হিন্দু যুবকদের বেশি করে ঢোকানো | এরই একটা সাথী ছিল বা বলা যেতে পারে অ্যাকশন গ্রুপ ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ , যা ১৯২৫ সালে তৈরী হয় | এই হিন্দু মহাসভার সদস্য ডক্টর বি কে মুঞ্জে লন্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে যান | ফেরার পথে ইতালিতে মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপে আকৃষ্ট হন এবং হিন্দু যুবকদের সমরশিক্ষা দানের জন্য সেন্ট্রাল হিন্দু মিলিটারি একাডেমী তৈরী করেন | এছাড়া আর এস এসের গুরু সদাশিব গোলওয়াল্কর হিটলারের আর্য রক্তের কনসেপ্টকে খুব পছন্দ করেন | হিন্দু মহাসভার সাভার্কারের নেতৃত্বে অহিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় |
হিন্দু মহাসভা পাঞ্জাব ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে মুসলমানদের ও শিখদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে যা পরে দেশভাগের জমি প্রস্তুত করে | এরাও ব্রিটিশ সরকারের সাথে সহযোগিতাই করেছিল | ব্রিটিশ এদেরকেও এসেম্বলির সদস্য করে |ব্রিটিশ বিরোধী সহিংস আন্দোলনে এরা অংশ নেয় নি | প্রায় ৮০% হিন্দু এদের কথায় চলত |
৪] এই দুই দলের কার্যকলাপ একটা বিষয় পরিস্কার করে যে কেন ভারতে সহিংস বিপ্লবীর সংখ্যা এত কম ছিল | ধর্মই আমাদের ব্রিটিশের বিরোধিতা করতে দেয় নি | যদি দিত তাহলে আমরা আরো আগে স্বাধীন হতাম | ভেলা রে ধর্ম, বেঁচে থাক চিরকাল |
হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের ছেলেদের ব্রিটিশ প্রশাসনে অনুপ্রবেশ দেশভাগে সহায়তা করেছিল |
৫] এই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হাস্যকর রকমের প্রতিযোগিতা ছিল | কংগ্রেসের ভারত ছাড় আন্দোলনে হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগ কেউই অংশ নেই নি | কংগ্রেসের তেরঙ্গা ঝান্ডা হিন্দু মহাসভা সমর্থন করে নি, তারা চেয়েছিল গেরুয়া ঝান্ডা | কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানও হিন্দু মহাসভা পছন্দ করে নি | তারা চেয়েছিল মনুসংহিতার আদলে সংবিধান |আর এস এসের সদস্য নাথুরাম গডসে তো কংগ্রেসের গান্ধীকে হত্যাই করলো | মুসলিম লীগ খিলাফত আন্দোলনেও অংশ নেয় নি , যেহেতু সেটা ব্রিটিশ বিরোধী ছিল | তারা এর বিরোধিতা করে | কংগ্রেস অখন্ড ভারত চাইলে মুসলিম লীগ পাকিস্তান চায় | আবার হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের উগ্র ধর্মীয় কার্যকলাপের বিরোধিতা করে কংগ্রেস | সব মিলিয়ে আজকের রাজনৈতিক পার্টিদের কোন্দলের মতই পরিস্থিতি | স্বদেশপ্রেম, স্বাধীনতা ইত্যাদির কোনো গল্পই ছিল না |
ভারতের সহিংস আন্দোলন :
১] এইটা কেমন ছিল দেখা যাক | ভারতের সহিংস আন্দোলন শুরু হয় ১৮৫৭র মহাযুদ্ধ দিয়ে | সেটা যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক কারণে হয়েছিল সেটা তো আগেই বলেছি | এরপরে সহিংস আন্দোলনে বাংলার বিপ্লবীদের কথা আসে | ১৯০৫ সালে অনুশীলন সমিতি ঢাকায় তৈরী হয় ৮০ জন হিন্দু যুবককে নিয়ে | এই সমিতির সদস্যরা ব্রিটিশদের উপর সহিংস হামলা করত |
২] চাপেকার ভাইরা মহারাষ্ট্রে রান্ড আর আয়ার্স্ট নাম দুই ইংরাজকে মেরেছিল |
৩] ভগত সিং এন্ড কোং পাঞ্জাবে পার্লামেন্ট-এ বোম মেরেছিল ? এরা হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন-এর সদস্য ছিল |
৪] বিনয়-বাদল-দিনেশ নেতাজীর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের সদস্য ছিল | তারা লোমান নামে এক ইংরাজ অফিসার আর রাইটার্স-এ সিম্পসন নামে এক অফিসারকে মারে |
৫ ] সহিংস আন্দোলনে নেতাজীর ভূমিকার কথা না বললে অন্যায় হয় | নেতাজিই একমাত্র ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব | তিনিই আঞ্চলিক-ধর্মীয়-গোষ্ঠী স্বার্থ-এর মত সংকীর্ণ বিষয়ের উর্ধ্বে সর্বভারতীয় ভাব আনতে পেরেছিলেন | তার আজাদ হিন্দ ফৌজে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লোক যোগদান করেছিল | অথচ তিনিই স্বাধীন ভারতে পাত্তা পেলেন না | এর পিছনে নেহেরুর কংগ্রেসী রাজনীতি কাজ করছিল | এখন অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলি তাঁকে নিয়ে খুব ব্যস্ত |
এছাড়াও বহু সহিংস আন্দোলন হয়েছিল যা বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত হবার দরুন আরামসে দমন করা গেছিল |
তবে এই বিপ্লবীদের কয়েকটি কাজ একদম সমর্থনযোগ্য নয় | ক্ষুদিরাম কিংসলি সাহেবের বউ ও মেয়েকে মারে | ভগত সিং লালাজির হত্যাকারী হিসেবে সন্ডার্স নাম নির্দোষ ইংরাজকে মারে ,বিনয়-বাদল-দিনেশ রাইটার্স-এ সিম্পসনের পাশাপাশি বহু নির্দোষ ইংরাজ অফিসারকে মারে |গোটা আন্দোলনটাই ছিল বিচ্ছিন্ন | কোনো সুসংগঠিত ভাব ছিল না | সর্বভারতীয় ভাব একমাত্র নেতাজি ছাড়া কথাও ছিল না |
তবে ওদের এই সহিংস আক্রমনে ব্রিটিশ সরকার মোটেই ভয় পায় নি |
দেশীয় ব্যবসায়ীদের লাভ :
দেশীয় ব্যবসায়ীরা কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেননি | তারা ব্যবসায়িক ফায়দা লুটছিলেন | যেমন কংগ্রেস-এর ভারত ছাড় আন্দোলনের সময় খদ্দরের চাহিদা বেড়েছিল | সেই সময় আগুন দরে খদ্দর বেচে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভ করেছিলেন | দুদুটো মহাযুদ্ধে ব্রিটিশকে নানা জিনিসের যোগান দিয়ে দেশীয় ব্যবসায়ী টাটা-বিড়লারা খুবই লাভ করেছিল | স্বাধীনতা আন্দোলনের চুলকুনি ওদের ছিল না |
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে সর্বভারতীয় স্তরে শুধু এক নেতাজি ছাড়া কেউই আন্দোলন করেনি | তাহলে ভারত কিকরে স্বাধীন হলো ? এটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতির কারণে হয়েছে | দুদুটো মহাযুদ্ধে ব্রিটেন সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় | তার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে | এই বিশাল সাম্রাজ্য রক্ষার ব্যয়ভার আর সে বহন করতে পারেনি | তাই বাধ্য হয়ে ভারতকে স্বাধীন করে |
বিবিসির আর্কাইভ থেকে জানা যাচ্ছে :
The collapse of British imperial power – all but complete by the mid-1960s – can be traced directly to the impact of World War Two.
The catastrophic British defeats in Europe and Asia between 1940 and 1942 destroyed its financial and economic independence, the real foundation of the imperial system.
অর্থাত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এশিয়া ও ইউরোপে বৃটেনের শোচনীয় পরাজয় তার আর্থিক ক্ষমতা ধংস করে দিয়েছিল | এই আর্থিক ক্ষমতাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মেরুদন্ড ছিল |
Britain had survived and recovered the territory lost during the war. But its prestige and authority, not to mention its wealth, had been severely reduced.
যুদ্ধে ব্রিটেন যদিও জিতে যায় তার সম্মান ও কর্তৃত্ব অনেকটাই কমে যায় | আর্থিক অবস্থার কথা ছেড়েই দিলাম |
During World War Two, the British had mobilized India’s resources for their imperial war effort. They crushed the attempt of Mahatma Gandhi and the Indian National Congress to force them to ‘quit India’ in 1942.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা ভারতের সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করেছিল | তারা গান্ধীর ভারত ছাড় আন্দোলন ধ্বংস করে দিয়েছিল | তাহলে বুঝা যাচ্ছে পাঠকগণ যে অহিংস বিপ্লবীদের ব্রিটিশরা ঠিক কতটা ভয় করত ?
লিঙ্কটা দিলাম : বিবিসি আর্কাইভ
উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো পলিটিকাল পার্টিই কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করেনি | কাউকেই ব্রিটিশরা পাত্তা দেয় নি | সহিংস বিপ্লবীরাও ব্রিটিশদের ভয় পাওয়াতে পারে নি | সংখ্যাগুরু হিন্দু মহাসভা-মুসলিম লীগ-কংগ্রেস ব্রিটিশ বিরোধী ছিল না | সংখ্যালঘু অসংগঠিত সহিংস বিপ্লবীদের আরামসে মারা গেছিল | সুতরাং স্বাধীনতার যুদ্ধে ব্রিটিশদের সেরকম কঠোর প্রতিপক্ষ কেউ ছিল না | ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছে সম্পূর্ণ অন্য কারণে | দুদুটো মহাযুদ্ধে আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হবার পর তারা ভারত ছেড়েছে নইলে ছাড়ত না | এখন অবশ্য পলিটিকাল পার্টিরা স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্রেডিট দাবি করে | কিন্তু তাদেরকে ব্রিটিশরা গ্রাহ্য করে নি |
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
সত্যান্বেসী বলেছেন: thank you very much
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
কোলড বলেছেন: Bravo!. You are one of few who analyzed history dispassionately. Keep up the good work.