![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্যারিসে গত জানুয়ারী মাসে একবার আর ১৩ই নভেম্বর দ্বিতীয়বার হামলা করলো ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা | দুটো হামলায় সফল ছিল | কিন্তু কিভাবে জঙ্গিরা ফ্রান্সের মত একটা উন্নত দেশে সাফল্য পেল ? এর পিছনে কি দায়ী ছিল ?
এর পিছনে ফ্রান্সের তথা ইউরোপের উদার মানসিকতা দায়ী | ফ্রান্সের আইনকানুন এত উদার যে পুলিস কাউকে তার ধর্ম জিজ্ঞাসা করতে পারে না | সন্দেহ থাকলেও গ্রেফতার করতে পারে না | প্রতিটা হামলাবাজ ফ্রেঞ্চ পুলিসের পরিচিত ছিল | কিন্তু তাদের তারা সময়মত গ্রেপ্তার করতে পারে নি , লিবারাল আইনকানুনের জেরে |
ফ্রান্সের গোয়েন্দাপ্রধান বার্নার্ড বাজলেত নিউ ইয়র্ক-এ বলেছিলেন যে ফ্রান্স দুরকম থ্রেট আছে | একটা হচ্ছে ঘর শত্রু দেশের ফরাসী মুসলিম নাগরিক যারা আইসিস-কে সমর্থন করে | আর রয়েছে বহিঃশত্রু | সিরিয়ার উদ্বাস্তুরা যাদের আই এস ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লাগাচ্ছে | কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই অতি উদার আইন কানুন ফ্রান্সে হামলার সাফল্যের মূল কারণ | আবাউদকে পুলিস ধরলেও গ্রেপ্তার করতে পারে নি কারণ পরোয়ানা ছিল না | এই ধরনের উদার আইন কানুনের জন্য শার্লি হেবদোর হামলাকারীদেরও ফরাসী পুলিস সময়মত ধরতে পারে নি |
এছাড়া আছে ফরাসী জনতার অতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি | ফরাসী জনতা কিছুতেই মানতে চায় না যে ইসলামে জিহাদের নামে বিধর্মীদের মারার কথা বলা আছে | প্রমান দেখালেও উল্টো পাল্টা অর্থ করে | ১৩/১১ -এর এতবড় ঘটনার পরেও সেই দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয় নি | যে বা যারা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত অর্থ জানে তাদেরকে ইসলামফোব বলে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে | এটাও হামলার সাফল্যের পিছনে একটা বড় কারণ |
ফ্রান্সের ঘটনা থেকে ভারত ও বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে | সেই জন্যই এই পোস্ট | অতি উদারবাদের বিপদ সম্বন্ধে দুই দেশকেই সতর্ক থাকতে হবে | রাজনৈতিক দলগুলি মুসলিম ভোটের জন্য মুসলিমদের প্রতি উদারবাদী হয় | মুসলিমরা এই সুযোগটাকে পুরোপুরি কাজে লাগায় | পশ্চিম বাংলায় মুসলিমরা এই বামপন্থী উদারবাদের সুযোগে ভালো রকম জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে | জামাতে উলেমায়ে হিন্দ বা ভারতের জামাত বিরাট মিছিল করে সম্প্রতি শহীদ মিনারে গিয়ে মিটিং করে | মিছিলের লোকসংখ্যা সম্বন্ধে ভারতের অতি উদারবাদী মিডিয়া চুপ থাকে | এই ধরনের উদারবাদের সুযোগে মুসলিমরা হয় ভারতে ঘাঁটি মজবুত করবে , নয়তো বিস্ফোরক আক্রমন করবে | কলকাতার ৯০% বাঙালিই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী , যারা বামপন্থী উদারতার সুযোগে বাংলায় ঘাঁটি গেড়েছে | এর ফল কিন্তু ফ্রান্সের মতই হতে পারে |ভারত পাকিস্তানি মুসলিমদের দিকেও উদারবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নেয় |
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ৯/১১ হামলাও আমেরিকার অতি উদারবাদের সুযোগ নিয়ে করা হয়েছিল | আমেরিকা ৯০ এর দশকে পৃথিবীর সব জাতির প্রতি উদার ছিল | পরে তারা রক্ষনশীল মূর্তি নেয় | তারপরেও বস্টন বিস্ফোরণ আটকানো যায় নি |
বাংলাদেশের এখান থেকে কি শেখার আছে ? বাংলাদেশ যে জামাতি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিচ্ছে , এর ফলে তারাও সন্ত্রাসবাদের কারখানা তৈরী করছে | তারাও যে কোন দিন হয় জামাত-আইএসের আক্রমনের শিকার হবে (অতি সম্প্রতি হয়েছে), নয়তো পশ্চিমী দুনিয়ার রোষানলে পড়বে | সেটা কি বাংলাদেশীদের পক্ষে ভালো হবে ?
প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক ও মন্দ দিক আছে | উভয় দিক বিবেচনা করে বস্তুর ব্যবহার করতে জানলে আর কোনো বিপদের ভয় থাকে না | উদারবাদের ভালোদিক হলো উন্নয়ন এবং সভ্যতা | কিন্তু খারাপ দিক হলো সন্ত্রাসবাদ | ওই যে বলে না "অতি নিচে নেম না ছাগলে মুড়িয়ে খাবে "-এটাই উদারবাদের খারাপ দিক |
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
সত্যান্বেসী বলেছেন: আমি বুঝছি না যে এই পোস্টের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কি সম্বন্ধ আছে ? কথা হচ্ছে প্যারিসে জঙ্গি হামলা নিয়ে , ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আর আপনি টেনে আনলেন হিন্দু সন্ত্রাসবাদ , আর এস এস , বজরং দল | দাদা সন্ত্রাসবাদের কোনো রং হয় না | হিন্দু মুসলিম যাই হোক না কেন সন্ত্রাসবাদ সন্ত্রাসবাদই হয় |
আমি সবরকমের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করি | আমাদের উদারবাদের সযোগ নিয়ে এরা ঘাঁটি গাড়ে | তারপর সময়ে আঘাত হানে |
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
মাহিরাহি বলেছেন: ব্রিটিশ আমলে এই সংগঠন নিষিদ্ধ ছিল।[১৬] স্বাধীন ভারতে ১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে নামে এক প্রাক্তন আরএসএস-সদস্য[২৫] মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করলে ভারত সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দেয়।[১৬][২৬][২৭] জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৮) এবং ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও এই সংগঠন নিষিদ্ধ হয়।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০
মাহিরাহি বলেছেন: বজরং দল
https://bn.wikipedia.org/s/1kx
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বজরং দল গঠিত ১ অক্টোবর ১৯৮৪ (৩১ বছর আগে)
প্রধান প্রতিষ্ঠান বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
ওয়েবসাইট http://www.bajrangdal.org
বজরং দল হল উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী[১][২][৩][৪] বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব বাহীনি।[৫] ১লা অক্টোবর ১৯৮৪ সালে উত্তর প্রদেশ দলটি প্রতিষ্টিত হয় এবং গোটা ভারতে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ দলহিসাবে বিস্তৃত লাভ করে। দলটি বিভিন্ন জঙ্গি ক্রিয়াকলাপে যুক্ত।[৬]
এই দলের লক্ষ্য হল গোহত্যা নিরোধ করা এবং মথুরার আযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রামজন্মভুমি মন্দির নির্মান করা। এছাড়াও ভারতের হিন্দুদেরকে সাম্যবাদ (কমিউনিজম) থেকে রক্ষা করা, মুসলিম এবং খ্রীষ্টান ধর্মে রপান্তর হতে বিরত রাখা।
পরিচ্ছেদসমূহ
১ সূচনা
২ বিতর্ক
৩ সমালোচনা
৪ নিষেধাজ্ঞার দাবি
৫ আরও দেখুন
৬ তথ্যসূত্র
সূচনা
অক্টোবর ১৯৮৪ সাল থেকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) উত্তর প্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় নিয়মিত মিছিল, অনুষ্ঠান শুরু করে। এই মিছিলকে রাম-জানকী রথযাত্রা বলা হয় এবং এর লক্ষ্য ছিল সমাজের জাগরণ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুশীলনের জন্য অন্য কোনো ধর্ম বিরোধী কর্ম করা হয়নি বলে দাবি করে যদিও, ভারতের সমাজের অনেক বিভাগ এই নিয়মিত অনুষ্ঠানকে একটি উগ্র-হিন্দু আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করে। এর ফলে, এই মিছিল ঘিরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হুমকির একটি পরিবেশ সৃষ্ট হয়। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যদরা মিছিল রক্ষা করার জন্য যুবকদের প্রতি আহ্বান জানান। এইভাবে বজরং দল গঠিত হয়।
বিতর্ক
হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ অনুযায়ী, বজরং দল ২০০২ সালে গুজরাট সহিংসতায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা জড়িত ছিল।[৭]
এপ্রিল ২০০৬ সালে, দুজন বজরং দলের কর্মী বোমা তৈরীর সময় মহারাষ্ট্রের নান্দেদ শহরের কাছাকাছি নিহত হয়। এছাড়াও ২০০৩ সালে পারভানি মসজিদ বিস্ফোরণ সংঘটিত করার জন্য সন্দেহ করা হয়।[৮] যারা গ্রেফতার হন পরে তারা ত্তজর দেখান যে সারা দেশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের উসুল চেয়েছিলেন।[৯] এনডিটিভি (NDTV) পরবর্তীকালে নান্দেদের পুলিশকে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সিটিজেন এর ফোরাম ও PUCL মিলিতভাবে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট পেশ করে যাতে উল্লেক্ষ ছিল যে নাগপুর মৃত বজরং দলের সদস্যের বাড়িতে বিভিন্ন মসজিদের মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে।[১০]
এপ্রিল ২০০৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রভীন তোগাড়িয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আজমিরে, বজরং দলের সদস্যদের হাতে ত্রিশূল তুলে দেন।[১১]
দলটির বিরূদ্ধে গুজরাতে, মুসলমানদেরকে জমি ক্রয় করা থেকে আটকান, যারা বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদের উপর অত্যাচার করা এবং মুসলিমদের নিজস্ব সম্পত্তি ও বাড়ি জোরপূর্বক বিক্রি করতে বাধ্য করার মত গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত। ফল স্বরুপ গুজরাতের আমেদাবাদ ও ভাদোদারা মত শহরে মূসলিম বস্তি গড়ে ওঠে।[১২]
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, "সামাজিক পুলিশ" হিসেবে অভিনয়ে বজরং দলের কর্মীরা ভালোবাসা দিবসে অ-বিবাহিত যুগলদেরকে জোরপুর্বক সিদুর পরানো বা রাখি পরিয়ে যথাক্রমে দম্পতি ও ভাই-বোন হতে বাধ্য করে। এছাড়াও কর্মীরা প্রায়ই উপহার-এর দোকান ও রেস্তোরাঁ আক্রমণ করে, ভালোবাসা দিবসে যুগলদেরকে শাসানি, সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।[১৩][১৪][১৫][১৬]
২৪ আগস্ট ২০০৮ সালে কানপুরে বোমা বানানোর দুর্ঘটনার সাথে জড়িত।[১৭]
সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে, হিন্দু দেবতা অবমাননার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে কর্নাটকে খ্রীষ্টান গীর্জা আক্রমণ করে। এছাড়া জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন কর্ণাটক ও উড়িষ্যার বিজেপি-শাসিত অঞলে ধর্মীয় সহিংসতার জন্য তাদের দায়ী করে।[১৮]
১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ সালে পুনরায় উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে ভালোবাসা দিবস উদযাপনকারীদেরকে তাদের কান ধরে উঠ-বোস করতে বাধ্য করে। "পশ্চিমী ছুট" উদযাপন করার অপরাধে এই শাস্তি ও সহিংসতা রুখতে পুলিশ নিয়োগ করতে হয়।[১৯]
সমালোচনা
হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ-এর দ্বারা গঠিত "ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট (২০০০)" এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা পরিচালিত "আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্টের (২০০০)" বার্ষিক প্রতিবেদনে বজরং দলকে হিন্দু চরমপন্থী গ্রুপ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।[২০][২১] ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ার স্টাডিজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান -এর অধ্যাপক, পল আর ব্রাস (Paul R. Brass), বজরং দলকে ভারতের নাত্সি সমতুল্য হিসাবে বর্ণিত করে।[২২]
বজরং দল এমনকি মধ্যপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন, হিন্দু মহাসভা দ্বারাও সমালোচিত হয়েছে।[২৩]
নিষেধাজ্ঞার দাবি
সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটির নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে। মনিশ তিওয়ারি বলেন
"White paper should be brought out not only against SIMI but all organisations involved in anti-national activities like Bajrang Dal and VHP"[২৪]
কংগ্রেসের একাধিক নেতা ছাড়াও কানপুর বিস্ফোরণের পর, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন -এ যূক্ত মাওলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহলিও নিষেধাজ্ঞার পক্ষে দাবি জানান।[২৫]
মাসিক পত্রিকা কম্যুনালিজম্ কম্ব্যাট (Communalism Combat) আগস্ট ২০০৮ সালে বজরং দলের তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলে।[২৬]
লোক জনশক্তি পার্টির নেতা রামচন্দ্র পাসওয়ান বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে সাম্প্রদায়ীক দল হিসাবে আক্ষ্যা দিয়ে অবিলম্ব নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।[২৭]
রাজ্যসভা সাংসদ রাম বিলাস পাসোয়ান থেকে শুরু করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৯৪-১৯৯৬) ও একই সাথে ভারতের 11 তম প্রধানমন্ত্রী ডেভে গৌড়া ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী বজরং দলের পাশাপাশি শ্রী রাম সেনার উপরও নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন।[২৮][২৯][৩০]
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
মাহিরাহি বলেছেন: দাদা কি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘরে সমর্থন করেন?