![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি দেখেছেন যে জাতি বলতে পাশ্চাত্য চিন্তানায়করা কি বুঝিয়েছেন | জাতি বলতে পাশ্চাত্য চিন্তানায়করা যা বুঝিয়েছেন তার সারমর্ম হলো : জাতি হলো এমন একটি বস্তু যার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আছে | সেগুলি হলো : ভৌগলিক (দেশ), গোষ্ঠীগত (race), ধর্মীয় (ধর্ম), সাংস্কৃতিক (সংস্কৃতি), ভাষাগত (ভাষা) ঐক্য | অর্থাৎ জাতির একটি নিজস্ব দেশ থাকবে, একটি গোষ্ঠী থাকবে, একটি ধর্ম থাকবে, একটি সংস্কৃতি থাকবে, একটি ভাষা থাকবে | এইসব হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেকার ভাবনা | এর মধ্যে গোষ্ঠী হলো একদল লোক যাদের একটা সার্বজনিক বা কমন লোকাচার, ভাষা ইতিহাস বা উত্স আছে |
তৃতীয় অধ্যায়ে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরেকার চিন্তানায়কদের জাতি সম্বন্ধে ধারণা দেখিয়েছেন | এই সময় একটি নতুন ধারণা আসে : সংখ্যালঘুদের ধারণা | এটা ছাড়া জাতি সম্বন্ধে ধারণা বেশি কিছু পরিবর্তন হয় নি | সংখ্যালঘুদের জাতির (সংখ্যাগুরুদের) কথামত চলতে হবে |
সমালোচনা
গুরুজীর এই স্টাডি একটা ইন্টারেষ্টিং বিষয় দেখায় যে ভারত কখনো এক জাতি ছিল না | ভারত ছিল এবং এখনো আছে বহু পৃথক পৃথক জাতির সমষ্টি | ফলে প্রায়শই এইসব জাতিদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে আর দেশের অভ্যন্তরীণ সম্প্রীতি নষ্ট হয় | ভারতে বছরে বহুদিন ছুটি থাকে ন্যাশনাল হলিডের নামে | কি এই ন্যাশনাল হলিডে ? বিভিন্ন জাতির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ছুটির দিন | এতে বহু কর্মদিবস নষ্ট হয় | উদাহরণ : হিন্দুদের দূর্গা-কালী ইত্যাদি পূজায় মুসলিম আর খ্রিস্টান, শিখদের ছুটি কাটাতে হয় | আবার মুসলিমদের ঈদ-মহরমে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখদের ছুটি কাটাতে হয় | একই ভাবে খিস্টান আর শিখদের উত্সবে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছুটি কাটাতে হয় অন্য জাতিদের | এতে দেশের কর্মদিবস নষ্ট হয় | যদি জাতিদের ছুটি শুধু জাতিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে দেশের কর্ম দিবস নষ্ট হয় না | দেশের প্রগতি হ্যামপার হয় না |
আর গুরুজি বহু উদাহরণ দেখিয়েছেন যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোও জাতির সংজ্ঞা মেনে চলে | আজও এই একবিংশ শতকেও আমরা তাই দেখি মধ্য প্রাচ্য স্বঘোষিত মুসলিম দেশ, ইউরোপ আর আমেরিকা অলিখিত খ্রিস্টান দেশ | তিব্বত, চীন অলিখিত বৌদ্ধ দেশ | প্রতিটি জাতি তাদের ধর্মের নামে তাদের দেশকে অলংকৃত করছে তাহলে ভারতের হিন্দু দেশ হতে বাধা কোথায় ? কেন ভারতকে দ্বিচারিতা করতে হবে ? সংবিধানে সেকুলার বলতে হবে আর বাস্তবে হিন্দু রাষ্ট্রের মত আচরণ করতে হবে ? দ্বিচারিতা কি মিথ্যাচার নয় ? কত লোক সংবিধান পড়ে ভুল বুঝে বাস্তবে মার খাচ্ছে | সংবিধানে সেকুলার দেখে ভারতকে সেকুলার ভাবছে আর বাস্তবে কত কেসকাছারিতে ফেঁসে যাচ্ছে | এটা কি ভালো হচ্ছে ? জনহিতে ভারতকে গণতান্ত্রিক হিন্দুরাষ্ট্র বলে ঘোষনা করতে দোষটা কোথায় ?
এছাড়া হলে আমরা দেখছি যে মুসলিমরা আমাদের উদারতার আর সেকুলারিসমের সুযোগ নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী আক্রমন করে হিন্দুজাতির ক্ষতি করছে | তারা একদিকে তো আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা করাচ্ছে, অন্যদিকে জাল নোটের দ্বারা দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে | মেয়ে পাচার করা, নারী ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনায় একটা ফিক্সড প্যাটার্ন আছে : ধর্ষিতা হিন্দু অথবা খ্রিস্টান আর ধর্ষক মুসলিম | লাভ জিহাদ এখন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে | এসবই মুসলিমরা হিন্দুদের উদারতার আর মুর্খতার সুযোগ নিয়ে করে যাচ্ছে | ভারতের হিন্দু জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার জন্য সেকুলার মতবাদ আমাদের ভুলতেই হবে |
এই দুই অধ্যায়ে গুরুজীর সাথে আমি একমত |
©somewhere in net ltd.