![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষষ্ঠ অধ্যায়ে গুরুজি আলোচনা করেছেন যে আমরা যে হিন্দু জাতীয়তাবাদের কথা বলছি তা আমাদের প্রাচীন হিন্দুরা জানতেন না এটা একটা সম্পূর্ণ আধুনিক আবিষ্কার ? তো গুরুজি এখানে বহু সংস্কৃত শ্লোক বলেছেন কোনো অজানা গ্রন্থ থেকে , কারণ শ্লোকগুলির উত্সের কোনো উল্লেখ নেই | রামচন্দ্রের একটা উক্তি দিয়েছেন বটে কিন্তু সেটা রাম বলেছিলেন বিভীষণকে লঙ্কার রাজা করার জন্য | এসব করে গুরুজি দেখাতে চেয়েছেন যে হিন্দু জাতীয়তাবাদ কোনো আধুনিক ব্যাপার নয় , প্রাচীন শাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে |আর জাতীয়তাবাদ মানে সেই দেশ, সংস্কৃতির পাঁচরকম আইটেমের ব্যাপার | এবং অবশ্যই বিবেকানন্দের উক্তি আছে | এটা না হলে তো সংঘ আজকাল চলতেই পারে না |
সমালোচনা
প্রথমত তো সংস্কৃত উক্তির উত্স নির্দেশ করা হয় নি | হতে পারে এগুলো গুরুজীর বানানো | কিন্তু প্রাচীন যুগে জাতি নির্ণয় হত গায়ের রং, শরীরের গড়ন, কর্মে রুচি, কুলবংশ ইত্যাদি দেখে | আজকের যুগে হিন্দু জাতি কি সেইভাবে নির্ণিত হয় ? উপরের বৈশিষ্ট্যগুলি কখনই পাল্টায় না | কিন্তু কোনো অন্য ধর্মের লোকেরা যদি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে তবে কি তারা হিন্দু জাতির অংশ হয়ে যাবে ? যাবে, যদি জাতি শব্দের অর্থ লোকাচার হয় তাহলেই | গুরুজি যে অর্থে জাতি শব্দটি প্রয়োগ করেছেন তা হলো সংস্কৃতি অর্থাৎ লোকাচার | শাস্ত্রে পরিষ্কার বলা আছে যে লোকাচার কখনই ধর্ম হবে না | শাস্ত্রে “বর্ণ” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে জাতি বুঝতে যার অর্থ হলো গায়ের রং | বলা হয়েছে ব্রাহ্মন শ্বেতবর্ণ, ক্ষত্রিয় লোহিতবর্ণ, বৈশ্য হলদেবর্ণ আর শুদ্র কৃষ্ণবর্ণ হয় | সুতরাং লোকাচারকে শাস্ত্র দ্বারা সমর্থন করা জাতি শব্দটার ব্যাখ্যা নিয়ে : এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় |
আর গুরুজি বারে বারে স্ববিরোধ করেছেন | একবার উনি বলছেন যে হিন্দু জাতির আদিপুরুষদের জানা যায় না | আবার অন্য দিকে তিনি বলছেন যে হিন্দুরা এক কমন অরিজিন থেকে সৃষ্ট | উনি কিভাবে জানলেন ? হিন্দুরা কি বহু লোকের মিলনে উত্পন্ন হতে পারে না ?
রাষ্ট্র বলতে বুঝাত রাজার রাজ্য | দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, ভাষা ইত্যাদি নিয়ে রাষ্ট্র হত না |
সুতরাং প্রাচীন শাস্ত্রে রাষ্ট্রভাবনা ছিল না |
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২
সত্যান্বেসী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ |
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই সিরিজটি পড়ছি।