নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের এক মাধ্যম মাত্র

হোমো সেপিয়েন্স অর্ক

আমি ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার জলজ্যান্ত এক পুরুষ।স্বাভাবিক মানবসন্তানের ন্যয় দুইটা হাত,দুইটা পা,দুইটা চোখ আর একটা চেহারা বিদ্যমান।

হোমো সেপিয়েন্স অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বাকস্বাধীনতা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

আগে মানুষ কাঁচা মাংস চিবিয়ে খেত,এরপর ঝলসে খেতে শিখল আর এখন রান্না করে খায়।ব্যাপারটাকে কেন আধুনিকতা না বলে সভ্যতার বিবর্তন বলছেন?আপনার ইচ্ছে হলে আপনি কাঁচা মাংসই হাত দিয়ে খান,চামচ ব্যবহার করতে কে বলল?কিন্তু যারা চামচ ব্যবহার করছেন তাদের নিয়ে আপনার এত চুলকানি কিসের?

আমার কাছে আগে ইংরেজী নববর্ষ মানেই ছিল পরিবার বা প্রিয়জনদের কয়েকটা ডায়েরী আর ক্যালেন্ডার শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে পাওয়া।তাই ডায়েরী লিখার অভ্যাস আমার ছেলেবেলা থেকেই।সময়ের বিবর্তনে ব্যস্ততার তাগিদে এখন আর ডায়েরী লিখার সময় হয়ে ওঠে না আর আগের মত অত ডায়েরীও গিফট পাই না।তাই এখন ডায়েরীর চাহিদা ডিজিটালভাবে এবং ভালভাবেই মিটাচ্ছে ফেসবুক ওয়াল।

কোন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় তখনকার সাহিত্যথেকে আর সভ্যতার পরিবর্তন বা উন্নয়নে মুখ্য ভুমিকা পালন করে তরুন সমাজ।আর বর্তমান সভ্যতায় এমন তরুন খুব কমই আছে যার ফেসবুক আইডি নাই।তাই একটা সময়ে হয়ত মানুষ ফেসবুকের লেখাগুলোকেই বেছে নিবে ওই সময়ের পারিপার্শিক অবস্থা বুঝে নিতে যেটা এখন আমরা করি টাইমলাইন থেকে ২০১২ বা ২০১৩ সনের ছবি বা স্ট্যাটাস ঘেটে।

২০০৪সালের ৪ফেব্রুয়ারী মার্ক জুকারবার্গ ভৌগলিক দুরত্ব কমাতে সামাজিক যোগাযোগ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন।ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি উদ্দেশ্য পুরনেও যথেষ্ট সফল হন তিনি।যেখানে দুরের বন্ধুদের সাথে সার্বক্ষনিক পারস্পরিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে ছবি-ভিডিও শেয়ার,কথা বলা সবই সম্ভব এখানে।কিন্তু বাংগালী জাতি এখানেও তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল।আইডি খুলতে তেমন প্রাইভেসি না থাকায় তারা একাধিক আইডি ওপেন করে নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত।আর আমাদের সরকার এতই বুদ্ধিদীপ্ত যে মাথা ব্যথা হয়েছিল বলে মাথাটাই কেটে ফেলল।

আমার খুব কাছের এক বন্ধু আমাকে ফেসবুক ফ্রিক বলে দাবি করত এবং পার্সোনাল পারসেপশান ফেসবুকের স্ট্যাটাসে দেবার মানেই খুজে পেত না ও।ওকে বলছি যেটাকে আমরা স্ট্যাটাস বলছি ওখানে লিখা থাকে ‘হোয়াটস অন ইওর মাইন্ড’।কি বুঝাতে চাচ্ছি সেটা হয়ত ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে আর ভেংগে বুঝাতে হবে না।যার প্রমান সে নিজেই রাখছে কারন এখন হয়ত আমার থেকে তাকেই বেশি ফেসবুকে অনলাইন এবং ইদানিং তো ট্রলের পাশাপাশি স্ট্যাটাস ও দিতে দেখা যায়।ছবি আপলোডের ব্যাপারটার ক্ষেত্রে বলছি গুগল ড্রাইভের ব্যবহার তো এখন সবারই জানা,আর ফেসবুক কিন্তু এটার প্রচলন আগেই করেছিল আর এটা জনপ্রিয়ও বটে!

আমাদের দেশে বাকস্বাধীনতার হাল কোথায় গিয়ে পৌছেছে ভেবেছেন কি একবার?আপনার মতের সাথে অনেকের মতপার্থক্য হতেই পারে,সেটা পারলে যুক্তিতর্ক দিয়ে জয় করেন।আর একান্তই যদি সে আপনার অনুভুতিতে আঘাত দেবার মত কোন পোষ্ট দিয়েই থাকে তো আপনি তাকে আনফলো বা ব্লক করে রাখলেই পারেন।তার জন্য তাকে পোষ্ট ডিলিটে বাধ্য করা,জীবননাশের হুমকি এমনকি কুপিয়ে মেরে ফেলাটা কোন ধরনের সমাধান!ইভেন এই আপনিই যখন একজন সেলিব্রেটির পোষ্টে তার প্রফেশনাল লাইফ থেকে শুরু করে তার চৌদ্দ গুষ্ঠির ষষ্ঠী পূজা করে ছাড়েন তখন কোথায় থাকে আপনার ব্যক্তিক্তবোধ?

আমার একাউন্টে আমি ভূমিকম্প নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে তোমার কি সমস্যা(আমার সাথে যায় কি না যায় সেটা আমি তোমার থেকে ভাল বুঝি),রাজনৈতিক পোষ্ট দেখলে তোমার বুঝি খুব চুলকিয়ে উঠে, আমি কারো প্রচারণা চালাই না দালালি করি তাতে তোমার বাপের কি,তুমি আমাকে পোষ্ট ডিলিট করতে নির্দেশ দেবার কে? অনুভূতিতে যদি এতই আঘাত লেগে থাকে তাহলে মি৪২০.বিডি এর মত ট্রল বের করে প্রতিবাদ জানাতে পারেন অথবা নিজের চড়কায় তেল মারুন!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.