নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়স্ক মানেই মুরব্বী নয়; মুরব্বী হয় জ্ঞানে, সৎকর্মে, বিনয়ে এবং নিরপেক্ষতায়

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৯

আমাদের সমাজে এবং পুরো বিশ্বে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে যিনি যত বয়স্ক তিনি তত মুরব্বী! যেমন বাপ-চাচা-দাদারা মুরব্বী, পীর ছাহেব মুরব্বী, মোল্লা-পুরোহিত-যাজক-ভান্তেরা মুরব্বী ইত্যাদি। আমি মোটেই একমত হতে পারছি না। দয়া করে মুরব্বীরা ক্ষেপে যাবেন না। ’গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ মতবাদেও আমি বিশ্বাসী নই। আসুন মহান আল্লাহর পবিত্র কোরআন থেকে জানতে চেষ্টা করি মুরব্বী আসলে কারা।
”এবং যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তোমরা অনুসরণ কর, পক্ষান্তরে তারা বলে আমরা অনুসরণ করব যা আমরা পেয়েছি আমাদের বাপ-দাদাদের (তথা মুরব্বী বা পিতৃপুরুষ) উপর। এমন কি তাদের বাপ-দাদারা যদিও কিছুই বুঝতো না এবং তারা সঠিক পথে ছিলো না (তথাপিও?)” (সূরা বাক্বারা, আয়াত ১৭০)।
অধিকাংশ তফসীরকারক আয়াতটির ব্যাখ্যায় টেনে এনেছেন মহানবী (সা.) এর যুগের ইহুদী-নাসারাদের নবীকে না মানার কাহিনী। আর তা হচ্ছে আয়াতটির শানে-নযুল। শুধু শানে-নযুল পড়ে কস্মিনকালেও কোরআন বুঝা যাবে না। আর কোরআন কোন কাল বা সময়ের ঘেরাটোপে আবদ্ধ নয়। এটি একটি সর্বজনীন এবং সর্বকালের গ্রন্থ, কেউ মানুক আর না মানুক। বাপ-দাদারা কি এ যুগে নেই? ইসলাম অনুসারীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাই আপনি ইসলামিক, একইভাবে আছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আরো আছে শিয়া, সুন্নি, ওয়াহাবি, খারেজী, কাদিয়ানি, শিখ, তালেবান, আইএসআইএস ইত্যাদি। ইসলামের মুরব্বীরা বলে তাদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ, একইভাবে বলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা। অন্যদিকে সুন্নিরা (ইসলামের একটি সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়) বলে তারাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মধ্যে আছে বাকিরা বরবাদ, একইভাবে বলে শিয়া, ওয়াহাবি, খারেজী, কাদিয়ানিরাও। আপনি যাবেন কোথায়? যখন প্রমাণের কথা বলা হয় তখন আপনি এদের কাউকে পাবেন না। পাবেন না মোল্লাকে, পাবেন না পুরোহিতকে, পাবেন না যাজককে, পাবেন না ভান্তেকে। এরা সবাই আনুষ্ঠানিক ধর্ম তথা আচার-প্রথায় বিশ্বাসী। অথচ মহান আল্লাহ আনুষ্ঠানিক ধর্ম তথা আচার-প্রথায় মোটেই বিশ্বাসী নন। নইলে তিনি বাপ-দাদাদের ধর্মকেই মানতে বলতেন। তাই তো তিনি বলেন, ”সেদিন (শেষবিচার দিবসে) যে (ব্যক্তি) আল্লাহর কাছে একটি বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে (সে-ই রক্ষা পাবে)” (সূরা শুআরা, আয়াত ৮৯)। বলা হয়নি যে লক্ষ-কোটি রাকাত নামায কিংবা অনেক রোযা কিংবা হজ্ব বা যাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে সে-ই রক্ষা পাবে। অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে হলে বাপ-দাদাদের ধর্মকে বিসর্জন দেয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। আবু লাহাবও ছিলেন মহানবী (সা.) এর চাচা এবং হযরত হামযা (রা.)ও ছিলেন নবীর চাচা। আবু লাহাব নামটি ইতিহাসে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি নাম যদিও নবীর চাচা। নবী বংশের হলেও তাকে ’সৈয়দ’ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। অথচ এখন সৈয়দের ছড়াছড়ি! একটু গভীরে গেলে দেখা যাবে এখানে আবু লাহাবদের সংখ্যাই বেশি। সত্য হচ্ছে মহানবী (সা.) এর নূরের বংশধরটিই আসল বংশধর। আবু লাহাব নবী (সা.) কে নবী হিসেবে না দেখে দেখেছিলেন ভাতিজা হিসেবে। চাচা মুরব্বী হয়ে কীভাবে ভাতিজার কাছে বায়াত হয়! বুদ্ধিমান ছিলেন হযরত হামযা (রা.)। যিনি নিজেকে চিন্তা করেছেন একজন পথহারা পথিক। তাই পথের সন্ধান পাওয়ার আশায় গিয়েছিলেন একজন পথ প্রদর্শক তথা নবী (সা.) এর কাছে, ভাতিজার কাছে নয়। তিনিও কিন্তু ছিলেন মুরব্বী। আল্লাহর আওলিয়া বা বন্ধুরা যে কোন বয়সের হতে পারেন। তাঁরা যে শুধু থুত্থুরে বুড়ো হবেন কিংবা বয়স্ক হবেন কিংবা দাদা-চাচাদের বয়সী হবেন এমন কোন কথা নেই। যিনি আল্লাহর আওলিয়া হবেন তাঁর মধ্যে জ্ঞান তো থাকবেই, আরো থাকবে সৎকর্ম, থাকবে বিনয়, থাকবে নিরপেক্ষতা এবং থাকবে সত্য। এবং তিনিই মুরব্বী।
অনেকে ক্রোধের বশে বলে ফেলে, আমার পূর্ব পুরুষ খুব রাগী স্বভাবের ছিলো তাই আমিও রাগী! এখানেই আপনার ব্যর্থতা। পূর্ব পুরুষ ল্যাংটা হাঁটতো কিংবা গাছের ছাল পরতো বলে আপনিও কি এখনো সেরকম থাকবেন? পূর্ব পুরুষের রক্তে ছিলো লুচ্চামি-বদমাইশি তাই বলে আপনিও কি লুচ্চামি-বদমাইশি করবেন? পূর্ব পুরুষ রোবটের মতো নামায পড়েছেন, রোযা রেখে উপবাস করেছেন, অবৈধ টাকায় হজ্ব-যাকাত করে পাছায় তবলা বাজিয়েছেন বলে আপনিও কি তাই করবেন?
কোরআনে আল্লাহ ইসলাম ধর্মকে সবার জন্য মনোনীত করেছেন বলেছেন কিন্তু কোথাও বলেননি তাঁর অর্থাৎ আল্লাহর ধর্ম কোনটি। বুঝতে হবে ’ইসলাম’ কোন বাপ-দাদাদের ধর্ম নয়, এটি আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। কীভাবে? পরিপূর্ণরূপে ঢুকেন (সূরা বাক্বারা, আয়াত ২০৮) তবেই বুঝবেন। নইলে তালগোল পাকিয়ে ফেলবেন আর দশটা ধর্মের সাথে। ঘি-মাখন কিন্তু দুধের ভেতরেই থাকে, ইসলামের ভেতরেও আল্লাহ আছেন। তাই ইসলাম মানতে হবে কিন্তু রঙিন হতে হবে মহান আল্লাহর ধর্মে। ”আল্লাহর রঙ (ধর্ম) এবং কে আল্লাহর চাইতে রঙে উত্তম” (সূরা বাক্বারা, আয়াত ১৩৮)। আরো দেখুন, কোরআনে আল্লাহ নামায কায়েম করতে বলেছেন, ব্যস একদল জোরে-শোরে লেগে গেল নামায কায়েম করতে। প্রচার করতে লাগল সবচেয়ে বড় ইবাদত নাকি নামায! অথচ হিসেব করে দেখা গেল সবচেয়ে সহজ এবং ছোট ইবাদত হচ্ছে নামায। কোরআনে আল্লাহ নামায কায়েম করতে বললেও কোথাও বলেননি তিনি নিজে নামায পড়েন। বলেছেন, ”তিনি নবীর উপর দরূদ পড়েন” (সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)। নবীর উপর দরূদ পড়া বাহ্যিকভাবে খুব সহজ মনে হলেও অনেকের কাছে খুবই কঠিন! যাদের কাছে কঠিন তারা ইসলামের অনুসারী বটে কিন্তু নবী বিদ্বেষী। তারা ’আল্লাহুমা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ...’ ছাড়া আর কোন দরূদ শরীফ খুঁজে পান না। তাদের কাছে প্রশ্ন, আল্লাহ তবে কোন দরূদটি তাঁর নবীর উপর পড়েন? এবার বুঝে নিন কোন ইবাদতটি বড়।
এবার একটি হাদীস বলে শেষ করছি- ”যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না ও বড়দের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়” (তিরমিযি শরীফ, ৪র্থ খণ্ড, হাদীস নং ১৯২০)। সুতরাং মুরব্বীদের ধর্ম মানা না গেলেও তাঁদের কিন্তু অশ্রদ্ধা করা যাবে না। তাঁরা যদি বিধর্মীও হয় তবুও ”তাঁদের শ্রদ্ধা করে যেতে হবে দুনিয়ার এ জীবনে” (সূরা লোকমান, আয়াত ১৫)।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

বকবক

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৬

আরমান আরজু বলেছেন: ট্রাক্টরের কাছে সব কথাই 'বকবক' মনে হবে!

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: বয়স্ক মানেই মুরব্বী নয়; মুরব্বী হয় জ্ঞানে, সৎকর্মে, বিনয়ে এবং নিরপেক্ষতায়

এ কথায় আমি সহমত।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার ও এই রকম বিষয়ে একটি লেখা আছে। আপনি চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30059616

আর একটা কথা। আপনি বলেছেন "”তিনি নবীর উপর দরূদ পড়েন” (সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)"- এইখানে মুল আরবি তে দুরুদ শব্দটা নেই। মুল আরবী ভাষায় যা বলা হয়েছে তার অর্থ "Allah and His angels send blessings on the Prophet: O ye that believe! Send ye blessings on him, and salute him with all respect"

এখন এই একি সুরার ৩৩ঃ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে "He it is Who sends blessings on you, as do His angels, that He may bring you out from the depths of Darkness into Light: and He is Full of Mercy to the Believers."
সুতরাং আল্লাহ এবং ফেরেস্তারা যারা বিশ্বাসী তাদের প্রতিও blessing send করে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

আরমান আরজু বলেছেন: জনাব হানিফঢাকা, আপনার লেখাটি [কেন আমরা ধর্মের ব্যাপারে সাধারন চিন্তাশক্তি (কমনসেন্স, যুক্তি, বিশ্লেষণ) ব্যবহার করিনা?] আমি পড়েছি তবে আমার লেখার বিষয়বস্তু থেকে আপনারটি যোজন দূরে। আপনার এই লেখাটি এবং অন্যান্য লেখাগুলো (বিশেষ করে সূফিবাদের উপর) পড়ে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে আপনার উপর থেকে এখনও বাপ-দাদাদের আছর কাটেনি! আপনি সুরা আহযাবের ৪৩ ও ৫৬ আয়াতের যে অনুবাদ দিয়েছেন তা পড়েই বুঝে ফেলেছি আপনি বাজারের সস্তা মার্কা তফসীরে বুদ হয়ে আছেন যেসব তফসীর পড়ে বাপ-দাদাদের আছর কাটা দূরে থাক বরঞ্চ অন্যান্য মতবাদের আছরেও আপনি ফেঁসে যাবেন! পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ বুঝার জন্য সহজ করেছেন, সবার জন্য? মোটেই না। কোরআন সবাই পড়বে, এমনকি গিরিশচন্দ্র সেনের মতো লোক অনুবাদও করবে কিন্তু বুঝবে ও উপদেশ গ্রহণ করবে শুধুমাত্র মুত্তাকীরা। ”কোন সন্দেহ নেই ইহার (কিতাবটির) মধ্যে, মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত” (সুরা বাক্বারা, আয়াত ২)। প্রশ্ন হল, মুত্তাকী কারা? ঈমানদারেরা? নামাযীরা? রোযাদারেরা? হাজ্বীরা? যাকাত দাতারা? না আলেম-ওলামারা? পুরো কোরআনে আল্লাহ মাত্র চারজন ব্যক্তির সাথে আছেন বা থাকেন বলে উল্লেখ করেছেন (সাধারণ ভাবে আল্লাহ সবার সাথে আছেন কিন্তু বিশেষ ভাবে চারজনের সাথে) তন্মধ্যে মুত্তাকী একজন। ”নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন” (সুরা বাক্বারা, আয়াত ১৯৪ এবং সুরা তওবা, আয়াত ৩৬)। ঈমানদার, নামাযী, রোযাদার, হাজ্বী, যাকাত দাতা কিংবা আলেম-ওলামাদের সাথে আল্লাহ আছেন বলে কোরআনে কোথাও উল্লেখ নেই। ঈমানদার, নামাযী, রোযাদার, হাজ্বী, যাকাত দাতা কিংবা আলেম-ওলামা হওয়া সহজ কিন্তু মুত্তাকী হওয়া বড় কঠিন। মুত্তাকীদের সাথেই আল্লাহ থাকেন। কেন থাকেন? কারণ আল্লাহকে পাবার জন্য তাঁরা দুনিয়ার এ কোলাহলে বাস করেও বৈরাগী, মরার আগে মৃত, যাবতীয় কু-রিপু সমূহ থেকে মুক্ত। আর তাঁদের জন্যই কোরআন হেদায়েত। কাগজের কোরআন নয়, লওহে মাহফুজের কোরআন। সুতরাং আগে মুত্তাকী এরপরে কোরআনের অনুবাদ। নইলে তরং-বরং অনুবাদে হাজারো কথার ফুলঝুরি ওগড়ানো যাবে বটে কিন্তু ফলাফল শূন্য। আপনি সুরা আহযাবের ৪৩ ও ৫৬ আয়াতের অনুবাদে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন এজন্যই। আপনার কথা বাদ দিলাম, অনেক বড় বড় মাওলানা-মুফতী-আলেমেরা পর্যন্ত তালগোল পাকিয়ে ফেলছে! আসুন সুরা আহযাবের ৫৬ আয়াতে, ”নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা নবীর উপর দরূদ পড়েন। ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরাও তাঁর (নবীর) উপর দরূদ পাঠাও এবং সালাম জানাও সশ্রদ্ধভাবে”। আপনি বলেছেন মূল আরবীতে দরূদ শব্দটা নেই। থাকবে কোত্থেকে, দরূদ তো ফার্সি শব্দ আর কোরআন তো আরবী ভাষায়। ’blessings’ শব্দটাও তো কোরআনে নেই, আছে ’সাল্লু’। সাল্লু অর্থ দরূদ, কল্যাণ, রহমত, আশীর্বাদ, হিত, blessings ইত্যাদি। এক ধরনের বাপ-দাদারা আছে যাদের কাছে ’দরূদ’ শব্দটা উচ্চারিত হলে তাদের গা জ্বালা শুরু হয়। আমি এমনি এমনি লিখিনি যে ’নবীর উপর দরূদ পড়া বাহ্যিকভাবে খুব সহজ মনে হলেও অনেকের কাছে খুবই কঠিন!’ দেখার বিষয় হল উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেছেন তিনি নবীর উপর দরূদ পড়েন এবং ঈমানদারদেকেও নির্দেশ দিচ্ছেন তারাও যেন সেভাবে পড়ে। অন্যদিকে একই সুরার ৪৩ আয়াতে বলা হয়েছে, ”তিনিই সেইজন যিনি তোমাদের (ঈমানদারদের) উপর কল্যাণ কামনা করেন এবং তাঁর ফেরেশতারাও যেন তিনি তোমাদের বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এবং তিনি মুমিনদের প্রতি রহিম (রূপে দয়াবান)”। লক্ষ্য করার বিষয় হল আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা ঈমানদারদের কল্যাণ কামনা করেন যেন তিনি তাদের বের করে আনতে পারেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে কিন্তু অন্য কাউকে তাদের প্রতি কল্যাণ কামনা করতে বলেননি। আবার ইসলামের অনুসারী হলে কিংবা কলেমা তাইয়্যেবা পাঠ করলেই ঈমানদার হওয়া যায় না। এ বিষয়ে আমার আরেকটি লেখা আছে (লিংক: Click This Link)। তাই ওদিকে আর যাচ্ছি না। অথচ আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরূদ পড়েন এবং ঈমানদারদেরকে বলেছেন তারাও যেন সেই কাজটি করে কেননা নবীকে মহান আল্লাহ একটি দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন আর তা হল পথহারা কিংবা অন্ধকারের মানুষদের পথের সন্ধান দেয়া কিংবা আলোর অধিকারী করা। দু’টো আয়াতের মধ্যে ’সাল্লু’ এসেছে ভিন্ন দু’টি রূপে। ব্যাপারটি খুবই সূক্ষ্ম যা বুঝতে পারে কেবল মুত্তাকীরাই। আরো আছে, ৪৩ আয়াতের শেষে বলা হয়েছে, আল্লাহ মুমিনদের প্রতি রহিম (রূপে দয়াবান, রহমান রূপে নয় কারণ রহমান রূপে সাধারণ মানুষদের জন্য। মুমিনরা সাধারণ মানুষ নন)। খেয়াল করুন, বলা হয়েছে মুমিনদের প্রতি রহিম, ঈমানদারদের প্রতি নয়। পুরো কোরআনে মুমিনদের প্রতি কোন নির্দেশ নেই কারণ ”মুমিনরা সফলকাম” (সুরা মু’মিনুন, আয়াত ১) এবং ”নবী মুমিনদের নিকট তাঁদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক নিকটে” (সুরা আহযাব, আয়াত ৬)। অনেক তফসীরকারক মুমিনের অনুবাদে লিখেছেন ঈমানদার! ফলাফল ভুল ভুল ব্যাখ্যা আর তরং-বরং বিবৃতি কিংবা লেকচার কিংবা ওয়াজ। এরপরও কেউ যদি ’সাল্লু’ শব্দটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন সেখানে আমার বলার কিছু নেই। জ্ঞানীদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। আর যারা জ্ঞানপাপী তাদের জন্য হেদায়েত কামনা করছি।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭

বিপরীত বাক বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: বয়স্ক মানেই মুরব্বী নয়; মুরব্বী হয়
জ্ঞানে, সৎকর্মে, বিনয়ে এবং নিরপেক্ষতায় এ কথায় আমি সহমত।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন “পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ বুঝার জন্য সহজ করেছেন, সবার জন্য? মোটেই না।“- দয়া করে কোরআন থেকে একটা রেফারেন্স দেন যে আল্লাহ বলেছেন যে পবিত্র কোরআন সহজ করা হয়েছে শুধু মাত্র বিশেষ কোন গোষ্ঠির জন্য। শুধু মাত্র একটা রেফারেন্স দেন। আমি আপনার কথা মেনে নেব। আর না পারলে ধরে নিব আপনি নিজের কথা কোরআনের কথা বলে চালিয়ে দিয়েছেন- যা আপনার মত মানুষেরা প্রায়ই করে।

আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। আমার লেখা সম্পর্কে বেশ কঠিন ভাষায় কথা বলেছেন। আমার কোন লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি আপনার আপত্তি থাকে আপনি স্পেসিফিকালি সেই বিষয়ে বলতে পারেন, আমি আলোচনা করতে রাজি আছি। দয়া করে ভাসা ভাসা কোন কথা বলবেন না।

মুসলিম, মুমিন, মুত্তাকি এই গুলি এই লেখার শিরনামের আন্ডারে আলোচনার বিষয় নয় বলেই এই নিয়ে কিছু বললাম না। আপনি যদি নিজেকে মুত্তাকি দাবী করেন এবং আমাকে অন্য যে কোন বিশেষনে বিশেষিত করেন সেইটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার এইখানে কিছু বলার নেই, তবে আপনি মুত্তাকি এই দাবী মানতেও আমার কোন আপত্তি নেই।

আপনি সূরা আহযাবের ৪৩ এবং ৫৬ নম্বর আয়াত নিয়ে অনেক জ্ঞান গর্ভ লেকচার দিয়েছেন। আমি শুধু বলেছি দুরুদ শব্দটা মুল বাক্যে নেই। এই কথাটা বলার কারন ছিল এই জন্য যে আপনি নিজে ঐ “সাল্লু” শব্দটার অর্থ দুরুদ করেছেন। আমার কথার প্রেক্ষিতে আপনি আমাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছেন। আমি আমার কমেন্টে যদিও এই দুই আয়াতের অনুবাদ দিয়েছিলাম, আপনার জন্য আবার আয়াত দুইটির আক্ষরিক অনুবাদ দিচ্ছিঃ
Indeed, Allah and His Angels send blessings upon the Prophet. O you who believe! Send blessings on him and greet him (with) greetings. (33:56)

He (is) the One Who sends His blessings upon you and His Angels so that He may bring you out from the darkness to the light. And He is to the believers Merciful (33:43)

এই দুই আয়াতে “সাল্লু” শব্দটা এসেছে। আপনি ৫৬ নম্বর আয়াতে এর অনুবাদ করবেন" দরূদ" আর ৪৩ নাম্বার আয়াতে করবেন “কল্যাণ কামনা” সেটা হবে না। একই শব্দের দুই রকম অর্থ কেন করবেন? আল্লাহ কল্যাণ কামনা করে? কার কাছে করে? আল্লাহর ও কি আল্লাহ আছে নাকি যার কাছে আল্লাহ কল্যাণ কামনা করেন (নাউজুবিল্লহ)। আল্লাহ কোন কিছু কামনা করে না, কামনা করা লাগেনা, উনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। কি লিখছেন আগে নিজে বুজেন।

আপনার জন্য এই “সাল্লু” শব্দের অর্থ দিয়ে দিলাম।
(33:43:3) yuṣallī sends His blessings
هُوَ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْكُمْ وَمَلَائِكَتُهُ
(33:56:4) yuṣallūna send blessings
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ
(33:56:10) ṣallū Send blessings
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

এখন আপনি যদি এই ৩৩:৫৬ এর শব্দ “সাল্লু” র অর্থ করেন দরূদ তবে একই প্রেক্ষিতে ৩৩:৪৩ এ আসা একই শব্দের অর্থ ও তাই হবে। আপনি একজাইয়গায় এক শব্দের এক অর্থ করবেন আর আরেক জায়গায় একই প্রেক্ষিতে বর্ণিত একই শব্দের আরেক অর্থ করবেন তা হবে না। এটা করে সেই ধরনের মানুষ যারা কোরআনের অর্থ বিকৃতি করে নিজের পালন করা নিদৃস্ট কোন মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।


৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "আপনার এই লেখাটি এবং অন্যান্য লেখাগুলো (বিশেষ করে সূফিবাদের উপর) পড়ে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে আপনার উপর থেকে এখনও বাপ-দাদাদের আছর কাটেনি"। আমার মনে করার যথেষ্ট কারন আছে আপনি আমার পুরা সূফীবাদ নিয়ে পুরা লেখাটা পড়েননি। আপনি প্রথম কিছু লাইন পড়েই মন্তব্য করেছেন। এই লেখাটা ৪ তা পার্টে ভাগ করা। প্রথম দিকে প্রচলিত বিশ্বাস নিয়ে কথা বলেছি, যার ফলে আপনার ধরনা হতে পারে আমি বাপ দাদাদেরকেই অনুসরণ করছি। এই সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে সম্পূর্ণ লেখা পড়ে দেখা উচিত এবং কোথায় আপনার আপত্তি আছে তা বললে বুঝতে সুবিধা হত।
ধন্যবাদ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

আরমান আরজু বলেছেন: জনাব হানিফঢাকা, আপনি কি আমার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন না পাকা ধানে মই দিয়েছেন যে আমি আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করব! যে জ্ঞান নবীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসাবোধ জাগায় না, যে জ্ঞান ’সাল্লু’ শব্দটির অনুবাদে ’দরূদ’ লিখলে প্রত্যুত্তর দিতে তেড়ে আসে সে শয়তানী জ্ঞানের বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ। ব্যক্তি হানিফকে আক্রমণ করা দূরে থাক, সূফিবাদে বিনা কারণে একটি গাছের পাতা পর্যন্ত ছেঁড়া নিষেধ। এরপরও যদি আমার অজান্তে কোন আক্রমণ হয়ে যায় তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
”কোন সন্দেহ নেই ইহার (কিতাবটির) মধ্যে, মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত” (সুরা বাক্বারা, আয়াত ২)। আয়াতটি পড়ার পরও যে বুঝবে না কোরআন কাদের জন্য, তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে আধ্যাত্মিক জ্ঞান (আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান) দানের দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না। যেভাবে কৃষককে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা শুনিয়ে কোন লাভ নেই কারণ সে বুঝবে না (মনে করবেন না আমি আবার কৃষককে হেয় জ্ঞান করেছি)। আমি আমার লেখায় কোথাও নিজেকে মুত্তাকী বলে দাবী করিনি কিন্তু মুত্তাকী হতে হবে বলেছি নইলে কোরআন শুধু ’তেলাওয়াত’ কিংবা ’রিডিং’-ই হবে, অনুধাবন হবে না। সুরা আহযাবের ৪৩ ও ৫৬ আয়াতের অনুবাদ আপনি শুধু ইংরেজিতে দিচ্ছেন, বাংলায় দিলে ’সাল্লু’ অনুবাদে দরূদ লিখতে হবে সেজন্য? নাকি কোরআনের অনুবাদ বাংলায় লেখা নিষেধ? ইংরেজি ’blessings’ শব্দের বাংলা কী কিংবা আরবী ’সাল্লু’ শব্দের বাংলা কী তা কষ্ট করে কোন অভিধান দেখে জেনে নিয়েন। আমি আগেই বলেছি সাল্লু অর্থ দরূদ, কল্যাণ, রহমত, আশীর্বাদ, হিত, blessings ইত্যাদি যে কোনটি হয়। আমি নবীকে ভালোবাসি তাই আমি দরূদ লিখেছি, তাতে যদি আপনাদের (আপনি না বলে আপনাদের বললাম, কেন বললাম আশা করি বুঝতে পেরেছেন) শরীর চুলকায় তাতে আমার কিছু করার নেই। আর ঈমানদারদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনার জন্য আল্লাহ তাদের উপর কল্যাণ কামনা করেন (এখানে ’কল্যাণ কামনা করেন’ অর্থটিকে আপনি ভুল ভাবে নিয়েছেন, বলেছেন, ”আল্লাহ কল্যাণ কামনা করে? কার কাছে করে? আল্লাহর ও কি আল্লাহ আছে নাকি যার কাছে আল্লাহ কল্যাণ কামনা করেন”। আপনি দেখছি বাংলা ভাষাও ঠিকমতো রপ্ত করতে পারেননি, তাই বুঝি কোরআনের অনুবাদ গুলো ইংরেজিতে দেন! ’আমি তোমার ভাল বা মঙ্গল চাই’, ’আমি তোমার ভাল বা মঙ্গল কামনা করি’, ’আল্লাহ তাদের উপর কল্যাণ প্রেরণ করেন’, ’আল্লাহ তাদের উপর কল্যাণ কামনা করেন’ বাক্যগুলো বুঝেছেন কি? না বুঝলে বাজার থেকে ভাল ব্যাকরণ বই কিনে আবার প্রথম থেকে শুরু করেন)। ভুল পথ থেকে সঠিক পথে আনবেন, এর জন্য আমি ’কল্যাণ কামনা করেন’ লিখলে যদি কোন মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে যায় তাতে হাস্য করা ব্যতীত আমার কিছু করার নেই। নবীর উপর আল্লাহ দরূদ পড়েন নবীকে ভুল পথ থেকে সঠিক পথে আনার জন্য নয়, ঈমানদাররাও যেন আল্লাহর অনুকরণে নবীর উপর দরূদ পড়ে সেজন্য। কারণ, নবী (সা.)-ই হলেন ঈমান।
কোন কিছু না পড়ে আমি কোন মন্তব্য করি না এবং এটা জ্ঞানীর কাজ নয়। সূফিবাদের উপর আপনার ৪ ভাগের লেখাটি পড়েই আমি মন্তব্য করেছি এবং আবারো বলছি লেখাটি অনেকটা অন্ধের হাতি দর্শনের মত। বস্তুবাদেই এখনো হাবুডুবু খাচ্ছেন আবার এসেছেন সূফিবাদের মতো একটি উচ্চস্তরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে!
মানুষদেরকে সত্যটি জানিয়ে দেবার জন্যই আমার এত কষ্ট এত লেখালেখি, কোন মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নয়। আমি বই পড়ে লিখতে বসিনি। বই অর্থই হল মতবাদ। একেক ধর্ম একেক বই, একেক আকীদা একেক বই। সত্য তবে কোনটি? আম না দেখে শুধু বইয়ে আমের বর্ণনা পড়ে আম বিষয়ে লেখা এক জিনিস আর আম নিজে খেয়ে, চেখে, স্বাদ অনুধাবন করে তারপর লিখতে বসা আরেক জিনিস। ’আম’-এর স্থানে ’ইসলাম’ বসিয়ে তারপর নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোনটি করছেন?

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য। আমার প্রশ্নটা ছিল কোরআন শুধু মুত্তাকিরা বুঝবে সেটা আল্লাহ কোথায় বলেছেন? এর উত্তরে আপনি কোরআনের ২:২ রেফারেন্স দিয়েছেন। ভাই আপনার রেফারেন্স এ আমার প্রশ্নের উত্তর নাই। কোরআনের ২:২ এ বলা হয়েছে এটা মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক। এটা ত ঠিক আছে কিন্তু তার মানে এই নয় মুত্তাকী ছাড়া কোরআন পড়ে কেউ বুঝবেনা। মুসলিম, মুমিন, ইহুদী, খৃষ্টান, হিদু, বৌদ্ধ কেউ বুঝবে না? কোরআনে আল্লাহ এই ধরনের কোন কথা বলেননি। আপনি কোরআনে এই ধরনের কোন রেফারেন্স দেখাতে পারেন নি, তার মানে নিজের কথা কে কোরআনের কথা বলে চালিয়ে দেওয়া।
এইভাবে আপনারা যুগে যুগে ব্যাবসা করে এসেছেন। কোরআন কোন সাধারন মানুষ পড়ে বুঝবেনা কারন উহা হায়ারগ্লাফিক্সে লেখা। এর অর্থ শুধু মুত্তাকীরা বুঝতে পারে। সুতরাং নিজে না পড়ে (নিজে পড়ে ত কোন লাভ নাই, বুঝবেনা) যাও মুত্তাকীর কাছে। সে যা বলবে তাই ঠিক। সে যদি নিজের কথাকেও কোরআনের কথা বলে চালিয়ে দেয় তবু সে ঠিক। সাধারন মানুষ কোরআন পড়বে শুধু সোয়াবের আশায়, আর কোন বিষয়ে জানতে হলে যেতে হবে মুত্তাকীদের কাছে। আল্লাহ মনে হয় কোরআনকে আপনার মুত্তাকিদের কাছে লীজ দিয়ে দিয়েছেন। তালমুদ, মিসনাহ কিভাবে এসেছে জানেন? ব্যবসায়ী ত খালি ইসলাম ধর্মেই নাই, ইহুদী ধর্মেও ছিল, এখনও আছে। মুত্তাকী অর্থ আপনি জানেন কিনা সেই নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।

আপনি যদি মনে করেন “সাল্লু”- শব্দের অর্থ “দরূদ”, আমার কোন আপত্তি নেই। আমার আপত্তি হচ্ছে আপনি এক জায়গায় এর অর্থ করবেন “দরূদ” আর আরেক জায়গায় অন্য অর্থ করবেন তা নিয়ে। এটা কোরআনের প্রেক্ষিতে কোনভাবেই ঠিক নয়। একি শব্দ, একি মুল, একি ব্যবহারে একটা শব্দের দুই জায়গায় দুই অর্থ করতে পারেন না। আপনার মন চাইলেই এটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

আপনারে এইগুলি বলে আসলে কোন লাভ হবে না। আপনার লেখার মধ্যেই বুঝতে পারছি আপনি বিশাল জ্ঞানী মানুষ। জ্ঞান জাহির করতে, আপনি নিজের কথা কোরআনের কথা বলে চালিয়ে দিতে সিদ্বহস্ত। এই “সাল্লু” শব্দটার রুট বা মুল হচ্ছে “সোয়াদ, লাম, ওয়াও” (সালাতের একই মুল)। আরবী ডিকশনারি দেখেন।

আপনি অনুবাদ সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলেছেন। এইখানে বাংলা ইংরেজী মুখ্য বিষয় না। মুল বিষয় হচ্ছে কোন অনুবাদ মুল ভাষার কাছা কাছি। সেই জন্য আমি যখন কোরআনের আয়াতের রেফারেন্স দেই, সবসময় মুল ভাষার দিকে লক্ষ্য রাখি। কারন যারা কোরআন অনুবাদ করেছে তারা কোন না কোন দলের/মতবাদের অন্তর্ভুক্ত। সেই জন্য তারা বেশিরভাগ সময়ই নিজের মতবাদ অনুযায়ী কোরআন অনুবাদ করেছেন। এই জন্য কোরআনে আসলে কি বলেছে সেটা জানতে হলে হয় মুল ভাষায় পড়তে হবে অথবা অনুবাদ পড়ার সময় মুল ভাষার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর উদাহরণ অনেক। একটা সাধারন উদাহরণ নিয়ে আমি লিখেছি । Click This Link

সুফীজমের উপরে লেখা আমার লেখাগুলি পড়ে অনেকের চুলকানি হতে পারে, বিশেষ করে যারা এই মতবাদের অনুসারী তারা। তাদের বিশ্বাস, এবং তারা নিজেরা কি বলেছে তা রেফারেন্স সহকারে দিয়েছি। কোন নিদ্দৃস্ট বিষয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে কথা বলতে পারেন।
আপনি প্রশ্ন করেছেন সত্য কোনটি? উত্তর সত্য হচ্ছে কোরআন, এর উপরে কোন সত্য নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.