![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফরমালিন এমন একটি বিষ যা দিয়ে মৃতদেহকে সংরক্ষণ করা হয়।লাশ সহজে পচেনা গলে না,এটা শুধুমাত্র ল্যাব্রটরির কাজে ব্যবহ্রত হবার কথা,সাধারন জনতা হিসেবে এটাই জানি।কিন্ত এই বিষ কিভাবে ল্যব্রটরির বাইরে এল এটা আমাদের বোধগম্য নয়।ফরমালিন মৃতলাশকে অনেকদিন সংরক্ষিত রাখে কিন্ত জীবিত মানুষের দেহে ফরমালিন প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে দেহের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ যেমন কিডনি,ফুস্ফুস,পাকস্থলি,ব্রেন ড্যামেজ করে ফেলে।আমরা প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে যে কি পরিমাণ বিষ গ্রহণ করি তা জানতে পারলে হয়ত বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করার প্রবণতা সমাজে কমে যেত। শুধু আমরা বড়রাই নই নিজ হাতে আমাদের সন্তানদেরকেও বিষ খাওয়াচ্ছি।মাছ, ফল,দুধ,সব্জি কিসে নেই ফরমালিন! পয়সা দিয়ে কিনে নিজ সন্তানকে বিষ খাওয়াচ্ছি।কারন আমরা নিরুপায় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে।ইদানিং শুনছি আলু,লালশাক,বাধাকপি,কল্মিশাক ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তরকারির মধ্যে নাকি সিসার অস্তিত্ত পাওয়া গেছে। যা মানব শরীরে প্রবেশ করলে কান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হবে।তাহলে মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে? ঘাস, তৃণলতা খাওয়ার অভ্যাস করবে? কিন্ত তাতেও কি রক্ষা থাকবে? বিষব্যবসায়ীরা তাতেও তো ফরমালিন দেয়া শুরু করবে। এইসব ব্যবসায়ীদের পরিবারকে কি তারা আলাদা করে এই ফরমালিন থেকে বাঁচাতে পারবে? কারন তারাও তো বাজার থেকে কিনে এসব পণ্য গ্রহণ করেন। ইদানিং ''বাচ্চারা খেতে চায় না" কথাটি শুনলে আমি অন্তত খুশি হই।কারন,কি খাবে তারা,যেটা খাবে সেটাতেই ভেজাল, ফরমালিন, তারচেয়ে একবেলা না খেয়েথাকুক,অন্তত একবেলা তো বিষ খেতে হবে না। অথবা নুন ভাত খেয়ে সুস্থ থাকুক।
©somewhere in net ltd.