নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
১. অদ্ভুত মোহ মায়ার জগৎ এটা। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে জেনেও বারবার আঁকড়ে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় রত থাকি। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কেউ আর বেশি ক্ষণ পাশে থাকবে না। একা অন্ধকার ছোট্ট একটা বায়ুরুদ্ধ মাটির ঘরে রেখে আসে। হয়তো মাঝেসাঝে কেউ যেয়ে ঘরটার পাশে ঘুরে আসে কিন্তু ঘরের ভিতরের মানুষটার কি কোন খোঁজ করে? সময়ের কালক্রমে দেহটা মাটির মাঝে বিলীন হয়ে যায়, পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যায় ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বুকে বেড়ানো একটা দেহের অস্তিত্ব। একটা সময় নামটাও যেন স্মৃতির পাতা থেকে মুছে যায়। কিন্তু আত্মার জগতের কি ব্যাখ্যা আছে? নশ্বর আর অবিনশ্বর দুটি বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত মানুষ। নশ্বর অংশ টুকু ক্ষণস্থায়ী জমিনে বিলীন হয়ে যায় আর অবিনশ্বর অংশ চলে যায় তার আপন ঠিকানায়।
২. প্রকৃতি মানুষের সবচেয়ে বড় পাঠশালা। আর এই প্রকৃতির মাঝে মানুষ নামক প্রাণীগুলো বড়ই বিচিত্র। এই প্রজাতির সাথে যত মেলামেশা করা হয়, ততই নিজের ভিতরের সরলতা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে প্রকৃতির মাঝে অন্য সৃষ্টিগুলোর যত বেশি নিকটে যাওয়া যায়, মন ও মস্তিষ্ক যেন তত বেশি উদার আর প্রশস্ত হয়। স্বার্থপর এই পৃথিবীতে স্বার্থ ত্যাগী মানুষ খুব কমই দেখা যায়। বাধ্য হয়ে সহ্য করা আর হাসিমুখে নিজের ইচ্ছে বিসর্জন দেয়া তো আর এক জিনিস নয়। তারপরও দুর্বল চিত্ত সময় অসময়ে বিষন্ন হয়ে ওঠে।
৩.জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মানুষের কাছে নিজেকে জলপাই মনে হয়। জলপাই থেকে যখন তেল প্রস্তুত করা হয় তখন প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু জলপাই তো কিছু বলতে পারে না। এই তেলে তেমন ঘ্রাণও থাকে না যে লোকে বুঝতে পারবে এটা জলপাইয়ের তেল কিন্তু এ তেলের গুণাগুণ অনেক বেশি। জলপাই তার পরিচয় ব্যতিরেকেই অপরের উপকার করে যায়। জলপাই আর মানুষের মধ্যে তফাৎ হচ্ছে মানুষ তার যন্ত্রণাটা প্রকাশ করতে পারে।
৪.একটা মানুষ যখন কারো কাছ কিছু ধার নেয়, অর্থ কিংবা পণ্য, সে শুধু ওই জিনিসটাই ধার নেয় না। বরং কাঙ্ক্ষিত বস্তুর সাথে সে পাওনাদারের ভরসাটুকুও ধার নেয়। হয়তো সে বস্তুগত ধার শোধ দিতে পারলেও সে ভরসাটুকু আর ফেরত দিতে পারে না। আবার এমনও হয়, বস্তুগত শোধ তো ততটুকুই দেয়, যতটুকু নিয়েছিলে কিন্তু ভরসা কয়েকগুন বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে ফেরত দেয়।
৫.মানুষ কতটা অদ্ভুত। আমরা লোকের যে ব্যবহারটা অপছন্দ করি, সেটাই নিজেরা আবার করে বসি। যে আঘাতটা আমরা পাই, সেটাই আবার অন্যকে দেই। নিজেরা ক্ষমার প্রত্যাশা করি কিন্তু অপরের বেলায় কার্পণ্য করি। নিজেরা প্রতিদান কামনা করি কিন্তু অপরকে স্বার্থান্বেষী বলি। এই গোলার্ধের মানুষগুলোর চিন্তা ভাবনাও গোল গোল, সরল সোজা নয়। আবার একদিক দিয়ে সোজাসাপ্টা আচরণ, যা শিখি তাই করি। কি করতে হবে না তা শিখা অনেকটা স্রোতের প্রতিকূলে চলার মত। অনুকরণ করে শিখা অনেক সহজ এবং এটা অতি সহজে মস্তিষ্ক ধারণ করতে পারে। পক্ষান্তরে কোন কিছু দেখে তা না করতে শিখা খুবই কঠিন। বারবার মস্তিষ্ককে স্মরণ করিয়ে দিতে হয় তা না করার শিক্ষাটা। একটা বিপরীতমুখী অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। তারপর একটা সময় অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়।
৬.মানুষ বড়ই স্বার্থপর, সে নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে এবং সবার মাঝে নিজের প্রতিবিম্বই খুঁজে বেড়ায়, বাহ্যিক কিংবা অভ্যন্তরীণ। তাদের সাথেই চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে যাদের মাঝে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পায়। চলনে, বলনে, পোশাকে, স্বভাবে, পছন্দে, অপছন্দে, বয়সে, মননে কোন একটা বিষয়ে যার সাথে মিল খুঁজে পায় তার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
৭.সময়ের কালক্রমে হারিয়ে যাবো চিরতরে। আর এ সুন্দর নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে দেখা হবে না। কথাও হবে না। মাঝেমাঝে আমার স্মৃতিগুলো উঁকি দিবে এর ওর হৃদয়ে। হয়তো আমার স্মৃতিচারণে আমায় নিয়ে দু এক কথা হবে। ধীরে ধীরে খুব কম আমার কথা স্মরণ হবে। তখন আর তেমন একটা কথা তুলবে না, স্মরণ হওয়া মাত্রই শেষ। সে হয়তো জীবন ভাগ করে নেওয়ার জন্য অন্য কাউকে বেছে নেবে। সন্তানরা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে খুব মনে করবে আর বাকী সময়টা নিজেদের জীবন গুছানোয় ব্যস্ত থাকবে। বার্ধক্যের সময় ভাইবোন আর বন্ধু বান্ধবরা প্রায়ই মনে করবে। বার্ধক্যের এ সময়টা খুব কঠিন আর একাকী। তখন শৈশবের কাটানো স্মৃতিগুলোই যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রজন্মের পালাবদলে আর কোন স্মৃতিচারণ নেই, হারিয়ে যাবে লক্ষ কোটি বার ডাকা নামটিও।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: কতগুলো বাস্তব ঘটনাকে ঝটিল করে ব্যাখ্যা করলেন।সব কিছুই প্রকৃতি থেকে আসে আবার প্রকৃতিতেই মিলিয়ে যায়।এই সাধারণ বিষয়টাকে মানুষ হাজারো রকম করে ব্যাখ্যা করে।মনের মাধুরী মিশিয়ে যার যেমন খুশি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: কি করুম কন, প্রকৃতিও ওহন ঝটিল হয়া গেসে। তাই আমার পোস্টও ঝটিল লাগতাসে।
পোস্ট পড়ে প্রথম মন্তব্য করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাবনার দারুন বহিঃপ্রকাশ। প্রতিটা অভিব্যক্তিই জীবনের অংশ । ৬ নাম্বার পয়েন্টটা হয়ত অনেকের সাথে মিলে না। অনেক মিশুক মানুষ আছে যারা যে কারো সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলতে পারে । আমি একদম পারি না। চলন, বলন বা বয়স নয় আমার ক্ষেত্রে মননে এক নাহলে আমি বন্ধুত্ব করতে পারি না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
আরোগ্য বলেছেন: এক একটা ঘটনার মুখোমুখির ফলশ্রুতিতে এই পোস্ট। আমার কিন্তু সত্যি মনে হয়, ৬ নং কথাটা সত্যি। হয়ত মিশুক হওয়ার দরুন যে কারো সাথে মিশতে পারে কিন্তু in the long run সবার সাথে কি বন্ধুত্ব বজায় থাকে? আমারও আপনার মত সমস্যা। এত দীর্ঘ জীবনে আমার কেবল একজনের সাথেই বন্ধুত্ব আছে তাও occasionally কথা হয়, কিন্তু মনেই হয় না মাঝে এত বিরতি যায়।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৬
করুণাধারা বলেছেন: পোস্টে লাইক। চমৎকার প্রকাশ মনের কথার।
মানুষের সাথে জলপাইয়ের উপমা... একেবারে ইউনিক ভাবনা!
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট করার পর আমারও জলপাইয়ের মত অনুভূতি হয়েছে আপা, আমি মানুষ তাই প্রকাশ করে পেরেছি। ১ নং মন্তব্য তার প্রমাণ।
অনেক দিন পর করুণাধারা আপার মন্তব্য পেলাম, সেই সাথে লাইকও । ধন্যবাদ। অবশ্য আমিও অনেক দিন পর পোস্ট করলাম।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চিন্তার খোরাক জোগানো লেখা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৭
আরোগ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
লেখাটা একবার পড়লাম একটু পরেই এসে মন্তব্য করছি
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৮
আরোগ্য বলেছেন: পেয়ে গেছি আপু আপনার বিস্তারিত মন্তব্য।
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
এই অভিব্যক্তিগুলো আমাদের জীবনের সাথে কোন না ক্ষেত্রে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে । মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু কত কিছুই না দেখে যেতে হয় আর সংগ্রাম করে বাঁচতে হয় । মাঝে মাঝে ভাবি কর্মফল / ভাগ্য নির্ধারণ কথাটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি । প্রতিটি ব্যাখ্যাই আমার ভালো লেগেছে ।
অনেকদিন পর তোমার লেখা পড়ে ভালো লাগলো ।
ভালো থেকো ও অনেক শুভকামনা রইলো ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৬
আরোগ্য বলেছেন: ঠিক এক বছর পূর্বে আমার এক মুরুব্বি আত্মীয় মারা যান, পরের মাসে চার সন্তান রেখে এক ভাবী মারা যায়, যে দশ বছর আগে বিধবা হয়েছিল। এর একমাস পর বাসায় খুব জমকালো আয়োজনে এক আত্মীয়র বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। জাগতিক জীবনে মানুষ এত ডুবে গেছে যে অদম্য কঠিন বাস্তব থেকে সবসময় মুখ লুকিয়ে রাখে।
অনেক দিন পর মু্ক্তাআপুকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো। আগেই বলেছি কিছু মানুষের মন্তব্য না পেলে পোস্ট নিষ্প্রাণ লাগে। পোস্টে লাইক ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। সামনের মাসেও পোস্ট দিবো ইনশাআল্লাহ। দাওয়াত অগ্রিম।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতিটা বিষয়েরই অসাধারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে। কোটেবল কোট অনেকগুলো, তবে, যেটা সবচাইতে ভালো লাগলো -
প্রকৃতি মানুষের সবচেয়ে বড় পাঠশালা। আর এই প্রকৃতির মাঝে মানুষ নামক প্রাণীগুলো বড়ই বিচিত্র। এই প্রজাতির সাথে যত মেলামেশা করা হয়, ততই নিজের ভিতরের সরলতা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১
আরোগ্য বলেছেন: আপনি তো মশাই দুধের স্বর থেকে মাখন তুলেছেন। তবে এটাই নির্মম সত্য।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আসার জন্য। আপনার মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার কথাগুলো অত্যন্ত সুন্দর আর সাবলীল। বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ। আমি জানি আমি ভুল, তবুও কেন জানি মনে হয় আপনার বয়স সম্ভবত শতকের কোঠায়। সে যাইহোক, আপনার লিখার জন্য ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৫
আরোগ্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইন পড়ে খুব অনুপ্রেরণা পেলাম। সুন্দর এবং সাবলীল শব্দ দুটো খুব ভালো লাগলো।
এবার দ্বিতীয় লাইন পড়ে সত্যি হেসে দিলাম, তবে আপনি পুরোপুরি ভুল না, বয়স আমার শতকের কৌঠায় না হলেও, শত বছরের বেশি অভিজ্ঞতা আছে। আমি আমার নানুর সংস্পর্শে বড় হয়েছি এবং এখনো তার সাহচর্যে থাকা হয়। তার বয়স ৯৫+। আমার বয়স যোগ করে শতাধিক কিন্তু হয়ে যায়।
এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আমিও আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আপনার সদা আরোগ্য কামনা করি।
১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্য সদাই সুন্দর। সত্য বরাবরই তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবেই। আপনার নানুর সংস্পর্শে বড় হয়েছেন তাই তার কাছ থেকেও সত্যটাই শিখেছেন। নানুর প্রতি রইল অনেক অনেক আদর আর ভালোবাসা। নানু-কে আগলে রাখুন।
নানা-নানু, দাদা-দাদী, বাবা-চাচা অনেককেই হারিয়েছি বিগত দেড় দশকে। আপনার নানু ভাইয়ের কথা পড়ে আমারও তাদের কথা মনে পড়ছে। তাদের আদর, মমতা আর তাদের অনুপস্থিতি অনুভব করছি ভীষণভাবে। বিশেষ করে বট-বৃক্ষের মতো ছায়া দেয়া মানুষ আমার বাবার অভাব এই জীবনে ভোলা সম্ভব নয়। প্রবাসে অবস্থান করার কারনে বেঁচে থাকার পরেও বাবার শাসন আর আদর দুটো থেকেই বঞ্চিত হয়েছি এক যুগ ধরে। দু'হাত তুলে তাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, ওপারে তারা যেন অনেক অনেক ভালো থাকেন। কোনএকদিন আবারও দেখা হবে সে আশায়-ই থাকছি। ধন্যবাদ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
আরোগ্য বলেছেন: হয়তো বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি বিধায় সবার এতো মনে ধরেছে। আর ঘুরে ফিরে সবার জীবনের সত্য এমনই। নানুর প্রতি আপনার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সাদরে গ্রহণ করলাম।
আপনার বাবার কথা আমার মনে ছিল, আপনি পোস্টে লিখেছিলেন। নানুর কথা উল্লেখ করার সময় মনে হচ্ছিল, হয়তো আপনার বাবার কথা মনে পড়ে যাবে, তাই হল। আমার বাবা গত হয়েছেন বাইশ বছর আগে। যারা হারিয়েছেন, এই ক্ষত কেবল তারাই অনুভব করতে পারে। মানুষ যত বয়স্ক আর শক্ত হউক না কেন, এই বটবৃক্ষের অভার ঠিকই বুঝতে পারে। আল্লাহ সবার জীবিত মা বাবাকে সুস্থ জীবন দান করুক এবং যারা গত হয়েছেন তাদেরকে পরপারে চিরন্তন সুখের আবাস দান করুন। আমীন!!!
১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: ৭ নম্বরটি ভয় ধরানো আবার এটাই বাস্তব আরোগ্য । প্রতিটি পয়েন্টে ভাবনার সৃষ্টি করে ।
অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: আসলেই আপু খুব কাছ থেকে এ ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করেছি এবং করছি।
অনেক ধন্যবাদ লাইক ও মন্তব্য করার জন্য আপু।
১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সহমত।
একদিন স্মৃতিতেও ধুলো জমে তার পর বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। ++++
অনেক দিন পর সামুতে আপনার পোস্ট পড়ে ভাললাগলো। ভাল থাকুন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
আরোগ্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম মাইদুল ভাই।
ভাবলেই কেমন লাগে আজ আছি কাল নেই, তারপর স্মৃতিতেও নেই।
আসলে অনেক দেরি হলো পোস্ট দিতে। একটা পোস্ট সেই সেপ্টেম্বর থেকে রেডি করেছি, ইনশাআল্লাহ সামনের মাসে দিবো। ইদানীং ব্লগে আসলে মাথা ধরে যায় তাই ড্রাফট আর নোটস থেকে নিয়ে তড়িঘড়ি একটা পোস্ট করলাম যাতে একটু ফ্রেশ অনুভূতি পাই। আপনাদের ভালোলাগা আমার প্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখায় আপনার অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
আরোগ্য বলেছেন: আপনার ভিন্ন রকম মন্তব্য ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! ভাবনার সাবলীল প্রকাশ।
ভালোলাগা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা। সাবলীল কথাটা আমার কাছে বেশ ভারী মনে হয়, যে পোস্টটা রেডি করতেছি সেটাতে এই শব্দটা খুব ব্যবহার করা হয়েছে। আমার পোস্ট আপনাদের কাছে সাবলীল লাগায় ভালোই অনুভব হচ্ছে।
১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যুগে যুগে আমরা অনেক মনিষী গো বাণী পাইছি। সেইসব বাণী হুইনা চোরে সাধু হইছে; ডাকাইতেরা ডাকাতী ছাড়ছে; নেশাখোর আর হতাশ বান্দা-বান্দীরা আলোর দেখা পাইছে আর আমার মতোন কুমীরমার্কা আইলসারা আবার কাম করনের দিশা (কর্ম-উদ্দীপনা) খুইজা পাইছে। এগো মইদ্দে আমার অন্যতম পছন্দের হইলো ডেল কার্নেগী, ইশপ, ডাঃ লু্ৎফর রহমান, খনা প্রমুখ। অহনে আপনের নামও যুক্ত হইলো।
আচ্ছা, মজা বাদ। আসলেই চমৎকার হইছে। না, চমৎকার কথাটা ঠিক জুইতের হইলো না..........চমৎকারের লগে লগে ইউনিকও হইছে।
কিপ ইট আপ!!!!
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৩
আরোগ্য বলেছেন: ছোটকালে জন্মদিনে বেলুন ফুলায়া বড় কইরা ফাট কইরা অনেক সময় ফুইটা গেত। আপনের মনীষী গো লগে আমার তুলনা হুইনা আমিও ভেটকী মারসিলাম, পরে যহন দেখলাম মজা করসেন মনে অইলো পাম দিয়া ফুটা করসেন। ।
কি আর ইউনিক, কি আর কিপ ইট আপ? জীবনে একেক সমে একেক ঘটনা ফেস কইরা একেক বার লিখ্যা রাখসিলাম । কালকা কি বুইঝা কতগুলি একখানে কইরা পোস্ট কইরা দিসি।
আপনের যে পোস্টের কথা কইসি ওইটা এইটা না, এতো পিচপিরিঙ্গ হইবো না। এটার লেইগা ওইটা খাতিরজমা দিমু। মন দিয়া লেখলে লাইক বেশি উঠে, ব্রেইন দিয়া লেখলে.... আজকা কতো লাইক পাইসি। ব্লগে ইনটেলেকচুয়াল পাবলিক কম।
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
এই পোষ্টে লেখা কথাগুলো এতটাই সত্যভাষণ আর নিজের সাথে রিলেট করা যায়, তাই এখানে আর নতুন করে কিছু বলার থাকে না, সহমত পোষণ করা ছাড়া।
আবার পরে আসবো, আরো কিছু কথা নিয়ে।
এখন যাবার বেলা।
থ্যাংকস আরোগ্য।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
আরোগ্য বলেছেন: এ জন্য ব্লগটা আমার এত প্রিয়। এখানে অনেকের সাথে ভাবনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সামু ছাড়া আমি অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না তাই ঘুরে ফিরে এখানেই আসি।
মিরোরডডলের পরবর্তী মন্তব্য পেয়ে গেছি। ধন্যবাদ এ পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
কিন্তু আত্মার জগতের কি ব্যাখ্যা আছে?
সেটা জানার যদি অপশন থাকতো ভালো হতো।
মনের মাঝে কত প্রশ্ন আসে, ঠিক মৃত্যুর সময় কি মনে হয়!
মৃত্যুর অনুভুতি কেমন?
মৃত্যুর পর আত্মার জগৎ থাকলে সেটা কেমন।
কেউতো মৃত্যুর পর এসে বলে যাচ্ছে না, তাই জানা হয়না।
আবার সেটা বোঝার জন্য নিজে মরবো সেটাও চাই না।
বেঁচে থেকেই সেই জগত সম্পর্কে জানতে চাই, কিন্তু জানাবে কে!!!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
আরোগ্য বলেছেন: শুনেছি আত্মার জগতে যাদের মাঝে বন্ধুত্ব ছিল, পৃথিবীতে আগমনের পরও তারা সাক্ষাৎ পেলে খুব সহজে একে অপরের সাথে মিশে যায়। আমার আত্মা মনে হয় খুব কম মানুষের সাথে মিশতো তাই আমার বন্ধু বান্ধব তেমন নেই বললেই চলে, দু একজন ধরা যায় । এ তো পূর্বের জগৎ আর ইহজগতের কথা। পরবর্তী জগতের বিষয়টা না হয় পুরোপুরি স্রষ্টার উপর ছেড়ে দেই।
১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সামু ছাড়া আমি অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না তাই ঘুরে ফিরে এখানেই আসি।
সেইম হিয়ার।
আমার আত্মা মনে হয় খুব কম মানুষের সাথে মিশতো তাই আমার বন্ধু বান্ধব তেমন নেই বললেই চলে, দু একজন ধরা যায়
আমার বন্ধু আছে সিলেকটিভ কিছু, যাদের সাথে আমি কম্ফোর্টেবল।
আজ যেমন তিন বন্ধু আড্ডা দিলাম। আমার এক বান্ধবীকে আমারই আরেক বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।
দুজনেই সিঙ্গেল, দুজনের মাঝেই একাকিত্ব কাজ করে।
I want to see both of them happy, let's see how it goes.
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
আরোগ্য বলেছেন: মিরোরডডলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি দুজনের মধ্যে similarity থাকলে cope করতে সহজ হয়।
I wish them a comfortable journey ahead.
ইদানীং খুব ব্যস্ত প্রহর যাচ্ছে তাই মন্তব্য করতে দেরি হল। তার উপর আবার সামুর নাজেহাল অবস্থা। না নিজের পেইজের ফুল ভার্সন দেখা যায় আর না সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘর।
পুনরায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩
আরোগ্য বলেছেন: ছাইছাত্তু!!! মেজাজটা গরম হইতাসে
এক তো এতদিন বাদে পোস্ট দিসি, তাও দেওয়ার সাথে সাথে মোবাইল ভার্সন আয়া পরসে। Opera, UC, chrome সব ট্রাই করলাম, যেই লাউ সেই কদু ।