নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
পর্দাঃ
ইসলামের অন্যতম বহুল বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে নারীর পর্দা, যদিও নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা করা ফরজ তবুও নারীর পর্দা নিয়ে তথাকথিত সুশীল সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠে এবং পর্দা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকার জন্য অনেক মুসলিম ভাই-বোনেরাও অজ্ঞতাবশত নাফরমানি কথা বলে কঠিন গুনাহের অংশীদার হন।
"وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍۢ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ ۗ وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَـٰلًۭا مُّبِينًۭا ٣٦
আর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ের ফায়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোনো (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়। আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।"(সুরা আহযাব:৩৬)
সাধারণ অর্থে পর্দা এমন কিছুকে বুঝায় যা দুটি বস্তুর মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি করে অর্থাৎ পর্দার এক পাশ থেকে অন্যপাশে বিদ্যমান কোন কিছু দৃষ্টিগোচরে আসে না। ঘরে আমরা দরজা জানালায় যে পর্দা ব্যবহার করি তা মূলত রোদের আলো আড়াল করার জন্য এবং ঘরের ভিতরে লোকজনের দৃষ্টির অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য দেয়া হয়। যে কাপড়ের মাধ্যমে সহজেই আলো ও দৃষ্টি চলাচল করে তেমন কাপড় কেউই পর্দা হিসেবে ব্যবহার করে না। একই ভাবে মশা মাছি জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে খাবারের জিনিসও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, আবার অর্থ সম্পদ, মূল্যবান গহনা, দলিলপত্র কেউ শোকেসে সাজিয়ে রাখে না বরং লোকচক্ষুর আড়ালে যত্নসহকারে গুছিয়ে রাখে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে তিন ফুট দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার করা ইত্যাদি নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল যেগুলো সংক্রমণ আর সুস্থতার মাঝে এক রকম পর্দা স্বরূপ। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পর্দা হচ্ছে শৈশব থেকে কবরস্থ পর্যন্ত এমন এক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা মুমিনদের সব ধরনের অশ্লীলতা থেকে মুক্ত রাখে এবং পারিবারিক সামাজিক ও নৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখে।
আল কোরআানে পর্দার আহকাম
নর-নারীর সাবালকত্ব অর্জন করার সাথে সাথেই পর্দা মেনে চলা ফরজ হয়ে যায়। শৈশব থেকেই পরিবারের ভিতর পর্দাচর্চা শুরু করতে হয়। কিন্তু পর্দা বলতে কেবল পোশাকের আবরণ বুঝায় না কতিপয় শিষ্টাচারও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَدْخُلُوا۟ بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا۟ وَتُسَلِّمُوا۟ عَلَىٰٓ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌۭ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ ٢٧
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর। (সুরা নুর:২৭)
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِيَسْتَـْٔذِنكُمُ ٱلَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُكُمْ وَٱلَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا۟ ٱلْحُلُمَ مِنكُمْ ثَلَـٰثَ مَرَّٰتٍۢ ۚ مِّن قَبْلِ صَلَوٰةِ ٱلْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ ٱلظَّهِيرَةِ وَمِنۢ بَعْدِ صَلَوٰةِ ٱلْعِشَآءِ ۚ ثَلَـٰثُ عَوْرَٰتٍۢ لَّكُمْ ۚ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌۢ بَعْدَهُنَّ ۚ طَوَّٰفُونَ عَلَيْكُم بَعْضُكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍۢ ۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْـَٔايَـٰتِ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌۭ ٥٨
হে মুমিনগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময় অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের সালাতের আগে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোষাক খুলে রাখ তখন এবং ‘ইশার সালাতের পর; এ তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়। এ তিন সময় ছাড়া (অন্য সময় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে) তোমাদের এবং তাদের কোনো দোষ নেই । তোমাদের এককে অন্যের কাছে তো যেতেই হয়। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বিবৃত করেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নুর :৫৮)
এমনকি আল্লাহ তায়ালা এমন কথাবার্তা বলা বা কোন প্রকার মন্দ ধারণা করা থেকে মুমিনদের নিষেধ করেছেন যার দরুণ তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয় এবং মর্যাদাহানি ঘটে। অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি এড়ানোর জন্য কোন কথা শোনামাত্র প্রচার করাও ইসলামে নিষেধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
۞لَا یُحِبُّ اللّٰہُ الۡجَہۡرَ بِالسُّوۡٓءِ مِنَ الۡقَوۡلِ اِلَّا مَنۡ ظُلِمَ ؕ وَکَانَ اللّٰہُ سَمِیۡعًا عَلِیۡمًا
প্রকাশ্যে (কারও) দোষ চর্চাকে আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে কারও প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে আলাদা কথা। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন। (সুরা আন নিসা - ১৪৮)
إِذْ تَلَقَّوْنَهُۥ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِۦ عِلْمٌۭ وَتَحْسَبُونَهُۥ هَيِّنًۭا وَهُوَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمٌۭ
যখন এটা তোমরা তোমাদের মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং তোমরা তোমাদের মুখ দিয়ে এমন কথা বলছিলে, যাতে তোমাদের কোন জ্ঞান ছিল না; আর তোমরা এটাকে খুবই তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর নিকট খুবই গুরুতর। (সুরা নুর:১৫)
পবিত্র কোরআনে সাবালেক মুমিন পুরুষ ও নারীদের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাখার কঠোর নির্দেশ এসেছে যাতে করে মানুষের পক্ষে চরিত্র সংরক্ষণ করা সহজ হয়, এমন কোন কিছুতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যাবে না যার ফলশ্রুতিতে চরিত্র সংরক্ষণ কঠিন হয়ে যায় এবং আরেকজনের গোপনীয়তা বা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয় কিংবা সম্মান নষ্ট হয়।
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا۟ مِنْ أَبْصَـٰرِهِمْ وَيَحْفَظُوا۟ فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا يَصْنَعُونَ ٣٠
মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। (সুরা নূর:৩০)
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَـٰتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَـٰرِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ ءَابَآئِهِنَّ أَوْ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَآئِهِنَّ أَوْ أَبْنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ إِخْوَٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوْ نِسَآئِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّـٰبِعِينَ غَيْرِ أُو۟لِى ٱلْإِرْبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفْلِ ٱلَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا۟ عَلَىٰ عَوْرَٰتِ ٱلنِّسَآءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ٣١
আর মুমিন নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নুর:৩১)
উল্লেখিত দুটি আয়াতে মুমিন নারী পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত করার ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে আরো কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলো অনুধাবনের জন্য আয়াতে উল্লেখিত কতিপয় শব্দ সম্পর্কে একটু ভালোমত জানা প্রয়োজন।
زينة
যিনাত:- শোভা, সৌন্দর্য, রূপ, সাজসজ্জা, অলংকার ইত্যাদি।
خمار
খিমার:- ঘোমটা, ওড়না, মাথায় জড়ানোর কাপড়, অর্থাৎ খিমার এক প্রকার ওড়না যা মাথা, ঘাড় ও কাঁধ ঢেকে রাখে।
جيب
জাইব:- পকেট, জামার সামনের ফোকর, বক্ষদেশ বা বগল।
আয়াতটির ১ম অংশে বলা হয়েছে দৃষ্টি সংবরণের কথা, ২য় অংশে লজ্জাস্থান হেফাজতের কথা, ৩য় অংশে বলা হয়েছে নারীরা যেন নিজেদের যিনাত প্রকাশ না করে যা অনিচ্ছায় প্রকাশ পেয়ে যায় তা ভিন্ন কথা, ৪র্থ অংশে বলা হয়েছে তারা যেন নিজেদের পরিধানকৃত খিমার দ্বারা বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে, ৫ম অংশে তাদের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে যাদের সামনে যিনাত প্রকাশ করার অনুমতি আছে, ৬ষ্ঠ অংশে লুকায়িত যিনাতের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। আয়াতের শেষে নারীপুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আল্লাহর নিকট তওবা (ফিরে আসা/ প্রত্যাবর্তন করা) করতে বলা হয়েছে যেন তারা সফলতা অর্জন করতে পারে।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা: বর্ণনা করেন, এই আয়াত নাযিল হলে মুহাজির মহিলারা তাদের চাদরের এক পার্শ্ব ছিড়ে তা দিয়ে ঘোমটা দিয়ে নিল। (আবু দাউদ :৪১০২)
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّأَزْوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَـٰبِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًۭا رَّحِيمًۭا ٥٩
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবে*র কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আহযাব:৫৯)
* জিলবাব হচ্ছে এমন পোশাক যা পুরো শরীরকে আচ্ছাদিত করে।
জিলবাবের আকার-আকৃতি সম্পর্কে ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনঃ এই চাদর খিমারের উপরে পরিধান করা হয়। [ইবনে কাসীর] অর্থাৎ সুরা নুরে উল্লেখিত খিমার গৃহ অবস্থানরত অবস্থায় এবং বাইরে গমনাগমনের জন্য সেই খিমারের উপর অতিরিক্ত জিলবাব পরিধান করা অপরিহার্য। যেমনটি আমাদের সমাজের পর্দাশীল নারীরা বোরকা স্বরুপ ব্যবহার করে থাকেন।
উম্মুল মুমিনীন উম্ম সালামাহ্ বর্ণনা করেন, যখন এই আয়াত নাযিল হয়েছে, আনসার মহিলারা এমনভাবে বের হল যেন তাদের মাথার উপর কাপড়ের তৈরী কাকের সমারোহ। ( এখানে জিলবাব হিসেবে কালো কাপড় ব্যবহারের একটি ঈঙ্গিত পাওয়া যায়) ( আবু দাউদ :৪১০৩)
وَٱلۡقَوَٰعِدُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِي لَا يَرۡجُونَ نِكَاحٗا فَلَيۡسَ عَلَيۡهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعۡنَ ثِيَابَهُنَّ غَيۡرَ مُتَبَرِّجَٰتِۢ بِزِينَةٖۖ وَأَن يَسۡتَعۡفِفۡنَ خَيۡرٞ لَّهُنَّۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٦٠﴾ [النور: ٦٠]
“আর এমন বৃদ্ধ নারীগণ যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য দোষ নেই যদি তারা তাদের শোভা প্রদর্শন না করে তাদের (বাহ্যিক অতিরিক্ত চাদর উড়না) বস্ত্র খুলে রাখে, তবে সংযমী হয়ে বিরত থাকলে তা তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬০]
সুরা আহযাব ও সুরা নুরের কতিপয় আয়াত সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, নারীর সৌন্দর্য কেবল গৃহের অভ্যন্তরের জন্য যা সকলের সামনে প্রদর্শন করার জন্য নয়। কেবলমাত্র উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের নিকট তা প্রকাশ করার অনুমতি আছে। এতদ্ব্যতিত নিজের সাজসজ্জা সৌন্দর্য অন্যের নিকট প্রকাশ করা কোন ঈমানদার নারীর বৈশিষ্ট্য নয়। মূলত বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিতে দেখা যায়, পতিতাবৃত্তিতে যে সব নারী জড়িত তারাই সবসময় নিজের সৌন্দর্য প্রদর্শন করার মাধ্যমে খদ্দের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। যদিও নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার নিয়ম একইরকম তদুপরি নারীদের ক্ষেত্রে তাদের সৌন্দর্য আড়াল করার জন্য বিশেষ করে আদেশ করা হয়েছে। কারণ -
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّہَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَالۡبَنِیۡنَ وَالۡقَنَاطِیۡرِ الۡمُقَنۡطَرَۃِ مِنَ الذَّہَبِ وَالۡفِضَّۃِ وَالۡخَیۡلِ الۡمُسَوَّمَۃِ وَالۡاَنۡعَامِ وَالۡحَرۡثِ ؕ ذٰلِکَ مَتَاعُ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَاللّٰہُ عِنۡدَہٗ حُسۡنُ الۡمَاٰبِ
মানুষের জন্য ওই সকল বস্তুর আসক্তিকে মনোরম করা হয়েছে, যা তার প্রবৃত্তির চাহিদা মোতাবেক অর্থাৎ নারী, সন্তান, রাশিকৃত সোনা-রুপা, চিহ্নিত অশ্বরাজি, চতুষ্পদ জন্তু ও ক্ষেত-খামার। এসব ইহ-জীবনের ভোগ-সামগ্রী। (কিন্তু) স্থায়ী পরিণামের সৌন্দর্য কেবল আল্লাহরই কাছে। (আলে ইমরান-১৪)
উল্লেখিত আয়াতে মানুষের আসক্তির বিষয়গুলো খুব স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলোর মাঝে প্রথমেই নারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ সৃষ্টিগতভাবেই নারীর প্রতি আকর্ষণ বা আগ্রহকে মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে মানুষের আগ্রহের বিষয় থাকে বিয়ের কনে দেখতে কেমন এবং কনের আগ্রহ থাকে নিজের সৌন্দর্যের বিষয়ে, যে বিষয়গুলো বরের ক্ষেত্রে তেমন পরিলক্ষিত হয় না। নারীকে যেমন সৌন্দর্য্যমণ্ডিত করা হয়েছে তেমনি যে কোন কিছুর সৌন্দর্য্য ধরে রাখা এবং তা বর্ধনের ক্ষুধাও নারীর মাঝে কমবেশি বিদ্যমান, নিজের ব্যক্তিগত সৌন্দর্যচর্চার কথা বলাই বাহুল্য। আর পুরুষজাতির মাঝে আছে সৌন্দর্য্য দর্শনের আগ্রহ ও তার প্রশংসা বা মূল্যায়ন করার প্রতিভা। যার দরুণ তারা এক প্রাম্ত থেকে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বিশ্বের আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। আর এই পৃথিবী ও নরনারী সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং বলেছেন, যা কিছু সুশোভিত করা হয়েছে তার মধ্যে নারীই সর্বাধিক সুন্দর সৃষ্টি এবং তার প্রতি আসক্তিও সহজাত প্রবৃত্তির অংশ। আর যা কিছু মূল্যবান এবং একই সাথে লোকের আকর্ষণও বিদ্যমান তা মানুষ লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রাখে।
পর্দা বিষয়ক হাদিস
# সন্তান দশ বছর হলে তাদের পৃথক বিছানার ব্যবস্থা করতে হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস সংখ্যা ৪৯৫)
# দরজার ডান অথবা বাম দিকে সরে দাঁড়াও। কেননা চোখের দৃষ্টির কারণেই অনুমতি নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।[সুনানে আবু দাউদ :৫১৭৪]
# কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সাথে একাকী না হয় এবং মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে।’’ (মিশকাত মাশাবিহ২৫১৩)
# তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা অনুপস্থিত আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়। (সহীহ তিরমিজি ১১৭২)
# প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায় তাহলে সে এক ব্যভিচারিণী। (জামে তিরমিযী,,২৭৮৬নং)
# হাম্উ হচ্ছে মৃত্যু। ( হাম্উ হচ্ছে স্বামীর ভাই ও স্বামীর অনুরূপ আত্মীয় )। (সহীহ মুসলিম ২১৭২)
# কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম মানুষ হবে ওই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং স্ত্রীও তার সঙ্গে মিলিত হয়, অতঃপর সে তার স্ত্রীর গোপনীয়তা প্রচার করে দেয়। (সহিহ মুসলিম : ১৪৩৭)
# যে সকল নারী পোশাক পড়েও বিবস্ত্র , অপরকে আকৃষ্ট করে ও নিজেও আকৃষ্ট হয়; মাথা উটের হেলানো কুঁজের ন্যায়, এরা জান্নাতে যাবে না এবং জান্নাতের খুশবুও পাবে না। (মুসলিম : ২১২৮)
# রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সব পুরুষের উপর লানত করেছেন, যারা নারীদের পোশাক পড়ে আর সেই সব নারীর উপরও লানত করেছেন, যারা পুরুষের পোশাক পড়ে । (রিয়াদুস সালেহীন :১৬৩২)
# আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ ঢেকে রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম ঢেকে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল।(রিয়াদুস সালেহীন ২৪১)
# যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে ঢেকে রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ঢেকে রাখে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২৫৪৪)
# দাইয়ুসের জন্য জান্নাত হারাম, যে নিজ পরিবারের নারীদের নোংরামি সমর্থন / অনুমোদন করে। (মিশকাত আল মাসাবিহ :৩৬৫৫)
অন্যান্য ধর্মে নারীর পর্দা:
বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলোতে নারীদের পোশাকের ব্যাপার রক্ষণশীল নীতি রয়েছে। খোলামেলা ও আঁটসাঁট পোশাক নারীদের জন্য অনুমোদিত নয়।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে আছে, "হে নারী! নিচে দেখো, উপরে দেখিওনা, দুই পা একত্র করে রাখো, তোমার কনুই আদি যেন কেহ না দেখে, নারী হয়েও তুমি পূজিতা হবে।" (ঋগ্বেদ :৮/৩৩/১৯)
খ্রীষ্ট ধর্মগ্রণ্থে আছে, "সেই প্রকারে নারীগণও সলজ্জ ও সুবুদ্ধিভাবে পরিপাটি বেশে আপনাদিগকে ভূষিত করুক; বেণীবদ্ধ কেশপাশে ও স্বর্ণ বা মুক্তা বা বহুমূল্য পরিচ্ছদ দ্বারা নয়।" (পবিত্র বাইবেল, ১তীমথিয় ২:৯)
ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা হয়েছে 'আর রেবেকা যখন ইসহাককে দেখিলেন, তখন উট হতে নেমে দাসকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের সাথে দেখা করতে যে আসতেছেন, ঐ পুরুষ কে? দাস বললো, উনি আমার কর্তা। তখন রেবেকা ঘোমটা দিয়ে নিজেকে ঢেকে নিলেন।' [আদি পুস্তক ২৪:৬৪, ৬৫ পদ]
হালাচা (ইহুদি আইন) অনুসারে, মহিলাদের অবশ্যই বিয়ের পর চুল ঢেকে রাখতে হবে, তা টুপি, পরচুলা বা স্কার্ফ দিয়েই হোক না কেন। চুল উন্মুক্ত করা অশালীনতা হিসাবে বিবেচিত হয়।
লম্বা স্কার্ট, সাধারণত হাঁটুর নিচে, এবং লম্বা হাতা একটি ধ্রুবক। উজ্জ্বল বা আকর্ষণীয় রঙের ব্যবহারও সীমাবদ্ধ, কারণ এটি বিবেচনা করা হয় যে তারা অযথা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। (bn.cultura 10.com)
আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসেও নারীকে আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত দেখা যায়। বিবাহের কনের ঘোমটা নাক অবধি টেনে রাখতো। লোকচক্ষুর আড়াল করে পালকিতে করে বিদায় হত। কেবল পোশাক নয়, চলনবলন, আচার-আচরণেও লজ্জাশীলতা বিদ্যমান ছিলো। বাড়িতে বহিরাগত পুরুষের আগমনে মহিলারা অন্দরমহলে চলে যেত। বাসা বাড়ির পুরুষেরা বাড়িতে প্রবেশের সময় গলায় খাঁকারি দিয়ে আসতো যাতে ভিতরে নারীরা সতর্ক হয়ে যায়। সম্ভ্রান্ত মহিলারা কাপড়ে ঘেরা ঘোড়ার গাড়িতে যাতায়াত করতো। অপরিচিত পুরুষের সাথে কথা বলা তো দুরের কথা, তাদের সামনে নিজেদের কণ্ঠকেও নিচু রাখতো।
নারীদেহের পর্দার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
শরীয়তে নারীর পর্দার বিষয়গুলো ভালোভাবে উপলব্ধি করলে বুঝা যায়, নারী সবসময় তার দেহকে লোকচক্ষু থেকে আড়ালে রাখবে, মাথার চুল ও বক্ষদেশ ভালোমত আবৃত করে রাখবে, মাহরাম পুরুষ, ক্রীতদাসী ও নাবালক শিশু ব্যতিত নিজের সাজসজ্জা উম্মুক্ত করবে না, এমনকি নিজস্ব মহিলাদের ছাড়া যে কোন মহিলার সামনেও নিজেকে প্রদর্শন করবে না। বাসার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই অতিরিক্ত বড় চাদর মুড়ি দিতে হবে, এবং সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী বর্জন করতে হবে, এমন কোন কিছু পরিধান করা যাবে না যার শব্দে অন্য পুরুষের মনোযোগ বিঘ্ন ঘটে। আধুনিক আদর্শের শিক্ষিত যুক্তিবাদী সমাজ কোন কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া মানতে চায় না, তাই নিচে নারীর পর্দা করার উপকারিতা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হলো :
dermatology associates এর গবেষণা মতে, নারীদের তুলনায় পুরুষের চামড়ার পুরুত্ব ২০-২৫% বেশি, গঠন প্রক্রিয়া বেশি মজবুত। পুরুষদের ত্বকে sebum oil এর উৎপাদন মহিলাদের তুলনায় দ্বিগুণ। পুরুষের ত্বকে কোলাজেন এর পরিমানও তুলনামূলক বেশি থাকে। পুরুষের ত্বকের কোলাজেন ধ্রুবকহারে কমে কিন্তু মহিলাদের ত্বকের কোলাজেন মেনোপজের পর দ্রুত হারে কমে। চামড়ার পুরুত্ব ও ত্বকের তৈলাক্ত কম হওয়ায় নারীদেহে কোলাজেন হ্রাসের প্রভাব প্রকট হয়ে থাকে। পুরুষের ত্বকে উচ্চতর কোলাজেন ঘনত্বের মানে হল যে এটি মহিলাদের ত্বকের তুলনায় ধীরে ধীরে বয়স্ক হয়। প্রকৃতপক্ষে, একজন মহিলার ত্বক একই বয়সের একজন পুরুষের চেয়ে প্রায় ১৫ বছর বয়স্ক । যেহেতু মহিলারা পুরুষদের তুলনায় কম সূর্যালোক যায় এবং সাধারণত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন , তাই "১৫ বছর" ত্বকের বয়সের পার্থক্য সহজেই লক্ষ্য করা যায় না। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি একজন মানুষের ত্বকে বছরের বার্ধক্য যোগ করতে পারে এবং ধীরে ধীরে অন্তর্নিহিত বার্ধক্যের বয়স বহুগুণ ছাপিয়ে যায়। যেহেতু নারীদের চামড়া পাতলা তাই সূর্যের আলো অতি সহজে তাদের চামড়া ভেদ করে কোলাজেন নষ্ট করতে পারে যার ফলে ত্বকে বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ তরান্বিত হয়।
American Academy of dermatology অনুসারে , মেঘলা দিনেও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির ৮০% পর্যন্ত ত্বকে প্রবেশ করতে পারে এবং UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে ।
Huntsman Cancer Institute এর বিশেষজ্ঞরা যতটা সম্ভব সূর্যকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে যখন সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী হয় তখন সূর্যালোকে কম বের হওয়া উচিত। যদি এটি সম্ভব না হয় তাহলে পোশাক দিয়ে ত্বক ঢেকে রাখতে হবে। আসলে, পোশাক হল সূর্য থেকে সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকরী রূপ। সূর্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এই সাতটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোশাক নির্বাচন করা উচিত :
১. শক্তভাবে বোনা ফাইবার ২. গাঢ় রঙের কাপড়, যেমন কালো বা নীল, খয়েরী, অর্থাৎ দুর থেকে দেখে কালো মনে হয় এমন কালার ৩. সিন্থেটিক ফাইবার ৪. শুকনো ফাইবার ৫. ভালো পোশাক, দীর্ঘ দিনের পুরনো বা বিবর্ণ নয় ৬. পুরো শরীর আবৃত করে এমন পোশাক ৭. UPF রেটিং সংযুক্ত পোশাক, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
এছাড়াও পোশাকের পাশাপাশি সূর্যালোক থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পাঁচটি পরামর্শ অনুসরণের কথা বলা হয়েছে :
১. মুখ ঢেকে রাখা ২. সূর্যালোক থেকে চােখকে সুরক্ষা দেয়া ৩. ছায়ায় থাকার চেষ্টা করা ৪. দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা ৫. ট্যানিং বেড ও সানল্যাম্প পরিহার করা।
এ থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, একজন পর্দাশীল নারী তার আপাদমস্তক কালো মোটা কাপড় দিয়ে আবৃত করার ফলে নিজের অজান্তেই প্রকৃতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাচ্ছে এবং কোন প্রকার রূপচর্চা ব্যতিতই নিজের ত্বকের তারূণ্যকে ধরে রাখতে পারছে।
Fragnance lovers এর একটি নিবন্ধ মোতাবেক, নারীরা সুগন্ধি পরলে পুরুষরা তা লক্ষ্য করে। অনেক পুরুষ এই বিষয়টি উপভোগ করেন যখন মহিলারা হালকা এবং সতেজ সুগন্ধি পরে। সুগন্ধি পরা কোন নারী যখন পুরুষের নিকট দিয়ে যায় তখন সেই ঘ্রাণ পুরুষের মাঝে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে পারফিউমের ঘ্রাণ দ্বারা অভিভূত হয়ে পুরুষদের মনোযোগ নষ্ট হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, পারফিউম পুরুষদের নারীদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে - পুরুষরা সেইসব নারীদেরকে অধিক আকর্ষণীয় বলছেন যারা পারফিউম পরেন !
maison21g নিবন্ধের তথ্য মোতাবেক,
সুগন্ধি আমাদের আবেগ এবং মেজাজের উপর একটি অনস্বীকার্য প্রভাব রাখে. এগুলো আমাদেরকে পুরনো স্মৃতিতে নিয়ে যেতে পারে, আমাদের স্নায়ুকে প্রশান্ত করতে পারে, এমনকি পরবর্তী মুহূর্তের জন্য শক্তি যোগাতে পারে। ঘ্রাণ এবং আবেগের মধ্যে সংযোগ জীববিজ্ঞানের মধ্যে গভীরভাবে নিহিত। আমাদের গন্ধের অনুভূতি সরাসরি লিম্বিক সিস্টেমের সাথে যুক্ত, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সংযোগের কারণেই নির্দিষ্ট ঘ্রাণগুলি স্মৃতি জাগাতে পারে, আবেগকে ট্রিগার করতে পারে এমনকি আমাদের আচরণকেও প্রভাবিত করতে পারে। যখন ঘ্রাণতন্ত্র একটি ঘ্রাণ সনাক্ত করে, তখন এটি লিম্বিক সিস্টেমে সংকেত পাঠায়, যা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা এবং সেই নির্দিষ্ট গন্ধের সাথে সম্পর্কগুলির উপর ভিত্তি করে একটি মানসিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। নিউরোট্রান্সমিটার মস্তিষ্কের রাসায়নিক বার্তাবাহক যা মেজাজ, মেমরি এবং ক্ষুধা সহ বিভিন্ন ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু ঘ্রাণ সেরোটোনিন, ডোপামিন এবং এন্ডোরফিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরণ উদ্দীপিত করতে পারে, যা সুখাবেগ, প্রশান্তি এমনকি উত্তেজনার অনুভূতিও জাগ্রত করে।
ইসলামে নারীদের বাসার বাইরে এবং পরপুরুষদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। একজন আপাদমস্তক আবৃত নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে যে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে তা বেপর্দা নারীর ক্ষেত্রেও ক্ষণস্থায়ী হয়। ইসলাম কখনই অনুমোদন করে না, কোন মুমিন নারীর উপস্থিতিতে কোন পরপুরুষের উত্তেজনা জেগে উঠুক কিংবা কোন পরপুরুষের চিত্ত প্রশান্ত হোক। এমনকি তার ব্যবহৃত সুগন্ধির প্রভাবে পরপুরুষের স্মৃতিতে সে আটকে যাবে সে পথও ইসলামে রুদ্ধ করা হয়েছে। মূলত এসব বিধি নিষেধ একজন নারীর নিরাপত্তা ও তার মর্যাদা বজায় রাখার জন্যই। আল্লাহর বিধানে বান্দার সর্বাত্মক মঙ্গল নিহিত তা দৃষ্টিগোচর হোক বা না হোক, বুঝে আসুক বা না আসুক।
পর্দা অমান্য করার কুফল
সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের যে চিত্র আমরা চারপাশে দেখে থাকি তার মূলে রয়েছে পর্দা অমান্য করা। যার ফলস্বরূপ সমাজে মহামারী আকার ধারণ করেছে জেনা, ব্যভিচার, ইভটিজিং, প্রতিহিংসা, ধর্ষণ, পরকিয়া, পারিবারিক সংঘর্ষ, তালাক, ও সকল ধরণের অশ্লীলতা। পরিবার থেকে পর্দা শিক্ষা না দেয়ার কারণে শৈশব শেষ হবার পূর্বেই শিশুরা ইঁচড়েপাকা হয়ে যায়। তিক্ত সত্য এটাই যে, পর্দা অমান্য করার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় নারী সমাজ। নারী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র নিত্যদিনের সংবাদ। কোমলমতি শিশু থেকে অশীতিপর বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই রেহাই পাচ্ছে না সহিংস আচরণ হতে। যখন কোন মেয়ে বা নারী ভালো বেশভুষা পরিধান করে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় তখন আর সে মায়ের জাতি থাকেনা। কামুক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে লোলুপ দৃষ্টির পিপাসা মেটানোই যেন তখন মূখ্য বিষয়। বোকা জাতি এটাও বুঝে না যে, কতিপয় স্লোগানের বুলি আওড়িয়ে (মনের পর্দা আসল পর্দা, my body my choice) তাদের পথে নামিয়ে কামুক পুরুষরাই তাদের পিপাসা মেটাচ্ছে। সম্মানের নামে কোন পর্যায়ের যে অসম্মান করা হচ্ছে তা ভেবে দেখছে না। বিনোদনের নামে অশ্লীল চিত্র দেখা, সৌন্দর্য প্রদর্শনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, বেহায়াপনা ও নিজেদের দাম্পত্য জীবনকে অপরের সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে দৃষ্টি সংবরণ করতে না পারা। এই দৃষ্টি সংযত না রাখার জন্যই মানুষ খুব সহজেই নির্লজ্জ কাজে জড়িয়ে পড়ে। আর যারা তাদের অশ্লীল চাহিদা পূরন করার জন্য কোন সঙ্গী পায় না, তখন অবৈধ কামনা চরিতার্থ করার জন্য কোলের শিশু থেকে বয়োঃবৃদ্ধা যে কেউ তাদের ধর্ষণের শিকার হয়। ফলস্বরূপ দেখা যায়, অসংখ্য ভ্রূণ হত্যা ও ডাস্টবিনে পলিথিনে মোড়ানো শিশুদেহ (জীবন্ত বা মৃত), কখনো সেই নিষ্পাপ শিশু হয় কুকুরের খাবার। পর্দা না মানার কারণে দিন দিন পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যাচ্ছে। লিভ টুগেদারের মত ক্ষনিকের সম্পর্কগুলোর কারণে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে পরিবার ব্যবস্থা। বিবাহ নামক দায়িত্ব গলায় না পড়েই সকল স্বাদ বিনে পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে। আর যারা বিবাহিত তাদের দৃষ্টিতে ঘরের রমনীর হাজারো দোষ দৃষ্টিগোচর হয়, সহকর্মী যেন অপরূপা, সর্বগুণে ভুষিত। পর্দা অমান্য করার ফলে মানুষ যত্রতত্র পরকিয়ায় লিপ্ত হচ্ছে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক ও আত্মীয়তার সম্পর্কে ফাটল ধরছে। এতে করে বৈধ সম্পর্কগুলো দুর্বল হচ্ছে এবং অবৈধ সম্পর্ক আসকারা পাচ্ছে। এমনকি মানুষ নিজেদের অবৈধ কামনাগুলো পূরণ করার জন্য খুন পর্যন্ত করে বসে।
পরিশেষে বলতে চাই,সম্মানিত দ্বীনি বোন আমার, আপনি একজন মুসলিম পরিবারের মেয়ে, মুসলিম পরিচয়েই আপনি জীবন যাপন করছেন। আপনার ধর্ম আপনাকে সর্বোচ্চ সম্মান দান করেছেন। আপনার মৃত দেহটি পর্যন্ত কোন পরপুরুষের দেখার অনুমতি নেই, আপনাকে কবরস্থ করার অধিকারও কেবল আপনার মাহরাম পুরুষদের আছে। এক সেকেন্ডের জন্যও যাতে আপনি কোন কাম দৃষ্টির খোরাক না হন সেই জীবনব্যবস্থা ইসলাম আপনাকে দান করেছেন। আপনি পতিতা নন যে কিনা তার রূপ প্রদর্শন করে খদ্দের জোগাড় করে, আপনি ক্রীতদাসী নন যাকে প্রদর্শন করে বাজারের পণ্যের মত বিক্রি করা যায়, আপনি কোন বিভৎস চেহারার নারী নন যাকে দেখলে লোকে ভয়ে পালাবে, আপনি বয়সের ভারে চামড়া কুঁচকে পড়া কোন বৃদ্ধা নন যাকে দেখলে কারও কাম জাগবে না, আপনি অন্য রমণীর সাথে রূপের প্রতিযোগিতায় নিজেকে সজ্জিত করে প্রদর্শন করবেন না। আপনাকে আল্লাহ সর্বোত্তম গড়নে সৃষ্টি করেছেন যেমনটি তিনি আপনার জন্য পছন্দ করেছেন। পুরুষজাতি নারীজাতির প্রতি দুর্বল, আপনাকে এমনভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে যে তারা আপনার দিকে তাকাবেই। আপনি কখনোই সকলের দৃষ্টি সংযত রাখতে বাধ্য করতে পারবেন না। আপনার রূপে মুগ্ধ হয়ে কেউ হয়তো তার অবদমিত কামনা চরিতার্থ করার জন্য হাতের কাছে যাকে পাবে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালাবে। নিজের অজান্তেই আপনি কোন বোনের সর্বনাশের কারণ হয়ে গেলেন। যাকে বন্ধু ভেবে হাসিমুখে গল্প করছেন সেই পুরুষ না জানি কত হাজারবার নিজের অজান্তেই আপনাকে ভেবে কল্পনার জগতে ডুব দিয়েছেন। ইসলাম আপনাকে এতটাই সম্মান দিয়েছে যে, চারজন চাক্ষুষ সাক্ষী ব্যতিত কেউ আপনার উপর অশ্লীলতার অপবাদ দিতে পারবে না।
لَوۡلَا جَآءُوۡ عَلَیۡہِ بِاَرۡبَعَۃِ شُہَدَآءَ ۚ فَاِذۡ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِالشُّہَدَآءِ فَاُولٰٓئِکَ عِنۡدَ اللّٰہِ ہُمُ الۡکٰذِبُوۡنَ
তারা (অর্থাৎ অপবাদদাতাগণ) এ বিষয়ে কেন চারজন সাক্ষী উপস্থিত করল না? সুতরাং তারা যখন সাক্ষী উপস্থিত করল না, তখন আল্লাহর নিকট তারাই মিথ্যুক।(আন নূর - ১৩)
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ۪ وَلَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ۙ
স্মরণ রেখ, যারা চরিত্রবতী, সহজসরল, মুমিন নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত হয়েছে আর তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।(আন নূর - ২৩)
সম্মানিত দ্বীনি ভাই, আপনার ঘরের নারী আপনার দায়িত্ব, সে হতে পারে আপনার জন্মদানকারী মা, হতে পারে আদুরী বোন, হতে পারে আপনার চিত্তপ্রশান্তকারী ঘরের রমণী, হতে পারে কলিজার টুকরা কন্যা। তাকে মূল্যায়ণ করুন, তাকে নিরাপত্তা দিন, আপনার সম্মান আপনার যত্নের সবচেয়ে বেশি হক্কদার আপনার ঘরের নারীরা। আপনার আমল আখলাক কিছুই কাজে আসবে না যদি আপনি দাইউসের কাতারে দাড়িয়ে যান। তাই নিজের চরিত্র সংরক্ষণ করুন এবং অপরকেও চরিত্র সংরক্ষণে সাহায্য করুন। ভবিষ্যৎ সমস্যা ঠেকাতে পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েদের শৈশব থেকেই পর্দাচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমার আপনার আমাদের সচেতনতার ফলেই গড়ে উঠবে একটি নিরাপদ প্রজন্ম, সুস্থ সমাজ।৷
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন! ]
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১২
আরোগ্য বলেছেন: আরো বড় করা যেত, কিন্তু পাঠকের কথা চিন্তা করে থেমে গেলাম। পুরোটা পড়ার কি দরকার, যার যে বিষয়ে জানার ইচ্ছে সে ততটুকু পড়লেও বুঝতে পারবে।
ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্য করার জন্য।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই আগমনের জন্য। ওয়া ইয়্যাকা জাযা।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১১
এ পথের পথিক বলেছেন: মাশাআল্লাহ্, খুব ভাল লিখেছেন ।
আপনার লেখার ধারা অব্যাহত থাকুক ।
আল্লাহ্ আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত দ্বীনের ওপরে অটল রাখুন ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৫
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুক। আমীন!
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছু মানুষের জ্বলবে এই পোস্ট পড়ে।
আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন। আমরা যেন তাঁর দেখানো পথে চলতে পারি।
এই পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় গেলে খুব খুশি হতাম।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩০
আরোগ্য বলেছেন: এই শীতে একটুআধটু জ্বললে সমস্যা নেই।
আমীন!
নির্বাচিত পাতা মনে হয় হরতাল ডেকেছে তাই সেই আশা করছি না।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসলাম ধর্মের লোকেরা পর্দা করলে অন্যের জ্বলে কেন এটাই আমার মাথায় ধরেনা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
আরোগ্য বলেছেন: কারণ তাদের ধর্মেও আছে পর্দা কিন্তু তারা তা মানে না অথচ মুসলিমরা তা করছে।
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
এ পথের পথিক বলেছেন: " ইসলামের অন্যতম বহুল বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে নারীর পর্দা "- এ লাইন নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন জাগছে । কোন ভাবেই মনকে মানিয়ে নিতে পারছিনা । আমার ধারনা যদি ভুল হয় শুধরিয়ে দিবেন ।
বিতর্কিত শব্দ সেখানে ব্যবহার করা হয় যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ করার জায়গা রয়েছে, বিষয়টা একজনের কাছে ভাল আরেক জনের কাছে খারাপ অথবা ভাল খারাপের সংমিশ্রণ অথবা সত্য মিথ্যার সংমিশ্রণ। আমাদের আকিদা বিশ্বাস কুরআন এবং সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত বিষয় যার প্রশ্নবিদ্ধ করার জায়গা নেই ( প্রশ্ন করার জায়গা রয়েছে ) বা ভাল খারাপের সংমিশ্রণ হতে পারে না ।
" ইসলামের অন্যতম বহুল বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে নারীর পর্দা " বলতে আপনি হয়ত বুঝাতে চেয়েছেন অমুসলিম, নাস্তিক, মুক্তমনারা পর্দা নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, মতবিরোধ করে এমন । এটা ইসলামের বিতর্কিত বিষয় না ।
মনে করেন মিলাদ পড়া, মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা করা, নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজার করা, শবে বরাত , ইসলামে বিতর্কিত বিষয় ।
মুকিযুদ্ধে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ্য এটা একটি বিতর্কিত সংখ্যা, অথবা ব্লগার রা ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে, অথবা বিজ্ঞানের অ্ন্যতম বহুল বিতর্কিত বিষয় বিবর্তনবাদ । এ উদাহরণ গুলো ভালভাবে পড়ুন কোন কোন ক্ষেত্রে বিতর্কিত শব্দ ব্যবহার হচ্ছে এবং আমরা এগুলা থেকে কি উপলব্ধি পারছি ? জানাবেন ।
আমি মনে করছি বাক্যটা অন্যরকম হওয়া উচিত । আমি ছোট মানুষ, সীমিত জ্ঞান, আমার ভুল হওয়া স্বাভাবিক ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
আরোগ্য বলেছেন: সহজ কথায় যে বিষয় নিয়ে মানুষ পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক করে তাই বিতর্কিত বিষয় আমার কাছে। পর্দার বিষয় নিয়ে মানুষ যে কি পরিমাণ বিতর্ক করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিচের কিছু মম্তব্যে এর উদাহরণ দেখতে পারছেন।
যেহেতু আপনি কতগুলো উদাহরণ টেনেছেন তাই আমিও একটু ব্যাখ্যা দেই। এই যেমন ধরেন আলেমদের মাঝে বিতর্ক চেহারা ঢাকতে হবে কি হবে না, পর্দাশীলদের মাঝে বিতর্ক বোরকা কালো নাকি রঙিন। সুশীলদের মাঝে বিতর্ক আপাদমস্তক আবরণ কেবল নারী কেন পুরুষের জন্য কেন নয়, আবার নব্য মুসলিমাদের সংশয় কেবল শালীন পোশাক নাকি বোরকাই লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #মশি ভাইয়া....। ইসলাম সম্পর্কে বললে, পর্দার কথা বললে মানুষ জামাত বিম্পি জংগিও বলে। সত্য কথা বলা যায় না। আমাকে বলে আমি কেন মানুষের পোষাক নিয়ে কথা বলি। অশালীনতা এই শহরে ছোঁয়াচে হয়ে গেছে।
লজ্জা শরম বিকিয়ে একজন মুসলিম নারী কী করে এতটা ইজি ফিল করে রাস্তায় হাঁটে পর্দা করিস না কিন্তু শালীন পোষাক তো পরবি, তাও না , শার্ট গেঞ্জি, টাইস আবার থ্রিপিচ পরলে ওড়না গলায়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আরোগ্য বলেছেন: লজ্জা শরম বিকিয়ে একজন মুসলিম নারী কী করে এতটা ইজি ফিল করে রাস্তায় হাঁটে ঠিক সেই ভাবে যেই ভাবে নর্দমার পাশে যার বসবাস, সেই গন্ধে যেমন তারা ইজি ফিল করে।
একজন মহিলা যে অশালীন পোশাকের মাধ্যমে আরেকজন নারীর ক্ষতি করছে তা যদি অনুধাবন করতে পারতো তাহলে অন্তত কিছুটা সংযত হতো। আফসোস!
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইসলাম নারীকে বড়ই মর্যাদা দিয়াছে।
কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে।
তার বিপরীতে দিয়েছে ৭২ হুরী যোদ্ধা।
একা নারী সে কি করবে?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
আরোগ্য বলেছেন: ইসলাম নারীকে বড়ই মর্যাদা দিয়াছে। ধন্যবাদ সত্যকে অনুধাবন করার করার জন্য।
কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে। নীল, খয়েরী, বটল গ্রীন ও চলবে।
তার বিপরীতে দিয়েছে ৭২ হুরী যোদ্ধা।একা নারী সে কি করবে? আগে দুনিয়া পার করা যাক তারপর দেখা যাবে।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের প্রচলিত পর্দার নামে যেটা চললে সেটা নারীদের জন্য এক প্রকার জুলুমই বলা চলে। পুরুষ সমাজ নারীদের নিয়ন্ত্রনের জন্যই সেটা চাপিয়ে দিয়েছে।
স্বালীন পোষাক পরিধান করলেই পর্দা হয়ে যায়। বিশ্বের কোন সমাজই নারীদের শরির দেখিয়ে চলা সমর্থন করে না।
আমাদের দেশে শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ, সবই খুবই স্বালীন ভাবে পরা যায়।
মুখের উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাতমোজা, পায়ের মোজা, চোখে কালো চশমা দিয়ে যেই পর্দা প্রথা সেটা পুরাই অত্যাচার।
যারা এই রকমের পর্দার পক্ষে ওয়াজ করে তারা কি কখনো গরমের সময় ৩৮ ডি: তাপে দুপরে ১ ঘন্টা কালো বোরকা পরে রাস্তায় হেটে দেখেছে?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
আরোগ্য বলেছেন: নারীদের বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় নামার দায়ভারও তাই পুরুষের। আপনি কোন পক্ষে আছেন, বস্ত্র মোচনে নাকি বস্ত্রাবরণে ।
শালীন পোশাকের সংজ্ঞা কি? আপনার কাছে যেটা শালীন পশ্চিমাদের কাছে তা দৃষ্টিকটু।
শাড়ি সালোয়ার কামিজ শালীন ভাবে পড়া যায় কিন্তু পড়ে কয়জন? আমাদের দাদী নানীরা যেভাবে পড়তো তাকে কি অশালীন বলবেন নাকি অনুকরণীয় বলবেন?
মুখের উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাতমোজা, পায়ের মোজা, চোখে কালো চশমা দিয়ে যেই পর্দা প্রথা সেটা পুরাই অত্যাচার।
আমার তো মনে হয় করপোরেট ওয়ার্ল্ড পুরুষের উপর অত্যাচার করে। পঁচা গরমেও ফুল হাতা শার্ট প্যান্ট মোজা শু উফ আবার মিটিং কনফারেন্সে স্যুট টাই। একে তো চামড়া মোটা তার উপর বস্তা কাপড়। এই জ্বালা কে বুঝিবে? কত ভালো হতো লুঙ্গি কিংবা ট্রাউজার আর স্যান্ডু গেঞ্জি পড়ে হরহামেশা চলা যেত। নারীদের কালো চশমায় হিংসা কেন? লেডিস চশমা গুলি কে পড়বে? আর কালো পর্দায় তো লাভই লাভ, তারুণ্যও ধরে রাখা সহজ আবার জামাইর খরচাও কম। । আর নয়তো পার্লার খরচ মেকআপ খরচ, শপিং খরচ আর কত কি!
কওমি মাদ্রাসার মেয়েদের জিজ্ঞেস করে একটা পরিসংখ্যান বের করবেন। হিসাব সোজা। জেনারেল লাইনেও আছে।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪
নতুন বলেছেন: আধুনিক আদর্শের শিক্ষিত যুক্তিবাদী সমাজ কোন কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া মানতে চায় না, তাই নিচে নারীর পর্দা করার উপকারিতা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হলো :
সাদা চামড়ার মানুষের জন্য সূর্যের আল্টাভায়োলেট রে ক্ষতিকর। কিন্তু আমাদের দেশের বাদামী বা কালোদের জন্য সমস্যা নয়।
পর্দ প্রথার কারনে মুসলমান নারীরা ভিটামিন ডি অভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হয়।
নিজের দেশগুলির মুসলিম নারীদের মাঝে ভিটামিন ডি ঘারতির একটা স্টাডির ফল।
Iran Pregnant women 76.8%
Saudi Arabia Pregnant women Over 90%
New Zealand Pregnant women 61%
Netherlands Pregnant women 60%
Canada Pregnant women 46%
https://www.dovepress.com/prevalence-of-vitamin-d-deficiency-among-iranian-pregnant-women-peer-reviewed-fulltext-article-NDS
সাধারন স্বালীন পোষাক পরিধান করলে সেই সমস্যা হবেনা কিন্তু কট্টর ভাবনায় নারীদের পর্দার নামে ঢেকে রেখে আমরাই এই সমস্যা সৃস্টি করেছি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
আরোগ্য বলেছেন: সাদা চামড়ার মানুষের জন্য সূর্যের আল্টাভায়োলেট রে ক্ষতিকর। কিন্তু আমাদের দেশের বাদামী বা কালোদের জন্য সমস্যা নয়। এই লিংকটি দেখবেন।
ভিটামিন ডি এর জন্য ১৫-২০ মিনিট রোদ যথেষ্ট। তার জন্য আধা বসন উন্মুক্ত করে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে ঘোরার কি অজুহাত।
আচ্ছা ইরান আর সৌদি না হয় বুঝলাম কিন্তু বাকি তিন দেশের মহিলারাও কি খাস পর্দা শুরু করেছে?
আপনার দৃষ্টিতে শালীনতার দৃষ্টান্ত কি, আগের যুগের দাদী নানীর পোশাক ( আবার বলবেন না তারা ব্লাউজ পরতো না) নাকি বর্তমান টাইট ফিটিং ব্লাউজ কামিজ?
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
কেমন আছে আরোগ্য?
এখন কি রাতে ঘুম হয়?
কিছুদিন আগে সাচু বলেছে ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান নেই। কথা সত্যি। ধর্ম নিয়ে আমি খুব কম জানি।
তবে এটাও সঠিক যে, পড়ার জন্য পড়া বা পড়তে হয় বলে পড়া না, জানার জন্য বোঝার জন্য ট্রান্সলেট কোরআন পুরোটাই পড়েছি। আর তাই পর্দা নিয়ে কি বলেছে, কতটুকু বলেছে সেটা জানি।
পোষ্টের শুরুতে যে ছবি, এভাবে পর্দার কথা বলেনি। তাহলে কারা এভাবে পর্দা করে বা কেনো করে?
খুশি মনে বুঝে করে? অফকোর্স নট!
তাদেরকে বোঝানো হয়েছে এভাবে করতে হবে।
এটা কতটা মানবিক?
# প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী।
meaning?
বুঝিনি, বুঝিয়ে বলবে প্লীজ।
আর রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায় তাহলে সে এক ব্যভিচারিণী। (জামে তিরমিযী,,২৭৮৬নং)
ব্যভিচার বলতে adultery বোঝায়।
পারফিউম ব্যবহারের সাথে এডাল্টারীর কি সম্পর্ক?
what about men?
তারা পারফিউম ইউজ করেলে তাদের কে কি বলা হয়?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
আরোগ্য বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এই পোস্ট রেডি করার জন্য ঘুম কামাই করতে হয়েছে। ধন্যবাদ কুশলাদি জ্ঞাপন করার জন্য।
পোস্টের শুরুর ছবিটা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিশেষ করে প্রিয় মিরোরডডলের কারণ সাচু ভাইয়ের পোস্টে মিরোরডডল এরকম একটা ছবি দিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলো।
আমি আমাদের প্রিয় মিরোরডডলের সাথে প্রতি অনুচ্ছেদ নিয়ে আলাপ করতে আগ্রহী, মিরোরডডলের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।আপাতত পরে আসি, আযান হয়েছে। কাজ সেরে সময় নিয়ে ফ্রি হয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। সেখানেই মন্তব্যের প্রশ্নের উত্তর দিবো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৭
আরোগ্য বলেছেন:
। হুমায়দী ও মাহমুদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বনী আদমের জন্য যিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন, সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের যিনা হল তাকানো, জিহ্বার যিনা হল কথা বলা, কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খায়েশ সৃষ্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তার সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে। (সহীহ বুখারী: ৬২৪৩)
পারফিউম ব্যবহারের সাথে এডাল্টারীর কি সম্পর্ক?
what about men?
তারা পারফিউম ইউজ করেলে তাদের কে কি বলা হয়?
সুগন্ধি ব্যবহারের ব্যাখ্যা তো দিয়েছি। আবার বলছি যদিও শুনতে খারাপ দেখা যায় তাও সত্যি তো বলতেই হয়, শরীয়তে মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য সে কোন পর পুরুষের সামনে সাজসজ্জা উম্মুক্ত করবে না, সেটা প্রকাশ্য সাজ হোক কিংবা অপ্রকাশ্য যেমন সুগন্ধি। পরপুরুষের সামনে সজ্জা প্রদর্শন করা পতিতার বৈশিষ্ট্য।
পুরুষকে যথাসম্ভব সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে কারণ তাকে জামাতে নামাজ পড়তে হয়। যাতে তার ঘামের সুগন্ধে অপরের অসুব না হয়।
পোষ্টের শুরুতে যে ছবি, এভাবে পর্দার কথা বলেনি। তাহলে কারা এভাবে পর্দা করে বা কেনো করে? কোরআনে কিভাবে বলা হয়েছে তা একটু শুনি তারপর ব্যাখ্যা করি।
ইনশাআল্লাহ সব প্রশ্নের উত্তর দিবো কিন্তু সময় লাগবে। আমি একাধারে ব্লগে লগইন থাকার সময় করতে পারি না। তাই আশা করি মিরোরডডল বিরক্ত হবে না।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: সরকারি অফিসে অনেক পুরুষ দেখি যারা পাঞ্জাবি পরে দাড়ি রাখে নামাজ পরে আবার ঘুষ ও খায়। অনেক মহিলা দেখি যারা পর্দা করে আবার পার্কে পরপুরুষ এর সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।ইদানিং পর্দা ওয়ালা মহিলাদের মাঝেও প্রচুর ডিভোর্স দেখা যায়। খালি পর্দা করলে হবে না চরিত্র ভালো হতে হবে পুরুষ মহিলা উভয়ের।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
আরোগ্য বলেছেন: অনুগ্রহ করে পোস্টের প্রথম অংশ পড়ে নিবেন, সেটাই আপনার মন্তব্যের উত্তর।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নারীদের বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় নামার দায়ভারও তাই পুরুষের। আপনি কোন পক্ষে আছেন, বস্ত্র মোচনে নাকি বস্ত্রাবরণে ।
শালীন পোশাকের সংজ্ঞা কি? আপনার কাছে যেটা শালীন পশ্চিমাদের কাছে তা দৃষ্টিকটু।
শাড়ি সালোয়ার কামিজ শালীন ভাবে পড়া যায় কিন্তু পড়ে কয়জন? আমাদের দাদী নানীরা যেভাবে পড়তো তাকে কি অশালীন বলবেন নাকি অনুকরণীয় বলবেন?
আমি একজন নারী যেভাবে চায় সেই ভাবে পোষাক পরতে দিতে চাই। আমার কাছে সে একজন মানুষ, তাকে কাপরের বস্তা বানানে চাইনা।
আমাদের দেশের নারীরা যথেস্ট স্বালীন ভাবেই শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ পরে। নারীরা কি পরবে সেটা নারীদেরই ঠিক করতে দিন।
মুখের উপরে কাপড় দিয়ে ঢেকে, হাতমোজা, পায়ের মোজা, চোখে কালো চশমা দিয়ে যেই পর্দা প্রথা সেটা পুরাই অত্যাচার।
আমার তো মনে হয় করপোরেট ওয়ার্ল্ড পুরুষের উপর অত্যাচার করে। পঁচা গরমেও ফুল হাতা শার্ট প্যান্ট মোজা শু উফ আবার মিটিং কনফারেন্সে স্যুট টাই। একে তো চামড়া মোটা তার উপর বস্তা কাপড়। এই জ্বালা কে বুঝিবে? কত ভালো হতো লুঙ্গি কিংবা ট্রাউজার আর স্যান্ডু গেঞ্জি পড়ে হরহামেশা চলা যেত। নারীদের কালো চশমায় হিংসা কেন? লেডিস চশমা গুলি কে পড়বে? আর কালো পর্দায় তো লাভই লাভ, তারুণ্যও ধরে রাখা সহজ আবার জামাইর খরচাও কম। । আর নয়তো পার্লার খরচ মেকআপ খরচ, শপিং খরচ আর কত কি! (
কওমি মাদ্রাসার মেয়েদের জিজ্ঞেস করে একটা পরিসংখ্যান বের করবেন। হিসাব সোজা। জেনারেল লাইনেও আছে।
যদি সবখানে এসি না থাকে সেখানে কোট টাই পরে বেড়ানো অবশ্যই জুলুম।
অবশ্যই বোরকাতে খরচ কম। কিন্তু বিষয়টা নারী স্বাধীনতার সেটা সবাই বুঝতে পারবেনা। সহজ সরল নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখার হাতায়ার হিসেবে পুরুষ সমাজ বোরকা চাপিয়ে দিয়েছে সেটা আপনি মানবেন না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৯
আরোগ্য বলেছেন: আমি একজন নারী যেভাবে চায় সেই ভাবে পোষাক পরতে দিতে চাই। আমার কাছে সে একজন মানুষ, তাকে কাপরের বস্তা বানানে চাইনা। তাহলে তো আলোচনা এখানেই শেষ। কারন কোন নারী যদি পুরো বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় চলতে চায় তাহলে সেটা নিজস্ব ইচ্ছা আর যদি আপাদমস্তক কালো কাপড়ে আবৃত রাখে সেটাও তার ইচ্ছা।
আর নারীদের ব্যাপারে male psychology আমার বিশ্বাস আপনাকে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে।
ধন্যবাদ গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোস্টটা। খুব সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার লেখা উপস্থাপনের ধরণও ভালো লাগলো।
উপরে একজন জ্ঞানী ব্লগার বলেছেন যে আপনার পোস্টের শুরুতে যে ছবি আছে সেভাবে কোরআনে পর্দার কথা বলা হয়নি। পুরো কোরআন পড়ার পরেও যদি কেউ এই কথা বলে তাহলে বলতে হয় যে সে মনগড়া ব্যাখ্যা তৈরি করছে। উনি জানতে চেয়েছেন তাহলে কারা এভাবে পর্দা করে বা কেন করে? আমার পরিচিত একজন মহিলা এক্স- কলিগ আছেন যার মুখ আমি আগে দেখেছি কিন্তু গত অনেক বছর হল উনি পুরো মুখ নেকাব দিয়ে ঢেকে রাখেন। আমার সাথে বা যে কোন পুরুষের সাথে কথা বলার সময়েও নেকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন। উনি একমাত্র আল্লাহর ভয়ে এটা করে থাকেন। তিনি খুশি মনে বুঝেই করে থাকেন। উনি খুব উচ্চ শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমতী একজন মানুষ। এই ধরণের আরও বহু নারী দেশে বিদেশে আছেন যারা নিজের ইচ্ছাতে শুধু আল্লাহর ভয়ে নেকাব সহ পর্দা করে থাকেন। তাদেরকে কেউ বুঝায়নি কারণ তাদের অনেকেই অত্যন্ত উচ্চশিক্ষিত এবং যা বুঝাবে তাই-ই বুঝবে এমন না।
সেই ব্লগারকে জিজ্ঞেস করবেন যে, কোরআনে মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলা আছে মাথার কাপড় দিয়ে বুক ঢাকতে। সেই ক্ষেত্রে মুখ কিভাবে খোলা থাকে? একমাত্র উপায় হল মুখের কাছে কেঁচি দিয়ে কেটে ফাক করে রাখা।
ওনাকে জিজ্ঞাসা করবেন যে উনি পুরো কোরআন যেহেতু পড়েছেন তাহলে বলতে পারবেন কি যে, কোরআনে প্রত্যক্ষভাবে ঈদুল ফিতর পালনের কথা কোথায় বলা আছে? ঈদের ফেতরা দেয়ার বিধান কোরআনে কোথায় আছে? ঈদের নামাজের কথা কোরআনে কোথায় বলা আছে? কোরআনে বলা আছে যে মৃত প্রাণী খাওয়া হারাম। তারপরও আমরা কেন মৃত মাছ খাই? হিংস্র পশু খাওয়া হারাম কোরআনে কোথায় বলা আছে? আগে কিবলা ছিল মসজিদে আল আকসার দিকে। পরে সেটা পরিবর্তন করে কাবার দিকে করা হয়েছে। আগে যে কিবলা মসজিদে আল আকসার দিকে ছিল সেটা কোরআনে কোথায় আছে। কার হুকুমে এবং কিভাবে প্রথম কিবলা নির্ধারিত হয়েছিল?
এগুলি বলার উদ্দেশ্য হল অনেক আদেশ, নিষেধ হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে। আপনি শুরুতেই কোরআনের আয়াতের সাহায্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আল্লাহর হুকুম আর রসূলের হুকুম দুইটাই মানতে হবে। কারণ রসূল যা বলেছেন সেটাই আল্লাহর হুকুম। তাই শুধু কোরআন পড়ে ভালো করে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত বা অন্য অনেক ধর্মীয় কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব না। রসূলের আদেশ কেউ না মানলে সে মুসলমান না।
আপনি যথার্থ বলেছেন যে, পর্দা অন্য ধর্ম এবং পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজে আছে বা ছিল । আমাদের দেশেও অতীতে হিন্দু ধর্মের মেয়েরা ঘোমটা ব্যবহার করতো। খৃস্টান নানরা এখনও বোরকার মত পোশাক পড়ে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট লাইক করার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্য রাখার জন্য। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
আপনি যাকে প্রতিত্তোর করেছেন আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সে একজন খোলামনের মানুষ। সেই সাথে আমার মনে হয় বয়স কম হওয়াতে অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও পর্যাপ্ত নলেজ কম তাই তার কোন মন্তব্যে বিব্রত বা রাগ হয় না আমার, তবে সে জানতে আগ্রহী সেটা খুব ভালো একটা দিক। ইনশাআল্লাহ সময়ের সাথে সঠিকটা একদিন উপলব্ধি করবে সেই দোআ করি।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নারীদের বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় নামার দায়ভারও তাই পুরুষের। আপনি কোন পক্ষে আছেন, বস্ত্র মোচনে নাকি বস্ত্রাবরণে ।
হয় বিবস্ত্র অথবা বস্ত্রাবরণের নামে শ্বাসরুদ্ধকর পোশাক?
Why can't you think of something in the middle?
Isn't modest outfit enough?
যে নারী স্বেচ্ছায় ধর্মীয় কারণে পর্দা করে, সে ততটুকু করবে যতটুকু ধর্মে উল্লেখ আছে এবং অনেকেই করছে। লক্ষ লক্ষ নারী আছে যারা পর্দা করছে, সাধারণ শালীন পোশাকের পাশাপাশি হেডস্কার্ফ পরছে কিন্তু সেখানে কোন বাড়াবাড়ি নেই, that's fine.
যে নারী বিবস্ত্রা বা স্বল্প বসনা, তার মানে সে রিলিজিয়াস না। সে যে ধর্মেরই হোক মুসলিম অথবা খ্রিষ্টান। সেই ক্ষেত্রে সে কি পরবে বা পরবে না সেটা নিয়ে অন্যরা কেনো কথা বলবে, তার লাইফ তার সিদ্ধান্ত।
কোয়েশ্চেন হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে যারা চোখ ছাড়া আপাদমস্তক কাভার করে। এটা নির্মম এবং কষ্টদায়ক।
অনেকেই আছে যাদের বোঝানো হয়েছে ধর্মে এভাবে পরতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা সঠিক না।
কেউ যদি স্বেচ্ছায় এভাবে পরে সেটা তার চয়েজ কিন্তু বাধ্যতামূলক না।
লেখক বলেছেন: আমার তো মনে হয় করপোরেট ওয়ার্ল্ড পুরুষের উপর অত্যাচার করে। পঁচা গরমেও ফুল হাতা শার্ট প্যান্ট মোজা শু উফ আবার মিটিং কনফারেন্সে স্যুট টাই। একে তো চামড়া মোটা তার উপর বস্তা কাপড়। এই জ্বালা কে বুঝিবে? কত ভালো হতো লুঙ্গি কিংবা ট্রাউজার আর স্যান্ডু গেঞ্জি পড়ে হরহামেশা চলা যেত।
Again, you made it do or die situation.
যদি নন-এসি অফিসে সারাদিন স্যুট টাই পরতে হয়, অবশ্যই এটা কমফোর্টেবল না, অত্যাচার বললে ভুল হবে না।
কিন্তু তাই বলে লুঙ্গি বা স্যান্ডু গেঞ্জি পরতে হবে কেনো, ওয়েদারের সাথে যায় এরকম সাধারণ ফর্মাল কমফোর্টেবল পোশাক পরা উচিত।
সবকিছুকেই আমরা সহনশীল পর্যায়ে না রেখে এক্সট্রিম লেভেলে নিয়ে যাই কেনো!!!
ধর্ম কঠিন কিছু বলে মনে হয়না, কিছু মানুষ সেটাকে অকারণে কঠিন করে তোলে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:১৬
আরোগ্য বলেছেন: হয় বিবস্ত্র অথবা বস্ত্রাবরণের নামে শ্বাসরুদ্ধকর পোশাক?
Why can't you think of something in the middle?
Isn't modest outfit enough?
I don’t need to think because the prescription has been finalised very long before.
How would you define modest outfit? Is it modest to all over the world?
যে নারী স্বেচ্ছায় ধর্মীয় কারণে পর্দা করে, সে ততটুকু করবে যতটুকু ধর্মে উল্লেখ আছে এবং অনেকেই করছে। লক্ষ লক্ষ নারী আছে যারা পর্দা করছে, সাধারণ শালীন পোশাকের পাশাপাশি হেডস্কার্ফ পরছে কিন্তু সেখানে কোন বাড়াবাড়ি নেই, that's fine.
যদি পর্দার মানে হয় মাথায় রঙবেরঙের কাপড়ের টুকরা পেচানো then I need to say you have misunderstood the concept very much.
যে নারী বিবস্ত্রা বা স্বল্প বসনা, তার মানে সে রিলিজিয়াস না। সে যে ধর্মেরই হোক মুসলিম অথবা খ্রিষ্টান। সেই ক্ষেত্রে সে কি পরবে বা পরবে না সেটা নিয়ে অন্যরা কেনো কথা বলবে, তার লাইফ তার সিদ্ধান্ত।
ঈশ্ করোনার সময় যখন নিকাব (মাস্ক) বাধ্যতামূলক ছিলো তখন বলা উচিত ছিলো my life my decision কিন্তু উত্তর একটাই "করোনা কিংবা যেনা", ফলাফল ধর্ষণ থেকে খুন পর্যন্ত ঠেকে।
এই মন্তব্যের আরো উত্তর বাকি, আজ আর সম্ভব নয়। বেঁচে থাকলে কালকে দিনে ইনশাআল্লাহ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩
আরোগ্য বলেছেন:
কোয়েশ্চেন হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে যারা চোখ ছাড়া আপাদমস্তক কাভার করে। এটা নির্মম এবং কষ্টদায়ক।
অনেকেই আছে যাদের বোঝানো হয়েছে ধর্মে এভাবে পরতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা সঠিক না।
যেসব নারীরা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর ভালোবাসাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মনে করে তারা খুশিমনে নিজের আপাদমস্তক আবৃত করে রাখে। অনেকে চোখও ঢেকে রাখে। তারা এটা ঘৃণা করে যে কোন পরপুরুষ তার শরীরের কোন অংশ দেখে ফেলে। চেহারা দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে সেটা তো তার জন্য বিষপানের চেয়ে জঘন্য। I believe that you have not yet met such woman so you don’t have any idea how much dignity they possess about their female identity.
যদি নন-এসি অফিসে সারাদিন স্যুট টাই পরতে হয়, অবশ্যই এটা কমফোর্টেবল না, অত্যাচার বললে ভুল হবে না।
কিন্তু তাই বলে লুঙ্গি বা স্যান্ডু গেঞ্জি পরতে হবে কেনো, ওয়েদারের সাথে যায় এরকম সাধারণ ফর্মাল কমফোর্টেবল পোশাক পরা উচিত।
ধরে নিলাম এসি অফিস কিন্তু সবার তো আর প্রাইভেট কার নেই, যাতায়াতের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বাসে ঠেলাঠেলি, খরতাপে রিক্সা কিংবা পদতলই যাদের বাহন তাদের কি দশা! নারীরা যদি নিজের ইচ্ছা মত পোশাক পড়তে পারে তবে কেন পুরুষ নয়, কেন সুশীল সমাজ পুরুষের পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে না।
সবকিছুকেই আমরা সহনশীল পর্যায়ে না রেখে এক্সট্রিম লেভেলে নিয়ে যাই কেনো!!!
ধর্ম কঠিন কিছু বলে মনে হয়না, কিছু মানুষ সেটাকে অকারণে কঠিন করে তোলে।
সবকিছু এত বিপরীতমুখী হয়ে গেছে যে ধর্মের পথে চলা স্রোতের প্রতিকূল বৈঠা টানার মত। তাই কঠিন লাগাটাই স্বাভাবিক।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৭
Ruhin বলেছেন: শুধু মুখ ডাকলেই পর্দা করা হয়না। চরিত্রও ঠিক থাকতে হয় ।লাখ লাখ নিকাবি মেয়ে আছে যাদের অভ্যাস বয়ফ্রেন্ড চেঞ্জ করা ,তাদের কে কি চরিত্রহীন পর্দানশীল বলবেন ।
আর শালীনতার সংজ্ঞা একেক দেশে একেক রকম , মুসলিম দেশগুলোর মাঝেও , কালচারের পার্থক্যও অনেক।
বাংলাদেশে এইযে উপরেই একজন বলল উড়না না দেওয়া অশালীনতা,টি শার্ট গ্যান্জি প্যান্ট পড়া অশালীন।
কিন্তু আপনি শাম আরব ( ফিলিস্তিন, জর্দান, সিরিয়া, লেবানন,ইরাক) ও উত্তর আফ্রিকার আরব ( মিশর, মরক্কো, তিউনিসিয়া,আলজেরিয়া) এর মধ্যেই অনেক পার্থক্য খুঁজে পাবেন। ঐসব দেশে হয়ত হিজাব পড়ে নয়ত পশ্চিমা পোশাকই পড়ে , আমাদের ভারতবর্ষের মতো ট্রেডিশনাল ড্রেস পড়ার কালচার নাই । ঐখানে হিজাব পড়লেও মেয়েরা বাংলাদেশের মতো দুপাশে উড়নার মতো কিছু পেচায় না,করলেও খুবই দুর্লভ । বাংলাদেশে তো গ্যান্জি পড়লেও দুপাশে দুপাশে উড়না দিয়ে রাখে, যারা হিজাবি না তারাও পড়ে। আর ঐসব দেশে " উড়না পড়লেই অশালীন" এটা কোনো জায়গায় পাবেন না ,কারন তারা ছোট থেকেই তাদের মা-বোনকে ও মেয়েদের পরিবেশ এভাবে দেখে আসছে ,তাই তাদের মাথায় কখনো এগুলো আসেনা । কিন্তু বাংলাদেশের মানুষরা ছোটকাল থেকে উড়না পড়া দেখে অভ্যস্ত,তাই তাদের মাথায় সেট হয়ে গেছে উড়না না পড়লেই অশালীন । ঐসব দেশে আবার পশ্চিমা পোশাক বলতে বাংলাদেশের মতো শুধু শার্ট,গ্যান্জি না মিনি স্কার্ট,ক্রপ টপ, শর্ট প্যান্ট, স্লিভলেস ড্রেসও বুঝায়। এগুলো ঐসব দেশে আনকমন না , ১৯৩০ থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত তো মিশর, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ফিলিস্তিন, মরক্কো, তিউনিসিয়ায় মেয়েদের মিনি স্কার্ট পড়া একেবারে কমন দৃশ্য ছিল । এমনকি বিকিনি ও পড়তো ।এখনো ঐসব দেশে মিনি স্কার্ট পড়ার প্রচলন রয়েছে তবে একটু কম ,তবে তিউনিসিয়া , মরক্কো, লেবাননে এখনো অনেক বেশি প্রচলন আছে। বাংলাদেশের উড়না ছাড়া ঐসব দেশে গেলে ঐসব দেশের মানুষরা জীবনেও " অশালীন" বলবে না । কারন তাদের দেশে ওয়েস্টার্ন ড্রেস কমন , ট্রেডিশনাল ড্রেস এর প্রচলন নেই । আর বাংলাদেশের মতো উড়না দেওয়ার নীতি নাই ।
নিকাবির সংখ্যাও ঐসব দেশে অনেক দুর্লভ,যেটা বাংলাদেশে কমন।
পারলে অন্য কোনো একটা দেশ দেখান যেখানে ভারত উপমহাদেশের মেয়েদের মতো উড়না করার স্টাইল আছে? একটাও দেখাতে পারবেনা। যারা হিজাব পড়ে তারাও বুক পর্যন্ত ডাকে না, গলায় পেঁচিয়ে রাখে শুধু অধিকাংশই । আর নন-হিজাবী রা তো এগুলো কখনো ব্যবহারই করেনা। তিউনিসিয়া, লেবানন, তুরস্ক,আজারভাইজান, কসোভো, বসনিয়ায় স্লিভলেস ড্রেস, মিনি স্কার্ট ও বীচে বিকিনি পড়া সাধারণভাবে দেখা হয় । মিশর,আরব আমিরাত ,লেবাননে, মরক্কো, তিউনিসিয়া,মালেয়শিয়ার বীচেও একই ।
মিশরে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিকিনি থেকেও অশ্লীল পোশাকে ( মানে স্তনের নিপল ও নিচের টা ছাড়া সবই দেখা যায় ও অনেক বড় বড়, এখন এটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে অশ্লীল, মিশরের নাকি জানিনা) নাচা একটা ট্রেডিশনাল, খুব ধার্মিক মানে হুজুর টাইপের ছাড়া মিশরের সবার বিয়েতেই এ ধরনের নাচ হয়ে থাকে এবং তা অতি সাধারণ সবার কাছে ১৯৩০ থেকেই। এখন কি এটা বাংলাদেশে সম্ভব?
অন্য দেশের মেয়েদের থেকে বাংলাদেশের মেয়েরা বহুগুন ভালো ও রক্ষনশীল পোশাক পড়ে । শাড়ি , সেলোয়ার কামিজ উড়না, হিজাব, নিকাব , এগুলোই ৯০% বাংলাদেশীরা পড়ে । বাঁকি ১০% এর মতো যারা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে তাঁরাও আবার লম্বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে , অন্যান্য মুসলিম দেশের মেয়েদের মতো শর্ট ড্রেস পড়েনা। অথচ দুঃখজনক ভাবে জর্দান, তিউনিসিয়া, মরক্কো, মিশর, আলজেরিয়া,ইরাক, লেবানন, তুরস্ক, কাজাখস্তান,আরব আমিরাত , বসনিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো,মালেয়শিয়া থেকে অনেক শালীন ও ঢেকে চললেও বাংলাদেশে নারী হেনস্থা ও ধর্ষনের সংখ্যা ঐসব দেশ থেকে অনেক বেশি , এমনকি সুইডেন,নরওয়ে, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড থেকে বেশি। অথচ বাংলাদেশে কিছু হলেই বলে মেয়েদের পোশাকের কারনে ধর্ষণ, হেনস্থা হয় ,ওরা এইসব দেশের মেয়েদের ড্রেস জীবনেও দেখছে? বাংলাদেশের ছেলেরা একটু কিছু টাইড বা কার্ভ দেখলেই তাদের কুদৃষ্টি পড়ে যায়, ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান সবগুলো একই টাইপ অসভ্য ধরনের । পাকিস্তানও ঐসব দেশ থেকে অনেক রক্ষণশীল, কিন্তু ধর্ষণ, হেনস্থা ঐসব দেশ থেকে এত বেশি কেন?
প্রত্যেক মুসলিম দেশেরই আলাদা আলাদা কালচার, সামাজিক রীতি আছে। বাংলাদেশে যেটা "অশালীন" হিসেবে পরিচিত বিশেষ করে "উড়না ছাড়া সেলোয়ার কামিজ " এটা জিন্দেগিতেও উত্তর আফ্রিকা,শাম আরব দেশগুলো,ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় অশালীন বলবে না । শার্ট, প্যান্ট,গ্যান্জিও তাদের কাছে সাধারণ ড্রেস যদিনা খুব বেশি খোলামেলা না হয় ( বাংলাদেশের ভাষায় খোলামেলা না আবার ঐ খোলামেলা বলতে অনেক সংক্ষিপ্ত পোশাক, মাইক্রো স্কার্ট পাড়াকে বুঝায়)
আবার আমাদের দেশে( পুরো উপমহাদেশে) "পায়ে ধরে সালাম দেওয়া " এর রীতি অন্য কোনো দেশে নেই। আবার ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের মতো গলায় চুমো দেওয়ার রীতি আমাদের দেশে নাই । এমনকি পুরুষ মহিলাদের মধ্যে ও এই রীতি আছে মধ্যপ্রাচ্যেও । আবার মধ্যপ্রাচ্যে ও অন্যান্য দেশে "টিপ দিলে নজর কমবে" , " স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবেনা" এইসব কুসংস্কার নাই ভারত উপমহাদেশ ছাড়া অন্য জায়গায় নেই ।
আরব নাটকে ক্লিভেজ দেখানো , মিনি স্কার্ট পড়া একেবারে নরমাল,ঐটা মানুষরা সাধারন চোখে দেখে। কিন্তু আমাদের দেশে স্লিভলেস ড্রেস, অথবা একটু ত্বক দেখালেও ১৮+/অশ্লীল নাটক বানিয়ে দেয় । আরব ফিল্ম বিশেষ করে মিশর, সিরিয়া, লেবানন ও তিউনিসিয়ায় লিপ কিস, বিকিনি সেই ১৯৩০ থেকেই কমন , বিশেষ করে লিপ কিস একেবারে কমন ,তাই লিপ কিস কে তারা অশ্লীল হিসেবে দেখেনা। বাংলাদেশে জড়িয়ে ধরলেই তো অশ্লীল বলে
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট না পড়ে এতো বড় মন্তব্য করার মানে কি!!
কোন দেশ কি করলো বা করে তা মুসলমানদের দেখার বিষয় না, কোরআন হাদিসে যা আছে তা যথাসম্ভব মানতে হবে, আর কোন কথা চলবে না।
নাটক ফাটক দেইখা কি ইসলাম শিখতে হইবো???
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০০
আদিবাসী শামুক বলেছেন: @মিররডডল,এইসব ছাগলদের আপনি নিকনেম দিএ ডাকেন। সাচু মাচু, ভূম বুম করে আড্ডা দেন। অথচ এই ছাগলগুলা আপনার মতো স্বাধীনচেতা একজন মানুষকে বস্তাবন্দী করতে চায়। ছাগল থেকে দূরে থাকুন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৮
আরোগ্য বলেছেন: আপনে কি অন্তর্যামী? নাউজুবিল্লাহ!!
ভাষার প্রয়োগে সংযমী হোন। এর আগেও আপনার একটা মন্তব্য ডিলিট করেছি। আশা করি আজিরা উপদেশ বাণী শোনাতে আমার পোস্টে আর আসবেন না। ধন্যবাদ।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
আপনার রূপে মুগ্ধ হয়ে কেউ হয়তো তার অবদমিত কামনা চরিতার্থ করার জন্য হাতের কাছে যাকে পাবে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালাবে। নিজের অজান্তেই আপনি কোন বোনের সর্বনাশের কারণ হয়ে গেলেন।
oh really???
What a logic!
I can't believe myself.
কামনা চরিতার্থ করবে পুরুষ, পাশবিক নির্যাতন করবে যাকে পাবে তাকে, আর সেই দায়ভারও আরেক নারীর ওপর?
কেনো সে সুন্দর, কেনো সে প্যাকেট হয়ে থাকেনি!!!
Seriously??????
আরোগ্য are you okay?
I think you're out of your mind.
A sensible, logical, decent, controlled man would never ever sexually abuse a woman, no matter what she wears.
আবার হিজাব করা সত্ত্বেও তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।
এই ধর্ষণকারী কারা?
এরা মানুষরূপী ভিন্ন ক্রিয়েচার। পশু বলবো না, পশুদের অপমান হয়।
এখানে কাকে ব্লেইম দিবো আরোগ্য?
As per your statement above, তাহলে কি বলবো তনুর ধর্ষণকারী হয়তো কোন রূপবতী বেপর্দা নারীকে দেখে তার অবদমিত কামনা চরিতার্থ করতে তনুকে রেইপ করেছে। তাই নাহ?
পুরুষদের কোন দোষ থাকতে নেই।
ধর্ষণকারীরা ইনোসেন্ট।
সব দোষ বেপর্দা নারীর!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
আরোগ্য বলেছেন: এই সব কিছু বিস্তারিত লিখলে এডাল্ট পোস্ট হয়ে যেত তাই কোনরূপ ব্যাখ্যা পোস্টের ভিতর দেইনি।
A sensible, logical, decent, controlled man would never ever sexually abuse a woman, no matter what she wears.
How many men are sensible, logical, decent, controlled according to your statistics and reality? Man has inherent quality to feel interested about girl. No one can deny but they have controlling power. When a man feed himself x rated movies or nasty pictures, he releases exessive dopamine. He wants to appease his desire, his mind reaches on another level, if two girls stand next to him, one half dressed, another fully covered and the first one leaves him after playing a role of arousal then the man will grab the next one to satisfy his thirst because both have same things.
পর্দার আয়াত কিন্তু পুরুষের জন্য আগে এসেছে, পোস্টে এ নিয়ে ভালোমত লিখেছি। নারীদের বিপদগ্রস্ত হওয়ার দায়ভার বহুলাংশে পুরুষের। কিন্তু ভুক্তভোগী নারীসমাজ তাই তাদের সতর্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১০
নিমো বলেছেন: ব্লগে আইসা বেগানা পুরুষদের সাথে মন্তব্য চালাচালি করা কি ইসলাম সম্মত?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩১
আরোগ্য বলেছেন: এইটা পাবলিক প্লাটফর্ম, কারো ইনবক্স না। এদিক একটাই পরিচয় "ব্লগার"।
বিব্রতকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেই বলে ফাটা কপাল। মিডকেও এখন শামুক কামুকের উপদেশ শুনতে হয়। কি করা উচিত, না করা উচিত তার ডাইরেকশান নিতে হয়!!!! মিড অবশ্য এই উপদেশমূলক মন্তব্য দেখেও কিছু বলে নাই, তাই এই মেন্টরগিরি তার পছন্দ হলো কিনা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
এইসব আবাল মাল্টি কেন যে সামুতে আসে বুঝিনা। এতো ল্যাদানোর বেকার টাইম এরা পায় কোথায়?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪২
আরোগ্য বলেছেন: "শামুক কামুক " সেই মজা পাইলাম।
পোস্ট পইড়া মিডের মাথা গরম হয়া গেসে। আরেকজনের মন্তব্য আর কি দেখবো।
এইসব আবাল মাল্টি কেন যে সামুতে আসে বুঝিনা। আহুকগা এগো উসিলায় একটু বিনোদন অহে। এতহন ধইরা শুদ্ধ ভাষায় মন্তব্য লেখতে লেখতে আমি বিরক্ত হয়া গেসি।
আমি নিশ্চিত পোস্টের সাইজ দেইখা লাইক মাইরা ইউটার্ন মারসেন। অপেক্ষায় রইলাম ফাঁকে জোকে সময় কইরা আইবেন কইলাম।
২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেই বলে ফাটা কপাল। মিডকেও এখন শামুক কামুকের উপদেশ শুনতে হয়। কি করা উচিত, না করা উচিত তার ডাইরেকশান নিতে হয়!!!!
আমি কাউকে ওয়েলকাম করিনি আমাকে উপদেশ দিয়ে যেতে।
আমার কোন আচরণে মনে হয়েছে আমি অন্য কারো ডিরেকশন নিয়ে চলি???
নিমো বলেছেন: ব্লগে আইসা বেগানা পুরুষদের সাথে মন্তব্য চালাচালি করা কি ইসলাম সম্মত?
নাহ নিমো, ইসলাম সম্মত কি না সেটা আমার জানারও দরকার নেই।
কারণ আমি ধর্ম প্রচার করতে বা ধর্ম প্র্যাকটিস করতে ব্লগে আসি না।
দুটো বিষয়ে আমার মতামত জানাতে পোষ্টে এসেছিলাম।
1. অনেক ধর্মেই পর্দা প্রথা আছে। যারা প্র্যাকটিসড রিলিজিয়াস তারা সেটা মেইনটেইন করে বা চেষ্টা করে।
এটা যার যার বিশ্বাস, এই নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই।
ইসলামে নারীর পর্দা নিয়ে এই পোষ্ট। কিন্তু সো ফার আই নো, ইসলামের কোথাও এমন জুব্বা পরা বাধ্যতামূলক করেনি।
যা দেখলেই দম বন্ধ লাগে, সাফোকেশন হয়, এটা অমানবিক। সেইসব নারীদের ওপর জুলুম।
2. কোন সভ্য ভব্য পুরুষ বেপর্দা নারী দেখলেই তার ওপর চড়াও হবে না, অন্যদিকে অসভ্য বর্বরেরা হিজাব পরিহিতা মেয়েকেও ধর্ষণ করে। তাই পর্দার চাইতেও ইম্পরট্যান্ট একজন পুরুষ নারীকে কিভাবে দেখে বা ট্রিট করে।
আরোগ্য
এই পোষ্ট থেকে নতুন কিছু জানলাম এবং স্পিচলেস হলাম।
যেটা অলরেডি একবার মেনশন করেছি, একজন নারীর সাথে পুরুষের পাশবিক আচরণের জন্য অন্য নন-হিজাবি মেয়ে দায়ী। যাদের কারণে নাকি বর্বর পুরুষেরা নিজেদের কন্ট্রোল হারায়।
এরপর সত্যিই আর এই বিষয়ে কথা বলার আগ্রহ পাচ্ছিনা।
এনিওয়ে, থ্যাংকস ফর ইউর টাইম আরোগ্য।
ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯
আরোগ্য বলেছেন: ইসলামে নারীর পর্দা নিয়ে এই পোষ্ট। কিন্তু সো ফার আই নো, ইসলামের কোথাও এমন জুব্বা পরা বাধ্যতামূলক করেনি।
সুরা নুর এর ৩১ নাম্বার আয়াতে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, "তারা যেন নিজেদের শোভাসৌন্দর্য প্রকাশ না করে, যা এমনিতেই প্রকাশ পেয়ে যায় তা ব্যতিত"। এখন মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সে অংশটুকু অসুন্দর তা কিন্তু খোলা রাখা যাবে যেহেতু আয়াতে সৌন্দর্য ঢাকতে বলেছে, অসৌন্দর্য নয়। এই যেমন শরীরের কোন দাগ, কাটাছেঁড়া, ঘা, এছাড়া কেউ যদি নিজের চেহারাকে কুৎসিত মনে করে তবে তার চেহারা উন্মুক্ত রাখতে দোষ নেই। কিন্তু চেহারা ঢেকে চোখের মাসকারা আসকারা দিয়ে সজ্জিত করে নিকাব পড়লে কিন্তু হবে না। নো সাজসজ্জা!
এই পোষ্ট থেকে নতুন কিছু জানলাম এবং স্পিচলেস হলাম।
যেটা অলরেডি একবার মেনশন করেছি, একজন নারীর সাথে পুরুষের পাশবিক আচরণের জন্য অন্য নন-হিজাবি মেয়ে দায়ী। যাদের কারণে নাকি বর্বর পুরুষেরা নিজেদের কন্ট্রোল হারায়।
এটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর একমাত্র কারণ নয় বরং অন্যতম একটি কারণ। পোস্টেও বলেছি পর্দা বিষয়টি শুধু পোশাকের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। যেহেতু সকল পুরুষের দৃষ্টি আটকে রাখা সম্ভব নয় তাই সচেতন নারীরা নিজেদেরকে হেফাজতে রাখার চেষ্টা করে। সেটা পোশাক হোক কিংবা মাহরাম পুরুষের সাহচর্য।
আমি আমাদের প্রিয় মিরোরডডলকে একটা অনুরোধ করতে চাই, আমি যে আয়াতগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো খুব ভালোমত মনোযোগ সহকারে বুঝতে চেষ্টা করার জন্য। যদিও অনুবাদ কখন মূল শব্দের অর্থ বহন করতে পারে না, তবুও বলা যায় দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি।
অনেক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি একজন নারী যেভাবে চায় সেই ভাবে পোষাক পরতে দিতে চাই। আমার কাছে সে একজন মানুষ, তাকে কাপরের বস্তা বানানে চাইনা। তাহলে তো আলোচনা এখানেই শেষ। কারন কোন নারী যদি পুরো বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় চলতে চায় তাহলে সেটা নিজস্ব ইচ্ছা আর যদি আপাদমস্তক কালো কাপড়ে আবৃত রাখে সেটাও তার ইচ্ছা।
আর নারীদের ব্যাপারে male psychology আমার বিশ্বাস আপনাকে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে।
ধন্যবাদ গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য।
সমস্যা নাই। চালাইয়া যান। নারীদের এইভাবে বন্ধি করে রাখার জন্যই ধর্মের ভন্ডামীগুলি নারীদের কাছে ধরা পরছে আস্তে আস্তে।
২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সব ধর্মই নারীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে, অপমান অবহেলা করেছে। সবচেয়ে বেশি নারীর সর্বনাশ করেছে ইসলাম ধর্ম।
২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: একেই বলে ফাটা কপাল। মিডকেও এখন শামুক কামুকের উপদেশ শুনতে হয়। কি করা উচিত, না করা উচিত তার ডাইরেকশান নিতে হয়!!!!
আমি কাউকে ওয়েলকাম করিনি আমাকে উপদেশ দিয়ে যেতে। আমার কোন আচরণে মনে হয়েছে আমি অন্য কারো ডিরেকশন নিয়ে চলি???
ওয়েল, কারো কাছ থেকে কিছু শোনা আর সেইমতে এক্সিকিউট করার মধ্যে তফাৎ আছে। আমি বলেছি ''শুনতে হয়'', চলার কথা বলি নাই। কথা ঠিকমতো না বুঝে মন্তব্য করা তো ঠিক না। আর কামুক শামুকের মন্তব্যের আগে আমি এই পোষ্টে কোন মন্তব্যই করি নাই। তারপরেও ইতরটা আমাকে বেহুদা টেনে এনেছে মিডকে উপদেশ দেয়া তার মন্তব্যে, সেটা নিয়ে মিডের কোন কথা কি আছে? নাই। কামুকটার মূল মন্তব্য নিয়ে কোন কথা আছে? না, তাও নাই। মিড যেহেতু প্রতিটা মন্তব্যের চুলচেরা প্রতি-মন্তব্য করে; সেখানে এটাকে স্কীপ করার কারন কি? তাহলে মৌনতা কি সম্মতির লক্ষণ বলে মনে করা যায়?
আরোগ্যঃ এই কামুক ইতরটা আমার একটা পোষ্টেও ইতরামী করতে এসেছিল। লাথি দিয়ে বের করে দিয়েছি (মানে ব্লক করা আর কি!!!!)। এখন আপনে দিবেন কিনা আপনের বিবেচনা। তবে দিলে এর উপকার হবে। কিছু ইতর আছে, যাদের নিয়মিত লাথি না খেলে বাকী খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হজম হয় না। এইসব মাল্টি, যেগুলো আসল নিকে না এসে ''ল্যাদানো নিক'' এ এসে ল্যাদায়, তাদের পিছনে খামোখা সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
পোষ্টটা নরম্যালি পড়লে হইবো না, ক্রিটিকালী পড়তে হইবো। মন্তব্যগুলাতেও নজর দিমু। বিশাল পোষ্ট। সময় লয়া পইড়া পরে আবার আহুম নে। হুদাই কামুকটার লাইগা আমার থোরা কিমতি টাইম নষ্ট হইলো!!!!
২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি নিশ্চিত পোস্টের সাইজ দেইখা লাইক মাইরা ইউটার্ন মারসেন। এই কথায় মজা পাইছি। পোষ্টের সাইজ দেইখা ডরাইছি, অস্বীকার যামু না। তয় টাইম কইরা পড়মু নে।
২৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫
আদিবাসী শামুক বলেছেন: গোদা ছাগল আবার মাল্টি চেনায়। ছাগল নিজে কোন রামছাগলের কয় নাম্বার পয়দা হওয়া মাল্টি তার নাই হিসাব, সে আসছে মাল্টি চিনাইতে!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২
আরোগ্য বলেছেন: আপনি এতো নির্লজ্জ কেন? বলছি না আর আসবেন না।
২৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কামুকটা তো দেখি বেশী উজাইছে!!!! লাত্থি খাওয়া জরুরী হয়া গেছে; নাইলে আবার কোনখানে কি আকাম করে কে জানে!!!!!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: আরে ভাই সিরিয়াল ভাইঙ্গা উত্তর দিতাসি, ব্লক মারতে লইসিলাম, মোবাইল থেইকা অহে না, খাতিরজমা ল্যাপটপ লওন লাগবো।
২৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
আদিবাসী শামুক বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া। আমি আপনাদের দুইজনের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি এবং আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আপনাদের বন্ধু হতে চাই কমেন্ট মুছবেন না বা ব্লক করবেন্না প্লিজ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত বড়ো লিখা কিভাবে সম্ভব?