![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
বিবাহ
বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারীকে কখনো পশুর পালের সাথে তুলনা করা হত আবার কখনো পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করা হত। যুগ যুগান্তর ধরে বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিয়ের মাধ্যমে যেখানে নারীকে অদৃশ্য শেকলে বন্দী করা হত, অনিয়ন্ত্রিত চাহিদা মেটানোর উপকরণ ও পুত্র সন্তান জন্মদানের মেশিন মনে করা হত, সেখানে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই ইসলাম নারীকে বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে সম্মানিত করেছে, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। ইসলামের বিবাহের প্রতিটি নিয়মের মধ্যে রয়েছে নারীর জন্য নিরাপত্তা ও কল্যাণ।
# স্ত্রী তার স্বামীর জন্য প্রশান্তি :
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজে নারীর স্থান ছিল ঊনমানবীর, তাকে শুধু ভোগের সামগ্ৰীরূপে দেখা হত। তার দেহ, তার শ্রম তার প্রভুর ভোগের জন্য। তাই তাকে বন্ধক রাখা যেত, কেনা যেত, বিক্রি করা যেত; যজ্ঞের দক্ষিণা হিসাবে, যৌতুক হিসাবে বা অতিথির উপহার হিসাবে দানও করা যেত। শাস্ত্ৰে স্পষ্টই বলা হয়েছে, ‘নারী সম্ভোগ আনে।‘ (প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ)
প্রাচীন রোমে নারী বেচা-কেনার প্রচলন ছিল। তাই পুরুষরা বিয়ে করতে ও পরিবার গঠনে আগ্রহী ছিল না। যৌতুকের প্রলোভন দেখিয়ে পুরুষদেরকে বিয়ে করার জন্য উৎসাহ দেয়া হত। (pars today)
প্রাচীন গ্রীসে পুরুষরা নারীর সম্পদের লোভে কিংবা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে করতো। (thoughtCo.)
পক্ষান্তরে ইসলাম ধর্মে বিবাহ নারীর জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে। মানবজাতি সৃষ্টির শুরু হয় আদমের (আ) মাধ্যমে। জান্নাতের হাজার নেয়ামতও আদমের জীবনের শূণ্যতা দুর করতে পারে নি। অতঃপর মহান আল্লাহ আদমের শরীরের অংশ দিয়ে তার স্ত্রী সৃষ্টি করে তার জীবনে পূর্ণতা এনে দেন।
وَمِنْ ءَايَـٰتِهِۦٓ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًۭا لِّتَسْكُنُوٓا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةًۭ وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَـٰتٍۢ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ ٢١
"আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে।" (সুরা রুম:২১)
এ থেকে বুঝা যায়, ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রী কোন বোঝা নয়, বরং একজন পুরুষের জীবনে প্রশান্তি ও পূর্ণতা।
# যৌতুক বনাম মোহরানা:
প্রাচীন ভারত, প্রাচীন রোম, প্রাচীন গ্রীসের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেখানে নারীদের যৌতুকের বিনিময়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হত। যা এখনো বিশ্বে বহু স্থানে বিদ্যমান রয়েছে। যৌতুকের চাপে অনেক পরিবার দায়গ্রস্ত হয়ে পড়ে, শ্বশুর বাড়ির অমানবিক অত্যাচারে অনেক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু ইসলামে যৌতুক প্রথা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বরং স্ত্রীকে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ বা সম্পদ দানের চুক্তির বিনিময়ে বিবাহ করতে হয়। যা আমাদের দেশে দেন মোহর বা মোহরানা নামে পরিচিত। কিন্তু একটি কুপ্রথা চলে আসছে যে, স্বামীরা ধার্যকৃত মোহর স্ত্রীকে দান করে না, তা কেবল কাবিননামাতেই উল্লেখ থাকে। এবং মৃত্যুর পর স্বামীর লাশের সামনে দাড়িয়ে বউকে মোহরানার দাবির হক্ক মাফ করে দিতে বলা হয়। মোহরানা স্বামীর কাছে স্ত্রীর পাওয়া। এটি না আদায় করলে ঋণের দাবির মত ঝুলে থাকবে। কোরআনে আছে,
وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِہِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡہُ نَفۡسًا فَکُلُوۡہُ ہَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا
নারীদেরকে খুশী মনে তাদের মাহর আদায় কর। তারা নিজেরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার কিছু অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা সানন্দে, স্বচ্ছন্দভাবে ভোগ করতে পার। (আন নিসা - ৪)
# ওয়ালিমা বা বিবাহোত্তর ভোজের আয়োজন:
যুগ যুগ ধরে ভারতবর্ষের বিবাহের অন্যতম প্রথা পাত্রীর বাড়িতে দলভেদে বরযাত্রী আগমন ও ভুরিভোজ করা। বর্তমানে মুসলিম সমাজেও এ রীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিবাহের পূর্বে কত লোক বরযাত্রায় আসবে তা চুক্তি করে নেয়া হয়। এ আয়োজন করতে গিয়ে অনেক সময় পাত্রীর পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে, সামান্য কমতির জন্য বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে যায়, আবার অনেক সময় স্ত্রীকে সারাজীবন এ নিয়ে কটুকথা শুনতে হয়, যা একটা নারীর জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও তার পরিবারের জন্য লজ্জাজনক। পক্ষান্তরে ইসলামে বিবাহের সময় পাত্রী পক্ষের খরচের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না বরং দাম্পত্য জীবন শুরু করার পরে ভোজের আয়োজন করা পাত্রপক্ষের দায়িত্ব। এতে দাম্পত্য জীবন শুরু করার পূর্বেই যদি কোন কারণে বিচ্ছেদ ঘটে তাহলে অধিক লোক জানবার আশংকা থাকে না এবং কোন বাড়তি খরচের হিসাবও গুণতে হয় না। হাদিসে এসেছে,
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আব্দুর রহমান বিন আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন বিয়ে করেছেন তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন, ‘একটি ছাগল দিয়ে হলেও তুমি ওয়ালিমার আয়োজন কর।’ (বুখারি ৫১৬৬ )
# জৈবিক চাহিদা পূরন :
নারী পুরুষ উভয়েরই জৈবিক চাহিদা রয়েছে। বিয়ে কেবল পুরুষের চাহিদা পূরন করে না, নারীরও পূরণ করে। প্রায় সকল ধর্ম ও সমাজে নারী জৈবিক চাহিদা পূরণের একমাত্র বৈধ মাধ্যম হচ্ছে বিবাহ। ইসলামি শরিয়তেও এক্ষেত্রে একই বিধান। পুরুষরা একাধিক বিবাহ করতে পারে ও শরীয়তসিদ্ধভাবে ক্রীতদাসী রাখতে পারে কিন্তু নারীদের জন্য কেবল তাদের একমাত্র বৈধ স্বামী। যে পুরুষ নারীর জৈবিক চাহিদা পূরণে অক্ষম তার জন্য বিয়ে করা হারাম। অন্য ধর্মে যেখানে তালাকি ও বিধবা নারীদের অশুভ ও অপয়া হিসেবে দেখা হয়, সেখানে বিবাহের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একজন কুমারী নারীর তুলনায় তালাকী বা বিধবা নারীর প্রয়োজনীয়তা অধিক হয়ে থাকে। ফলে বৈধ উপায় না পেয়ে তারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে। নবীজি ﷺ এর স্ত্রীদের মধ্যে একজন ব্যতিত সকলেই ছিলেন তালাকি কিংবা বিধবা। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন,
وَأَنكِحُوا۟ ٱلْأَيَـٰمَىٰ مِنكُمْ وَٱلصَّـٰلِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَآئِكُمْ ۚ إِن يَكُونُوا۟ فُقَرَآءَ يُغْنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ ٣٢
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার বিবাহহীন (বিধবা /বিপত্নীক /তালাকী/ অবিবাহিত) ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। (সুরা নুর:৩২)
# ভরণপোষণের দায়িত্ব অর্পণ :
বিবাহের মাধ্যমে একজন নারীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব তার স্বামীকে অর্পণ করা হয়। একজন পুরুষকে বিয়ে করার জন্য শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে যাতে সে তার স্ত্রীর যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করতে পারে। কেবলমাত্র দৈহিক চাহিদা মেটানো বিয়ের লক্ষ্য নয়, নারীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও স্বামীর দায়িত্ব। তার জন্য নিরাপদ বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসা, দ্বীনি শিক্ষা ও হালাল বিনোদনের সুব্যবস্থা করা স্বামীর অবশ্য কর্তব্য।
ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍۢ وَبِمَآ أَنفَقُوا۟ مِنْ أَمْوَٰلِهِمْ ۚ فَٱلصَّـٰلِحَـٰتُ قَـٰنِتَـٰتٌ حَـٰفِظَـٰتٌۭ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُ ۚ
পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক/ব্যবস্থাপক/অভিভাবক , এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে মর্যাদা দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেনে। (সুরা নিসা:৩৪)
হজরত মুয়াবিয়া বিন হায়দার (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, স্বামীর উপর স্ত্রীর কী অধিকার রয়েছে? তিনি বলেন, ‘সে আহার করলে তাকেও একই মানের আহার করাবে, সে পরিধান করলে তাকেও একই মানের পোশাক পরিধান করাবে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৮৫০)।
# বিয়ের বয়স নির্ধারণ :
বিয়ের জন্য কোন ধর্মেই বয়স নির্ধারিত নয়। এমনকি কয়েক দশক পূর্বেও কোন সমাজে তা ছিল না। অল্প বয়সে নারীর বিবাহকে অনেক ধর্মে পূণ্য বলে ধরা হত। হিন্দু ধর্মে সাত বছর বয়সে কনের বিয়েকে গৌড়ী দান বলে আখ্যায়িত করা হত (হৈমন্তী)। অপরদিকে বিধবাবিবাহ বলে কিছু ছিলো না। ইসলামি শরীয়তেও নারীর জন্য কোন বয়সের সীমারেখা দেয়া হয় নি। যে কোন বয়সের নারীকে তার অভিভাবক বিবেচনা সাপেক্ষে বিয়ে দিতে পারে। অল্প বয়স্ক মেয়ের জন্য যেমন বিয়েতে কোন বাঁধা নেই তেমনি একজন বয়োবৃদ্ধ নারীও চাইলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। এতে করে সমাজে যেনা ব্যভিচারের বিস্তার রোধ করা যায়। আমাদের সমাজে তালাক বা স্বামী মারা যাওয়ার পর একটা বয়সে নারীর পুনঃবিবাহকে মন্দ দৃষ্টিতে দেখা হয়, এমনকি সন্তান থাকলে অল্প বয়সী বিধবাদেরও পরিবার থেকে বিয়ের ঊদ্যোগ নেয়া হয় না। এতে করে বাধ্য হয়ে অনেকে যেনার পথ বেছে নেয়। আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত বয়সের পূর্বেই যখন কোন মেয়ে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় তখন পরিবার চাইলেও বিয়ে দিতে পারে না। ফলে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমান বিশ্বের কিশোর কিশোরীদের দিকে লক্ষ্য করলে তা খুব ভালো মত স্পষ্ট হয়ে যায়। যদি সমাজে বিয়ের বয়স নির্ধারিত না থাকতো তাহলে বহু পরিবারই তাদের মেয়েদের উপযুক্ত পাত্র বাছাই করে সসম্মানে বিয়ে দিতে পারতো, বদনামের গ্লানি বহন করতে হতো না। কোরআনে আছে,
وَٱلَّـٰٓـِٔى يَئِسْنَ مِنَ ٱلْمَحِيضِ مِن نِّسَآئِكُمْ إِنِ ٱرْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَـٰثَةُ أَشْهُرٍۢ وَٱلَّـٰٓـِٔى لَمْ يَحِضْنَ ۚ وَأُو۟لَـٰتُ ٱلْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ ۚ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّهُۥ مِنْ أَمْرِهِۦ يُسْرًۭا ٤
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা ঋতুবর্তী হওয়ার কাল অতিক্রম করে গেছে, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তোমরা যদি সংশয়ে থাক এবং যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি তাদের ইদ্দতকালও হবে তিন মাস। আর গর্ভধারিনীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন। (সুরা তালাক:৪)
এ থেকে আরও স্পষ্ট হওয়া যায় যে নারীর বিয়ের কোন সুনির্দিষ্ট বয়স নেই।
# অভিভাবকের মাধ্যমে বিয়ে :
একজন পুরুষ শারীরিক মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষম হলে যে কোন সময় বিয়ে করতে পারে, কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই। কিন্তু একজন নারীর বিয়ের জন্য অবশ্যই তার অভিভাবকের উপস্থিতি অপরিহার্য। সৃষ্টিগতভাবেই নারীরা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে, আর বিয়ে হলো বাকি জীবন একসঙ্গে বসবাসের একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। আবেগতাড়িত হয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, যার প্রমাণ হরহামেশাই দেখা যায়। তাই শরীয়তে অভিভাবককে বলা হয়েছে নারীকে দেখেশুনে বিবাহ দেওয়ার জন্য। তবে এক্ষেত্রে নারী সাবালক হলে তার সম্মতি জরুরি। হাদিসে আছে,
»لا نكاح إلا بولي«
“অভিভাবক ব্যতীত কোনো বিয়ে নেই”। [তিরমিজি :১১০১]
পাত্র পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মে দ্বীনদারিতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কুফু(সমতা) বজায় রাখার প্রতিও বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। একজন অভিভাবক জানেন তার পরিবারের মেয়েটি কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠেছে এবং কেমন পরিবার ও পরিবেশ তার জন্য উপযুক্ত।
# পুরুষের বিয়ের সংখ্যা সীমাবদ্ধকরণ:
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের বিয়ের কোন সীমারেখা ছিলো না। একজন পুরুষ যত ইচ্ছা বিয়ে করতে পারতো কিন্তু তাদের অধিকারের ব্যাপারে ছিল উদাসীন। যাকে আর ভালো লাগতো না তাকে তালাকও দিতো না আবার অধিকারও আদায় করতো না, একরকম নামমাত্র সম্পর্কে ঝুলিয়ে রাখতো। তাছাড়া স্ত্রীর সংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় সবার সাথে সমতা বিধান করাও ছিলো অসম্ভব বিষয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় পশুর পালের সাথে স্ত্রীর সংখ্যার তুলনা করা হত। মনে করা হত, যে পুরুষের স্ত্রী যত বেশি সে তত বেশি সমৃদ্ধ। ইসলাম ধর্মে পুরুষের জন্য চারটির অধিক স্ত্রী রাখা নিষেধ। এমনকি তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা অবশ্য কর্তব্য। নচেৎ একাধিক স্ত্রী রাখা সমীচীন নয়। আল্লাহ বলেন,
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا۟ فِى ٱلْيَتَـٰمَىٰ فَٱنكِحُوا۟ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثْنَىٰ وَثُلَـٰثَ وَرُبَـٰعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا۟ فَوَٰحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَـٰنُكُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَلَّا تَعُولُوا۟ ٣
আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা বেশী। (সুরা নিসা:৩)
# পরিবার গঠনের সৌভাগ্য লাভ:
পশ্চিমা বিশ্ব ব্যবস্থা ও পতিতালয়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, নারী কেবল ভোগের সামগ্রী। পুরুষ কেবল দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন্য তাদের ব্যবহার করে। লিভ টুগেদার ও ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড এর মত জঘন্য প্রথা পরিবার ব্যবস্থাকে ভেঙে দিচ্ছে। বিয়ে করে বংশবৃদ্ধি করার প্রতি মানুষের অনীহার ফলে অনেক জাতি আজ বিলুপ্তির পথে। উদাহরণ স্বরূপ জাপানের কথা বলা যায়। জাপান প্রযুক্তির দিক দিয়ে অন্যতম উন্নত জাতি কিন্তু পরিবার গঠনে যুবসমাজের অনাগ্রহ জাপানের জন্য হুমকি স্বরুপ। ইসলাম ধর্মে বিয়ের মাধ্যমে নারীকে পরিবার গঠনের সৌভাগ্য প্রদান করা হয়েছে, কোন পুরুষ চাইলে একজন মুসলিম নারীকে ভোগ্যপণ্য বানাতে পারবে না। ইসলামে বৈরাগ্যবাদকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং বিয়ে করে পরিবার গঠনে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
প্রিয় নবীজি (সা.) বলেন, ‘বিবাহ করা আমার সুন্নত, যে আমার সুন্নত থেকে বিরাগভাজন হয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১৪০১)
# দ্বীনের অর্ধেক পূরণ :
ভয়াবহ ফেতনার এই যুগে দ্বীনের পথে টিকে থাকা মুষ্টিবদ্ধ হাতে অগ্নি শিখা ধরে রাখার মত। এমতাবস্থায় একজন দ্বীনদার ব্যক্তির সাথে বিবাহ হওয়া মানে দ্বীনের পথে অটল থাকার জন্য একজন সহযোগী পাওয়া। অশ্লীলতার জোয়ার ও বিশৃঙ্খল এই সমাজ ব্যবস্থার ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে বেঁচে থাকার এক অন্যতম উপায় হল বিবাহ।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস : ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস : ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২৭২৮)
প্রিয় দ্বীনি বোন, আপনার ধর্ম বিয়ের মাধ্যমে আপনাকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেনি বরং আপনাকে সংসারে রাণীর আসনে বসিয়েছে। সংসার জীবনে আপনি রাণী হলে, আপনার স্বামী হচ্ছে রাজা তাই তাকে যথাযথ মর্যাদা দিন। "পুরুষকে সম্মান করুন, দেখবেন সে আপনার জন্য নিজেকে উজাড় করে দেবে" (জেমস হাওয়েল)। আপনার স্বামী যদি আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করে তবে সেটা তার অজ্ঞতা, তার জন্য ইসলামকে দায়ী করা কোনভাবেই কাম্য নয়। লেজকাটা নারীবাদীদের মত নিজের বৈবাহিক জীবনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। এতে পরিবার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।
প্রিয় দ্বীনি ভাই, আপনার স্ত্রী আপনার দায়িত্ব, কেবল ভোগের সামগ্রী নয়। ঘরের রমণীর প্রতি আপনার অবহেলা, আপনার সংসার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নষ্ট করে দিতে পারে। মনে রাখবেন, " উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার ঘরণীর কাছে উত্তম " (তিরমিজি :৩৮৯৫)। আপনার কন্যা ও বোনকে উত্তম পাত্র দেখে কুফু বজায় রেখে বিয়ে দেয়া আপনারই দায়িত্ব। যাতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে কোন সমস্যা দেখা দিলে আপনি নিজ দায়িত্বে সমাধান করতে পারেন। আপনার দায়িত্বশীলতায় ফুটে উঠবে ইসলামের সৌন্দর্য্য।
মানবজীবনে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে এই পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৫
আরোগ্য বলেছেন: নিঃসন্দেহে। আমাদের সৌভাগ্য আমরা ইসলামের অনুসারী।
ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নারীরা হচ্ছে শস্যক্ষেত্র।
অতএব হে পুরুষ, তোমার লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ কর।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮
আরোগ্য বলেছেন: থাক উত্তর দিলাম না। পাবলিক প্লাটফর্ম
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
কেমন আছে আরোগ্য?
"তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন,"
meaning?
একটু বুঝিয়ে বলবে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
আরোগ্য বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। মিরোরডডলের আগমন আরো ভালো লাগছে।
তাফসিরে আহসানুল বায়ান এর মতে, তোমাদেরই মধ্যে থেকে নারী জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তারা তোমাদের স্ত্রী হয় এবং তোমরা এক অপরের সঙ্গী বা জোড়া জোড়া হয়ে যাও। আরবীতে زَوج এর অর্থ হল সঙ্গী বা জোড়া। অতএব পুরুষ নারীর ও নারী পুরুষের সঙ্গী বা জোড়া। নারীদেরকে পুরুষদের মধ্য হতেই সৃষ্টি করার অর্থ হল, পৃথিবীর প্রথম নারী মা হাওয়াকে আদম (আঃ)-এর বাম পার্শেবর (পাঁজরের) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতঃপর তাঁদের দুই জন হতে মানুষের জন্মের (স্বাভাবিক) ধারাবাহিকতা আরম্ভ হয়েছে।
সূত্র: https://www.hadithbd.com/quran/error/?id=3430
পোস্টে আগ্রহ প্রকাশের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিকটি কন্টিনিউ করার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
"জৈবিক চাহিদা পূরণ" প্রসঙ্গে আপনার আলোচনায় "শরীয়তসিদ্ধভাবে ক্রীতদাসী রাখতে পারে" বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কথার দ্বারা বুঝা যায় ইসলামী শরিয়তে ক্রীতদাসীদের সাথে সহবাস অদ্যাবদিও বৈধ। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, ক্রীতদাসী রাখার অনুমোদন এখন আর অবশিষ্ট নেই। বিষয়টি বুঝার সুবিধার্থে কিছু কথা বলা সঙ্গত এবং জরুরি মনে করছি।
ইসলাম এমন এক যুগে আবির্ভূত হয়েছিল, যখন দাসপ্রথা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত বাস্তবতা ছিল। ইসলাম সরাসরি দাসপ্রথা নিষিদ্ধ না করে ধাপে ধাপে তা বিলুপ্তির পথ তৈরি করে। কুরআন ও হাদীসে দাসমুক্তির প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যেমন আল্লাহ তাআ'লা বলেন, "আর দাস মুক্ত করার কাজে অর্থ ব্যয় করো।" (সূরা আল-বালাদ, ৯০:১৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম দাসকে মুক্ত করবে, আল্লাহ তার প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে মুক্তিকর্তার একটি অঙ্গ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবেন।" (সহীহ বুখারী: ২৫১৭)
শরিয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী দাসদের প্রতি সদাচরণ, ন্যায়বিচার এবং সামাজিক মর্যাদা রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দাসপ্রথা আইনত নিষিদ্ধ এবং ইসলামী চিন্তাবিদরাও মানবমুক্তির এই ধারা সমর্থন করেন।
সুতরাং, আধুনিক প্রেক্ষাপটে ইসলামে ক্রীতদাসী রাখার কোনো অনুমোদন নেই; বরং মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং সাম্যের আদর্শই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই আগমনের জন্য।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে অনেক ইসলাম বিদ্বেষীদের বিষয়টি পরিস্কার হবে। আমি ক্রীতদাসীর কথাটি এজন্যই উল্লেখ করেছি যে, কোরআনে এ কথাটি স্পষ্ট করা হয়েছে। কোরআনে দাসমুক্তির বিষয়ে বারবার উৎসাহ দেয়া হয়েছে কিন্তু হারাম করা হয়নি কারণ তাহলে সমাজে এক ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা দেখা দিত। হাদিস মোতাবেক আমরা জানি নিকট ভবিষ্যতে আবারও তেমন যুদ্ধ সংঘটিত হবে তখন নারীদের সংখ্যা হবে অনেক বেশি। যতদূর মনে আসছে ১:৪০/৫০। প্রয়োজনের তাগিদে হয়তো তখন আবারও দাসী রাখা জরুরি হয়ে পড়বে। ইসলামে ক্রীতদাসী ব্যবহার নারীকে খাটো করে নি বরং একজন অভিভাবকের ব্যবস্থা হওয়া ও জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ মাধ্যম হিসেবে পরিগনিত। আমার ভুল হয়ে থাকলে দয়া করে শুধরে দিবেন।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
তোমাদেরই মধ্যে থেকে নারী জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তারা তোমাদের স্ত্রী হয় এবং তোমরা এক অপরের সঙ্গী বা জোড়া জোড়া হয়ে যাও।
what about single men or women?
যে সকল নারী বা পুরুষ কখনো বিয়ে করে না, বা একা থাকে, তাদের সৃষ্টির রহস্য কি?
হাওয়াকে আদম (আঃ)-এর বাম পার্শেবর (পাঁজরের) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
যে পুরুষ একাধিক নারীকে বিয়ে করেছে, স্টেটমেন্ট অনুযায়ী ধরে নিলাম তার পাঁজরের হাড় থেকে এতোগুলো নারী সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু যে নারী অনেকগুলো বিয়ে করেছে, তাকে কোন হাজব্যান্ডের পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছে?
স্পেশাল কাস্টমাইজেশন বলে মনে হচ্ছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
আরোগ্য বলেছেন: মন্তব্যটা পড়ে খুব হাসলাম। এই মুহূর্তে তাফসির, দলিল ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করছে না। লজিক দিয়ে উত্তর দেই। অনুগ্রহ করে ভুল হলে কেউ ধরিয়ে দিবেন।
কোন একজন সাহাবির উক্তি, "নির্মল সুখ এ পৃথিবীর জন্য নহে"। বিয়ে সবার ভাগ্যে থাকে না আর বিয়ে করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহ জ্বিন আর মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।।
কিন্তু যে নারী অনেকগুলো বিয়ে করেছে, তাকে কোন হাজব্যান্ডের পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছে?
স্পেশাল কাস্টমাইজেশন বলে মনে হচ্ছে।
যেহেতু প্রাক্তন স্বামীদের মাঝে সে শান্তি পায়নি তার মানে সেগুলো তার জোড়া নয়।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
কামাল১৮ বলেছেন: এই সব ইসলামের গালগল্প।কোন সত্যতা নাই।প্রমানহীন দাবি।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
আরোগ্য বলেছেন: আপনার কাঠের চশমাটা খুলে আসুন।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
যামিনী সুধা বলেছেন:
ইসলাম চালু হয়েছে মরুভুমির দুর্গম এলাকায়, ওখানে শিক্ষার আলো ছিল না; ছিলো বেদুইনদের গোত্র; এর অনেক আগেই মানব সমাজ মিশরে, চীনে, গ্রীসে, ইউরোপে, পারস্যে, মধ্য এশিয়ায় সুন্দর জীবন যাপন করছিলো; নারীদের জীবন সভ্যতার ভালো আংশ ছিলো।
বেদুইন ও শহুরে আরবদের সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। ইসলাম হচ্ছে বেদুইনদের সামাজিক জীবনের প্রতিফলন; ইহা কোনভাবেই মানব জীবনের জন্য প্রয়োজ্য নয় আজকের এই উন্নত সভ্যতায়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
আরোগ্য বলেছেন: ইসলাম চালু হয়েছে মরুভুমির দুর্গম এলাকায়, ওখানে শিক্ষার আলো ছিল না; ছিলো বেদুইনদের গোত্র; এর অনেক আগেই মানব সমাজ মিশরে, চীনে, গ্রীসে, ইউরোপে, পারস্যে, মধ্য এশিয়ায় সুন্দর জীবন যাপন করছিলো; নারীদের জীবন সভ্যতার ভালো আংশ ছিলো। ভালোমত ইতিহাস পইড়া আহেন। না জাইনা লাফান কেলা বান্দরের রহম।
ইসলাম হচ্ছে বেদুইনদের সামাজিক জীবনের প্রতিফলন; ইহা কোনভাবেই মানব জীবনের জন্য প্রয়োজ্য নয় আজকের এই উন্নত সভ্যতায়। আরে হ আপনের পূর্বপুরুষ না বান্দর আছিলো, মনে পড়সে। আপনে মানুষরে লয়া চিন্তা বাদ দেন। বান্দর লয়া গবেষণা করেন, কামে দিবো।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
পোষ্টে আরবীতে কিছু একটা লিখলে উহা "সত্য" হয়ে যায় না; আপনি নিজেও আরবী জানেন না, বুঝেন না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
আরোগ্য বলেছেন: গত সপ্তাহে আরবি ভাষায় ডিপ্লোমার রেজাল্ট দিলো, ৩.৫৬ পাইসি। আলহামদুলিল্লাহ
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
ইসলাম নারীকে তার শক্তিশালী ভুমিকা থেকে বন্চিত করেছে; গাজার মুসলিম নারীরা অসহায়ভাবে প্রাণ হারায়েছে, ইহুদী নারীরা যুদ্ধ করছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
আরোগ্য বলেছেন: যান তো কলা খান, বান্দরের প্রিয় ফল।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা রুমের ২১ নাম্বার আয়াতে বোঝান হয়েছে যে মানব জাতীর আদি পিতা হজরত আদমের (আ) বক্ষের বক্র হার থেকে হজরত হাওয়াকে (আ) সৃষ্টি করা হয়েছে। তার মানে এই না যে কারও স্ত্রীকে তার হার থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আয়াতের মর্মার্থ হল নারী এবং পুরুষ একই উৎস থেকে তৈরি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থে আয়াতের ব্যাখ্যা করতে হবে। বলা হয় নাই যে প্রত্যেক স্বামীর হার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
ইসলামে দাস প্রথা এখনও আছে। তবে শুধু মাত্র যুদ্ধ বন্দি নারী বা পুরুষকে ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান প্রয়োজন মনে করলে দাস বা দাসী হিসাবে বণ্টন করতে পারেন। অথবা চাইলে এদেরকে মুক্তিপণ দিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন বা চাইলে হত্যা করতে পারেন। দাস বা দাসী সৃষ্টির অন্য সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দাস বা দাসী হিসাবে রাখতে চাইলে তাকে নিজের ভাই বা বোনের মত রাখতে হবে। অধিক কাজের বোঝা দেয়া যাবে না। দিলে মালিককেও সেই কাজে অংশ গ্রহন করতে হবে। মালিক যা খাবে তাকে সেটাই খাওয়াতে হবে মালিক যা পরিধান করবে দাস বা দাসীকে সেই পোশাকই পরাতে হবে। বর্তমানে দাস না থাকলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে। জেলখানার অর্থনৈতিক বা সামাজিক কু প্রভাবের বদলে আল্লাহতায়ালা এই ব্যবস্থা করেছেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৬
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ সাচু ভাই। আশা করি আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে মিরোরডডল তার উত্তর পাবে।
দাসপ্রথা নিয়ে আপনার মন্তব্যে আমি সমর্থন জ্ঞাপন করছি এবং নকিব ভাইয়ের প্রতিমতব্যে এটাই বলতে চেয়েছি । আপনি আরও চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
Sulaiman hossain বলেছেন: @ মিরোডডল বলেছেন :হাওয়াকে আদম (আঃ)-এর বাম পার্শেবর (পাঁজরের) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
যে পুরুষ একাধিক নারীকে বিয়ে করেছে, স্টেটমেন্ট অনুযায়ী ধরে নিলাম তার পাঁজরের হাড় থেকে এতোগুলো নারী সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু যে নারী অনেকগুলো বিয়ে করেছে, তাকে কোন হাজব্যান্ডের পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছে?
স্পেশাল কাস্টমাইজেশন বলে মনে হচ্ছে।[/sb
প্রতিবারেই যে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হবে এটা জুরুরি নয়।মানুষকে মাটি দিয়ে এবং পাঁজরের হাড় থেকে সুধুমাত্র প্রথমবারেই সৃষ্টি করা হলেছিল, তারপর আর তা হয়নি।।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৯
আরোগ্য বলেছেন: ব্লগারকে মেনশন করে উত্তর দেয়ার জন্য আপনার এই মন্তব্যটি রাখতে হলো। কারণ ইতোমধ্যে মিরোরডডলের উত্তরও এসে গেছে। ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নতুন বলেছেন: ইসলাম কেন বেশিরভাগ ধর্মই নারীকে গুনাহ/নরকের ভয় দেখিয়ে স্বামীদের অধীনে থাকতেই এমন সব নিয়ম করেছে।
* ইসলামে স্বামী যখন তখন ইচ্ছা বিয়ে করতে পারে। ১ম স্ত্রীর অনুমুতি দরকার নাই।
* * ইসলামে স্বামী যখন তখন ইচ্ছা নারীকে তালাক দিতে পারে। ৩ তালাক মুখে উচ্চারন করলেই সেই নারী তালাক হয়ে যায়।
* ইসলামে স্ত্রী কিন্তু স্বামীকে ৩ তালাক দিতে পারেনা। বরং স্বামীর কাছে তালাক চাইতে হয়।
* ইসলামে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে উটেরর উপরেও সেক্স করতে চায় তবে স্বামীর কথা শুনতে হবে
* ইসলামে স্বামী চাইলে দাসী কিনে রাখতে পারে এবং তার সাথে সেক্স করতে পারে।
* যদি রান্না চুলায় থাকে তবেও স্বামীর কথা সুনতে হবে, নাহলে ফেরেস্তারা সারা রাত অভিষাপ দেবে।
* ইসলামে স্বামী স্ত্রীকে মৃদু প্রহার করতে পারবে। কিন্তু নারী কখনোই স্বামীর গায়ে হাত দিতে পারবেনা।
* ইসলামে নারী স্বামীকে না বলে ঘরের বাইরে যেতে পারবেনা,( হাদিস) এমনকি নিজের বাবার বাড়ীতেও না। (আগের স্কলারদের মতামত)
* ইসলামে আপনি কতজন দাসী রাখতে পারবেন তার নিদ্ধারিত নাই। তাই আপনার সামর্থ থাকলে ৪টা বিয়ে করেও যতখুশি দাসী কিনে তাদের ভরন পোশন দিয়ে তাদের সাথে সেক্স করতে পারবেন।
মোদ্দা কথা হইলে
ইসলামে নারীকে পুরুষের অধীন করেছে। স্বামীকে প্রভুসম ক্ষমতা দিয়েছে। পুরুষের টাকা পয়সা থাকলে তার সে ৪টা বিয়ে করতে পারে, পছন্দ না হইলে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করতে পারে। টাকা পয়শা থাকলে দাসী কিনে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, খাবার দাবার দিয়ে তাদের সাথেও সেক্স করতে পারে।
এটা সম্র্পর্ন হালাল তরিক।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
আরোগ্য বলেছেন: এটা সত্যি পুরুষের বিয়ের জন্য নারীর অনুমতির দরকার নেই। এটা সকল ধর্মেই একই। তালাকের উত্তরগুলো তালাকের পোস্টে আসবে ইনশাআল্লাহ। বাকি হাদিসের যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন তার শানে নুযুল বাদ রাখলেন কেন?
মোদ্দা কথা হইলে
ইসলামে নারীকে পুরুষের অধীন করেছে। স্বামীকে প্রভুসম ক্ষমতা দিয়েছে। পুরুষের টাকা পয়সা থাকলে তার সে ৪টা বিয়ে করতে পারে, পছন্দ না হইলে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করতে পারে। টাকা পয়শা থাকলে দাসী কিনে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, খাবার দাবার দিয়ে তাদের সাথেও সেক্স করতে পারে।
এটা সম্র্পর্ন হালাল তরিক। বৈবাহিক জীবন কোন রেস না যে,দৌড়ে যে আগে যাবে সে কর্তৃত্ব পাবে বরং এটা টিম ওয়ার্ক এর মতন যেখানে একজন টিমকে লীড করবে। ইসলাম লিডারের দায়িত্ব স্বামীকে দিয়েছে কিন্তু অবশ্যই তাকে স্ত্রীর পরামর্শ মূল্যায়ন করতে হবে। এ যুগে এক বিয়ে করেই কানে ধরে মানুষ। দাসীদের সাথে সেক্স করা কোন আনন্দের বিষয় নয় বরং দাসীর যৌন অধিকার রক্ষা করা। তবে এক দাসীর উপর একাধিক মানুষের নিপীড়ন ইসলামে নেই যেমনটি বিধমীদের ইতিহাসে পাওয়া যায়। স্ত্রীর মতই দাসী তফাৎ এটাই যে স্ত্রী স্বাধীন নারী। যাকে অভিভাবকের সম্মতিতে মোহরের বিনিময়ে বিয়ে করা হয়েছে এবং সে সম্পদের হক্কদার। স্ত্রীর ভরনপোষণের মত দাসীর ভরনপোষণও মালিকের দায়িত্ব।
১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এই মুহূর্তে তাফসির, দলিল ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করছে না।
পোষ্ট পড়লে নানারকম প্রশ্ন মাথায় আসে। উত্তর দেবার জন্য একটু কষ্ট করে দলিল ঘাটাঘাটি করতে হবে যে!
লজিক দিয়ে উত্তর দেই।
লজিক পাইনি কিন্তু কন্ট্রাডিকশন পেয়েছি।
বিয়ে সবার ভাগ্যে থাকে না
সেটাই আমার প্রশ্ন ছিলো। যারা বিয়ে করেনা তাদের সৃষ্টির রহস্য কি।
পোষ্টে বলা হয়েছে পুরুষ থেকে নারীকে তৈরি করা হয়েছে জোড়া জোড়া।
আর বিয়ে করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি।
আল্লাহ জ্বিন আর মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।
কিন্তু পোষ্ট লেখা হয়েছে বিয়ে নিয়ে।
আমার প্রশ্ন ছিলো "যে নারী অনেকগুলো বিয়ে করেছে, তাকে কোন হাজব্যান্ডের পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছে?"
লেখক বলেছেন: যেহেতু প্রাক্তন স্বামীদের মাঝে সে শান্তি পায়নি তার মানে সেগুলো তার জোড়া নয়।
Very disappointed with your answer
নারীর একাধিক বিয়ে মানেই কি ডিভোর্স এবং সে শান্তি পায়নি?? নারীদের হাজব্যান্ড মারা যায় নাহ?
বিধবা মেয়েরা কি আবার বিয়ে করেনা? এখানে গ্যারান্টি কোথায় যে তার আগের সংসারে শান্তি ছিলো না, তাই ওটা তার জোড়া না?
তখন প্রশ্ন আসতেই পারে, একটা মেয়ের একাধিক বিয়ে, অতীত এবং বর্তমান দুটো হাজব্যান্ডই ভালো এবং তাকে হ্যাপি করেছে। সে কার হাড় থেকে তৈরি???
আবার এক ছেলে একাধিক বিয়ে করলে সব ওয়াইফের সাথে সে শান্তি পেয়েছে? you never know, but still, you call them pair.
কিন্তু মেয়ে একাধিক বিয়ে করলে তুমি ধরেই নিলে, তার ডিভোর্স হয়েছে, শান্তি ছিলো না, তাই জোড়া না।
Sorry my dear, I can only see illogical & discrimination
thank you.
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩০
আরোগ্য বলেছেন: পোষ্ট পড়লে নানারকম প্রশ্ন মাথায় আসে। উত্তর দেবার জন্য একটু কষ্ট করে দলিল ঘাটাঘাটি করতে হবে যে!
That's why I love blogging, it leads to learn more n more.
লজিক পাইনি কিন্তু কন্ট্রাডিকশন পেয়েছি। দুঃখিত!
যারা বিয়ে করেনা তাদের সৃষ্টির রহস্য কি।
পোষ্টে বলা হয়েছে পুরুষ থেকে নারীকে তৈরি করা হয়েছে জোড়া জোড়া।
চারভাবে মানবজাতির সৃষ্টি হয়েছে। এক, মাটি দ্বারা (আদম আলাইহিসালাম), দুই, হাড় দ্বারা (হাওয়া আলাইহাসসালাম),তিন, সরাসরি রুহ ফুৎকারের মাধ্যমে (ইসা আলাইহিসসালাম), চার, শুক্রাণু ডিম্বানুর সংমিশ্রণে ( বাকি সকল মানুষ)।
আর বিয়ে করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি।
আল্লাহ জ্বিন আর মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।
কিন্তু পোষ্ট লেখা হয়েছে বিয়ে নিয়ে। আমার অপারগতা আমি বুঝাতে পারিনি। আমার বলার মানে ছিল কেবল বিয়ে করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয় নি। কেবল শব্দটি উল্লেখ করা উচিত ছিলো। পোস্ট লেখা হয়েছে বিয়ে নিয়ে যারা মনে করে বিয়ে নারীকে অবমূল্যায়ন করে সেই বিষয় পরিস্কার করার জন্য।
আমার প্রশ্ন ছিলো "যে নারী অনেকগুলো বিয়ে করেছে, তাকে কোন হাজব্যান্ডের পাঁজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করেছে?"
লেখক বলেছেন: যেহেতু প্রাক্তন স্বামীদের মাঝে সে শান্তি পায়নি তার মানে সেগুলো তার জোড়া নয়।
Very disappointed with your answer
আমি কি উত্তরে কোথাও বলেছি যে তাকে তার স্বামীর হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।
নারীর একাধিক বিয়ে মানেই কি ডিভোর্স এবং সে শান্তি পায়নি?? নারীদের হাজব্যান্ড মারা যায় নাহ?
বিধবা মেয়েরা কি আবার বিয়ে করেনা? এখানে গ্যারান্টি কোথায় যে তার আগের সংসারে শান্তি ছিলো না, তাই ওটা তার জোড়া না? জোড়া মানে বিপরীত দুটি জিনিসের যুগলবন্দী। যার সাথে বিচ্ছেদ ঘটেছে তার সাথে জোড়া কায়েম থাকে কি করে?
আবার এক ছেলে একাধিক বিয়ে করলে সব ওয়াইফের সাথে সে শান্তি পেয়েছে? you never know, but still, you call them pair.
কিন্তু মেয়ে একাধিক বিয়ে করলে তুমি ধরেই নিলে, তার ডিভোর্স হয়েছে, শান্তি ছিলো না, তাই জোড়া না।
বিচ্ছেদ ঘটে যদি নতুনকরে কারো সাথে যুগলবন্দি হয় তখন সেই হবে তখন তার জোড়া। পুরুষের একাধিক জোড়ার বিষয়টা একটু ভিন্ন রকম। একজন পুরুষ একইসাথে একাধিক জোড় সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু নারীর কেবল একটি জোড়ায় থাকতে পারে।
if you still find illogical, you can ask more, no problem. I love investigation.
১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন<<<<<<<<<<<<<<<< ইসলামে দাস প্রথা এখনও আছে। তবে শুধু মাত্র যুদ্ধ বন্দি নারী বা পুরুষকে ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান প্রয়োজন মনে করলে দাস বা দাসী হিসাবে বণ্টন করতে পারেন। অথবা চাইলে এদেরকে মুক্তিপণ দিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন বা চাইলে হত্যা করতে পারেন। দাস বা দাসী সৃষ্টির অন্য সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু নিচের তথ্য কোথায় পেলেন জানালে ভালো লাগতো।
দাস বা দাসী হিসাবে রাখতে চাইলে তাকে নিজের ভাই বা বোনের মত রাখতে হবে।
তবে দাসীদের সাথে সেক্স করা হালাল!!!
বর্তমানে দাস না থাকলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে। জেলখানার অর্থনৈতিক বা সামাজিক কু প্রভাবের বদলে আল্লাহতায়ালা এই ব্যবস্থা করেছেন।
তাহলে আপনি কোন যুদ্ধ বন্ধি নারীদের জেলে রাখার চেয়ে যোদ্ধাদের মাঝে ভাগ করে দিতে অথবা বাজারে বিক্রি করে দেওয়াই সমর্থন করেন?
আপনার কি ধারনা কোন নারী যুদ্ধ বন্ধ হলে সে কোন যোদ্ধার ভাগের দাসী হতে চাইবে? যেখানে তার সাথে মুনিব চাইলেই সেক্স করতে পারবে। নাকি জেল খানায় থাকতে চাইবে?
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: আশা করছি সাচু ভাই আপনার মন্তব্যের উপযুক্ত উত্তর দিবেন।
১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
Sulaiman hossain বলেছেন: প্রতিবারেই যে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হবে এটা জুরুরি নয়।মানুষকে মাটি দিয়ে এবং পাঁজরের হাড় থেকে সুধুমাত্র প্রথমবারেই সৃষ্টি করা হলেছিল, তারপর আর তা হয়নি।।
Hossain যা বললো, লেখক কিন্তু উত্তরে এরকম বলেনি। সে উত্তরে কি বলেছে?
যেহেতু প্রাক্তন স্বামীদের মাঝে সে শান্তি পায়নি তার মানে সেগুলো তার জোড়া নয়।
thank you
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: আশা করছি উপরের মন্তব্যে কিছুটা পরিস্কার উত্তর দিতে পেরেছি।
১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
Sulaiman hossain বলেছেন: আমার কমেন্টের কথাগুলো সত্য,কিন্তু আমি উত্তেজিত অবস্তায় কমেন্ট করেছি,যেকারনে তার কোনো প্রভাব অথবা আছর হবেনা।সুতরাং আমার সব কমেন্ট ডিলেট করে দেন।আপনি বলেছেন মানুষকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, বিয়ে করাও কিন্তু ইবাদত। কিন্তু কনফিউশানে ভোগা ব্যাক্তিদের উত্তর আমার নিকট দলিলসহ রয়েছে।আমি তাদের উত্তর ঠান্ডা মাথায় দেব
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৩
আরোগ্য বলেছেন: আপনি বলেছেন মানুষকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, বিয়ে করাও কিন্তু ইবাদত। আমি বলেছি বিয়ে সবার ভাগ্যে থাকে না আর বিয়ে করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহ জ্বিন আর মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।। বিয়ে সাধারণ অবস্থায় একটি সুন্নত, কখনো ফরজ আবার কারও জন্য হারাম সেটাও পোস্টে বলেছি।
আপনার ঠান্ডা মাথার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০২
নতুন বলেছেন: @মিরোর
Very disappointed with your answer
নারীর একাধিক বিয়ে মানেই কি ডিভোর্স এবং সে শান্তি পায়নি?? নারীদের হাজব্যান্ড মারা যায় নাহ?
বিধবা মেয়েরা কি আবার বিয়ে করেনা? এখানে গ্যারান্টি কোথায় যে তার আগের সংসারে শান্তি ছিলো না, তাই ওটা তার জোড়া না? তখন প্রশ্ন আসতেই পারে, একটা মেয়ের একাধিক বিয়ে, অতীত এবং বর্তমান দুটো হাজব্যান্ডই ভালো এবং তাকে হ্যাপি করেছে। সে কার হাড় থেকে তৈরি??? আবার এক ছেলে একাধিক বিয়ে করলে সব ওয়াইফের সাথে সে শান্তি পেয়েছে? you never know, but still, you call them pair. কিন্তু মেয়ে একাধিক বিয়ে করলে তুমি ধরেই নিলে, তার ডিভোর্স হয়েছে, শান্তি ছিলো না, তাই জোড়া না।Sorry my dear, I can only see illogical & discrimination
ধর্মগুরুরা নারীদের স্বামীর অথীন দেখতে চায়। নারীর যৌবিক চাহিদা, মনের পরিস্থিতি কখনোই পুরুষ তান্ত্রীক ধর্মের নিয়মে থাকবেনা।
ইসলামের ইতিহাসে রাসুল সা: এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। এবং তার ৪ খলিফার মোট স্ত্রীর সংখ্যা ২৮-৩১ জন।
একটা মজার বিষয় আছে সেটা হইলো। রাসুল সা: কিন্তু তার মেয়েকে সতীনের ঘর করতে দেন নাই।
কিছু বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে নবী (সা.) ফাতিমা (রা.)-এর সুখের জন্য বিশেষভাবে সচেতন ছিলেন। একটি ঘটনায় বলা হয় যে আলী (রা.) ফাতিমা (রা.) জীবিত থাকাকালীন আরেকটি বিয়ের প্রস্তাব বিবেচনা করেছিলেন (যেমন, আবু জাহলের কন্যাকে), কিন্তু নবী (সা.) এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন:
হাদিস: নবী (সা.) বলেছেন, “ফাতিমা আমার দেহের অংশ। যে তাকে কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয়।” (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫২৩০, সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৪৪২)।
প্রেক্ষাপট: এই হাদিসটি প্রায়শই উল্লেখ করা হয় যখন আলী (রা.)-এর দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তাবের বিষয়টি আসে। নবী (সা.) ফাতিমা (রা.)-এর মানসিক শান্তি এবং পারিবারিক স্থিতিশীলতার জন্য এই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। ফলস্বরূপ, আলী (রা.) ফাতিমা (রা.) জীবিত থাকাকালীন অন্য কোনো বিয়ে করেননি।
তাই নিজের মেয়ে কে সতীনের ঘর করতে না দিলেও তিনি নিজেই অনেক বিবাহ করেছেন এবং অন্য নারীদের জন্য ৩ সতীনকে তিনি হালাহ করেছেন, এমনকি আরো দাসীও রাখা হালাল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৫
আরোগ্য বলেছেন: আলী রা এর একাধিক বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য কি ইচ্ছে করেই করলেন? প্রকৃত বিষয় আপনার অজানা তা হতে পারে না বরং ইচ্ছে করেই হাইড করলেন। নিচে প্রকৃত ঘটনার লিঙ্ক দিলাম অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তি দেখে নিতে পারেন।
view this link
১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: প্রাপ্তবয়স্কদের আলোচনায় নিজের মন্তব্য প্রদান সমুচিত মনে করছি না। জাস্ট কমেন্ট পড়ে ঘুরে গেলাম।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৪
আরোগ্য বলেছেন: যার যেমনটি ইচ্ছা। ধন্যবাদ ঘুরে যাওয়ার জন্য।
১৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
Sulaiman hossain বলেছেন: আপনি বলেছেন মানুষকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, বিয়ে করাও কিন্তু ইবাদত।
that exactly I heard too.
লেখক বিয়ে নিয়ে পোষ্ট দিলো। আবার বললো বিয়ে করার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেনি, ইবাদত করার জন্য করেছে।
অথচ ইসলামে বলেছে বিয়ে এবং সংসার পার্ট অভ ইবাদত।
আমার আজ আরোগ্যকে কনফিউজড মনে হচ্ছে, কারণ তার নিজের লেখার মাঝেই কন্ট্রাডিকশন হচ্ছে।
anyway, thanks to all.
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: লেখক বিয়ে নিয়ে পোষ্ট দিলো। আবার বললো বিয়ে করার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করেনি, ইবাদত করার জন্য করেছে।
অথচ ইসলামে বলেছে বিয়ে এবং সংসার পার্ট অভ ইবাদত।
আমার আজ আরোগ্যকে কনফিউজড মনে হচ্ছে, কারণ তার নিজের লেখার মাঝেই কন্ট্রাডিকশন হচ্ছে।
কি বুঝাতে পোস্ট দিলাম আর কি নিয়ে মন্তব্যের বেড়াজাল। পোস্টের নাম ইসলামে নারীর মর্যাদা। এ পর্বে তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছি বিয়ের মাধ্যমে ইসলামে নারীকে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আর মন্তব্যের সমাহার দাসীবাঁদী হাড়হাড্ডি আর s*e*x নিয়ে।
২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৭
নতুন বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: প্রাপ্তবয়স্কদের আলোচনায় নিজের মন্তব্য প্রদান সমুচিত মনে করছি না। জাস্ট কমেন্ট পড়ে ঘুরে গেলাম।
হে যুবক তোমাদিগের জন্য উত্তম উপদেশ ১৪০০ বছর আগেই রাসুল সা: দিয়ে গেছেন।
নবী (সা.) বলেছেন, “হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ এটি দৃষ্টি অবনত রাখতে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করতে সহায়ক। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে, কারণ তা তার জন্য কামনা নিয়ন্ত্রণকারী হবে।”
সূত্র: সহিহ বুখারি (হাদিস ৫০৬৬), সহিহ মুসলিম (হাদিস ১৪০০)
রাসুল সা: আরো বলেছ নবী (সা.) বলেছেন, “যখন কোনো বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকে সে যেন আল্লাহর ভয় করে।”
০.৫ গুন ২= ১
তাই হে যুবক ২টা বিয়ে করলেই তুমি দ্বীন পূর্ন করতে পারবে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: বাহ্ ভালো সমীকরণ মিলিয়েছেন। কইলো কি আর বুঝলেন কি। হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকতে অন্ধ।
২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: হাদিস তৈরী হয়েছে নবীজির মৃত্যূর প্রায় তিনশ বছর পর। তাই হাদিসের আলোকে ইসলাম ধর্ম পর্যালোচনা করলে অনেক কন্ট্রাডকশন তৈরী হয়। ইসলামিক স্কলাররা আজকাল হাদিসের উদ্ধৃতি দেয় না। যেমন বিয়ে প্রসঙ্গে পুরুষেরা ইচ্ছে করলেই কয়েকটা বিয়ে করতে পারে কথাটা ভুল। স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করা সম্ভব নয়। দাসীদের বিষয়েও নতুন নকিব ভাই ভাল ব্যখ্যা দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে আরেকটা একটা ব্যখ্যা শুনেছি যেটা বেশি যৌক্তিক মনে হয়েছে। প্রেক্ষাপট একটা বিশাল বিষয়। বর্তমানের প্রেক্ষাপটের সাথে ১৪০০ বছর আগের প্রেক্ষাপট তুলনা করলেতো হবে না। নবীজির সময়ে দাস প্রথা ছিল। আমরা সবাই জানি যে , নবীজি এই প্রথার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলেনেবং প্রচুর দাসকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে একটা জঘন্য প্রথা ছিল যুদ্ধে জয়লাভ করলে পরাজিতদের সকল সম্পদ , স্ত্রী , পুত্র কন্যা সবই বিজয়ীরা পেত। এরপর সেই নারীদের বাজারে বিক্রি করে দেয়ার মত জঘন্য প্রথা বলবত ছিল। নবীজি এর পুরোপুরি বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি তার অনুগতদের তাই গনিমতের মাল হিসাবে পাওয়া নারীদের বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছিলেন বা তাদেরকে দাসী হিসাবে রাখার পারমিশন দিয়েছিলেন।
২২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৫
নতুন বলেছেন: দাসীদের সাথে সেক্স করা কোন আনন্দের বিষয় নয় বরং দাসীর যৌন অধিকার রক্ষা করা।
আপনার মতে সেক্স কোন আনন্দের বিষয় নয় বরং মুমিনরা দাসীর যৌন াধিকার রক্ষায় তাদের দাসীদের সাথে সেক্স করতেন !!!!
একটা জোকস মনে পড়ে গেলো।
একবার দুই আর্মি সৈনিক কাজ করছে আর নিজেদের মাঝে কথা বলছে।
১ম সৈনিক:- প্রশ্ন করলো, এই সেক্স করা কস্টের না কি আনন্দের।???
২য় সৈনিক: আনন্দের ই হবে!
১ম সৈনিক:- তোর এমন মনে হইলো কেন?
২য় সৈনিক:- কস্টের হইলে তো স্যার নিজেরা না কইরা আমাদের দিয়া করাইতো।
২৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই -
দাসরা যে ভাইয়ের মত সেটার সুত্র হল নীচের হাদিসঃ
সহি বুখারি – ৬০৫০
আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তাঁর উপর একখানা চাদর ও তাঁর গোলামের গায়ে একখানা চাদর দেখে বললাম, যদি আপনি ঐ চাদরটি নিতেন ও পরতেন, তাহলে আপনার এক জোড়া হয়ে যেত আর গোলামকে অন্য কাপড় দিয়ে দিতেন। তখন আবূ যার (রাঃ) বললেনঃ একদিন আমার ও আরেক লোকের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল। তার মা ছিল জনৈকা অনারব মহিলা। আমি তার মা তুলে গালি দিলাম। তখন লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট তা বলল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি অমুককে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কি তার মা তুলে গালি দিয়েছ? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তো এমন লোক যার মধ্যে জাহিলী যুগের স্বভাব আছে। আমি বললামঃ এখনো? এ বৃদ্ধ বয়সেও? তিনি বললেনঃ হাঁ! তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তা‘আলা ওদের তোমাদের অধীন করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যার ভাইকে তার অধীন করে দেন সে নিজে যা খায়, তাকেও যেন তা খাওয়ায়। সে নিজে যা পরে, তাকেও যেন তা পরায়। আর তার উপর যেন এমন কোন কাজ না চাপায়, যা তার শক্তির বাইরে। আর যদি তার উপর এমন কোন কঠিন ভার দিতেই হয়, তাহলে সে নিজেও যেন তাকে সাহায্য করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১১)
এখানে ভাই বলতে দীনি ভাই বোঝানো হয়েছে। যেমন হজরত ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে দীনী বোন বলেছিলেন। রক্তের সম্পর্কের ভাই বা বোন বুঝালে তারা সম্পত্তির ভাগ পেত। কাজেই দাসী বা দাসের সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। দাসীর সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক থাকলেও তার সাথে বৈধ শারিরিক সম্পর্ক হারাম না।
উন্নত বিশ্বের জেল খানাগুলিতে পর্যন্ত কিছু অবশ্যম্ভাবী কমন সমস্যা আছে। যেমন অপরাধীদের বলতে গেলে বসে বসে খাওয়াতে হয়। এরা জেল থেকে বের হয়ে সমাজে মিশতে পারে না এবং আয় রোজগার করতে পারে না। ফলে সমাজের উপরে বোঝা হয়ে যায়। এছাড়া অ্যামেরিকার মত দেশেও প্রিজনগুলিতে অনেক ভায়োলেন্স হয় (সেক্সচুয়াল ভায়লেন্স সহ)। একটা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে অ্যামেরিকার প্রিজনগুলির অর্ধেকের বেশি কয়েদি মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই লিঙ্কে গেলে আরও কিছু তথ্য পাবেন। https://eji.org/issues/prison-conditions/ । উল্লেখযোগ্য অংশ নীচে দিলাম।
Prison officials often fail to provide appropriate treatment for people whose behavior is difficult to manage, instead resorting to physical force and solitary confinement, which can aggravate mental health problems.
A handful of abusive officers can engage in extreme cruelty and criminal misconduct if their supervisors look the other way. When violent correctional officers are not held accountable, a dangerous culture of impunity flourishes.
The culture of impunity in Alabama, and in many other states, starts at the leadership level. The Justice Department found in 2019 that the Alabama Department of Corrections had long been aware of the unconstitutional conditions in its prisons, yet “little has changed.” In fact, the violence has gotten worse since the Justice Department announced its statewide investigation in 2016.
A handful of abusive officers can engage in extreme cruelty and criminal misconduct if their supervisors look the other way. When violent correctional officers are not held accountable, a dangerous culture of impunity flourishes.
The culture of impunity in Alabama, and in many other states, starts at the leadership level. The Justice Department found in 2019 that the Alabama Department of Corrections had long been aware of the unconstitutional conditions in its prisons, yet “little has changed.” In fact, the violence has gotten worse since the Justice Department announced its statewide investigation in 2016.
মোদ্দা কথা হল জেলখানা থেকে যারা বের হয় এদের বড় অংশ আবার অপরাধে যুক্ত হয়। তাই জেল খানার চেয়ে কারও বাড়িতে দাস হিসাবে রাখলে সেটা আরও ভালো। দাস মুক্তির উপরে জোর দেয়া হয়েছে। ফলে দাস বা দাসীরা সমাজের মুল স্রোতে মিশে যেতে পারে। জেল খানার জন্য অনেক ব্যয় করতে হয়। কিন্তু দাস বা দাসীকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা গেলে সেটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো।
যুদ্ধবন্দিদের কারাগারে না রেখে কোন পরিবারের সাথে রাখলে সেটা বন্দি এবং রাষ্ট্র উভয়ের জন্য ভালো।
ইসলামের বিধানে পুরুষদের ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং কর্তৃত্ব বেশি দেয়া আছে। এটার কারণও আছে। অবশ্য কেউ এটা বলতে চায় না। এই ব্যাপারে ব্লগের মৌলবী অগ্নিবেশ ভালো বলতে পারতো (সে অবশ্য ইসলাম বিদ্বেষী, হাদিস কোরআন নিয়ে পড়াশুনা করে ইসলামের খুত ধরার চেষ্টা করে)। আলোচনা করতে গেলে অনেক বড় আলাপ হবে। কোরানের কিছু আয়াত পড়লেই বুঝতে পারবেন যে ইসলামে পুরুষদের ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং কর্তৃত্ব বেশি। অনেকে আবার হাদিস মানে না, তাই কোরানের কথা বললাম।
সেক্স উপভোগ্য বলেই কোরআনে ৭২ হুরের লোভ দেখানো হয়েছে। কোরআন এটাকে নিয়মের মধ্যে এনেছে। কিন্তু যারা আল্লাহর বিধান মানে না তারা ব্যভিচারকে সমর্থন করলেও কোরআনের বিধানের সমালোচনা করে। ইসলামের বিধান সঠিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ। আবার একই সাথে জাহান্নামের আগুনের ভয় দেখানো হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। এই দুনিয়াতেও সমাজের মানুষকে পুরস্কারের লোভ দেখানো হয় আবার আর শাস্তির ভয়ও দেখানো হয়।
২৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আইজকা হারাটা দিন দৌড়ের উরফে আছিলাম। পোষ্ট, সব মন্তব্য আগে পড়মু, তারপরে মন্তব্য দিমু। আবার কয়েন না, আমি খালি কই..........মাগার পড়ি না!!!!!
২৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট নিয়া কওনের কিছু নাইক্কা। পোষ্টে যা কইছেন, এইগুলি জ্ঞানী গো লাইগা নিদর্শন আর জ্ঞানপাপী গো লাইগা পশ্চাদ্দেশের জ্বালা-যন্ত্রণার উপকরণ। খালি একটাই কথা, পোষ্টে আরবী লেখা না দিলেও তো পারেন। ব্লগে কে আরবী পারে? বাংলা তর্জমাটা দিলেই তো কাম অয়!!!! বাংলা ব্লগ........দেখতেও ভালা লাগে। এইটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত।
মন্তব্যে দেখলাম, কেউ লাঙ্গল (মনে লয় এরশাদের জাতীয় পার্টির সমর্থক। হ্যায়ও লাঙ্গল ভালা পাইতো!!!!! ) লয়া চিন্তা করবার লাগছে, কেউ হাড্ডি তো কেউ আবার খোদ নারী!!! ভালাই তো। ভালা না!!!
কোরআনের আয়াতগুলির দুই ধরনের মানে আছে। একটা আক্ষরিক মানে, আরেকটা অন্তর্নিহিত মানে। এখন এই দুইটারে গুলায়া ফালাইলে (ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত) সমূহ বিপদ। এই লাইগাই ব্যাপক ইস্টাডি করন লাগে। আমার লাহান বেশীর ভাগ গেয়ানীরাই ইস্টাডির কষ্ট না কইরা আবজাব একটা কিছু কয়া ফালায়। এইটা হইলো বেকুবীর নিদর্শন!!!!
হাড্ডি লয়া কিছু কইতে গিয়া দেহি সাচু ভালো ব্যাখ্যা দিছে। আমার কম জানার ব্যাখ্যার আর দরকার কি? তয় যারা সহজভাবে বুঝতে চায়, তাগো লাইগা কই...........আল্লায় যদি একটা হাড্ডি দিয়া একটা মাইয়া বানাইবার পারে, তাইলে ১০০ খানাও পারে। আবার চাইলে না-ও বানাইবার পারে। সবই আল্লার ইচ্ছা। সর্বশক্তিমানের ইচ্ছার উপ্রে বিশ্বাস রাখাটাই আসল। যাগো এই বিশ্বাস নাই, তাগো লগে বাহাস কইরা লাভ কি? তারা লাঙ্গল আর হাড্ডি লয়া পইড়া থাকুক!!!
১০ আর ২১ নং মন্তব্য পছন্দ হইছে।
২৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৩২
মুক্তা নীল বলেছেন:
গরমের ভেতরে গরম পোস্ট তাই মনে হচ্ছে এবার মনে হয় গরমে গরম কেটে যাবে । এই গরমে তো অনেকের এলার্জি বের হয় আশা করি বুঝতে পেরেছো ।
থাক বাদ দাও অনেক কষ্ট করে লিখেছো তোমার লেখা পড়লাম এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তোমাকে আজকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইসলাম মহান ধর্ম। ++++