নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জড়তার কাব্য শুনি, ক্লীব লিঙ্গ বলিয়া কিছু নাই

অ রণ্য

পুলকে পুলক আর সাদা দুধ, সাদা ঘর, মেঘের দোসরযে তুমি ঘুমিয়ে আছো, যেন ঘর ছেড়ে উড়ে গেছোআরব সাগর আর যাদু-কাঠি-ঘ্রাণগাগল, পাগল আমি রাত-দিন বসে টানিযাদুর ঝালর

অ রণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ও মুদ্রালোভী প্রতিপালক

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

প্রতিটি অদ্ভুত স্বপ্ন আমাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যায় সকালের দিকে

যা কিনা অনাহুতের মতো সামনে এসে দাঁড়ায়, আর আমি

শিশুর মতো আয়নার সামনে অভিভূত, নির্বাক

এমন তো প্রায়শই ঘটে

ঘুম ভেঙে যায়, আর রাত দীর্ঘ হতে হতে বাড়িয়ে তোলে মুদ্রার লোভ

এও কি স্বপ্ন নয় এক, যা আমি দেখে চলেছি জীবনের মতোই

হয়ত যুক্তির কাছে হেরে যাব শেষ অব্দি

এবং খাচা বন্দি পাখির মতো হয়ে পড়ব অসহায়, উত্তরহীন

আলো, যা কিনা নির্দিষ্ট পরিক্রমা শেষে ফিরে ফিরে আসে এবং উদার হয়

তবে কেন রাতের ব্যাপ্তি নিয়ে কথা বলব না

কেন মহিমান্বিত হবে না সমস্ত অন্ধকার

যা আমাদের ঘুম দেয়, আর লুকিয়ে রাখে অন্ধকার



প্রকৃতির নিকট আমাদের অস্তিত্ব সবচেয়ে কুৎসিত এবং সুন্দর

আমি মূক অভিনেতার সামনে বসে থাকি

একটি নাটকের সমস্ত পাঠ মুখস্থ করতে করতে হেসে উঠি আনমনে

যেনবা প্রিয়তমা তার প্রিয়কে সুখি করে তুলেছে হঠাৎ

একাকী এগিয়ে এসো, জিজ্ঞেস করো, আমি বলব

বিছানার সাথে সন্ধি করে করে ক্লান্ত, এবার মাটির স্পর্শ প্রয়োজন

এত অসহ্য হয়ে উঠেছে এবারের ঋতু

প্রকৃত তুষারপাতের চেয়ে সুন্দর কিছুই দেখা যায় না সচরাচর

সুতোর প্রাপ্ত ধরে এগিয়ে যাবার মানে একটাই

আমার গাঁথুনি ভেঙে যাচ্ছে অধিক, নির্মম



এই যে রাত আর ক্ষীণ হয়ে আসা হৃদয়ের স্পন্দন

রক্তের স্বাদ কম বেশি সব জিভ-ই জেনেছে কারণ-অকারণ

ফলতঃ ঈশ্বর অথবা শয়তান যে কোনো এক পক্ষে আমাদের পতাকা উড়ুক

এই তবে সত্যিকার স্বাধীনতা, যা কিনা বোধ দিয়ে পেলাম আবার বোধেই বিসর্জিত

এত প্রশস্ত দেয়ালের এপাশ থেকে শোনা যায় না

এত মোটা পর্দার আড়াল থেকে স্পষ্ট দেখা যায় না মানুষের মুখ

ভিন্ন সূর্যের বন্দনায় যদি পুনরায় মারা যায় গাছ

তবে ঘর থেকে বেরিয়ে ঘরেই ফিরে আসতে হবে আবার

ঋতু ও ঋণ আমাদের মজ্জার মাঝে গেঁথে রয়েছে একসাথে

যে কোনো অজুহাত তাই বিষাক্ত সাপের মতো ফণা মেলে উঠে বারবার



মুগ্ধ হবার আগে পনুরায় ভেবে নিই ম্যাজিকের নীতিমালা

সার্কাস-তাবু ও মঞ্চের পার্থক্য নিরুপণ করে দেয় জোকারের হাসি

ভুল ভেঙে যাবার পর মানুষ সবসময়-ই নিরীহ

আর পুনরায় ভুল করার পর পূর্বের চেয়ে হিংস্র

এসব নিজেরই অন্তরালে ঘটে

যেমন প্রতিনিয়ত শরীরের অগোচরে ঘটে যায় শরীরের অবমাননা

আহা, প্রাণের বিপরীতে আমার সমস্ত সুন্দর

লোকচক্ষু দিয়ে বাইরে তাকিয়ো না

প্রতিটি মেঘখন্ড অভিশাপ বহন করে এগিয়ে চলেছে আগুনের নেশায়

আর শহরে যে বৃষ্টিপাত নেমে আসে কোনো কোনো সন্ধ্যায়

আমার সব ঘর ভিজে যায় জল ও নেশায়

সিক্ত মেঝেয় সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে যাই মায়ায়

এমন তো হতে পারত

কেউ আসবে জেনে আলো জ্বালাতে চাইলাম অথচ বাতাস বয়ে নিয়ে এলো ভয়



এভাবে কতবার নিজেকে শাসন করে বলা যায়, ‘শান্ত হও, লুকিয়ে রাখো ক্ষয়’

ঘুমের উছিলায় যারা ফিরে আসে, ফিরে যায়

আমি বরং ছায়া গুনে রাখি, হিসেব করে রাখি ভেতর-বাহির আনাগোনা

অবশেষে দীর্ঘ পথের উল্টো দিকে হাঁটা শুরু হয়

আর চারপাশে গাঢ় বাতাবী নেবুর ঘ্রাণ

একটু একটু পতনে নিক্ষেপিত হতে থাকে শরীরের ভার

নিজেরই ভুলে যাওয়া কন্ঠস্বর

যত চাবুকই নেমে আসুক না কেন বিছানায়

সমস্ত ছায়া ও নিঃশব্দের মাঝে কেউ না থাকলেও জানি

নিভে যাওয়া আলো আর জাপটে ধরা আঁধারের সীমানায়

এমন অদ্ভুত স্বপ্ন আমি ছাড়া কেউ দেখে না আর

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।


সমস্ত ছায়া ও নিঃশব্দের মাঝে কেউ না থাকলেও জানি
নিভে যাওয়া আলো আর জাপটে ধরা আঁধারের সীমানায়
এমন অদ্ভুত স্বপ্ন আমি ছাড়া কউ দেখে না আর

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

সায়েম মুন বলেছেন: অনেক ভাললাগা কবি।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি...

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম মুন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.