নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জড়তার কাব্য শুনি, ক্লীব লিঙ্গ বলিয়া কিছু নাই

অ রণ্য

পুলকে পুলক আর সাদা দুধ, সাদা ঘর, মেঘের দোসরযে তুমি ঘুমিয়ে আছো, যেন ঘর ছেড়ে উড়ে গেছোআরব সাগর আর যাদু-কাঠি-ঘ্রাণগাগল, পাগল আমি রাত-দিন বসে টানিযাদুর ঝালর

অ রণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলাসী দেশপ্রেম অথবা রৌদ্রস্নান

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

এমন বিস্তর দেখলাম, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকা এবং ভিনদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত অনেকেরই স্বদেশপ্রেম মাঝে মাঝে উথলে উঠে, আর এমন প্রবল দেশপ্রেমের জোয়ারে হাবুডুবু খেতে খেতে ভাবি, এদেরকেই যখন বলা হয় দেশে ফেরার কথা, মানুষের জন্য, নিজ মাতৃভূমির জন্য কিছু করার কথা, তখন নির্বিকার বাস্তবাদী মানুষের মতো জানাতে থাকে, “কী করব সেখানে, খাব কী (যেনবা ১৬ কোটি বাঙালী প্রত্যহ না খেয়ে থাকে, গ্রাচ্ছাদনের জন্য ভিখ মাগে), ভাল চাকুরী নেই, ধুলো-বালি, ট্রাফিক জ্যাম, শিক্ষার মান যাচ্ছেতাই (যে নিম্ন শিক্ষায় তাদের জন্মদাতা কিংবা জন্মদাত্রী থেকে শুরু দেশে বর্তমান আত্মীয়-স্বজন-পরিবার অব্দি শিক্ষিত), বাচ্চাদের ভবিষ্যত (সমস্ত বাঙালী নর-নারী তবে এই চরম আশংকা থেকে নতুন শিশু জন্ম বন্ধ করে দেবে) দুর্নীতি, অসুস্থ পরিবেশ আর অনিশ্চিত জীবন ইত্যাদি ইত্যাদি, ও বহুবিধ!!! ”



বস্তুত, যা না বললেও টের পাই, তারা গাড়ী করে অফিস যায়, গাড়ী করে বাড়ি ফেরে, বাজার, সওদা থেকে শুরু করে ডাক্তার দেখানো অব্দি গাড়ি করেই সারে, যা কিনা একই সাথে উপাদেয় শীত ও উষ্ণতা উৎপাদনে সক্ষম। পক্ষান্তরে আমাদের বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্র কিংবা কর্মক্ষেত্রে থেকে ঘরে ফিরতে ফিরতেই সমগ্র জীবন দুর্বিষহ ভোগান্তিতে শেষ হয়ে যায় যেন। বুঝতে পারি এও, তাদের দাঁত থেকে শুরু করে হাত-পায়ের আঙুল অব্দি বীমা কোম্পানীর মহামূল্যবান নিশ্চয়তায় আশ্বস্ত, যখন এখানে জীবনের মূল্যও কানাকড়ি। বেকার থাকো অথবা চাকুরীজীবি হও, বেঁচে থাকো অথবা মারা যাও, সবকিছুই সেখানে এতটাই নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ যে, টিভি খুলে কিংবা ইন্টারনেটে দেশের মহোত্তম স্মরণে মাঝে মাঝে আবেগী হওয়া যেতেই পারে।



আমার শ্বাস কষ্ট হয় সেই সব বাংলাদেশী ভিনবাসীদের গ্রীষ্মকালীন অবসর অথবা বিলাসী রৌদ্রস্নানের মতো দু-পাঁচ বছরে মাস-দুমাসের জন্য স্বদেশ ভ্রমণের নানাবিধ ও আবেগী মুহূর্তে দেশেপ্রেমের বাঁধভাঙ্গা আকুলতা দেখে। তখন অনিবার্যভাবেই এই প্রশ্নগুলো মাথা ভারী করে তোলে -



দেশ কি শুধুই রেমিটেন্স চায়, নাকি চায় কেবল মুহূর্তকালীন শব্দ-সর্বস্ব আবেগী প্রেম? দেশ কি চায় না সেইসব পরিশ্রমী নাগরিকদের, যারা ভিন দেশে নিজেদের প্রমাণ করেনি কেবল, যোগ্যও করে তুলেছে। পৃথিবীর সব গর্ভধারিণী কি ন্যুনতম এই আশা করতে পারে না, যৌবনে প্রসবিত সন্তান তার বার্ধক্য অথবা দুর্দিনে পাশে দাঁড়াবে, সেবা করবে, এবং চলার পথের অবলম্বন হয়ে তাকে প্রতিনিয়ত আশ্বস্ত করবে যে, সে পাশেই রয়েছে যোগ্য সন্তান রূপে। নাকি মাঝে মাঝে দু’একখানা আবেগী পত্র আর কিছু টাকা পাঠিয়েই সন্তান শোধ করবে গর্ভধারিণীর চির-ঋণ, আজীবন, এভাবে ??????





০৭.০২.১৩

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.