![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোষ কারো নয়
আপনি সুশীল। তার আভিধানিক অর্থ, আপনি কোনও খারাপ কাজের সাথে জড়িত নন। না রাজনৈতিক কূটকচালি, না কর্পোরেট টানাহেচড়া। আপনি একেবারেই বিশুদ্ধ ইতিহাস-ওয়ালা নাগরিক; ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারা লোকজনের সাথে আপনার কোনও দহররম-মহররম নেই। আপনি শুধুমাত্র দেশ এবং জনগণের সু কামনাই করেন। এবং সাধ্যমত ও সময়মতো আপনি দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
এটি খুবই শ্রদ্ধার অবস্থান। সুশীলতার নামাবলী আপনার গায়ে আছে তো আপনার কোনও দোষ থাকতে পারবে না। আপনি শুদ্ধ, পবিত্র এবং পরিষ্কার।
খোকা-মান্নার ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর সুশীলতার এই মহান সংজ্ঞা আর ব্যবহারযোগ্য থাকছে না।
কতটা বাস্তব আর কতটা কল্পনা
এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা গেলো: আমাদের কোনও সুশীলই 'আঁতাত' থেকে মুক্ত নন। রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভে বা দল ভারি করার আশায় কোন সুশীল তার পথ পরিবর্তন করতে পারেন। করতে পারেন তার মতের সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত মতের কারো সাথে সমঝোতা।
সুশীলরা ধরে নিয়েছিলেন, তাদের উপরের চকচকে উজ্জল দাগহীন চেহারার ভেকে মুগ্ধ হয়ে জনগন তাদের উপর ভরসা রাখতে পারবে। কিন্তু এখন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সবাই বুঝে গেছেন সব কিছু। হত্যা এবং লাশের রাজনীতির পুরোনো নোংরা পথটাই যে গোপনে গোপনে তারা বেঁছে নিয়েছিলেন এটা এখন পরিষ্কার।
তাই বলা যায়, সুশীলতা আসলে একটা কাঠালের আমসত্ত্ব ছাড়া কিছুই না।
তুমি বন্ধু কেমন বন্ধু?
মান্না সাহেবের জবান ফাঁস হওয়ার পর তার রাজনৈতিক সতীর্থ ড কামাল বিব্রত হয়েছেন, সুলতানা কামাল বলেছেন তার সাথে মান্না সাহেবের কোনও সম্পর্ক নেই ।
সুশীলদের পারষ্পরিক যোগাযোগ এবং আস্থা কতটা দূর্বল এবং ভঙ্গুর, সেটাও এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার। যাদের কোনও দৃঢ় মনোবল নেই; যে কেউ ব্যবহার করতে পারে যাদের, তাদের নিশ্চই জনগুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজে হাত দেয়া উচিত হবে না।
====
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
আরণ্যক নীলকণ্ঠ বলেছেন: ধরুন আপনার অনেক টাকা পয়সা আছে, কিন্তু তেমন সামাজিক ক্ষমতা নেই। এবং, টাকাপয়সা থাকা সত্ত্বেও আপনি তেমন মান-সম্মান পান না, কোনও প্রভাব খাটাতে পারেন না।
কিন্তু উচ্চাভিলাষ আছে ঠিকই। তাহলে আপনি কি করবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
ডিজ৪০৩ বলেছেন: সুশীল যারা তাদের ত অনেক টাকা পয়সা আছে , আরও কি চান এই সুশীল সমাজের মানুষ ।