নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলার পথের সঙ্গী

গন্ত্যবের শেষ পরিণতি জানা নেই.........

এ আর রানা

I am Innocent boy

এ আর রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট মানুষের অ্যাত্তো রাগ!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

উফ্! ছেলেকে নিয়ে আর পারছি না। স্কুল থেকে রোজ অভিযোগ আসছে। কখনো অন্যকে মারছে না তো জেদের কারণে নিজেকেই আঘাত করছে। বাড়িতেও একটু স্থির থাকে না। সারাক্ষণ কারও না-কারও সঙ্গে মারামারি করে। পছন্দমতো কিছু না পেলে নিজের মাথা দেয়ালে ঠোকে, হাত কামড়ায়। এখন তো ভয়ই লাগে। কী যে করি! উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্র ফয়সালকে নিয়ে ওর মায়ের এমনই অভিযোগ।

বড়দের মতো শিশুরাও অনেক সময় রেগে যায়। তারা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অতিরিক্ত জেদ থেকে যা চায়, তা না পেলে এ ধরনের আচরণ করে থাকে ওরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুরা কেন এ রকম আচরণ করছে, সেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তা না বুঝেই আমরা তাদের ভুল বুঝি। অনেক সময় অভিভাবকেরাও সন্তানের গায়ে হাত তোলেন। নানা রকমের শাস্তি দেন। এতে সন্তানের জেদ আরও বেড়ে যায়। ফলে মা-বাবা ও স্কুলের শিক্ষকদের একটু কৌশলী হতে হবে। সরাসরি সন্তানের প্রতি রাগ হওয়া কিংবা তাকে মারা উচিত নয়; বরং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

আনন্দ নিকেতন ইউরোপিয়ান স্কুলের প্রাথমিক শাখার অধ্যক্ষ সামসে হাসান বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের নেতিবাচক আচরণের প্রভাব শিশুর ওপর পড়ে। বিশেষ করে মা-বাবার দাম্পত্য সম্পর্কের প্রভাব। অনেক সময় মা-বাবা ঝগড়া করলে কিংবা মা যদি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন, তখন সন্তান বাড়িতে চুপচাপ থাকলেও স্কুলে এসে বন্ধুদের মারে। অনেক বেশি জেদি হয়। শুধু তা-ই নয়, সন্তানের সামনে কাউকে কটাক্ষ করে কোনো কথা বলা উচিত নয়।’

আজকাল সব মা-বাবাই অনেক ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা চাইলেও অনেক সময় সন্তানকে দিতে পারেন না। সে কারণে কোয়ালিটি সময় দিতে হবে, যাতে সন্তান কখনো নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়, খুব ছোটতে অনেক রাগ, জেদ; এমনকি মারামারি করার অভ্যাস থাকলে বয়ঃসন্ধিকালে ঠিক হয়ে যায়। সন্তানকে সময় দিতে হবে। আর মা-বাবার সান্নিধ্যে থাকলে সন্তানের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়াও ভালো হয়।

শিশুরা নানা রকমের আবদার করে। চাওয়ামাত্রই সবকিছু দিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। শিশুকে বলা যেতে পারে, তুমি যদি এই জেদ আর না করো, তাহলে তোমাকে একটা উপহার দেব। শিশুদের বুঝিয়ে বললে তারা কথা শোনে। শিশুকে কখনোই অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। গল্পের ছলে বা কোথাও বেড়াতে নিয়ে গিয়ে তাকে বলা যেতে পারে, তার কোন কোন আচরণ করা ঠিক নয়। সবাই তাকে দুষ্টু ভাবছে। কিন্তু সে তো অনেক ভালো। এভাবে বললে সব শিশুই বুঝবে। এমনটাই মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার।

একেক শিশুকে একেকভাবে বোঝাতে হবে। শিশুর মনস্তত্ত্ব বুঝে তার মারামারি করার প্রবণতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। এর জন্য অভিভাবকের ধৈর্যশীল ও সহনশীল হতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.