নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলার পথের সঙ্গী

গন্ত্যবের শেষ পরিণতি জানা নেই.........

এ আর রানা

I am Innocent boy

এ আর রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীর ৯৪ শতাংশ আমে ফরমালিন

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

নাগরিক সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) পরীক্ষা করে দেখেছে, ঢাকার বাজারের ৯৪ শতাংশ আমে ফরমালিন রয়েছে। আর শতভাগ লিচু ও জামে ব্যবহূত হচ্ছে এই রাসায়নিক।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে সপ্তাহব্যাপী ফল কিনে ফরমালিন পরীক্ষা করেছে পবা। ওই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়। সাংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মৌসুমি ফলে ফরমালিনের ব্যবহার পরিস্থিতি জানার জন্য ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত আম, লিচু ও জামে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। রাজধানীর ২৬টি এলাকা থেকে আমের ৯৬টি, লিচুর ছয়টি ও জামের তিনটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফল কেনার পর পবা কার্যালয়ে এবং কিছু দোকানে তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন মাপার যন্ত্র দিয়ে তা পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষায় দেখা যায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপলি, চোষা, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, রানীভোগ আমের ৯৬টি নুমনার মধ্যে ৯০টিতে ফরমালিন পাওয়া যায়। তবে সব আমে ফরমালিনের পরিমাণ সমান নয়। আমের ছয়টি নমুনায় ফরমালিন পাওয়া যায়নি। লিচু ও জামের সব নমুনায় ফরমালিন পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রেও ফরমালিনের পরিমাণে তারতম্য আছে।

পবা বলছে, মালটা, আপেল, আঙুর, কমলায়ও ফরমালিন দেওয়া হয়। সবজিতেও ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে টমেটোতে সবচেয়ে বেশি।

পবা বলছে, বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেশ। তবে এগুলো রাসায়নিক তথা ফরমালিনমুক্ত কি না, তা ক্রেতারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। ফল পাকাতে ও সংরক্ষণ করতে ব্যবসায়ীরা ফলে ব্যবহার করছেন বিষাক্ত রাসায়নিক। এই রাসায়নিকযুক্ত ফল ও সবজি খাওয়ার কারণে নানা রোগব্যাধি বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পবার সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান। এ সময় বক্তব্য দেন পবার সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

পবা বলছে, ফরমালিনের দাম বাড়ার কারণে বৈধ পথে এর আমদানি কমছে। তবে অবৈধ পথে প্রচুর পরিমাণে ফরমালিন দেশে আসছে। আমদানি করা পণ্যে ফরমালিনের উপস্থিতি তদারক করা হচ্ছে না।

করণীয়: পবা বলছে, খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন মেশানোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও ফরমালিনযুক্ত খাদ্য বিক্রয়কারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড দেন। তবে এটাই যথেষ্ট নয়। এদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫-গ ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ধারায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ বা ভেজাল খাবার বিক্রয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাজারের ওপর নজরদারি দৃঢ় করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর সুপারিশও করেছে পবা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকারের কিছু আমলা নেতা আর মন্ত্রীরা ঘুষ খাবার জন্য ফরমালিন আমদানী নিষিদ্ধ করছেনা বলে শোনা যায়। মাত্র ১ কোটি টাকার ফরমালিন আসে বছরে দেশে! না আনলে কি হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.