![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোজা কথা বলতে পছন্দ করি......
শান্ত এক শহর দিনাজপুর। যেন ঘুমিয়ে পড়া কোন এক শহরের চিত্র আপনার চোখের সামনে। নেই বাড়তি কোলাহল, নেই জ্যাম জট, আছে শুধু প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য স্বাভাবিক ভাবে ছুটে চলা মানুষের পায়ের ধ্বনি। এই শহরের-ই চারিদিকে ছড়িয়ে আছে নানা নিদর্শণ। যা কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে যুগ যুগ ধরে। তেমনি এক নিদর্শনের নাম রামসাগর। এটা দিনাজপুর শহর হতে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে তেজপুর গ্রামে অবস্থিত। দিনাজপুর শহর থেকে তুলনামুলক অপ্রসস্ত একটি রাস্তা বয়ে চলে গেছে রাম সাগরের দিকে। রাস্তার দু ধারের সারি সারি গাছ আপনার মনকে করে তুলবে প্রানবন্ত । ক্ষনিকের জন্য আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য এক অজানা ভুবনে। দু ধারের গাছের উপরের দিক গুলো একসাথে মিলে গেছে যা প্রাকৃতিক ভাবেই একটা ছাদ তৈরী করে রেখেছে এইজন্য আপনার কাছে মনে হতে পারে কোন সুরঙ্গের ভিতর দিয়ে চলছেন আপনি।
ধারণা করা হয় রাজা রাম নাথ ১৭৫০ সালের কাছাকাছি কোন এক সময়ে এই রামসাগর খনন করেন। প্রায় ১.৫ মিলিয়ন শ্রমিক এতে অংশ নেয়। এটি উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১৭৮০ মিটার প্রসস্ত এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ১৯২ মিটার লম্বা। রামসাগরের চারিদিকে রয়েছে সুউচ্চ পাহাড় সাদৃশ বাধ বা পুকুরের পাড়। রয়েছে চারিদিক প্রদক্ষিণ করার রাস্তা। নানা ধরেনের পুরানো এবং নতুন গাছের সমাহারে সাজানো চারিদিক। রয়েছে পরবর্তীতে কৃত্রিম ভাবে বানানো নানা ধরনের পশু পাখির প্রকৃতি । এছাড়া কিছু হরিণও আপনার চোখে পরবে যা কতৃপক্ষ পরে সংযোজন করেছেন। পাখির কলতানে আর ঠান্ডা বাতাসের ঝলকানিতে মনের মধ্যে শান্তির পরশ পাবেন এ কথা বলা যায় নিসন্দেহে।
এই সাগর নিয়ে লোকও মুখে প্রচলিত আছে নানা ধরনের গল্প। কেউ কেউ বলেন পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করলে রাজা রাম নাথ এই পুকুর খনন করার পরিকল্পনা করেন । কেউ কেউ বলেন রাজার বাড়ি ছিল মধ্যখানে, পুকুর খননের পরে পানির জুয়ারে রাজার বাড়ি সহ পানির মধ্যে ডুবে গেছে। আরো কত গল্প শােনা যায় এই রামসাগর নিয়ে তার শেষ নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি এই গল্পগুজব আপনার ভাল লাগুক আর নাই লাগুক রামসাগর আপনার ভাল লাগার কথা।
চলুন ঝটপট দেখে নেই রামসাগরের কিছু দৃশ্য:
প্রবেশ পথ
রামসাগরের ভিতরের রাস্তা
রামসাগরের একাংশ
সুর্যাস্তের প্রহরের একটি দৃশ্য
রাস্তার দৃশ্য
রামসাগরের একাংশ
কৃত্রিম হরিণ
আরিজিনাল হরিণ
দুরদৃষ্টি
যাতায়াত: ১) ঢাকা থেকে আসাদগেট, কলেজগেট, শ্যমলী, কল্যাণপুর, টেকনিকাল মোড় অথবা গাবতলী হতে নাবিল, হানিফ, শ্যমলী, বা বাবলু এন্টার প্রাইজের চেয়ার কোচে করে সরাসরি দিনাজপুর। প্রায় সারাদিন ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা পরে পরে গাড়ি গুলো ছেড়ে যায়।
২) কমলাপুর থেকে ট্রেনে সরাসরি দিনাজপুর যাওয়া যায়। যা সন্ধা ৭:৫০ মিনিটে (মনে হয়) কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়।
দিনাজপুর শহর থেকে চার্জার রিক্সা, টেম্পু, বাস বা নরমাল রিক্সা দিয়ে রামসাগরে যেতে পারবেন।
আমি বলব রিক্সা বা চার্জার রিক্সা দিয়ে ভ্রমণ করুন বেশী ভাল লাগবে।
যাতায়াত সময় ( ঢাকা থেকে দিনাজপুর) : বাসে ৬-৮ ঘন্টা, ট্রেনে ১০-১২ ঘন্টা।
খরচা পাতিঃ নন এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৫০০-৬০০ টাকা ঢাকা থেকে দিনাজপুর আর ট্রেনের ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা [ বাসের যাত্রা বিরতী সিরাজগঞ্জ মোড় হতে বগুড়া পর্যন্ত দিয়ে থাকে। ফুড ভিলেজ, ফুড গার্ডেন, ফুড পেলেস, হানিফ হাইওয়ে, হোটেল পেন্টগন, হোটেল চিলিস এই সব রেস্টুরেন্টে সচারাচর যাত্রা বিরতী দিয়ে থাকে]
দিনাজপুরে মালদাপট্টি, বাহাদুরবাজার, মডার্ণমোড়ে কিছু আবাসিক হোটেল আসে। একদিনের জন্য ২০০-৫০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
দিনাজপুরের দেখার মত অন্যান্য স্থান গুলোঃ কান্তজির মন্দির, সুখ সাগর, মাতা সাগর, স্বপ্নপরী, রাজবাড়ী , সিংগাইর ফরেস্ট ইত্যাদি।
কৃতজ্ঞতা: গুগোল মামা। ক্যামেরা না থাকায় অনেক ছবি তুলতে পারি নি। তবে এই দৃশ্য গুলোই আমার চোখে ধরা পরেছে।
তাহলে আর দেরী কেন সময় সুযোগ পেলেই ঘুরে আসুন উত্তর বঙ্গের জেলা দিনাজপুরের রামসাগর থেকে । আর মনে নিয়ে আসুন শান্তির পরশ।
ধন্যবাদ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
পরের তরে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: এই গরমে রাম সাগর দেখে যেতে ইচ্ছে করতেছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
পরের তরে বলেছেন: আসলেই যে গরম পরেছে তাতে রাম সাগরে দু একটা ডুব দিলে আরাম লাগার কথা।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
মেঘপাখি আর বৃষ্টির গল্প বলেছেন: ভাই কৃত্রিম হরিণ হবে না,
হবে কৃত্রিম জিরাফ...
ভালো লাগলো পোষ্ট টা
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
পরের তরে বলেছেন: অনাকাংঙ্খিত ভুলের জন্য দুঃখিত। পরে ঠিক করে দিবনে। ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: দিনাজপুরে তিনচার ঘন্টার জন্য গেছিলাম। কিন্তু রাম সাগর দেখা হয়নাই। কান্তাজিউর মন্দির দেখছিলাম। অপেক্ষা করেন, আমিও আপনার মত ছবিসহ কান্তাজিউ মন্দির নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দেব যে কোনো দিন।
পোস্ট ভালো হইছে!!!!!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
পরের তরে বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম আপনার পোষ্টের। ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: ভালো লাগলো ছবিগুলো।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
পরের তরে বলেছেন: যদিও ছবি চেয়ে জায়গাটা আরো সুন্দর। ছবিগুলো একটা ধারণা দেবার জন্য। ভাল থাকবেন।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
অদৃশ্য বলেছেন:
সুন্দর একটা গায়গা... আমি কয়েকবার গেছি... আমার খুব ভালোলাগে ওখানে গেলে...
শুভকামনা...
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
পরের তরে বলেছেন: আমার ও ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
আকাশ১৩ বলেছেন: অনেক বার গিয়েছি। ২০ বারের উপর!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
পরের তরে বলেছেন: আপনাকে বলার কিছুই নাই। খালি কইবার চাই গুরু আপনাকে ছেলাম।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
একজন পথকবি বলেছেন: খুব সুন্দর যায়গা
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
পরের তরে বলেছেন: আসলেই সুন্দর। ধন্যবাদ।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
অন্য স্পর্শ বলেছেন: ভাল লিখেছন
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
পরের তরে বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
ফারহানা ইয়াসমিন সুমি বলেছেন: অনেক সুন্দর ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
পরের তরে বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
সাইলেন্স বলেছেন: ২০০০ সালে গেছিলাম, ছবিসহ পোস্টটা দেখে মনে পড়ে গেল পুরনো স্মৃতি।
পোস্টে প্লাস।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
পরের তরে বলেছেন: এটাই বোধহয় আমার সার্থকতা আপনাকে পুরোনো দিনের স্মৃতি একটু হলে মনে করিয়ে দিতে পারলাম। ধন্যবাদ।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
জন কার্টার বলেছেন: চমৎকার
ভাই ওখানে কোন রিসোর্ট আছে থাকার ??
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
পরের তরে বলেছেন: দিনাজপুর শহর খুব কাছে থাকায় মনে হয় রিসোর্ট তৈরী করা হয় নি। যাই হোক শহরে থেকে আপনি ঘুরতে পারবেন। সকালে বের হয়ে সন্ধায় ফিরে আসতে পারবেন।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো! এখন বাড়লো আরো
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
পরের তরে বলেছেন: শহরের এই কৃত্রিম স্পট গুলোর চেয়ে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা এই স্পট গুলো যে কত সুন্দর তা বলে বুঝানো যাবে না।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
বৃতি বলেছেন: ভাল লাগলো
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
পরের তরে বলেছেন: ভ্রমণ করতে পারলে আরো ভাল লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ।
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
পরের তরে বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
অন্য স্পর্শ বলেছেন: অনেক ছোট বেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম , আপনার ফটো ক্যাপশন গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে । আগের কমেন্টের জন্য দুক্ষিত ওটা অনিচ্ছাকৃত পোস্ট হয়েছে ।। ভাল থাকবেন ।।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
পরের তরে বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি ও ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ......।
উপকারে আসবে............