নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কল্পনাগুলোকে ফুটিয়ে তুলি কিবোর্ডের ছোয়ায়..

ভাল কিছু লিখার প্রত্যাশায় লিখি..

পরের তরে

সোজা কথা বলতে পছন্দ করি......

পরের তরে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন ঈদের ছুটি লইয়া আমরা কি করিব? :`> :`>

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে খুশি। ঈদ এলেই এই কথা গুলি বিভিন্ন কার্ড বা টিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শুনে থাকি। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর সবচেয়ে বড় এবং মুল উৎসব-ই হল ঈদ। কিন্তু হাসি বা খাশি হওয়ার সময় কোথায় আমাদের দেশের চাকরীজিবীদের?
হাসি ও খুশি না হওয়ার কারণ গুলোঃ
১) বাড়ী যাওয়ার টিকেট পাওয়া যাইতেছে না
২) এখনো বোনাস পাই নাই ( প্রাইভেট কোম্পানী গুলোর ক্ষেত্রে)
৩) অনেক কম্পানী আছে যাদের কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত হয় নাই
৪) এখনো গরু কিনা হয় নাই
৫) এখনো কসাই ঠিক করা হয় নাই
৬) বাড়ি যাওয়ার টিকেট পাইলে ও রিটার্ন টিকেট পাওয়া যায় নাই
৭) সর্বপোরি রাস্তার জ্যাম ও দুর্ঘটনায় শঙ্কা তো থাকছেই
৮) ইত্যাদি, ইত্যাদি....

তাহলে কি " ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে খুশি" এই ব্যাকের সাথে বাস্তবের কোন মিল থাকল ? বরং উল্টাটাই বলা যায় ঈদ মানেই পেরেশানী। যাই হোক আমি মুল বিষয় থেকে দুরে সরে যাচ্ছি। আমার বিষয় ছিল ঈদের ছুটি।

প্রথমে রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে কিছু বলি। মুলত দুই ঈদই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু রোজার ঈদে চাঁদ দেখার পরের দিন-ই ঈদ হয়। তাহলে আপনি আগে থেকে কিভাবে বুঝবেন চাঁদ কবে উঠবে। হয় একদিন আগে নতুবা একদিন পরে উঠবে। কিন্তু আপনার ছুটি তো ৩ দিন ফিক্সড।

এবার বলি কোরবানী ঈদের ছুটি নিয়ে, যেখানে কুরবানি ঈদের কুরবানী-ই করা যায় ৩ দিন। ঢাকার অনেকে তো প্রথম দিন কুরবানী-ই দিতে পারে না কসাইয়ের অভাবে। আবার যারা গ্রামে যায় ঈদ করতে ৪০০ কি.মি দুরে বাসা। তাদের তো যাইতে একদিন, আসতে একদিন চলে যায় এমন ও দেখা গেছে যে জ্যামে পরে ২০ থেকে ২৫ ঘন্টা চলে যায় পর্যন্ত তাহলে ৩ দিনের ছুটি কি তার জন্য যথেষ্ট হইল? এখানেও আছে চাঁদ দেখার ব্যাপার। ঈদের টিকেট কাটতে হয় ১৫ দিন আগে । যেখানে চাঁদ উঠে দশ দিন আগে। তাহলে আমি কোন তারিখের টিকেট কাটব?

সর্বপরি বলা যায় এমন একটা ছুটির মডেল আমাদের দেশের জন্য হওয়া উচিৎ যা আমাদের জন্য হবে আরামদায়ক। অন্যদেশগুলো কিভাবে ছুটি দিচ্ছে বা কয়দিন দিচ্ছে সেটা এখানে দেখার বিষয় নয় যেহেতু আমাদের উৎসবের ধরণ, যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহ অন্য সব রকম ব্যবস্থাগুলো ভিন্ন। কাজেই আমাদের ছুটি ২-৩ দিন বাড়িয়ে দিলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে বলে আমার মনে হয় না।

চাঁদ দেখা, টিকেট পাওয়া, রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির ফলে জ্যাম তৈরী হওয়া, অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার কোরবানীর বর্জ্য পরিস্কার না হওয়া এই সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে হলেও ছুটি বর্ধিত করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়।

এই ৩ দিনে কি একজন মানুষের দ্বারা সম্ভব তার অত্বীয়স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করা। যদি এইভাবেই চলতে থাকে,হয়তবা খুব বেশীদিন লাগবে না যখন ছেলে বাবাকে বলবে

ছেলে: ঐ লোকটা যে মা কে বুবু বলে ডাকে, উনে কে বাবা?
বাবা: ঐ টা তোর মামা। তোকে না বলেছিলাম তোর মামা লম্বা।
ছেলে: হু, এই বার মনে পরেছে, গত দশ বছর যার বর্ণনা আমাকে দিছো কিন্তু তোমার ছুটির কারণে দেখা হয় নি।

যাই হোক, লেখাতো শেষ হতে চায় না। অারো অনেক বিষয় ছিল লেখার। আজ এইখানেই লেখার মুলতবি টানছি। আশা করি, কতৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যথা ব্যবস্থা নিবেন। না হয় কবির মত আমাদের ও বলতে হবে, এমন ঈদের ছুটি লইয়া আমরা কি করিব?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: নানা প্রকার ঝক্কিঝামেলায় ইদ এখন অনেকটাই ম্লানময়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

পরের তরে বলেছেন: সেটাই জাহিদ ভাই। তারপরও আমার মনে হয় যদি দুই ঈদের ছুটিটা কিছুটা বাড়ানো হত মানুষ একটু রিলাক্সে ঈদটা কাটাতে পারত।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন পর পোস্ট দিলেন।

এবারের ঈদটা সেভাবে হবে না জানি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

পরের তরে বলেছেন: ভাই সবকিছুর একটা সময় থাকে। মনে হয় সেই সময়টা পার করে এসেছি। কি বোর্ড দিয়ে কিছুক্ষণ টাইপ করার পর অার এনার্জি থাকে না। তখন আর পোষ্ট করা হয় না। যা লেখেছিলাম তাও কেটে দিয়ে ব্লগ থেকে বের হয়ে যাই। এই হচ্ছে অবস্থা। যাইহোক ভাল থাকবেন।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঈদ মানে এখন অনেকের কাছেই দুর্ভোগ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

পরের তরে বলেছেন: আসলেই তাই। মনে হয় ঈদটা পার হইলেই মনে হয় বাঁচি। কিন্তু এইটা হওয়ার কথা ছিল না।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: আসলেও ছুটি বাড়ানো দরকার । আমি নিজের পরিবারের সমস্যাটার ব্যাপারে বলি । আমার বাবা বগুড়ায় একটা প্রাইভেট কোম্পানী তে জব করেন । কোম্পানী থেকে আমার বাবা কে প্রতিমাসেই ফ্যামিলি শিফ্ট করতে বলা হয় ।

এবারের ঈদে আমার বাবা শুক্রবার সকালে বগুড়া থেকে রওনা দেবেন । ঈদের সময় যা হয় তাই , তিনি মাঝরাতে ঢাকায় পৌঁছাবেন । পরের দিন শনিবার , ঈদ । তিনি সোমবার আবার বগুড়ায় রিটার্ণ করবেন ।

এখন কথা হলো , তিনি যে সামান্য সময় ছুটি পাচ্ছেন, তাতে কি তিনি ব্যামিলি নিয়ে আনন্দ করতে পারবেন ? নিশ্চয়ই না । আর এতো পরিশ্রমের ফলে অসুস্থ হয়ে যাওয়াও বিচিত্র নয় ।

কবে যে প্রাইভেট কোম্পানী গুলো এ বিষয়টা বুঝতে পারবে কে জানে !

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০০

পরের তরে বলেছেন: এই বিষয়গুলা খুব কষ্টদায়ক। আশা করছি এই ধরণের লেখা বেশী বেশী পোষ্ট হলে কর্তপক্ষের নজরে আসবে। ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: এতো কষ্ট করে ঈদ করার কি দরকার। কোরবনীর টাকাটা বন্যা দূর্গতদের দান করে দিন। তারপর ঢাকার ফাঁকা ঈদ যাপন করুন প্রাণ খুলে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

পরের তরে বলেছেন: ভাই ঢাকায় তো আর সবাই থাকে না। বাবা-মা থাকে গ্রামে। তাদের দেখতে মন চায়। ঈদ ছাড়া তেমন অার সময় তো পাওয়া যায় না।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বিভিন্ন দিবসের ছুটিগুলি বাতিল করে ধর্মীয় উৎসবে ছুটি বাড়ানো উচিৎ। জাতীয় দিবসগুলি চাইলে অফিসেই ভালোভাবে উদযাপন করা যায়। শুধু শুধু বাসায় বসিয়ে রাখার কোন দরকার নেই। আমরা তো তিন দিন বন্ধ পাই। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা পায় মাত্র একদিন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৬

পরের তরে বলেছেন: স্ব স্ব ধর্মের প্রধান উৎসব গুলির ছুটি বাড়ানো উচিৎ। আপনের সাথে সহমত যে বিভিন্ন দিবসের ছুটিগুলি বাতিল করে ধর্মীয় উৎসবে ছুটি বাড়ানো উচিৎ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সুমন কর বলেছেন: এখনকার যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই যন্ত্র !

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৯

পরের তরে বলেছেন: আসলেই ভাই রোবট হয়ে গেছি। অফিসেও কাজ, বাসায় ও অফিসের কাজ, সবমিলে একটা রবটিক লাইফ লিড করছি। এই ঈদ তো চলেই গেল। আশাকরি আগমী ঈদ, পূজা বা অন্যধর্মের বড় বড় উৎসবগুলির ছুটি বাড়ানো হবে, তবেই যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবকিছুর মেতাই এটাও অনিয়ন্ত্রিত!

কোন ঈদে ৯ দিন তো কোন ঈদে ১ দিনও না!!!!!

সমন্বিত, সুষম ছুটির নিয়ম সকলেরই কাম্য

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৬

পরের তরে বলেছেন: আসলেই সমন্বিত ছুটির নিয়ম দরকার। যদি এই রকম হতো যে, ঈদের ছুটি ৭ দিন। পাশাপাশি এক ঈদে উত্তরবঙ্গের লোক বাড়ী যাবেও ২ দিন আগে, আসবেও ২ দিন আগে। আবার পরের ঈদে দক্ষিণবঙ্গের লোক বাড়ি যাবে অাগে, আসবে আগে। তাহলে হয়ত রাস্তায় জ্যাম ও কম হতো পাশাপাশি গাড়ীর সংকট ও দুর হত। ঈদের ছুটিতে দেখা যায ১ বা ২ দিন বাড়ী যাওয়ার চাপ থাকে সবথেকে বেশী যেহেতু একিসাথে সবার ছুটি হয়। কাজেই হানিফ কি ২০ টা গাড়ি পয়দা করবে ঐ এক দিনের জন্য?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.