নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয়? কবি নই, গল্পকার নই, আবার গবেষক, পর্যটকও নই... সামুর খুব সাধারন এক পাঠিকা আমি। ও.. আর একটা পরিচয় আছে।ব্লগের কোথায় যেন পড়ছিলাম, \"সকল ব্লগারই ফেসবুকার কিন্তু সকল ফেসবুকার ব্লগার নয়।\" এই মতে আমিই একমাত্র ব্লগার যে কিনা ফেসবুকার নই।

অন্তঃপুরবাসিনী

অন্তঃপুরবাসিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গিয়েছিলাম সাগরদাঁড়ি, মহাকবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২



দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল । এ সমাধিস্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
বিরাম) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত্ত
দত্ত-কূলোদ্ভব কবি শ্রী মধুসূদন ।
যশোরে সাগরদাঁড়ী কপোতাক্ষ-তীরে
জন্মভূমী, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী ।

কবি ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতাস্থ আলিপুর ইউরোপীও জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণের পূর্ব মুহূর্তে ১৪ অক্ষরে আট লাইনের এই কবিতা লিখে বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর যেন এই ‘সমাধি’ লিপি কবিতাটি তাঁর সমাধির উপরে লিখে রাখা হয় ।
সাগরদাঁড়ি গ্রামেই কবির পৈত্রিক নিবাস;মাত্র ৯বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সাগরদাঁড়ি ছিলেন। শৈশবের বেড়ে ওঠা ও বাল্যশিক্ষা অর্জন এগ্রামেই। মাত্র তিন বৎসর শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় সুনাম অর্জন করেছিলেন মধুসূদন দত্ত । শৈশবে তাঁর মধ্যে অসাধারণ প্রতিভা ধরা পড়ে । তাই শিক্ষক হরলাল রায় কবিকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন-
নামে মধু, হৃদে মধু বাক্যে মধু যার
এহেন মধুরে ভুলে সাধ্য আছে কার।
হরলাল রয়ের মধু’কে ভুলার সাধ্য কারও নেই । :(:(

আগে যখন গিয়েছি টিকেট লাগেনি। এইবার লাগল।


কবিবাড়ির পুকুরঘাট



একটা জিনিস আমার খারাপ লেগেছে কোন ভবনটা কি কাজে ব্যবহৃত হত তা কোথাও লেখা পাইনি। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ চাইলে দর্শনার্থীদের এই সুবিধাটা করতে পারত।














ভিতর বাড়ী



কবির প্রসূতিস্থল আর স্মৃতি স্তম্ভ।




কবির প্রতিকৃতি।


এই কপোতাক্ষ নদকে ভালবেসেই ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে রচনা করেছিলেন-
সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে,
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-মন্ত্র ধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে ।
বহুদেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে।
(কবিতাটা পড়লে মনটা খারাপ হয়ে যায় কবির জন্য :( )


জানিনা প্রিয় নদের এই হাল দেখলে কবি কি লিখতেন।:(

ব্লগে আমি একা না আরো অনেকেই মধুপল্লী গিয়েছেন।

নিশম ভাইয়ার ভ্রমণ বিলাস

ইভা লুসি সেনের মধুমেলা

এহসান ভাইয়াও গিয়েছিলেন

সুতরাং আপনারাও পিছিয়ে থাকবেন না :)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

শায়মা বলেছেন: একদিন এই সুবিশাল বাড়ির চৌহদ্দিতে ছিলো কত মানুষের পদচারণা! আজ কোথাও কেউ নেই।:(

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: কঠিন বলে কবির লেখা তেমন পড়া হয়নি।
তবু কবির জন্য খুব মন খারাপ হয় তাঁর মেধা আর শেষ পরিণতির কথা ভাবলে। :(

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিজন রয় বলেছেন: অনেকবার গিয়েছি।

সুন্দর।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !!

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

মহসিন উদ্দিন বলেছেন: বিখ্যাত কবির সম্পর্কে অনেক কিছু শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: নদীমাতার দেশে হয়ে গেছে নদী দাদির দেশ।

গিয়েছিলাম বহু আগে তখন সবকিছু এখনকার মত সাঁজানো সুন্দর ছিলোনা ছবিতে যেমন দেখছি।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য
শুভ কামনা

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: হুম এখন বেশ সাজানো।

গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। :)

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শেষ পরিনতির কথা মনে পড়লে খারাপই লাগে।।
ছবিগুলিতে দালানসহ স্মৃতিস্থম্ভগুলির বেশ যত্ন সহকারে রক্ষনাবেক্ষন করা হয়ে থাকে।। দায়িত্বভার কে বা কাদের উপর।। কখনো যাই নি বলে জানি না।।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৬

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে।
আমি যতটুকু জানি দায়িত্বভার সরকারের উপর।
এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন
পরবর্তীতে দেশে আসলে অবশ্যই ঘুরে যাবেন।:)

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৬

নেফার সেটি বলেছেন: যশোর জেলার বাসিন্দা হওয়ার কারণে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। কপোতাক্ষরে দেখলে দুঃখ লাগে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: হায়রে কপোতাক্ষ!!! :(
তালা, কপিলমনির কপোতাক্ষ তো হেটে পার হওয়া যায়। :(
এখন অবশ্য খনন চলছে এটাই আশার কথা।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগলো আপনার এই পোস্টটা ।সাগরদাঁড়ী যাওয়া হয়নি কখনও, তবে মধুসূদনের লেখা কবিতা, নাটক, চিঠি বেশ কিছুটা পড়েছি ।
তার এপিটাফের কবিতাটা পড়লেই মন খারাপ হয়ে যায় । মনে হয়, তার জীবনের দুঃখের অনেকটাই ধরা পড়েছে এপিটাফের কবিতাটিতে..........।

আর হ্যা, কপোতাক্ষের বর্তমান চেহারা দেখে আতঁকে উঠলাম। কি ভয়ঙ্কর !!!!!

শুভকামনা রইলো.......।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: মধুসূদনের লেখা কঠিন লাগে। তাই পড়া হয়নি তেমন। তবে 'কপোতাক্ষ নদ' আমার খুব প্রিয়।

দেশে আসলে সাগরদাঁড়ি ঘুরে যাবেন আশা করি। :)
আপনার মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মধূপল্লীর মধুময় ভ্রমনে ভার্চুয়াল সংগী করায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

খালি শোনা জিনিষ চক্সু মেলে দেখা হল.....

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না ভাই, বড় পরিবার।। সবাই ঢাকাতেই।। সুতরাং একদিন করে বেড়ালেও সময় কুলায় না।।
যা দেখেছি '৭৪ থেকে '৮৬ পর্যন্ত।। কিন্তু তখন দেখা হয় নি চক্ষু মেলিয়া।। অন্ধের মত পথের নর্দেশনাই ছিলো প্রধান।।
তবুও চেষ্টা করবো।।
ভাল থাকুন, দেশপ্রেম নিয়ে।।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি দেইখ্যা!

১২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটা পড়ে। খুব যত্নের সাথে ছবিগুলো তুলেছেন এবং এখানে দিয়েছেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি ২০০৮ সালের দিকে একবার সেখানে গিয়েছিলাম। মন্তব্যের খাতায় অনেক বড় বড় লোকের ভালো ভালো মন্তব্য পড়েছিলাম। কিন্তু সংরক্ষণের করুণ মান দেখে ব্যথিত হয়েছিলাম। আপনার ছবিগুলো দেখে আনন্দিত হলাম এজন্য যে দেখে মনে হচ্ছে, দালান কোঠার সংরক্ষণের মানের উন্নতি হয়েছে। তবে কপোতাক্ষ নদের অবস্থা আজও করুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.