![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা না রাখার স্বদেশে; আর কথার কন্টক বেঁধাতে চাইনা। তাই কথার রাজ্যে কথার ফেরি করে ফিরি রোজ। হা-পিতেশ করতে গিয়েও ঠেকে যাই। হয়তো জীবনটা এমনই কেউ হারে কেউ জেতে।ভালবাসার সংবৃতি নেই বলে আহত হই; তবুও পড়ে থাকি নুড়ি’র মতো যদি মুক্তো ভেবে কেউ হাতে তোলে; যদি ওঁচলা ভেবে কেউ ছুড়ে ফেলে তবুও তেমনি থাকি, যেমনি আছি এখনো। কারও সংবেদ্য না হতে পারি নৈবেদ্য হতে দোষ কি!!\nযোগাযোগ: facebook.com/aru.sokal
১.
পাথরে আশ্চর্য ফুল! তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস। তোর হাতের মুঠোতে এক মাঠ ঘৃণা নিয়ে শুয়ে আছিস, ছড়িয়ে দে? শামুকের গাঁয়। ওদের অত তাড়া নেই! নেবে সব।
হাওয়ায় স্বপ্নও ভাসে; তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস! ইস্ তোর চোখ নেই কেন? ঘুমে তোর চোখ নিয়ে গেছে। আমি রোজ জেগে থেকে দেখি আর তুমি ঘুমোস একাকী।
২.
তোমাকে উল্টে দিতাম
যদি হতে দু’শো পৃষ্ঠার কোন এক বই
কিংবা খুচরো পয়সার এক পিঠ।
ভাসিয়ে দিতাম কাগুজে নৌকা অথবা খসে পড়া একটা হলুদ পাতার মতো।
৩.
অথবা রবীন্দ্রনাথ। তিনি লিখলেন গোটা গোটা অক্ষরে। আমার চোখে শব্দতীর ছুড়ে দিলেন তিনি। তীর চোখে গেঁথে উন্মদ ষাঁড় হয়ে ছুটলাম কুল-গলিতে। ঘুলঘুলির পাহারাদার কিংবা চিলেকোঠার আধখোলা জানালা হতে পেলে বেশ হতো! গিলে নিতাম আধটা গগন! যদি আমার শব্দ জমিতে গীত বিতানের সমস্ত অনুরাগ মিশিয়ে দিতে পেতাম তোমাদের বিষনয়ন নগরে, তাহলে আরও একটা রবীন্দ্রনাথ হতো।
৪.
কে বড়?
বিশ্বাস না সন্দেহ? তুমি হয়তো গিলটির গয়নাকে বড় বেশি যত্ন করে রাখনা, সে বড্ড চকমকি বলে কখনো-সখনো তোমাকেই রক্কাক্ত করে তোলে; তবুও বিশ্বাস! সোনার অভাব মিটিয়ে দেয়। অন্ধকেও বিশ্বাস করতে ভয়; কেননা সেও কামকেলী বোঝে। সেও হাত দিতে পারে উন্মত্ত উরসিজে! সন্দেহ অন্ধেরও হয়; ঝিনুকের মতো। সত্যিই কি বালুকণা থেকে মুক্তো হয়? সন্দেহ যেন উনুন কন্যা। তার চাওয়ার শেষ নেই। পাথরের মুর্তিকে বিশ্বাস নেই! সৃষ্টিকর্তা নিরাকার- তার আবার আকার কি? তবুও মাথা ঠেকানো যদি ‘মেলে’ ।
৫.
কলমে ভর করেছে বিদ্যংদেহী! এবার ছুটবে শব্দঘোড়া আমার। অলি-গলি, কাদামাটি। শুদ্ধ-অশুদ্ধ, মঙ্গল ও জল শঙ্খের আওয়াজে মাতিয়ে তুলবে। ভাবছি কলম চুইয়ে যেন রক্ত না পড়ে আবার!
৬.
জীবন বাকীর খাতা খুলে রেখেছে সে। আদা, তেল, নুন, ময়দা সব বাকী। বাকী গুড্ডুর জন্য কেনা বার্লি। তালি পকেট তালি গড়ের মাঠ বাকীর হাট। পান্তা আর পাস্তা সব যেন খাস্তা। জীবনটাও বাকী। নষ্ট রাজনীতিবিদদের প্রিয় খাতা। কবে শুধবো ঋণ! আমি খুজছি “ ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি” গানটির রচয়িতাকে। অনেক বাকী পড়ে গেছে তার কাছে।
=======================================
রচনাকাল:
৯ ফেব্রুয়ারী-২০১৪ খ্রিঃ
সুসং নগর।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: টাইপে মিসটেক ছিল।
খেয়াল করিনি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ;
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯
বেলা শেষে বলেছেন: পদ্য এবং গদ্য - ভাল লাগল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩১
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ইয়া
ইয়া
ভালো থাকবেন
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল হয়েছে +
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদনম কবি
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ৩ নাম্বার বেশি ভালো লাগছে ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভা ই
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১২
আমি রেদওয়ান বলেছেন: গদ্য আর পদ্য একসাথে। আইডিয়াটা ভালো
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ
একটু ব্যাতিক্রম করার চেষ্টা ছিল আর কি
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৭
আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: ভালো লেগেছে ,
১নং এ তুই আর তুমির গরমিল মনে হচ্ছে ।।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
নিমগ্ন পাঠে কৃতজ্ঞতা
৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: তিনি লিখলেন গোটা গোটা অক্ষরে। আমার চোখে শব্দতীর ছুড়ে দিলেন তিনি। তীর চোখে গেঁথে উন্মদ ষাঁড় হয়ে ছুটলাম কুল-গলিতে। ঘুলঘুলির পাহারাদার কিংবা চিলেকোঠার আধখোলা জানালা হতে পেলে বেশ হতো! গিলে নিতাম আধটা গগন! যদি আমার শব্দ জমিতে গীত বিতানের সমস্ত অনুরাগ মিশিয়ে দিতে পেতাম তোমাদের বিষনয়ন নগরে তাহলে আর রবীন্দ্রনাথ হতো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০২
সুমন কর বলেছেন: সব ভাল। তবে ৪, ৫, ৬ বেশী।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
সুমন ভা ই ভালো থাকবেন
৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: তোমাকে উল্টে দিতাম
যদি হতে দু’শো পৃষ্ঠার কোন এক বই
কিংবা খুচরো পয়সার এক পিঠ।
ভাসিয়ে দিতাম কাগুজে নৌকা অথবা খসে পড়া একটা হলুদ পাতার মতো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
অদৃশ্য বলেছেন:
বেশ ভালো লেগেছে আমার...
শুভকামনা...
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
অদৃশ্য
ভালো আছেন তো?
১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চমৎকার শব্দঘোড়া। অনেক শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
গল্পাকার_
১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুদ্ধ সকাল ,
ঘোড়ার মতোই বেশ টগবগিয়ে গেছে শব্দেরা ।
"জানালা হতে পেলে বেশ হতো! গিলে নিতাম আধটা গগন! "
সবাই কি তা পারে ! জীবনটাই যে গুড্ডুর বার্লি কিনতে কিনতে হাসফাঁসে ভরা । চোখ থাকলে দেখতে পেতো সবাই !
শুভেচ্ছান্তে ........
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
কত কিছু যে থেকে যায়। তারপরও জীবন।
ভালো থাকবেন।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৫
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার
দারুন সব গুলোই
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৩
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
উদাস কিশোর
১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩০
এম এ কাশেম বলেছেন: গদ্য কবিতা
সাবলীল শব্দ চয়ন
ভাবের গভীরতা
পারস্পরিকতা
বেশ চমৎকার হয়েছে কবি।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগে
এমন মন্তব্যে
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শব্দঘোড়া ছুটে চলুক !
প্রথম প্যারা টা কেমন জানি খাপ ছাড়া লেগেছে ! তারপর
মুগ্ধপাঠ !