![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা না রাখার স্বদেশে; আর কথার কন্টক বেঁধাতে চাইনা। তাই কথার রাজ্যে কথার ফেরি করে ফিরি রোজ। হা-পিতেশ করতে গিয়েও ঠেকে যাই। হয়তো জীবনটা এমনই কেউ হারে কেউ জেতে।ভালবাসার সংবৃতি নেই বলে আহত হই; তবুও পড়ে থাকি নুড়ি’র মতো যদি মুক্তো ভেবে কেউ হাতে তোলে; যদি ওঁচলা ভেবে কেউ ছুড়ে ফেলে তবুও তেমনি থাকি, যেমনি আছি এখনো। কারও সংবেদ্য না হতে পারি নৈবেদ্য হতে দোষ কি!!\nযোগাযোগ: facebook.com/aru.sokal
অপুত্রক
অপুত্রক রজনীকান্ত চেয়েছিলেন তিনি পটল তুলবার আগেই রুপমতীর জন্য কেউ অন্তত থাকুক। দূর্ঘটনায় পা হারাবার পর থেকে সে ভাবনাটা আর বেশি ভাবিয়ে তুলেছিল। ষোল-একত্রিশে বিয়ে হলে পরে পুরুষদের বোধহয় একটু আগেই অপসারিত হতে হয়। শরীরটাও মাঝে মাঝে সেরকমটাই জানান দেয়। নিজের জন্য না হোক রপমতীর মাথার উপর থেকে একটা ছাতা থাকুক। অনেকটা অপরাগ হয়েই সমাজের অপাংক্তেয় কোন এক সুফিয়াকে সারোগেসিওর জন্য ভাড়া করে নিলেন তিনি। রুপমতীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বলেই অতটা মায়া জন্মে গিয়েছিল। এতটা বছর কেটে গেলেও ঘরে আর একটা ঘোমটা টানা কারো আয়োজন করতে পারেননি।
দশমাস পর নিরবিচ্ছিন্ন ঘর যখন কান্নাঘরে পরিনত হলো তখন মনের ভেতর থেকে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করতে পেরেছিলেন রজনীকান্ত। মরে যাবার মত বয়েস না হলেও অজানা পাপে মৃত্যুভয়টা রোজ তাড়া করে ফিরত। নীচতলায় বসেই রজনীকান্তের মনে হতো চোখ দুটো তার পেরিস্কোপ হয়ে গেছে যেন তিনি ঠিক দেখতে পাচ্ছিলেন উপর তলায় বেড়ে উঠছে একমাত্র প্রতিভাসিত সন্তান।
নীচতলায় বসে দোকানদারি করেই ভেবেছিলেন একদিন চলে যাবেন কিন্তু প্রতীক্ষামান দিন ফুরিয়ে গিয়ে রুপমতীই একদিন হঠাৎ করে চলে গেল যে ভয়টা নিজেকে নিয়ে ছিল সেটা যে এভাবে পাল্টে যাবে তা বুঝে উঠতে পারেননি।
ঋষভ
এ্যাই, ঋষভ আমাকে চিনতে পারছিস না? আমি উর্মি!
এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে যাবার জন্য সি.এন.জি নিয়েছিলাম। সেটা থেকে যখন নামতে গেলাম তখনই দেখা হয়ে গেল ওর সাথে। অনেকদিন পর দেখা প্রায় একযুগ। ঋষভ আর আমি; আমরা বন্ধু ছিলাম স্কুলের শেষ দু-ক্লাস থেকে কলেজের হায়ার সেকেন্ডারি পর্যন্ত। তারপর আর ওর দেখা পাইনি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য আমি শহরে চলে এলাম ব্যাস তারপর থেকে যোগাযোগটাও ঢিলে হয়ে গেল। প্রথম প্রথম অবশ্যি বাড়ি গেলে দু-একবার দেখা হতো তারপর শেষের দিকটায় আমার বিয়ের আগে ওর কোন দেখাই পেলাম না যে কারনে বিয়ের কার্ডটাও দেয়া হয়ে উঠেনি অথচ ও বলেছিল আমার বিয়েতে কবজি ডুবিয়ে খাবে। আহা! সেসব দিনের কথা এখন শুধু এ্যালবামের পাতায় বন্দি। ঋষভ গিটার বাজাতে পারতো সর্ব শেষ জেনেছিলাম অনভিপ্রেত কোন কারনে গিটারিস্ট হবার ইচ্ছেতে জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে। এরপর আমি গ্রামের পাট চুকিয়ে পাকাপোক্ত ভাবে শহুরে বাসিন্দা হয়ে গেলাম বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলোতে শ্যাওলা জমে গেল। কখনো কখনো সে শ্যাওলায় স্মৃতিগুলো আছরে পড়ে এক-আধটু ব্যাথা পেত এই যা।
আজ ঋষভের সাথে দেখা হয়ে অনেকদিন পর সে ব্যাথাটা জেগে উঠলো কঠিন ভাবে। সন্ধ্যের আগে দাঁড়িয়েছিলাম সিএনজির জন্য অফিস কর্তার বাড়ি যাব বিয়ে বার্ষিকীতে মোড়ের এদিকটায় রিকসাও আসেনা অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকবার পর হঠাৎ সি.এ.জির দেখা পেলাম কোন রকম দরদাম না করেই উঠে বসলাম। জেলা স্মরনীর মোড়ে এসে নামতে গিয়ে দেখি ভাংতি নেই কুড়ি টাকার নোটটা আলগোছে এগিয়ে দিতেই ড্রাইভার বললো ভাংতি লাগবে তো? আমি বললাম কুড়ি টাকাই নিয়ে নেন ফেরত দেয়া লাগবে না। ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়েছিলাম কিন্তু এ সময় ড্রাইভার বলে উঠলে অনুকম্পা দিচ্ছেন ম্যাডাম? এবার মুখের দিকে চেয়ে অবাক হয়ে গেলাম। এ-যে গিটারিস্ট ঋষভ!
টাকা নিল না। ওকে এ অবস্থায় দেখে মনটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গেল। মন খারাপ নিয়ে হাসতে পারাটা খুব কঠিন! কিন্তু তারপরও হাসতে হলো যদিও ভেতরে তখন ভীষন রকমের তোলপাড়। আজ একই শহুরে বাতাসে একই শহুরে আকাশে দুজন হাটি, অথচ কতটা ব্যবধান! না চেনার অভিনয় করে পথচলা, না চেনার ভান ধরে কথা বলা অথচ কতখানি স্থান জুড়ে স্মৃতির কলকাকলী।
________________________________________
রচনাকাল:
১লা মার্চ-২০১৪ খ্রিঃ
নর্থ ষ্ট্রিট,
সুসং নগর।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
পাঠে আপ্লুতা
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৩
বৃষ্টিধারা বলেছেন: বাহ
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
ধারাবৃষ্টি
ভালোআছেন তো?
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩২
সুমন কর বলেছেন: ঋষভ বেশি ভাল লাগল। প্রথমটি আবার পড়তে হবে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০
খগম বলেছেন: It is life.
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথমটি বেশি ভালো লাগছে । লেখার মাঝখান থেকে কিছু 'দাড়ি-কমা' হারিয়ে গিয়েছে ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
হুম
ওগুলো পরে ঠিক করে নিতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ
মামুন ভাই
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখায় ভাল লাগা রইল।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ।
কান্ডারী ভাই ভালো থাকবেন
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: ওরে ভাই, লাস্টে দৃশ্যপট তো পুরাই চেঞ্জ!
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
প্রো-পিকের বেবিটা কিন্তু নাইস
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
নিশাত তাসনিম বলেছেন: অনেকটা অপরাগ হয়েই সমাজের অপাংক্তেয় কোন এক সুফিয়াকে সারোগেসিওর জন্য ভাড়া করে নিলেন তিনি।
অপারগ হবে মনে হয় ।
ভালো লাগলো পড়ে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
হ্যা
বানান নিয়ে সমস্যা কাটেনি
ভালো থাকবেন
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কথাগুলো গল্প হয়েই কথা বলছে প্রিয় অরুদ্ধ সকাল !
ভালো লাগলো !
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
অল্প গল্প লিখলাম।
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম,ভালো....
আপনি কেমনাছেন ?
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ভালো আছি। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম,অনেক দিন পর ই এলাম
ভালো লাগে না আসতে ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
এবার থাকুন কিছুদিন
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০২
বৃষ্টিধারা বলেছেন: থাকব ভেবে পোষ্ট দিলাম ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ
২০টিধারা
১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুণ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ধন্যবাদ
দুর্জয় কবি
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর