নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঁধাহীন, দৃঢ় ও মুক্ত কণ্ঠের আহ্বান

www.facebook.com/ArunodoyOfficial

অরুণোদয়

এমন করেই যায় যদি দিন, যাক না..............

অরুণোদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

টোকাইঃ মানুষের অগোচরে জন্ম নিচ্ছে আশঙ্কাজনক বিপথগামী এক সম্প্রদায়

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

"টোকাই" শব্দটির উদ্ভাবক বাংলাদেশের প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট মোঃ রফিকুন্নবি ওরফে রনবি। টোকাই বলতে আমরা সাধারনত তাদেরকেই বুঝি, শিশু বা কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়ে যারা একটা বস্তা নিয়ে রাস্তা ঘাটে, পার্কে বা বিভিন্ন পাবলিক প্লেসের থেকে মানুষের ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিক বা কাগজের সামগ্রী সংগ্রহ করে...

অন্তত ৬-৭ বছর আগে হলেও টোকাই বলতে তাই বোঝা যেত... কিন্তু বর্তমানে টোকাইদের কাজ কি শুধু এতেই থেমে আছে???





খেয়াল করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ টোকাই ই নেশাগ্রস্থ! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাদের পরিবার বলতে কেউ নেই.. হয় জন্মের পর বাবা-মা তাদের ফেলে চলে গিয়েছে, বা সৎ ম্যায়ের অত্যাচারে এক বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বড় হয় তারা... দুঃখ ও ক্ষুধার জ্বালা ভুলতে বেছে নেয় মাদককে!!



বেশিরভাগ টোকাই সিগারেট, গাঁজা বা নতুন এক নেশাদ্রব্য, ড্যান্ডির নেশায় আক্রান্ত..





কিন্তু তাদের যা উপার্জন, টা দিয়ে তাদের নেশার খরচ চালানো সম্ভব না... তাই তারা বেছে নিচ্ছে চুরি, ছিনতাই, মাদক সাপ্লাই সহ নানা অপকর্মের পন্থা! মাদক ব্যাবসায়ীরা তাদের মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে... অনেক সময় তারা চুরি করে ধরা খাচ্ছে, ছিনতাই করছে...

এইত, ঈদের আগের দিন রাতে আমার মোবাইল এক টোকাই বাসের জানালা দিয়ে টান দিল... যেভাবে টান দিয়েছিল, তাতে অন্য বাসের তলায় পরে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত! কিন্তু, তার যে নেশার টাকা জোগাড় করতে হবে!!





এমন করে চলতে থাকলে দেশে এক বিপথগামী সম্প্রদায়ের বিস্তার ঘটবে, বেড়ে যাবে মাদকের সহজলভ্যতা! আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে..

আমাদের কি ওদের জন্য কিছুই করার নেই??

তবে সাধারন মানুষের পক্ষে তেমন কিছু করা হয়তবা সম্ভব না, কিন্তু সরকার তো পারে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করে ওদের নতুন জীবন দিতে! এতে তো উভয় পক্ষেরই লাভ! দেশের পরিস্থিতিও বদলে যাবে, আবার অনেক গুলো অবুঝ শিশু বিপথে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে!!



কিন্তু আমাদের দেশে কি আদৌ এমন কিছু হবে??????? এতাই এখন প্রশ্ন!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

আল ইফরান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষে থাকা অবস্থায় টোকাইদের নিয়ে একটা ফিল্ড স্টাডি করেছিলাম।
আপনি যা বললেন প্রকৃ্ত অবস্থা তার থেকেও বেশী করুণ এবং ভয়াবহ। :(
বিশেষ করে রাস্তায় বড় হওয়া মেয়ে শিশুদের কথা না বললেই না।
এই শ্রেণীর মধ্যে সবচাইতে ভালনারেবল গ্রুপ এই অংশটাই।
ঐশীদের নিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের গেল গেল ডাক শোনা গেলেও, হাজার হাজার ঐশীর শৈশব যে পিচঢালা রাজপথের শুন্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে সেটা নিয়ে তাদের আপাতদৃস্টিতে কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না X(

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

অরুণোদয় বলেছেন: মাথা ব্যাথা থাকবে কেন, টোকাইরাতো গরিবের সন্তান! ওদের জীবনের তো কোন মূল্যই নেই... ওরা বাঁচে কি মরে, কারো কি কিছু আসে যায়??

ঐশী বড়লোকের মেয়ে, ওকে নিয়ে লেখালেখি করলে ওদের লাভ! ভাল স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছে, বাবা পুলিশ এর স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর অফিসার! মিডিয়া কভারেজ তো ঐশীই পাবে!! :@ :@

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: এইসব দেখার কেউ নাই......... মানবাধিকারের লোকজন জন্য খুনী সন্ত্রাসীদের অধিকার নিয়া বিজি

মোবাইল কি নিতে পারছিল???

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

অরুণোদয় বলেছেন: হ্যা ভাই... মোবাইল টা নিয়ে গেছে... ওইটা আর পাই নাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.