নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা লিখি তাহা ভুল করে লিখি যাহা লিখিতে চাই তাহা পারিনা ।সংশয়ে কলম সদা দোলেপাছে লেখা বিপদে ফেলে

আসামিহাজির

আসামিহাজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

কন্ট্রাক্ট

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪





আজকে আমার রিমান্ডের চতুর্থ দিন চলছে , সাতদিনের রিমান্ডের বাকি আর তিন দিন । আমার অপরাধ গুরুতর,পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার চেষ্টার সন্দেহভাজন আসামি । যে দারোগা মামলাকরেছে তার নাম খোরশেদ দারোগা , আমাদের থানায় নতুন এলেও চাকরির বয়স বিশ বছর আসার চার মাসের মধ্যে সবাই তাকে একনামে চিনে ফেলেছে ঝানু মাল উপরের মহলে হাত থাকায় ওসি সাহেবও তার বেপারে কথা বলেন না । আসামিরা খোরশেদ দারোগার নাম শুনলে ছালাম ঠুকে । দারোগা সাহেব একটু আগেও হাজত খানায় এসে খোঁজ খবর নিয়ে গেলেন সকালের নাস্তা খেয়েছি কিনা।দারোগা সাহেবের সাথে অন্য কোনো কথা হলো না দেয়ালের ও কান আছে ।উনি আজকের একটা পেপার হাতে করে এসেছিলেন ইচ্ছা করে ভুল করার অভিনয় করে রেখে গেলেন । হ্যা খবর টা আছে তিন নম্বর পাতায় ছোট্ট একটা কলামে লিখেছে দারিদ্রের জ্বালা সইতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা।
আপনারা হয়তো ভাবছেন রিমান্ডে আমাকে মারধর কেমন দেয় আসলে সত্যি বলতে কি রিমান্ডে আমাকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ বা মারধর করা হয় না কারণটা এইবার আপনাদের খুলেই বলি।
আমার নাম মালেক ।এলাকায় আমার অতীত কর্মকান্ডের জন্য আমাকে সবাই গুটি মালেক নামেই চেনে ।আমি কাজ করি বুদ্ধি দিয়ে। আমি অনেক কাজ ই কন্টাক্ট এ করি তবে সবার সাথে আমি কন্টাক্ট করি না বা ছোটোখাটো কন্টাক্ট নেই না।
একটা কাজের কন্টাক্টে অন্য মামলায় আমি এখন রিমান্ড এ আছি যাতে আমাকে কেউ সন্দহ না করে ।কাজটা কাল রাতে যখন আমাকে নিয়ে দারোগা সাহেব সহযোগীদের ধরার নাম বাইরে নিয়ে গেলেন তখন করে এসেছি ।মিনিট পাঁচেকের হাতের কাজ । আমি যেহেতু রিমান্ডে তাই আমাকে কেউ সন্দেহ করার সুযোগ নেই আর কাজটা যার জন্য করার কন্ট্রাক্ট সেই দারোগার কাছেই আমি রিমান্ড এ আছি । নিখুঁত প্ল্যান মাসখানেক পরে নির্দোষ ভুল লোককে পুলিশের উপর হামলায় সন্দেহজনক ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল খোরশেদ দারোগার এই রিপোর্ট নিয়ে বের হয়ে যাবো । মাঝখান থেকে তিন লাখ কামাই মন্দ না ।
আপনারা নিশ্চয় জানতে চাইছেন কাজটা কি ? আসলে একটা ছোট্ট হাতের কাজ ।এইসব ঘটনা এখন অহরহ ঘটে ।খবরের কাগজে রোজ ই আসে কেউ তেমন গুরুত্ত্ব দেয় না । একটু ধস্তাধস্তি তারপর একজন অবিবাহিত গর্ভবতী মেয়ে তার ওড়না গলায় দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়লো । আমার অবশ্য দারোগা সাহেবের সাহায্যে রোগাপটকা মেয়েটাকে উঁচু করতে তেমন কোনো সমস্যা হয় নি । ওর শেষ কথা গুলো এখনো কানে বাজছে দারোগা সাব আমারে মারেন মোর প্যাডএ আপনার বাচ্চাডারে মাইরেন না ।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

সুন্দর ছোট গল্প!
অল্পতেই অনেক কিছূ বলা হল :)

+++

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২২

ঢাকার লোক বলেছেন: চমৎকার, নিখুঁত প্ল্যান !!
শব্দটা কন্ট্রাক্ট হবে না কি ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

আসামিহাজির বলেছেন: ভাই আপনার কথা সঠিক কিন্তু বাংলা টাইপ ঠিকমত করতে পারি না তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই ভুল থাকে ।ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চারদিকে শুধু অন্যায়,হিংসা,প্রতিহিংসা,অত্যাচার,জুলুম,নির্যাতন ...............

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প খুব সুন্দর হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা অযথা টেনে গল্প লম্বা করেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.