নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা লিখি তাহা ভুল করে লিখি যাহা লিখিতে চাই তাহা পারিনা ।সংশয়ে কলম সদা দোলেপাছে লেখা বিপদে ফেলে

আসামিহাজির

আসামিহাজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প : দুঃসময়

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৬


থানা হাজতে আজ আমার দ্বিতীয় দিন সন্দেহজনক ঘোরাফেরার অপরাধে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হয়ে এখন মাদক মামলায় মোহাম্মদপুর থানা হাজতে আছি ।
প্রচন্ড গরমে ঘামে ভিজে শরীর চুপচুপে হয়ে একলাই ঠান্ডা হচ্ছে ।হাজতে ফ্যান থাকার কথা কিন্তু এর আগে এক আসামি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় মারের হাত থেকে বাঁচতে সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়েছিল যদিও কিছু কিছু সংবাদপত্রই লিখেছিলো অন্য কিছু এরপর থেকে নাকি ফ্যান খুলে ফেলা হয়েছে । যে দারোগা আমাকে ধরে এনেছেন উনি উনার নাম জাকির দারোগা ।কোর্ট এ চালানের সময় লিখেছিলেন চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ ও সফলতা হিসেবে আমার পকেটে গাঁজার পুড়িয়ে পাওয়া গেছে, যদিও গাঁজা কেন আমি জীবনে একটা সিগারেট ও টানি নাই তারপরেও দারোগা সাহেব যা লিখেছেন সেটাই সত্য উনার সাথে তো আমার ব্যাক্তিগত শত্রুতা নেই যে আইনের লোক হয়ে মিথ্যা কথা লিখবেন ।
অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে মাদকের উৎস সম্পর্কে জানা যাবে পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য বিচারক আমার দিকে তাকালেন , উস্কোখুস্কো চুলে আমাকে দেখে মনে হয় উনার একটু মায়া হলো রিমান্ড কমিয়ে দুইদিন করে দিলেন । হাজার হউক মহামতি বিচারক উনার দয়ার শরীর ।
রিমান্ডের শুরুতে জাকির সাহেব একটা বাঁশের লাঠি দিয়ে পায়ে এ পাছায় কয়েকটা বাড়ি দিলেন এরপর আমার মুখোমুখি বসলেন জিজ্ঞাসা করলেন তুই কি করিস? শরীরের ব্যথায় তুই তোকারি মনে কোনো দাগ ফেললো না বললাম স্যার বেকার, চাকুরী খুঁজছি পাই না তাই রাতে কাওরানবাজারে ট্রাক থেকে মাল নামাই আর দিনে একটা টিউশনি করি ।
তার মানে কুলির কাজ করিস তো এত দামি ফোন পেলি কোথায় ছিনতাই করা মাল নাকি ?
আমি মিথ্যা বললাম বললাম স্যার রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি । মিথ্যা বললাম যেন মালিকানা যাচাই করতে আবার লোপাদের বাসা পর্যন্ত আমার এই গাঁজার অপরাধের কথা না যায় ।আসলে ফোনটা আমার ছাত্রী লোপা আমাকে দিয়েছিলো ওর মামা নাকি আমেরিকা থেকে পাঠিয়েছেন । দারোগা পুলিশ কে বিভ্রান্ত করা যায় না , জাকির দারোগা মুচকি হাসলেন বললেন তুই তো খুব সুন্দর মিথ্যা কথা বলতে পারিস রে অভিনয় লাইনে গেলে কিছু করতে পারতি। যাক তোর কথাই রইলো ওটা মনে কর তোরকাছ থেকে আবার রাস্তায় হারিয়ে গেছে । আমি বুঝলাম ওটা ওনার পছন্দ হয়েছে আমি আর ফেরত পাবো না । দারোগা সাহেব পকেট থেকে ফোন টা বের করে সিম খুলে আমাকে সিমটা ফেরত দিলেন দয়ার শরীর না দিলেও তো পারতেন । বললেন এইবেপারে কাউকে কিছু বলিস না আমি বললাম জীবনেও বলবো না স্যার । উনি বললেন কাল তোকে চালান করে দেব কাউকে ধরে জামিন করে নিস, তোর কোনো পরিচিত উকিল আছে নাকি ? আমি মাথা নেড়ে না সূচক জবাব দিলাম ।আমার কাছে দারোগা সাহেব পকেট থেকে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে দিলেন এরপর হাতের লাঠিটা রুমের একপাশে রেখে বের হয়ে গেলেন । চলবে -------

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন নাকি?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

আসামিহাজির বলেছেন: অবাস্তব মনে হচ্ছে কি জনাব ?

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৮

অয়ন নাজমুল বলেছেন: চলবে বলে দায়িত্ব এড়ালে চলবে না। লেখাটা আরো লম্বা হওয়া দরকার ছিলো।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হিমু হিমু ভাব আছে।
পড়তে ভালো লাগলো।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আসামিহাজির,


ছোটগল্প ! তার আবার পরবর্তীতে চলার কি আছে!!!!!!!!!!!!!
এখন তো মনে হচ্ছে আপনি গাঁজা-ই খেয়েছেন, জাকির দারোগা ঠিকই ধরেছে। :P

চমৎকার বাস্তবের গল্প। দু'দিনের রিমান্ডেই এই ! আপনার দশদিনের রিমান্ড হওয়া দরকার যাতে গল্পটা শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত আপনাকে কোর্টে চালান দিতে পারে। তাহলে তো জামিন পেয়ে যাবেন, বাকীটা লেখা ফুট্টুস হয়ে যাবে, "চলবে" তখন আর "চলবেনা"................ ;)

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এটা কি আসলে সত্য ঘটনা নাকি?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

আসামিহাজির বলেছেন: না ভাই শুধুই গল্প সত্য কোনো ঘটনা না

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আজকে আমি প্রথম আপনার গল্প পড়লাম। আমি অবাক হয়েছি কেন আমি আগে পড়িনি।
কিছু জায়গায় তাড়াহুরা করে লাইন না লিখলে যথেষ্ঠই ভালো হয়েছে লেখা।
আমার গুরু, আহমেদ জী এস ভাইয়ের মতও আমি বলতে চাই, রিমান্ডের দিন আরও বেশি হলে মন্দ হতো না!!
আরও দারুন দারুন কিছু গল্প শুনা যেত।

সেদিন একটা নিউজপেপারে পড়েছিলাম:-
ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন সাড়ে ৯টা। কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনের রাস্তা। বিশ্ববিদ্যালয়পড়–য়া তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে ফিরছেন হোস্টেলে। পুলিশের হাতের ইশারায় থামতে হল তাদের। কোথায় যাবে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর পুলিশের গলায় চড়া সুর। বললেন, ‘সঙ্গে কী আছে দে’- কী দেব? ‘যা আছে তা-ই দে ব্যাটা’ বলতে বলতেই শুরু হয়ে যায় চড়-থাপ্পড়।
কেড়ে নেয়া হয় মোবাইল ফোন সেট। মিনিটপাঁচেক চলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এর এক ফাঁকে তাদের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয় ইয়াবা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরানো হয় হাতকড়া। তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে। বেধড়ক মারধরে তিন ছাত্র অনেকটা ট্রুমাটাইজড।
পুলিশের নতুন চেহারায় তারা ভয়ে জড়োসড়ো। ততক্ষণে বুঝতে পারেন, জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে। একেই বুঝি বলে ‘পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা’। মুক্তির প্রথম শর্ত জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। টাকার জন্য পরিবারের কাছে ফোন করার সুযোগ মেলে। টাকা না আসায় রাত যত গভীর হয়, মারধরের মাত্রা ও চাঁদার পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে।
এভাবে টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিলে হজম করা কঠিন হবে, তখন পুলিশ সদস্যরা আইনের সোজাসাপটা পথে ছক কষে। রাতের মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়, পরদিন সোজা আদালতে চালান। মাদক ব্যবসার মিথ্যা মামলায় কয়েক মাস জেলের ঘানি টানার পর জামিনে বেরিয়ে এলেও তাদের নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হয়।

আপনার এই গল্পের সাথে কতই না মিল।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

আসামিহাজির বলেছেন: আসলে আমি নুতন লিখছি , কি লিখি নিজেও জানি না তবে কাউকে নকল করে লিখি না |আগে দুইএকটা প্রেমেরকবিটাতা লিখলেও গল্প কখনো লিখি নাই | সময় পেলে দয়া করে আমার অন্য গল্প গুলি একটু পরে মন্তব্য করলে শিখতে পারবো

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১২

নীল আকাশ বলেছেন: হেডিংটা ঠিক করে দিন না। গল্প: দুঃসময়। ভালো লাগবে দেখতে। ছোট না বড় এটা পাঠক পড়ার পর বুঝবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

আসামিহাজির বলেছেন: বিশাল নীল আকাশের কথা অনুযায়ী বদলে দিলুম

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: হাতে সময় থাকলে মাঝে মাঝে আপনার বাকি লেখা গুলি পড়ে দেখব। মন্তব্য সেখানেই করব।
ধন্যবাদ নামকরন ঠিক করে দেয়ার জন্য। এখন সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লিখতে থাকুন।

ব্লগে নতুন গল্পকার হিসেবে এগিয়ে যাবেন একদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.