নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌন পাঠক

মৌন পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিজ্ঞানমতে নাস্তিকতা একটি মানসিক ব্যাধি !" নিবন্ধের ব্যবচ্ছেদ

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৪

দৈনিক সকাল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনঃ "বিজ্ঞানমতে নাস্তিকতা একটি মানসিক ব্যাধি ! "
Click This Link

এই রিপোর্ট কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, আমার জানা নেই। সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। এই প্রবন্ধটির উদ্দেশ্য নাস্তিকতাকে রোগ ও নাস্তিকদের মানসিক রোগী হিসাবে প্রমান করা।
আচ্ছা, একটু ভাবুনঃ নাস্তিকের সাথে আপনার পার্থক্য কি?
শুধুমাত্র বিশ্বাস; বিশ্বাস ভিন্ন হলেই কি তাকে অসুস্থ বা মানসিক রোগী প্রমান করতে হবে?
তবেতো পৃথিবীতে সকলেই মানসিক রোগী। পৃথিবীতে ৪০০০ (প্রায়) ধর্ম আছে। এই ধর্ম বিশ্বাসীরা শুধুমাত্র নিজের বিশ্বাসকে সত্য বলে মানে। তাদের নিকট বাকী সব মিথ্যা, ভুল। তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ালঃ ৩৯৯৯ টি ধর্মের অনুসারীর নিকট আপনি মানসিক রোগী (সে আপনি যে ধর্মেরই হোননা কেন)।
আপনি গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন নিশ্চয়। এত্ত গুলো লোক তো আর একসাথে ভুল করতে পারে না!

আসুন, এবার দেখি, এই প্রতিবেদনে কি কি গোজামিল দেয়া হয়েছেঃ

প্রথমতঃ German University নামক কোন ইউনিভার্সিটির অস্তিত্ব নেই।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_in_Germany
আর অস্তিত্বহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টের ব্যাপারে কিইবা বলার আছে?

দ্বিতীয়তঃ Dr Zimmeramann নামক উল্লেখিত বর্ণনার কোন গবেষক কিংবা বিজ্ঞানী আমি খুজে পাইনি, যাদেরকে পেয়েছি তারা Dr Zimmeramann এর বর্ণিত ২২ বছরের কোন গবেষণার সাথে জড়িত না।

তৃতীয়তঃ “The Misfit Syndrome.” এই নামক কোন Syndrome অন্তর্জালে খুজে পাইনি; শুধু একটা ব্লগ সাইটে পেয়েছি, যেখানে এর উল্লেখ আছে; তবে ব্লগের লেখক কোথায় পেয়েছেন, তিনি তার তথ্যসূত্র উল্লেখ করেননি। হয়তো এটা তারই আবিষ্কার, এবং তিনি নিজেই Dr Zimmeramann।
https://shakir2.wordpress.com/tag/misfit-syndrome/
এই ব্লগার পাকিস্তানী বলে অনুমান করছি। এই লেখকের/ব্লগারের নাম শাকির মুমতাজ, তার ব্লগের লেখাটি বর্ধিত রুপে পাকিস্তানের পত্রিকা The Nation এর ৩০ জুলাই ২০১৫ খ্রিঃ সংখ্যায় “কারা নাস্তিক? বিজ্ঞান ধর্ম এবং দর্শন বিশ্বাস করে নাস্তিকরা অসুস্থ” শিরোনামে প্রকাশিত হয়ঃ
https://nation.com.pk/30-Jul-2015/who-are-atheists-science-religion-and-philosophy-would-have-you-believe-they-re-abnormal
এই লেখার প্রতি উত্তরে ১০ ই আগস্ট ২০১৫ খ্রিঃ এর The Nation সংখ্যায় আলী সাজিদ ইমামী এর “নাস্তিকতা কোন মানসিক রোগ নয়” শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই নিবন্ধে আলী সাজিদ ইমামী শাকির মুমতাজ এর লেখাকে মিথ্যা, শঠতা ও প্রতারণাপূর্ণ বলে উল্লেখ করেনঃ (The problem of intellectual dishonesty, wilfully deceiving the public and of just plain making things up so people could be swayed to your side is endemic to the human race, but it has a specific malignancy associated with it in countries like Pakistan. Pakistan, a largely illiterate country, where even the educated elite themselves aren’t exactly up to the mark can easily be swayed by a few choice buzzwords. Combine this with the constitutionally theocratic nature of the country and a basic conservative mindset, and you have a recipe for disaster.)
https://nation.com.pk/10-Aug-2015/no-atheism-is-not-a-mental-disorder

UCLA (The University of California) এর উল্লেখিত “ছাত্রীরা ধর্মীয় কাজের সাথে জড়িত তাদের মেন্টাল সিস্টেম অত্যন্ত ভালো” এরুপ কোন গবেষণাপত্র আমি পাই নি।
২০০৬ সালে Duke University এর যে গবেষণার কথা বলা হয়, তা প্রকাশিত হয় ২২ অক্টোবর ১৯৯৭ খ্রিঃ “Duke Study: Attending Religious Service May Improve Immune Status” এই শিরোনামে। আচ্ছা আমরা কি May শব্দটির অর্থ জানি?
may1
MODAL VERB
• 1Expressing possibility.
‘that may be true’
‘he may well win’
• 2 Used to ask for or to give permission.
‘you may confirm my identity with your Case Officer, if you wish’
‘may I ask a few questions?’
• 3 Expressing a wish or hope.

https://en.oxforddictionaries.com/definition/may

https://corporate.dukehealth.org/news-listing/duke-study-attending-religious-service-may-improve-immune-status

Harvard T.H. Chan School of Public Health found এর যে গবেষণার কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে বলা আছেঃ
One limitation of the study is that it consisted mainly of children of white females of relatively high family socioeconomic status, and therefore might not be generalizable to a broader population, though prior research by VanderWeele suggested the effects of religious service attendance for adults may be even larger for black versus white populations. Another limitation was that the study did not look at the influences of parents and peers on adolescents’ religious decisions.
এই পত্রিকার লেখক সুকৌশলে এই অংশটি এড়িয়ে গেছে।
https://www.hsph.harvard.edu/news/press-releases/religious-upbringing-adult-health/

আচ্ছা বাহাতির সাথে এই নাস্তিকতা এবং ধর্মের সম্পর্ক আমি বুঝছি না। বাহাতি জন্মগত প্রাপ্ত, এটা চাইলেও কেউ অর্জন করতে পারে না; বর্জনও করতে পারে না।

The Daily Science পত্রিকা তন্ন তন্ন করে খুজেও আমি উল্লেখিত প্রবন্ধ পাইনি।

বিঃ দ্রঃ আমি যে সকল তথ্য খুজে পাইনি, সেগুলো পেলে অনুগ্রহপূর্বক আমাকে জানাবেন; কেননা, আমি ভুলের উর্দ্ধে নই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

মরা বিড়ালের জানাযা নিয়ে সমস্যায় আছেন, দেখছি

২| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মৌন পাঠক,




ভালো ব্যবচ্ছেদ করেছেন। তবে মন্তব্যে মৌন পাঠক হয়ে থাকতে চাই কারন- ঐসব লেখকদের চোখ-কান সীলগালা করে দেয়া হয়েছে, দেখবেনা- বুঝবেনা কিছুতেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.