![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব রাজনীতিতে ধর্ম এখন এক নম্বর নিয়ামক। আমরা যদি বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দেই, তাহলে দেখতে পাব যে, ধর্মকে পুঁজি করে চলছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মব্যবসা, রাজনৈতিক হানাহানি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ইত্যাদি নানাবিধ অপকর্ম। আমাদের দেশেও ধর্মের বহু অপব্যবহার হচ্ছে। এর কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মবিশ্বাসী, যাদের নব্বই শতাংশই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু তারা তাদের ধর্মের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ও সঠিক জ্ঞান রাখে না। তারা এসব ক্ষেত্রে আলেম দাবিদার ধর্মব্যবসায়ীদের উপর শতভাগ নির্ভরশীল। তারা ইসলামের যে ব্যাখ্যা দেয়, সেটাই জনমনে গৃহীত হয়। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকে ক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে, মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে ব্যবহার করে দাঙ্গা-ফাসাদ সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং মানুষের ঈমান একটি বিরাট শক্তি যা নানাভাবে অপচয় ও অপব্যবহার করা হচ্ছে। মানবজাতির মধ্যে একটি বিরাট অংশ বর্তমানে প্রচলিত বিকৃত ধর্মের অকল্যাণকর পরিণাম দেখে ধর্মকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষার দৃষ্টিতে দেখছে। একটি শ্রেণি চাইছে ধর্মহীন সমাজ গড়তে, তাদের দৃষ্টিতে ধর্মই সকল সমস্যার মূল। কিন্তু ধর্মকে একেবারে নির্মূল করে ফেলা কোনোদিন সম্ভব নয়। এই চেষ্টা অতীতে বার বার করা হয়েছে কিন্তু কাজে আসে নি। সাধারণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের এই ধর্মীয় চেতনাকে উপেক্ষা করা বা খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই, এতে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে ওত পেতে থাকা স্বার্থান্বেষী মহল বিশেষত ধর্মব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের এই সরল কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী বিশ্বাসকে নিজেদের রাজনীতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পায় এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, রাজনীতিক হানাহানি ইত্যাদি কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে। আমরা দেখেছি অতীতেও এভাবে কেউ রাজনীতিক স্বার্থে, কেউ বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ উদ্ধারে, আবার কেউ নিজেদের ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষের এই মহৎ গুণকে মন্দের দিকে পরিচালিত করেছে। ফলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সমাজ আক্রান্ত হয়েছে, মানবতা বিপন্ন হয়েছে, আর এগুলো সবই ধর্মের নামে হয়েছে।
এমতাবস্থায় আমাদের কি করণীয়? এখন আমাদের একমাত্র করণীয় হলো মানুষের এই বিশ্বাসকে সঠিক পথে পরিচালিত করে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কীভাবে মানব সমাজে শান্তি আসবে, ঐক্য স্থাপিত হবে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, দুর্নীতি-অপরাধ হ্রাস পাবে, সুশিক্ষা বিস্তার হবে, দারিদ্র্য বিমোচন হবে, এইসব ইতিবাচক কর্ম সম্পাদনের জন্য ধর্মবিশ্বাসকে কাজে লাগাতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে এ বিশ্বাসকে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করছে হেযবুত তওহীদ। মানুষের সামনে ধর্মের সঠিক আদর্শ উপস্থাপন করে, ধর্মের মধ্যে প্রবিষ্ট বিকৃতিসমূহ, মিথ্যাচার সমূহ, ধর্মের নামে চলা অধর্মসমূহ চিহ্নিত করে ধর্মের সঠিক ব্যখ্যা সঠিক রূপ মানবতার কল্যাণের দিকটা মানুষের নিকট তুলে ধরে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে এই জনগণ আর ধর্মান্ধ হবে না, এদের বিশ্বাসকে আর ছিনতাই করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তাদেরকে ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করাতে পারবে না, অপরাজনীতি করাতে পারবে না, ব্যক্তি স্বার্থ ও উদ্ধার করাতে পারবে না। ফলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে এবং জনগণ নিজেরাও ইহকাল ও পরকালে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে। কাজেই মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক পথে প্রবাহিত করে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানো ছাড়া বিকল্প কোন পথই আর আমাদের সামনে খোলা নেই।
ফেসবুকে আমি: https://www.facebook.com/asadali.ht
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৫
মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: কেন? এতে আপনার বাধল কোথায়?
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফটোশপ ইত্যাদিও কাজে লাগানো হচ্ছে, ভালোই 'রিসোর্স' আছে?
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: তা তো বটেই। রিসোর্সের কিছুই দেখেন নি এখনও। হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের নাম শুনেছেন কখনো?
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" কেন? এতে আপনার বাধল কোথায়? "
-আমার তো কোন বাধা নেই; মানুষ জাতির মাঝে বিভিন্ন লেভেলের মানুষ আছেন, এবং কোন কাজই মানুষের জন্য "একমাত্র করণীয়" পারে না; এটা লজিক্যালী শুদ্ধ নয়।
আপনি লজিক্যালী ভাবতে পারেন না।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪২
মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: পুরো লেখা থেকে মাত্র এক লাইনকে আলাদা করলে তেমনটা মনে হবেই। যারা এই বাক্যের উপরের প্যারাটি পড়েছেন, তার ধারাবাহিকতায় এই বাক্যটি মোটেও অশুদ্ধ মনে হবে না। আপনি খুত ধরার মানসিকতা নিয়ে পড়েছেন, তাই অমনটা মনে হয়েছে। মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে বিভিন্নভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে, অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। কাজেই যারা এর অবসান চায় তাদের একমাত্র কাজ হবে মানুষের এই ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক পথে ব্যবহার করা- এখানে ভুল কোথায়?
সমালোচনা করার মতো আরও অনেক বাক্য ছিল। সেগুলো কীভাবে আপনার চোখ এড়িয়ে গেল এবং কেন ঠুনকো একটি বিষয়কে সামনে আনলেন সেটাই ভাবনার বিষয়।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
" হেযবুত তওহীদ ", আইএস'এর বাংলাদেশ শাখা?
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: উপরে ফেসবুকের লিংক দেয়া আছে, আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ওটা। এই পেজের সাথে কানেক্টেড থাকুন এবং আমাদের লেখাগুলো পড়ে যাচাই করুন- হেযবুত তওহীদকে আইএস-জাতীয় কিছু মনে হয় কিনা?
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
অলস শরীফ বলেছেন: ভাই বিশ্বে ইসলামের নামে যেসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে তার কোন কিছুই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে না। আল্লাহ্ র রাসুল (সা কোথাও কখনও কি বলেছেন বিশ্বের মুসলমানরা শিয়া সুন্নী নামে বিভক্ত হও, বিভিন্ন ইসলামী দল গঠন করো, ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করো, জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করো? রাসুল (সা
বলেছেন বিশ্বের মুসলমান পরস্পর আপন সহোদর ভাইয়ের মত। ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করা হচ্ছে সারা বিশ্বে আর এই কারনেই আজকে মুসলমানরা দুনিয়ায় লান্চিত পদদলিত। আল্লাহ্ র রাসুল (সা
বিদায় হজ্বের শেষ ভাষনে বলেছিলেন আমি তোমাদের কাছে দুইটি জিনিষ রেখে গেলাম তোমরা যদি এই দুইটা জিনিষকে আকরে ধরে রাখতে পার তাহলে তোমরা কখনো পথ ভ্রস্ট হবে না। সেই দুইটা জিনিষ হলো আল কোরান আর নবী সহীহ হাদীস। আজ বিশ্বে মুসলমানরা পথভ্রষ্ট তাই নিজের তৈরী করা মতবাদ মানছে।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১
তাজ - সৈয়দাবাদী । বলেছেন: good
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" এখন আমাদের একমাত্র করণীয় হলো মানুষের এই বিশ্বাসকে সঠিক পথে পরিচালিত করে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। "
-তা'হলে " আমাদের একমাত্র করণীয় হলো মানুষের এই বিশ্বাসকে সঠিক পথে পরিচালিত ..।"
-এটাই "একমাত্র" করণীয়?
ভালো