![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি আর লিখব। ব্লগের লেখার মাধ্যমেই জানতে পারবেন ধীরে ধীরে
উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অনেকেই লিনাক্স ব্যবহার করতে ভয় পান একে জটিল এবং অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি অপারেটিং সিস্টেম ভেবে। তাদের ধারণা পুরোপুরি ভুল নয়... একসময় সত্যিই তাই ছিল। কিন্তু এখন সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি হয়েছে উবুন্টু লিনাক্স যা উইন্ডোজের চেয়েও অনেক সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব। এখানে উবুন্টু লিনাক্সের কিছু সুবিধা তুলে ধরছি, এবং একই সাথে উইন্ডোজের দূর্বলতাগুলো উল্লেখ করছি....
১। নিরাপত্তা: লিনাক্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উইন্ডোজের চেয়ে অনেক উন্নত এবং নিশ্ছিদ্র। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এন্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল ইন্সটল করা না থাকলে ভাইরাস/হ্যাকারের আক্রমণ প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু লিনাক্সের সিস্টেম কার্নেল ভাইরাস এবং হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে পুরোপুরি মুক্ত। কাজেই কোন ধরণের সিকিউরিটি সফ্টওয়্যার(এন্টিভাইরাস/ফায়ারওয়াল ইত্যাদি) ছাড়াই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন উবুন্টু লিনাক্স।
২। স্বয়ংসম্পূর্ণ: অনেকেই মনে করেন উইন্ডোজ লিনাক্সের চেয়ে অধিক স্বয়ংসম্পূর্ণ, কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ভুল। উইন্ডোজের কোন সিস্টেম ফাইল মুছে গেলে বা ভাইরাসের আক্রমণে সিস্টেম কার্ণেলের কোন অংশের ক্ষতি হলে উইন্ডোজ নিজে থেকে ঠিক করতে পারে না, ব্যবহারকারীকে ট্রাবলশুট করে ঠিক করতে হয়। আর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া উইন্ডোজের অনেক ত্রুটি ঠিক করা সম্ভব নয়। ফলে একমাত্র সমাধান- উইন্ডোজ রি-ইন্সটল। এছাড়াও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এনটিএফএস ফাইল সিস্টেমের ক্ষতি হলেও উইন্ডোজ অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে autochk কমান্ড ব্যবহার করে না। এর ফলে প্রয়োজনীয় ফাইল ও ডকুমেন্ট সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়।
অপরদিকে উবুন্টু লিনাক্সে কোন সমস্যা সৃষ্টি হওয়া প্রায় অসম্ভব। কোন কারণে সমস্যা হলেও উবুন্টুর বুট মেনু থেকে রিকভারি মোড চালু করলে উবুন্টু নিজে থেকে সম্ভাব্য সবধরণের সমস্যা খতিয়ে দেখে এবং নিজে থেকেই সবকিছু ঠিক করে নেয়, ব্যবহারকারীকে কিছুই করতে হয় না। ফাইল সিস্টেমের সমস্যা হলে উবুন্টু সেটিও ঠিক করে নেয়।
এছাড়াও উইন্ডোজে সব ধরণের হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ডিফল্ট দেয়া থাকে না... খুঁজে নিয়ে ইন্সটল করতে হয়। আর লিনাক্সে বহু ড্রাইভার ডিফল্টভাবেই দেয়া থাকে।
৩। ব্যবহারবান্ধব: উবুন্টু লিনাক্স উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের চাইতে অনেক সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব। উবুন্টুতে সব কাজের জন্য আলাদা-আলাদা বিভাগে বিভক্ত করা সফ্টওয়্যার ইন্টারনেটে রিপোজিটরিতে জমা থাকে এবং উবুন্টুর এ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী পছন্দমত সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে পারেন। স্ক্রিণশট দেখুন...
ছবি
চিত্র: উবুন্টু এ্যপ্লিকেশন ম্যানেজার
উবুন্টুর সফ্টওয়্যারগুলো ইন্সটল করতে কোন ধরণের প্রোগ্রামিং দক্ষতার প্রয়োজন নেই।
উবুন্টুর ডেস্কটপ উইন্ডোজের চাইতেও অনেক কার্যকরী, সহজে পরিবর্তনযোগ্য(Customizable) এবং ব্যবহারবান্ধব। উইন্ডোজের টাস্কবারের বিকল্প হিসাবে উবুন্টুতে আছে প্যানেল নামে উইন্ডোজ টাস্কবারের চাইতেও অধিক ক্ষমতাসমন্ন ডেস্কটপ বার। এগুলোতে আপনি ইচ্ছামত সফ্টওয়্যারের শর্টকাট তৈরি করে নিতে পারেন, বিভিন্ন এ্যাপলেটের সাহায্যে ডেস্টপকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন, আর সেই সাথে উইন্ডোজ টাস্কবারের মত উইন্ডো লিস্ট এবং নোটিফিকেশন এড়িয়া তো থাকছেই!
ডেস্কটপ যে এমনই হতে হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এটা আমার নিজের ডেস্কটপ... উবুন্টুতে ডিফল্টভাবেও এরকম দেয়া থাকে না। আপনি পছন্দমত ডেস্কটপে বিভিন্ন আইকন, এ্যাপলেট, নোটিফিকেশন এড়িয়া সংযোগ/অপসারণ করতে পারবেন। নিচের ছবিটি দেখলে এ সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাবেন...
এছাড়াও উবুন্টুতে একই সাথে দুটি ডেস্কটপ/ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করতে পারবেন।
৪। দ্রুততা: কিছু ত্রুটির কারণে উইন্ডোজ ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে পরে। এ ত্রুটিগুলোর মধ্যে হার্ড ডিস্কের এলোমেলো ফাইলসজ্জা(ফ্র্যাগমেন্টেশন), রেজিস্ট্রির অব্যবহৃত অংশ(Obsolete Registry Entries) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাস ও স্পাইওয়্যারের আক্রমণের কারণেও উইন্ডোজের গতি হ্রাস পায়।
অপরদিকে লিনাক্সের ext3 ফাইল সিস্টেমে বিশেষ পদ্ধতেতে ফাইলগুলো সজ্জিত করে... ফলে ফ্র্যাগমেন্টেশনের কোন সম্ভাবনা নেই। আর উবুন্টু উইন্ডোজের মত অব্যবহৃত রেজিস্ট্রি এন্ট্রি জমা করে রাখে না। উবুন্টুতে ভাইরাস/স্পাইওয়্যার কোনটিই আক্রমণ করতে পারে না। ফলে বহুদিন ব্যবহারের পরও উবুন্টুর স্বাভাবিক গতি ও কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। যেখানে উইন্ডোজ ধীরে ধীরে মন্থর হয়ে পরে।
৫। গ্রাফিক্যাল ইফেক্ট: উবুন্টু লিনাক্সে রয়েছে অসাধারণ কম্পিজ ফিউশন ইফেক্ট। যার দ্বারা দৃষ্টিনন্দন উইন্ডো এনিমেশনের পাশাপাশি অত্যন্ত কার্যকরী কিছু ইফেক্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ট্যাব গ্রুপিং, উইন্ডো ট্রান্সপারেন্সি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ট্যাব গ্রুপিং এর সাহায্যে আপনি কয়েকটি উইন্ডোকে ট্যাব আকারে একত্র করে রাখতে পারবেন এবং উইন্ডো ট্রান্সপারেন্সি ইফেক্টের সাহায্যে যেকোন উইন্ডোকে স্বচ্ছ(ট্রান্সপারেন্ট) করে ফেলতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও আরও বহু ইফেক্ট ডিফল্টভাবে দেয়া আছে এবং প্রতিদিন নিত্যনতুন ইফেক্ট ইন্টারনেটে বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ উইন্ডোজ ভিস্তাতে কিছু গ্রাফিক্যাল ইফেক্ট আনা হলেও সেগুলোর বেশিরভাগই কোন কাজের নয়। এছাড়াও ভিস্তার ইফেক্টগুলো সক্রিয় রাখলে প্রচুর সিস্টেম রিসোর্স(Ram, প্রসেসর) ব্যবহার করে যেখানে উবুন্টুর ইফেক্টগুলো সক্রিয় রাখলেও উইন্ডোজ এক্সপির চাইতেও অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে।
৬। সকল কাজের জন্য পর্যাপ্ত সফ্টওয়্যার: উবুন্টুতে সকল কাজের জন্যই পর্যাপ্ত সফ্টওয়্যার আছে। উইন্ডোজের মত লক্ষ-কোটি নামী বেনামী সফ্টওয়্যার না থাকলেও এ সফ্টওয়্যারগুলো অত্যন্ত সহজ, সাবলীল এবং উইন্ডোজের সফ্টওয়্যারগুলোর মতই বিভিন্ন ধরণের কাজের উপযোগী।
যেমন: মাইক্রোসফ্ট অফিসের বিকল্প হিসাবে আছে ওপেন অফিস অর্গ, ফটোশপের বিকল্প হিসাবে আছে অসাধারণ একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার গিম্প, ডিভিডি/ভিসিডি মুভি দেখার জন্য টটেম, ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার, গান শোনার জন্য রিদমবক্স, বংশি, লিসেন(Listen Music Player... বংশী এবং রিদমবক্সের মত তেমন জনপ্রিয় না হলেও এটা আমার সবচেয়ে প্রিয়), এডোবি রিডারের বিকল্প হিসাবে আছে কেপিডিএফ, এক্সপিডিএফ, ডকুমেন্ট ভিউয়ার ইত্যাদি। এরকম সব ধরণের সফ্টওয়্যারের-ই অসংখ্য বিকল্প আছে উবুন্টুতে... এবং সবগুলোই পুরোপুরি বিনামূল্যে!
৭। বাংলা ভাষার ব্যবহার: উবুন্টু লিনাক্সের জন্য রয়েছে বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক, যেটি শুধুমাত্র অপারেটিং সিস্টেমকেই বাংলা করে না বরং বিভিন্ন সফ্টওয়্যারকেও অনেকাংশে বাংলায় অনুবাদ করে। বাংলা লেখার জন্য উবুন্টুতে আছে অত্যন্ত চমৎকার প্রভাত ফোনেটিক লে-আউট। অভ্রে অভ্যস্থতার কারণে প্রথমদিকে প্রভাতে লিখতে সমস্যা হলেও এখন সে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি এমনকি এই আর্টিকেল পুরোটাই প্রভাত দিয়ে লিখছি।
এগুলো ছাড়াও উবুন্টু লিনাক্সে আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে ফোরামের অভিজ্ঞ লিনাক্স ব্যবহারকারীরা(স্বপ্নচারী, শিপলু) আরও ভাল বলতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল লিনাক্স পুরোপুরি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স এবং এতে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোও বিনামূল্যে পাওয়া যায়। আর উইন্ডোজ টাকা দিয়ে কিনতে হয় এবং এর সব সফটওয়্যারও ফ্রি নয়।
এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন... টাকা দিয়ে কিনে বা চুরি করে ত্রুটিসম্পন্ন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন নাকি বিনামূল্যে বিশ্বের সবচাইতে নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স এর ব্যবহারবান্ধব সংস্করণ উবুন্টু লিনাক্স ব্যবহার করবেন?
লেখাটি প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ফোরাম আমাদের প্রযুক্তি -তে পূর্ব প্রকাশ করেছেন আলোকিত।
এই লেখাটি ক্রিয়েটিভ কমনস্ লাইসেন্স -এর by-nc-sa নীচে প্রকাশিত। অর্থাৎ লেখাটি অবানিজ্যিক কাজে মূল লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে যেকোন স্থানে মূল লেখকের শর্ত মেনে প্রকাশযোগ্য।
১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২০
আশাবাদী!! বলেছেন: জ্বি না।
ক্রিয়েটিভ কমনস্ লাইসেন্সের এই লাইসেন্সে কেবল বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আগে আলোকিতর অনুমতি লাগবে। আর যদি আলোকিতর আরও বিশেষ কোন নিয়ম থাকে তাও প্রযোজ্য হবে।
তবে অবশ্যই লেখকের নাম ও লেখার তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে।
২| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২৯
আদনান শামীম বলেছেন: আমি কিছু বিষয়ে কনফিউসড:
"প্রথমদিকে প্রভাতে লিখতে সমস্যা হলেও এখন সে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি " - নতুন করে লেখা শিখতে হবে নাকি আবার?
"মাইক্রোসফ্ট অফিসের বিকল্প হিসাবে আছে ওপেন অফিস অর্গ, ফটোশপের বিকল্প হিসাবে আছে অসাধারণ একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার গিম্প" - কিন্তু আমি অফিস ২০০৭ এ অভ্যস্থ। অফিস ২০০৭ কি চালানো যাবে? জিম্প আমার এলোমেলো লাগে। ফটোশপ ব্যবহার কি সম্ভব?
উইন্ডোজের সকল ফাইল ফর্মেটই কি লিনাক্সে দেখা/এডিট করা যায়? ট্রান্সফার করতে কি কোন সমস্যা হয়?
"উইন্ডোজের কোন সিস্টেম ফাইল মুছে গেলে বা ভাইরাসের আক্রমণে সিস্টেম কার্ণেলের কোন অংশের ক্ষতি হলে উইন্ডোজ নিজে থেকে ঠিক করতে পারে না, ব্যবহারকারীকে ট্রাবলশুট করে ঠিক করতে হয়।" - উইন্ডোজ এক্সপিতে না সিস্টেম রিস্টোর আছে ফাইল রিস্টোর করার জন্য?
১১ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
আশাবাদী!! বলেছেন: ১) নতুন করে লেখা শিখা লাগবে নাকি?
প্রভাতে অভ্যস্থ না হলে ১ দিনে শিখে নিতে পারবেন। অন্তত আমি ও আমার অনেক পরিচিত মানুষই তা করতে পেরেছেন।
ফোনেটিকে অথবা অভ্রে অভ্যস্থ হলে আপনার বেশিক্ষণ লাগবে না। এরপর অভ্যাসের ব্যাপার। নাহলে আপনি ইউনিজয়ও ব্যবহার করতে পারেন।
২) কিন্তু আমি অফিস ২০০৭ এ অভ্যস্থ। অফিস ২০০৭ কি চালানো যাবে? জিম্প আমার এলোমেলো লাগে। ফটোশপ ব্যবহার কি সম্ভব?
সাধারনত উইন্ডোজের জন্য তৈরি করা এপ্লিকেশন wine দিয়ে চালানো যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় একাজে মূল ডেভেলপারের কাছ থেকে তথ্য নেয়া লাগে যা মাইক্রোসফট শেয়ার করতে রাজি নয়। (বুঝাই যায় কেনো) আপাতত অফিস ২০০৭ চালানো সম্ভব নয়।
পুরানো ফটোশপ ভার্সন আরামে ব্যবহার সম্ভব। তবে নতুন ভার্সনগুলো ব্যবহারে যে পরিমান র্যাম ও প্রসেস সাইকেল লাগবে সেক্ষেত্রে ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
যারা ফটোশপে অভ্যস্থ তারা গিম্পশপ ব্যবহার করে দেখুন। এটি ফটোশপের আদলে গিম্পকে সাজানো হয়েছে। অর্থাৎ পুরা লেআউট থেকে ফিচার পর্যন্ত ফটোশপের মতো।
৩) উইন্ডোজের সকল ফাইল ফর্মেটই কি লিনাক্সে দেখা/এডিট করা যায়? ট্রান্সফার করতে কি কোন সমস্যা হয়?
উইন্ডোজের সকল ফাইল ফর্মেট দেখা সম্ভব। তবে উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সের ফাইল ফর্মেট দেখার জন্য উইন্ডোজে অতিরিক্ত এপ্লিকেশন ইনস্টল করা লাগবে।
৪) উইন্ডোজ এক্সপিতে না সিস্টেম রিস্টোর আছে ফাইল রিস্টোর করার জন্য?
হুমম এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মতামত না দিয়ে পারলাম না।
উইন্ডোজের সিস্টেম রিস্টোর সম্পূর্ন বাজে একটা জিনিস। এরচেয়ে বাজে জিনিস আমি জীবনেও দেখিনি। এই সিস্টেম রিস্টোর কোন কামের না। বোকাদের আরও বোকা বানানোর জন্য এই সিস্টেম। কোন ফাইল উইন্ডোজ রিস্টোরের মাধ্যমে ফিরানো সম্ভব না। আর পার্টিশন মুছে গেলে তো অবশ্যই না।
আমার মতামত আপনারা কিছুদিন ডুয়েল বুট করে উইন্ডোজের পাশাপাশি লিনাক্স কোন ডিস্ট্রো ব্যবহার করে দেখুন। তাহলে সুবিধা অসুবিধা আপনারাই দেখতে পারবেন।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪০
নিঃসঙ্গ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম আসতে আসতে শিখতে হবে
১১ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
আশাবাদী!! বলেছেন: আস্তে আস্তেই সই তবে শিখুন কিছু।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৪৪
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: উবুন্টুর কি কোনো ড্রব্যাক আছে? থাকলে একটু বলেনতো ভাই। আর ফেডোরার ঘটনা কী? অনেকে বলে ঐটা নাকি ভালো উবুন্টুর চেয়ে। উবুন্টুর সিডি নিয়ে বসে আছি অনেকদিন, সবকিছু ঠিকমতো না জানা পর্যন্ত ইন্সটল করতে ভরসা পাচ্ছিনা। একটু সাহায্য করবেন কি ভাই?
১১ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩৪
আশাবাদী!! বলেছেন: ড্রব্যাক কিনা তা ব্যবহার না করলে বুঝা যাবে না। তবে ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে ধরতে পারেন।
১) উবুন্টু এমনই একটি ফ্লেক্সিবল সিস্টেম যেখানে কোন ব্যবহারকারী কখন কি করছে তা নিশ্চিত করা সবসময় সম্ভব না। এটা জানার জন্য লগ সিস্টেম দেখা লাগবে।
২) লিনাক্স সম্পর্কে মানুষের ধারনা কম থাকায় কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে হাতের কাছে সমাধান পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে সমাধান চাওয়া লাগবে।
৩) উইন্ডোজের লেআউট / এনভায়ার্মেন্টের সাথে বিস্তর পার্থক্য। যেমন উবুন্টুতে ডিফল্ট ভাবে তিনটি মেন্যু থাকে। আবার দুইটা প্যানেল থাকে। তাই প্রথম প্রথম অনেকেই দেখে ভয় পায়। কিন্তু আসলে জিনিসটি খুবই সুন্দরভাবে সাজানো।
৪) এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের জন্য রুট এক্সেস লাগবে। ডিফল্ট হিসেবে আপনাকে রুট এক্সেসের জন্য এডমিন কাজ করতে গেলে পাসওয়্যার্ড দিয়ে ধুকতে হবে। অনেকে বোকার মতো রুট হিসেবে লগইন করেন সিস্টেমে, যেহেতু লিনাক্স একটা ফ্লেক্সিবল সিস্টেম রুট এক্সেসে আপনি না বুঝে ফাইল মেনিপুলেট বা মুছে দিলে আপনার পুরা সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫) অধিকাংশ লিনাক্স এক্সপার্ট শেলে/টার্মিনালে (কমান্ড লাইনে) কাজ করতে পছন্দ করেন। যদিও আমি লিনাক্স এক্সপার্ট নই, আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে শেলে কাজ করি বেশি। কারন আমি এক লাইনের মাধ্যমে ২০টি ক্লিকের কাজ করতে পারি। এতে সময় ও শ্রম বাঁচে। এখন সমস্যার সমাধান চেলে দেখা যায় অনেক লিনাক্স এক্সপার্টই শেলের মাধ্যমে সমাধান দেন। যা দেখে লিনাক্সে যারা নতুন তারা ভয় পান।
৬) অনেক সমস্যার সমাধান লিনাক্সে শেল (কমান্ড লাইন) ছাড়া করা সম্ভব নয়। তবে এগুলো এডভান্সড লেভেলের কাজ। সাধারন ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান গ্রাফিক্যালি করা সম্ভব।
৭) লিনাক্সে আপনি উইন্ডোজের জন্য ডেভেলপ করা গেমস চালাতে টাকা দিয়ে cedega কিনতে হবে। wine-এ পুরানো খেলাগুলো চালানো গেলেও নতুন গেমসগুলো চালালে ক্র্যাশ করে।
এগুলো মূলত ব্যবহারকারী ভিত্তিক সমস্যা। আমি কোন সিস্টেম এক্সপার্ট নই। নই কোন লিনাক্স এক্সপার্ট। সাধারন একজন ব্যবহারকারী যার হাতে খড়ি হয়েছে উইন্ডোজে কিন্তু বিরক্ত হয়ে লিনাক্সে চলে এসে স্থায়ী হয়ে গেছেন।
লিনাক্স ডিস্ট্রোর সংখ্যা লক্ষাধিক। এখন একজনের কাছে যেটা ভালো লাগে সেটা আরেকজনের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সকল লিনাক্স সিস্টেমই নোম কেডিই বা এক্সএফসিই এই তিন এনভার্মেন্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তাই দেখতে এবং বিহেভিয়ার প্রায় কাছাকাছি।
তবে প্যাকেজিং-এর কারনে কিছু পার্থক্য তো রয়েই যায়।
ফেডোরা হচ্ছে কিছুটা এডভান্সড লেভেলের লিনাক্স ডিস্ট্রো। আর উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্সের ব্যবহারবান্ধব ডিস্ট্রো।
আপনি যদি প্রথমেই কাউকে লিনাক্স হিসেবে ফেডোরা দিন তাহলে সেই ব্যক্তি জীবনেও লিনাক্স ব্যবহার করবেন না আর। তার মানে কিন্তু এই নয় যে ফেডোরা খুবই কঠিন। তবে এটা আমাদের জন্য না। যারা সিস্টেম এডমিন বা নেটওয়ার্কিং নিয়ে কাজ করতে চান তাদের জন্য ভালো।
আর উবুন্টুতে সবসময় এপ্লিকেশনের স্টেবল ভার্সন দেয়া হয়। যেখানে ফেডোরাতে সর্বশেষ ভার্সন দেয়া হয়। অনেক সময় সমস্যা করে এতে।
আমি শুরু করার জন্য উবুন্টু ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিবো। কিছুদিন ব্যবহার করে লিনাক্সের বিশাল জগতের সাথে খাপ খাইয়ে নিন এরপর নাহয় অন্য ডিস্ট্রো ব্যবহার করে দেখবেন। ডিস্ট্রোর আর শেষ নেই।
আর উবুন্টু ইনস্টল করে ফেলুন। তেমন কোন সমস্যা হলে গুগল আছে নাহলে এখানে জিজ্ঞাসা করলেও আমরা সাহায্য করবো। আমাদের ফোরামও আছে সেখানেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:২৩
কোপা সামছু বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, আমার জ্ঞান বাড়ল।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩৫
রোকন বলেছেন: কাজের পোস্ট। আমার কিছু পোস্ট আছে উবুন্টু নিয়ে। সময় করে দেখতে পারেন।
Click This Link
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
আদনান শামীম বলেছেন: আপনার উত্তরগুলো সৎ। ভাল লাগলো। তাই আপনাকে আরো কিছু জিজ্ঞেস করতে মনে চাইল।
আপনি বলেছেন "উবুন্টু উইন্ডোজের চেয়েও অনেক সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব।" অর্থাৎ, একদম বেসিক ইউজারও ব্যবহার করতে পারবে, তাই তো? মনে করুন একজন সাধারণ ইউজার কম্পিউটার কিনলো টাইপ শিখে চাকরীর জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য। সে নকল উইন্ডোজ না ব্যবহার করে উবুন্টু ইন্সস্টল করালো। এখন কোনো অফিসে গিয়ে সে যদি উইন্ডোজ দেখে তাহলে সে ঠিকমত অপারেট করবে কিভাবে? উবুন্টুতে তো আর অফিস টুলবার নেই। তাছাড়া অপেন অফিস.অর্গ ও এমএস অফিসের (২০০৪বা কম ভার্সনও যদি ধরি) মধ্যেও অনেক তফাত (এপ্লিকেশনের নামে ও অপশনে)। তাকে নতুন করে অনেক কিছু শিখতে হবে।
তাহলে সমাধান কি? একেবারে শরুর ইউজারদের লিনাক্স ব্যবহার বন্ধ? তাহলে কি প্রথম অবৈধ উইন্ডোজ ব্যবহার করে পরে এক্সপার্ট হলে উবুন্টু ব্যবহার করতে হবে তাকে?
"wine দিয়ে চালানো যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় একাজে মূল ডেভেলপারের কাছ থেকে তথ্য নেয়া লাগে" - আমি একজন ছাত্র। আমাকে প্রায়ই বিভিন্ন বিশ্বকোষ (ব্রটানিকা, এনকার্টা...) চালাতে হয়। এগুলোর জন্য যদি তথ্য না পাই তাহলে?
"না বুঝে ফাইল মেনিপুলেট বা মুছে দিলে আপনার পুরা সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।" - সাধারণ ইউজার স্বভাবিকভাবেই রুটে ঢুকতে পারেন (নিজেকে নিয়ন্ত্রক ভেবে) এবং ফাইলও মুছতে পারেন। তাহলে? যেই তিমিরে সেই তিমিরেই?
আমি ভিবি৬এ প্রোগ্রামিং করি। এটা কি লিনাক্সে চালানো... থাক আমি বুঝতে পারছি এটা সম্ভব না।
আমিও আপনার মতো উইন্ডোজে খুব খুশি না। কিন্তু কি আর করবো বলেন, অফিস ২০০৭ আমার প্রিয় অফিস স্যুইট। তাছাড়া .docx ফর্মেট কিভাবে লিনাক্সে ওপেন করবো? তার উপর সব জায়গায় উইন্ডোজ চলে, এটা স্ট্যান্ডার্ড। কম্পোজের দোকানীকে কি লিনাক্স ব্যবহারে উৎসাহী করে তুলতে পারবো আমরা?
(আমি আপনাকে একটু ঘাটাচ্ছি, কিছু মনে করবেন না। লিনাক্স সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তো!)
১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২২
আশাবাদী!! বলেছেন: ১) ভাই একজন ব্যবহারকারী যেই সিস্টেমই ব্যবহার শুরু করুক না কেনো তাকে বেসিক জিনিস জানতে হয়। যেমন মেন্যু, অপশনস্, ডেস্কটপ ইত্যাদি ইত্যাদি।
একজন ব্যবহারকারী যেই সিস্টেমেই হাতেখড়ি করুক না কেনো তার সেই যোগ্যতা থাকা লাগবে যাতে সে সব পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারে। নাহলে সে কখনই ভালো অপারেটর হতে পারবে না।
উইন্ডোজ এনভায়ার্মেন্ট ও লিনাক্স এনভায়ার্মেন্ট খুব যে পার্থক্য তা নয়।
একজন ব্যবহারকারী কিছুদিন ব্যবহার করলেই সব ফিচার বুঝতে পারবেন।
এখানে নতুন করে শিখার কিছু নাই যেহেতু তিনি আগে একবার শিখে এসেছেন।
অর্থাৎ হচ্ছে আপনি যদি একবার একটা সিস্টেম শিখে ফেলেন সেটা উইন্ডোজই হোক চাই ম্যাকই হোক আপনার লিনাক্স ব্যবহার করার খুব সমস্যা থাকার কথা না।
মাইক্রোসফট অফিস এবং অপেনঅফিস.অর্গ এর মাঝে পার্থক্য থাকলেও এমন নয় যে আকাশ পাতাল পার্থক্য।
তাছাড়া আপনি চাকরীদাতা হিসেবে কাকে প্রাধান্য দিবেন?? যে কেবল একটা সিস্টেমে পারদর্শী তাকে নাকি যে লিনাক্সসহ বিভিন্ন সিস্টেমেও সচ্ছ্বন্দে কাজ করতে পারদর্শী?
শুরুর ব্যবহারকারীদের জন্য লিনাক্স কেনো বন্ধ হবে? উবুন্টু সিস্টেমই তো সেজন্য বলা হচ্ছে একেবারে শুরুর ব্যবহারকারীদের জন্য। অর্থাৎ যারা মাত্র শুরু করেছেন তাদের জন্য। এরপর আরও এডভান্সড লিনাক্স ডিস্ট্রো আছে।
২) ব্রটানিকা এনকার্টা.... এগুলো তো সিডি দিয়ে চলে নাকি?? (আমার বিশেষ জ্ঞান নেই এগুলোর উপর দুঃখিত। একটু বিস্তারিত বললে বুঝায় সহজ হবে।) সিডি দিয়ে চললে লিনাক্সে তো সিডি চালানো যায়, তাছাড়া ওয়াইন দিয়ে চলতেও পারে। ওয়াইন দিয়ে কিছুই চলেনা এটা তো না।
৩) ভাই রুট এক্সেস কেবল সীমিত কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। ডিফল্ট হিসেবে অধিকাংশ লিনাক্স ডিস্ট্রোতেই রুট এক্সেসে লগইন করতে দেয়া হয় না।
রুট এক্সেস আপনার যখন দরকার কেবল তখনই ব্যবহার করতে হবে। আপনি যেকোন সময় প্রয়োজনে sudo বা yam ইত্যাদি কমান্ড দিয়ে যেকোন এপ্লিকেশন রান করতে পারেন
৪) ভিবি৬ চালানো সম্ভব কিনা আমার ধারনা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাবোনে। তবে প্রোগ্রামিং এর জন্য পাইথন সহ আরও অনেক এপ্লিকেশন আছে।
৫) যদি অফিস ২০০৭ একান্তই প্রয়োজন হয় তাহলে পকেট থেকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। (নাহলে প্রোগ্রামিং ও সোর্স কম্পাইলিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা লাগবে।)
এই লিঙ্ক দেখুন
http://www.codeweavers.com/products/cxlinux/
বর্তমানে .docx ফরমেট সাপোর্ট করে না। এই ফরমেট এখনও স্ট্যান্ডার্ড হয়নি। মাইক্রোসফট তার গা ও টাকা দুইটার জোড়ে এটার প্রচলনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেলে পরবর্তী অপেনঅফিস.অর্গ (ভার্সন ৩) এ এই সাপোর্ট থাকবে বলে শুনা যাচ্ছে।
কম্পোজের দোকানীকে কিসের জন্য লিনাক্স ব্যবহারে উৎসাহ করা যাবে না তা আমি নিশ্চিত নই। একজন কম্পোজারের যা যা প্রয়োজন তা অবশ্যই লিনাক্সে করা সম্ভব।
আমার যে ধারনা হচ্ছে আপনার প্রশ্ন থেকে আপনি কখনও লিনাক্স ব্যবহার করেননি। লিনাক্স ব্যবহার শুরু করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন উইন্ডোজ আপনাকে কিভাবে ঠকায়।
ব্যবহার শুরু না করা পর্যন্ত আপনার মনের আশঙ্কা কাটবে না।
অবশ্যই লিনাক্সে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে ব্যবহারকারী ভিত্তিক কিন্তু তা কাটানোরও উপায় আছে।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পাপী বলেছেন: আমি ম্যাক্রোমিডিয়া ফ্ল্যাশ এমএক্স এর কাজ প্রচুর করি। এটা তে কি ফ্ল্যাশ এমএক্স চালানো সম্ভব??কিংবা গিম্পশপ এর মতো কোন বিকল্প কি আছে??
১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩
আশাবাদী!! বলেছেন: http://ubuntuforums.org/showthread.php?t=13238
এই লিঙ্কটি দেখুন একটু।
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
পাপী বলেছেন: আপন যেই উবুন্টু টার কথা বলেছেন তার ভার্সন কতো? মানে আইডিবি থেকে কিনতে গেলে কি দেখে কিনতে হবে? যেমন রেডহ্যাট ৭,৮,৯ আবার ম্যানড্রেক ১০.৩ অথবা ফেডরা ৭ এর মতো এই ভার্সনটা কোনটা যার কথা আপনি বলছেন?
১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৫২
আশাবাদী!! বলেছেন: ডিস্ট্রো নাম: উবুন্টু
রিলিজ কোড: ৮.০৪
ভার্সন নেম: হার্ডি হ্যারন
তবে আপনি ঢাকায় কোথায় থাকেন সেটা জানালে আমাদের যে কারও কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। কারন আইডিবিতে অতিরিক্ত দাম চাবে প্রায় ২০০ টাকার মতো যেখানে আসল খরচ শূন্য।
যদি কিনতেই চান তাহলে রাইফেল স্কয়ারের দোতলায় Vibe স্টোরে আমার পরিচিত আছে। সেখানে গিয়ে ৫০ টাকায় পাবেন।
আর যদি অক্টোবরের আগে কিনা না হয় তাহলে পরামর্শ দিবো আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে কারন অক্টোবরে নতুন ভার্সন বের হচ্ছে।
ডিস্ট্রো নাম: উবুন্টু
ভার্সন কোড: ৮.১০
ভার্সন নেম: ইন্ট্রাপিড আইবেক্স
১০| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
পাপী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখি রাইফেলস স্কয়ার থেকেই কিনবো। আপনার ইয়াহু কিংবা এমএসএন আইডি পেতে পারি, লিনাক্সের ব্যাপারে হেলপ লাগলে যাতে যোগাযোগ রাখা যায়।
১১| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:১৮
র্যাভেন বলেছেন:
যেখানে পাইরেটেড উইন্ডোজ এবং হাজার হাজার সফটওয়্যার ফ্রি ব্যাবহারে কোনো বাধা নেই সেখানে লিনাক্স ইউজের কোনো স্ট্রং পয়েন্ট নাই
১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৭
আশাবাদী!! বলেছেন: ভাই এটা যার যার নিজস্ব চিন্তার বিষয়।
আমি মনে করি পাইরেসী চুরি করার মতো। এতে অনেকেই বলেন দূর্নীতির দেশে চোরের দেশে থেকে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়। কিন্তু আমি মনে করি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে পরিবর্তন এনে বৃহত্তরও পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমরা যদি পাইরেসী বন্ধ করি তাহলে আমাদের দেশের ছেলেদের তৈরি সফটওয়্যার আমরা ব্যবহার করতে পারবো। কারন তারা যখন দেখবে পাইরেসী নাই তারা নিজেদের সফটওয়্যার তৈরিতে আগ্রহী হবে। এতে আমাদের দেশও এগিয়ে যাবে।
আপনি কি জানেন কি মুক্তসোর্স আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দেশের ছেলেরাই কতোগুলো মুক্তসোর্স সফটওয়্যার ও প্রজেক্ট শুরু করেছে? পিএইচপিবিবি-র বাংলা, পানবিবি-র বাংলা, অভ্র কীবোর্ড এগুলো কিসের জন্য তৈরি শুরু হয়েছে?
আমরা কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের দেশের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ছাড়তে যাচ্ছি মুক্তসোর্সে। এটাই বাংলাদেশে প্রথম তৈরি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম হবে। এখন আমরা যদি এটা ক্লোস্ড সোর্স করে মাইক্রোসফটের মতো দুই তিনশো ডলার চাই তাহলে আমাদের দেশের মানুষরাও উপকৃত হবে না আবার পাইরেটেড জিনিসের কারনে আমরাও লাভবান হবো না।
আমরা সবাই পাইরেটেড জিনিস ব্যবহার করে আরামে দিন চালাতে পারি। তাতে আমাদের জাতিকে চোর বললেও আমাদের চোখ বন্ধ রাখতে পারি।
আপনি বোধহয় জানেন বাংলাদেশ সারাবিশ্বে দ্বিতীয় আর এশিয়ায় প্রথম হয়েছে পাইরেসীতে?
এখন কোন বাইরের লোক এসে যদি বলে তোমরা তো চোরের জাতি আমরা মুখটা কোথায় লুকাবো?
১২| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:০৩
আদনান শামীম বলেছেন: আমি পাইরেসির বিরুদ্ধে। র্যাভেন কে দেয়া উত্তর পড়লাম। সুন্দর উত্তর।
আচ্ছা, ভিবি৬এ বানানো সফটওয়্যার কি উবুন্টুতে এমনি এমনি চালানো সম্ভব? নাকি ওয়াইন লাগে? জানালে উপকৃত হব।
১৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৪৩
আশাবাদী!! বলেছেন: আমি প্রোগ্রামিং-এর লাইনের লোক নই। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।
১৬ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৩৩
আশাবাদী!! বলেছেন: জ্বি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ভিভি৬ দিয়ে প্রস্তুতকৃত প্রোগ্রাম লিনাক্সে চালানো সম্ভব।
১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:১৭
আদনান শামীম বলেছেন: আমি যতজনকে কম্পিউটার শিখিয়েছি, তারা মেনু চেকবক্স সম্পর্কে খুব একটা ভাল বুঝে না। সমস্যাটাই এখানে। আমি মেনু, অপশনস একদিনেই শিখে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবার উপলব্ধি করার ক্ষমতা এক নয়।
ঐ চাকুরীজীবীকে তাহলে দুটো কোর্স করতে হবে। একটা উইন্ডোজের আরেকটা উবুন্টুর জন্য। (উবুন্টু শুরুর ইউজারদের জন্য হলেও বেসিক বোঝার ক্ষমতা সবার এক নয়।)
অভ্র কীবোর্ড কি ওপেনসোর্স? আমরা উবুন্টু ব্যবহার করলে তো আমাদের দেশের ছেলেদের এই প্রজেক্ট ব্যবহার করতে পারবো না। (অবশ্য প্রভাতও বোধহয় বাংলার কোডারদেরই অবদান, কিন্তু অভ্র ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে অনেকে।)
১৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬
আশাবাদী!! বলেছেন: হুমম
তাহলে ভাই তাদেরকে সবকিছুই নতুন করে শিখানো লাগবে।
অভ্র শুরু হয়েছিলো মুক্তসোর্স আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে। তবে পরে কিছু হাস্যকর ও কিছু যুক্তিগ্রাহ্য বিষয় বিবেচনা করে ক্লোস্ডসোর্স করা হয়েছে। (যা এখনও আমার কাছে দুঃখের একটি বিষয়।)
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:০০
নাফিস ইফতেখার বলেছেন: ফায়ারফক্স পেরেছে....কিন্তু উবুন্টু পারবে না। আশা করি কি ইঙ্গিত করলাম বুঝেছেন....তবে উবুন্টুর জন্য রইলো অনেক শুভকামনা...
১৭ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
আশাবাদী!! বলেছেন: হুমম আমি যা বুঝেছি তাই কি আপনি বুঝাতে চেয়েছিলেন??
হুমম আমারও তাই মতামত।
কিন্তু আসলেই কি হয় দেখা যাক। আরও অনেক দূর যেতে হবে।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৪৬
আদনান শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ vb6 এর ব্যাপারে খোজ নেয়ার জন্য। ওয়াইন ছাড়া যদি vb6এর প্রোগ্রাম চালানো যায় তাহলে তো আরো অনেক প্রোগ্রামই চলার কথা। কেন যে চলে না...
১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫
আশাবাদী!! বলেছেন: হুমম আমার মনে হয় আপনার প্রশ্ন বুঝায় সমস্যা হয়েছে।
.exe ফরম্যাট যদি হয় তাহলে সরাসরি উবুন্টুতে চালানো সম্ভব না। ওয়াইন দিয়ে চালাতে হবে। তবে ওয়াইন অনেক শক্তিশালী। অধিকাংশ সফটওয়্যারই চালাতে সক্ষম
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৫৮
আদনান শামীম বলেছেন: আচ্ছা! উইন্ডোজের মধ্যে একটা প্রোগ্রামের মতো বসে থাকে এমন লিনাক্স কি আছে? আমি ম্যানড্রেকের একটা পুরোনো ভার্সন করেছিলাম যেটাতে লিনাক্সের জন্য কোন আলাদা পার্টিশন লাগে না, ইন্সস্টলের পর শুধু ডেস্কটপে একটা শর্টকাট আসে lnx4win. সেটাতে ডাবলক্লিক করলে লিনাক্সে ঢুকে যায়। জাস্ট একটা সফটওয়্যারের মতো চুপচাপ বসে থাকে।
এমন লিনাক্সের নতুন ভার্সন থাকলে কে না ব্যবহার করতে চাইবে? তখন নাফিস ইফতেখার-এর কমেন্টকে মিথ্যা প্রমাণিত করে ফায়ারফক্সের মতোই লিনাক্স/উবুন্টু (?) জনপ্রিয় হবে। শুরুর ইউজাররাও ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
আছে নাকি নতুন ভার্সন? উবুন্টুর কি এমন কোন ভার্সন আছে?
১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮
আশাবাদী!! বলেছেন: হুমম ম্যানড্রেক আসলে অনেক আগের ডিস্ট্রো সেটা বর্তমানে ভেঙ্গে ম্যানড্রিভা হয়েছে। আপনি এখনও সেরকম কিছু আছে নাকি পরীক্ষা করে দেখুন।
আপনি কি ভার্চুয়াল মেশিনের কথা বলছেন? সেটা যেকোন লিনাক্সের ক্ষেত্রে অবশ্যই করা সম্ভব।
অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রোরই সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি ইনস্টল করতে না চান তাহলে লাইভ সিডি ব্যবহার করে এনভায়ার্মেন্টের স্বাদ নিতে পারেন। সিডিরমে সিডি ঢুকিয়ে লোড করে ব্যবহার করবেন আবার ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে সিডিরম থেকে বের করে ফেলুন। কোন ফাইল আপনার হার্ডডিস্কে থাকবে না পুরাটাই ভার্চুয়ালাইজেশন। উবুন্টুরও এই সুবিধা রয়েছে।
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:১১
ইরতেজা বলেছেন: এইটা কি আমাদের আশাবাদী ভাই? কেমন আছেন?
১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২
আশাবাদী!! বলেছেন: হেঃ হেঃ ধরে ফেললেন দেখি
জ্বি ভাই। ভালো আছি। আপনাকে নিয়মিত দেখিনা যে।
ভালো থাকবেন
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:১৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: গেইম এর কি হবে???
উবুন্টু ইন্সটলের সিডি তে লেখা আছে যে, এটা ইন্সটল করার সময় হার্ড ডিস্কের সব তথ্য মুছে যাবে। এইটা ছাড়া ইন্সটলের উপায় কী ??
উবুন্টুতে ডায়াল আপ কীভাবে কাজ করে ??
উইন্ডোজের মুক্ত সফটওয়্যার কি উবুন্টু তে চলে?? যেমন -- উইন্যাম্প ??
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪১
আশাবাদী!! বলেছেন: ১) গেম খেলার জন্য ওয়াইন (http://winehq.org/) আছে (তবে একদম লেটেস্টগুলো চালাতে কষ্ট হতে পারে)। লেটেস্ট গেম খেলতে চাইলে কিছু টাকা খরচ করে ক্রসওভার লিনাক্স গেমস কিনে নিতে পারেন (http://www.codeweavers.com/) অধিকাংশ উইন্ডোজ এ্যাপ্লিকেশন চলবে
২) এটার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন হার্ডডিস্কের সকল ডাটা মুছে যাবে না বরং যেই পার্টিশনে ইনস্টল করবেন সেটা ফরমেট করে নতুন করে ইনস্টল করবে। এটা স্বাভাবিক যেকোন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করলেই পার্টিশন নতুন করে ফরমেট করে। উইন্ডোজ বা ম্যাক ওএস ও একই কাহিনী
৩) ডায়ালআপের জন্য জিনোম পিপিপি রয়েছে সমাধান: Click This Link (উল্লেখ্য এটা দুই ভার্শন আগের সমাধান ইতিমধ্যে কিছু পরিবর্তন এসেছে)।
৪) আবারও ওয়াইন
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
মহসিন০৮ বলেছেন: ধন্যবাদ..............
২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৩
এ এক অন্য আই বলেছেন: লেখকের নাম টা কি?
২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪
েআসাদুল ইসলাম বলেছেন: সব কিছুই ঠিক আছে কিন্তু আমি যে এডিটিং করি সেক্ষেত্রে আমার প্রিয় সফটওয়্যার গুলোর একটিওতো রিনাক্সএ চলেনা। আমাকে সে জন্য পাশাপাশি দুটোই ব্যাবহার করতে হয়।
২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪১
এস. আর. আহসান বলেছেন: আমি উবুন্টুর নতুন ইউজার। কিন্তু আমার পিসিতে ইন্টারনেট নাই। আমার বন্ধুর কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সে আবার উইন্ডোজ চালায়। এরকম কোন উপায় আছে কি যে নেট থেকে সফটওয়্যার নামিয়ে পরে আমার কম্পিউটার ইন্সটল করব? যদি থাকে তবে তা কি? অথবা কোথায় থেকে জানতে পারবো? আর উবুন্টুর উপর আমার ই-বুক দরকার; প্রয়োজনে লিঙ্ক পাঠিয়ে দিলে উপকৃত হব।
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
কবির নাঈম দোদুল বলেছেন: ভাল বলেছেন। এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫৫
রাশেদ বলেছেন: তাই নাকি? আলোকিতকে জিগানো লাগবে না এইটা পোস্টের আগে!