নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশের সিকায় বিকাল

আসিবি

আকাশে সিকায় বিকাল

আসিবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

হুমায়ন একটা টাউট আজ তা আবার প্রমাণিত হলো। সাথে আছে সেই চেনা প্রথম আলো আর সৈয়দ মনজুরূল ইসলাম।

এরা সুপরিকল্পিতভাবে ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযু্দ্ধকে বিকৃত করে আসছে।





বঙ্গবন্ধুর হত্যা সম্পর্কিত ভুল ও আপত্তিকর তথ্য সংশোধন না করা পর্যন্ত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাস প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।



একইসঙ্গে কেন ভুল সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।



অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।



১২ দিনের মধ্যে তথ্যসচিব ও শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।



উল্লেখ্য, এরই মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘দেয়াল’ উপন্যাসের দুটি অধ্যায় প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো তার শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকীতে।



একই সঙ্গে উপন্যাসটির ওপর প্রশস্তিমূলক একটি নিবন্ধও প্রকাশ করা হয়েছে যা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।



উপন্যাসটির দুটি অধ্যায় প্রকাশিত হওয়ার পর ফেসবুক-টুইটার-ব্লগসহ স্যোসাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাদের অভিমত একটি দৈনিক সংবাদপত্র ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়ে লেখা এমন একটি উপন্যাস প্রকাশ করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়ই দিয়েছে।





ঘৃণার দেয়াল গড়বেন না প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর



বিদগ্ধ পাঠক সমাজের অনেকের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখি নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। হুমায়ূন সাহিত্য নিয়ে অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ স্যার একবার আমাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওতো স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা ছেলেপেলে, বুয়া এদের জন্য লিখে’।



আমি অবশ্য হুমায়ূন আহমেদকে অন্যভাবে দেখি। লেখালেখিতে অভাবিত শক্তি-নৈপুন্য-মুন্সিয়ানার গুণে তিনি বাংলাদেশের পড়াশুনার জগতকে আমুল পাল্টে দিয়েছেন। আমাদের ছেলেবেলায় আমরা দস্যু বনহুর, কুয়াশা, মাসুদ রানা এসব পড়তাম। আর আজকের তরুণরা হুমায়ূন আহমেদ দিয়ে শুরু করেন। এক সময় বাংলা একাডেমীর একুশের বইমেলা কলকাতাকেন্দ্রিক লেখকদের বইয়ের দাপটে ঠাসা ও নির্ভরশীল ছিল। হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, জাফর ইকবাল, সেলিনা হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, তসলিমা নাসরিনদের আবির্ভাব ও বিকাশের পর সে ধারা পালটে গেছে। এখন বইমেলায় পাঠকরা ভিড় করে এদের বই কিনে পড়েন। মেলায় হুমায়ূন আহমেদ যেদিন যে স্টলে বসেন সেদিন সে স্টলের সামনে অটোগ্রাফ শিকারিদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। বাংলাদেশের প্রকাশনা ব্যবসা, অনেক প্রকাশনা এদের লেখালেখি-বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। যে যেভাবেই দেখুন না কেন, এসব অর্জন কিন্তু একেবারেই ফেলনা নয়।



লেখালেখির মাধ্যমে নিজের জীবনও পালটে গেছে হুমায়ূন আহমেদের। শুধু লেখালেখি আর বই বিক্রির টাকায় যে ভালো থাকা যায়, বাংলাদেশে সে এই বিশ্বাসটিও তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমি বাংলাবাজারে গেলে আমার এক প্রকাশক প্রথমে জানতে চাইতেন, ভাত খাবো কীনা! না বললেও জোর করে কোন ভাতের হোটেলে নিয়ে যেতে চাইতেন। তখন মনে হতো প্রকাশকদের ধারণা লেখকদের পকেটে ভাত খাবার টাকাও নিয়মিত থাকে না!



আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-পেশাজীবীরা লেখালেখিসহ নানাকিছুতে পরিচিত-জনপ্রিয় হয়ে গেলে শিক্ষকতা বা পেশার মূল জায়গাটি বাদ দিয়ে জনপ্রিয়তার জায়গাটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। শিক্ষকতা বা পেশার মূল জায়গাটিকে অবহেলা করেন, এভাবে ছাত্রদের ঠকান। হুমায়ূন আহমদ কিন্তু তা করেননি। লেখালেখি, টিভি নাটক-চলচ্চিত্র এসবের ব্যস্ততার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটিই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। মৌলিক লেখালেখির পাশাপাশি কলাম লিখেন পত্রপত্রিকায়। ক্রিকেট থেকে শুরু করে নানান বিষয় থাকে তার কলামে। খুবই সহজ সরল প্রকাশ ভঙ্গি ও হিউমারের কারণে তার এসব কলাম পাঠকরা গোগ্রাসে গেলেন। এক সময় বলা হতো আব্দুল গাফফার চৌধুরী যেদিন যে পত্রিকায় কলাম লিখতেন সে পত্রিকার কাটতি বেড়ে যেত। এখন সে অবস্থা হুমায়ূন আহমেদের।



ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য আমেরিকাবাসী হয়ে যাওয়াতে গত বইমেলার সময় তিনি দেশে এবং মেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু তার লেখালেখি, বই প্রকাশ, মেলায় সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকা থেকে তার নাম মুছে দেওয়া বা যাওয়া--- এসবের কোনোটাই ঘটেনি।



আমেরিকায় হুমায়ূন আহমেদের যেখানে চিকিৎসা চলছে সেটি কতটা ব্যয়বহুল তা ওয়াকিফহালরা জানেন। কিন্তু কোথাও টাকার অভাবে তার চিকিৎসা আটকে থাকেনি বা কারও কাছে হাত পাততে হয়নি। এর কারণ তার পাঠকপ্রিয়তা, বই বিক্রি, লেখালেখির আয়। গত বইমেলায় তার বই বিক্রি অব্যাহতভাবে শীর্ষে থাকার পেছনে বিদেশে তার চিকিৎসাব্যয় নিয়ে তার পাঠক মানসের সাপোর্টের বিষয়টিও কাজ করে থাকতে পারে। এমনিতে আমাদের দেশের গড়পড়তা প্রায় সব মানুষ বা সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো ক্যান্সারের মতো ঘাতকব্যাধির পাল্লায় পড়লে ব্যয়বহুল চিকিৎসার টাকা কী করে জোগাড় হবে সে দুশ্চিন্তাতেই অর্ধেক মরে যান। সাবিনা ইয়াসমিন, আজম খানের চিকিৎসার টাকার জন্যেও মানুষের কাছে হাত পাততে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদ ভাগ্যবান। তার চিকিৎসাসহ সবকিছু যে ঠিকমতো চলছে এর বড় কারণ তার পাঠক। পাঠকের শক্তি। সাপোর্ট।



হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখি নিয়ে তার নিজস্ব সরল কিছু স্বীকারোক্তি আছে। যেমন একবার নিজেই বলেছেন, তিনি টাকার জন্য লিখেন। আবার এক জায়গায় বলেছেন, গল্পটা মানুষের পাঠ উপযোগী করে লিখতে হয়। পাঠক যে কোনকিছু গড়পড়তা একটি সরলরেখায় চিন্তা করে। সে চিন্তায় তার লেখা এগোলেও হঠাৎ করে বিপরীতমুখী চিন্তার পথে গল্পটা এগিয়ে নিয়ে গেলে প্রথম পাঠকের খটকা লাগলেও পরে সে ধারাটিকে পছন্দ করে সে। এভাবেই একটি বই তথা সাহিত্য জনপ্রিয় হয়।



হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাসটিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখেশুনে তার বলা সে কথাগুলোই মনে পড়েছে। ‘দেয়াল’ উপন্যাসেও তিনি কী তার লেখালেখির সেই টেকনিকটির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন? যদি তা হয়ে থাকে তাহলে বিপদ। কারণ দেয়ালের বিষয়বস্তু রাজনৈতিক। ঐতিহাসিক। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ট্র্যাজিক হত্যাকান্ডটি জাতির আবেগের সঙ্গে জড়িত। এটি কোনো `হিমুসমগ্র` নয়। `দেয়াল’এর যতটা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি অথবা ঐতিহাসিক ভুল তথ্য চিহ্নিত করা গেছে।



অভিযোগ উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মুক্তিযোদ্ধা বলে উল্লেখ করে তাদের প্রতি এক ধরনের সফট কর্নার বা সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা আছে দেয়ালে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের অন্যতম মেজর ফারুক যুদ্ধের শেষ দিকে এসে পক্ষ নিলেও সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার সময়-সুযোগ পাননি। কিন্তু তার মুখে বলা হয়েছে, যুদ্ধের গল্প! ফারুককে বলা হয়েছে পীর বংশের ছেলে, তৎকালীন গদিনশীন পীর একজন! কিন্তু সেটি তিনি না, তার ভায়েরা ভাই আরেক আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনি রশীদ। শিশু রাসেলের হত্যার বিবরণ দিতে গিয়ে বলা হয়েছে সে শেখ কামাল, শেখ জামালের স্ত্রীদের কক্ষে একটি আলনার পিছনে লুকিয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে স্বীকৃত, আদালতে নথিভূক্ত তথ্যটি হচ্ছে, শিশু রাসেল আশ্রয় নিয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন গৃহপরিচারিকা রমার কাছে। তাকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।



অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের লেখার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়ার গ্রামবাসী তার গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়! হুমায়ূন আহমেদ কোনোদিন টুঙ্গিপাড়া গেছেন কীনা, সেখানকার গ্রামবাসীর সঙ্গে ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন কীনা তা আমার জানা নেই। কিন্তু এ সংক্রান্ত রিপোর্ট করতে বিভিন্ন সময়ে আমি সে গ্রামে গিয়েছি, এবং যত গ্রামবাসী লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কেউ কিন্তু কখনও এ রকম তথ্য বলেননি। এমনকি টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ বিএনপির কোনো নেতাকর্মীও না। এখন একজন বিদেশি লিখেছেন বলে তা নিজের দেশে যাচাই’র সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা হুবহু লিখে দেওয়া কী তার মাপের একজন লেখকের ঠিক হয়েছে?



আমি এক বিদেশি পর্যটক-লেখকের লেখায় এক সময় কিছু হাস্যকর অসঙ্গতি দেখেছিলাম। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল ঘুরে তিনি তার লেখায় লিখেছিলেন, দেশটি গরিব হলেও গ্রামের কৃষক যুবকেরা জিন্সের প্যান্ট পড়ে হালচাষ করে! গ্রামের এক বাড়িতে গিয়ে সে লেখক বিয়ারের ক্যান দিয়ে তৈরি কুপি জ্বলতে দেখেন। সে লেখক তার লেখায় লিখেছিলেন, বাংলাদেশের গ্রামবাসী লোকজন এত বিয়ার খায় যে তাদের ঘরের কুপি দেখেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়!



আসলে ওই পর্যটক-লেখক যা দেখেছেন তা নিয়ে উপযুক্ত লোকের সঙ্গে কথা বলে যাচাই না করে লেখাতেই এ ধরনের অসঙ্গতি ঘটেছে। লুঙ্গির চেয়ে পুরনো কাপড়ের মার্কেটের জিন্সের প্যান্ট যে দামে সস্তা তা ঠিকমতো আলাপ করে লিখলে এমন ঘটতো না। আমি যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের গ্রামজীবন চিনি-জানি সে কারণে অসঙ্গতির বিষয়টি ধরতে পারি। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তেমন লিখে থাকলে তা নিশ্চয় বঙ্গবন্ধুর খুনি কোনো পক্ষের বলা তথ্যে লিখেছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফর, এখানে কাজ করলেও তিনি কখনো টুঙ্গিপাড়া গেছেন বা সেখানকার গ্রামবাসী কারও ইন্টারভ্যু করেছেন, এমন কোন তথ্য তার কোনো লেখায় পড়েছি বলে মনে পড়ে না। এমন তথ্য যাচাই’র সুযোগ হুমায়ূন আহমেদের থাকলেও তিনি বিষয়টির যাচাই করে না থাকলে এ ব্যাপারে তার আত্মপক্ষ সমর্থনে কী বলার আছে জানতে ইচ্ছে করে।



হুমায়ূন আহমেদের লেখাটি নিয়ে এর মাঝে অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ব্লগে আলোচনা-সমালোচনার ধুম লেখেছে। প্রিয় ব্লগারদের একজন অমি রহমান পিয়াল এ ব্যাপারে বাংলানিউজেও লিখেছেন। অনেকে এমনও বলছেন, লেখক যে উদ্দেশে বইটির দু’কিস্তি বাজারে ছেড়েছেন তাতে তার উদ্দেশ্য সফল! এতে করে তার এই বইটিরও বাজার কাটতির অগ্রিম নির্ধারিত হয়ে গেছে! ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতির অভিযোগে বইটির প্রকাশিত অংশ বিশেষ এর মাঝে আদালতে নিয়ে গেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত থেকে এ ব্যাপারে হয়তো একটি সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু আমি বিষয়টি রাখতে চাই হুমায়ূন আহমেদের বিবেকের আদালতের কাছে।



জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ ‘দেয়াল’ নামের উপন্যাস লিখছেন, এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অনেকের মতো আমিও অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার মাপের লেখকের কাছে এ নিয়ে উচ্চাশার যৌক্তিক অনেক কারণ আছে। মুক্তিযুদ্ধ তার উপন্যাস-নাটক-চলচ্চিত্রে আগেও এসেছে। তার নাটকে ময়না পাখির মুখে বলানো ‘তুই রাজাকার’ দেশজুড়ে কী বিশাল প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল, তা রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধী আর তাদের পরিবারের লোকজন জানে। কিন্তু এ কথাও সত্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার কোনো লেখা তারই অনুজ জাফর ইকবালের ‘আমার বন্ধু রাসেল’ এর মতো এতটা সর্বজনসমাদৃত বা ইতিহাসনিষ্ঠ হয়নি। ছেলেবেলার বন্ধু রাসেলের কথা বলতে গিয়ে যেন গোটা মুক্তিযুদ্ধের গল্পটিই একনিষ্ঠভাবে বলে গেছেন জাফর ইকবাল।



হুমায়ূন আহমেদ হয়তো বলতে চাইবেন ‘দেয়াল’ একটি উপন্যাস। ইতিহাস গ্রন্থ নয়। কিন্তু দেয়ালের ঘটনা-চরিত্রসমূহ, নায়ক-ভিলেন এরাতো সব রাজনৈতিক-সামরিক-বেসামরিক এবং ঐতিহাসিক। তাই এটি লিখতে গিয়ে ইতিহাসের বিচ্যুতি-অসঙ্গতি কাম্য নয়।



একটি ঘটনা একেকজন একেকরকম বলতে পারেন। হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় অনাবিষ্কৃত-অলিখিত নতুন তথ্যও দিতে পারেন। কিন্তু তা হতে হবে বিশ্বস্ত তথ্য নির্ভর। বিদেশি কারও তথ্য ব্যবহার করলে সেটির সত্যতা দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যাচাই করে নেওয়া যায়। তেমন যাচাইয়ের সুযোগ তার আছে। তিনি যদি সে সুযোগটি না নিয়ে থাকেন অথবা নিতে না চান, তাহলে তা কিন্তু গড়বে ভিন্ন এক দেয়াল।



বাংলাদেশের জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটির ইতিহাস বিকৃতির দায়ে পড়বেন তিনি। সে দায় কিন্তু এড়াতে-উপড়াতে পারবেন না। এ অবস্থায় দেয়ালের বাণিজ্যিক সফলতার অর্থে হয়তো তার চিকিৎসাব্যয় মেটানোর আরেকটি বড় উৎসের সৃষ্টি হবে! কিন্তু এমন উৎসের টাকায় নিজের জীবন বাঁচানোর চিকিৎসার কাজে লাগাবেন না প্লিজ, প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ! আপনার তো অনেক আছে। আপনাকে আমরা যারা পছন্দ করি-ভালোবাসি সেখানে দাঁড় করাবেন না কোনো ঘৃণার দেয়াল।



আশা করি, দ্রুত বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে দেশের মানুষের কাছে আপনি আপনার অবস্থান স্পষ্ট করবেন।



ফজলুল বারীঃ সিডনিপ্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময় ১০৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১২





হুমায়ূন আহমেদ, দেয়াল এবং দায়মুক্তি…

অমি রহমান পিয়াল, অতিথি লেখক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



হুমায়ূন আহমেদ ঠোঁটকাটা লোক। বেস্ট সেলার তালিকায় ধারাবাহিক অধিষ্ঠানের সময়ই এক স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন যে, তিনি টাকার জন্য লেখেন। তিনি গল্প বলেন, গল্প লোকে পছন্দ করে, সে গল্পের তুমুল কাটতি। ব্যাপারটা এ পর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্তু গোল বাধলো যখন তিনি ইতিহাস নিয়ে গল্প বানাতে শুরু করলেন।



একাত্তরভিত্তিক তার অনেক বইয়ের একটি ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই উপন্যাসে অনেক চরিত্র ঐতিহাসিক; তাদের অস্তিত্ব এখনও জাজ্বল্যমান আমাদের চেতনায়। হুমায়ূনের পাঠকশ্রেণী ওই নন-ফিকশনাল ফিকশনের তফাৎটা ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা এটাকে সত্যিকার ইতিহাস মেনেছেন। এর মধ্য দিয়ে হুমায়ূন একটি চরম বিতর্কিত কাজ করেছেন যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে গেছে।



প্রথমত তিনি উল্লেখ করেছেন ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলেছেন। এটি প্রমাণিত মিথ্যাচার। এর স্বপক্ষে কয়েকজন ঘুনেধরা রাজনীতিক এবং স্বাধীনতাবিরোধী বুদ্ধিজীবী ছাড়া কারো সোচ্চার দাবি নেই। এবং তারা এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেন নি। সেই সমাবেশে উপস্থিত আরো লাখো শ্রোতার কেউ তাদের এই দাবির সত্যতাকে সমর্থন করেননি। দ্বিতীয় যে অন্যায়টি করেছেন, তা তার সেই উপন্যাসের খলচরিত্রটির যাবতীয় অপকর্ম (পাকবাহিনীর সহযোগী হিসেবে) বর্ণনার পরও তার জন্য একটা সফট কর্নার তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন। সুবাদে যা দাঁড়িয়েছে তার ফলে পাঠকদের একটা বড় অংশ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি মানে; কারণ হুমায়ূন লিখেছেন শেখ মুজিব নাকি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলেছেন তার ভাষণে।



অন্যদিকে রাজাকারিতার চূড়ান্ত করার পরও সেটা যে নিতান্তই পরিস্থিতির চাপে করা হয়েছে এমন একটা ধারণারও জন্ম দিয়েছেন হুমায়ূন। অনলাইন ফোরামগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-বিকৃতি রোধে আমাদের যে নিত্য লড়াই, তাতে বিপক্ষ শক্তির একটা বড় অবলম্বন এখনও ‘জোছনা ও জননীর গল্প’।



হুমায়ূন ক্যান্সার আক্রান্ত, চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যেই তিনি ঘোষণা দিয়ে লিখছেন ‘দেয়াল’ নামে একটি উপন্যাস। এটিও রাজনৈতিক উপন্যাস, এবং এর পটভূমি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রমোশনাল কাজকর্ম চলছে। একটি পত্রিকা তার সেই প্রকাশিতব্য উপন্যাসের দুটো অধ্যায় ছাপিয়েছে। সঙ্গে তাদের পোষা বুদ্ধিজীবীদের একজনকে দিয়ে একটি সম্পূরক লেখা ছাপিয়েছে এর ঐতিহাসিক সত্যতা ও মানগত উৎকর্ষের সমর্থনে।



শুক্রবার গোটা দিনটিই ফেসবুক এবং ব্লগগুলো উত্তাল ছিলো এই নিয়ে। কারণ হুমায়ূন আবারও ইতিহাস-বিকৃতি ঘটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডটির পরই এই দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অধিষ্ঠান ঘটে। রাতারাতি না হলেও ধীরে ধীরে, অনেক বছর ধরে। সে সময়টাতে এই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করতে যেসব অপপ্রচার চলে সেসবেরই একটি ছিলো হত্যাকারীরা সব মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। নাটের গুরু খন্দকার মোশতাক আহমদ তাদের `সূর্যসন্তান` আখ্যা দিয়ে রীতিমতো ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করিয়ে নেয় যাতে এই খুনীদের কোনোরকম আইনি ঝামেলায় পড়তে না হয়। তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়।



হুমায়ূনের দেওয়া দায়মুক্তিও সেই অধ্যাদেশের আদলেই হয়েছে। প্রকাশিত ওই নির্বাচিত অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন: … মেজর ফারুক দলবল নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর জঙ্গলে। তাঁর শীতকালীন রেঞ্জ ফায়ারিংয়ের শিডিউল। মার্চ মাসে শীত নেই। চামড়া পোড়ানো গরম পড়েছে। সকালবেলা মাঝারি পাল্লার কামানে কয়েক দফা গুলি চালানো হয়েছে। জওয়ানরা তাঁর মতোই ক্লান্ত। তিনি সুবেদার মেজর ইশতিয়াককে ডেকে বললেন, আজকের মতো ফায়ারিং বন্ধ।



ইশতিয়াক বলল, স্যারের কি শরীর খারাপ করেছে?



ফারুক বললেন, আই অ্যাম ফাইন। গেট মি এ গ্লাস অব ওয়াটার।



তাঁর জন্য তৎক্ষণাৎ পানি আনা হলো। পানির গ্লাসে বরফের কুচি ভাসছে। ফারুক গ্লাস হাতে নিয়েও ফেরত পাঠালেন।

ইশতিয়াক বলল, স্যার, পানি খাবেন না?



ফারুক বললেন, না। একজন সৈনিক সর্ব অবস্থার জন্য তৈরি থাকবে। সামান্য গরমে কাতর হয়ে বরফ দেওয়া পানি খাবে না।

বরফ ছাড়া পানি নেই?



না। মুক্তিযুদ্ধের সময় একনাগাড়ে দুই দিন পানি না খেয়ে ছিলাম।



ইশতিয়াক বলল, পানি ছাড়া কেন ছিলেন, স্যার? বাংলাদেশে তো পানির অভাব নেই।



যেখানে ছিলাম, সেখানে সুপেয় পানির অভাব ছিল। সবই পাটপচা নোংরা পানি। ভাগ্যিস, পানি খাইনি। যারা খেয়েছিল, তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেবার আমাদের হাতে অল্পবয়সী একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন ধরা পড়েছিল। তার সঙ্গে ছিল বোতলভর্তি পানি। দাঁড়াও, তার নামটা মনে করি। এস দিয়ে নাম। ইদানীং কেন যেন পুরোনো দিনের কারোর নামই মনে পড়ে না। যাক, মনে পড়েছে। শামস। রাজপুত্রের মতো চেহারা। মাইকেল এঞ্জেলোর ডেভিডে খুঁত থাকলেও তার কোনো খুঁত ছিল না। খাঁড়া নাক, পাতলা ঠোঁট, মাথার চুল কোঁকড়ানো, আবু লাহাবের মতো গায়ের রং।…



বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র, সেনাবাহিনীর দলিলপত্র, কোথাও ফারুক রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত নন। তিনি কলকাতায় রিপোর্ট করেছেন ১২ ডিসেম্বর। তখন ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-খুলনা বাদে প্রায় পুরো দেশই স্বাধীন। বিজয়ের চারদিন আগে তাকে আর যুদ্ধে যোগ দেওয়ার কষ্ট করতে হয়নি। নভেম্বরে যোগ দিয়েছিলেন তারই ভায়রাভাই এবং খুনের সহযোগী কুচক্রী কর্নেল রশীদ। হুমায়ূন এই ফারুককে দিয়ে রূপবান একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনকে হত্যা করিয়েছেন, যে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে প্রচুর ধর্ষণের অভিযোগ এবং সেসব ধর্ষণে সে বিকৃত মানসিকতার নজির রাখতো। দুদিন পানি না খেয়ে থাকা ফারুকের জীবন বাঁচানোর পরও সে তাকে মারতে দ্বিধা করে না। তো ফারুক একজন টাফ গাই, নীতিবান মুক্তিযোদ্ধা! এইভাবেই মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে একজন কুখ্যাত খুনীর প্রতি তার সরল পাঠকদের মধ্যে মমতার বোধ জাগানোর অপপ্রয়াস নিয়েছেন হুমায়ূন।



বিকৃতি আরো আছে। এর মধ্যে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকেও টানা হয়েছে যেন হাটহাজারির ঘটনা মাসকারেনহাসকে বলেছেন ফারুক। এই পুরা টুইস্টটা আমাদের ইতিহাসের জন্য একটা বিপজ্জনক বার্তা। কারণ এই দেশের রাজনীতি এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তিতে বিভক্ত। সেই বিভক্তিতে এই বিকৃতি একটি ভয়ংকর উপাদান হয়ে শক্তিশালী করবে স্বাধীনতাবিরোধীদের যাবতীয় অপপ্রচারকে। অল্পতেই বিভ্রান্ত উঠতি প্রজন্ম এদের যাবতীয় মিথ্যাচারকেই সত্য ভাববে।



যে প্রকাশনী ও যে পত্রিকাটির তরফে হুমায়ুন এত লাইমলাইট পাচ্ছেন তাদের অভিসন্ধি এই সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে গত ক’বছর ধরেই সন্দেহজনক। সম্প্রতি অদিতি ফাল্গুনী নামে এক লেখিকা এক কল্পিত মুক্তিযোদ্ধার ডায়েরিকে উপন্যাস বানিয়ে ইচ্ছামতো স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিকৃত উপস্থাপন করে সেই পত্রিকা-প্রবর্তিত পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। সেই পত্রিকায় কর্মরত একজন নামী লেখকও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন এবারের বইমেলায় এবং তিনিও বিভ্রান্তির কৌশল নিয়েছেন। তো পরিকল্পিত এই প্রোপাগান্ডায় সর্বশেষ অন্তর্ভুক্তি হুমায়ূন।



এই বই লিখে হুমায়ুন কি তার চিকিৎসাব্যয়ের নির্ভরতা পাবেন? স্রেফ টাকার জন্য একটা দেশের ইতিহাসের বিকৃতিতে ভূমিকা রাখবেন? প্রশ্নগুলো উঠছে, কারণ ঘটনাক্রম তা সমর্থন করছে। হুমায়ুন আমাদের সেরা সম্পদদের একজন, কিন্তু তিনিও যদি নিজেকে এভাবে বিকিয়ে দেন তখন আমাদের আস্থার জায়গাগুলো বড্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। তার ভক্তদের একাংশ তার হয়ে লড়েছেন আমাদের অভিযোগের বিপরীতে। তাদের কথা কয়টা অধ্যায় পড়েই আমরা অতিরিক্ত স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেছি। পুরোটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। রাজনৈতিক কেউ কেউ তো বললেন, আরে মেনে নেন এটুকু, সামনে জিয়াকে ধুয়ে দিয়েছে, ভাসানী ওসমানী কেউ বাদ পড়েনি! এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। অন্যায় হচ্ছে, মিথ্যাচার হচ্ছে, বিকৃতি হচ্ছে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ মিলেছে, প্রমাণ দিয়েই তা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ভাত সেদ্ধ হলো কিনা সেটা জানতে গোটা হাঁড়ি হাতাতে হয় না, দুয়েকটা চাল টিপলেই যথেষ্ট।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৪/-১

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

আসিবি বলেছেন: শালা শাওনের লাগায়া পাগল হইেছ

২| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

কথা সত্য বলেছেন: যে দেশে গুনীজনের উপর এ ধরনের বাক্য বর্ষিত হয়, সে দেশে এমন হবেনা তো কেমন হবে।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

আসিবি বলেছেন: দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ইতিহাস বিকৃতি কাম্য নহে।

৩| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

দা লর্ড বলেছেন: ইতিহাস আর উপন্যাস কি এক হল???!!!

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

আসিবি বলেছেন: কিন্তু সত্যকে মিথ্যা বলে উপন্যাস লিখাও অপরাধ।

৪| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ইতিহাস বিকৃতি কাম্য নহে।

৫| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

বেলা চৌধুরী বলেছেন: এই সেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, যিনি বলেছিলেন, ডঃ ইউনুস নয়, পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য হাসিনার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

আসিবি বলেছেন: সেটা মতামত। ইতিহাস নয়। আপনি ভুল ইন্টাপ্রিট করছেন যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, হতাশার প্রকাশ মাত্র।

৬| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

রাহিক বলেছেন: আপনি মনে হয় মানুষ না,আম্লীগার ।তাইনা ?

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪

আসিবি বলেছেন: আপনি কি তবে পাকি নাকি ভাদা নাকি ছাগু। আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে নতুবা ১৯৪৯ থেকে আজো তা টিকে থাকতে পেরেছে। আপনারা এই কয়জন জ্ঞানপাফী বা হতাশরা কি আর করতে পারবেন।

৭| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

আমিই স্রোত বলেছেন: again highcourt! :) :)

৮| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

মুসাফির৭৫৮৪ বলেছেন: ফজলুল বারী কে, মাম্মা? :-B

৯| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

আকাশবার্তা বলেছেন: ভাই হাসিনা আপা তো আমেরিকায় চিকিৎসারত হুমায়ুন আহামেদের হাসপাতালের বেডে গিয়ে দেখ আসলেন এবং দশ হাজার ডলার দিলেন, তার পরও ইতিহাস কেমনে ভুল এবং বৃকিতি লেখেন হাসিনা আপার মনের মতো করে লেখতে পারেনি স্যার তাই আপা মাইন্ড খাইছে ।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬

আসিবি বলেছেন: মহানুভবতার, উদারতার এই প্রতিদান দিলেন হুমায়ৃন!! আমি বিব্রত, লজ্জিত। এমন মহান হতে চাই না।

১০| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

chinu_138 বলেছেন: আপনি মনে হয় মানুষ না,আম্লীগার ।তাইনা ? :-P :-P :-P :-P

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬

আসিবি বলেছেন: আপনি কি তবে পাকি নাকি ভাদা নাকি ছাগু। আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে নতুবা ১৯৪৯ থেকে আজো তা টিকে থাকতে পেরেছে। আপনারা এই কয়জন জ্ঞানপাফী বা হতাশরা কি আর করতে পারবেন।

১১| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

অসাধারণ মানুষ বলেছেন: ইতিহাস কি সত্যিই বিকৃতি হইছে ?? যা লিখছে তা মিথ্যা সেইটা কিভাবে বুঝবো ?? তার কথা বিশ্বাস করবনা তো কি রাজনীতিবিদদের কথা বিশ্বাস করবো :-P :-P :-P

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

আসিবি বলেছেন: দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ইতিহাস বিকৃতি কাম্য নহে।

১২| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

শোয়েব হাসান বলেছেন: কাদের সিদি্কি্র পর হুমায়ন আহমেদও একটা রাজাকার । লিস্ট এ ১টা নতুন নাম যোগ হলো

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

আসিবি বলেছেন: তা কেন আমরা বলবো
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানাভাবে আওয়ামী, এর নেতা কর্মী, এর ত্যাগ, অবদানকে নষ্ট করতে, অস্বীকার করতে বিশাল ব্যক্তি, শক্তি আজো কার্যকর কিন্তু জনগণের দল বলেই এইসব উতরিয়ে জনগণের দল আওয়ামী লীগ টিকে আছে থাকবে। কোন প্রফেসর বা লেখক কি বিকৃতি করলো তাতে আওয়ামী লীগ বা জাতির জনকের সম্মানের কিছু কমে না বরং বিকৃতিকারীরাই আস্তাকড়েঁ যাবে গেছে কালে কালে।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

অিপ্রয়ংবদা বলেছেন: বিকৃত ইতিহাস আর সঠিক ইতিহাস এর সংজ্ঞা কি ?
যে ইতিহাস আওয়ামীলীগ এর পক্ষে যাবে তা সঠিক ইতিহাস আর যে ইতিহাস আওয়ামীলীগ এর বিপক্ষে যাবে সেটি বিকৃত ইতিহাস।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

আসিবি বলেছেন: না আপনার মতো পাকিরা যা বলবে তাই ঠিক

১৪| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

দেখি তাই বলি বলেছেন: ইতিহাস অবিকৃতঃ কাদের সিদ্দিকি, মেজর জলিল, জিয়া রাজাকার

ইতিহাস বিকৃতঃ হুমায়ুন আহমেদের দেয়াল উপন্যাস
.........................

হায়রে এদেশের স্বার্থবাদী রাজনীতি... আর তাদের চামচারা...

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

আসিবি বলেছেন: ভাই নিচ নামে একাউন্ট খুলে আসেন রাজণীতিতে
কিবোর্ডে আর কতো বিপ্লব

১৫| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: কিছুক্ষন ধরে মাথা ঠান্ডা ছিলো আপনার কপি পেষ্ট লেখা পড়ে আর ফালতু হেডিং পড়ে মাথা আবার খারাপ হইয়া গেছে।

শুন বেজন্মার বাচ্চা কুত্তার বাচ্চা হুমায়ুন আহমেদ বাল সেভ করার পর যেগুলা ফালায়া দেয় তার যোগ্যও তুই না। খাঙ্কির পোলা কুত্তালীগের সোগা এই লেখাতেই গরম হইছে। আর হুমায়ুনের জুতা তোর গলায় ঝুলানোর মত যোগ্যতা তোর গলা অর্জন করে নাই। বালা হইয়া যা। সময় ও বেশী নাই। দিল্লীতে হিযরতের সময় চইল্লা আইছে।

ভাই মনে কষ্ট নিয়েন না। আমি মাথা খারাপ মানুষ তাই উলটাপালটা বইল্লা ফালাইছি। আপনে আপনের আব্বা আর আপনের নেত্রি তারা হইলো ফেরেশতার চেয়ে পূন্যবান। মাইন্ড কইরেন না প্লিজ

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

আসিবি বলেছেন: তাসনোভা সাখাওয়াত বিথী বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাসটিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখেশুনে তার বলা সে কথাগুলোই মনে পড়েছে। ‘দেয়াল’ উপন্যাসেও তিনি কী তার লেখালেখির সেই টেকনিকটির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন? যদি তা হয়ে থাকে তাহলে বিপদ। কারণ দেয়ালের বিষয়বস্তু রাজনৈতিক। ঐতিহাসিক। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ট্র্যাজিক হত্যাকান্ডটি জাতির আবেগের সঙ্গে জড়িত। এটি কোনো `হিমুসমগ্র` নয়। `দেয়াল’এর যতটা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি অথবা ঐতিহাসিক ভুল তথ্য চিহ্নিত করা গেছে। সহমত ।

হুমায়ন আহমেদ হিমু আর মিশির আলীর জন্য আমার খুব প্রিয় একজন লেখক । কিন্তু জাতির জনকের ইতিহাস বিকৃতিকরন বাংলাদেশীদের কাম্য নয় । যদি তিনি তা করে থাকেন তবে সেটা সত্যি দুঃখজনক ।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ‘আমার বন্ধু রাসেল’ না বইটার নাম 'আমার বন্ধু রাশেদ'

১৭| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০০

amit_07 বলেছেন: ভাই ইতিহাস আর উপন্যাস কে এক করলেন কেন বুঝলাম না।

আমি উনার দেয়াল উপন্যাসের প্রথম আলোতে প্রকাশিত দুইখন্ড পড়েছি। উনি কর্নেল ফারুক ও কর্নেল ডালিম সম্পর্কে লিখেছেন যার সুত্র উল্লেখ করেছেন
journalist Anthony Mascarenhas এর বই থেকে।

তাছাড়া উনি ফারুক ডালিম সম্পর্কে যা বলেছেন তার বিক্ষিপ্ত বিবরন ততকালীন সেনা অফিসারদের লেখা বইতে পেয়েছি। সর্বশেষ কিছুদিন আগে সাবেক হওয়া নির্বাচন কমিশনার অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাখাওয়াৎ হোসেনের বইতে মেজর ডালিমের কথা পেয়েছি অনেকটা একই রখম।

আর রক্ষি বাহিনী সম্পর্কে যা বলেছেন তা কি মিথ্যা???

আর কারও মত প্রকাশের উপর স্বাধীনতা কি থাকবে না? আজ হাই কোর্ট রুল দিয়েছে।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

আসিবি বলেছেন: Click This Link

১৮| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে নতুবা ১৯৪৯ থেকে আজো তা টিকে থাকতে পেরেছে।''

লগি বৈঠার অপ চর্চার কারনে বোধ হয় লীগ এর স্থলে লগি লিখা হয়ে গেছে ।
আর টিকে থাকার কথা বলছেন,
‘’ অতিকায় ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে, টিকে আছে ------------।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

আসিবি বলেছেন: Click This Link

১৯| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

আরশাদ আহম্মেদ বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের ইতিহাস আওমীলীগ ছাড়া কারও প্রকৃতভাবে জানা নাই, সুতরাং আওমী-এসিডটেষ্ট ছাড়া ঐতিহাসিক উপন্যাস সবই মিথ্যা প্রতিপন্য হবে :)

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

আসিবি বলেছেন: Click This Link

২০| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৪

তাসনোভা সাখাওয়াত বিথী বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ উপন্যাসটিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা দেখেশুনে তার বলা সে কথাগুলোই মনে পড়েছে। ‘দেয়াল’ উপন্যাসেও তিনি কী তার লেখালেখির সেই টেকনিকটির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন? যদি তা হয়ে থাকে তাহলে বিপদ। কারণ দেয়ালের বিষয়বস্তু রাজনৈতিক। ঐতিহাসিক। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ট্র্যাজিক হত্যাকান্ডটি জাতির আবেগের সঙ্গে জড়িত। এটি কোনো `হিমুসমগ্র` নয়। `দেয়াল’এর যতটা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি অথবা ঐতিহাসিক ভুল তথ্য চিহ্নিত করা গেছে। সহমত ।

হুমায়ন আহমেদ হিমু আর মিশির আলীর জন্য আমার খুব প্রিয় একজন লেখক । কিন্তু জাতির জনকের ইতিহাস বিকৃতিকরন বাংলাদেশীদের কাম্য নয় । যদি তিনি তা করে থাকেন তবে সেটা সত্যি দুঃখজনক ।

লেখককে ধন্যবাদ ।

২১| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

amit_07 বলেছেন: আর রক্ষি বাহিনী সম্পর্কে যা বলেছেন তা কি মিথ্যা??? কিন্তু উনি তো নিজের অভিজ্ঞতা ই বর্ননা করেছেন , যেভাবে উনি জোসনা ও জননীর গল্প" নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন।,

Click This Link

বঙ্গবন্ধু হত্যা-সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১২ দিনের মধ্যে তথ্য ও শিক্ষাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত তথ্যগত বিভ্রান্তি হুমায়ূন আহমেদকে জানাতে দুই সচিবকে বলেছেন।

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৭

আসিবি বলেছেন: Click This Link

২২| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:১৩

দেখি তাই বলি বলেছেন: আমার তো ভাইজান গুম হওনের ডর আছে।

তা আপনের নাম কি আসিবি? বড় আনকমন নাম।

:)

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

আসিবি বলেছেন: তাইলে আমেরিকা যান, রেপ হয়ে পরে গুম হবেন। ওখানে সমকামীদের বিয়া হয়। তারেক, মাহী, মডেল ফয়সল, রিয়াজদেরও নিয়া যান। লুল

২৩| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

দেখি তাই বলি বলেছেন: ভাল কথা- আপনের সুফি পীর আলহাজ্জ্ব শামীম ওসমান ভাই কেমন আছেন?

:)

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

আসিবি বলেছেন: আপনার বলির পাঠা তৈমুরের চেয়ে খারাপ নাই।

২৪| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

বরকন্দাজ বলেছেন: ভাই মাইরি বলছি, জবর হয়েছে পোষ্ট।

আপনি কি আওয়ামী লীগ করেন?

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

আসিবি বলেছেন: না

২৫| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

নীলতারা বলেছেন: বেয়াদবীর একটা সীমা থাকা উচিৎ।

হুমায়ুন আহমেদ কিছুই ভুল লেখেন নাই। তিনি ঠিকই লেখেছেন। আওয়ামী বাকশাল নিতম্বের সুরঙ্গে খুব দ্রুতই বাঁশ যাবে। অপেক্ষা করেন...

আপনাদের মতো আওয়ামী ছাগলগুলারে কুত্তার বাচ্চা বইলা গালি দিলেও তো খারাপ শোনা যায়...

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৬

আসিবি বলেছেন: গোলাম আযম মনে হয় আপনার শ্বশুর

২৬| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

Observer বলেছেন: সত্যিকারের ইতিহাসটা একটু কস্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন প্লিজ। |-)

১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

আসিবি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়ালেখা করেন। সহজেই জানতে পারবেন।

২৭| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

ৃজুয়েল১২ বলেছেন: হুমায়ুনের ভক্তরা হুমায়ুনের বিপক্ষে কিছু হলেই একযোগে লাফিয়ে উঠে ,
একজন লেখক কে ভাল লাগে বলে এই নয় যে যা লিখবেন চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হবে । ব্যাপারটা খুবই দুখজনক ।

২৮| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

বরকন্দাজ বলেছেন: না না না আপনি অবশ্যই আওয়ামীলীগ করেন। না করলে এত সুন্দর সুন্দর উত্তর লিখছেন কি করে?

২৯| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

মো: সাব্বীর আলম বলেছেন: ভাই এই ধরনের ব্যাক্তি আক্রমনের মানে কি? সে শাওন রে কি করছে ওইটা তো আলোচ্য বিষয় না । এইগুলা তো কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠীর মানুষের কাজ :(

৩০| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

আরশাদ আহম্মেদ বলেছেন: একটা দলীয় লিন্ক কেন দিলেন বুঝলামনা !!!

(বাংলাদেশের জনগনকে অনুভব করুন, ভালবাসুন বাংলাদেশ মানে আওমীলীগ নয়; এটা মাত্র একটা দলের নাম। আর বারবার ১৯৪৯ টানবেননা, কারন জন্মের চেতনায় এইদল আর নাই)

৩১| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

পানির বোতল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি তবে পাকি নাকি ভাদা নাকি ছাগু। আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে নতুবা ১৯৪৯ থেকে আজো তা টিকে থাকতে পেরেছে। আপনারা এই কয়জন জ্ঞানপাফী বা হতাশরা কি আর করতে পারবেন

:D :D :D

ভাই আমিতো কোনো দল করিনা, আমি তাহলে কোন প্রানি?

৩২| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫২

মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে এটা উপন্যাস, ইতিহাসের বই না।

দ্বিতীয়ত, উপন্যাসটা এখনও শেষ হয়নি। হুআর মতো শক্তিধর লেখক শেষ পর্যন্ত এটাকে এমনভাবে শেষ করার ক্ষমতা রাখে, যাতে এখন পর্যন্ত যেগুলোকে বিতর্কিত মনে হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হতে পারে। কাজেই চরমপন্থীদের আরেকটু ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল। (শুধু যে ইসলামপন্থীরাই চরমপন্থী হয় না, সেটা আবারও প্রমাণিত।)

তৃতীয়ত, যরা তসলিমা নাসরিন এবং হুমায়ূন আজাদের অশ্লীল এবং বিতর্কিত লেখাগুলোর পক্ষে কথা বলেন, সেগুলো নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে তীব্রভাবে সোচ্চার থাকেন, সেইসব তথাকথিত সুশীলরাই এখন এই অসমাপ্ত উপন্যাস নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন! হায়রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা! হায়রে হিপোক্রেটের দল! এরা কবে মানুষ হবে!

লেখা দিয়ে লেখার জবাব দেওয়ার মত মেধা এদের নেই, হয়তো পর্যাপ্ত ফ্যাক্টও নেই এদের কাছে, তাই সেটাকে নিষিদ্ধ করছে। কয়দিন পরে হয়তো দেখা যাবে হুআকে গুমও করে দিয়েছে!

৩৩| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

অসাধারণ মানুষ বলেছেন: লেখক বলেছেন: গোলাম আযম মনে হয় আপনার শ্বশুর

১জন রাজাকার যে কার শ্বশুর আর কার বেয়াই তা আপনিও জানেন আমরাও জানি।

লেখক বলেছেন: তাইলে আমেরিকা যান, রেপ হয়ে পরে গুম হবেন। ওখানে সমকামীদের বিয়া হয়।

এখন বুঝলাম জয় কেন আমেরিকায় গেছে।

লেখক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়ালেখা করেন। সহজেই জানতে পারবেন।

কিন্তু সেই লেখা লিগ এর বিরুদ্ধে গেলে তা হবে ইতিহাস বিকৃতি।

লেখক বলেছেন: আপনি কি তবে পাকি নাকি ভাদা নাকি ছাগু। আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে

বরকন্দাজ বলেছেন: ভাই মাইরি বলছি, জবর হয়েছে পোষ্ট।

আপনি কি আওয়ামী লীগ করেন?
লেখক বলেছেন: না

বুঝলাম আপনি মানুষ না

৩৪| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৭

তিক্তভাষী বলেছেন: এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা!! এ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার আগেই নিষিদ্ধ হওয়ার মর্যাদা লাভ করলো। এর আগে এরকম কোথাও কখনো ঘটেছে বলে শুনিনি। এখন তার নাম গিনেস বুকেও আসবে বলে আশা রাখছি।

৩৫| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:২০

নিভৃত নয়ন বলেছেন: হাম্বালিগ এর বিরুদ্ধে গেলেই ইতিহাস বিকৃতি।

তবে ফারুক এর বিষয় ও পাকির চেহারার বর্ণনা মানতে পারি নাই।

৩৬| ১৫ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:২০

বরকন্দাজ বলেছেন: ভাইজান দেখি আর উত্তরই দিচ্ছেন না। কই ভাই আসেন আমাদের মাঝে।

১৬ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:০৭

আসিবি বলেছেন: আপনাদের মতো ফ্রিকদের উত্তর দেওয়া আর মেধার অপচয় একই কাজ। আপনারা হলেন পারভারটেড।

৩৭| ১৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭

বলশেভিক বলেছেন: আওয়ামি কুকুরদের তলদেশে মরিচের গুড়া লেগেছে।আসলেই ভাদালীগের
লোকগুলা মানুশ না।

৩৮| ১৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

মো: সাব্বীর আলম বলেছেন: মোজাম্মেল হোসেন (ত্বোহা) বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে এটা উপন্যাস, ইতিহাসের বই না।

দ্বিতীয়ত, উপন্যাসটা এখনও শেষ হয়নি। হুআর মতো শক্তিধর লেখক শেষ পর্যন্ত এটাকে এমনভাবে শেষ করার ক্ষমতা রাখে, যাতে এখন পর্যন্ত যেগুলোকে বিতর্কিত মনে হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হতে পারে। কাজেই চরমপন্থীদের আরেকটু ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল। (শুধু যে ইসলামপন্থীরাই চরমপন্থী হয় না, সেটা আবারও প্রমাণিত।)

তৃতীয়ত, যরা তসলিমা নাসরিন এবং হুমায়ূন আজাদের অশ্লীল এবং বিতর্কিত লেখাগুলোর পক্ষে কথা বলেন, সেগুলো নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে তীব্রভাবে সোচ্চার থাকেন, সেইসব তথাকথিত সুশীলরাই এখন এই অসমাপ্ত উপন্যাস নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন! হায়রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা! হায়রে হিপোক্রেটের দল! এরা কবে মানুষ হবে!

লেখা দিয়ে লেখার জবাব দেওয়ার মত মেধা এদের নেই, হয়তো পর্যাপ্ত ফ্যাক্টও নেই এদের কাছে, তাই সেটাকে নিষিদ্ধ করছে। কয়দিন পরে হয়তো দেখা যাবে হুআকে গুমও করে দিয়েছে!


ভাই সহমত ।

সচল ব্লগে তো হুমায়ুন আহমেদ রে ধুইয়া দিতেসে । অইগুলারে ক বুঝাবে যে উপন্যাস শেষ হয় নাই । এরা আছে বিতর্কিত কিছু বলে নিজেদের জ্ঞানী প্রমানের চেষ্টায় । ঐ ব্লগে আবার কমেন্ট দিলে মডারেটররা আটকায় দেয় । এই হচ্ছে বাক-স্বাধীনতা । নুন্যতম সহনশিলতা নাই । আমি নতুন ব্লগার উল্টা-পাল্টা কিছু বললে ক্ষমা করবেন । আমি ভেবেছিলাম ব্লগে সবাই মুক্তমনা অন্যের যুক্তি শোনার বা বুঝার মত সহনশিলতা সবার আছে । কিন্তু দেখলাম অনেকের ই সেই সহনশিলতা নেই । দুঃখজনক । :( :(

৩৯| ১৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১

মো: সাব্বীর আলম বলেছেন: তিনি রাজনৈতিক বিতর্কে যাননি, সাজানো আখ্যানগুলোর অনেক দূরে রেখেছেন নিজের অবস্থান এবং শুধু মানবসত্যের প্রতি অবিচল থেকে ওই বিষণ্ন ইতিহাস থেকে রসদ নিয়ে দেয়াল উপন্যাসটি লিখেছেন। একাত্তর নিয়ে যেমন লিখেছিলেন এক মন ছুঁয়ে যাওয়া উপন্যাস, জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, যা উপন্যাসের কাঠামোয় ইতিহাসের নানা উপাদানকে পরিবর্তন না করে, তাদের ওপর কল্পনার রং না চড়িয়ে উপকৃত করেছিলেন। দেয়াল উপন্যাসেও ইতিহাসের কাছে তেমনি বিশ্বস্ত থেকেছেন। তার পরও দেয়াল কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। একে বড়জোর ইতিহাস-আশ্রিত বলা যেতে পারে। এ উপন্যাসে ইতিহাস প্রধানত এর মানবিকতা-অমানবিকতার দ্বন্দ্বেই প্রকাশিত।

দেয়াল আমাদের জানাচ্ছে, পঁচাত্তরে বাঙালি চরিত্রে যে স্খলনগুলো দেখেছি, যে পচন, তা ধ্রুব নয়, চিরস্থায়ী নয়। পঁচাত্তরের অন্ধকারের বিপরীতে আলো আছে, যে আলো আমরা চোখ খুলে একটু তাকালেই দেখত পারি।

ভাই এইগুলা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী তে লিখেছেন । লেখা গুলা একটু বুঝার চেষ্টা করুন তারপর হুমায়ুন আহমেদ কে গালাগালি করুন ।

৪০| ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ৮:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সে আল্লাহ কেই কেয়ার করে না, বঙ্গবন্ধু আর কি ? নিচের লিঙ্ক দেখুন, Click This Link

৪১| ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ৮:১১

মো: সাব্বীর আলম বলেছেন: এইখানে আল্লাহের কথা আসে কেন ? সব জায়গায় ধর্ম নিয়া লাফ দিলে তো পোষায় না । #:-S

৪২| ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ৮:১৩

মো: সাব্বীর আলম বলেছেন: অসাধারণ মানুষ বলেছেন: লেখক বলেছেন: গোলাম আযম মনে হয় আপনার শ্বশুর

১জন রাজাকার যে কার শ্বশুর আর কার বেয়াই তা আপনিও জানেন আমরাও জানি।

লেখক বলেছেন: তাইলে আমেরিকা যান, রেপ হয়ে পরে গুম হবেন। ওখানে সমকামীদের বিয়া হয়।

এখন বুঝলাম জয় কেন আমেরিকায় গেছে।

লেখক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়ালেখা করেন। সহজেই জানতে পারবেন।

কিন্তু সেই লেখা লিগ এর বিরুদ্ধে গেলে তা হবে ইতিহাস বিকৃতি।

লেখক বলেছেন: আপনি কি তবে পাকি নাকি ভাদা নাকি ছাগু। আমি মানুষ আর মানুষই আওয়ামী লগি করে

বরকন্দাজ বলেছেন: ভাই মাইরি বলছি, জবর হয়েছে পোষ্ট।

আপনি কি আওয়ামী লীগ করেন?
লেখক বলেছেন: না

বুঝলাম আপনি মানুষ না


ভাই চরম হয়েছে । বিশেষ করে "কিন্তু সেই লেখা লিগ এর বিরুদ্ধে গেলে তা হবে ইতিহাস বিকৃতি।" এই অংশটা ।

৪৩| ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৩২

আশীষ কুমার বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময় ইতিহাস আর উপন্যাস এর পার্থক্য সবাই পড়েছিলেন, ভুলে গেলেন?

'রক্তাক্ত প্রান্তর' এর কথা মনে আছে? সেখানে যে অসাধারণ প্রেমের কথা লেখা আছে তা কি ইতিহাসের অংশ??

হুমায়ুন আহমেদ কে তাঁর মতো করেই লিখতে দিন। আপনার ভালো না লাগলে আপনি সঠিক ইতিহাস নিয়ে বই লিখুন, সেটার পাবলিসিটি করুন। মানুষকে বোঝান আপনার লেখাই ঠিক।

৪৪| ১৫ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৪৮

গদাম বলেছেন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই

৪৫| ১৬ ই মে, ২০১২ ভোর ৪:৪১

নয়ামুখ বলেছেন:
উপন্যাস আর ইতিহাস কি এক। তাহলেতো আর লেখক উপন্যাসিকের কোনো দরকার নাই। ইতিহাসবিদ আর আদালতকেই মানুষের মনোরঞ্জনের দায়িত্ব নিতে হবে।

একবার রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। উত্তরে তিনি বলেছিলেন 'আমি উপন্যাস পড়বো আত্ম তৃপ্তির জন্য আর ইতিহাস পড়বো জানার জন্য'।

আজ হুমায়ুন আহমদের এই উপন্যাসের ব্যাপারে রুল জারী করা হলো। তাহলেতো সবার আগে মীর মোশাররফ হোসেনের 'বিষাদ সিন্ধু' নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয়। মহানবীর নাতি হযরত হুসেইন (রা) নিশ্চয় বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বেশী সম্মানিত ছিলেন। শাহমসু্দ্দিন মানিক এ ব্যাপারে কি জবাব দিবেন, নাকি মীর মোশাররফ হোসেনের এই কালজয়ী উপন্যাসকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করবেন।

১৬ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

আসিবি বলেছেন: এইসব বিকৃত করার চিন্তায় বলা।

৪৬| ১৬ ই মে, ২০১২ ভোর ৫:১১

মোহামমদ মশিউর রহমান বলেছেন: Click This Link

৪৭| ১৬ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:০৮

আসিবি বলেছেন: ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানাভাবে আওয়ামী, এর নেতা কর্মী, এর ত্যাগ, অবদানকে নষ্ট করতে, অস্বীকার করতে বিশাল ব্যক্তি, শক্তি আজো কার্যকর কিন্তু জনগণের দল বলেই এইসব উতরিয়ে জনগণের দল আওয়ামী লীগ টিকে আছে থাকবে। কোন প্রফেসর বা লেখক কি বিকৃতি করলো তাতে আওয়ামী লীগ বা জাতির জনকের সম্মানের কিছু কমে না বরং বিকৃতিকারীরাই আস্তাকড়েঁ যাবে গেছে কালে কালে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.