নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তার জন্য অপেক্ষায় থাকা একশো বছরের পুরাতন যুবক

আসিফ্লী

দেয়ার মত অনেক কিছুই ছিল, নিলে না

আসিফ্লী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধরা ( ছদ্ম নাম )

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৩০

আধরাঃ হাই :)
আমিঃ হ্যালো :)
আধরাঃ কেমন আছেন ??
আমিঃ হুম ভালো । আপনার কি অবস্থা ??
ব্লা
ব্লা
ব্লা
আধরাঃ আমি কি জানতে পারি আপনি কোথায় থাকেন ??
আমিঃ আমি কি আপনাকে জানাইতে পারি আমি শ্যামলীতে থাকি :/
ব্লা
ব্লা
ব্লা
আধরাঃ আমি আপনাকে তুমি করতে বলতে পারি ?? :/
আমিঃ হুম, আপনি আমাকে তুমি করে কেন মামা , খালু , চাচা করে বলতে পারেন :/
ব্লা
ব্লা
ব্লা
আধরাঃ আচ্ছা তোমার কি গার্লফ্রেন্ড হয় নাই কখনও ? আই মিন , কখনই রিলেশন করো নি ?
আমিঃ যদি বল , হুম ছিল গার্লফ্রেন্ড । তবে আমি অনেক মেয়ের ভিতরে আমার ঐ মেয়েটাকে খুঁজছি । অনেক খোঁজাখুঁজির পরে যখন না পাই আমি তাঁদেরকে না করে দিতাম ।এই আর কি :/
আধরাঃ আমারটা শুনলে তুমি তো আকাশ থেকে পড়বে । লং স্টোরি । ট্রু লাভ খুজতে গিয়ে এখন ফেক লাভে বিলিভ হয়ে গেছে :)
আমিঃ যদি শুনতে যাইয়া আকাশ থেকে পড়লেও হাত পা না ভাঙ্গার সম্ভবনা থাকে তাহলে বলতে পারো :/
আধরাঃ ওকে :) লুকানোর কিছু নাই । আমি দেখতে একদম সুন্দর না আবার বান্দর ও না । লাইফে সব সাইডে আমার ওকে বাট ১ টা সাইডে আল্লাহ্‌ খারাপ করে ফেলছে :P সেটা হল আমি একটু হেলথি গার্ল বাট সত্যি বলতে এই দিকটা আমাক অন্নেক সাইড থেকে হেল্প ও করছে

আমার যে মজনু নেই তা বললে ভুল হবে বাট আমি তাদের লাইক করি না আর যাকে লাইক করি সে......

এখনকার যুগের ছেলেরা হেলথি মেয়ে লাইক করে না , সবাই স্লিম ফিগার লাইক করে :P অ্যান্ড আমি ১টা সত্যি কথা বলি , তোমাকেই বলছি , “ বেশি সুন্দর মেয়ে অর ছেলে ২ জাতেরই ক্যারেক্টার কিছুটা হলেও ভালো থাকে না ”

যাই হোক আমার কাহিনীতে আসি , আমার লাইফে আমি ৪ বার ধাক্কা খেয়েছি, দুইটা ফোনে আর দুইটা নেটে । ৩ টার সাথে ডেটিং-এ যাই নি । কজ ডেটিং-এ যাওয়ার আগেই ফোনে ব্রেকআপ হয়ে গেছে অনলি একটা বাদে ।


-[চয়ন ]-

এট ফার্স্ট , যখন এসএসসি ফাইনাল এক্সাম দিব তখন ফোনে আননোণ কল আসে আমার জন্য । ফার্স্ট টাইম আম্মুর ফোন ইউজ করতাম । ছেলেটার নাম ছিল ‘ চয়ন ’ | ৩ দিন কথা হয় , ৪ দিনের মাথায় ও আমারে প্রপোজ করে । ওর কথা শুনে মনে হল আমি আকাশ থেকে পড়ছি । আমার একটা ভয় ছিল আমি হেলথি । আমাকে দেখলে লাইক করবে না । তাকে আমি সব কিছু বুঝিয়ে বলি । কিন্তু ও কোন কথা শুনে নি । ‘ চয়নের ’ একটাই কথা ছিল ও আমাকে লাভ করে । দেন ফার্স্ট টাইম জোর করে হলেও হাঁ বলি । কিন্তু আমি তখন তাকে লাভ করতাম না । সে বয়ফ্রেন্ড-এর মত বিহাব করত কিন্তু আমি গার্লফ্রেন্ড-এর মতন বিহাব করতে পারতা না ।

একদিন এসএসসি ফাইনাল এক্সামের লাস্ট সাবজেক্টের আগের দিন কোচিং-এ যাই । ঐ দিন কোচিং-এ আমার ফ্রেন্ডরা তাদের বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কথা বলছিল এন্ড দেন বিলিভ করবা না আসিফ , ওরা বলছিল ওদের বয়ফ্রেন্ড অন্নেক টেক কেয়ার করে ওদের । অনেক লাভ করে । গিফট দেয় । ব্লা ব্লা ব্লা । দেন আমার মনে তখন ‘ চয়নের ’ কথা আসে অ্যান্ড ওখানেই ফার্স্ট আমার বয়ফ্রেন্ড আছে এই ফিলিংস টা আসে । জাস্ট বলতে পারো লাভ-এর ফ্লিংস রিলেশনের প্রায় ১ মাস পর ।

তার কিছু দিন পর আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ‘ রিমি ’ কে ‘ চয়নের ’ কথা বলি । দেন ‘ চয়নের ’ সাথে ‘ রিমি ’ কথা বলে অ্যান্ড দেন ‘ রিমি ’ ও বলে ছেলেটা ভালো । দেন সত্যি বলতে আমি ওকে লাভ করে ফেলি । জীবনের ফার্স্ট লাভ ।

দেন ১দিন ‘ রিমি ’ ওকে চেক করার জন্য আননোন নাম্বার দিয়ে ফোন দেয় । তখন অলরেডি আমার আর ' চয়নের ' রিলেশন ২ মাস হয়েছিল । আমি কি দেখি জানো আসিফ , ‘ চয়ন ’ আমার ফ্রেন্ড ‘ রিমির ’ সাথে ছুটাইয়া প্রেম করতেছে কিন্তু ‘ চয়ন ’ জানতই না এইটা ‘ রিমি ’ | যার সাথে সে কিছু দিন আগেও কথা বলল । কিন্তু আমি ততদিনে তাকে পাগলের মতন লাভ করে ফেলি । অনেক কান্না করেছি । অনেক । বলার বাইরে । তারপরে আমি ওর সাথে সব ঘটনা খুলে বলি । ওর দোষ হাতেনাতে ধরিয়ে দেই । কিন্তু ও ওর ভুল স্বীকার করতে নারাজ । তবুও আমি ওর সাথে রিলেশন ব্রেকআপ করি ফোনের মাধ্যমেই যদিও কিছু দিন পড়ে আমাদের ফার্স্ট দেখা হওয়ার কথা ছিল । তারপরেও আমি দেখা করিনি ।

কিন্তু এইদিকে নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছিনা । কি করবো , কিভাবে থাকবো ওকে ছাড়া কিছুই বুঝতেছিলাম না । আমি অনেক কান্না করেছি ‘ রিমিকে ’ ধরে । তবুও ভুলেতে পারিনি । আমার সব চাইতে কষ্ট এইখানেই হচ্ছিলো ‘ চয়ন ’ আমাকে সরি ও বলে নাই অ্যান্ড আমার লাইফে ব্যাক ও করতে চাই নি ।

তুমি হয়তো ভাবতে পারবা না আসিফ আমি পুরাই ছ্যাঁচড়া হয়ে গেছিলাম । আমি দিনে ওকে ৫০ থেকে ৬০ বারের মতন ফোন দিতাম বাইরের দোকান থেকে জাস্ট ওর হ্যালো টা শোনার জন্য । তাও সে ঠিক হয় নি । ও এত খারাপ ছিল, কল্পনার বাইরে । এইদিকে আমাকে আই লাভ ইউ বলে অন্য দিকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কে বলে বিয়ে করবে । দেন ফাইনালি আমার ফ্রেন্ড বলল “ না ওর সাথে হবে না তোর , তুই অন্যদিকে ডাইভার্ট হয়ে যা ” ।

তখন আমি এইচএসসি তে উঠি । ক্লাস স্টার্ট করি । ওরে অনেক ভুলার ট্রাই করি । বাট পারি না । এর মাঝে আম্মু আমাকে নিউ একটা ফোন কিনে দেন । কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই আবার ফোনে আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসা শুরু হয় ।


-[ রোহান ]-

এভাবে আননোন নাম্বার থেকে কন্টিনিওয়াসলি ফোন আসতেই থাকে । কিসুদিন পরে একটা ফোন ফ্রেন্ড আসে আমার লাইফে । তার নাম ছিল ‘ রোহান ’ | এর ভিতরে ‘ রোহানের ’ সাথে আমার অনেক কথা হয় । আমি আমার সবকিছু বলি । ‘ চয়নের ’ কথাও সব খুলে বলি . তখন ‘ রোহান ’ আমাকে এজ এ ফ্রেন্ড হিসাবে সান্তনা দেয় । এভাবেই আমরা অনেক ক্লোজ হয়ে যাই এজ এ ফ্রেন্ড হিসাবে । আমার তখনও ‘ চয়নের ’ কথা মনে পড়লে অনেক কান্না পেত । আমি কিছুতেই ভুলতে পারতাম না । আমি ‘ রোহান ’ কাছে ওর কথা বলে অনেক কান্নাকাটি করেছি ।

কিন্তু হুটকরে ২ মাস মাস পর ‘ রোহান ’ থাকাকালীন অবস্থায় ‘ চয়ন ’ ব্যাক করে আমার লাইফে । কিন্তু আমি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারতেছিলাম না । কিন্তু কেন জানি না আমার আবার সেই পুরানো দিনের লাভ জেগে উঠে । তবে এবার আমি অনেক শক্ত হয়ে যাই । দেন ‘ চয়ন ’ আমাকে সরি বলে । সরি বলে কান্নাকাটির পরে আমিও ওর প্রতি অনেক দুর্বল হয়ে যাই সেই আগের মতন । কিন্তু ও আবার সেই আগের মতন সেম কাজ করতে থাকে । আমার সাথেও কথা বলে আবার অন্য মেয়ের সাথেও কথা বলে । আবার আমার মন ভাঙলো । এবার আমি জিদ করে ওর প্রতি , আমি ইচ্ছা করেই ‘ রোহানের ’ সাথে বেশি করে কথা বলতাম এবং আরও বেশি ক্লোজ হয়ে যাই ।

ততদিনে আমি এইচএসসি ফার্স্ট ইয়ার শেষ করে সেকেন্ড ইয়ারে উঠি । তখন আমার সাথে ‘ রোহান ’ ও আছে ‘ চয়ন ’ ও আছে । ফাইনালি ‘ রোহান ’ আমাকে প্রপোজ করে । তখন আমি ওর কথা শুনে জাস্ট একটা কথাই বলি ওকে “ দেখ তুমি আমার পাস্ট জানো , আর আমি কেমন মেয়ে সেটাও জানো , কেন জেনে শুনে আমার কাছে আসছ ” ।

কিন্তু আমি কিসুতেই ‘ রোহান ’ কে ফিরিয়ে দিতে পারলাম না । তখন আমি ‘ চয়ন ’ কে বললাম “ আমি তোমার জন্য অনেক কেদেছি , আর কাঁদতে চাই না , প্লিজ তুমি আমার লাইফ থেকে চলে যাও ” ।

দেন যাওয়ার আগে ‘ চয়ন ’ বলল আমার সাথে একবার দেখা করবে । আমি হাজার না করেও ওকে মানাতে পারলাম না । তখন আমি ওকে ঈদে দেখা করতে বলি । ও রাজি হয় । দেন আমারা ঈদের দিন দেখা করি । এটা মে বি ২০১১ এর ঈদ ছিল । আসিফ বিলিভ করবা না , ওকে দেখার পর আমার লাভ আরও বেড়ে যায় । ১ ইয়ার যাকে না দেখে এত লাভ করেছিলাম সে আমার সামনে । তবুও আমি নিজেকে সামলে নেই । আমি ওকে কিছুই বলি নাই । আমি শুধু ওর সাথে দেখা করে চলে আসি ।

এইদিকে ‘ রোহান ’ আমাকে নিজে প্রপোজ করে হুট করে নিজেই নাই হয়ে গেলো । আবার আমি একা হয়ে গেলাম । ‘ চয়ন ’ কে বিদায় করলাম । ‘ রোহান ’ নেই । কিন্তু কেন জানি তখনও লাভের প্রতি আমার বিলিভ ছিল ।


-[ সৈকত ]-

তার কিছুদিন পরে আমার সাথে এক জনের পরিচয় হয় ফেসবুকে । ওর নাম ‘ সৈকত ’ ছিল । ও GAMEZER এর এডমিন ছিল । তখন আমি বিবিএ তে ফার্স্ট সেমিস্টারে পড়ি । তার সাথে প্রথমে আমি ফ্রেন্ড হিসাবেই মিশি । কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরে আমি ওর প্রতি দুর্বল হয়ে যাই । আমি জানি না কেন ওর প্রতি দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম । কিন্তু আমি এখন বুঝি হয়তোবা আমার একাকিত্তের জন্যই আমি ওর সাথে মিসতে মিসতে ওর প্রতি দুর্বল হয়ে যাই । তখন আমি তাকে আমার সব কিছু খুলে বলি । ‘ চয়ন ’ আর ‘ রোহানের ’ কোথাও বলি । আমি এর ভিতরে তাকে প্রপোজ করি । সে রাজি হয় । কিন্তু পরে আমি জানতে পারি যে সে রাজি নামে আমাকে প্রেমের বাতাস করতেছিল । তবুও আমি ভেবেছি একসময় ঠিক হয়ে হাবে ।

কিন্তু এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর আমি একটা গ্রুপে ওর আর একটা মেয়ের অন্তরঙ্গ পিক্স দেখতে পাই । পরে আমি ওর ফ্রেন্ডের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে ও একটা ফ্রড , ও অনেক মেয়ের সাথে সেক্স ও করছে । ঐ গুলার ক্যাম ভিডিও ও আছে । আর গ্রুপে পিক্স কিভাবে আসছে এই প্রশ্নের জবাবে ওর ফ্রেন্ড আমাকে জানালো ওর কয়েকটা ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া হয় , এই ঝগড়াতেই ওর ফ্রেন্ডরা ওর পিক্স গুলো নেটে ছেড়ে দেয় । দেন আবার আমি একা হয়ে গেলাম । আবারও সেই কান্নাকাটি শুরু হল । অনেক কান্নাকাটি করেও নিজেকে আটকাতে পারলাম না । সারারাত ভাবতাম আর কান্তাম । মনে হত আমার সাথেই কেন এমন হয় ?? আমার কপালে কি এই লেখা ছিল । তবে আমি অনেক হ্যাপি ছিলাম সৈকতের সাথে রিলেশন না হওয়াতে । মনে মনে বলছিলাম আল্লাহ্‌ আমাকে এই জন্যই মনে হয় ওর সাথে রিলেশন করায় নি । ওর সাথে রিলেশন হলে হয়তোবা আমি আমর সবকিছু হারাতাম ।


-[ বাঁধন ]-

এভাবে অনেক মাস চলে গেলো । আমি কারো সাথে কথা বলতাম না । ইউনিভার্সিটিতে জেতাম আর সারাদিন বাসায় থাকতাম । এভাবে চলতে থাকা অবস্থায় আমি একদিন একটা চ্যাটরুমের লিঙ্ক পাই । তখন ঐখানে যেয়ে চ্যাট করতাম । চ্যাঁট করাতে নিজেকে অনেক হাল্কা মনে হতো । এভাবে আরও অনেক দিন চলে যায় । এরভিতরে চ্যাঁটরুমে একজনের সাথে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক হয় । ছেলেটার না ছিল ‘ বাঁধন ’ ।

প্রথম দিকে আমি ওর সাথে বেশি কথা বলতাম না । কিন্তু কথা বলে আমি জানতে পারি যে ও আমার মত পাস্টে অনেক কষ্ট পেয়েছে । এরপর থেকে কিভাবে যেন ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে যায় । দেন আমি আর ও জাস্ট আমাদের দুঃখ শেয়ার করতাম । আমিও ওর সম্পর্কে জানতাম ও ওর সম্পর্কে আমাকে বলত । আমি আমার পাস্টের সব কথা ওকে খুলে বলি । এভাবে কথা বলে বলতে কেন জানি দুজন দুজনের প্রতি উইক হয়ে যাই । দেন আমি ওর সাথে স্কাইপে কথা বলি । দুজন দুজন কে দেখি । অনেক কথা হয় আমাদের । এভাবে আমরা দুজন দিনের পর দিন স্কাইপে কথা বলছি । এরপর আমরা দুজন দুজন কে প্রপোজ করি একসাথে । আমরা দুজনই রাজি হয়ে যাই ।

ও আমাকে ওর সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে । ও আমাকে বলছিল , ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করছে চুয়েট থেকে । দেন মিউজিকের উপর একটা কোর্স করে । এখন ও সঙ্গীতাতে জব করে ।

তুমি জানো আসিফ , আমি ‘ বাঁধনের ’ সাথে ডেট-এ যাই । আমি ওর সাথে অনেক দিন ডেটিং-এ গেছি । আমি মিথ্যা কথা বলব না আসিফ , ওর সাথে আমর অনেক কিস ও হয় । কিন্তু আর কিছু হয় নাই । ও অনেক ট্রাই করছে কিছু করার , বাট আমি রাজি না থাকাতে কিছু করতে পারে না । এমনিতে ভালো ছিল ও, আমার কথা শুনত । ‘ বাঁধনের ’ সাথে আমার সব ঠিক ছিল সব ।

দেন বাঁধনের কথা আমি আমার ফ্যামিলির কাছে জানাই । আম্মুকে বলি । আমি ওকে নিয়ে যেমন সিরিয়াস ছিলাম তেমন আম্মু ও রাজি ছিল এই সম্পর্কে । সব কিছু ঠিক ছিল । কিন্তু ‘ বাঁধন ’ আগায় না আর এই সম্পর্কে । দেন আম্মু ওকে বলল “ তোমার ফ্যামিলি কে আমার সাথে কথা বলায় দাও ” | কিন্তু ও তাও দেয় নি । ইভেন ‘ বাঁধনের ’ কথা এইরকম ছিল, সে কিছু করে না আমাকে বিয়ে করে খাওয়াবে কি । দেন আম্মু বলে “ এখন তোমাদের বিয়ে কে দিচ্ছে জাস্ট কথা বলব ” | তাও সে রাজি হয় না । এভাবে অনেকদিন চলে গেলো । তবুও ‘ বাঁধন ’ ওর আব্বু আম্মুর সাথে কোন কথা বলায় দেয় নি ।

পরে আমি খোঁজ নিয়ে দেখি , ও একটা মিথ্যুক , প্রতারক । তার কিছুই নাই । ও কোন জব করত, না সে কিছু করত । ও তার ফ্যামিলি কেও আমার কথা বলে নি । ইভেন আমি কিছুদিন পরে শুনলাম ও নাকি লেখাপড়াও করে নি । ফাদার মাদার বানাও পারত না ।

দেন আমি আমার আম্মুকে সব কিছু খুলে বলি । আম্মু মানা করে অ্যান্ড দেন আমি আমার ১.৫ ইয়ার্সের রিলেশন আম্মু আব্বুর জন্য অ্যান্ড তার মিথ্যা কথার জন্য ব্রেকআপ করি ।

জানো আসিফ , আমি এমনও দিন গেছে দেখছি আমি আর ও ঘুরতেছি বাট ও আমার সামনে আরেকটা মেয়ে কে জান বলে ডাকছে । আমি তার দোষ দিব না কজ সে লাভ করে নি আমাকে বাট সে ঠিকই বাতাস দিত । তুমি জানো ‘ বাঁধনের ’ সাথে ব্রেকআপের পর আমি একদমই কাঁদি নাই কজ ও আমাকে এত পাইন দিচ্ছিল যে, রিলেশন ব্রেকআপের পর আমার মনে হল বন্দি জীবন শেষ ।

ও কতবড় খারাপ ছিল আসিফ তুমি চিন্তা করতেও পারবে না । ওর আব্বু আম্মু কে নিয়ে আমার কাছে মিথ্যা কথা বলছে । ও আমাকে বলেছিল ওর আব্বু আম্মু মান্থলি ১ লক্ষ টাকা আর ওর আম্মু ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করে । আর ও ওর আব্বু আম্মুর একমাত্র ছেলে । বাট ও আমার কাছ থেকে টাকা নিত । তুমি জানো অনেকের পেরেন্টসরা পকেট মানি দেয় বাট আমাকে দেয় না কজ আমার যা লাগে আমার পেরেন্টস কিনে দেয় । বাট আমাকে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় ১০০ টাকা দিত । কিন্তু আমি ঐ টাকা খরচ করতাম না । আমি পায়ে হেটে ক্যাম্পাসে জেতাম । আর ঐ ১০০ টাকা আমি ওরে নিয়ে দিতাম । বাট রিলেশনের লাস্টের দেকেও ও আমর টাকার উপর চলছে , আমি জানি এটা কোন ম্যাটার না রিলেশনে বাট ও জানত আমার কাছে কোন টাকা থাকতো না । তবুও আমি অনেক কষ্টে ওকে টাকা দিতাম । একটা কথাই আমার সবসময় মাইন্ডে ছিল ও হ্যাপি থাকুক আর রিলেশনটা টিকুক ।

বাট লাস্টে দেখি অল মিথ্যা । ১.৫ ইয়ারস রিলেশন ও মিথ্যা ছিল । জানতে পারি ও মানুষকে বলে বেড়ায়ছে এই রিলেশন নাকি আমার জন্য হইছে , এতে তার কোন ইচ্ছা ছিল না । এরপর ও স্বীকারও করছে, এই ১.৫ ইয়ারস আমার সাথে জাস্ট ফান করছে । আমাকে ইম্পরট্যান্ট বা ওর লাইফের কিছুই ভাবিনি । সব অভিনয় ছিল । কিছু দিন আগে ও আমাকে ফেসবুকে নক করে । হাবি জাবি কথা বলে । ও নাকি কি বিষ টিস খাইছে আমার জন্য । আমি বিলিভ করি নাই । সাথে সাথে ব্লক মাইরা দিছি :)


এইতো আমার কাহিনী । অ্যান্ড ফাইনালি, নাও আমার কোন বিএফ নাই, জাস্ট তিক্ততা আছে লাভের উপরে ।

আসিফ !! তুমি কি বেচে আছো নাকি গেছো ???? :P


আমিঃ হুম আমি আছি :) অনেক কাহিনী :)
আধরাঃ তুমি জানো আসিফ , আমি এক সাইডে হ্যাপি যে , আমি কাওকে কষ্ট দেই নাই , কাওকে মিথ্যা বইলি নাই , সবাইকে আমি আমার পাস্ট জানিয়ে রিলেশন করেছি । বাট তারা জেনে শুনে আমাকে পেইন দিয়ে গেলো ।
আমিঃ হুম । তবে যাই হোক আশা করি সামনের দিনগুলাতে ভালো করে চিন্তা ভাবনা করে কোন স্টেপ নিবা অ্যান্ড মোস্ট ইম্পরটন্টলি সাবধানে থাকতে পারবে পূর্বের এক্সপেরিএন্স নিয়ে ।
ব্লা
ব্লা
ব্লা
আমিঃ হয়তবা সময় করে আবারও কোন একদিন কথা বলা যাবে । ভালো থেকো ।
আধরাঃ তুমিও ভালো থেকো । বাই

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.