![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদিতে থাকাকালীন সময়কার কথা
অনেকদিন যাবৎ ধন মিয়ার শরীর টা দুর্বল। কাজ করার শক্তি নেই। কপিলের কাছে ছুটি নিয়ে একটি হাস্পাতালের ইন্ডিয়ান মহিলা ডাক্তারের সরনাপন্ন হল। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর মেডিকেল চেকআপও সম্পন্ন। রিপোর্ট পাওয়ার পর তেমন জটিল কিছুইর সন্ধান মিললো না। নর্মাল মেটার
"কয়েকদিন নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি এক্সট্রা একটি পুষ্টিকর খাবার খেলেই ফিট হয়ে যাবেন" ডাক্তারের সান্ত্বনা। এক্সট্রা পুষ্টিকর খাবারটা ডিম। প্রতিদিন পাচটা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিলেন ডাক্তার আপা
ডাক্তার আপার পাচ টা করে খাওয়ার পরামর্শ দিলেও ধন মিয়া প্রতিদিন দশ টা করে ডিম খাওয়া শুরু করলেন। সুস্থ হতে হবে তাড়াতাড়ি। সকালে ছয়টা আর রাত্রে চারটা। এক মাস খাওয়ার পর পুরাই ফিট
এক ঘুসি দিয়ে দেয়াল ভাঙ্গার মত শক্তি এখন ধন মিয়ার আছে। তবে প্রব্লেম অন্যখানে। ধন মিয়ার রাত্রে ঘুম হয় না। যৌনক্রিয়ার প্রতি অনেক বেশী ভাবেই টান এসেছে। সারারাত এক মুহুর্তের জন্যেও সিগন্যাল ডাউন হয় না। অনেক চেষ্টার পরও সিগন্যাল আপই থাকে
সারারাত খাটের এপাশ ওপাশ করে ছট্ফটিয়ে কাটে ধন মিয়ার। ইদানিং অনেক বেশী মাত্রায় নিজের অজান্তেই ঘটছে অনেক অঘটন। ধন মিয়ার ধারণা ডিম খাওয়ার পরেই এই হাল
আর এই কারনেই আজও কপিলের কাছে ছুটি নিয়ে সেই ইন্ডিয়ান ডাক্তার আপার কাছে গেলেন। আপার কাছে পার্সোনাল কথার পার্মিশন নিয়ে বলেই ফেললো সারারাত সিগন্যাল আপ হওয়ার কথা। অনেক ডিস্কাসনের পর ডিম খেতে না করে দিলেন ডাক্তার আপা
---
নয় বছর পর
ধন মিয়া এখন বাংলাদেশে। বিয়ে করেছেন। চার ছেলে মেয়ের সংসার। শেষ বাচ্চা ডেলিভারীর সময় অনেক রক্তক্ষরণ হয় ধন মিয়ার ওয়াইফ নিলুফার। এগারো মাস পরেও ঐদিনের অভাব পুরন করতে পারেননি। ইদানীং অনেক বেশী মাত্রায় দুর্বলতার ব্যাপারটা পরিলক্ষিত হচ্ছে নিলুফার। এর ভিতরে একবার হিটস্ট্রক করেছেন
শেষ পর্জন্ত উপায় না দেখে পাশের ক্লিনিকে প্রতি সপ্তাহে একবার আসা উসমানি মেডিক্যালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দাউদ কায়সার এর সরনাপন্ন হলেন। পরিক্ষা নীরিক্ষার পর দুই হাজার টাকার ঔষধের প্রেস্ক্রিপ্সন করলেন। ফার্মেসিতে গিয়ে প্রেস্ক্রিপ্সন দেখিয়ে ধন মিয়া আগে এইগুলা কি জাতীয় ঔষধ জানতে চাওয়ার পর জানতে পারলেন ক্যালসিয়ামের
তখন তার সৌদিতে থাকাকালীন সেই ইন্ডিয়ান ডাক্তার আপার কথা মনে পরল। ডিম ট্রিটমেন্টের কথাও। ঔষধ না নিয়েই ফার্মেসি থেকে সোজা বাসায় চলে আসল। বাসায় এসে নিলুফা কে বললেন
'গিন্নী! তোমার ফার্মেসির ঔষধ খাওয়া লাগবে না'
'কেন?'
'আমি তোমাকে একটা ঔষধ দিব। তাতেই হবে'
'কি সেটা'
'তেমন কিছুই না। তোমাকে প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেতে হবে। তাতেই তুমি সুস্থ হবা ইনশাআল্লাহ
'আপনার যা মর্জি'
গ্যাস্ট্রিকের প্রব্লেমের কারণে প্রথমে না খাওয়ার ফন্দি আটলেও সুস্থতার জন্য খেতে হলোই। এভাবে পনেরো দিন গেল। সুস্থতা টের পেয়ে ধন মিয়া নিলুফার ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিল। এর পর থেকে নিলুফার মুখ থেকে বা অঙ্গভঙ্গি দিয়ে আর কোন দিন শরীর দুর্বলতার কথা শুনতে হয়নি ধন মিয়ার
---
ঘটনা শুনতে শুনতে একটি প্রশ্ন মাথায় আসল। ধন মিয়াকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম
'ধন মিয়া! একটি প্রশ্ন ছিল'
'বলেন ভাই'
'আপনি নিজে খেলেন এক মাস ডিম তাও আবার দশটা করে, কিন্তু নিলুফার বেলায় দুইটা করে মাত্র পনেরো দিন কেন?'
'ভাই বয়স তো আর কম হল না। এই পনেরো দিনই আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। আমার সিগন্যাল ডাউন থাকলেও ওর সিগন্যাল সমসময় আপ থাকতো। পাওয়ারের বেশকম হতো। তাই বাদ দেয়া'
'হুম বুঝলাম'
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:১৫
আসিফ্লী বলেছেন: ডিম থেরাপি
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭
মুক্তমনা ওমর বলেছেন: হুম বুঝলাম
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: ডিমবাজী ভালোই++++++
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
আসিফ্লী বলেছেন: ডিম থেকে যখন এতো কিছু , তাহলে ডিম ই ভাল
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: ভায়াগ্রার মার্কেট দেখি শ্যাষ!!!
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
আসিফ্লী বলেছেন: তরমুজের মার্কেট ও কিন্তু ডাউন :p
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:১২
প্রামানিক বলেছেন: হুম বুঝলাম। চমৎকার ডিম ডাক্তারী।