নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তার জন্য অপেক্ষায় থাকা একশো বছরের পুরাতন যুবক

আসিফ্লী

দেয়ার মত অনেক কিছুই ছিল, নিলে না

আসিফ্লী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আজ সত্যিই অনুতপ্ত

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

যখন বাসে উঠতেছিলাম তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো তোমার অপলক চাহনীতে। আমিও দেখিনি তা না। আড়চোখে। চিনতে পারিনি। বেশভূষা পুরাই চেঞ্জ। এখন তুমি মাথায় হিজাবের মতো করে একটি কাপড় ও পেচিয়ে রাখো। ভালোই। পরনে বোরখা ছিল নাকি পাকিস্তানি লন বসে থাকার কারণে ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না

তুমি এ-৪ এ বসা। একা। ভাবলাম এত্তো কিউট একটি মেয়ে রাত্রে একা জার্নি করছে। ব্যাগ বাংকারে রেখে বসলাম তোমার পিছনের সিটেই। বি-৩। মনে হচ্ছিলো কাউন্টার ম্যানেজার হাতে ধরেই আমাকে তোমার পিছনের সিটে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। গাড়ির ভিতরের আলো বন্ধ করে দেয়ার পর এক প্রকার কালারফুল লাইটের আবছা আলোয় ভালোই দেখতেছিলাম তোমাকে। পিছনের সিট থেকে সামনের দুই সিটের ফাঁকা দিয়ে যতটুকু দেখা যায় আর কি

গাড়ির ভিতরে লাইট জ্বালানোর পর দ্বিতীয় বারের মতো তোমার পিছনে তাকানো। এবার আর চোখ সরাতে পারলাম। চোখে চোখ। তুমিই সরিয়ে নিলে। আর ভুল হলো না। তোমাকে চিনেই ফেললাম। সেই পরিচিত ঠোঁট আর ঠোঁটের উপরে ছোট্ট করে সেই পরিচিত একটি তিল। ফিক করে হেসে দিলাম। তুমি! এতদিন পর তোমার সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবিনি

মিনিট দশেক পর তোমার পাশের সিট ওয়ালার আগমন। ছেলে? তোমার পাশে ছেলে কেন? ভাবতেই চট করে মেজাজটা গরম হয়ে গেল। আরও বেশী গরম হলো তোমার ভঙ্গিমা দেখে। ছেলেটি আসার পর তৃতীয় বারের মতো তোমার আমার দিকে তাকানো। তোমার চোখে মুখে ঘৃণার ছাপ। অনেকটা বেশী মাত্রায়। মনে হচ্ছিলো আমার প্রতি হাজার বছরের রাগের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে তোমার চোখে মুখে। ভাবতেই কষ্ট হয়

তোমাদের দুজনের হাসিখুশী মুহূর্ত দেখে অনেক হিংসা হচ্ছিলো তোমার সাথে আমার কাটানো মুহূর্তগুলো স্মৃতিচারণ করে। একটি বিষয় আমাকে অনেক বেশী মাত্রায় নাড়া দিচ্ছিলো বার বার। রিক্সা বা সিএনজিতে চড়ার সময় আমার পাসে বসার পর তুমি অনেক বাজে ভাবেই কাঁপতে। সেই প্রথমদিন থেকে শেষাবধি। কিন্তু আজ তোমার পাশে ছেলের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও আজ তুমি কাঁপছিলে না। তার সাথে অনেক হাসিখুশী ভাবে কথা বলছিলে। সত্যিই অবাক করার মতোই

আচ্ছা তোমার কি হরতালের দিনগুলোর কথা মনে আছে? হয়তোবা হ্যাঁ, হয়তোবা না। আমার কিন্তু এখনও স্পস্ট মনে আছে। হা..হা..হা। সত্যিই অনেক হাস্যপ্রোজ্জ্বল ছিল দিনগুলো। মনে পরে তোমার সেইদিনগুলোর কথা? সাত তলার উপরে তোমার রুমের জানালায় পর্দা সরিয়ে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলার দিনগুলো? আমি রাস্তায় ল্যাম্পপোষ্টের নিচে দাড়িয়ে থাকতাম আর তুমি জানালার পাশে। ভাবতেই হাসি পায়, আগে কত্তো পাগল ছিলাম

অনেক্ষণ ধরে দেখছিলাম। তোমাদের মুহুর্তগুলো। তুমি অনেক হ্যাপি। হিংসাত্মক মনোভাবের উদয় হলেও বিশ্বাস করো, অনেক ভালো লাগছিলো তোমাকে এতটা হ্যাপি দেখে। যেটা আমার কাছে থেকে তুমি একদিনের জন্য হলেও পাওনি। অনেক কষ্টে রাখতাম তোমাকে। তবুও আমাকে আকড়ে ধরে বাঁচাতে চেয়েছিলে। আমি সেটা থেকেও তোমাকে বঞ্চিত করেছি। একসাথে সারাজীবন পার করার সেই কান্নার আহাজারি এখনও কানে বাজে

আমি আজ সত্যিই অনুতপ্ত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪

ফ্লাইং সসার বলেছেন: ভাই পেছনে বইসা বইসা পুরান সিনেমা না দেইখা নিজে নতুন সিনেমা বানান; বেস্ট অফ লাক।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭

আসিফ্লী বলেছেন: স্ক্রিপ্ট রেডি। প্রডিউসার পাইলেই কাজ শুরু । ডিরেকটর তো নিজেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.