![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফারিহা কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়েছিল। আমাদের প্রায় তিনদিন পর কথা হলো। এটাই মনে হয় কথা না বলার দিনগুলোর মধ্যে লম্বা সময়
আমরা এর আগে মাত্র দুইদিন কথা না বলে ছিলাম। কারনটা তেমন বড় কিছুই ছিল না। ওর বিয়েতে যাইনি বলে। বিয়ের দিন আর বিয়ের পরের দিন ও নিজে থেকেই রাগ করে কথা বলেনি
আমি ওর রাগ কোনদিনই ভাঙ্গাইনি এর আগে। সে বারই প্রথম আমি নিজে থেকে ওকে ফোন দিয়েছিলাম। পর পর দুই বার ফোন দেয়ার পর ফোন রিসিভ করে সে কি হাসি। হাসতে হাসতে বলল
'দোস্ত বিয়ে করার মজাই আলাদা'
আমি কিছু না বলে চুপ করে ওর হাসিটা শুনছিলাম। হঠাৎ করেই কান্না শুরু করে দিল। কিছুতেই থামাতে পারছিলাম না
'আসিফ তুই কোনদিনই বিয়ে করবি না'
'তোর কি হইছে বলতো'
'তুই প্রমিজ কর তুই বিয়ে করবি না'
'তুই আগে বল তোর কি হইছে'
'তুই আগে প্রমিজ কর'
'তুই কি চাস আমি সারাজীবন বিয়ে না করে থাকি'
'এমনকি তুই অন্য মেয়ের সাথেও কথা বলবি না'
'এত্তো বড় ক্ষতি তুই কিভাবে চাস বলতো'
'তুই প্রমিজ কর'
'আচ্ছা প্রমিজ করলাম। এবার বল কারণ কি'
'আমি তোর সাথে কোন মেয়েকেই সহ্য করতে পারবো না আসিফ'
সেদিন আমার কিছুই বলার ছিলো না। আমি ফোন কেটে দেয়ার পর ফারিহা অনেক বার ফোন দিয়েছিলো। আমি রিসিভ করি নি
---
আজ ফারিহা দুই মেয়ের মা। হাজব্যান্ড মাল্টিন্যাশনাল কম্পানীতে জব করে। অনেক সুখী ও আজ
এখন আর ফারিহা সে আগের মতো নেই। ও হয়তোবা ভুলেই গেছে আমাকে একসময় ও প্রমিজ করিয়েছিলো বিয়ে না করার জন্য। যদি না হতো তাহলে এত বছর পর বলতে পারতো না
'কিরে তুই কি সারাজীবন বউ বাদেই থাকবি। এবার একটা বিয়ে কর'
ওর কথা শুনে আমি হাসি। নিজের দিকে তাকিয়ে হাসি। নিজেকে অনেক সেকেলে মনে হয়। তা না হলে কি আমি সেই এগারো বছর আগের প্রমিজ রাখার জন্য এতোটা পাগ্লামি করতে পারতাম নিজের জীবনটাকে নিয়ে
অন্য সবার মতো ফারিহা বদলে গেছে। আমিই পারলাম না
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
সুমন কর বলেছেন: মেয়েরা সব পারে।
কমন প্লট। ভালো লাগা রইলো।