![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজশাহী যাচ্ছিলাম। বাসে সিট পরে একটি ছেলের সাথে। জার্নির প্রথম থেকেই ছেলেটি মন খারাপ করে জানালার সাথে মাথা ঠেকিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। আমিও কিছু জিজ্ঞেস করলাম না
কিছুক্ষণ পরে ছেলেটির একটি ফোন আসলো। কথা বলার ধরন শুনে বুঝলাম বাসায় কারো সাথে কথা বলছে। এটাও বুঝলাম বাসায় কোন সমস্যা হয়েছে। আর সমস্যা হাস্পাতাল পর্যন্ত গড়িয়েছে
এবারও কিছু বললাম না। ছেলেটি আগের মতোই জানালায় মাথা ঠেকিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও সিটে হেলান দিয়ে অনেক জিনিস চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম
গাড়ি একটু উল্টাপাল্টা ব্রেক করায় ঘুমটা ভেঙে গেল। চোখ আধা খোলা করে ছেলেটির দিকে তাকালাম। ছেলেটি কাঁদছে। এবার জিজ্ঞেস না করে পারলাম না
'ভাই কোন সমস্যা'
ছেলেটি আমার কথা শুনে আরো বেশী কাঁদা শুরু করলো
'ভাই রিয়া মারা গেছে'
'রিয়া কে'
'আমার গার্লফ্রেন্ড ছিলো'
আমি তখন ছেলেটিকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম
'আচ্ছা আপনি কান্না থামান। আমাকে বলেন'
'ভাই ওর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগে। এর ভিতরে ও অনেক ট্রাই করেছে আমাকে আঁকড়ে থাকতে আমি ওকে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি'
'এইজন্য আত্নহত্যা করবে'
'ও আমাকে সবসময় বলতো আমি যদি ওকে ছেড়ে চলে যাই তাহলে ওর আত্নহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না। আমি বিশ্বাস করতাম না। মনে করতাম মেয়েরা তো এমন বলেই। কিন্তু ও যে সত্যিই এমনটি করবে আমার জানা ছিল না'
'ও আত্নহত্যা করেছে তুমি কার কাছে শুনলে'
'রিয়ার আম্মু আমাকে ফোন দিয়েছিল রাত্রে। ও নাকি গলায় ফাসিঁ দিয়েছে। রাত্রে হাস্পাতালে নিয়ে যায়। আজকে কিছুক্ষণ আগে ওর ফ্রেন্ড তিথি আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানায় ও মারা গেছে'
'কি ম্যাসেজ দিয়েছিল'
'রিয়া তোমাকে আর কোনদিন ডিস্টার্ব করবে না, এমনকি আমাদেরকেও না কোনদিন, ভালো থেকো তুমি, অনেক ভালো, রিয়া সবসময় এটাই চাইতো তুমি ভালো থাকো। রিয়ার শেষ ইচ্ছা ছিলো তোমাকে একবার দেখা, ব্যাচারির সে ইচ্ছেটা ইচ্ছাই থেকে গেল'
'তো তুমি এখন কোথায় যাচ্ছো। রিয়ার কাছে'
'না ভাই। তিথি আমাকে সকালে ফোন দিয়ে বলেছিল রিয়া আমাকে দেখার জন্য অনেক ছটফট করছে। তাই সকালে যখন আমি রিয়ার কাছে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম তখন বাসা থেকে আম্মুর ফোন আসে। আব্বু স্ট্রোক করেছেন। এখন হাস্পাতালে। আমি এখন আব্বুর কাছে যাচ্ছি। আমি রিয়াকে শেষ বারের মতো দেখতে ও পারলাম না ভাই। মেয়েটির শেষ ইচ্ছেটাও আমি পুরন করতে পারলাম না ভাই'
এই কথাটা বলতে গিয়ে ছেলেটির অনেক বার কথা আটকে গেছে। মনে হচ্ছিলো অনেক কষ্ট করে কথা গুলো বের করছে ভিতর থেকে
আমি আর কিছু বললাম না। কিছু বলার ভাষা খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। ছেলেটিকে কাঁদতে দিলাম। শুনেছি কাঁদলে নাকি কষ্টটা অনেক হালকা হয়
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯
আসিফ্লী বলেছেন: অর আব্বু অসুস্থ ছিল সে সময় । তাই বেশী কি বলা হয় নি ওকে
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪১
তাশফিয়া নওরিন বলেছেন: BASI KICHU BOLTA PARLAM NA, TOBE BASIR VAG SOMAY VALOBASA TAKTA SOBAI VALOBASAR MULLO BUJHA NA
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩
আসিফ্লী বলেছেন: ভাল বলেছেন
মৃত্যুর আগে যদি বেঁচে থাকার মূল্য কেউ ই বুঝে না
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হরমোনযুক্ত মুরগী খেয়ে ভালোবাসা বেশী হচ্ছে; ছেলেটাকে লাথি মেরে বাস থেকে ফেলে দেয়ার দরকার ছিলো।